নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে স্বাগতম!
এই পোস্ট লিখতে শুরু করার পর শুধু ভাবছি, প্রথম পাতায় কি এটা দেবো, না কি দেবো না । ব্লগের অনলাইন লিস্টে যেভাবে চৈত্র মাসের খরা চলছে মনে হচ্ছে যেন রমজান শেষ হবার পর ব্লগারগণ ব্লগিং ছেড়ে দিয়েছেন । আগে দেখতাম বিকেলবেলা সত্তর আশিজনের নামের পাশে সবুজ বাতি জ্বলছে, এখন সংখ্যাটা অর্ধেকে নেমে এসেছে ।
ঈদের ছুটিতে এখনো সবাই ব্যস্ত ? নাকি ব্লগে দেবার সেই সময়টা এখন ফুটবল খেলা দেখে সবাই কাটাচ্ছেন কে জানে ।
এনিওয়ে, মূল কথায় আসি ।
এবার ছুটিতে বাড়ি যাবার পর একটা চিন্তা এলো । আমি আমাদের পুকুর ঘাটে একা বসে ভাবছিলাম, গ্রামের বাড়িটা আমাদের কি কাজে লাগে ? শুধু ঈদের ছুটিতে দুই তিনদিন থাকার জন্য গ্রামের বাড়ি আসি আর সারাবছর বাড়িটাতে ঘুঘু চরে । আমার কল্পনার মাঝে ছেদ পড়ল বাবার কারণে । বাবা এসে জানতে চাইলেন আমি একা বসে কি ভাবছি । কোন রাখঢাক না করে বাবাকে বলেই দিলাম, বাবা আমাদের এতো বড় বাড়ির কি দরকার ছিল ? আমাদের সবার জন্ম হয়েছে শহরের হাসপাতালে, সবার বিয়ে শাদি হচ্ছে শহরের কমিউনিটি সেন্টারে, খুব সম্ভবত মারাও যাবো শহরের কোন এক হাসপাতালে । এই যে টিনের চালার এতো সুন্দর বাংলো ঘর, এখানে তো আমরা বাঁচিও না মরিও না । এই বাড়িঘরের কি দরকার ছিল ?
বাবা হেসে বললেন, মরার পর কবর দিতে হবে তো এই বাড়ির পাশের গোরস্থানে । মরার পর কুলখানি করার জন্য আত্মীয় স্বজন সবাই আসবে এই বাড়িতেই, তখন কেউ কমিউনিটি সেন্টারে যাবে না ।
আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম, বুঝেছি বাবা, এই বাড়ি তাহলে তোমার জন্য, মায়ের জন্য, আর ভাইয়ার জন্য । তোমরা মরে গেলে এখানেই তোমাদের কবর হবে । আপাকে তো অন্য জায়গাতে বিয়ে দিয়ে দিয়েছ । সে এই বাড়িতে মরতে আসবে না । তার কবর হবে দূরে কোথাও । আমারও একই পরিণতি হবে, তাই না বাবা । তার মানে তো এই বাড়ি ঘর মোটেই আমার নয় ।
আমার কথা শুনে বাবা একদম চুপ হয়ে গেলেন । আমার চালাক বাবা তখন হয়ত মনে মনে একটা জুতসই উত্তর খুঁজছিলেন । নীরব বিকেল বেলা আমাদের নীরবতায় আরো নীরব হয়ে গেল । যেন আমরা বাপ বেটি কবরস্থানে বসে আছি, সেরকম চমৎকার নীরব পরিবেশ ।
আমি বেশিক্ষণ থাকিনি । বাবাকে পুকুর ঘাটে একা রেখে আস্তে উঠে ঘরে চলে গেলাম । আমার বাবা হয়ত তখনো বসে উত্তর খুঁজছিলেন ।
বাবা বাকপটু লোক । আমি জানি তিনি খুব শীঘ্রই আমার এই প্রশ্নের একটা ভালো জবাব দিবেন । হয়ত আজ কালের মধ্যেই তিনি আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে কিছু একটা বলবেন । দেখি, আমার চালাক পিতাজি আমাকে কি বলে সান্ত্বনা দেন ।
২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । ইতোমধ্যে আপনার ব্লগ হতে ঘুরে এসেছি ।
আমি বাবার মত চালাক- এই কথা রিয়েল লাইফে এখনো কেউ বলেনি । আপনি ছোট একটি ঘটনার বিবরণ পড়ে কিভাবে বুঝলেন আমি চালাক ? আমার তো মনে হয় বাবার চালাকির তুলনায় আমি একটা গাধা !
