নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙ্গালী। বাংলা আমার অহংকার।

অচেনা হিমালয়

কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!

অচেনা হিমালয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাচিকো - যে কুকুরটি তার মনিবের জন্যে অপেক্ষা করেছিলো দশটি বছর

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৪



প্রাণীদের মধ্যে কুকুর সহজেই মানুষের পোষ মানে এবং অল্পদিনের মধ্যেই অনুগত হয়ে উঠে। কুকুরের বিশ্বস্ততা এবং আনুগত্যের অসংখ্য উদাহরণ আছে। তবে তার মধ্যে এমন একটি উদাহরণের কথা আজ তুলে ধরবো, যা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে।
.
১৯২৪ সালে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক একটি ‘আকিতা’ কুকুর পালবার জন্যে নেন এবং কুকুরটির নাম রাখেন ‘হাচিকো’। আকিতা কুকুরগুলো খুব সহজেই পোষ মানে। হাচিকোও ব্যতিক্রম ছিলো না। খুব সহজেই সে তার মনিবের কাছের বন্ধুতে পরিণত হয়। প্রতিদিন কুকুরটি তার মনিবের বাড়ি ফেরার সময় হলে ট্রেন স্টেশনে গিয়ে অপেক্ষা করতো, আর বাড়ি ফিরতো তার মনিবকে নিয়ে।
.
এভাবেই চলতে থাকলো। কিন্তু ১৯২৫ সালের মে মাসের একদিন যথারীতি একই সময়ে স্টেশনে গিয়ে হাচিকো দেখতে পায় তার মনিব ফিরেনি। ফেরার কথাও না অবশ্য তার মনিবের। কারণ, ক্লাসে লেকচার দিতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন যে তিনি!
.
মনিব আর ফিরবেন না, অবুঝ প্রাণী হাচিকো সেটা বুঝতে পারেনি। তাইতো তার মনিবের মৃত্যুর পরেও প্রতিদিন সে একই সময়ে স্টেশনে যেতো আর অপেক্ষা করতো- তার মনিব হয়তো ট্রেনে করে আসবে, আর তাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরবে। এভাবে মনিবের মৃত্যুর পরেও প্রায় দশ বছর হাচিকো প্রতিদিন একই সময়ে স্টেশনে এসে তার মনিবের জন্যে অপেক্ষা করেছিলো, যা সবাইকে অবাক করে দেয়।
.
১৯৩২ সালে একজন সাংবাদিক হাচিকোকে নিয়ে সংবাদপত্রে নিউজ ছাপার পর সবাই ঘটনাটি জানতে পারেন। অনেকে স্টেশনে এসে হাচিকোকে দেখে যান, আবার অনেকে তার জন্যে খাবার নিয়ে আসেন। হাচিকো জাপানে ধীরে ধীরে সবার কাছে বিশ্বস্ততা ও আনুগত্যের প্রতীক হয়ে উঠে। তাকে নিয়ে তৈরি হয় ভাস্কর্য, চলচ্চিত্র; লেখা হয় বই। এভাবে হাচিকোর ঘটনা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
.
.
আরো জানতে - Click This Link
হাচিকোর উইকিপিডিয়া পেইজ - https://en.wikipedia.org/wiki/Hachikō

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো উদাহরণ

২| ১৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩৫

কানিজ রিনা বলেছেন: আমার একটি বানর ছিল, বানরটা যদি এরম
একটা কুকুর হত মনে হয় তাকে আমি নাম
দিতাম আমার বাড়ির মনিব ডগ।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৬

অচেনা হিমালয় বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

ডি মুন বলেছেন:

এটা নিয়ে একটা মুভি দেখেছিলাম।
দারুণ মুভি। মন খারাপ হয়ে যায় শেষে।
প্রভুভক্তির এমন নিদর্শন দুর্লভ।
+++

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৬

অচেনা হিমালয় বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:২৪

তপোবণ বলেছেন: খুব দারুণ ব্যপার কুকুর মনিবের জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করছে। টাচি তো বটেই! মুভিটা ডাউনলোড করলাম। দেখতে ইচ্ছে করছে খুব।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনন্য এক উদাহরণ।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৭

অচেনা হিমালয় বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

আরমান অর্ক বলেছেন: ওয়াও, হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। :(

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৭

অচেনা হিমালয় বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রতীক্ষার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । :)

৮| ১০ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

বিজন রয় বলেছেন: ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.