নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিকভ্রান্ত পথিক

দিকভ্রান্ত*পথিক

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে!

দিকভ্রান্ত*পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

♣♣ ছোট গল্পঃ প্রাণবন্ত জলরঙ ♣♣

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২





ল্যাপটপ সামনে রেখে মেয়েটি বসে রয়েছে পড়ার টেবিলে। সামনের জানালাটা হাট করে খোলা। একটু হেলে রয়েছে স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে। তার মসৃণ ঘন কালো অবাধ্য চুলগুলো বাতাসে দুলছে মৃদু। তবে ঠিক ঠাহর করা যায় না, জানালা দিয়ে আসা বাতাসে নাকি ফ্যানের বাতাসে উড়ছে চুলগুলো। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে বটে, কিন্তু কিছু দেখছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না। আঙ্গুলগুলো কীবোর্ডময় নড়েচড়ে বেরোচ্ছে কিন্তু কোথাও চাপ দিচ্ছে না, লিখতে চেয়েও কি এক সংকোচের বাঁধনে তারা যেন আবদ্ধ! ওয়ার্ড ফাইলটা মিনিমাইজ করে ফেসবুকে লগ ইন করলো অরিত্রা। খুব অভ্যস্ত হাতে সার্চ অপশনে একটি পরিচিত নাম লিখলো। নাহ! পেলো না আজকেও। প্রতিদিনের মতোই এ নামে কোন আইডি খুঁজে পেলো না সার্চ ইঞ্জিন। ডিলেট করে আবারও লিখে সার্চ দিলো, ফলাফল অপরিবর্তনীয়, তবু প্রতিবার তাকানোতে একটু আশার বাড়তি আলো অযথাই মেয়েটার চোখে ঝিলিক দিয়ে যায়। অর্থহীন এই আলোটা অরিত্রা মনের মাঝেও অনুভব করতে পারে। তবে সেকেন্ডেই তা দপ করে নিভে যায়, সেখানে যায়গা নেয় হতাশা। ফোঁস করে একটা শ্বাস নিয়ে উঠে পড়লো ও, ল্যাপটপ স্ক্রীন নামিয়ে রেখে ওটার দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে জানালাটার পাশে এসে দাঁড়ালো। পর্দাটা আরও একটু মেলে দিয়ে বিকেলটা দেখছিল আনমনেই।





এটা শুধু আজকের ঘটনা নয়, বিগত ক’ সপ্তাহ ধরে মেয়েটির কমবেশী এমনই কাটছে বিকেলগুলো। চুপচাপ একা মানুষটা আরও একটু বেশী চুপচাপ, একা হয়ে পড়েছে যেন। অকারনেই বিষণ্ণতাগুলো আরেকটু বিষণ্ণ ধূসর বর্ণ ধারন করেছে। সাদা পর্দা নাড়িয়ে দিয়ে আসা বাতাসগুলো ঘরময় মুক্ত নেচে বেরোচ্ছে! যেন তার মন খারাপকে উপহাস করছে তার সব উচ্ছলতা দিয়ে। একদৃষ্টিতে বাহিরের সবুজের বিস্তৃতি আর একটু দূরে পথের নাগরিক ব্যাস্ততার দিকে তাকিয়ে রয়েছে সে, এখন নিশ্চিত করেই বলা যায়, মৃদু বাতাসাটাই তার চুল নাড়িয়ে দেবার জন্য দায়ী। কিছু চুল মুখের উপর এসে পড়ছে কিন্তু সরিয়ে দেবার কোন আগ্রহ দেখা গেলো না ওর মাঝে। ওর চোখদুটো এখন কেউ দেখছে না এই পৃথিবীর, যদি দেখতো হয়ত বুঝতে পারতো ও কিছুই দেখছে না, শুধু তাকিয়ে আছে, আর চোখদুটো ঈষৎ আর্দ্র।





