নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I don\'t do different things, I do things differently.

অলিসাগর

মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দুরে। তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়ে দরজা দুটো একটুকু ফাক করে..।প্রতিদিন ঘুম থেকে জেগে ই ভাবি আজ আমি রবি ঠাকুরের বীরপুরুষ হব ..

অলিসাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রয়লার মুরগীর আদ্দোপান্ত....

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩

আজকের মুরগীর মাংশের সহজলভ্যতার অন্যতম কারন ব্রয়লার এর উৎপাদন। আধুনিক এই ব্রয়লার কিন্তু এক ধরনের হাইব্রিড যা Cornish strain এর Male আর Plymouth rocks এর female এর cross এর মাধ্যমে জন্ম লাভ করে। পরবরতিতে অবশ্য অন্যান্য strain ব্যাবহার করে আরো উন্নত করা হয় জাত টা কে। প্রথমে তৈরী করা হ্য় pure line, যেখানে Male আর Female এক সাথে পালন করে প্রাপ্ত ডিম থেকে হ্যাচারীতে বাচ্চা ফুটিয়ে উৎপন্ন হয় Grand parent stock। Grand parent stock এ ও এক ই ভাবে Male আর Female এক সাথে পালন করে প্রাপ্ত বয়স্ক Female কে Male এর সাথে mate করিয়ে প্রাপ্ত হ্যাচিং ডিম কে হ্যাচারীতে বাচ্চা ফুটিয়ে উৎপন্ন হয় Parent stock। ঠিক এক ই ভাবে Parent stock থেকে তৈরী করা হ্য় Commercial broiler এর বাচ্চা। খামারীরা Commercial broiler এর এক দিন বয়সী বাচ্চা গুলো হ্যাচারী থেকে কিনে নিয়ে তাদের খামারে ৩৫-৪৫ দিন পালন করে যখন ওজন ২ কেজি এর কাছা কাছি হয় তখন বাজারে বিক্রি করে দেয়। আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন আরেক ধরনের ব্রয়লার বাজারে পাওয়া যায় যার ওজন ৪ থেকে ৬ কেজি ও হ্য়। এগুলো আসলে Parent stock এর যেই মুরগী গুলো ডিম দেওয়া শেষ করে সেগুলো।

বাংলাদেশের বেশির ভাগ ব্রীডার কোম্পানী গুলোতে Parent stock পালন করা হ্য়। এই Parent stock এর এক দিনের বাচ্চা গুলো USA, Canada, Netherlands, UK, France etc দেশ থেকে আমদানি করা হয়। একদিনের বাচ্চা গুলো ঐ সব দেশে জন্ম নেবার সাথে সাথে ই প্রয়োজনীয় vaccine দিয়ে প্যাকেট জাত করে বিমানে উঠিয়ে দেওয়া হয়। বাংলার এয়ারপোটে সেগুলো ব্রীডার কোম্পানী গ্রহন করে শীতাতপ নিয়ন্তীত গাড়ী তে করে নিয়ে যায় ব্রীডার farm এ। ব্রীডার farm গুলো বেশিরভাগ ই Environmentally Controlled. মানে এই শেড গুলো bird এর শরিরে যখন যেমন Temperature প্রয়োজন ঠিক তেমন Temperature ই সরবরাহ করে। কারন, ব্রয়লার পালনের প্রথম সমস্যা হলো এরা গরম সহ্য করতে পারে না। এই বাচ্চা গুলো কে বেশ কয়েক ধাপ vaccine দিয়ে নিবীড় পরিচযা করে যখন এদের বয়স ২৪-২৫ সপ্তাহ হয় তখন এরা ডিম দেওয়া শুরু করে। হ্যচিং ডিম গুলো তখন পাঠানো হয় হ্যাচারীর ইনকিউবেটর মেশিনে। সেই মেশিন থেকে ২১ দিন পর ডিম ফুটে বের হ্য় বাচ্চা যা খামারী রা কিনে নেয়।

