নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিকভ্রান্ত পথিক

দিকভ্রান্ত*পথিক

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে!

দিকভ্রান্ত*পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্যরি ঐশী, সবার জন্য সবকিছুর সংজ্ঞা এক হয় না হয়ত! (সুইসাইড নোটটি)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

তোমার অপরাধের হয়ত ক্ষমা নেই, ক্ষমা কেউ করবে না, আমিও না। তবু উদ্দেশ্য ও ঠিকানা বিহীন মনের কথাগুলো পড়া শেষে তোমার কাছে স্যরিও চাওয়ার ছিল!





প্রিয়,



আমি জানি না এই চিঠি আমি কাকে লিখছি। তারপরও কাউকে না কাউকে কিছু একটা বলতে খুব ইচ্ছে করছে। আমি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আরো কঠিন মনে হচ্ছে। বুক ভেঙে যাচ্ছে। আত্মহত্যার কারণ আমি কাউকে বলতে চাইছি না। একজনের দুঃখ সাধারণত আরেকজন কখনোই মন থেকে বুঝতে পারে না। আমার আত্মহত্যার কারণ তোমার কাছে খুবই অপ্রয়োজনীয় ও হাস্যকর মনে হতে পারে। সুতরাং সেই ঝামেলায়ই গেলাম না। আমার এই চিঠিটাকে সুইসাইডাল নোট বলা যেতে পারে। তুমি নিশ্চয় অবাক হচ্ছো, জীবনের শেষ কথাগুলো আমার আত্মীয়-স্বজন, বাবা-মাকে না জানিয়ে কোনো অপরিচিত কাউকে কেন জানাচ্ছি! তারা কোনোদিনও আমাকে বুঝতে পারেনি। আমার অনেক খারাপ দিক আছে- সেই খারাপ দিকগুলো চালাকি করে বুঝে ফেলা ছাড়া ভালো দিকগুলো কখনোই তারা বোঝার চেষ্টা করেছে কি-না সন্দেহ!

আমার এই চিঠিটি তাদের দেখাতে লজ্জা এবং ঘৃণা লাগে। কারো প্রতি আমার কোনো রাগ নেই। মানুষকে দোষ দিয়ে কী লাভ বলো! প্রত্যেকেরই তো নিজস্ব চিন্তাধারা, আশা থাকে। প্রত্যেকেই চায় তার ইচ্ছা পূরণ হোক। শুধু যেটা বুঝতে পারে না অন্য মানুষের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে। আনন্দের একটি নির্দিষ্ট কারণও থাকতে পারে। আমি জানি তারা আমাকে অনেক ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন তোলার বা দোষ ধরার ইচ্ছা, রাগ, শক্তি কোনোটাই আমার এখন আর নেই। শুধু একটাই আফসোস থেকে গেল- জীবনে অনেক স্বপ্ন ছিলো কোনোটাই পূরণ করতে পারলাম না। এ পৃথিবীর মানুষ সবাইকে বুকের মাঝে নিয়ে যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলাম সবই কেমন যেন ধুয়ে-মুছে গেল, সব শেষ। আচ্ছা সব কিছু এমন হয়ে গেল কেন, বলোতো?