হঠাতই সৎবিত ফিরে পাবার মতো একটু চমকে ধীরে ধীরে ঘুরে তাকালো অরিত্রা। টেবিলের কোনায় পড়ে থাকা খয়েরী চামড়ায় মোড়ানো ব্যাক্তিগত ডায়েরীটা চোখে পড়লো। মাসখানেক হাত দেয়া হয় নি প্রতিদিন যত্ন করে দিনলিপি লিখে রাখার ডায়েরীটাতে। হাতে নিয়ে পাতাগুলো উল্টাতে থাকলো। লেখাগুলোর দিকে তাকালে যে কেউ বলতে পারবে ধীরে ধীরে দুঃখ পেয়ে বসেছে এর মালিককে। তারপরে হঠাত কিছু নেই! ঠিক এক মাস আগের লেখাটি রয়ে গেছে, তার পরে শুধুই শুন্যতা.. একমাস আগের লেখাটি পড়তে গিয়েও থেমে গেলো অরিত্রা। কী হবে পড়ে! শুধু শুধু ব্যাথাগুলোকে বাড়ানোর মানে হয়! তবে কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে ওর। তারিখ দিয়ে লিখতে শুরু করলো অরিত্রা, ‘গল্পটা লিখতে বসে আজও পারলাম না। আমি লিখতে বসেছিলাম, সত্যিই ফাঁকি দেই নি এতোটুকু। চেষ্টা করেছি শব্দের পরে শব্দের মালা গাঁথতে কিন্তু অবুঝ হাত আমার মানেনি কথা! ঘটনা জানা ছিল, কাল পাত্র সব ছিল হাতের মুঠোয় তবু কি এক অদৃশ্য শক্তি রোধ করেছে সব চিন্তা আমার। আমি লিখতে পারিনি সেই প্রতিটি শব্দ যা আমার ঠোঁটের কোনে নিঃশব্দে প্রতি মুহূর্তে উচ্চারিত হতে থাকে! ওরা যেন অভিশপ্ত! আমাতে থেকেও আমার সাথেই বিদ্রোহে করে বসেছে, পারছিনা বশ করতে তাদের অবাধ্যতা! বরং ভীত হচ্ছি শব্দগুলোর দুঃসাহসে! হতাশ হচ্ছি, যেন আমাকে দিয়ে হবে না, যেমন হয় নি আরও অনেক কিছু। এ শব্দগুলোকে মনে হচ্ছে ধরে রাখতে পারবো না, যেমন পারি নি আরও অনেক কিছু। ওদের সাথেও যেন ঝগড়া হয়ে আড়ি হয়ে গেছে সেদিন, যেদিন আড়ি হয়েছে মনের কিছু আনন্দ-হাঁসির সাথে। না, সবটা আনন্দ-হাঁসি-কান্না অনুভূতির সাথে। সে দিনটা ভেজা ছিল, মনটা শুষ্ক। আজ বাহ্যিকতা আমায় আর ছোঁয় না, শুধু ভেতরে তাকাই, সেখানে যন্ত্রণা আর কান্না ছাড়া আর কিছু নেই। ওই বৃষ্টি যেন আমায় চিরআর্দ্র করে দিয়ে গেছে। এ চোখ শুকোবার নয়... না সে ক্ষত!’





অশ্রু ঝরছে অরিত্রার দু’চোখ বেয়ে। ডায়েরীর পাতায় কয়েক ফোঁটা পড়লো। আর লিখতে ইচ্ছে করছে না, বন্ধ করে রেখে দিলো ডায়েরীটা। দরজায় কেউ টোকা দিচ্ছে, সাড়া দিলো না অরিত্রা। বিগত একমাসে সে একটি শব্দও কাউকে বলে নি। কোন ফোন কলস না, এমন কি বাড়ির সবাইও জিজ্ঞেস করে ক্লান্ত হয়ে গেছে। ও কিছুই বলে নি কাউকে। শুধু মাঝে মাঝে ইচ্ছে হলে খেয়ে নেয় টেবিলে বসে। একা একা, আনমনে। বাকীটা সময় ঘরে আবদ্ধ করে রাখে নিজেকে। কি এক অজানা অভিমান পেয়ে বসেছে ওকে। কি এক ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করছে যেন প্রতিনয়ত। একটা গল্প লিখতে হবে ওকে, ওর গল্পই! তাড়নাটা প্রচণ্ড, কিন্তু বাঁধাটা প্রবলতর। হচ্ছেনা কিছুই। প্রতিদিন বসে থাকে ল্যাপটপের সামনে, শূন্য- অর্থহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, আঙ্গুলগুলো অসাড় হয়ে পড়ে ওর, একটি শব্দও যেন ও কোনদিন লিখতে পারবে না! এমন তো হবার কথা নয়! গল্পই তো তার জগত। সত্য-মিথ্যে-কল্পনা সব কথা, অনুভূতিগুলো যে গল্পেই প্রতিনিয়ত এঁকে এসেছে, তবে আজ নয় কেন? ওর ভেতরটা ফেটে যেতে চায় যেন। গল্পগুলো যেন ভেদ করে বেরিয়ে আসতে চায় প্রতিটি রোমকূপ হয়ে, তবু কালির বাঁধনে আবদ্ধ হতে এতো বিতৃষ্ণা কেন ওদের? ঘুম-স্বপ্ন সব হারিয়ে গেছে যেন হঠাতই।