আমাদের পুকুর ঘাট অনেক পুরনো । এমনকি আমাদের বাড়ির সব দালানের চেয়েও পুরনো । হয়তো ঘাটের ছবি আপনার পছন্দ হবে না । এনিওয়ে, আমার ব্যক্তিগত কোন ছবি আমি ব্লগে শেয়ার করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
২| ২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
blogermassud বলেছেন: অনেক ভালো লাগল আপনার শেয়ারটুকো।
২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ !
৩| ২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: good writing. Keep it up
২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯
অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ । ছুতির মাঝে ব্লগে এসেছি । তখন থেকে যত সময় পেয়েছি লেখালেখির চেষ্টা করেছি । আজ তো সব ছুটিছাটা শেষ, জানি না ব্লগে লেখার সুযোগ আর কবে পাবো ।
৪| ২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের অর্থনীতি মানুষকে শহরে নিয়ে গেছে, আমাদের প্রশাসনের লোকগুলো পিগমীদের চেয়ে মক মগজের অধিকারী
২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮
অচেনা হৃদি বলেছেন: হলিউডের ছবিগুলোতে দেখি অনেক আমেরিকান শহরের বাইরে থাকেন । গ্রামের মত পরিবেশে উনারা খামার বাড়ি বা বড় বাগানবাড়িতে বসবাস করেন । আবার প্রয়োজন হলে দ্রুত তারা শহরে গিয়ে কাজ শেষ করে ফিরে আসেন । ছেলেমেয়েরাও থাকে শহর হতে দূরে । তারা স্কুল বাসে করে আসা যাওয়া করে । আমাদের দেশেও যদি এমন হত তাহলে অনেক ভালো লাগতো । আমাদের কি কখনো এমন হবে ?
৫| ২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬
সিগন্যাস বলেছেন: গেটের ছবিটা দেখতে কবরস্থানের ছবির মতো
২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫
অচেনা হৃদি বলেছেন: হি হি হি...
এটা কিন্তু আমার বাড়ির ছবি নয় । গুগলে খুঁজে পাওয়া ছবি । আমার বাড়ি মনে করে থাকলে দুঃখিত । আমি তো কবরে থাকি না, আমি এখনো জীবিত জগতের বাসিন্দা ।
৬| ২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখা ভাল লাগছে !!!
