নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা বড়ো বর্ণচোরা। সে নানা রকম বর্ণ ধারণ করতে খুব পটু। এই রঙ হলুদ,নীল, বেগুনী কিংবা আকাশী নয়, অদৃশ্য কিছু হাজার রকম রঙের ছুড়োছুড়ি এ মনে।।ফেসবুকের: অদ্ভুত মানুষ

মধ্যবিত্তের ছেলে

একজন অদ্ভুত মানুষ

মধ্যবিত্তের ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

জারজ

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

১ম খন্ড
গত ২ বছর যাবত ঢাকার বেশ ক'টা প্রাইভেট সেক্টরে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে দিতে এখন আর শরীর পেরে উঠছে না। আমার এই কথাটা শুনে হয়ত অনেকেই বলবে মাত্র দুই বছর!! কত কত ছেলে মেয়ে আছে পড়াশুনা শেষ করে ৪/৫ বছর পর চাকরি পেয়েছে কিন্তু কখনোত হাল ছাড়েনি! তা তুমি কেন হাল ছেড়ে দিচ্ছ?? এই প্রশ্নটা শুনা মাত্র আমি এইসব লোকেদের জন্য একটা উত্তর আগে থেকেই প্রস্তুত করে রেখেছি। উত্তরটা পরে বলব। তবে যাই বলুন, সত্যিই শরীর আর পকেট খরচ মেটাতে মেটাতে আর পারছিলাম না। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু বান্ধবীরা প্রায়ই আড্ডা দিতে আসতে বলে, পড়াশুনা শেষ হওয়ার পর প্রথম প্রথম দিতাম কিন্তু সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আর বেকারত্ব গ্রাস করার ফলে এখন রেস্টুরেন্টে গিয়ে তাদের সাথে বিল শেয়ার করতে না পারাটা চরম লজ্জাজনক হয়ে উঠেছে। তাই আর যাওয়া হয় না এখন।
চাকরী পাচ্ছি না কিংবা একটা ব্যবসাও দাঁড় করাতে পারছি না মোটা অংকের টাকার জন্য অথচ আঙ্গুলের গিট গুনে দেখলাম বিয়ের উপযুক্ত সময় চলে এসেছে। চাচার বাড়িতে বড় হওয়া আমার বাবার মার একমাত্র ছেলেটা আজ এতিত আর বেকার। ও হ্যা, বলাই ত হয়নি, আমার বাবা মা আছেন কিন্তু তার পরেও এতিম। প্রশ্ন ঘুড়ছে সবার মাথায়। উত্তরটা হলো, আমার বাবা আমার মা কে দাদার জোড়াজুড়িতে বিয়ে করেছিল আবার সেদিকে মাও পছন্দ করতেন অন্য আরেকজনকে। এই আর কি দুজনের তেঁতো ভালবাসার মাঝেই আমার পৃথিবীতে আশা। হা হা হা। আমি মাঝে মাঝে চাচাকে বলতাম, আব্বা আম্মা দুজনের একটা ছবি দেখাতে। আমার এই আবদার শুনে চাচাজান এতই রেগে উঠেন যে, কেউ অপরাধ করলেও হয়ত এমন ধমক দেন না। আর বরাবরের মত আমাকে এই আবদারের প্রেক্ষিতে বলতেন, তর আব্বা আম্মা হচ্ছে আমি আর তর চাচি। যাকগে, তবে চাচিকে মাঝে মাঝে বলতে শুনতাম আমার মা নাকি ভিষণ সুন্দরী ছিলেন। কিন্তু তারপরেও কেন যে আমার আব্বা আম্মাকে মেনে নিলো না এটাই বুঝেন না। কথাগুলো রাফির আম্মার সাথে প্রায়ই বলতেন আর আমাকে নিয়ে পেট ভর্তি কটুক্তি করতেন। রাফির আম্মা আবার আমাকে তাদের বাসায় নিয়ে এগুলো শুনাতেন। আর আমি হাসতে হাসতে একেবারে খুন!! হাসি দেখে আন্টি বলেঃ
- এই তুমি কি পাগল!?!
- না না আন্টি, পাগল কেন হবো!!
- তোমার চাচি আম্মা তোমাকে সহ্য করতে পারে না, আমাকে আবার এগুলা কথা বলে আর তুমি এভাবে উদ্ভট ধরনের হাসি দিচ্ছো। তোমাকে পাগল বলব না ত কি বলব?
- আসলে আন্টি আপনি সে ক'মাস হলো এসেছেন আমাদের পাড়ায় তাই আমার সম্বন্ধীয় এই কথাগুলো আপনার মনে কষ্ট দিচ্ছে তাই আমার হাসিটা আপনার পছন্দ হচ্ছে না। (ভ্রুঁ কুঁচলে এমনভাবে তাকালেন যেন আমি তার স্বামিকে নিয়ে কিছু বলেছি)।
দরজায় হেলান দিয়ে চা খেতে খেতে রাফি বলছে,
- যাই বলেন, আপনার হাসি পেলেও আম্মার কিন্তু খুব খারাপ লাগে।
আন্টির দিকে তাকিয়ে বললাম,
- আন্টি আপনি ত নামাজ পড়েন, আমার জন্য একটু দোয়া করবেন। ছোট খাট একটা চাকরি পেলেই একটু শান্তিতে থাকতে পারব আর কি। চাচার দিকে এখন তাকাতে পারি না, বুঝতে পারি উনার পক্ষে আমাকে আর চলিয়ে নেওয়াটা খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

চেয়ার থেকে উঠে পরেছি দেখেও ফাজিল মেয়েটা দরজা ছাড়ছে না। বললাম, চায়ের কাপ দেখে ত মনে হচ্ছে চা কবেই ফুরিয়ে গেছে, শুকিয়েও গেছে। গিয়ে সিংকে পানিতে ভিজিয়ে রাখো, না হলে দাগ পরে যাবে। তার আগে দরজা ছাড়লে আমি বের হতাম। অমনি হাত থেকে কাপটা ফেলে দিলো। বুঝলাম না, ইচ্ছা করে নাকি আমার কথার মধ্যে বুলেট ছিল যে, বুলেটের আঘাতে হাত থেকে কাপ পরে গিয়েছে।
আন্টিকে বলতে শুনলাম, হতচ্ছাড়া, যাহ, পরিষ্কার কর গিয়ে। বাবা, তুমি দেখে দেখে পা ফেলো।
আমার হাসি টা আবার নতুন করে জেগে উঠল। অন্যদিকে রাগের ঘুর্ণিঝড় বয়ে যাচ্ছে রাফির উপর। হা হা হা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: শুরুটা ভালো ছিল। শেষটা ভালো হয়নি।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০০

মধ্যবিত্তের ছেলে বলেছেন: ভাই শেষ করি নি এখনো। খন্ড আকারে প্রকাশ করব

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫

মোঃ নুরুজ্জামান (জামান) বলেছেন: দেখি না কি হয়?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

মধ্যবিত্তের ছেলে বলেছেন: জ্বী, ভাল লাগানোর ইচ্ছা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.