ছেলেটাকে খুব ভালোবাসতো অরিত্রা। ভালোবাসা! হ্যাঁ এখানেই থমকে গেছে অরিত্রা। কিন্তু আজ তো তাকে ঘৃণা করার কথা প্রচণ্ড! ভালোবাসার মুল্য তো সে দেয় নি! সামান্য কথা দিয়ে যে রাখে না সে তো ভালোবাসার যোগ্যই না, সে বিশ্বাসভঙ্গ করেছে, প্রচণ্ড বাজেভাবে আঘাত দিয়েছে, তাকে ভুলে যেতেই হবে। অরিত্রা গল্প লিখতে পছন্দ করতো, করতো বলছি কারণ অনেকদিন সে লেখেনি কিছু। ছেলেটি মুগ্ধ ছিল সে সব সৃষ্টিতে! আর অরিত্রায়। ছেলেটার কাব্যময়তাও তাকে প্রচণ্ড টানতো। কি করে যেন দুজনে দুজনের অজান্তেই অনেকটা কাছে এসে পড়ে। এতো কাছে যেখান থেকে ফেরা দুস্কর। লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে আবারও ল্যাপটপের সামনে বসে পড়লো, জেদ চেপে গেছে, ও লিখবেই মনের কথাগুলো, ওগুলো নিভৃতে গুমরে কাঁদছে যে! আর কাঁদাচ্ছে ওকেও।





‘মানুষ মরে গেলে কোথায় চলে যায় বলতে পারো? যেখানেই যাক, হারিয়ে যায় এটুকু সত্য! আমি তোমাকে হারাতে চেয়েছি এ কথাটি সত্য নয়। এতো বেশী মিথ্যে যে আজ তার সামনে নিজেকেই অলীক, অবাস্তব, অপার্থিব মনে হচ্ছে। তোমাকে এতো বেশী ভালোবেসে ফেলেছি কখন বুঝতেই পারিনি। কি জানি, হয়ত ততটা ভালোই বাসিনি! আগে কখনও যে এ অনুভূতি আমায় ছোঁয় নি, তাই জানিনা তার স্পর্শের প্রতিক্রিয়া কি হওয়া উচিৎ। তোমার প্রতিটি শব্দ আমার মুগ্ধ করতো। তোমার মিষ্টতা, আমার সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা, আমার প্রতি যত্ন বিমোহিত করেছে প্রতি মুহূর্তে.........’





ব্যাকস্পেস দিয়ে পুরোটা কেটে দিলো অরিত্রা। হচ্ছেনা, যা লিখতে চাচ্ছে তা পারছে না লিখতে। আর ব্যর্থ শব্দের আস্তাকুড়ই ঠিকানা! উঠে পড়লো অরিত্রা। মানে হয় না এসবের! ডায়েরীটা আবার হাতে নিলো সে শেষ লেখা পাতাটার ভাঁজে কিছু একটা গোঁজা রয়েছে, অতোটা খেয়াল করলো না অরিত্রা। কলমটা সহ ওয়াশরুমে চলে গেলো সরাসরি। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখতে লাগলো। মুখখানা বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে, চোখের নীচে কালচে ভাবটা সুস্পষ্ট। অযত্নের ছাপগুলো থুঁতনি বেয়ে গলার কাছে গিয়ে কিছুটা কমতির দিকে। সৃষ্টিকর্তা অনেক যত্ন করে বানিয়েছেন বিধায় মেয়েটির স্বেচ্ছাচারিতা, অবহেলাও তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রাবল্য এতোটুকু কমতে দেন নি। খানিকটা ম্লান হয়ত হয়েছে, হলদে আলো তার শরীরের সমস্তটা ছুঁয়ে ঠিকড়ে বেরোন আলোচ্ছটা ছড়িয়ে দিচ্ছে চারপাশ। সোনালী শরীরটা তাকে পুলকিতই করতো, কিন্তু আজ করলো বিষণ্ণ! ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো অরিত্রা! তার খুব গাইতে ইচ্ছে করছে প্রিয় একটা গান, কিন্তু গলার মাঝে কষ্ট যেন দলা পাকিয়ে রয়েছে।