শুভ কামনা
২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
অচেনা হৃদি বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম আপু । আমার পোস্ট পড়ে মুল্যবান মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ । আপনার শুভকামনা সত্য হয়ে ফুটে উঠুক ।
৭| ২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাল লাগার একটি লেখা। চরম সত্যি। আমি নিজেও বছরে ১-২ বারের বেশি গ্রামে যাই না। কিন্তু গ্রামের জন্য অসম্ভব একটা নাড়ির টান অনুভব করি প্রতিনিয়ত। চেষ্টা করি জন্মস্থানের জন্য ভাল কিছু করতে।
আপনার তো জন্ম গ্রামে হয়নি; এজন্য হয়তো নাড়ির টানটি সেভাবে ফিল করেন না। বাবার জন্ম গ্রামে তাই তিনি বুঝেন বছরের বিশেষ দিনগুলোতে গ্রামের শুনশান বাড়িতে যাওয়ার মানেটা। আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা গ্রামে, তাই আমি বুঝি।
আপনার বাবা যথার্থই বলেছেন, মৃত্যুর পর এখানেই ফিরে আসতে হবে। তবে মেয়েদের ভাগ্যে এমনটা কমই হয়। মৃত্যুর পর স্বামীর পরিবারের ইচ্ছায় কবর দেওয়া হয়। আসলে এটাই জীবন, এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
পোস্টে লাইক দিলাম।
২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০২
অচেনা হৃদি বলেছেন: পোস্টে লাইক দিলেন ! জান আপনার লাইকটাকে আমিও একটা লাইক দিলাম (মনে মনে দিলাম, লাইকের তো পাল্টা লাইক দেবার সুযোগ নেই তাই ।)
মৃত্যুর পর সবাইকে কবরে ফিরতে হবে, তবে দুঃখের ব্যপার হল মেয়েদের কবরটা কোথায় হবে তা কখনো নিশ্চিত হওয়া যায় না । স্বামীর বাড়িতে হতে পারে, আবার কোন কোন বিবাহিতা মহিলার কবর হয় বাপের বাড়িতে । সবাই বলে মেয়েদের বাড়ি দুটো, বাপের বাড়ি এবং স্বামীর বাড়ি । কিন্তু আমি হিসেব মেলাতে পারি না । আমার মনে হয় যেন মেয়েদের বাড়ি একটাও নয় । বিয়ের পর মেয়েরা তো বুঝতেই পারে না কোনটা যে নিজের বাড়ি ।
বাবা হোমসিক ফিল করেন ভালো । তিনি তো মাকে নিয়ে সেই বাড়িতে ঘুরে বেড়াতে পারেন । আমাকে নিতে হবে কেন ? এইবার ঈদে আমাকে জোর করে বাবা মা বাড়ি নিয়ে গেলেন । অথচ ঝড় বৃষ্টির মাঝে বাড়ি গিয়ে ঈদ করার আমার মোটেই ইচ্ছে ছিল না ।
আমি যে বাসায় সারাজীবন কাটিয়েছি সেটাই আমার প্রিয় জায়গা, যদি ফিল করতে হয় আমি সেই বাসাটাকেই ফিল করব ।
৮| ২২ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
লাবণ্য ২ বলেছেন: চমৎকার লাগলো আপু।
২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু । আপনি সবসময় কমেন্ট করেন । কিন্তু আপনার নিজের লেখা দেখি না কেন আপু, আপনি কি লেখালেখিটা একটু কম করেন ?
৯| ২২ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২
কবির নাঈম দোদুল বলেছেন: এ বিষয়গুলো মাঝেমধ্যে আমাকেও ভাবায়।
২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৭
অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনাকে ভাবায় শুনে প্রীত হলাম । আপনার ছবিটাও চমৎকার, দেখেই বুঝতে পারি আপনি একজন ভাবুক !
১০| ২২ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমি আপনার পোষ্টে মন দিতে পারছি না। আমার মন প্রচন্ড খারাপ। আর্জেন্টিনা হেরে গেছে। এটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।
২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৫
অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনি আর্জেন্টাইন ফ্যান ? মন খারাপের কি আছে ? আমি খেলা কম বুঝি, আপনাকে কি বলে সহানুভূতি জানাব তাও জানি না । তবে কয়েকজনের মুখে শুনেছি এখনো আর্জেন্টিনার সুযোগ আছে । আশা করি আর্জেন্টিনা সুযোগটা কাজে লাগাবে ।
১১| ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঈদ আর আর্জেন্টিনা মিলিয়ে এখন রাইটার্স ব্লক চলছে সবার...
২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৪
অচেনা হৃদি বলেছেন: ঈদের কারণে সবাই দৌড়ের উপর আছে তা বুঝলাম । কিন্তু আর্জেন্টিনা কি দোষ করলো বুঝতে পারছি না !
