নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দুরে। তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়ে দরজা দুটো একটুকু ফাক করে..।প্রতিদিন ঘুম থেকে জেগে ই ভাবি আজ আমি রবি ঠাকুরের বীরপুরুষ হব ..
আমি ছাত্র হিসেবে কখন আহামরি ছিলাম না। তবু ও টেকনিক্যাল ইউনিভারসিটি তে পরাকালিন কেমনে যেন প্রথম ২ সেমিস্টার ফাস্ট হয়ে গেলাম। টেকনিক্যাল ইউনিভারসিটির একটা সুবিধা আছে, প্রথম ১/২ সেমিস্টার ফাস্ট হলে সব টিচার মুখ চিনে ফেলে, ভাইভা তে মার্ক পেতে সমস্যা ই হ্য় না।২ সেমিস্টার এর পর পরাশুনায় মনোযোগ ছুটে গেলো। না চাইতে ই সব সাফল্য হাতের মুঠোতে আসায় কোন কিছুর ই মূল্য ছিল না আমার কাছে। ছিটকে পরলাম মেরিট লিস্ট থেকে। প্যারাসাইটোলজি বিভাগের এক টিচার ভাইভা বোর্ড এ পরা জিগ্গেস না করে ঘন্টার পর ঘন্টা আমাকে বুঝাতো কেন পরাতে মনযোগ দিছ্ছি না।ভাইভা বোর্ড থেকে বের হবা মাত্র সকল ছাত্র ঘিরে ধরত ..এতক্ষন ধরে কি জিগ্গেস করল। আমি মুচকি হাসি হাসতাম। আপনার সেই মোটিভেশন আমি এখন ও ভুলি নি। কিছু সময় পর আমি ঘুরে দাড়াই। এরপর অনেক চড়াই উৎরাই। আমার প্রফেশনে এখন আমি সাফল্যের সাথে ই কাজ করে যাচ্ছি।কিন্তু আপনার সেই সময়কার বানী আমি এখন ও ভুলিনি।
জেনেটিকস ডিপার্টমেন্টে একবার প্রিপারেশন ভাল নেই বলে লিখিতো পরিক্ষায় অংশগ্রহন করলাম না। ভাইভা তে অংশগ্রহন করলাম। আইডেন্টিফিকেশন, টার্ম পরিক্ষা, আর এটেনডেন্স মিলে এ প্লাস এর মার্ক হয়ে ই গেছে। ভাইভা তে এক মার্ক দিলে ও চলে। যেহেতু লিখিতো পরিক্ষায় অংশ নেই নি তাই কোন প্রশ্নের ই উত্তর দিতে পারিনি প্রিপারেশনের অভাবে। স্যার ফেল করালো। স্যার কে হাসতে হাসতে ভাইভা বোর্ড এ ই বলি, পরের বার আপনি ই আমাকে সর্বোচ্চ মার্কস দিবেন। তিনি পরের বার আমাকে যা যা প্রশ্ন করলেন কাকতলিয় ভাবে সব প্রশ্ন ই আমার কমন পরল। হাসি মুখে আমার দিকে চেয়ে বল্লেন, এই শেষ প্রশ্নের উত্তর পারলে তোমাকে সর্বোচ্চ মার্কস দিব।সেটাও কমন পরে গেল।সব প্রশ্নের উত্তর পারলে ই যে তাকে সর্বোচ্চ মার্কস দিতে হবে এমন কথা নেই। একবার বিসিএস ভাইভা তে আমাকে শুধু মাত্র একটা ই প্রশ্ন করল। ইংরেজি তে নিজের সম্পর্কে ৫ টা বাক্য বলো। আমি প্রশ্ন শুনে খুব ই অপমানিতো হলে ও সামলে উত্তর দিয়েছিলাম।তবু ও সেই বিসিএস আমার হয়নি।
পরে চিন্তা করে দেখলাম জেনেটিকস ডিপার্টমেন্টের স্যার আমার কনফিডেন্স কে মূল্যায়ন করে ই হয়ত ভাল মার্কস টা দিয়েছেন অথবা প্যরাসাইটোলজির জামাল স্যার হ্য়ত ভেবেছিলেন এই ছেলের এখানে ই সমাপ্তি নয়, সে আরো বহুদুর যাবে। আজকালকার টিচারদের ছাত্র দের অবজারভেশনের সময় নাই। ছাত্র দের ভবিষ্যৎ দেখবার চোখ নাই। অবনত মাথায় সম্মান জানাই তোমাদের মতো শিক্ষক দের।
Happy Teachers Day !!!
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৬
অলিসাগর বলেছেন: কলাবাগান১ : একটা প্রশ্নের উত্তর শিখে যদি দেখেন সেই প্রশ্নটা ই কাকতলিয় ভাবে আপনারে ভাইভা বোর্ডে করছে....সেইটারে ই কয় ভাইভা তে কমন পরা...।পীর বংশের পোলা তো আমি তাই মনে হয় ভাগ্য টা সেদিন ফেবার করছিল ভাই..
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮
মোহাম্মদ জায়েদ উল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর..।বলেছেন
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখাটা তেমন ভালো হয়নি
৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬
অলিসাগর বলেছেন: আমি লেখায় নবীন....তবে আপনার লিখার কিন্তু আমি ভক্ত......।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কোথায় গেলেন?
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫২
কলাবাগান১ বলেছেন: ভাইভা কমন পড়ে কিভাবে?