ভাইয়া/আপু

আমিতো মানুষকে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম! পৃথিবীকে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম! মানুষের হাসি-কান্না, আনন্দ ভালো লাগা, অনুভূতি, প্রেম, সবচেয়ে বড় কথা- মানুষকে ভালোবাসা। পৃথিবীর নানা জায়গার সৃষ্টি এতো সুন্দর যে বেহেস্তকেও যেন হার মানায়। কেন শেষ পর্যন্ত এখানে বাস করে যেতে পারলাম না! কেন এসব উপভোগ করে যেতে পারলাম না শেষ সময় পর্যন্ত! আমি জানি, এর উত্তর একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া আর কারো কাছে নেই। হয়তো বা ঈশ্বরের কাছেও নেই! আমি সবসময় শুনে আসছি, তুমি যদি মন দিয়ে কোনো কিছু চেয়ে থাকো তবে অবশ্যই তা পাবে। আমার স্বপ্ন আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো আমি কী মন দিয়ে চাইনি! শুধু মন দিয়ে চাওয়া এই স্বপ্নগুলো পূরণ করার জন্য কত কষ্টই না করলাম। মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে। শারীরিক কষ্টটা হয়ত অন্যের দৃষ্টিতে এত বেশি হবে না। আমার জন্য তা অনেক ছিলো। আহ, ওহ, মানসিক কষ্টের কথা বলতে গিয়ে আমার হাত কাঁপছে। একটা সময় ছিলো, এমন কোনোদিন যেত না যে আমি কাঁদতাম না। জীবনের দুইটা বছর নষ্ট হয়ে গেল। দুইটা বছর একা একা কাটালাম। এ দুইটা বছর যে কিসের ভিতর দিয়ে গিয়েছি, আমি আর ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ জানে না। হাজার কষ্টের মধ্যেও একটা জিনিস চিন্তা করে স্বস্তি পেতাম। অন্তত আর কেউ না থাকুক ঈশ্বর আমার পাশে থাকবে। আর কেউ না বুঝুক অন্তত উনি আমার কষ্টটা বুঝবেন। আমি এখনো জানি তিনি আমার পাশে আছেন। যা হোক এসব কথাবার্তা



বলা এখন অর্থহীন। মনের ভিতর এক অজানা উল্লাস হচ্ছে। কেন জানি মনে হচ্ছে, মৃত্যুর পর আমার পছন্দের জায়গায় চলে যাব। জায়গাটা পৃথিবীর মতোই হবে। কিন্তু এই পৃথিবীতে আমার স্বপ্নগুলো এখনো পূরণ হয়নি। যেগুলো পূরণ করতে হবে। মানুষ কেমন আজব প্রাণী তাই না! আশা (হোপ) মানুষ ছাড়তে পারে না। মরতেও চাই আশা নিয়ে। আমি জানি না মৃত্যুর পর কী হবে! দেখা যাক কী হয়! আসলে হয়তো মৃত্যুর পরের জীবন বলতে কিছুই নেই! শুধুই মাটির সঙ্গে মিশে যাবো। তাহলে তো সবই শেষ। যা হোক, মৃত্যুর পর যদি কিছু নাও পাই এই পৃথিবীতে যতটুকু সময় কাটিয়েছি, আমার এ ছোট্ট জীবন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তুমি হয়তো বা মনে করতে পারো, এ পৃথিবীতে এসে তো কিছুদিন পর আত্মহত্যাই করলাম। সময় নিশ্চয় ইহকালে ভালো কাটেনি, তাহলে কৃতজ্ঞ হওয়ার কী আছে? ন্যাকামির আর জায়গা পাই না! কি জানি!





ভাইয়া/আপু,



কেন জানি ভালো লাগে। পৃথিবীতে এসে অনেক কষ্ট পেয়েছি ঠিকই, সবচেয়ে বড় কষ্টটা হলো আশা শেষ হয়ে যাওয়ার কষ্ট। তীব্র হতাশা মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ার কষ্ট। মানুষ কি আশা ছাড়া বাঁচতে পারে বলো, এই একটা জিনিসই তো আছে! যা কি-না বহুদিন পর্যন্ত আঁকড়ে ধরে রাখা যায়। কিন্তু আমি যদি বলি পৃথিবীতে আমার জীবনের সময়গুলোতে কোনো সুখ স্মৃতি নেই- তাহলে তো মিথ্যা বলা হবে। কত ভালো, কত আনন্দ, কত কি-ই না আছে! কত সুন্দর মানুষের হাসি, সেই সুখগুলো, কোনো ছেলেকে প্রথম ভালো লাগা- সেই অনুভূতিগুলো। পছন্দের আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের সাথে জমিয়ে আড্ডা দেয়ার সেই সময়গুলো, পৃথিবীর ইতিহাস পড়ে, সুন্দর জায়গার দৃশ্য দেখে অভিভূত হওয়ার সময়গুলো….কত কি-ই না আবিষ্কার করলাম! পৃথিবীর ব্যাপারে, মানুষের জীবনের ব্যাপারে। মানুষের জীবন সম্বন্ধে কত সুন্দর সুন্দর তথ্যই না জানলাম। এর থেকে সুন্দর জিনিস আর কি-ই বা হতে পারে! মানুষের তৈরি কত অদ্ভুত-চমত্কার জিনিসই না দেখার সৌভাগ্য হলো। ঈশ্বরের বিশাল ও তুলনাহীন সৃষ্টি দেখতে পারলাম। এই জায়গাটায় না আসলে এসব কীভাবে জানতাম! কীভাবে দেখতাম! মরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এখন সবকিছুই সহজ মনে হচ্ছে। এক ধরনের স্বস্তি বোধ করছি। সবচেয় বেশি স্বস্তি বোধ করছি জীবন যুদ্ধ আর আমাকে করতে হবে না।