১২| ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: অচেনা হৃদি ,
কিছু নয় আবার অনেক অনেক কিছুই নিয়ে আপনার এ লেখাটি বেশ প্রানবন্ত এবং একই সাথে উইটি।
সংসারের ছোট সদস্যার ডেসিগনেশন আপনি পাল্টাতে পারবেন না , তাই ঐ ডেসিগনেশন আপডেট হবার সম্ভাবনাও একেবারেই নেই ।
এটা হিসেবে রেখেই আপনার পিতাজি চালাকিটা খাটাবে । বলবে , " মা'রে বড় দুটোকে তো দুরে ঠেলে দিয়েছি তো একা একা এই এত্তোবড় বাড়িতে কি করে থাকি বল ? তুই ই সবার ছোট , তুই আর যাবি কই ? এই গ্রামেই তোর বিয়ে দিয়ে ছেলেটাকে ঘরজামাই বানাবো । তবেই তোর মরার পরে এইখানেই তোর কবর হবে , কুলখানি হবে, চেহলাম হবে , কবরে আগরবাত্তি জ্বলবে । বাড়ীটা তোরই হবে .......................
ভালো লেখা ।
২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:০৩
অচেনা হৃদি বলেছেন: লেখাটাকে আপনারা ভালো বলছেন দেখে আমার বেশ গর্ব লাগছে । এই লেখাটি অন্য লেখার মত আগে কম্পিউটারে লিখে তারপর ব্লগে কপি পেস্ট করিনি, আমি এটা সরাসরি ব্লগে লিখেছি, এমনকি এডিট করার সুযোগও পাইনি। এতো দ্রুতগতিতে লিখে পোস্ট মারার পরেও লেখাটা কাংখিত মান ধরে রাখতে পেরেছে বলে আমি আনন্দিত ।
ভাইয়া, আমার পিতাজি অতি বুদ্ধিমান একজন ব্যক্তি । আমার মনে হয় আপনি যা বলেছেন এটা আমার পিতাজি বলবেন না । কারণ এই কথাটার জবাব দেয়া খুব সহজ । জবাবটা আমি নিজে দেব না, কথাটা মায়ের কানে তুলে দিলে তিনিই আচ্ছা একটা জবাব দিয়ে দেবেন । কাজেই এই সান্ত্বনা আমার ক্ষেত্রে ধোপে টিকবে না ।
ডেসিগনেশন তো শুধু পরিবারের হয় না, পরিবারের বাইরে সবার একটা ডেসিগনেশন থাকে, বাইরের ডেসিগনেশন যখন পাওয়া যায় তখন পরিবারের ডেসিগনেশনটাও অনেক উপরে উঠে যায় । আমি পরিবারের ডেসিগনেশনের পাশাপাশি এরকম বাইরের একটি ফরমাল ডেসিগনেশনের অপেক্ষায় আছি ।
১৩| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: "জান আপনার লাইকটাকে আমিও একটা লাইক দিলাম।"........ জান ডাকায় জানটা জুড়িয়ে গেল। আহা!! কী আনন্দ আকাশে বাতাসে।
শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস বলেছেন, ..... এটা হিসেবে রেখেই আপনার পিতাজি চালাকিটা খাটাবে । বলবে , " মা'রে বড় দুটোকে তো দুরে ঠেলে দিয়েছি তো একা একা এই এত্তোবড় বাড়িতে কি করে থাকি বল ? তুই ই সবার ছোট , তুই আর যাবি কই ? এই গ্রামেই তোর বিয়ে দিয়ে ছেলেটাকে ঘরজামাই বানাবো । তবেই তোর মরার পরে এইখানেই তোর কবর হবে , কুলখানি হবে, চেহলাম হবে , কবরে আগরবাত্তি জ্বলবে । বাড়ীটা তোরই হবে .......................