ডায়েরীটা নিয়ে বাথটাবের হিমশীতল পানিতে অরিত্রা নেমে পড়লো। ডায়েরীটা পাশে রেখে দুপাশে হাত ছড়িয়ে বুক পর্যন্ত ভাসিয়ে বসলো। প্রচণ্ড ঠান্ডা পানিতে ওর শরীরে কাঁটা দিতে লাগলো, থরথর করে কাপছে ওর ঠোঁট। কিছুক্ষন পর একটু সয়ে গেলো, এখন ভালোই লাগছে ওর। ডায়েরীটা আর কলম হাতে নিলো, কি লিখবে জানা নেই তবু ওর লিখতে ইচ্ছে করছে, গল্প ! ‘গল্প আর ঘটনা কি এক? গল্প লিখতে না পারলেও কি ঘটনা লেখা সম্ভব?’ আনমনে ভাবছে অরিত্রা। বাথটাবের এক পাশে ডায়েরীটা রেখে বুকে ভর দিয়ে পাতাগুলো ওলটাতে শুরু করলো, শেষ যেখানে লিখেছে সেখানেও একটা কলম রয়েছে মনে হচ্ছে, সেটা পাশে রেখে লিখতে শুরু করলো অরিত্রা, আবারও! ‘তোমাকে ডেকেছি, তুমি আসতে চেয়েও আসোনি! এক বছরের অপেক্ষা ছিল, এতো সহজে কি আর সে অপেক্ষাকে বঞ্ছিত হতে দিতে পারতাম? তোমার কি না কি সমস্যা হয়েছিল, আসতে পারো নি। ভেবেছিলাম এতো জঘন্যভাবে আমাকে ঘন্টার পর ঘন্টা অনিশ্চয়তার মাঝে রেখে অপেক্ষা করাবার জন্য তোমাকে কোনদিন ক্ষমা করতে পারবো না, ভেবেছিলাম পরিচয়ের পর থেকে একটি বছর অনলাইনে যে “শব্দ দুটির” সাথে ভালোবাসার “অভিনয়” করেছি, সে দুটো শুধুই শব্দ, পেছনের মানুষটা অস্তিত্বহীন! অলীক! শুভ্র, মেনে নিচ্ছি, তবু তুমি চলে যাও এ চাইনি, অন্তত মন থেকে না! তবুও তোমাকে চলে যেতে বলেছি, বলেছি আর কোনদিন দেখতে চাই না তোমার মুখ! এতো অভিমান কেন পুষে রেখেছিলে বলতে পারো? চলে যেতে বললেই চলে যেতে হবে? তুমি কি করে পারলে এভাবে চিরতরে হারিয়ে যেতে?’





শব্দ শুনে বুঝতে পারলো বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে! কতোদিন পরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। হু হু করে কেঁদে উঠলো অরিত্রা। অনেক হালকা লাগছে এখন। বোঝাটা যেন সরে গিয়েছে। শুভ্র অনেক কষ্ট পেয়েছিল, অরিত্রার প্রথমবারের মতো প্রচণ্ড রেগে যাওয়াটা ঠিক সামলে উঠতে পারেনি হয়ত। সে আর ফেরেনি। তাদের মাঝের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ফেসবুকটা ডিএকটিভ করে হারিয়ে গেলো শুভ্র। চিরতরে! ভোজবাজির মতো পূর্ণ জীবনটা শুন্য হয়ে গেলো অরিত্রার। শুভ্র কে অরিত্রার ঘৃণা করা উচিৎ ছিল, প্রচণ্ড ঘৃণা করা উচিৎ ছিল তার কাপুরুষতাকে, অযোগ্যতাকে। কিন্তু অরিত্রা পারেনি, প্রতিনিয়ত প্রবল হয়ে বসেছে তার স্মৃতি, ছন্দময়তা, কথার মিষ্টতা! ডায়েরীটা পাশে রাখতে গিয়ে অরিত্রা খেয়াল করলো, ডায়েরীর ভেতরে গুঁজে রাখা “কলমটা” আসলে একটা ছোট পেপার কাটার। হাতে নিয়ে পরখ করতে লাগলো। ডান হাতে পেপার কাটারটি ধরে বাম হাতের ধমনী-শিরা সহ নিখুঁত এবং গভীর একটা ক্ষত করলো। আশ্চর্য ভাবে কোন বোধ, বিকার কিছুই হচ্ছে না ওর! সমস্ত স্বত্বা যেন অবশ হয়ে গেছে। রক্তের প্রচণ্ড ধারা ছুটতে লাগলো। বাথটাবের পানিগুলো লাল রক্তে রক্তাক্ত হচ্ছে, আর অরিত্রা হচ্ছে চির শুদ্ধ! চোখ খোলা রেখে মাথাটা ডুবিয়ে ফেলল ও পানিতে। পানিতে পড়া হলদে আলোয় অপূর্ব একটা দৃশ্য দেখতে পেলো ও, রক্তকণা আলোর বিপরীতে জলের মাঝে বিস্তার লাভ করছে, একটু একটু করে গ্রাস করছে জলের রঙটা। জলের ক্যানভাসে রক্তের জলরঙে আঁকা ছবিটা দেখছে অরিত্রা এখন, সে খুব উপভোগ করছে রক্তের চিত্রকর্ম, নির্বাক বিস্ময়ে!





চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়। কিন্তু যে চলে যেতে চায় ফিরে না তাকাবার প্রতিজ্ঞা নিয়ে তার হয়ত অনেক কিছুই দেখা হয় না। অরিত্রাও হয়ত দেখতে পারবে না ঠিক সেই মুহূর্তে বেশ কিছুটা দূরে, অজানা এক ঠিকানায় বসে কেউ একজন তাকে প্রচণ্ড মিস করছিল... মনস্থ করছিল আজ অরিত্রার সাথে কথা না বললে সে আর বাঁচবে না! এই প্রশ্নগুলোর মীমাংসা কোনদিনই হয়ত হবে না, হয়ত হয়ে যাবে! কিন্তু তাতে বাথটাবের সেই জলরঙে আঁকা চিত্রকর্মের শিল্পীর আর কিছু যায় আসে না...

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শায়মা বলেছেন: সাংঘাতিক!!!


আর দারুন একটা অনুভুতির গল্প!!!

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপু কতো দিন পরে আমার ব্লগে কমেন্টাইলেন!

অনেক অনুপ্রানিত হলাম!! ধন্যবাদ নেবেন!! :)

ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশী হলাম।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
রাজনীতির ক্যাঁচালে না জড়িয়ে গল্পই লিখেন, এখানেই আপনি অনেক দুর যাবেন। অবশ্য রাজনীতির বর্তমান সংস্কৃতি পরিবর্তনও জরুরী, তবে তা নিশ্চয়ই ক্যাঁচাল করে নয়।

গল্পটি অনেক যত্ন করে দরদ দিয়ে লিখেছেন বোঝা যায়। নিবিড় অনুভূতির।
একসময় বসে টাইপোগুলো ঠিক করে দিবেন দয়া করে।

ভাল লাগল দিকভ্রান্ত।
ভাল থাকেন।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: মানুষ হিসেবে নিজেকে মুল্যায়ন করতে বসিনি আজ পর্যন্ত। তবু মনে হয় আমি অনেক এক্সপ্রেসিভ। রাজনীতি তেমন বুঝি এটা দাবী করবো না কিন্তু যেটুক লেখার চেষ্টা করি দেশপ্রেম থেকে, দেশের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু দেখলে হয়ত রিএক্ট করে ফেলি।

গল্প কবিতা মনের খোরাক, এসব ছাড়া একটু কঠিন আমার জন্য চলা। এদের সাথে আছি থাকবো, আপনারাও সাথে থাকবেন, উৎসাহ পাই আপনাদের লেখায় পেলে :) অনেক ধন্যবাদ লেখোয়াড় সাহেব আপনার সুপরামর্শের জন্য। অনুপ্রেরণা ও উপদেশগুলো সাদরে গ্রহন করলাম। :)

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

শিপু ভাই বলেছেন:
সুপার্ব!!! অসাধারন কাব্যময় লেখনী!!!
শব্দের ব্যবহার খুব ভাল । বানানে আরেকটু লক্ষ্য রাখতে হবে।

গল্পের শেষটায় একটু রহস্য রেখে দিলে ভাল হত মনে হয়। অরিত্রা কি করবে তা পাঠক ভেবে নিত!!!


যাও হোক, কেউ যেন অরিত্রার মত এরকম বোকামী না করে।

++++++++++++++++++

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৮

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শিপু ভাই আপনার সুন্দর কমেন্টটার জন্য! পরামর্শগুলো মনে রাখার চেষ্টা করবো।

আর অরিত্রাকে আমিও মারতে চাইনি, গল্পটাই ওদিকে চলে গেছে, আর তাই প্রকাশের আর লুকোছাপা করতে মন চায় নি।

কৃতজ্ঞতা সময় করে পড়ার জন্য। অনেক ভালো থাকুন ভাইয়া এই কামনা করি। :)

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: প্রথমত আমি দুটো কমেন্ট করবো। প্রথমটা লেখোয়ার বলে দিয়েছেন। আপনার গল্প লেখার হাত চমতকার! শুধু ধরে রাখাই কাজ! অনেকদুর যাবেন। :) শুভ কামনা।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যপাতা, কিন্তু আপনি আপনি ক্যান? :P :P

যাই হোক, অনেক ধন্যবাদ মতামত ও সময়ের জন্য :) :)

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: গল্পের কথঅ বলতে হলে বলবো সম্পুর্ণ বাহুল্যবর্জিত একটা লেখা। ছুঁয়ে যাওয়া লেখা। এবং মুগ্ধ হয়ে পড়লাম! প্লাস দিসি কিন্তু!