মুরগির খাদ্য নিয়ে ইদানিং অনেক লেখা লেখি করতে দেখেছি। প্রত্যেক sector এ ই অসাধু কিছু চক্র থাকে। তবে মোটামুটি বাজারে পাওয়া ৯০ % খাদ্য ই তৈরী হয় বড় বড় ৮-১০ টা কম্পানি থেকে। এবং তারা আমার মতে গুন গত মান বজায় রাখতে যথেষ্ট আগ্রহী। খাদ্য তৈরী তে যেসব Ingredient use করা হয় সেগুলো হলো Maize, Soybean Meal, Soybean Oil, Wheat bran, Rice bran, Protein concentrate, Amino Acid, Vitamin, salt, Enzyme, Toxin binder, Antibiotic etc. আমাদের দেশের উৎপাদিত উপরোক্ত শস্য গুলো চাহিদা পূরন করতে না পারায় প্রতি বছর ই Maize থেকে শুরু করে medicine পযন্ত সব ই আমদানি করতে হয়।এবং এর পরিমান টা সাধারন মানুষ ধারনা করতে পারবে না এত বেশী। এক্ষেত্রে backward agriculture বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে আমদানি ঠেকাতে।

এটা সত্য যে ব্রয়লার মুরগীর মাংশের স্বাধ দেশী মুরগীর কাছে কিছু ই না। তবে সাস্থগত বিচারে ব্রয়লার কিন্তু দেশী থেকে এগিয়ে। কারন দেশী মুরগী যা পাচ্ছে তা ই খাচ্ছে, পুস্টিকর খাবার না খেলে তার মাংশে পুস্টি আশা করা ও বোকামি। আমাদের দেশে উচ্চ বিত্তরা বাজারে কম দাম বলে ব্রয়লার বাসায় কিনে আনবে না তবে Fast food এর দোকান গুলো তে বদ্দ আয়েশ করে ব্রয়লার এর হাড় চাবায়। উন্নত সব দেশে মুরগি মানে ই departmental store থেকে frozen broiler কিনো। আমাদের common একটা psychology সবার ক্ষেত্রে কাজ করে। যেই জিনিসের দাম বেশি সেটার দিকে ই আমাদের আগ্রহ। জাতির কাছে প্রশ্ন ...ব্রয়লারএর দাম কম কেরে?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০৮

প্রামানিক বলেছেন: ব্রয়লার মুরগীর ড্রেসিং-এর গরম পানির দিকে তাকালে আর খেতে ইচ্ছে করে না। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত গু গোবর সব ঐ পানিতেই চুবানো হয়। সেই পানিতে সেদ্ধকরা মুরগী ড্রেসিং করে আমরা খাই।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২১

অলিসাগর বলেছেন: কথা সত্য তবে মন্দের মধ্যে ভাল দিক টা হইলো ড্রেসিং মুরগীর চামড়া সহ করে আর বাসায় আনবার পর বেসির ভাগ মানুষ ই চামড়া ফেলে রান্না করে। Hygienic দিক টার নজরদারির জন্যে আমাদের আরো সচেস্ট হতে হবে।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২৬

পুলক ঢালী বলেছেন: ব্রয়লারের স্বাদ ভাল লাগেনা কথাটি সত্য তবে প্রোডাকশন বেসিসে তৈরী হয় তাই দাম কম। আপনি অনেক তথ্যবহুল পোষ্ট দিয়েছেন কিন্তু যেসব খাদ্য এগুলোকে খাওয়ানো হয় সেগুলির মান নিয়ন্ত্রন কে করে? যেসব ঔষধ এগুলির দেহে প্রবেশ করানো হয় মানবদেহে তার সূদূরপ্রসারি প্রতিক্রিয়া কি এ ব্যপারে গবেষনামূলক তথ্য দিন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা মুরগীর মাংস কি খারাপ ? এরা যাই খাকনা কেন তাদের পাকস্থলীর শক্তিশালী এনজাইম ক্ষতিকর সবকিছুকে ধ্বংস করে। তবে বিপুল জন সংখ্যার প্রোটিন চাহিদা মেটাতে ব্রয়লার ছাড়া উপায় নেই তবে বিদেশের মত কঠোর মান নিয়ন্ত্রন আমাদের দেশে এক কথায় অসম্ভব। ভাল থাকুন।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:০১