জীবনযুদ্ধে হেরে গেলাম এই কথাটা আগে শুধু বইতে পড়তাম। তখন অনুভব করতে পারিনি, এখন বুঝতে পারছি জীবনযুদ্ধে হেরে যাওয়া আসলে কী জিনিস। আমি সব সময় শুনে এসেছি, যারা আত্মহত্যা করে তারা নাকি দোজখে যায়। জিনিসটা কেন জানি বিশ্বাস করতে পারি না। কারণ যে মানুষটা এখন স্বেচ্ছায় আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে, তার ভিতরে কী পরিমাণ হতাশা, কষ্ট, দুঃখ থাকলেই না জানি সে এমন একটা কিছু করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে! এই জায়গাটাকে আমরা কতই না ভালোবাসি। হাজার কষ্টের মধ্যেও লড়াই করে যাই শুধুমাত্র এই জায়গাটাতে টিকে থাকার জন্য, একটু সুখে থাকার জন্য। একটা মানুষের বুক কতটা ভেঙ্গে গেলে এই ধরনের, এই সাধের জীবন, পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে! তার বুক ভাঙ্গা কষ্টের কি কোনো দাম নেই। পৃথিবীর যেখানে আমরা এক টুকরো সুখের জন্য কত কিছুই না করি, এতো কষ্ট পাওয়ার পরও। ঈশ্বর কী এতোটাই পাষাণ! কি দোষ করেছিলাম আমি। জীবনের কথা না হয় বাদই দিলাম। আমি এমনকি খারাপ কাজ করেছিলাম যে, কোনো কিছুই সত্যি হতে দেখলাম না। মাঝখান দিয়ে জীবনে আরো যে যুদ্ধ করে যাব সেই উপায়টাও শেষ হয়ে গেল। ঈশ্বর বুঝি আসলেই পাষাণ।



লেখার মতো আরো অনেক কিছুই আছে। কিন্তু আর কিছুই লিখতে পারছি না। জ্বরের জন্য হাত কাঁপছে। শরীর জ্বলন্ত আগুনের মতো গরম। চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসছে। এখন যে কেউ একজন গায়ে হাত রাখবে এমন কেউ নাই। থেকেও যেন নাই। এই কথাটা সত্যি- মানুষ পৃথিবীতে আসে একা, চলেও যায় একা। হায়রে পৃথিবী! কত ভালোবাসার, কত সাধের! আমি ভাবব এক সময় পৃথিবী নামে আমার পরিচিত একটা ছেলে ছিলো!





ইতি, ঐশী/ডালিয়া

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২২

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: :|

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কি হইছে ব্রো? :(

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৩

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
সর‍্যি কেন?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: স্যরি কারন সমস্ত সিস্টেমের দ্বারা সে চরমভাবে সাফারড! সে একজন অপরাধী এবং একজন ভুক্তভোগী। অপরাধের জন্য সমালোচনা ও তিরস্কার যেমন তার প্রাপ্য তেমনি সে যে সবের ভেতর দিয়ে গেছে তা ভাবলে সমালোচনাটুকুত জন্যই ক্ষমা চাইতে ইচ্ছে হয়!