এটা আমারও কথা। কিন্তু আশংকা একটি আছে আর তা হলো, ডানাকাটা এ পরীটা যে কিনা লসএঞ্জেলস যাওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া সে মেয়েটি থাকবে তো।
২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৪
অচেনা হৃদি বলেছেন: আমি কিন্তু ডানাকাটা পরী না । আমার ডানা আছে, দেখবেন ? আচ্ছা থাক, পিঠের উপর ডানা আছে দেখলে তো আমাকে আর পরী মনে করবেন না, তখন আমাকে জীন মনে করবেন । হি হি হি...
আমার বাবা, আহমেদ জী এস এবং আপনি- আপনারা তিনজন সেকেলে লোক তাই ঘরজামাইয়ের চিন্তা আপনাদের মাথায় আসতেই পারে । ঘরজামাই সিস্টেম তো এখন বদলে গেছে । বাবা যদি গ্রামে একটি দোতলা বাড়ি বানিয়ে সেই বাড়ির চাবি আমার হাতে তুলে দিয়ে বলেন, "যা, আজ থেকে এই ঘর তোর, এখানে তুই তোর জীবনসাথীকে নিয়ে সুখে থাক !" তাহলে তো আমি একদম আপত্তি করব না । আমি তো সেই বাড়িটাকেই এক টুকরো 'লস এঞ্জেলস' বানিয়ে নেবো । সেই বাড়িতে আমি এবং আমার তথাকথিত 'ঘরজামাই' সাহেবকে নিয়ে সারাজীবন থাকবো । সেখানে আমার বাবা মাকেও রাখবো । তাহলে কেমন হয় চৌধুরী ভাইজান ?
(আরেকবার জান বললাম, মানে ভাইজান বললাম । জান শুনলে যদি আপনি খুশি হন তাইলে এটা বলতে আমার আপত্তি থাকবে কেন ?)
১৪| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:২৬
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হৃদি আপু, পোস্টের প্রথম কথাগুলো আমারো মাথায় এসেছে। ব্লগ এত ফাঁকা ফাঁকা কেন? ব্যাপার কি? ঈদের কিছুদিন আগে থেকেই এই অবস্থা। ঈদে নানা ব্যস্ততা থাকে, এখন তো সেসব নেই। ফুটবলের ব্যাপারেও ব্লগে আড্ডা দেওয়া যায়, অনেক পোস্ট দেওয়া যায়। বিশ্বকাপের জন্যে ব্লগ তো আরো জমজমাট হওয়া উচিৎ। ব্লগ এমন মরা মরা দেখলে ভালো লাগে না আপু। আশা করি জলদিই সামু আবার আগের সামু হয়ে যাবে।
আর আপনার এবং আপনার বাবার কথোপকথনটা খুব ইন্টারেস্টিং। আমরাও অপেক্ষায় রইলাম ওনার উত্তরের।
পোস্টে লাইক আপু।
অনেক ভালো থাকবেন।
২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬
অচেনা হৃদি বলেছেন: আমার পোস্ট পড়ে তাতে লাইক এবং কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপু ।
আমার এবং বাবার মাঝে এরকম 'ইন্টারেস্টিং' কথোপকথন মাঝে মাঝে হয় । মাঝে মাঝে আমার মা আমাদের বাপ বেটির কথার ভেতর টীকা টিপ্পনী ঢুকিয়ে কথোপকথনকে আরো ইন্টারেস্টিং অথবা তিতা করে তোলেন । আলোচ্য কথোপকথনে বাবা শেষ পর্যন্ত কি উত্তর দিলেন তা জানতে চাওয়ায় আপনাকে আরেকটি ধন্যবাদ দিচ্ছি, বুঝতে পারলাম সত্যিই আপনি আগ্রহ নিয়ে আমার ব্লগ পড়েছেন । বাবার উত্তরটা যদি ইন্টারেস্টিং হয় তাহলে তাও শেয়ার করবো ।
আপনার মত আমিও আশা করছি শীঘ্রই ব্লগ আবার জমে উঠবে ।
