নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙ্গালী। বাংলা আমার অহংকার।

অচেনা হিমালয়

কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!

অচেনা হিমালয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী যে আন্দোলন

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

কোটা বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী যে আন্দোলন শুরু করা হয়েছে তার উদ্দেশ্য কোনভাবেই সৎ নয়। গতকালের সংবাদ সম্মেলন ও একাত্তর টিভিতে নুরুল হক নুরুর বক্তব্যের পর সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই যে, এ কোন্দলন সম্পূর্ণভাবে জামাত-শিবিরের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দের অভিযোগ তাদেরকে শিবির ট্যাগ দেয়া হচ্ছে। অতীত ইতিহাস উহ্য রাখলেও কেন তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে তা উল্লেখ করছি।

গত কয়েক মাস ধরে কোটা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করতে টিভিসি, গান ও টেলিফিল্ম তৈরি করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড চলেছে ভিত্তিহীন কিছু বিষয় ও তথ্যের উপর।

১. অপপ্রচারের অন্যতম ইস্যু ছিল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। ইস্যুটি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন, যেকেউ টাকা দিলেই মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিতে পারে। এ অপপ্রচারের উদ্দেশ্য ছিল একজন মুক্তিযোদ্ধা যেন তাঁর পরিচয় দিতে গিয়ে ইতস্তত বোধ করেন এবং রাজাকাররা যেন মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া বলে তাচ্ছিল্য করতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় তালিকায় যাদের নাম ছিল তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করার ক্ষমতা সরকারেরও নেই। এছাড়া যারা মুজিব নগর সরকার সংশ্লিষ্ট ছিলেন কিংবা কাদেরিয়া, হেমায়েত বাহিনী বা পুলিশ-আনসার ইত্যাদি বাহিনীতে থেকে কিংবা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, শুধুমাত্র তারাই সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমান্ডারের অনুমোদনসহ কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। অনেকে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ গ্রহণ না করেও সহযোগিতা করেছিলেন। মূলত এ কারণেই বঙ্গবন্ধু আমলের ৬৯ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৮৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে। কোনো ধরণের ভূমিকা না রেখে সার্টিফিকেট পাওয়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা খুব বেশি হবে বলে মনে হয় না। তাই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইস্যু তুলে উপহাস করা অনাকাঙ্ক্ষিত।

গতকাল নুরুল হক নুর স্বীকার করেছে যে, এ আন্দোলন ৯৬ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান কোটার বিরুদ্ধে শিবিরের শুরু করা আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইস্যুটি কিভাবে ভাইরাল করতে আহবান করা হয়েছে তার প্রমাণ ফেসবুকে রয়েছে।

২. আসিফ নজরুলের মত লোক নারী কোটার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছে। অথচ সরকারি দপ্তরে নারী কর্মকর্তা খুবই নগণ্য। আমরা টেকসই উন্নয়নের যে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি তার অন্যতম শর্ত নারীর ক্ষমতায়ন। নারীরা নিজেদের স্বার্থের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে এমন মনে করি না কারণ প্রকৃত চাকুরী প্রার্থীদের ৫%ও এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নি। শিবির পাঁচ দফার ভিত্তিতে চলে বলে পাঁচ দফা দাবি দিয়েছে কিনা জানি না, তবে দফাগুলো সম্পর্কে তারা ভালোভাবে অবগত নয়। যেমন: বিশেষ নিয়োগ বাতিল করার দাবি করেছে, এদিকে ৩৯ তম বিসিএসে বিশেষ নিয়োগ হচ্ছে।

৩. কোটা নিয়ে সময় টিভির আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাশেদ খান তথ্য দিয়েছিলেন ৩% লোকের জন্য ৫৬% কোটা। এ তথ্যই প্রচার হয়েছে ব্যাপকভাবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি, রিটেন ও ভাইবার পর কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ হয়। কিন্তু প্রচার করা হয়েছে যেন কোনো প্রকারে গ্র্যাজুয়েশন করলেই কোটায় চাকরি হয়। কোটার কারণে বিসিএসে না টিকে রিকশা চালাচ্ছে এমন হাস্যকর বিষয় নিয়ে টেলিফিল্ম তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া কোটার সুবিধাভোগীরা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে তৎপর এমন দাবি করা হয়েছে অহরহ।



