নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিকভ্রান্ত পথিক

দিকভ্রান্ত*পথিক

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে!

দিকভ্রান্ত*পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে বিদ্যমান কোটা ব্যাবস্থা ও আমার দৃষ্টিভঙ্গি।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

বাংলাদেশে পাঁচ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর/উপজাতিদের জন্য, প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ত্রিশ শতাংশ, নারী কোটা দশ শতাংশ এবং জেলা কোটা দশ শতাংশ। অর্থাৎ, কোটার জন্য বরাদ্দ আসন ৫৬ শতাংশ। বাকি থাকে ৪৪ শতাংশ, যা মেধাবীদের প্রাপ্য!





সাধারণভাবে যে কেউ বুঝতে পারবেন, আমাদের দেশে সরকারী হিসেব অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন দুই লক্ষাধিক। বলাই বাহুল্য তাদের অনেকে সন্তান-সন্ততি এই সুবিধাদি নেবারই অযোগ্য। এক প্রজন্ম হিসেব করলে সংখ্যাটা কয়েক লক্ষ হতে পারে সর্বোচ্চ, ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠীর সংখ্যাটি নেহায়েত নগন্য তবু তারা প্রমানিতভাবে সুবিধাবঞ্চিত। আর জেলা কোঠার বিষয়টি অসাড় ও অযৌক্তিক!



তার পরও, কোটা পদ্ধতির প্রয়োজন রয়েছে আমি মনে করি! কিন্তু আমার কথা একটাই, কোটায় আবেদনকারীরা কখনই যেখানে সীট পূর্ণ করতে পারছেন না, স্পষ্টতই % হিসেবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোটা দেয়া হয়েছে।



আবেগের বশে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ত্রিশ শতাংশ কোটা দেয়া হয়েছে বটে কিন্তু তার সুবিধা/লাভের গুঁড় অসহায় মুক্তিযোদ্ধারা কতোটুকু পান আর কতোটুকু অপচয় হয়ে মেধাবীদের জন্যে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় তা বিচারে একটু কমনসেন্সই যথেষ্ট।



বেশীরভাগ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটার সুবিধা দেবার যোগ্য করারও ক্ষমতা হয়নি, অভাবে পড়াশুনার বিষয়টিই বিলাসিতা হয়ে পড়ে অনেক সময়।



আর এক প্রজন্ম পরে মুক্তিযোদ্ধা জীবিত পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। সুতরাং এটা অবশ্যই কমে যাওয়া প্রয়োজন এবং প্রজন্মান্তরে চালু থাকা অবশ্যই যুক্তিহীন! আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও বলছি কারণ যা সঠিক তা সঠিকই। আর যেখানে এইচএসসি/এসএসসি তে নারীরা শ্রেয়তর ফলাফল করছে, সেখানে নারী কোটার বিষয়টি তাদের জন্যেই অপমানের- অবমাননার! এটা রাখার কোন ধরনের যুক্তি আমি খুঁজে পাই নি।



এবং, প্রতিবন্ধী কোটা বৃদ্ধি করার পক্ষে থাকবে আমার অবস্থান! কোন প্রতিবন্ধী যদি শিক্ষার ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে তাকে যেন কোনভাবেই বঞ্চিত হতে না হয়!!!



অতঃপর, সমাধান? কোটা পদ্ধতি তুলে নেয়া? উত্তর হবে, না!



যেহেতু প্রয়োজন এর অতিরিক্ত কোঠা প্রদান করা হয়েছে, যুক্তিযুক্ত সংখ্যা এখনই নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করা হোক!



এবং, তার সাথে সাথে নিয়ম করা হোক, কোটার প্রার্থী শেষ হবার পরে খালি থেকে যাওয়া আসনগুলো অবশ্যই মেধাবীদের মাঝে বন্টন করতে দিতে হবে!



কথাগুলো প্রযোজ্য হবে মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে উপজাতি, নারী সহ যে কোন কোঠার ক্ষেত্রে। আর হ্যাঁ, একটা কথা মনে রাখবেন, মুক্তিযোদ্ধারা কোটার জন্যে যুদ্ধ করেন নাই, দেশের জন্যে, মাটির জন্য করেছেন, তাই তাদের গালি দিয়ে যদি কিছু হাসিল করতে চান, তাহলে আপনি উন্মাদ বৈ কিছু নন। সুবিধা বঞ্চিতরাও কারো হাতে পায়ে ধরেনি কোটার জন্য। উপজাতি, প্রতিবন্ধী, সুবিধা বঞ্চিতরা কোটার দাবীদার বটে কিন্তু তা যেন মেধাবীদের জীবন গড়তে বাধা নয়ে না দাঁড়ায় সে দিকে সবারই দৃষ্টি দিতে হবে।





█ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █ █



পোস্ট না পড়ে/ অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য না করার অনুরোধ থাকবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: চোখ বুলিয়ে গেলাম! বড় একটি কমেন্ট করছি একটু পরে এসেই!

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: ভাই, আমি এতো কিছু বুঝি না
আমার কথা কোটা বাতিল করতেই হবে.।
নইলে আমার মতো মেধাবিরা কি করবে?
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের সম্মান অবশ্যই করতে হবে, তাই বলে আমাদের অবহেলা করে?
মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাকায় একটা করে ফ্লাট দিক, মাস মাস ৫০০০ টাকা দিক, আমার আপত্তি নাই, কিন্তু তাই বলে দেশের মেধাবিদের মেধার অবমূল্যায়ন করে কেন তাদের এই সম্মান?????????????????????????????????????????

সরকার যা খুশি করুক, কিন্তু আমাদের মতো সাধারন ছাত্রদের মেধার উপরে কেন এই হস্তক্ষেপ?
তাদের যদি জজ্ঞতা থাকে তবে তারা কম্পিটিশন করুক না কেন আমাদের সাথে???????????????????????????????
এমনিতেও ভার্সিটি তে যখন ভর্তি হই তখনও কিন্তু এই কোটা এর জন্য তাদের কিছু সিট ছেড়ে দিছিলাম।
তাদের তো একবার করে চান্স দিছিলাম, তবে এখন আবার কেন???????????????????
সো, আমার কথা, কোটা বন্ধ করতেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.