নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাঙ্গালী। বাংলা আমার অহংকার।

অচেনা হিমালয়

কোনটা বাস্তব, কোনটা কল্পনা, কোনটা আলো, কোনটা হতাশা, কোনটা ছায়া, কোনটা মরিচিকা......। অচেনা হিমালয়ের জগতে সব মিলে-মিশে একাকার......!!

অচেনা হিমালয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭ নভেম্বর খালেদ মোশারফের মত এক বীরকে কুৎসিতভাবে খুনের দিবস

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০



একজন কর্নেল তাহের আর একজন আর্মি ডেপুটি চিফ জিয়ার মাঝে তফাত শুধু কপালে। নইলে ৭৫ এর পট পরিবর্তনে, জাতির গায়ে কলঙ্ক লেপনে কারো হাতই কম নাই। কেউটা সাপকে ভালো বানাতে গিয়ে গোখরা কে খারাপ বানিয়ে লাভ নাই; দুইটার জাতই এক, দুইটার বিষেই মানুষ মরে।
.
আর এই বিষধর সাপেদের রাজত্ব কায়েমে বলি হয় দেশের রত্নরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নিহত হবার পর, ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। ঐ সময় তিনি সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করেন এবং নিজেকে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত করে সেনাপ্রধান হন । ঠিক তিন দিন পর ৭ নভেম্বর আরেকটি পাল্টা অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন।
.
খুনি জিয়াকে রক্ষা এবং জাসদের বিপ্লব (পড়ুন এজেন্ডা) বাস্তবায়নে সেটার নেতৃত্ব দেন কর্নেল তাহের। খুন করেন, খালেদ মোশাররফ এবং তার দুই সহকর্মী কর্ণেল নাজমুল হুদা এবং লেফট্যানেন্ট কর্ণেল এ.টি.এম. হায়দারকে। ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ তারিখে, সকাল ১১টায় ২য় ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী এর একজন অফিসারের নির্দেশে (কথিত আছে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ এই নির্দেশ দেন, যাকে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার দায়ে ২৮ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে ফাঁসি দেয়া হয়), ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর কয়েকজন অফিসার খালেদ মোশাররফ এবং তার দুই সহকর্মীকে হত্যা করে।
.
দুঃখিত, ৭ নভেম্বর জিয়ার জন্য জাতীয় সংহতি দিবস, কিংবা তাহের প্রেমীদের জন্য আজ তার আরো একটি দেশ প্রেম প্রকাশের দিবস হতে পারে, কিন্তু, আমার জন্য আজ শুধুই খালেদ মোশারফের মত এক বীরকে কুৎসিতভাবে খুনের দিবস।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্বাধীনতার পরপরই দেশে কি ক্যাচাল লেগে গিয়েছিল।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা এই মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবসকে কোনভাবে সংহতি, বিপ্লব দিবস নামে অভিহিত করে, তাদের কুকুরের মতো ঝুলানো দরকার।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা এই মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবসকে কোনভাবে সংহতি, বিপ্লব দিবস নামে অভিহিত করে, তাদের কুকুরের মতো ঝুলানো দরকার।

মন্তব্যটা পছন্দ হয়েছে।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: "যারা এই মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস কে কোনভাবে সংহতি, বিপ্লব দিবস নামে অভিহিত করে, তাদের কুকুরের মত ঝুলানো দরকার" আওয়ামীলীগ তাদের বগলে নিয়ে ঘুরছে, খালেদ মোশাররফ বঙ্গ বন্ধুর খুনিদের নিরাপদে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে। খালেদ কে যারা মেরেছে তারাও মুক্তিযোদ্ধা, তাহের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.