৪. যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে অজ্ঞাতনামাদের নামে মামলা হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তদন্তে জড়িতদের পরিচয় পাওয়া গেলে মামলা কার্যকর হয়। অজ্ঞাতনামাদের নামে দাখিল করা মামলা প্রত্যাহারের অর্থ হচ্ছে, ভিসির বাড়িতে হামলার ঘটনায় কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে না।
নুরু বয়াতি নিজেই বলেছে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে অবগত থাকা সম্ভব না। আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা যদি হামলায় জড়িত না হয় তাহলে মামলায় কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। মামলা প্রত্যাহারের দাবি শুধু অযৌক্তিকই নয়, এমন দাবি এ যাবত কেউ করে নি। দুরভিসন্ধি না থাকলে কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এমন দাবি করতে পারে না।

৫. আন্দোলনকারীদের একটি ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে যা মূলত আওয়ামী লীগ বিরোধিতার প্লাটফরমের ভূমিকা পালন করছে। সেখানে বিএনপি-জামাত ছাড়া অন্যদের ব্যান করা হয় বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। চরম উস্কানিমূলক পোস্ট এপ্রুভ হয়। নুরু মিয়া, দ্বীন মোহাম্মদ, মশিউর, মৌ সহ গ্রুপ এডমিন-মডারেটরদের অনেকের রাজনৈতিক মনোভাব তাদের পোস্ট ও বক্তব্যে ফুটে ওঠে। তাদের অনেকের প্রোফাইলে ২০১৩ সালের কোনো পোস্ট নেই, কারণ বলার অপেক্ষা রাখে না।

৬. মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য বিকৃতি, মৃত্যুর গুজবসহ নিজেদের অতীত ঢাকতে এডিট থিওরি ইত্যাদি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে নি। সবচেয়ে বড় কথা যারা মুক্তিযুদ্ধ বা বঙ্গবন্ধু নিয়ে কখনো একটি শব্দ লেখেনি তারা ২০১৮ সালে জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হবে এটি যৌক্তিক মনে হয় না।

সহজ ভাষায় বললে এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি এবং/অথবা আন্দোলনে যে অর্থের যোগান তারা পেয়েছে সেই পরিমাণ টাকা তারা এর আগে দেখেনি। কর্মসূচি মানেই টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা - তাই ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। ৭ দিনের যে আল্টিমেটাম তারা দিয়েছে তাতে তাদের ঔদ্ধত্য প্রকাশ পেয়েছে। কঠোর ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই বলেই মনে হচ্ছে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


আপনি নিশ্চয় কোটাধারী। জয় হোকা কোটা, আর কোটার রাজনীতির!!!

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোটার সংস্কার দরকার, সেটা হচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধ, জামাত-শিবিরের জন্য মহাকষ্টের কাহিনী; বিএনপি'র অর্ধেক নেতাও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী। কোটা আন্দোলনের দরকার ছিলো, তবে ইহাতে শিবিরও এসেছিল মনের দু:খ কমানোর জন্য

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

বেনামি মানুষ বলেছেন: আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারীদের এক সংবাদ সম্মেলন ছিলো। যেহেতু এটা লাইব্রেরি এবং এটা পড়ার জায়গা তাই তখন সেখানে স্টুডেন্টরা বিসিএসের প্রিপারেশন নিচ্ছিলো, ফলে সম্মেলন শুরু হতে দেরি হয়ে যায়। আর শুরু হয়ে যাওয়া সংবাদ সম্মেলনে আরেক বিসিএস প্রিপারেশন গ্রহীতার( অবশ্যই পুরুষ, গ্রহীতা দেখে মেয়ে ভাবার অবকাশ নাই =p~ ) মোটরসাইকেলে অনবরত সাইরেন বেজে যাচ্ছিলো যা সংবাদ সম্মেলনে দোহারের কাজ করছিলো =p~

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: 'কোটা' শব্দটার প্রতি আমার ঘৃণা জন্মে গেছে।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

ক্স বলেছেন: উপরের ছবিটা যে একজন শিবির ক্যাডারের - এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবে রাশেদ খান শিবির করে কিনা - এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে।

টাকা দিলেই মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট পাওয়া যায় - এটা জ্বলন্ত সত্যি। আমার ছোট মামা ১৯৭৪ সালে ঢাকা এসে বছরখানেক চাকরির সন্ধানে ঘুরেছেন। সব তখন সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে ছিল। মামাও তখন নিরুপায় হয়ে এরকম একটা সার্টিফিকেট জোগাড় করেছিলেন। তারপরে তার চাকরি হয়েছিল - কিন্তু চাকরিতে যোগদানের আগেই ১৫ই আগস্টের পট পরিবর্তন হয়ে যায়। সেই সার্টিফিকেট পরবর্তীতে আর কোথাও কোন কাজে লাগেনি।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রথমদিকে সামুতে 'মাইনাস' বাটন ছিল, ওইটার খুব অভাব বোধ করতাছি। X((

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২১

ফ্রিটক বলেছেন: ভাইরে আপনি তো সব কিছুর মধ্যে জামাত শিবির দেখতে পান।ঘরের বউকে কিছুদিন পর জামাত শিবিরের লোক মনে করে সন্দেহ করবেন। ঔ যে ম খা আলমগিরের মতো, জামাত শিবিরের লোক রানা প্লাজার ভিত ধরে ঝাকুনি দিছিল,সে মতবাদে বিশ্বাসী, এত অন্ধ কানা এখনো আছে?

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

শাহ আজিজ বলেছেন: কিছু পেইড আপ লোক এই আন্দোলনের দলগত অবস্থান নির্ধারণে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে । কারন এই ছেলেমেয়েদের মধ্যে কোন রাজনৈতিক কর্মী নেই আছে আমাদের মতো শুধুই সমর্থক । কোটার বিস্তৃতিতে এরা শংকিত যে আমরা মেধাবী হলেও আর চান্স পাবনা , এই ভয়ভীতি থেকেই আন্দোলন দানা বাধে । শিবির সক্রিয় হলে তা আন্দোলন বানচালের জন্য লীগের বি টিম হিসাবে কাজ করছে । আমি যা বলছি তা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি । ভাগ্যিস ছাত্র ইউনিয়ন এখনও যোগ দিয়ে বানচাল করেনি।

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১০

প্রামানিক বলেছেন: ২% পার্সেন্ট লোকের কোটার পক্ষে স্লোগান দিব না ৯৮% ভুক্তভুগিরে নিয়ে কাঁদবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:২৩

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: কোটা নিয়ে আর কোন মন্তব্য করতে ভাল লাগছে না। :((

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিসিএস এর এতগুলো ধাপ অতিক্রান্ত হবার পর। কোটার কারণে মেধাবীরা বঞ্চিত হয়। অনেক পিছনে থেকে কোটা প্রাপ্ত যা সুযোগ করে নেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা সঙ্গত কারণেই এর বিপক্ষে। এমন অনেকেই আছেন যারা ৫/৬বার বিসিএস দিয়ে ও বাদ পরে যায় কোটা না থাকায়। এটা দেশের ৯৮ ভাগ ছাত্রের প্রাণের দাবী। কোটা কেবল মুক্তি যোদ্ধারা পেতে পারতেন। তাদের নাতিপুতিরা কেন এই সুবিধা পাবে। আর দেশের ৯৮ ভাইকে রাজাকার বলতে চাইলে এটা সরকারের পতনের কারণ হতে পারে। আমারা সাধারণ মানুষ। আমাদের নিয়ে ই এদেশ।

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কেন খামাখা এনার্জি নষ্ট করছেন? আপনারা কেন যে জেগে ঘুমান বুঝি না। আর কতদিন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করবেন? এবার খেমা দেন। যতি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করতে চাইবেন ততই আপনাদের সংখ্যা কমবে। দেশের বেশীর ভাগ মানুষ আর এই ব্যবসা বাড়তে দিতে চাইছে না...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.