১৫| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু। অল্প কথায় খুব স্পর্শী ধর্মী কথা বললেন। জানিনা ইতিমধ্যে আপনি বাবার উত্তরটি পেয়েগেছেন কিনা। তবে আমার নিজ অভিজ্ঞতায় বলছি, আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত আপ ও ডাউনে ৩০ কিমি যাতায়াত করেছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শহরে মেসে থাকতে বাধ্য হয়েছিলাম। জীবনের প্রথম চাকুরী শহরে পাওয়ায় বাধ্যহয়ে শহরে বসবাস । আমার স্ত্রী বরাবর শহরে বড় হওয়া। সে আমার গ্রাম বা আমার আবেগকে অত পাত্তা দেয়না। তবে এবার গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে বাবামায়ের কবরস্থান পাকা করার কাজে হাত দিয়েছি। রমজান মাসে সারাদিন খাওয়া দাওয়া না থাকায় কাজ করে এফতারের আগে বাড়ি চলে আসতাম। অস্বীকার করবো না, সে এক অসম্ভব ভালো লাগা গ্রামে এই সব মুহূর্তগুলি কাটানোর সময় পেতাম।
গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করা। আমাদের কবরস্থানের প্রায়ই পাঁচ / সাতজন লোক সবসময় এসে নিঃস্বার্থ ভাবে আড্ডা মারা। এই গ্রামের প্রতিটি ধুলিকনা, বাতাস সবকিছুই মধ্যেই যেন আপন জনের স্পর্শ, এ অনুভূতি আমি আমার স্ত্রী ও পুত্রকে বোঝাতে পারবোনা । ওরা শহরের কোনও সরকারি কবরস্থান ব্যবহারের পক্ষে।পাশাপাশি আমি রিটায়ার্ড লাইফপ গ্রামে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কতটা পারবো জানিনা, তবে পরিবার আমার এই আবেগকে মূল্য দেয়না। তাদের সরল যুক্তি এমন হলে ওরা বাড়ি বিক্রি করে ছোট্ট ফ্লাট নিয়েই কাটিয়ে দেবো। অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ফেললাম আপু।
শুভ কামনা জানবেন।
২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০২
অচেনা হৃদি বলেছেন: #অনেক অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ফেললাম আপু।
এই এপলজির দরকার ছিল না । আপনার মন্তব্যে কোন অপ্রাসঙ্গিকতা নেই ।
আপনার জন্য আমার ভালো একটা পরামর্শ আছে । আপনি যদি আপনার পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে ফেরাতে চান তাহলে একটা কাজ করতে পারেন ।
আপনি কিছু টাকা ইনভেস্ট করে আপনার গ্রামের বাড়িটিকে নতুন করে গড়ে তুলুন । বাড়িতে বাগান করুন । এমনভাবে আপনার বাড়িটিকে সাজান যেন তা দেখতে রিসোর্টের মত মনে হয় । এরপর আপনার পরিবারের ছেলে মেয়েকে সেই বাড়িতে কোন অকেশনে বেড়াতে নিয়ে যান । ছেলেমেয়েদের বুঝান, তাদের বিয়ে শাদির পর নাগরিক জীবনের ব্যস্ততার অবকাশে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে এই রিসোর্টতুল্য বাড়িতে তারা যেন আসে । সবাই তো টাকা খরচ করে গাজিপুর, দিনাজপুর বা মানিকগঞ্জের রিসোর্টে হানিমুনে যায় । নিজেদের মালিকানায় যদি এরকম একটা রিসোর্টের মত বাড়ি থাকে তাহলে পয়সা খরচ করে অন্য জেলাগুলোতে ঘুরতে হবে না । নিজের বাপের ভিটাতেই তারা রিসোর্টে রাত কাটানোর মত সুযোগ ভোগ করতে পারবে ।
আমি নিশ্চিত আপনি যদি এই কাজ করতে পারেন তাহলে গ্রাম ছেড়ে দিতে হবে না ।
শুভকামনা রইল ।
১৬| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ১৩ নং প্রিয় কাওসার ভায়ের কমেন্টে লাইক দিয়েছি। ল.....স..... অ্যা....... ন...... জে.......লে..