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:০৮

মেলবোর্ন বলেছেন: চিড়িয়া খানার খাচায় (ফ্যাটে) মানুষ পাললে সেইটা তো আমানুষই হইবো মানুষ হইতে হইলে যে মুক্ত চিন্তার সাথে মুক্ত বাতাস খাইতে হয় সেইটা আমরা ভুলে গেছি। পোলাপাইন খেলতে পারেনা তো কি আর করা ডোরেমন থেকে শুরু ইয়াবাতে/মদ গাজাতে গুরু আর স্টার প্লাসে মানবিকতার কবর রচিত হয়, মানুষ আর হয়ে উঠা সম্ভব হয় না।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: এটা কিন্তু একটা কথার মতো কথা বলছেন! চার দেয়ালের মাঝে জীবন নেই! ওরা ওখানে বাঁচতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৪৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: সবকিছুর পরেও ক্ষমা করা কঠিন এই মানষিকতাকে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ক্ষমা তো করতে বলছি না। আমাদের অপরাধটুকু দেখতে বলছি, ঘুণধরা সমাজটার দিকে তাকাতে বলছি। ঐশীরা এসবেরই আউটপুট।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: আমি মনে করি ঐশী মানুষিক ভাবে ভারসাম্যহীন ! আগে তার চিকিৎসার দরকার , তার পর নাহয় বিচার বা রিমান্ডে নেওয়া যেতে পারে ।

ঐশী তার সুইসাইড নোটে লিখেছে সে ২ বছর ধরে সম্পূর্ণ একা !!! তাহলে সে রঙ্গি দুনিয়া কিভাবে এতো রং ছড়াল !! তার সুইসাইড নোট পড়লে তো মনে হয় সে দুই বছর বন্দী জীবন কাটিয়েছে ! তাহলে কেমতে কি :( কোন চক্রান্তের স্বীকার নয় তো সে !!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: তার অবশ্যই হেল্প দরকার। :(

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২১

মামুন রশিদ বলেছেন: সুইসাইড নোট পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল । এখানে ভাবার মত অনেক কিছু আগে । আমাদের পারিবারিক বন্ধন এবং সামাজিক ব্যবস্থার গলদগুলো বের করা দরকার, যেন পরিবার বা সমাজ থেকে অপরাধী তৈরি না হয় ।


শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ ভাইডি ।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। এটা শেয়ারের কারন হচ্ছে ব্যক্তি জীবনে হতাশ মানুষদের সাবধান করা :(

আর সমাজ! যদি পারতাম!!

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১০

ফয়সাল আহেমদ বলেছেন: You will never sign beauty if you kill yourself...! your destination is Jahannam... Read the definition and after effect of Suicide. May Allah give you right path.

however, I think moderator should delete this note immediately... this kind of letter may encourse others even...

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সচেতনতার প্রয়োজনটুকুও বোধ করছেন না?

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুর্ভাগ্যজনক। এর প্রভাব গিয়ে পড়বে নিরীহ এবং নির্দোষ কিছু শিশুর ওপর। স্যাড :(

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সত্যিই তাই, এটাই অবশ্য কষ্টকর দিক সবচে।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১১

আছাদ মাসুম বলেছেন: দেশ থেকে ইয়াবাসহ মাদক দ্রব্য প্রতিহত করার জন্য দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কঠোর না হলে এ সমস্যা কোন দিনই দূর হবে না। নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারার সামিল হবে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: খারাপ বলেন নি, কিন্তু আমরা মনে হয় এক পাশ ভাবতে পারছি কারন অটাই দেখছি শুধু :(

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কিছু বলার নেই ! ব্যাপার টা খুবই ভাবার মত !

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: এবং দুঃখজনক।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৩

ফাহিম আহমদ বলেছেন: মা বাবার হত্যা কারিকে আদর দেখিয়েন না মিয়া ভাই

আপরাধীকে ছাড় দেয়া ও আপরাধ

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ছাড় দেবার কথা হচ্ছে না। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত একটা মাইনরের মনের কথাগুলো অবশ্যই আমলে নিতে হবে!

