নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I don\'t do different things, I do things differently.

অলিসাগর

মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দুরে। তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়ে দরজা দুটো একটুকু ফাক করে..।প্রতিদিন ঘুম থেকে জেগে ই ভাবি আজ আমি রবি ঠাকুরের বীরপুরুষ হব ..

অলিসাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপরিপক্ক নিয়মের বেড়াজালে......

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

আমি একজন Veterinarian. আমাদের জন্যে বাংলাদেশে সরকারী চাকুরীতে ঢুকবার একমাত্র রাস্তা হলো BCS. DVM শেষ করার পর ই একটা scholarship মিলে গেলো। একের পর এক ডিগ্রী, দেখতে দেখতে অনেক সময় চলে গেলো। আমি তখনো ছাত্র। সুইডেনে উচ্চতর ডিগ্রীর শেষের দিকে প্রফেসার এর সাথে গল্প করছিলাম। প্রফেসার বলছেন, তুমি তো এখন দেশে চলে গেলে সরকারী ভালো একটা চাকুরী পাবে। আমি বল্লাম আমার বয়স ৩০ পেরিয়েছে, আমি এখন সরকারী চাকুরীতে আবেদনের যোগ্য নই। প্রফেসার অবাক নয়োনে বল্ল '' কেনো? তোমাদের দেশের সরকারের কি skilled লোকের প্রয়োজন নেই? '' কে বোঝাবে তাকে? বাংলাদেশে সেশন জট এ পরে বেশির ভাগ ছাত্র ই masters শেষ করতে ২৬/২৭ বছর সময় নেয়। এরপর কেহ PhD করতে চাইলে 1st class govt officer হবার যোগ্যতা তাকে হারাতে হবে বয়স সীমাবধ্বতার জন্যে।

বেশ কয়েক বছর হইলো দেশের বাইরে ই চাকুরী করছি। দিন দিন responsibility বারছে, সুযোগ সুবিধা বারছে। কিন্তু মনে শান্তি নেই। এটা তো আমার জীবনের aim ছিল না। আমি তো দেশের জন্যে কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমাকে অন্ততো একবার apply/competition করবার সুযোগ দেবার কী সরকারের উচিত ছিলো না? আমার মতই অনেকে এখানে সেখানে। আমি একজন ভালো Pet animal surgery specialist কে চিনি। দেশের প্রতি বিশাল মোহ। একবার তিনি বিশাল বেতনের চাকুরী ছেড়ে বাংলাদেশে গেলেন একটা সরকারী project এ কাজ করতে। ৩ মাস বসে বসে বেতন নিলেন। কোন field work নেই।সবাই নাকি চেয়ারে হেলান দিয়ে ঘুমায়। Consultant হিসেবে তার নাম কে use করার জন্যে ই যেনো তাকে নেওয়া।টাকা আয় করার জন্যে তো উনি বাংলাদেশে যান নি। উনি তো কাজ করতে ই চেয়েছিলেন। তাকে আবার দেশ ছাড়তে হলো।

বিদেশ ফেরত ছাত্র দের এখন একটা reliable sector আছে। Private University তে চট জলদি ঢুকে পরা। Class room এ দাড়িয়ে lecture sheet reading পড়া আর ছাত্র দের ক্লাস রুম এ বসে মোবাইলে টিপা টিপি দেখা। নেই কোন research, নেই কোন তৃপ্তি। মাস শেষে এক বান্ডেল টাকা নিয়ে বাড়ি যাও। যার প্রতিদিন ১২ ঘন্টা কাজ করার অভ্যাস, তাকে এখন সপ্তাহে ২ ঘন্টার ৩ টা ক্লাশ নিতে হ্য়। বাকি সময় টা অলস কাটিয়ে শরীরে মেদ জমাও। শরীরের সাথে সাথে brain এ ও মেদ জমে। একটা মেধার অপমৃত্যু হয়।

নিজ উদ্যোগে কিছু করতে যাবেন, সেখানে ও বাধা। এই সনদ ঐ সনদ। সরকারী অফিসের কেরানীর পিছু নিতে নিতে হতাস। আর ঘুষ বানিজ্যের কথা না ই বল্লাম।এলাকার পাতি রাজনীতিবিদদের হুংকার। অবশেষে ছেড়ে দে মা কাইন্দা বাচি।

কি হবে আমাদের ভবিষ্যৎ? আমরা তো one eleven এর মতো জটিল কোন বেঈমানী করি নাই। তবে দেশে কেন আসতে পারব না? কেনো দেশের জন্যে কাজ করতে পারব না?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

নতুন বলেছেন: দেশে মানুষের সংখ্যা অনেক তাই এই রকমের সমস্যা হচ্ছে। বাইরের দেশে কাজের লোক কম তাই সবাই ব্যস্ত।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

দিপ্২৪ বলেছেন: দেশের একজন নাগরিক হয়ে দেশকে যা দেয়ার কথা ছিল আমি নিজেই তা দিতে পারিনি। এমন করে আমরা প্রত্যেকে নিজনিজ অবস্থান থেকে না দিতে পারার কারণে দেশ আজ অনেক পিছিয়ে। জাতির একজন হয়ে তাই আমি সরি আপনার কাছে ....... আপনাদের কাছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.