র হাতছানি। হা হা হা।
২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
অচেনা হৃদি বলেছেন: চৌধুরী সাহেব, লস এঞ্জেলসের কথা শুনে যে হাসছেন, ভালো । আপনি কি ঘটনা বুঝে হাসছেন নাকি অন্য কারণে হাস্যকর মনে হয়েছে ?
কাওসার ভাইয়ের যে মন্তব্যটা লাইক করেছেন তার প্রতিউত্তরে আমি কি বলেছি আশা করি তা দেখেছেন ।
১৭| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি আর্জেন্টাইন ফ্যান ? মন খারাপের কি আছে ? আমি খেলা কম বুঝি, আপনাকে কি বলে সহানুভূতি জানাব তাও জানি না । তবে কয়েকজনের মুখে শুনেছি এখনো আর্জেন্টিনার সুযোগ আছে । আশা করি আর্জেন্টিনা সুযোগটা কাজে লাগাবে ।
মেসির কিছুই করার ছিল না। তাকে বল যোগান দেওয়ার মতো খেলোয়াড় আর্জেন্টিনা দলে নেই।
আইসল্যান্ড কোন খেলায় জিততে পারবে না। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা নাইজেরিয়াকে হারিয়ে দিবে।
আমি মোটেও হতাশ হইনি। ২য় রাউন্ডে আমরা যাবোই। যদিও সমীকরনটা বেশ কঠিন।
২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
অচেনা হৃদি বলেছেন: আশা করি আপনার প্রিয় দল বিশ্বকাপ নিয়ে ঘরে ফিরবে ।
১৮| ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: লিখাটি পড়ে ভাল লাগল। আপনার বাবাকে রাখা প্রশ্নের জবাবটি আর হয়তো জানা হবে না। তবে দুনিয়াবী সব বাড়ি ঘর কারোর একা নয়। যেনো পরমপরা। মৃত্যুর পরে যে বাড়িতে থাকা হয় সেই ঠিকানাই আসল ঠিকানা।
২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫
অচেনা হৃদি বলেছেন: মৃত্যুর পর কোথায় যাবো সেই ডিসিশান নেবার সময় আমার এখনো হয়নি । দেশের গড় আয়ু অনুযায়ী আমার মৃত্যু আসতে এখনো অনেক দেরি আছে । তাসফিয়ার মত যদি মরে না যাই তাহলে এখনো আমার হাতে অনেক সময় আছে । আপাতত আমাকে বেঁচে থাকাকালীন বাসস্থানের কথা ভাবতে হবে ।
বাবা জবাবে কি বললেন বা কি করলেন তা আপনারাও হয়ত জানতে পাবেন । জবাবটা যদি আমার মনের মত হয় তাহলে এই ব্লগেই তা শেয়ার করব ।
১৯| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর লেখা। শুভকামনা অনেক।
২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
অচেনা হৃদি বলেছেন: শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ !
২০| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: পল্টু - স্যার,আগামী ১৫ দিন আমি অফিস আসতে পারব না।
বস - কেন?
পল্টু - বউ পা ভেঙ্গে বসে আছে ।
বস - বউ পা ভেঙ্গে বসে আছে , তো আপনার কী?
পল্টু - স্যার, পা টা আমার !!!
হাসির কৌতুক।
২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
অচেনা হৃদি বলেছেন: হি হি হি...
আমি নিশ্চিত পল্টুর বউ বেসবল ভালো খেলতে পারে !