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: তোমার গল্পের মতো তো নয়ই অর্ধেকও সুন্দর নয়! :(

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

আমি সাজিদ বলেছেন: লিও ভাই, সেইমাপের গল্প হয়েছে।

অসাধারণ।রেশ কাটছে না।

মুগ্ধ।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ সময় করে পড়েছেন জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য, গ্লাড ইউ লাইকড ইট :)

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

ইখতামিন বলেছেন:
আমি আর কী বলবো :P
অনেক ভালো লেগেছে :)

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ইখতামিন ভাইয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, শুভকামনা রইলো নিরন্তর ভালো থাকুন :)

৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার লেখা ! লিখতে থাকুন নিয়মিত !! :):)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৫

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ জানাই তানভীর ভাই, নিরন্তর ভালো থাকুন এই শুভকামনা!

৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: অরিত্রা'র হীমশীতল বুকে বয়ে যাওয়া দমকা ঝড়ের প্রাণবন্ত জলরঙ ছবি এঁকেছেন । ইটালিক করে লেখার অংশটুকু স্রেফ অসাধারণ ।


চমৎকার গল্প । লেখোয়ার ভাই একটা বিষয়ে ইংগিত দিয়েছেন । একটা ঝড় যে আপনার বুকেও বয়ে যাচ্ছে তা বিগত কয়েকটি চমৎকার গল্প লেখার মাঝে বুঝতে পেরেছি । চেষ্টা চালিয়ে গেলে আরও চমৎকার কিছু লিখতে পারবেন, আর নিজের সৃষ্টিকে উপভোগ করতে পারবেন । তাই সকল সিদ্ধান্থীনতা ঝেড়ে দিয়ে নেমে পড়ুন ভাইয়া । পাঠকের মন্তব্যের উত্তর দিন, পাঠকের ভালোলাগাকে সম্মান করুন আর পাঠকের সামনে নিজেকে মেলে ধরুণ ।


শুভ কামনা :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: প্রথমে ধন্যবাদ সময় বের করে আমার লেখাটা পড়ার জন্য, আর দ্বিতীয়ত আপনার সুন্দর উপদেশগুলোর জন্য। কথাগুলো সামনে অনেক সাহায্য করবে :) লিখছি নিয়মিত, কেন লিখছি জানিনা, স্রেফ লিখছি, থেমে যাওয়া হয়স সম্ভব হবে না :)

অনেক অনেক ভালো থাকবেন ভাইয়া, শুভকামনা আপনার জন্য। :) :)

১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: শায়মা বলেছেন: সাংঘাতিক!!!


আর দারুন একটা অনুভুতির গল্প!!!

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অভি ভাইয়া, সময় নিয়ে পড়েছেন বলে কৃতজ্ঞতা জানাই :)

১১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়তে দারুণ লাগল।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন সময় করে পড়ার জন্য, ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম। :) :)

১২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: অসাধারন... অনুভুতি গুলো জীবন্ত যেনো!ভালো লাগল :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৮

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শুকনোপাতা আপু! ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশী হলাম :)

১৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১১

রিমন রনবীর বলেছেন: খাইছে!! ব্যাপক হইছে! চালাইয়া যান ব্রো... এত্তগুলা প্লাস রইল++ :) (আগে প্লাস দিয়া পরে কমেন্টাইছি ;) )

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: রিমন ভাই সময় করে পড়ে কমেন্টানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ! ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই। আর প্লাসায়িত করার জন্য সাফা'র হাজবেন্ড আপনাকে অনেক অনেক ধন্যপাতা দিয়েছে :) :)

১৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

কালোপরী বলেছেন: মন খারাপের একেকটা দিন নিকষ কালো মেঘলা লাগে
কেউ বোঝেনা এই আমাকে, আমারও যে একলা লাগে
মাঝে মাঝে বৃষ্টি দেখে হাত বাড়ানোর ইচ্ছে জাগে
ভেতর ভেতর যাই পুঁড়ে যাই, কেউ বোঝে না আমার আগে





চমৎকার বলব না, সে আমি বলতে পারি না।


শুধু বুকের ভেতর যেন একটা দাগ কেটে গেল। ধন্যবাদ :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:১২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনার অনেক সুন্দর শব্দে সাজানো মন্তব্যটির জন্য কৃতজ্ঞতা! :) :) :)

শুভকামনা রইলো, ভালো থাকুন নিরন্তর!!

১৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

ভূতাত্মা বলেছেন: "চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়। কিন্তু যে চলে যেতে চায় ফিরে না তাকাবার প্রতিজ্ঞা নিয়ে তার হয়ত অনেক কিছুই দেখা হয় না।"

+++++++++++ :(

কেন দিলাম জানেন? একই রকম অনুভূতি কাজ করে। :(

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:১৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে আপনার অনুভুতির সাথে আমার অনুভুতির একটা যোগাযোগ রয়েছে কোথাও!

১৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৭

সৌমিক জামান বলেছেন: কোথায় যেন একটা আদ্র আলতো করে ছোঁয়া দিয়ে গেল। শুধু বুঝতে পারলাম, এটা কোন শিহরণ। ভালো লিখেছ ভাই :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সৌমিক ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!!

১৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: আরে বাহ!

আপনি তো দারুন গল্প লিখেন!!

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপুনি সময় করে মন্তব্য করেছেন এ জন্য কৃতজ্ঞতা :) আর প্রশংসাটুকু নতমস্তকে গ্রহন করিলাম :) :)

১৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৫

সায়েদ রিয়াদ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন । কীপ ইট আপ !! :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৫

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রিয়াদ ভাই :)

১৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার। আমি তো জানতাম আপনি শুধু কবিতাই লিখেন, সুন্দর গল্পও যে লিখতে পারেন তা জানা ছিল না। এই ধরনের প্রচেষ্টা অবশ্যই সাধুবাদের দাবি রাখে।


আপনার এই পোষ্টে সবচেয়ে সুন্দর, মূল্যবান এবং আদর্শ কমেন্ট করেছেন লেখোয়াড় ভাই এবং মামুন ভাই। তারা যেন ঠিক আমার কথাটাই বলতে চেয়েছেন।

অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা কাভা ভাই সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আপনার মন্তব্যে উৎসাহবোধ করছি।

আমি মুলত আপনার লেখার একজন ভক্ত বিধায় আপনার কথাটুকু স্পেশাল। ভালো থাকবেন ভাইয়া, অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।

২০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৫

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: সে খুব উপভোগ করছে রক্তের চিত্রকর্ম, নির্বাক বিস্ময়ে! +++

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ মিসিরআলি ভাইয়া :)

২১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৪

সীমাবেস্ট বলেছেন: সাবলীল লেখা ভীষণ ভাল লাগলো ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সময় করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা সীমাবেস্ট :) :)

২২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৪

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প ভাইয়া
+++++++++++
অনেক ভালো লাগসে :)

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ রহস্যময়ী আপু! সময় করে পড়েছেন, কমেন্ট করেছেন ও প্লাস দিয়েছেন এর প্রতিটির জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা! আসবেন আবারও ! ভালো থাকুন অনেক, শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।

২৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ভাল্লাগছে ভাই

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ভাইয়া কেমন আছেন? আসা যাওয়া তো ছেড়েই দিয়েছেন এদিকে! :) :)

২৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৮

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: বরাবরের মতই সুন্দর +++++

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সময় করে পড়েছেন বলে :)

অনেক ভালো থাকুন সর্বদা, নিরন্তর! শুভকামনা সঙ্গী হোক প্রতিক্ষনে। :)

২৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৩

বনলতা মুনিয়া বলেছেন: ভালোবাসা বেঁচে থাকুক :(

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হয় মরে যায়, নয়ত মেরে ফেলে। বেঁচে থেকে বাঁচিয়ে রাখার ঘটনা কিছুটা রেয়ার। :)

মুনিয়াপু শুভকামনা, ভালো থাকবেন :)

২৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:১৪

আরজু পনি বলেছেন:

ইসসস !

শুভ্র কে অরিত্রার ঘৃণা করা উচিৎ ছিল, প্রচণ্ড ঘৃণা করা উচিৎ ছিল তার কাপুরুষতাকে, অযোগ্যতাকে। কিন্তু অরিত্রা পারেনি..........


এতো সুন্দর, অসাধারণ যে লেখে, সে কেন নিয়মিত গল্প লেখে না ?!

কষ্ট লাগছে চাপ চাপ !