অলিসাগর বলেছেন: আমাদের দেশের সরকারি সংস্থা সব সময় ই জনবলের অভাবে ভুগে। তবু ও এরা মাঝে মাঝে ফিড তৈরির কারখানা দেখতে আসে মাসিক চাদা তুলতে। তবে মুরগীর খাদ্য মূলত প্রাইভেট কোম্পানি গুলো তৈরী করে আর প্রত্যেক প্রাইভেট কোম্পানিতে ই খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রন করতে অভিগ্গ কোয়ালিটি কন্ট্রোলার নিয়োগ দেয়। বাইরের দেশের সাথে তুলনা করলে এই মান নিয়ন্ত্রন কে হাস্যকর মনে হবে তবে বাংলাদেশের অন্যান্য পন্য উৎপাদনে যে মান নিয়ন্ত্রন হয় তার সাথে তুলনা করলে বলা যেতে পারে এই প্রক্কিয়া যথেস্ট শক্তিশালী।
যেসব ঔষধ এগুলির দেহে প্রবেশ করানো হয়...কোন ঔষধের কথা বলতে চাইছেন স্পস্ট বুঝিনি। সাধারনত খাদ্যে বিভিন্ন সিনথেটিক প্রোটিন, এনজাইম মেশানো হয়। সেগুলোর মানব শরীরের উপর আহামরি বিরুপ কোন প্রতিক্কয়ার কথা শুনিনি।তবে মুরগীর রোগ প্রতিরোধ আর প্রতিকার করতে আ্যন্টিবায়েটিক ব্যাবহার করা হয় যার প্রভাব মানব শরীরে পরতে পারে। উন্নত দেশে আ্যন্টিবায়েটিক ব্যাবহার নিষিদ্ধ করা হইছে। আমাদের দেশে এই আ্যন্টিবায়েটিক কিন্তু শুধু ব্রয়লার মুরগীর খাদ্যে ই মেশানো হয় না, গরুর খাদ্য, মাছের খাদ্যে ও মিশানো হয়। আমাদের দেশে অপরিকল্পিত খামার হওয়ায় মুরগীর রোগ বালাই লেগে ই থাকে, তাই রিস্ক এরাতে ই এই আগাম আ্যন্টিবায়েটিক এর প্রয়োগ।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

শারলিন বলেছেন: লেখক কে ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখা দেওয়ার জন্য।
দেশী মুরগী খাওয়ার স্বাদ ও সাধ্য কোনটাই আমার নেই। কারন দেশী মুরগীতে হাড্ডি এত বেশী থাকে যে এ জিনিস খাইয়া আমি ঠিক মাংসের স্বাদ পাইনা। আর মধ্যবিত্ত বলে এই জিনিস এত টাকা দিয়ে কিনে খাওয়ার কোন যোক্তিকতাও খুজে পাই না। তাই ফার্মের মুরগী রান চিবাতে চিবাতে মুরগীর আসল স্বাদ নেই।
এবার আসি যারা ড্রেসিং আর হাইজিন নিয়ে যারা মন্তব্য করেছেন তাদের কাছে। মুরগী কেনার সময় তিনটা টেকনিক ফলো করলেই আপনিও পেতে পারেন আসল মুরগীর স্বাদ। আমি এগুলো ফলো করি।
১। জবাই করে ওদের পাত্রে না রেখে আলাদা রাখতে বলুন।
২।দোকানদারকে মুরগীটা মেশিনে ড্রেসিং না করে হাতে ছিলে দিতে বলুন।
৩। সবশেষে মুরগীটা ওদের পানি দিয়ে না ধুয়ে সরাসরি প্যাকেট করে দিতে বলুন।
এই তিনটা টেকনিক ফলো করলে আপনাকে গোবর গু মেশানো পানিতে সেদ্ধ করা মুরগী খেতে হবেন। আপনিও দেশী মুরগীর লাহান ফ্রেশ মুরগী খেতে পারবেন।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:০৯

অলিসাগর বলেছেন: ধন্যবাদ এত কস্ট করে লিখা টা পরবার জন্যে আর নতুন উপায়ে ড্রেসিং সমস্যার সমাধান করায় । আমার লিখায় প্রচুর বানান ভুল আছে, লিখায়/টাইপিং এ আমি বরাবর ই কাচা।কাল রাতে ঘুম আসতেছিল না, তাই সময় কাটাতে কিছু টাইপ করলাম....।

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তথ্যবহুল সময়োপযোগী পোস্ট।

ধন্যবাদ ভাই অলিসাগর।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:১০

অলিসাগর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.