২১| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মেয়েরা তাদের স্বামীর পাশে চিরশয্যায় শায়িত থাকতে চায় । তা না হলে বাবার বাড়িতেও তাদের স্থান হতে পারে ।
২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৪
অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া, কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ।
মেয়েরা স্বামীর পাশে চিরশয্যা চায়, এই এই শয্যা কয়জনে পায় বলুন ভাইয়া । আমি যতদূর জানি হযরত আয়েশা (রা) তাঁর স্বামী মোহাম্মদ (স)এর পাশে চিরশয্যা চেয়েছিলেন । তিনি পেয়েছিলেন ? পাননি তো ! তাঁর শয্যা হয়েছে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে । এই শয্যা বিয়ের পর হতে মেয়েরা কামনা করে, পায় না । আবার এর চেয়েও খারাপ ঘটে যখন স্বামীর এলাকাতেই মেয়েরা কবর পায় না । তখন তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বাপের বাড়িতে ।
এসব ভাবলে মন খারাপ হয়ে যায় ।
২২| ২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: অচেনা হৃদি ,
হা....হা....হা.... আমাকে আর ১৩ নং মন্তব্যে কাওসার চৌধুরীকে করা আপনার প্রতিমন্তব্য তো "যে লাউ সেই কদু" হয়ে গেলো ।
সেকালের আমরা না হয় "ঘরজামাই" এর কথা বলেছি কিন্তু একালের অচেনা হৃদি কি এর বাইরে যেতে পেরেছেন ? সেই তো গ্রামে বাবা একটি দোতলা বাড়ি বানিয়ে দিলে জীবনসাথীকে নিয়ে সেখানেই বাড়ীটাকে "লস এঞ্জেলস" বানিয়ে ফেলবেন ! তো , জীবনসাথী তো আপনার বাবার বানিয়ে দেয়া বাড়ীতেই থাকবেন, এই তো ? সেকেলে আমরা না হয় " ঘরজামাই" বলেছি কিন্তু একালের সেই জামাই তো ঘরজামাই সিস্টেম বদলে " বিল্ডিংজামাই" হবেন কারন এখন তো আর কেউ টিন দিয়ে ঘর বানায় না , বিল্ডিং বানায় ।
যাকগে , একটু মজা করা হলো আপনার সাথে ।
তবে আপনার লেখার হাতের প্রশংসা করতেই হবে, এই লেখাটি অন্য লেখার মত আগে কম্পিউটারে লিখে তারপর ব্লগে কপি পেস্ট না করেই এই যে সরাসরি ব্লগে লিখেছেন, এমনকি এডিট করার সুযোগও পাননি , সে কারনে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১০
অচেনা হৃদি বলেছেন: হি হি হি...
সবার আগে আপনাকে তিনটি ধন্যবাদ দিলাম । প্রথম ধন্যবাদ এই পোস্টে আবার এসেছেন এজন্য । দ্বিতীয় ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের উপর চমৎকার মন্তব্য করার জন্য । এবং তৃতীয়টি আমার লেখার প্রশংসা করার জন্য ।
ভাইয়া, এভাবে বলতে গেলে তো বৃটিশ রানী এলিজাবেথের জামাইও ঘরজামাই ! কারণ সেই লোকটা রানীর প্রাসাদে থাকে, নিজের কোন প্রাসাদ উনার নেই । কিন্তু বৃটিশ রানীর জামাইকে কেউ ঘরজামাই বলে না, বরং সেই জামাইএর উপাধি হল 'প্রিন্স' । আমার উনিও বৃটিশ রানীর জামাইয়ের মত আমার দোতলা প্রাসাদে থাকবে । এখন বলুন তো ভাইয়া, বৃটিশ রানীর জামাইর উপাধি যদি প্রিন্স হয় আমার উনার উপাধি "প্রিন্স" হবে কি না ?
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন । আপনিও আপনার বাবার মতো চালাক হয়েছেন ।
বাংলো ঘর আর পুকুর ঘাটের ছবিটা দিলে আরও দৃষ্টি নন্দন হতো।
আমার নতুন পোষ্টে একবার ঘুরে আসার আহ্ববান রইল।
আপনাদের অণুপ্রেরণাই আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে?