নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিকভ্রান্ত পথিক

দিকভ্রান্ত*পথিক

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে!

দিকভ্রান্ত*পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশবিরোধী চক্র দেশের উন্নতি চায় না বলেই রামপাল ঠেকাতে চায়! তাদের ফাঁদেই পড়ছেনা তো আপনার সুন্দরবন প্রেম?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩১





পদ্মা নদীর উপর ব্রীজ করলে নদীতে পলি জমে নতুন চরের সৃষ্টি হবে । নদীর নাব্যতা কমে যাবে যার কারনে শুষ্ক মৌষুমে নৌযান চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ব । হারিয়ে যাবে পদ্মার গৌরব রূপালী ইলিশ । বাস্তুহারা হবে হাজার হাজার মানুষ । এদের পূনর্বাসনের জন্য আবার খরচ করতে হবে শত শত কোটি টাকা । তাই আমি মনে করি ব্রীজ ট্রীজ সবই ইন্ডিয়ান ষড়যন্ত্র বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গরাজ্যে পরিনত করার জন্য...



পদ্মা সেতু সফল হয় নি, তাই এর ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়েও কেউ কোনদিন কথা বলে নি, যাই হোক, এ লেখায় ফাজলামু করার ইচ্ছেটা দমনই করলাম! এখানে কথা বলবো রামপালের টেকনিক্যাল দিকগুলো নিয়ে।



রামপাল নিয়ে যা হচ্ছে তার পুরোটাই মুলত ইমোশনাল এবং একটি বা দুইটি নির্দিষ্ট দলের ফায়দার জন্য, আওয়ামীলীগকে চাপে রাখার জন্য। দেশের জন্য অতি জরুরী এই প্রোজেক্ট ক্ষতিকর কিনা তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণটুকু আমাদের বুঝতে হবে, শুধু চিলে কান নিয়ে গেছে বলে চিলের পেছনে দৌড়ানোটা হবে অনুচিত!



নীচের লেখাটির অংশ বিশেষ Hoque Polash এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া, বাকীগুলোও সংগৃহীত ও সম্পাদিত। পোস্ট দেবার প্রয়োজনে যা সামান্য পরিমার্জন করা হয়েছে, পুরোটা পড়ুন, প্রশ্নত্তরগুলো বিপ্লবীদের কমন পড়ার কথা। কোন টেকনিক্যালি সমর্থিত প্রতিমন্তব্য কি "অতি-বিপ্লবীদের" কাছে থাকলে এখানে দিয়ে যেতে পারেন! আশা করি তারও সঠিক ও সমুচিত উত্তর দেয়া সম্ভব হবে।



Hoque Polash, 'রামপাল ইস্যুতে আর কিছু বলার ইচ্ছা ছিল না। কারণ রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধীতাকারীরা জেগে জেগে ঘুমাচ্ছেন। কোনভাবেই তাদের ঘুম ভাঙ্গানো সম্ভব না। তারা কোন যুক্তিই শুনতে রাজিনা। একজন ভাইয়ের লেখায় রামপাল ইস্যুতে সম্ভাব্য সব ধরণের প্রশ্নের উত্তর পেলাম। প্রতিটি উত্তরই টেকনিক্যাল দিক বিবেচনা করে লিখা হয়েছে। চাইলে পড়ে দেখতে পারেন। আর হ্যাঁ, আমি নিজে একজন কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ার, অতএব বিরোধীতা করে কমেন্ট করতে চাইলে যৌক্তিক ব্যাখ্যা নিয়ে আসবেন।'



প্রশ্ন ১. প্রস্তাবিত প্রকল্পটি কি সুন্দরবন এবং ইউনেস্কো "ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট" থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থিত? এই প্রকল্পটি কি 'এনভায়রনমেন্টাল কনজারভেশন রুলস (ECR) ১৯৯৭ এর পরিপন্থী?



উত্তর:প্রস্তাবিত প্রকল্পটি সুন্দরবনের নিকটতম সীমানা থেকে ১৪ কিলোমিটার এবং নিকটতম ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট থেকে ৬৯.৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। "এনভায়রনমেন্টাল কনজারভেশন রুলস (ECR) ১৯৯৭" এর মোতাবেক কোনো স্থাপনা সুন্দরবনের সীমানার ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে নির্মাণ করা যাবে না। এই ১০ কিলোমিটার জায়গাকে “ইকোলজিকেলি ক্রিটিক্যাল এরিয়া” হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেহেতু প্রস্তাবিত প্ল্যান্ট এর দূরত্ব সুন্দরবনের সীমানা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, সেহেতু এই প্রকল্প “ECR 1997” এর সাথে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ।



প্রশ্ন ২:প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রকল্পের চিমনি থেকে নির্গত ধোঁয়া কি স্থানীয় এলাকার তাপমাত্রায় কোনো প্রকার প্রভাব ফেলবে?



উত্তর: না।চিমনি থেকে নির্গত "ফ্লু গ্যাস" এর তাপমাত্রা হবে সর্বোচ্চ ১২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড যা অন্যান্য সমসাময়িক প্রযুক্তি থেকে অনেক কম। পরিবেশ অধিদপ্তরের মান অনুযায়ী চিমনির মুখ ২৭৫ মিটার উচ্চতায় রাখার কারণে এই ফ্লু গ্যাসকে সহজেই বায়ুমন্ডলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যেহেতু প্রস্তাবিত প্রকল্পের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ভৌগলিক প্রতিবন্ধক নেই, যেমন পাহাড়-পর্বত, উঁচু দালান বা ঘনবসতি, সেহেতু উষ্ণতা আটকা পরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই।



প্রশ্ন: ৩

ক) মজুদ করে রাখা কয়লা থেকে সূক্ষ্ম চূর্ণ (কোল ডাস্ট) কি আশেপাশের এলাকায় বা স্থানীয় জনসাধারণ পর্যন্ত পৌছাবে?

খ) কয়লা পরিবহনের সময় সূক্ষ্ম চূর্ণ (কোল ডাস্ট) কি হাওয়ায় মিশে সুন্দরবনের বাতাস দূষিত করবে?




উত্তর: না।·প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিভিন্ন স্তরে (যেমন কয়লার টার্মিনাল, স্টক ইয়ার্ড, মূল প্রকল্প ও অ্যাশ ডিসপোজল পন্ড) অত্যাধুনিক 'ডাস্ট সাপ্রেশন সিস্টেম' থাকবে যা সয়ংক্রিয় সেন্সর এর মাধ্যমে বাতাসে ছাই এর পরিমান তদারক এবং নিয়ন্ত্রণ করবে।কনভেয়র বেল্ট (যা দ্বারা কয়লা প্রকল্পের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তর করা হবে) সম্পূর্ণভাবে আবৃত বা ঢাকা থাকবে। স্থানান্তরের জায়গাগুলোতে "Water Sprinkler" (পানি ছিটানোর যন্ত্র) থাকবে।"ওয়াটার স্প্রিন্কলার" যখনই দরকার তখনই নিয়ন্ত্রণ করার স্বার্থে "ওয়াটার স্প্রিন্কলার জেট" থাকবে।যেখানে কয়লার মজুদ রাখা হবে (স্টক ইয়ার্ড), সেই পুরো এলাকা সয়ংক্রিয় আর্দ্রতা সেন্সর সম্বলিত "ওয়াটার স্প্রিন্কলার" এর আওতায় থাকবে।সুতরাং, জাহাজের খোল থেকে, বা কয়লা নামানোর সময়, বা মজুদ থেকে অথবা কনভেয়র বেল্ট থেকে সূক্ষ্ম চূর্ণ আশেপাশের এলাকায় বা সুন্দরবনে পৌছানোর সম্ভবনা নেই বললেই চলে।



প্রশ্ন ৪- বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত ছাই আশেপাশের জনবসতি কিংবা সুন্দরবনের বায়ু দুষিত করবে কি?



উত্তর- না।



শক্তিশালী Electrostatic Precipitator (ESP) যন্ত্র লাগানো হবে যার ফলে উৎপন্ন ফ্লাই অ্যাশ এর ৯৯.৯% গ্যাসীয় জ্বালানী থেকে শোষণ করে নেয়া যাবে। এই ESP ২৭৫ মিটার উঁচু চিমনি থেকে ফ্লাই অ্যাশ নির্গমন ১০০ মাইক্রোগ্রাম/ Nm³ এ কমিয়ে আনবে। এই মাত্রা ECR 1997 এর নির্ধারিত মানদন্ড- ২০০ মাইক্রোগ্রাম/Nm³ এর চেয়ে অনেক কম। একইভাবে চুল্লীর তলায় জমা হওয়া ছাইও (Bottom ash) স্বয়ংক্রিয় অ্যাশ কালেকশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের দ্বারা সরিয়ে ফেলা হবে।



প্রশ্ন ৫- সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রাস অক্সাইড নির্গমন কি আশেপাশের বায়ুর স্বাভাবিক গুনাগুণ নষ্ট করবে?



উত্তর- না।



সকল গ্যাসের নির্গমন হার পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের নির্ধারিত মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রাস অক্সাইডের নির্গমন হার হবে যথাক্রমে- ৮১৯ g/s এবং ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম/Nm³। যেখানে বিশ্বব্যাঙ্কের মানদন্ড অনুযায়ী ১৫৯৭g/s এবং ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম/Nm³ পর্যন্ত নিরাপদ। বিদ্যুতকেন্দ্র পরিবেষ্টনকারী পরিবেশের বায়ুর ওপর এই গ্যাসের প্রভাব হবে নগণ্য। এছাড়া বছরের বেশিরভাগ সময় বাতাসের প্রবাহ থাকে উত্তরমুখী, যেখানে সুন্দরবন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। তাই সুন্দরবনে বায়ু দূষণের সম্ভাবনাও খুবই কম।



প্রশ্ন ৬- নির্গত ছাই কি আমাদের দেশে কোনও কাজে ব্যাবহার করা যাবে? উত্তর- হ্যা।



বর্তমানে আমাদের দেশের সিমেন্ট কারখানা গুলোতে প্রতিবছর ২.১ মিলিয়ন টন ছাই প্রয়োজন হয়। ২০২০ সাল নাগাদ এই চাহিদা দাঁড়াবে ৩.৭৫ মিলিয়ন টন। প্রস্তাবিত বিদ্যুত কেন্দ্র হতে প্রতি বছর উৎপাদিত ছাইয়ের অনুমিত পরিমান ০.৭৫ মিলিয়ন টন। তাই উপজাত ছাই সহজেই সিমেন্ট কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যাবহার করা যাবে। এছাড়াও এই ছাই সার হিসেবে, মাটি ও বালির সাথে মিশিয়ে বাঁধ তৈরী, মাটি ভরাট ও ইট তৈরিতে কাজে লাগানো সম্ভব।



প্রশ্ন ৭- গ্লোবাল ওয়ারমিং বা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কি ভুমিকা হবে?



উত্তর:প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে সুপারক্রিটিকাল বয়লার প্রযুক্তির ব্যাবহার করা হবে যেখানে পানিকে উত্তপ্ত করে বিদ্যুৎ উপাদন করা হবে। এ প্রযুক্তি ব্যাবহারের ফলে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বছরে প্রায় ৭.৯ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করবে, যা প্রচলিত কয়লাভিত্তিক প্রযুক্তির বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে ১০ শতাংশ কম। প্রস্তাবিত বিদ্যুতকেন্দের কার্যক্রম পরিচালনার কারনে জাতীয় কার্বন নির্গমনের বৃদ্ধির পরিমাণ অতি সামান্য হবে বলে নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলস্বরূপ প্রচলিত কয়লাচালিত তাপীয় বিদ্যুতকেন্দ্র অপেক্ষা এ বিদ্যুতকেন্দ্রের আবহাওয়ার তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে কম ভূমিকা থাকবে। তবে, কার্বন নির্গমনের ক্ষতিপূরণস্বরূপ সবুজ বেষ্টনী (Green belt) স্থাপন করা হবে, অর্থাৎ বিদ্যুতকেন্দ্রের চারপাশে বন, খোলা মাঠ, গাছপালার জন্য নির্দিষ্ট জমির ব্যাবস্থা করা হবে।



প্রশ্ন ৮- বিদ্যুতকেন্দ্রটি কি ভারী ধাতু নির্গমন করবে?



উত্তর: না।



কয়লায় ভারী ধাতুর ঘনত্ব খুবই সামান্য। ভারী ধাতুর মৌলিক অংশ কয়লার ছাইয়ের মধ্যেই রয়ে যাবে , পরবর্তীতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সেই ছাই নিয়ন্ত্রন ও নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা করা হবে। সুতরাং, ভারী ধাতু দ্বারা পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা অনেক কম।



প্রশ্ন ৯- বিদ্যুতকেন্দ্রটির জন্য কি এ্যাসিড রেইন বা ক্ষারীয় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে?



উত্তর: এ্যাসিড রেইনের কোন সম্ভাবনা নেই।যেহেতু প্ল্যান্টটির চারপাশে ২০ কিমি পর্যন্ত কোন ভূখন্ডের প্রভাব এবং বিল্ডিং, জনবহুল শহরের মত বাধা নেই তাই জ্বালানী ও অন্যান্য কার্য পরিচালনা করার জন্য সৃষ্ট দূষিত ধোয়া (এসিড বৃষ্টি ঘটাতে সক্ষম এমন দূষিত পদার্থ) সহজেই অপসারণ করা যাবে।



প্রশ্ন ১০- মইদারা ও পশুর নদী ভরাট বা দখলের কোন পরিকল্পনা কি আছে?



উত্তর: না।



উল্লেখিত ২টি নদীর একটিরও কোন অংশ দখল করা হবে না। বরং, পশুর নদী ড্রেজিং-এর মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি করে নদীপথে যাতায়াত ব্যাবস্থা উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে।



প্রশ্ন ১১- সুন্দরবনে/ আকরাম পয়েন্টে কয়লার মজুতঘর বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে?



উত্তর: না।সুন্দরবনের কোন এলাকাতে এবং ইকলজিক্যালি ক্রিটিকাল এরিয়াতে কয়লার মজুতঘর স্থাপন করা হবে না। কয়লার মজুতঘর প্ল্যান্ট সাইটে নির্মাণ করা হবে।



প্রশ্ন ১২- সুন্দরবনের মাঝ দিয়ে কয়লা পরিবহন কি সুন্দরবনের ক্ষতি করবে?



উত্তর: না।কয়লা পরিবহন করা হবে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বর্তমানে প্রচলিত (existing) নৌপথ দিয়ে। কয়লা পরিবহনের উদ্দেশ্যে সপ্তাহে শুধুমাত্র একটি বড় জাহাজ (Mother vessel) আকরাম পয়েন্টে আসবে এবং প্রকল্পের নির্ধারিত স্থানে মালবাহী বড় নৌকার সাহায্যে কয়লা খালাস করবে যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (ECR) ১৯৯৭, আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা (IMO) কনভেনশন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।



প্রশ্ন ১৩ - পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে উত্তপ্ত পানি নির্গত হবে কি ?



উত্তর: না।



বিদ্যুৎ প্রকল্পের নকশা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে উত্তপ পানি বন্ধ থাকা অবস্থায় চক্রাকারে ঘুরে ক্রমান্বয়ে ঠান্ডা হবার পর নির্গমন হবে ।এবং কোনভাবেই উত্তপ্ত পানি সরাসরি নদীতে নির্গত হবেনা ।



প্রশ্ন ১৪ - এই প্রকল্পের কারণে পাশুর নদীর পানি দুষিত হবার সম্ভাবনা আছে কি ?



উত্তর : পাওয়ার প্ল্যান্টের করনে পাশুর নদীর পানির গুণগত মান পরিবর্তিত হবেনা, কারন-*একটি সমন্বিত পানি এবং বর্জ্য পানি শোধনাগার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে ।* ময়লা পানি পুনর্ব্যাবহারের (reusing) লক্ষে পানি বিশুদ্ধকরণ (recycling) প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন হবে ।* প্রকল্পটি এমনভাবে সাজানো হবে যাতে এখান থেকে কোনো বর্জ্য পদার্থ এবং ময়লা পানি অব্যাবস্থাপনায় নির্গত না হয় ।* কোনভাবেই উত্তপ্ত পানি সরাসরি নদীতে নির্গত হবেনা ।



প্রশ্ন ১৫- ঐখানে কি কোনো কালো ধোঁয়ার সৃষ্টি হবে যার ফলে বায়ুমন্ডল এবং সুন্দরবনের উপর প্রভাব পড়বে ?



উত্তর : কালো ধোঁয়া এবং বাষ্প তৈরির সম্ভাবনা খুবই কম, কেননা-*এটি ECA ১৯৯৫ এর দূষণকারী কেন্দ্রীকরণ মান নিশ্চিত করে ।* জ্বালানি গ্যাস বায়ুমন্ডলের স্তর হতে ২৭৫ মিটার উপর থেকে নির্গত হবে যা কালো ধোঁয়াশা কাটাতে সহায়ক* প্রকল্পের আশপাশে কোনো ভৌগলিক বাধা নেই যেমন- পাহাড়, ঘনবসতি শহর যা প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।* ঘুর্নিঝড় এবং নিম্নচাপ (সাধারনত যে অঞ্চলে হয় ) এর কারণে দীর্ঘমেয়াদে দূষিত পদার্থ আটকে গিয়ে বা অন্য কোন উপায়ে বায়ুদূষণ ঘটাতে সক্ষম হবে না।



প্রশ্ন ১৬ - পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কি রপ্তানী হবে ?



উত্তর : না, তবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এবং তখন বিদ্যুৎ রপ্তানি করা যাবে।





তথ্যসূত্র:



# GOVERNMENT OF THE PEOPLE’S REPUBLIC OF BANGLADESH MINISTRY OF POWER, ENERGY & MINERAL RESOURCES POWER DIVISION BANGLADESH POWER DEVELOPMENT BOARD

[Final Report on Environmental Impact Assessment of 2x (500-660) MW Coal Based Thermal Power Plant to be Constructed at the Location of Khulna Dhaka]



# January 2013Center for Environmental and Geographic Information Services





শেষকথাঃ



যারা দেশের জন্য ভাবেন, তাদের আবেগটা মিথ্যে নয়, এর প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আপনারা যাদের দ্বারা মিসগাইডেড হয়ে তাদের ফায়দা করে দিতে চাইছেন, এই তারাই আপনার দেশের শত্রু। দেশের উন্নয়নে অসামান্য সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে আসা রামপাল প্রোজেক্টটিকে সমর্থন না করুন, কিন্তু সে অসমর্থন এর পেছনে 'আওয়ামীলীগ এর প্রোজেক্ট' / নির্বাচন সম্পর্কিত প্রোজেক্ট ভাবলেই চলবে না, অসমর্থনের থাকা চাই সম্পূর্ণ যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক কারণ। আপনারা চাইলে এখনও এসব পয়েন্ট এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, যে কোন প্রোজেক্টেই পরিবেশের উপরে প্রভাব পরতে পারে, কিন্তু তা যদি নেতিবাচক বা ভয়াবহ না হয় বা সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকারক না হয় তাহলেও সে সবের বিষয়েও গোঁ ধরে থাকলে দেশ এগোবে কীভাবে? দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার বড় অংশই মেটাবে এই প্রোজেক্ট, শিল্পায়নে আসবে দারুন গতি। তবে আপনার মতো করে আমিও চাইনা আমাদের দেশের সম্পদ সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হোক, যার আশ্বাস উপরের পয়েন্টগুলো থেকে বৈজ্ঞানিকভাবেই পাওয়া যায়।



আর এমন নয় প্রোজেক্ট শুধু রামপালেই হচ্ছে, কক্সবাজারের মহেশখালীতে হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন পার্ক।



ইতিমধ্যে জাপানের জাইকা ১৩০০ মেগাওয়াট এবং মালয়েশিয়ার কোম্পানি ১৩০০ মেগাওয়াটের কাজ পেয়েছে। সাথে আরও ২৫০০ মেগাওয়াটের কাজ দেয়া হবে অন্য দুইটি কোম্পানিকে। এর মধ্যে ভারতের এনটিপিসি পেতে পারে ১৩০০ মেগাওয়াট অন্যটা হয়তো বা চায়না।



মোট ৫৫০০ মেগাওয়াটের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন পার্ক গড়ে তোলা হবে কক্সবাজারের মহেশখালীতে।




মানি আর না মানি, এগুলোরও প্রভাব কিন্তু পড়বেই পরিবেশের উপর, রাশিয়ার সাথে করতে যাওয়া পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথাও না বললেই নয়। এগুলোর সামগ্রিক প্রভাব সমুদ্র সহ সারা দেশের তথা বৈশ্বিক জলবায়ুর উপরেই কমবেশী পড়বে, তাই যদি বলা হয় যে সব বন্ধ করে রাখা হোক, সেটাও তো সমীচীন নয়, এগুলো সারা বিশ্বেই হচ্ছে, প্রয়োজনেই হচ্ছে। দেশের স্বার্থেই তো নিজেদের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে হবে। এই ধরনের বড় প্রোজেক্টগুলোতে সব সময়ই সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হয় পরিবেশ বান্ধব করার জন্য, তার সুফলও নিশ্চই আমরা ভোগ করবো। রামপানের বিরোধীতা করার যৌক্তিক কোন কারণ নেই, টেকনিক্যাল কোন বেইজ নেই। একটিই ভিত্তি রয়েছে যা পৃথিবীতে অবস্থিত ও নির্মাণাধীন মোটামুটি সব স্থাপনার বিরুদ্ধেই করা যায়। সবগুলোই পরিবেশের উপরে নেতিবাচক প্রভাব রেখে চলেছে।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: আমরা বিদ্যুৎ চাই তবে সুন্দরবনের ক্ষতি করে নয় । শুধুমাত্র ১৮ দলীয় জোট নয় মহাজোটের অনেকেই একমত যে রামপাল সুন্দরবনের ক্ষতি করবে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমিও একমত হইতে চাই, কারণ সব ব্যাখ্যা করেন !! আমি কিন্তু একমত না হবার কারণ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করলাম !! আপ্নাদের লজিকটি কি চিলে কান নিয়ে গেলোর মতোই নয়!? চিল কেমন, কোথায় ও কীভাবে কান নিয়ে গেলো ব্যাখ্যা চাই!

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিদ্যুৎ কেন্দ্র অপারেশনে থাকার সময়কার প্রভাব:
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্টে পরিচালন পর্যায় কে ২৫ বছর ধরা হয়েছে। এই ২৫ বছর ধরে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবনের পরিবেশের উপর নিম্নলিখিত প্রভাব ফেলবে:

১) ক্ষতিকর সালফার ও নাইট্রোজেন গ্যাস:
ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাইঅক্সাইড(SO2) ও ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড(NO2) নির্গত হবে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত গ্যাস সুন্দরবনের বাতাসে SO2 ও NO2 এর ঘনত্ব বর্তমান ঘনত্বের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়ে গোটা সুন্দরবন ধ্বংস করবে। কিন্তু রিপোর্টে এর মাত্রা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৭ নির্ধারিত সীমার মধ্যে দেখানোর জন্য ইআইএ রিপোর্টে একটা জালিয়াতি আশ্রয় নেয়া হয়েছে- পরিবেশগত ‘স্পর্শকাতর’ এলাকার মানদন্ডের বদলে সুন্দরবনের জন্য ‘আবাসিক ও গ্রাম’ এলাকার মানদন্ড বেছে নেয়া হয়েছে!

ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে:
“The concentration of SO2 in the ambient air near Sundarbans region is found 8 to 10 μg/m3
(field monitoring data, see Table 6.5). Hence, it is found that the resultant concentration (24
hr average after emission contribution and only during November to February) from the
power plant) of SO2 in the ambient air may be maximum 53.4 μg/m3 (see Table 8.3c) which
is much below the MOEF’s standard (ECR 1997), 80 μg/m3 for residential and rural area.
Therefore, the concentration of emitted SO2 is very insignificant to have any impact on Air
quality of Sundarbans.”(ইআ্ইএ, পৃষ্ঠা ২৭৮)

অর্থাৎ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত SO2 এর কারণে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সময়ে সুন্দরবনের বাতাসে SO2 এর ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৮ মাইক্রোগ্রাম থেকে বেড়ে ৫৩.৪ মাইক্রোগ্রাম হবে যা পরিবেশ আইন ১৯৯৭ (ECR 1997) অনুযায়ী আবাসিক ও গ্রাম্য (residential and rural) এলাকার জন্য নির্ধারিত মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৮০ মাইক্রোগ্রাম এর থেকে অনেক কম।

একই ভাবে সুন্দরবন এলাকার NO2 এর ঘনত্ব ১৬ মাইক্রোগ্রাম তিনগুণ বেড়ে থেকে ৫১.২ মাইক্রোগ্রাম হলেও তা নিরাপদ মাত্রার মধ্যেই থাকবে বলে দাবী করা হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো সুন্দরবন কি আবাসিক বা গ্রাম এলাকা, নাকি পরিবেশ গত ভাবে স্পর্শকাতর একটি এলাকা?তাহলে সুন্দরবন এর মতো পরিবেশগত স্পর্শকাতর একটি এলাকার মানদন্ড হিসেবে আবাসিক ও গ্রাম এলাকার জন্য নির্ধারত মানদন্ড বেছে নেয়া হলো কেন? পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৭ ঘাটতেই কারণটা বোঝা গেল। এই আইন অনুসারে পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকার বাতাসে SO2 ও NO2 এর ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৩০ মাইক্রোগ্রাম(৩০ μg/m3) এর চেয়ে বেশি থাকা যাবে না। যেহেতু পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকার জন্য নির্ধারিত মানদন্ডের(৩০ μg/m3) সাথে তুলনা করলে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প কোনভাবেই জায়েজ করা যাবে না সেজন্য পরিকল্পিত ভাবেই পুরো রিপোর্ট জুড়ে সুন্দরবনের বাতাসে বিষাক্ত গ্যাসের ঘনত্বের মানদন্ড হিসেবে আবাসিক ও গ্রাম এলাকার জন্য নির্ধারিত মানদন্ডকে ব্যাবহার করা হয়েছে!

২) কার্বন ডাই অক্সাইড এর প্রভাব:
প্রস্তাবিত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যাবহারে ঢাক ঢোল পেটানো হচ্ছে যদিও ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে এই প্রযুক্তি ব্যাবহারের ফলে সাধারণ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড কর্ম নির্গত হবে। এবং ৮০% লোড ফ্যাক্টর ধরে প্রতিবছর কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণের পরিমাণ হবে ৭৯ লক্ষ টন সুন্দরবনের পরিবেশের উপর যার সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে একটা কথাও বলা হয় নি ইআইএ রিপোর্টে! কেবল আশ্বস্ত করা হয়েছে বাংলাদেশের সার্বিক কার্বন নির্গমণের পরিমাণ এর ফলে নাকি খুব বেশি বাড়বে না!(পৃষ্ঠা ২৮৪)

৩) পশুর নদী থেকে পানি প্রত্যাহার:
ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যাবহারের জন্য পশুর নদী থেকে প্রতি ঘন্টায় ৯১৫০ ঘনমিটার করে পানি প্রত্যাহার করা হবে। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শীতলিকরণ সহ বিভিন্ন কাজে ব্যাবহারের পর অবশিষ্ট পানি পরিশোধন করে ঘন্টায় ৫১৫০ ঘনমিটার হারে আবার নদীতে ফেরত দেয়া হবে। ফলে নদী থেকে প্রতি ঘন্টায় কার্যকর পানি প্রত্যাহারের পরিমাণ হবে ৪০০০ ঘনমিটার। ইআইএ রিপোর্টে এভাবে পশুর নদী থেকে ঘন্টায় ৪০০০ মিটার পানি প্রত্যাহারের ফলে পানির লবণাক্ততা, নদীর পলি প্রবাহ, প্লাবন , জোয়ার ভাটা, মাছ সহ নদীর উদ্ভিদ ও প্রাণী জগৎ ইত্যাদির উপর কেমন প্রভাব পড়বে তার কোন বিশ্লেষণ করা হয়নি এই যুক্তিতে যে ৪০০০ ঘনমিটার পানি পশুর নদীর শুকনো মৌসুমের মোট পানি প্রবাহের ১ শতাংশেরও কম। দুর্ভাবনার বিষয় হলো, প্রত্যাহার করা পানির পরিমাণ ১ শতাংশেরও কম দেখানোর জন্য পানি প্রবাহের যে তথ্য ব্যাবহার করা হয়েছে তা সাম্প্রতিক সময়ের নয়, ৮ বছর আগে, ২০০৫ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ণ বোর্ড কর্তৃক সংগ্রহীত। (পৃষ্ঠা ২৮৫) অথচ এই ইআইএ রিপোর্টেই স্বীকার করা হয়েছে, নদীর উজানে শিল্প, কৃষি, গৃহস্থালি সহ বিভিন্ন উন্নয়ণ কর্মকান্ড ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে নদী থেকে দিনে দিনে পানি প্রত্যাহারের পরিমাণ বাড়ছে যার ফলে শুকনো মৌসুমে দিন দিন পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে যা পশুর নদীর জন্যও একটি চিন্তার বিষয়।(পৃষ্ঠা ২৫০)। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের সময় লাগবে সাড়ে ৪ বছর এবং অপারেশনে থাকবে অন্তত ২৫ বছর। তাহলে এই দীর্ঘ সময় কাল জুড়ে পশুর নদীর পানি প্রবাহ ইআইএ রিপোর্ট অনুসারেই ২০০৫ সালের অনুরুপ থাকার কথা না। ফলে ঐ সময়ে পশুর নদী থেকে ঘন্টায় ৪ হাজার মিটার পানি প্রত্যাহার করলে তা পশুর নদীর পানি প্রবাহের উপর কি কি প্রভাব ফেলবে তার গভীর পর্যালোচনা ছাড়া স্রেফ নদীর হাইড্রোলজিক্যাল বৈশিষ্টের কোন পরিবর্তন নাও হতে পারে(may not be changed) জাতীয় কথাবার্তা বলে পার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
সুন্দরবনের কাছে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব নিরুপন বা ইআইএ বিশ্লেষণ-১ -২


শূধূ এইটুকুর উত্তর দিয়ে বোঝান কিভাবে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। ঐখানে আরো শত শত শক্তিশঅলী যুক্তি তো রইলই .....


অবশ্যই যত পোষ্টে আপনার এটা সহ আরো ৩টি ভিন্নমতের পোষ্ট যা পেয়েছি সব গুলোই যুক্ত করে দিয়েছি। যদি আপনার জানা আরো কোন লিংক থাকে অনুগ্রহ করে কমেন্টে যুক্ত করে দেবেন।


০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ১) চিমনি থেকে নির্গত "ফ্লু গ্যাস" এর তাপমাত্রা হবে সর্বোচ্চ ১২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড যা অন্যান্য সমসাময়িক প্রযুক্তি থেকে অনেক কম। পরিবেশ অধিদপ্তরের মান অনুযায়ী চিমনির মুখ ২৭৫ মিটার উচ্চতায় রাখার কারণে এই ফ্লু গ্যাসকে সহজেই বায়ুমন্ডলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যেহেতু প্রস্তাবিত প্রকল্পের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ভৌগলিক প্রতিবন্ধক নেই, যেমন পাহাড়-পর্বত, উঁচু দালান বা ঘনবসতি, সেহেতু উষ্ণতা আটকা পরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই।


# এই ১২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা কি চিমনির আশেপাশের পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়াবে?


প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রাস অক্সাইডের নির্গমন হার হবে যথাক্রমে- ৮১৯ g/s এবং ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম/Nm³। যেখানে বিশ্বব্যাঙ্কের মানদন্ড অনুযায়ী ১৫৯৭g/s এবং ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম/Nm³ পর্যন্ত নিরাপদ। বিদ্যুতকেন্দ্র পরিবেষ্টনকারী পরিবেশের বায়ুর ওপর এই গ্যাসের প্রভাব হবে নগণ্য।

ESP ২৭৫ মিটার উঁচু চিমনি থেকে ফ্লাই অ্যাশ নির্গমন ১০০ মাইক্রোগ্রাম/ Nm³ এ কমিয়ে আনবে। এই মাত্রা ECR 1997 এর নির্ধারিত মানদন্ড- ২০০ মাইক্রোগ্রাম/Nm³ এর চেয়ে অনেক কম। একইভাবে চুল্লীর তলায় জমা হওয়া ছাইও (Bottom ash) স্বয়ংক্রিয় অ্যাশ কালেকশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের দ্বারা সরিয়ে ফেলা হবে।



এ ধরনের কাজ আমাদের দেশে হয়নি, তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আসলে আমাদের মধ্যে প্রযুক্তিভীতি কাজ করছে। আপনার হয়ত জানা নেই বন ও পাহাড় বহুল মালয়েশিয়াতে এ ধরনের বেশ কটি বড় বড় প্রোজেক্ট রয়েছে, পরিবেশ ঝুঁকিতে তারা মোটেও নেই এটি সত্য যদিও, কিন্তু পরিবেশের উপরে বিরুপ প্রভাব পড়ে এমন প্রোজেক্ট কখনই এই দেশে এলাও করা হয় না, এটা একটা সিম্পল উদাহরণ হিসেবেও নিতে পারেন।

২) কার্বন-ডাই এর ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের উপরে আসবেই সেটা প্রোজেক্ট যেখানেই করা হোক না কেন, এমনকি অন্য দেশে করলেও তার প্রভাব বাংলাদেশে আসবে, কিন্তু নির্গমণ এর পরে তা যাতে সরাসরি আমাদের ক্ষতি করতে না পারে যে জন্য সঠিক ব্যাবস্থাও নেয়া হয়েছে এখানে।

এছাড়াও, বছরের বেশিরভাগ সময় বাতাসের প্রবাহ থাকে উত্তরমুখী, যেখানে সুন্দরবন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। তাই সুন্দরবনে বায়ু দূষণের সম্ভাবনাও খুবই কম। আর হ্যাঁ, সুন্দরবন হচ্ছে কার্বনডাই অক্সাইডকে অক্সিজেনে রুপান্তরের প্রক্রিয়াকারী বড় এক কারখানার নাম! এটাও কিন্তু দরকারী, যেটুকু প্রভাব পড়বে তা মিনিমাইজ করতে গাছ ভূমিকা রাখবে, এবং সে নগন্য প্রভাবের পুরোটা যেন সুন্দরবনের উপরে না পড়ে সে জন্য সবুজ দেয়ালের ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে!!


৩)

এই প্রকল্পের কারণে পাশুর নদীর পানি দুষিত হবার সম্ভাবনা আছে কি ?

উত্তর: পাওয়ার প্ল্যান্টের করনে পাশুর নদীর পানির গুণগত মান পরিবর্তিত হবেনা, কারন-
*একটি সমন্বিত পানি এবং বর্জ্য পানি শোধনাগার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে ।
* ময়লা পানি পুনর্ব্যাবহারের (reusing) লক্ষে পানি বিশুদ্ধকরণ (recycling) প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন হবে ।
* প্রকল্পটি এমনভাবে সাজানো হবে যাতে এখান থেকে কোনো বর্জ্য পদার্থ এবং ময়লা পানি অব্যাবস্থাপনায় নির্গত না হয় ।
* কোনভাবেই উত্তপ্ত পানি সরাসরি নদীতে নির্গত হবেনা ।

আর বাকীটা এখানেই রয়েছে, পড়ে নিন,


৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

চলতি নিয়ম বলেছেন: একটা ডিপ্লোমেটিক কমেন্ট করি, আপন ভালো পাগলেও বোঝে =p~

উন্নয়নের জন্য সস্তা বিদ্যুতের কোনো বিকল্প নাই। কোনো যদি কিন্তু তবে নাই। দেশে এখন সব কুল রক্ষা করে কোনো কিছু করার মত অবস্থা নেই আর হবে বলে মনেও হয় না।

পলিটিক্যাল কারণেই সরকার কে এখন এই প্রকল্প বাদ দেয়া উচিত।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হুম, সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ হউক, পরিবেশ ভালো থাকুক। ;)

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০০

চলতি নিয়ম বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু, এই প্রকল্পের বিকল্প কোনো প্রস্তাব কি বিরোধীরা দিয়েছে? জানালে ধন্য হতাম।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: শুধু বিকল্প দেয়াই যথেষ্ট নয় তা হতে হবে বাস্তব সম্মত !!

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপনি এইসব ছাই-পাশ বিশ্বাস করেন!!! ভাবতে ভালোই লাগে মানুষ এত সরল হয় কেমনে?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হ্যাহ!

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম সাময়িকী ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি নিবন্ধে উল্লেখ করেছে, টেক্সাসের ফায়েটে ১৯৭৯ সালে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা হয়, যা থেকে প্রতিবছর ৩০ হাজার টন সালফার ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হচ্ছে। এর প্রভাবে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গাছপালা মরে গেছে। এখন এটি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছে মানুষ। অথচ রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নিঃসরণ হবে ৫২ হাজার টন সালফার ডাই-অক্সাইড।

ভারত সরকার গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশে এ ধরনের দুটি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে, কারণ মানুষ এ উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশে যদি ভারত state-of-the Art কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা করে থাকে, নিজ দেশে নিশ্চয় এ রকম সর্বাধুনিক কেন্দ্রই চালু করত। তার পরও প্রতিবাদ। তারপর পিছু হটা। অথচ বাংলাদেশে যারা প্রতিবাদ করছে, তাদের দোষ দেওয়া হচ্ছে জনগণকে ‘বিভ্রান্ত’ করার জন্য। বিভ্রান্ত আসলে কারা করছে?
Click This Link

@চলতি নিয়ম বিকল্প কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা আছে....এখানে

আর বিচার বিভাগ জানতাম ব্যালেন্স অব পাওয়ারের অন্যতম মৌলক এবং শক্তিশালী শেষ আশ্রয়!!

কিন্তু তারা যে ভাবে সরকারের প্রতি আনুগত্য দেখানোর প্রতিযোগীতায় নেমেছে বিব্রত হতে হতে- ভয় হয় মানুষের শেষ আশ্রয়টাও বুঝি হারীয়ে যাচ্ছে!!!!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ভারতের মতো পতিত জায়গার সম্ভার না আমাদের দেশ, এটুকুই বুঝতে পারছি। বিকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারতো, অতি বিপ্লব শুধু দেশের জন্যই অশুভ ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেবে। শিল্পায়ন ছাড়া দেশ এগোবে না, এর জন্য দরকার বিদ্যুৎ। আর সুন্দরবনের উপরে এই প্রোজেক্টের প্রভাব পড়বে না দূরত্ব সহ সকল সেফটি মেজারমেন্টের জন্যই।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সরকারের সঠিক তথ্য সরবরাহের আহ্বানে সমর্থনে, গুজব ধ্বংস করার লক্ষ্যে, আমি এই সিরিজটা লিখছি।

আমরা এদ্দিনে জানি যে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে সুন্দর বন ধ্বংস হয়ে যাবে। ধ্বংস যে হবে সে ব্যাপারে করোই সন্দেহ নেই, এমন কি কট্টর আওয়ামীলীগ পন্থী যারা এইরামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে অবস্থান যারা নিয়েছে তাদের জীবন যাপনকে পর্যন্ত অসহনীয় করেছে, তাদেরও।
আওয়ামী লীগের পকেটস্থ হয়ে যাওয়া গণজাগরন মঞ্চের সদস্যের (অনুবেক্ষণীয় ব্যাতিক্রম ছাড়া) তো নয়ই।

এখন দেখা যাক এই বন ধ্বংস হলে আমাদের কি কি ক্ষতি হতে যাচ্ছে। আমি একটি দুটি করে ক্ষতি তুলে ধরবো।

আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল ১৩ চৌদ্দ শো মেগা ওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যে এই ক্ষতি মেনে নেয়া যুক্তি যুক্ত কিনা সেটা আপনাদের বিচারের ওপর ছেড়ে দেবো।

অভ্যন্তরীন পরিযাজন।

গতআদম শুমারীতে বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান বুরোর তথ্য মতে বাংলাদেশের জনসংখ্যাবৃদ্ধির হার যেখানে ৩ দশমিক ৪, সেখানে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে এইহার সর্বোচ্চ ১ দশমিক ১৩।

আপনারা কেউই বিশ্বাস করবেন যে পশ্চিম ইউরোপ ও জাপানের মত এই দুই বিভাগের কোনোকোন জেলায় এই জন সংখ্যার হার বিয়োগিকঃ

১। বাগের হাটঃ – ০.৪৭।
২। খুলনা জেলাঃ -০.২৫।
৩। ঝালোকাঠি জেলাঃ -০.১৭।
৪। বরিশাল জেলাঃ -০.১৩।

ডেমোগ্রাফার ও পরিবেশবিদেরা মনে করছেন যে ১৯৬০ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে ঘুর্নিঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতাবৃদ্ধি পেতে থাকায় এই অঞ্চলের লোকেরা দেশের ভেতরেই অন্যত্র পরিযাজন করছে।

গত ১২৫ বছরে বাংলাদেশের উপকূলে ৪২ টি প্রলয়ংকরী ঘুর্নিঝড় আঘাত হেনেছে। যার চোদ্দটি আঘাত হেনেছে গত ২৫ বছরে।

ম্যানগ্রোভ বন যে উপকূলীয় মানুষদেরকে এই ঘূর্ণি ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে কার্যকরি ভুমিকা রাখে আজ সেটা সারা বিশ্বে সর্ব জন বিদিত।

বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের প্রায় ২০ শতাংশ আঘাত হেনেছে প্রথমে সুন্দরবনে। সুন্দরবন যদি না থাকে, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের এই পরিযাজন বহুগূণে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। এখানকার লোকেরা কোথায় যাবে? এখন আভ্যন্তরিণ পরিযাজনে যারা এসব এলাকা থেকে যেখানে যাচ্ছে সেখানেই যাবে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিভিন্ন এন জি ও অন্যান্য সংস্থা তাদের গবেষনা শুরু করেছেএই পরিযাজনের ওপর। এই গবেষনা লব্ধ ফল এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছে নি।

বাংলাদেশ বিশ্বের নগর রাষ্ট্রগুলো বাদ দিলে সবচেয়ে ঘন বসতি পূর্ন দেশ। খুলনা ওবরিশাল বিভগের পরিযাজিত এই এই বিশাল জন সংখ্যার চাপ অন্য পাঁচটি বিভাগ সহ্য করবে কি করে?

রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের সমর্থকরা বলতে পারে যে চিংকুরা টাকা খাইয়ে এটা প্রকাশ করেছে। যেমন একাধিক আন্তর্জাতিক মানের পত্রিকাতে যুদ্ধাপরাধী বিচারের নেতিবাচক খবর প্রকাশ করেছে জামাতীরা। সে ব্যাপারে আমার বক্তব্য হল চিংকুদের ট্যাকের জোর জামাতিদের এক নিযুতাংশও না। এই লং মার্চকে সফল করতে তাদের মানুষদের কাছ তেকে অর্থ সাহায্য নিতে হয়েছে।

কি করে প্রকৃতিকে ভাল না বাসতে হয়।

সুন্দরবনের কাছে, কালো ধোঁয়া উদগিরনকারি জলহস্তী, বনের বাঘ, নদীর শুশুক ও অন্যান্য প্রানী ও উদ্ভিদের বাসস্থল হুমকীতে ফেলবে।

সুন্দরবনের মানুষ খেকোই যুগ যুগ ধরে সুন্দরবনকে রক্ষা করে এসেছে মানুষের লোভ লালসা থেকে। সরকারীভাবে যদিও বলা হয়ে থাকে যে বছরে ২০ থেকে ৫০ জন মানুষ বাঘের পেটে যায়, বেসরকারী হিসেবে তার চেয়ে অনেক বেশী মানুষেরই অন্তিম গন্তব্য হয় বাঘের পেট। এই বাঘের ভয়েই ভবিষ্যত চোরা শিকারী আর শিকারী হয়ে উঠতে পারেনা। মানুষ আর বন কেটে এর আয়তন সংকুচিত করতে পারে না। কিন্তু অধুনা পরিবেশবিদরা এই বনের প্রতি আরো প্রতারনাপূর্ণ হুমকি দেখতে পাচ্ছেন এই বনের অস্তিত্বের জন্যেঃ একটি বিশাল ১,৩২০ মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎ প্রকল্প যা সুন্দরবনের মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপালে স্থাপিত হচ্ছে।


সরকার বলছে যে এই প্রকল্পটি যা কিনা যুগ্ম ভাবে বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের মালিকানাধীন ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনকে দিয়ে পরিচালিত হবে তা স্বল্পমূল্যে বাংলাদেশের দারিদ্র পীড়িত স্থান সমুহে বিদ্যুৎ নিয়ে যাবে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন তাদের কথা হল যে সুন্দরবনের এত্ত কাছে কয়লা চালিত এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এই এলাকার জলপথ ও অরন্যের ধ্বংস সাধন করবে যা এই এলাকার অসাধারন জীব বৈচিত্রকে পরিপোষন করে-গাঙ্গেয় শুশুক থেকে দেশের প্রতীক রয়াল বেংগল টাইগার পর্যন্ত। নিম্ন ভুমি সম্বলিত, বারে বারে বন্যা কবলিত এই বাংলাদেশে আর একটি ভয়ের বিষয় হল, এই প্রাকৃতিক রক্ষা কবজ না থাকলে যা কিনা ঘুর্নিঝড় ও জলোছ্বাসের সময় এগুলোর শক্তি বহুলাংশে কমিয়ে দেয়, বাংলাদেশের মানুষ আরো তীব্র প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্মুখীন হবে।

প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য বলেন যে কোনো সুস্থ্য মস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষ এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে না।

এই প্রকল্পের সমালোচনাকারীরা তাদের শংকা সপ্রমান করার জন্য আমেরিকার টেক্সাস অংগ রাজ্যে একই আকারের একটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদাহরন টেনে আনেন। ১৯৭৯ সালে Fayette এ স্থাপিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনের সময় কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে তা থেকে কৃষিতে যৎ সামান্য ক্ষতি হবে। কর্তৃপক্ষ ছিল ভুল। ২০১০ সালে বিজ্ঞানীরা জানায় যে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বছরে ৩০,০০০ টন সালফার ডাই অক্সাইড বের হয়ে পুরো অংগ রাজ্যের গাছপালা ধ্বংস করে দিচ্ছে। জনগনের চাপে টেক্সাস পাওয়ার অথরিটি এখন ঐ স্থাপনা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। রামপালের ঐ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বছরে ৫২,০০০ টন সালফার ডাই অক্সাইড উদ্গিরন করবে।

সরকারের "প্রভাব মূল্যায়ন" যা গত জানুয়ারীতে প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে এই সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাসের ব্যাপারে উদবেগ জানান হয়েছে। কিন্তু সেখানে এই এলাক্কে আবাসিক ও গ্রাম এলাকা দেখানো হয়েছে বাস্তসংস্থানগত সংকটপূর্ণ এলাকা না দেখিয়ে। আর এতে করে এই বিষাক্ত গ্যাস উদ্গিরনের গ্রহন যোগ্য সীমা অনেক বেড়ে গেছে। তাছাড়াও শেষ পর্যন্ত কারা এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দ্বারা উপকৃত হবে এবং কি ভাবে বর্জ প্রক্রিয়াজাত করা হবে বা ব্যাবহারের পর পশুর নদীতে ফেরৎ যাওয়া পানি কিভাবে পরিশোধন করা হবে তা স্পষ্ট নয়।
আজিজুর রহমান, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক এবং বর্তমানে সরকারের কন্সাল্টেন্ট বলেন যে রাজনৈতিক কারনে কোনো জাতীয় আইন লংঘন করা হয় নি। তিনি বলেন যে তেল ও গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ খুবই উচ্চ মূল্য হয়ে পড়ায় কয়লা ছাড়া আমাদের আর কোনো গত্যান্তর নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যে কোন চাপ (বাইরের) দেয়া হচ্ছে না তাদেরকে-ভারত তাদের নিজস্ব চালক নীতি অনুসরন করে আর আমরা করি আমাদেরটা। একটি বিশেষজ্ঞ দল অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এই প্রকল্প অনুমোদন করেছে এবং তাদের নিরীক্ষা লব্ধ ফলাফল যে কেউ চাইলে পেতে পারে। তিনি আর বলেন “আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশী মান অনুযায়ী সমস্ত দূষন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে ”।

দুষন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের নিষ্প্রভ অতীতকে সামনে রেখে অনেকেই এ ব্যাপারে সন্দিহান। সংরক্ষিত জলাভূমিতে যথেচ্ছ জাহাজ চলাচল হচ্ছে। ঢাকার সয়েল রিসোর্স ডেভেলাপমেন্ট ইন্সটিটিউটের মতে গত দশ বছরে চিংড়ি চাষ, কাঠ সংগ্রহ ও অন্যান্য ধরনের অনধিকার লব্ধ ভুমি দখলের মাধ্যমে সুন্দর বনের আয়তন কমে গেছে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর। এরই মধ্যে সরকার সুন্দর বনের পূর্ব সীমায় জাহাজ ভাংগা শিল্প গড়ে তোলার অনুমতি দিয়েছে। এর ফল কি হতে পারে তা চিটাগাং এর সমুদ্র উপকূলের দিকে চোখ ফেরালেই আমরা দেখতে পাই যেখানে বিশাল তেলবাহী জাহাজ নিঃসৃত বর্জ এলাকার মানুষকে বিষাক্ত পরিবেশে বসবাস করতে বাধ্য করছে।

এ সপ্তাহে প্রতিবাদকারীরা আরো বেশী মানুষ যাতে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ক্ষতির ব্যাপারে সজাগ হয় সে জন্যে ৪০০ কিমি মার্চ করছে (করেছে)। আবদুল্লাহ আবু দিওয়ান, একজন পোড় খাওয়া গাইড ও পরিবেশ সংরক্ষণবাদী বলেন যে মানুষের মধ্যে এখনো ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের রক্ষাকারী ভুমিকা ও পরিবেশগত সম্পদ হিসেবে এর মুল্য সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারনা নেই।


তিনি বলেন এই সুন্দরবন হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র সত্যিকারের বন। এই বন যদি আর না থাকে তা হলে বাংলাদেশের প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে যাবে যারা পরিবেশের কোনো তোয়াক্কাই করবে না কারন যাক দেখা যায় না, ছোঁয়া যায়না এবং ভালোবাসা যায়না তাকে যত্ন করা যায় না।

সুন্দরবন যদি আজ ধ্বংস হয়ে যায়-১

সুন্দরবন যদি আজ ধ্বংস হয়ে যায়-২



দেশ বিরোধী চক্র !!! বাহ !!! সত্যিই ভ্রান্তিতে পরে গেলাম। এখন খুঁজে দেখতে হবে চিলের পেছনেই সবাই ছুটছে না কি প্রকৃত দোষ চিলেরই।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪

চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
পাদ্মা সেতুর সাথে বিদ্যুত কেন্দ্রের তুলনা হয়? পদ্মা সেতুর সাথে কোটি কোটি মানুষের সাথে ভাগ্য জড়িত। পদ্মা নদীর কিছু ক্ষতি হতে পারে খুব সাময়িক ভাবে কিন্তু ব্রীজের থেকে যেই রেভিনিউ আসবে সেই টাকার কিছু অংশ নদীর সংস্কারে ব্যায় করলে নদীকে ভালোভাবে বাচিয়ে রাখা যাবে।

কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র পরিবেশের জন্য ভয়াবহ। বিদ্রোহী ভৃগু তার কমেন্টে সেটা বলেছে। আপনার প্রিয় সরকার সেটা তৈল ভিত্তিক বা গ্যাস ভিত্তিক করতে পারে তবে সেটাও সুন্দর বনে নয়, মুন্সীগঞ্জের কেয়াইনে বা সিলেটের হাকালুকির হাওর বা দেশের নির্জন বিরান ভুমিতে।

ধন্যবাদ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমি তুলনা করি নি, সেটা হাস্যকরও, আমি শুধু বুঝিয়েছি প্রতিটি প্রোজেক্টের ও স্থাপনারই ক্ষতিকর প্রভাব সামান্য হলেও আছে, তাই বলে সব বন্ধ করা সম্ভব তো নয়। আপাতদৃষ্টিতে রামপালের প্রভাব সুন্দরবনের উপর নগন্য।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

পথহারা সৈকত বলেছেন: এটা বিলবোর্ডে প্রচার করা হউক...........!!! :P

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমার ব্লগে ছাগু নিষিদ্ধ, এলে মা-বাপ তুলে গালি গালাজ করি, থ্যাংকস।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২০

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভাই আমি মুর্খ মানুষ, বেশী কিছু বুঝিনা। আমরা একটা কথা কন তো আমি যদি আপনার লগে শেয়ারে ব্যবসা করি আর আমি যদি ১৫% মূলধন ইনভেস্ট করি আর আপনি ১৫% ইনভেস্ট করেন আর বাকী ৭০% আপনার নামে ব্যাংক থেকে লোন নেয় তাহলে ব্যবসায় আমার শেয়ার কত হব? ৫০%?

আর এত যে লেকচার দিলেন রামপাল প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অত্যাধুনিক মেশিন থাকবে দুষণ কন্ট্রোল করার জন্য, বলেন তো ভাই বাংলাদেশের শতকরা কত শতাংশ কম্পানী নিয়মকানুন মানে?

আপনের বাড়ী কই ভাই? জীবনে কখনও সুন্দরবন গেছেন?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: একটু পিছলাইলাম, আপনার কমেন্টের উত্তরটাই আগে দিলাম, ব্যাস্ত আছি বলে বাকীদের বড় বড় ব্যাখ্যা এখনই দিতে পারছিনা।

"Equal equity participation (50:50), মানে উভয়ের সমান অংশীদার। এখানে পার্টনার দুইজন। এনটিপিসি এবং পিডিবি।

এখন আসি ইনভেসট এ, উভয়ই সমান ১৫% করে ইনভেসট করবে, মানে ঐ দুই কোম্পানির প্রকৃত মূলধন হইল মোট অর্থের ১৫% করে।

বাকি যে অর্থ ৭০%, তার ৩৫ % করে এক এক জন স্ব স্ব সরকারের কাছ থেকে লোণ হিসাবে নিতে পারবে বা বাইরের দেশ থেকে লোণ হিসাবে নিতে পারবে।

ধরুন আমি আর আপনে ব্যাবসা করব বলে ঠিক করলাম। কিন্তু যে ব্যাবসা করব তার মোট অর্থ লাগবে ২০ লাখ টাকা। দুই জনের শেয়ার থাকবে ৫০:৫০ করে।
কিন্তু প্রকৃত অর্থে দুইজনের কাছে টাকা আছে ৩ লাখ করে মানে মোট বিনিয়গের ১৫% করে। তাহলে বাঁকি ৭০% অর্থ কোথা থেকে আসবে?

এই ৭০% অর্থ মানে এক একজনের ভাগে ৩৫% অর্থ ৭ লাখ টাকা আপনি অন্য কারো কাছ থেকে ধার নিতে পারেন আমিও সেইটা অন্য কারো কাছ থেকে ধার নিতে পারি।
কিন্তু এই সহজ কথা বিপ্লবীরা প্যাচায়ে সুন্দরবন নিয়ে যাচ্ছেন।

এইকথাগুলো তথ্যসূত্র ছাড়া ভিত্তিহীন, তাই ডিটেইল দিলাম, নীচের লিংকগুলোতেও পাবেন বাকীটা।

Last January, a Joint Venture Agreement (JVA) was also signed between India’s state-owned electric utilities company National Thermal Power Corporation (NTPC) and Bangladesh’s Power Development Board (PDB) with ‘equal equity participation (50:50)’ for developing power projects in Bangladesh.

Click This Link

Click This Link

Click This Link

বাকী ৭০% এরও ৩৫ - ৩৫ সরবরাহ করবে দুই দেশ, চুক্তি তাইই বলছে, সমান অংশীদারিত্ব থাকবে এই প্রোজেক্ট ডেভলপমেন্টের। আমাদের কর্মসংস্থান এর বাড়তি এডভান্টেজ, বিদ্যুৎ পরিবহনের সুবিধাদি নাহয় বাদই দিলাম।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসঃ

রামপালকে কেন্দ্র করে পরিবেশ নিয়ে তো কথা হচ্ছেই, হবেও, পরিবেশ ঝুঁকি সত্যিই থেকে থাকলে তার বিরোধিতা হওয়াও উচিৎ, কিন্তু সত্যিই ঝুঁকি রয়েছে নাকি আমরা মনগড়া বলছি সেটাও লক্ষ্য রাখাটি জরুরী। তবে বিদঘুটে লাগছে, আয় ব্যয় বা অংশগ্রহণ নিয়ে না বুঝেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন! আমি যেটুকু বিষয়ে শতভাগ পরিষ্কার হয়েছি শুধু সেটুকু বলি,

৫০:৫০ হচ্ছে আয়/মুনাফা/দায়/মালিকানার অংশীদারিত্ব, এটাকে বলে সমান অংশীদারিত্ব।
১৫:১৫ হচ্ছে প্রাথমিক মূলধন/ চলতি মূলধন বা নগদ মূলধন।

৭০% মূলধনের উৎস হচ্ছে লোন যা হবে প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক দায়। এখন, যেহেতু মালিকানা ও দায় সমান, লোন যে নিক, যেখান থেকে নিক, আমাদের দেশে ও ভারতে বলবত অংশীদারি আইন(ব্রিটিশ অংশীদারি আইনের সংশোধিত রুপ) অনুসারে পরিশোধ ভার সমানভাবে অর্থাৎ ৩৫:৩৫ করে দু'পক্ষের উপরে বর্তাবে।

এটুকু আরও পরিষ্কার করতে চুক্তির একটা ছোট্ট পয়েন্ট তুলে ধরা যায়, যেখানে বলা রয়েছে এই প্রোজেক্ট ডেভলপমেন্টের জন্য দুই পক্ষের থাকবে সমান অংশীদারিত্ব!

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

আিম এক যাযাবর বলেছেন: চলতি নিয়ম বলেছেন: একটা ডিপ্লোমেটিক কমেন্ট করি, আপন ভালো পাগলেও বোঝে ।
এই জন্যই কিছু আবাল সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে চায়, বোঝাই যায়, মোটা অংকের টাকা খেয়ে দালালি করতেছে এরা।

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১১

আমি শঙ্খনীল কারাগার বলেছেন: দিকভ্রান্ত ভাই,সঠিক সময়ের সঠিক পোস্ট।আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

চলতি নিয়ম বলেছেন: পরিবেশের ক্ষতি না করে বিদ্যুত সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে রিনিউয়েবল এনার্জি বাট রিনিউএবল এনার্জি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট সম্ভব নয় এই মুহুর্তে যদিও পরিবেশ বাচাতে এটার বিকল্প নেই।

The share of renewables in electricity generation is around 19%, with 16% of electricity coming from hydroelectricity and 3% from new renewables.[4] কেন? উত্তর খুজলেই সমাধান পাওয়া যাবে।

থার্মাল প্লান্ট ই এখন পর্যন্ত একমাত্র সমাধান যেটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নিউক্লিয়ার প্লান্ট বিশেষ করে আমাদের মত ঘনবসতি পূর্ণ দেশের জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য যে চুক্তি এবং ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়ে গেলো সেমন কোনো জোরালো প্রতিবাদ দেখলাম না।

চরম সত্য যেটা সেটা হলো, বিদ্যুত সমস্যা কাটিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করতে হলে এই মুহুর্তে পরিবেশের ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দিতে হবে আর না হলে যেমন আছে তেমন ভাবেই চলতে দিতে হবে এবং ২০-৩০-৫০ বছর ওয়েট করতে হবে যখন পৃথিবীর সকল ফসিল ফুয়েল শেষ হয়ে যাবে তত দিনে রিনিউয়েবল এনার্জির কস্ট কিছুটা কমে আসবে তখন আমরা পরিবেশ রক্ষা করে বিদ্যুত ব্যবহার করতে পারবো। এভাবেই যখন ৪২ বছর পার করেছি বাকি ৫০ বছর পার করতে বেশী সমস্যা হবে না। আমাদের দেশের সবাই যেহেতু সর্ববিষয়ে অভিজ্ঞ তাই এই বিষয়ে খুব বেশী আলোচনা করে লাভ নেই। কারন এখন যদি বলি সৌর বিদ্যুত কোনো সমাধান নয় তাহলে প্রশ্ন আসবে কেন? সৌর বিদ্যুত দিয়ে যদি ঘড়ি-ক্যালকুলেটর চলে, টর্চ চলে, টিভি- মোবাইল- ল্যাপটপ সবই চালানো যায় তাহলে কেন নয়?? =p~ এর উত্তর কি দেবো?

পলিটিক্যাল কারণেই সরকার কে এখন এই প্রকল্প বাদ দেয়া উচিত। বিশেষ করে ভারতীয় কোম্পানি কে দিয়ে বানানো মোটেও উচিত হবে না। যেহেতু দেশের মেজরিটি মানুষ চাচ্ছেনা


জানি এই প্রশ্ন টা কারো ভালো লাগবে না বা করেও লাভ নেই তারপরেও করছি, বাংলাদেশ নাকি কাদের কাছে কার্বন বেচা টাকা পাবে, সেটা কেন পাবে, কাদের জন্য পাবে? কেউ কি জানেন?

ফাইনালি শাকিব খানের একটা ডায়ালগ দেই "চৌধুরী সাহেব, আমরা রাস্তায় থুথু ফেলতে পারি, হাগতে পারি মাগার পরিবেশ নস্ট করতে পারি না" অনেক কষ্টে এই লাইন টা লিখলাম কারন এর মধ্যে আমিও আছি।

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

নিয়েল হিমু বলেছেন: +++++++++++

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
জ্বী, সমৃদ্ধ আলোচনা। পক্ষে বিপক্ষে।

এ আন্দোলনের পুরোধা আনু মুোহাম্মদ দেশ বিরোধী চক্র হিসেবে বিশ্বাস করাটা একটু কষ্টকর। আপনার শিরোনামের ভাষা পরোক্ষভাবে উনার উপর এসে পড়ে।

উনি নোংরা পলিটিক্স করবেন, তা-ও বিশ্বাসযোগ্য নয়। উনি যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত না-জেনে স্রেফ পাবলিসিটি ষ্টান্টের জন্য এ আন্দোলন করছেন, তা-ও ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।

বি.এন.পি/জামাত রামপালের প্রধান বিরোধীতাকারী হলে একটি কথা ছিলো। কিন্তু এখানে ব্যাপারটা ভিন্ন। আমি একটু অন্য এঙ্গেলে দেখতে চাচ্ছি আর কি!

৬ নং মন্তব্য কীভাবে মোকাবেলা করেন, দেখি?

জমে উঠেছে। সত্যি।

ধন্যবাদ। :)

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আপনার পোষ্টের প্রেজেন্টেশান / চেহারা ও টাইটেল চিত্র ভালো লেগেছে। :)

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: পরিবেশ দূষণ কোন ম্যাথম্যাটিক্যাল ফরমুলা দিয়ে নিখুঁত ভাবে নিরূপণ করা যায় না। তাই তো দেখি কোন পরিবেশ বিপর্জয়ের ৫০-১০০ বছর পরেও তার প্রভাব দেখা যায়।
জিনিসটা এমন নয় যে, যে বস্তু ১০কিলোমিটার দূরে বিপজ্জনক তা ১১কিলোমিটারে সরিয়ে নিলেই নিরাপদ হয়ে যাবে।

ভারতে এসব প্রকল্পের ক্ষেত্রে বনভূমি থেকে ২৫ কিলোমিটার নিষিদ্ধ এলাকা ধরা আছে।

এত হিসাব নিকাশ করার দরকার কি? আশঙ্কা যখন উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছেনা, এই প্রকল্প আরো ৫০-১০০ কিলোমিটার সরিয়ে নিলেই তো হয়ে যায়।
যদি বলেন আর কোন ফিজিবল জায়গা নেই বাংলাদেশে-
তবে কি "রামপাল-ই বাংলাদেশে শেষ বিদ্যুতকেন্দ্র" ???
যদি এই প্রশ্নের উত্তর "না" হয়, তবে ক্যাচাল না করে এটি উপকূলীয় অন্য কোন জেলায় সরিয়ে নিন।

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: The proposed project, on an area of over 1834 acres of land, is situated 14 kilometres north of the world's largest mangrove forest Sundarbans which is a UNESCO world heritage

Click This Link)

The BPDB and the NTPC agreed to implement the project on a 50:50 equity basis. The NTPC will set up and operate the plant.[8] Bangladesh and India will equally share up to 30 per cent of the equity of this project. The remainder of the equity, which might be equivalent to USD 1.5 billion, will be taken as bank loans with help from the NTPC. According to the sources in the Bangladesh Power Division, the joint venture company will enjoy a 15-year tax holiday.

এখানে বাকী ৭০% এর দায় কার বলবেন কি???? ১৫ বছর ট্যাক্স হলিডে পেলেই কি পুরা দায় নিজেদের নিতে হবে????

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপনার দেওয়া লিংক গুলো পড়লাম।

`According to the joint venture agreement signed between the two state-owned companies, the project would operate on an equity-debt ratio of 70:30.

Seventy per cent of the fund will be managed from loan support, while 30 per cent is expected to come as equities to be equally shared by BPDB and NTPC.`

ভাই উপরিউক্ত কথাটার মানে কি? বিশেষ করে `equity-debt ratio of 70:30` এইটা দারা কি বুঝায়ছে?

`Bangladesh last month waived tax on the dividends to be earned as profit by NTPC from the power plant project paving the way for signing the deals.

The country's tax regulator National Board of Revenue (NBR) waived the tax on NTPC's dividends for 10 years, following request from the Ministry of Power, Energy and Mineral Resources.

The BPDB will, however, have to pay tax on its dividends as the NBR did not waive it for the Bangladeshi company.`

এটা কেন করা হল? যেখানে দেশী কম্পানীকে ট্যাক্স দিতে হবে সেখানে বিদেশী কম্পানীকে কেন ১০ বছর ট্যাক্স দিতে হবে না?

এটা কি দেশের জন্য আত্মঘাতী না?

২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: পোস্টে প্লাস !

আপনি যতই যুক্তি দেখান না কেন কেউই যুক্তি মানবে না , ইভেন এইখানে যারা আপনার বিরুধিতা করছে তারা আদোউ পুরো পোস্ট পড়েছে কিনা সন্দেহ ।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানালেই পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যায় না , পরিবেশ ধ্বংস হওয়া নির্ভর করে আপনি কি পদ্ধতিতে কি কি প্রিকোশন্স মেনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানাচ্ছেন তার উপর ।

যারা বিরোধিতা করছে তারা সবাই অনুমান নির্ভর কথা বার্তা বলতেছে । তালগাছ আমার টাইপ চিন্তা ভাবনা নিয়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব না ।

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

এ্যংরি বার্ড বলেছেন: জায়গা মতো লিও ;)

২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ঢাকার আশে পাশে করা হকো ,,,
পারলে মন্ত্রি পাড়ায় এই টা করা হোক..

সব সমস্যা র সমাধান হবে...

২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

ক্লিকবাজ বলেছেন: ১। যে প্রজেক্টকে ভারতের আদালতে আদেশে ভারতে বন্ধ করতে হল সে প্রজেক্ট বাংলাদেশের রামপালে কার স্বার্থে, কেন করতে হবে? বাংলাদেশে কি অন্য কোন জায়গার অভাব পড়েছে নাকি সব জায়গা আগেই গোপন চুক্তিতে ভারতকে লিজ দেয়া শেষ, দেয়ার মত এটাই খালি বাকী ছিল।

২। ১৫% ভারত, ১৫% বাংলাদেশ, বাকী ৭০% ব্যাংক লোন যা বাংলাদেশকেই পরিষোধ করতে হবে কিন্তু ভারত মাত্র ১৫% বিনিয়োগ করে ৫০% মালিকানা পাবে কিভাবে এক্টু ক্লিয়ার করেন।

কেউই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপক্ষে নয়, কিন্তু সেটা রামপালেই কে হতে হবে? সুন্দরবনকে ুয়া মারার জন্য দেশী ভারতের দালালরা কত পেয়েছে সেটা জাতি জানতে চায়।

২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

ধুলোময়বৃষ্টি বলেছেন: আওয়ামী ৩ ধরনের

থার্ড ক্লাস ক্যাটেগরী হচ্ছে তারা যারা বিশ্বাস করে বা মানুষকে বুঝতে চায় টিপাইমুখ , রামপাল এইগুলা দেশের জন্য উপকারী

সেকেন্ড ক্লাস ক্যাটেগরী একটু ধূর্ত : এরা বলে এই সব প্রকল্পের বিরোধিতা করা মানে যুদ্ধপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র , অথবা বলে যে এইগুলা বিএনপির সময় শুরু হইছিল এসব

১ম শ্রেনীর আওয়ামী হচ্ছে : অন্যায়কে অন্যায় বলে এবং বলে যে এটা ঠিক হচ্ছে না সরকারের উচিত এই প্রকল্প গুলা থেকে সরে আসা -

দু:খ জনক ব্যাপার হচ্ছে এই যুগে থার্ড ক্লাস আওয়ামীদের জয়জয়কার আর ১ম শ্রেনীর আওয়ামীর পাত্তা নাই

২৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দেশবিরোধী চক্র দেশের উন্নতি চায় না বলেই রামপাল ঠেকাতে চায়! তাদের ফাঁদেই পড়ছেনা তো আপনার সুন্দরবন প্রেম?

হেডিং এই সমস্যা।আওয়ামী বাদে সবাই দেশ বিরুধী।আওয়ামীলীগের মুখপাত্র হিসেবে ভাল লিখেছেন। যারা বিরুধিতা করছে তারাআবেগী কথা বলছে! কিংবা চক্রান্তকারী। সবারআগে মানুষের চিন্তা করা স্বাধীনতা থাকতে হয়। সেটা আপনার আছে কি?

যারা বিরুধিতা করছে তারা দেশবিরুধী চক্র !আপনি আবার দেশ বিক্রিরএজেন্ট না তো। আপনিএকটা পক্ষ নিয়েছেন।আসলে ওর বিপক্ষে যাওয়ার শক্তি আপনার নাই।

শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য। স্বাধীন দেশ হলেই কি সবাই স্বাধীন!

২৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

নেক্সাস বলেছেন: প্রেফেসর আনু মোহাম্মদ স্যার, বৃদ্ধ শহিদুল হক দেশ বিরোধী.. !!!!

সাবাস....

ভারতের যে জনগনের চাপে সে দেশের সরকার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ভারতে করতে পারেনি তারাও ছিল দেশ বিরোধী !!!! তাইনা ভাই?

২৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: সুন্দরবনে বিদ্যুৎ প্লান্ট নয়...

২৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্বাধীন দেশ হলেই কি সবাই স্বাধীন!

সম্পুর্ন ভাবে একমত সেলিম আনোয়ারের সাথে।

২৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: আরে ! রামপাল দেখতাছি খুবই পরিবেশ বান্ধব !!
বাহ বাহ !! :D :D
বক্তব্য পড়ে বুঝলাম যে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরিবেশের কোন ক্ষতি হবেই না !

৩০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

সামু মামু বলেছেন: রামপাল নিয়ে রাম-ছাগলের বক্তব্য, নাম আবার দিক ভ্রান্ত ।

Click This Link

৩১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

শ্যামল জাহির বলেছেন: শিরোনামটা ফর্মালিনমুক্ত হলে ভাল হতো!
ধন্যবাদ।

৩২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

রাখালছেলে বলেছেন: আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে ....কিন্তু বাতাসে এত গন্ধ কেন.. X(( X(( X(( X((

আপনার যুক্তি ভাল । কিন্তু যুক্তি দিয়ে কি সুন্দরবন রক্ষা করতে পারবেন । তাই আসুন ভারতের আশা পুরন না করে দেশটাকেই বাচাই ।
আপনার পোষ্টের মোটামুটি সবাই আপনার যুক্তি গ্রহন করে নাই । আমাদের দেশ আমাদের । দয়া করে আমার কমেন্ট মার্জনীয় দৃষ্টিতে দেখবেন । আপনার শুভবুদ্ধি উদয় হোক ।

৩৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: রামপালের কারনে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবেনা বরং সুন্দরবন আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠবে। :|| :|| :-< :-<

৩৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুধূ দলান্ধতায় সত্য মিথ্যের প্রভেদ ভুলে যায়
যারা ভুলের পক্ষে সাফাই গায় তাদের নিয়ে শুধু ঐ কবিতা খানি পরিবর্ততিত রুপে মনে পড়ে-

যে সব বঙ্গে জন্মি হিংসে সুন্দরবন
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয়ে কোনজন!!!!!!

৩৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঘটনা কি?

এই প্রকল্প ভারত থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার কারণ কমেন্ট ৬ এর উত্তরে

আবার এই লেখক বলছেন -

লেখক বলেছেন: ভারতের মতো পতিত জায়গার সম্ভার না আমাদের দেশ, এটুকুই বুঝতে পারছি।

মানে ভারতে অনেক পতিত জায়গা আছে!!!!

১মত: একই বিষয়ে দুজেনর তথ্যে ফারাক আকাশ পাতাল
২য়ত: এত পতিত জায়গা (উনার তথ্যমতে) থাকার পরও ভারতের জনগণ, পরিবেশ সংস্থা এবং আইনমত তা করতে অনুমতি পেল না....

মন্ত্রী মহোদয় নামক ব্লগারের মন্তব্য দেখূন-

এই মতের আরেক ভ্রাত: তার পোষ্টে আমার কেমন্ট ৬ এর উত্তরে বললেন...
"ভারতের মধ্য প্রদেশের নরশিংপুর জেলার ঝাইকোলি এবং তুমরা গ্রামের যে ১০০০ একর নিয়ে এই পাওয়ার প্ল্যান্টটা হবার কথা ছিলো সেই ১০০০ একর জায়গাটা ছিলো ঐ দুইটা গ্রামের প্রধান কাল্টিভেটিং ল্যান্ড । সাধারণ কৃষি জমি না ,ঐগুলা ছিলো ডাবল কাল্টিভেটিং ল্যান্ড , অর্থাৎ যে জমি গুলোতে বছরে দুইবার ফসল ফলানো যায় । এই এলাকার মানুষ কৃষি নির্ভর ছিলো বলেই এই দুই গ্রামের মানুষের রুটি রোজগারের কথা ভেবে ভারতের পরিবেশ মন্ত্রনালয় ঐ নির্দিষ্ট জায়গায় পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে দেয় নি । আরেকটি কারণ ছিলো পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য যে হিউজ পরিমান পানি প্রয়োজন ( প্রায় ৩২ কিউসেক) সেটা নরমদার মত একমুখী নদীর পক্ষে দেয়া সম্ভব না,এতে নদী তার স্বাভাবিক প্রভাহ + তার নাব্যতা হ্রাস পাবে । "


আবার আমারে উত্তরে বললেন
লেখক বলেছেন: উত্তর দিছি , দেখে নিন ।

আর ভুল তথ্য দিয়ে অতিবিপ্লবী হওয়া বন্ধ করেন ।

তাঁর উত্তরে আমার মন্তব্য ছিল ---


এখন দেখূন মিথ্যা তথ্য কে দেয়....

>>>
রামপালে জমি অধিগ্রহণ করার পরিমান ১৮৩৪ একর কৃষি, মৎস চাষ ও আবাসিক এলাকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ।
এবার আসুন একটু চোখ বুলাই অধিগ্রহণ করা ১৮৩৪ একর জমি থেকে বিদুৎ প্রকল্পের কারনে আমরা বছরে কি কি হারাচ্ছি।
• বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১২৮৫ টন ধান উৎপাদিত হয়। ১০ বছরে
• ধান ছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ১,৪০,৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়।
• প্রতি বাড়িতে গড়ে ৩/৪টি গরু, ২/৩ টি মহিষ, ৪টি ছাগল, ১টি ভেড়া, ৫টি হাঁস, ৬-৭ টি করে মুরগী পালন করা হয়।ম্যানগ্রোভ বনের সাথে এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এলাকাটি স্বাদু ও লোনা পানির মাছের সমৃদ্ধ ভান্ডার। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা খাল ও নদীর নেটওয়ার্ক জৈব বৈচিত্র ও ভারসাম্য রক্ষা করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে৫২১৮৬৬ মেট্রিক টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১৮৩৪ একর জমিতে (৫৬৯৪১ মেট্রিক টন) মাছ উৎপাদিত হয়।

এখন আপনি বলুন- প্রতি বিপ্লবী কে??

ভারতের দুই ফসলী জমি আপনার যুক্তিকে শানিত করলো....তাদের জন্য আপনার মায়া হলো, আর নিজের দেশের ক্ষতিকে আড়াল করতে আপনার কি প্রাণান্ত প্রচেষ্টা!!!!!!!!!

আর কথায় কথায় অতি বিপ্লব আর প্রতি বিপ্লব বলে কথাটার মানে খেলো করবেন না।

সত্যি কি বিচিত্র এই দেশ!!!!!!!!!!!!! আর কি বিচিত্র দেশপ্রেমিক!!

৩৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১২

স্বাধীকার বলেছেন:
সাবাস--------ভারতপ্রেম, দীর্ঘজীবী হোক!!!

এর আগে আম্লী-গের কতিপয় দালাল হেলিকপ্টারে করে বৃষ্টির দিনে টিপাইবাধঁ দেখে এসে দেশে সংবাদ সন্মেলন করে বলেছিলো টিপাইবাধঁ কোনো ক্ষতি করবেনা।--------------আম্লীগের ঐ ভারতপ্রেমী দালালরা তখন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হিসাবে জাতির সামনে আবির্ভূত হতে গিয়ে দেশবিরোধী শয়তান হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলো।

শহিদুল ইসলাম ও আনু স্যার যদি দেশবিরোধী হন, তাহলে আপনি কেন শিবসেনার প্রতিনিধি হবেন না?

৩৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

রাখালছেলে বলেছেন: হুদাই পেচাইলেন । আমরা চাই না সুন্দরবনে কোন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র । জোর করে কেন করবেন । ভারতকে খুশি করাইতে। কত কিছুই তো করলেন। সীমান্তে মানুষ মারা হচ্ছে । কিছুই বললেন না । কারন ভারতকে খোচা দেয়া উচিত না । তিনবিঘা কড়িডোড় আদায় করতে পারলেন না। কারন ভারতকে চাপ দিবেন না। এরকম আরও কত্ত সুবিধা ভারতকে দিলেন। কারন আপনাদের বাপ মা বড়ভাই ভারত । এখন শেষমুহুর্তে এসে নির্বাচনে ভারতের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার জন্য সুন্দরবনের মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছেন । যান গা ভারতে ফিরে যান । গালি দিলাম না । কারন আপনে আগের পোষ্টেই তা পেয়ে গেছেন । দালালি বন্ধ করেন ।

৩৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

এম ই জাভেদ বলেছেন: ভারত সামান্য বিনিয়োগ করে ৫০% বিদ্যুৎ নিয়ে যাবে, এ ব্যাপারে আপনার যুক্তি কি? দেশে কি আর জায়গার অভাব নেই? সুন্দরবনের কাছে কেন?

৩৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

রাফা বলেছেন:
কোন যুক্তি তর্কে যাওয়ার দকার নেই।বিদ্যুত এবং সুন্দর বন দুইটাই চাই।দেশের অগ্রগতির জন্যই বিদ্যুত অপরিহার্য ।আর পরিবেশ বাচতে সুন্দরবন।

৪০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

Inferno বলেছেন: ভাবিনি সামুতে আমার প্রথম কমেন্টেই কাউকে গালি দিতে হবে. কুত্তার বাচ্চা. দালালের বাচ্চা দালাল. একটা কথার জবাব দে, যদি একটিবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে সুন্দরবনের যে ক্ষতি হবে তা তোর কোন বাপ মেরামত করবে? দুনিয়ার কোন টেকনোলজি এই নিশ্চয়তা দেবে যে কোনোদিন এইখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটবেনা?

৪১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১০

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: Rip rampAl....

৪২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

বাংলার হাসান বলেছেন: আপনি কান্ডারী ভাইয়ের কমেন্টের উত্তর দেন নাই।

তাই নতুন কিছু লিখলাম না। মালেশিয়া থেকে দেশে আসলে কল দিয়েন, গজ-ফিতা দিয়ে সুন্দরবন থেকে রামপালের দূরত্ব হাতে কলমে দেখিয়ে দিবো।

১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০০ সময় রামপাল নিয়ে আমার একটি লেখার লিংক দিয়ে গেলাম। লেখাটায় অনেক গুলো লিংক দেয়া আছে প্রতিটা তথ্যের সমর্থনে। একটু সময় করে পড়ে দেখবেন।

Click This Link

৪৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:২৮

শিপন মোল্লা বলেছেন: কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: রামপালের কারনে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবেনা বরং সুন্দরবন আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠবে।

৪৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: রামপালের কারনে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবেনা বরং সুন্দরবন আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.