আমি কয়েকদিন হলো নিয়মিত অনুসারিত ব্লগ দেখি, তাই আপনাকে অনুসারিততে নিলাম, গল্প পড়ার আশায়...

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপু, আপনার মতো একজন সুলেখিকা, আমি কিনা যার ভক্ত! তার এমন প্রশংসায় অনেক খুশী যেমন হয়েছি, বেশ লজ্জাও পেয়েছি। আমি সীমাবদ্ধতা অনুভব করি তাই কবিতা চেষ্টা করি। শব্দের সীমাবদ্ধতা, কল্পনা শক্তির সীমাবদ্ধতার অনুভূতি নিয়মিত গল্প লেখার ইচ্ছেটাকে দমন করে হয়ত! তবে আপনাদের অনুপ্রেরণার কারণেই চেষ্টা করে যাবো। :)

আপনার অনুসারিত ব্লগের তালিকায় সব গুনী মানুষের বাস, আমার মতো সামান্য একজনকে সেখানে যায়গা দেয়াতে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। :) অনেক ভালো থাকুন, নিরন্তর শুভকামনা আপনার সাথে থাকবে।

২৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

চলতি নিয়ম বলেছেন: অসাধারণ। পোস্টে +

জুনিয়র আহমেদ এর জন্য শুভকামনা।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: জুনিয়র আহমেদ? হা হা হা

ভাইয়া, কৃতজ্ঞতা নেবেন, সময় করে পড়েছেন অনেক খুশী হয়েছি। এখন আর আপনাকে নিয়মিত দেখিনা, ব্যাস্ততা যাচ্ছে বুঝি? :)

২৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: দূর্দান্ত !

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তানভীর ভাই, সময় করে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা!

২৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: onek valo legeche! valo golpo likhte para manush gulo k amar onek ersha hoy!! B:-/ B:-/

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সোনিয়া আপু অনেক ধন্যবাদ! ঈর্ষা করা আপনার কম্মো নয় কারণ আপনার মতো ভালো লিখতে এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দেবার আছে আমার। তবুও কাছাকাছি যেতে পারবো কিনা জানিনা। অনেক ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি।

৩০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

শহুরে কাউয়া বলেছেন:

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কান্দেন ক্যান!?

৩১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

শহুরে কাউয়া বলেছেন: ও মোর অরিত্রা রে এ এ এ এ এ এ.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।। :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :((

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমারও অবশ্য খারাপ লেগেছে :( ;( :( :( :(

৩২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: ভালো লাগছে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্রো! :)

৩৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

একজন আরমান বলেছেন:
অরিত্রাও হয়ত দেখতে পারবে না ঠিক সেই মুহূর্তে বেশ কিছুটা দূরে, অজানা এক ঠিকানায় বসে কেউ একজন তাকে প্রচণ্ড মিস করছিল... মনস্থ করছিল আজ অরিত্রার সাথে কথা না বললে সে আর বাঁচবে না! এই প্রশ্নগুলোর মীমাংসা কোনদিনই হয়ত হবে না, হয়ত হয়ে যাবে!

শেষটা শেষের মতোই হয়েছে।

আর ডায়েরিতে লেখা প্রথম কথাগুলো চমৎকার।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: গল্পটা লেখা শেষে মাঝে কদিন ব্লগে কম আসা হচ্ছিল, অনেক দেরীতে হলেও তাই উত্তর দিচ্ছি, ধন্যবাদ জানবেন আরমান ভাই, থ্যাংকস সময় করে পড়ার জন্য!

৩৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ডায়েরীর লেখা ইটালিক অংশগুলো সুন্দর !
ভালো লেগেছে লেখার সাবলীলতা !

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

৩৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ++++++

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ তন্ময় ভাই। :)

৩৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

এক্সপেরিয়া বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর হৈছে....
আস্তে আস্তে ছোট গল্পের ভক্ত হয়ে যাচ্ছি....

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ নেবেন :)

৩৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫০

নিয়েল হিমু বলেছেন: ছোট্ট একটা miss take করছি ভাই । যেটা inbox এ আমি ক্লিয়ার করতেছি ।
যাই হোক


ভাল লাগায় ছুয়ে গেছে । অরিত্রার প্রতি মায়া জন্মাতে পেরেছো পাঠকের মনে ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: :)

৩৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৮

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা গল্প।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস :) :)

৩৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: কিছু কিছু গল্প পরে ভয়ানক ভাল লাগে । এটা ওগুলোর মতই। আসলেই ভয়ানক ভাল লেগেছে গল্পটা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.