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০১

কামরুল হাসান জনি বলেছেন: এই ঘটনা থেকে আমাদের সবার চরম শিক্ষা নিতে হবে। বাংলাদেশের অভিবাবক এবং সন্তানদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনার সাথে সহমত :)

১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: :( দুঃখজনক একটা ব্যাপার!

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হুমম :( :(

১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৩

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: ঐশীর নামে চালিয়ে দেওয়া এই সুইসাইড নোটিটি ভুয়া- অন্য কেউ লিখে দিয়েছে, কোন উদ্দেশ্য আছে নিশ্চয়। এই লিঙ্কটি পড়লে বিষয়টা সকলের কাছে পরিষ্কার হবে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: স্যরি ভাই ফ্যাক্ট সামনে না এলে এটা কনফার্ম নিতে পারছিনা!

১৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৫

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: কিছুই বলার নেই। :( :(

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হুম!!

১৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২৮

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আপনি কি খবরে পড়েছেন, খুনের একদিন অথবা দুইদিন আগে সে বাবা মাকে বলেছে যে সে ভাল হয়ে যাবে। সেটা শুনে তার বাবা তাকে রমনা পার্কে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল। তার বাবা মার তার প্রতি ভালবাসার অভাব ছিল না। তার মা মেয়ের কথা শুনে মেয়েকে বাইরেও যেতে দিয়েছিল।

এইসব নোট অনেকেই লেখে। আমি নিজেও লিখেছি আগে, যখন আমি হয়ত ঐশীর চেয়েও ছোট ছিলাম। সেটা কোন সুইসাইড নোট ছিল না, কিন্তু সেটা আমি নিজেই এখন পড়লে আমার কাছে মায়া লাগবে, যে কারো কাছেই লাগবে। কিন্তু আমি এখন বলতে পারি, আমার বাবা মা আমাকে সর্বোচ্চ ভালবেসেছে সব সময়।

বলতে পারি সে মাদকাসক্ত ছিল, কতগুলো বয়ফ্রেন্ড ছিল, আরো অনেক বিষয়ে যুক্ত ছিল, এসব বিষয় তার মস্তিষ্ক বিকৃত করে দিয়েছিল। আর খুনিরা বিকৃত হয়েই খুন করেন। এজন্য আমরা কি পরিস্থিতিতে পড়ে সে খুন করেছে এটা ভেবে মায়া দেখাই না। তার উপর সে খুন করেছে তার বাবা মাকে!

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমার পয়েন্টটা অবশ্য এমন ছিল না। ঐশী অপরাধ করেছে, তার শাস্তি সে হয়ত পাবেই, কিন্তু কেন করেছে? উই মাস্ট আস্ক দিস বিগ কোয়েশ্চেন! সে লোনলিনেসের চোটে অসুস্থ হয়ে গেছে, এডিক্টদের বাসায় আটকে রাখলে কোন সমাধান হয় না! এমন ভয়াবহ ভাবনা সে মানুষের অবস্থা থেকে করে নি বরং করেছে একজন এডিক্ট এর যায়গা থেকে। শি ওয়াজ নো বেটার দ্যেন আ ক্রেজি! তার আদর দরকার ছিল, বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাকে সঠিন পথে আনার কাজটা তার বাবা মা যে সঠিকভাবে করতে পারে নি এটা এডমিট করতেই হবে। ঐশী কোনদিক দিয়েই ভালো মানুষ নয়, কিন্তু নিজেদের শুধরাতে আমাদের চিন্তা করতেই হবে ঐশী কেন খারপা হয়ে গেলো! আমরা কি সবাই আমাদের পরিবার এর সাথে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করতে পারি? অনেকে হয়ত পারি কিন্তু এটা আমি নিশ্চিত ঐশী করে নি বা করতে পারে নি! এর দায় আমি কাকে দেবো??

১৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: একটা কথা আছে...

কোন মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে নিরপেক্ষ মতামত দিতে হলে বারো বছর পরে দিতে হয়, কারণ কেউ মারা গেলে সে যত বড় অপরাধী হোক না কেন তার প্রতি
স্বাভাবিক মমতা চলে আসে।


শাস্তিপ্রাপ্ত , অপ্রাপ্তবয়স্ক এদের ক্ষেত্রেও কথাটা সত্য।ঐশির প্রতি স্বাভাবিক একটা মমতা আপনার , আমার এসে যেতে পারে।তবে সেটা প্রশ্রয় দেয়া উচিত হবে না।


তবে, পৃথিবীতে সবাই নিষ্পাপ হয়ে আসে।পারিপার্শ্বিকতা তাকে বাধ্য করে অপরাধী হতে।ঐশীও পরিস্থিতির শিকার।


পৃথিবীটা এমনই । কঠিন , রুক্ষ আর নির্দয়।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: না ঐশীর প্রতি মমতা আমার জাগে নি, তাকে আমি ঘৃণা করি, তেমনি বলা আছে পাপকে ঘৃণা করো পাপীকে না। শী হ্যাজ ডান টেরিবল থিংস বাট উই মাস্ট থিংক হোয়াই শী ডিড দোজ!

এটা হতে পারে তারই উত্তর। এই পোষ্টে ঐশীর কোন উপকার হবে না, সে উদ্দেশ্যে পোস্টটি করাও নয়। বরং এখান থেকে আমাদের সমাজ, পরিবার নিয়ে অনেক কিছু শেখার আছে, সেটাই ছিল আমার উদ্দেশ্য।

পারিপার্শ্বিকতার কথা বললে পরিবারকেও কিছু এড়িয়ে যাওয়া চলে না বরং পরিবারই প্রথমে আসে।

১৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঐশীকে বা তার মতামত বা কর্মকাণ্ডকে সাপোর্ট করে তার প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টির চেষ্টা আমার কাছে অনৈতিক মনে হয়; এ দ্বারা এরূপ মানসিকতার সন্তানগণকে আরও প্ররোচিত করা হয় বলে আমি মনে করি।

আমি একজন বাবা। আবার আমারও বাবা আছেন কোনো একজন। ভাইবোনদের মধ্যেই আমরা দেখেছি সবাই সমান আদর ও সমান সুবিধাদি পেয়েও কেউ কেউ একটু বেশি বাড়াবাড়ি ও জেদ করে থাকে এবং বাকিদের উপর প্রভাব খাটিয়ে থাকে। কেউ খুব অল্পতেই তুষ্ট থেকেছি, কেউ অনেক বেশি পাওয়ার জন্য মা-বাবার সাথে কঠোর বাকবিতণ্ডা করেছে। আমি নিজে বাবা হয়েও সন্তানদের মধ্যে এরকম ভিন্নতা লক্ষ করি।

যে মেয়ে পকেট খরচ বাবদ প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা পেয়ে থাকে, তার এতো দুঃখ বা মনোকষ্ট কোথা থেকে আসে? সুখে থাকলে ভূতে কিলায়? ঐশীর খারাপ হওয়ার পেছনে বাবা-মা বা পরিবেশের প্রভাব দায়ী থাকতে পারে, কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ঐশীর বেপরোয়া জীবনযাপন ও স্বছেচ্ছাচারিতা এবং জেদী মনোভাবই তাকে ইয়াবার দিকে টেনে নিয়েছে বলে আমি মনে করি। ঐ বেয়াদবটা এটা মনে করে কেন যে ও যেটা ভাবে বা করতে চায় সেটাই ভালো? সন্তানের জন্য কোন্‌ কাজটা ভালো বা মন্দ তা তাদের মা-বাবারাই সবচেয়ে ভালো জানেন। সন্তানকে বিপথগামী হতে দেখলে মা-বাবাই তাদেরকে ফিরিয়ে আনবেন। এই ফিরিয়ে আনার জন্য যদি মা-বাবারা সন্তানের কাছে অপ্রিয় হয়ে ওঠনে, বা সন্তানের হাতে জীবন দিতে হয়, তার নিজেরই পৃথিবী ছেড়ে স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করি।

আমি জানি না সত্যিকারে কী ঘটনা ঘটেছিল, মা-বাবাকে হত্যা করার আসল কারণ কী ছিল। কিন্তু কোনো কিছু দ্বারাই ঐশীর প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টির চেষ্টা আমি সমর্থন করি না। সঠিক তদন্ত হোক, এবং দোষী সাব্যস্ত হলে ঐশীর সর্বোচ্চ শাস্তি হোক, যাতে এরূপ মানসিকতা পোষণকারী কুলাঙ্গার সন্তানেরা আরও অধঃপতনে যাওয়ার আগেই আলোর পথে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।

শুভ কামনা।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমি এক এক করে আমার ধারণা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। প্রতি প্যারা আপনার প্রতিটি প্যারার সাথে সামঞ্জস্য রেখে।

ঐশীর কর্মকান্ডকে সাপোর্ট করছি না, এটি মৌলিক কোন লেখা নয় বরং ঐশীর নিজের লেখা (যা জানা যায়), এটা পোস্ট করার পেছনে আমার উদ্দেশ্য ভিন্ন যা ধাপে ধাপে পরিষ্কার হবে আশা রাখি।

জেদ করার কথা বললেন যা অত্যন্ত সত্য মনে করি। কিন্তু এমন একটা সিচুয়েশন কল্পনা করুন তো যেখানে বাবা মা সব আবদার মিটিয়ে চলছে, এক সময় তারা আপনার খারাপ কিছু জেনে নিয়ে সব আবদার মেটানো বন্ধ করে দিলো? জলস্রোতে বাঁধ দিলে স্রোতের শক্তি কমে আসে না সে ভয়াবহ হয়ে বাধেই ধাক্কা দেয়, এটা প্রাকৃতিক নিয়ম।

ঐশীর খারাপ হওয়ার পেছনে বাবা-মা বা পরিবেশের প্রভাব দায়ী থাকতে পারে, কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ঐশীর বেপরোয়া জীবনযাপন ও স্বছেচ্ছাচারিতা এবং জেদী মনোভাবই তাকে ইয়াবার দিকে টেনে নিয়েছে বলে আমি মনে করি। শুধু এটুকু নিয়েই কথা বলতে আগ্রহী আমি, হ্যাঁ অবশ্যই মেয়েটির দোষ আছে, কিন্তু দুই বছর বাবা মা কিছুই জানতে পারে নি এটাতে বাবা মায়ের দায়টুকু কি ধরতে পারছেন? তারা থেকেছে কি মেয়েটির পাশে যথেষ্ট সময়? দিয়েছে তাকে যথেষ্ট সঙ্গ? স্কুল কলেজের টাইমটুকু বাদ দিয়ে মেয়ে কোথায় গিয়ে কি করছে, ইয়াবা খেয়ে কী এফেক্ট হচ্ছে বাবা মা বেমালুম দেখলো না? এটা তো তাদের কেয়ারলেসনেসরই পরিচয় নয় কি!? আর ফিরিয়ে আনার কথা যদি বলেন, ঘরে বন্দি করে রাখাটা অবশ্যই ভুল পদ্ধতি, তার কোন একটা হাসপাতালে বা নেশা থেকে মুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠানে থাকার কথা ছিল।

ঐশীর প্রতি সহানুভূতি চাই না, চাই সচেতনতা, সন্তানদের এবং বেশী গুরুত্বপূর্ণভাবে বাবা মায়ের মাঝে।

:) ধন্যবাদ !

১৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আচ্ছা, আরেকটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। সুইসাইড নোটটা ঐশীর লেখা নাও হতে পারে। ঐশী হতাশাগ্রস্থ হয়ে সুইসাইড করতে চেয়েছিল, এ তথ্যটা ঐশীর বা ওর সাথে যারা জড়িত বা অন্য কোনো স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বানোয়াট কূটচাল হতে পারে। এমনও হতে পারে, মা-বাবাকে খুন করার পর ঐশীর মনে ভয় ঢুকে যায়, নিজের জন্য একটা ডিফেন্স তৈরির মতলবে ঐশী নিজেই এটা লিখে থাকতে পারে। কিংবা অন্য যে-কেউ ঐশীর প্রতি সমব্যথী হয়ে অথবা নাটকীয়তা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ নোটটা লিখে প্রচার করে থাকতে পারে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: এটা তো তদন্ত রিপোর্টই বলতে পারবে। হ্যান্ড রাইটিং মিলানো তেমন জটিল কোন প্রক্রিয়া তো নয়।

২০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৬

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর মন্তব্য অনেক ভাল লেগেছে। দিকভ্রান্ত পথিক, আপনার কথা ঠিক আছে। কিন্তু যে মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডদের বাসায় এনে অবৈধ মেলামেশা করে তাকে বাবা মা কি করতে পারত? আপনি হলে কি করতেন? লেট হার ডু হোয়াটেভার শি ওয়াজ ডুইং? তাকে ডক্টরের কাছে নেয়া উচিত ছিল যেটা তার বাবা মা করেন নি। কিন্তু বাবা মা কিভাবে কল্পনা করবেন যে তাদের মেয়ে তাদের হত্যা করবে? আর আমাদের কাজের জন্য আমাদের নিজেদেরকেও রেস্পনসিবল হতে হয়। তা না হলে দুনিয়ার মানুষ সব খারাপ কাজ করে পরিবার আর সমাজকেই দায়ি করত। পরিবার ঠিকভাবে ডাইরেক্ট করলেই কি সব মানুষ ভাল হয়ে যাবে? একই ফ্যামিলিতে দেখা একজন ভাল, আরেকজন সন্ত্রাসী। সেটা কেন?

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঐশীকে বা তার মতামত বা কর্মকাণ্ডকে সাপোর্ট করে তার প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টির চেষ্টা আমার কাছে অনৈতিক মনে হয়; এ দ্বারা এরূপ মানসিকতার সন্তানগণকে আরও প্ররোচিত করা হয় বলে আমি মনে করি।

২১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:০৫

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ঐশীর খারাপ হওয়ার পেছনে বাবা-মা বা পরিবেশের প্রভাব দায়ী থাকতে পারে, কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ঐশীর বেপরোয়া জীবনযাপন ও স্বছেচ্ছাচারিতা এবং জেদী মনোভাবই তাকে ইয়াবার দিকে টেনে নিয়েছে বলে আমি মনে করি।

শুধু এটুকু নিয়েই কথা বলতে আগ্রহী আমি, হ্যাঁ অবশ্যই মেয়েটির দোষ আছে, কিন্তু দুই বছর বাবা মা কিছুই জানতে পারে নি এটাতে বাবা মায়ের দায়টুকু কি ধরতে পারছেন? তারা থেকেছে কি মেয়েটির পাশে যথেষ্ট সময়? দিয়েছে তাকে যথেষ্ট সঙ্গ? স্কুল কলেজের টাইমটুকু বাদ দিয়ে মেয়ে কোথায় গিয়ে কি করছে, ইয়াবা খেয়ে কী এফেক্ট হচ্ছে বাবা মা বেমালুম দেখলো না? এটা তো তাদের কেয়ারলেসনেসরই পরিচয় নয় কি!? আর ফিরিয়ে আনার কথা যদি বলেন, ঘরে বন্দি করে রাখাটা অবশ্যই ভুল পদ্ধতি, তার কোন একটা হাসপাতালে বা নেশা থেকে মুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠানে থাকার কথা ছিল।

ঐশীর প্রতি সহানুভূতি চাই না, চাই সচেতনতা, সন্তানদের এবং বেশী গুরুত্বপূর্ণভাবে বাবা মায়ের মাঝে। এটুকু রিপিট করলাম, টু মেক মাইসেলফ ক্লিয়ার টু ইউ। ঐশীর কাছে স্যরি চেয়েছি কারন আমাদের নষ্ট ব্যবস্থা, ইট ডিড পুট হার থ্রু অল দিস।

২১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

ব্যান্ড পার্টি বলেছেন: দ্য গ্রীন মাইল সিনেমার একটা কোটঃ (পরিমার্জিত):
Is OISHI guilty?Yes,She is. Don't you doubt it, and don't you turn your back on him. You may get away with it once or even a hundred times. But in the end, you'll get bit.

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হুম্ম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.