নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিকভ্রান্ত পথিক

দিকভ্রান্ত*পথিক

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে!

দিকভ্রান্ত*পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদ্রাসা শিক্ষার নামে এই হাস্যকর চর্চা আর কতোকাল?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬





স্কুল ও মাদ্রাসা আলাদা করে পড়ানোটা নিয়ে ভীষন আপত্তি আমার, অনেক আগে থেকেই। স্কুলের শিক্ষার্থীরা ধর্ম সম্পর্কে যথেষ্ট জানতে যেমন অপারগ তেমনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক দিক সম্পর্কে অন্ধ হয়ে বেড়ে ওঠে। ডারউইনের থিওরি যেমন কোন মাদ্রাসায় ব্যাখ্যা দেয়া হবে না তেমনি ধর্ম নিয়ে কোন স্কুল এক ঘন্টার বেশী ব্যয় করবে না। এভাবে আমরা পাচ্ছি দুই ক্যাটাগরির কুয়োর ব্যাঙ। এক ক্যাটাগরির জন্য ধর্মশিক্ষা লিমিট করা হচ্ছে অন্য ক্যাটাগরির জন্য বিজ্ঞান।



মাদ্রাসাতে ব্যাবসা বিষয়ে পড়ানো হয় না কারন হিসাব বিজ্ঞান ও আধুনিক ব্যাবসায় সংক্রান্ত বইগুলো সুদপ্রথা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলে। অথচ এই ধর্মগ্রন্থে ব্যাবসাকেই পেশা হিসেবে সবচে বেশী মর্যাদা দেয়া হয়েছে!



মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত জর্জ হ্যারিসনের ঐতিহাসিক ছবিটি বাদ দিতে হচ্ছে। সরিয়ে ফেলতে হচ্ছে লালন শাহের ‘মানবধর্ম’ কবিতা। বাদ পড়ছে বিপ্রদাশ বড়ুয়া ও নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের গদ্য, জ্ঞানদাশের পদ্যসহ আরও কিছু বিষয়! [ বিস্তারিত পড়ুন এখানে]



জর্জ হ্যারিসন শুনছো অথচ চিনছো না তাকে, এ কেমন শিক্ষা? সেই শিক্ষার মুল্য কতোটুকু যা তোমাকে সাম্প্রদায়িকতা শেখায়? যে শিক্ষা তোমাকে পড়তে দেয় না অসাধারণ জ্ঞানী-গুণী মানুষদের বাণী ও চিন্তাধারা? শুধুমাত্র হিন্দু বা অন্য ধর্মের মানুষ হওয়ার কারনে তুমি জানতে পারলে না অন্নদাশঙ্কর রায় কি বলে গেছেন! মার্ক টোয়েনকে চিনবে না, জানবেও না হুমায়ুন আজাদ কি বলতে চেয়েছেন!



প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সব ধরণের শিক্ষার সুযোগ থাকা উচিৎ, সবকিছুই জানতে উৎসাহিত করা উচিৎ। কোন বিষয়ে পড়বো এবং কোনটি পড়বো না তা হওয়া উচিৎ শিক্ষার্থীর ব্যাক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয়। ভিন্নধর্মী মানুষের জ্ঞানকে লুকিয়ে যদি জ্ঞানদান করতে হয় তবে সেই জ্ঞান না নিলে মানবজাতির কিছু আসবে যাবে না। কারন জ্ঞান ছড়ানোর জন্য জন্মায়, লুকাবার জন্য নয়।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
কেন তাদেরকে সরানো হয়েছে কেন?

মসজিদে তো ইসলাম পড়ানো হয়।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সমাজের বড় বড় জ্ঞানীরা ভুল পথে পা বাড়ালে সেই সমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে চলে যায়। এটি নিঃসন্দেহে একটা ভুল সিদ্ধান্ত।

অটঃ অনেকদিন পরে মন্তব্য দেখে ভালো লাগলো, আশা করি ভালো আছেন!?

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
একটা মাদ্রাসার স্টুডেন্ট এর যদি ডক্টর হওয়া ইচ্ছা থাকে সে কি করবে?

মাদ্রাসার উপযোগী আবার কোন ধরণের উপযোগীতা? এখানে উপযোগীতার কি আছে, বাংলা বই এ বাংলা থাকবে, সায়েন্স বই এ সায়েন্স, ধর্ম বই এ ধর্ম। ক্লাস স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে। এভাবে উপযোগীতা দেখতে গেলে ইনকন্সিস্টেন্সি বাড়বে, কারণ একেকজনের উপযোগীতা একেক ধরণের। বাংলাদেশ কি সামনে আগাচ্ছে নাকি পিছাচ্ছে?

"এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার বৈশিষ্ট্য-উপযোগী করতে গিয়ে নয়টি বইয়ে এমন কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা পাঠ্যবইয়ের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র ও সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে।"

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: স্বর্ণা ইউ ওন্ট বিলিভ দিস, পোষাক পরিবর্তন করা হয়েছে! তার মানে কি স্কুলের বইতে অশ্লীল ছবি থাকে!? এটা তো কিছুই নয়, ভুত শব্দটা বদলে নাকি 'আছর' ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে! ক্যান ইউ বিলিভ দিস!?

বাংলা-ইংরেজি বইতে এতো কাড়িকুড়ি করে যদি সাম্প্রদায়িকতা ছোটদের রক্তে ঢুকিয়ে দিতে হয় তবে সে শিক্ষা না দিলেই কি নয়? বাংলা ইংরেজি না পড়ানো মেনে নেয়া যায় কিন্তু হিন্দু-মুসলিম ভাগ করে কবিতা পড়ানো মেনে নেয়া অসম্ভব! এটা জ্ঞানের অপমান।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: অন্নদাশঙ্কর রায় ও মার্ক টোয়েনের সাথে কি সুন্দর হুমায়ুন আজাদকে মিলিয়ে দিলেন।

এই যদি হয় অবস্থা তবে আপ্নার কথাই মানুষ শুনবে কেন??

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কারো সাথে কাউকে মিলানো হয় নি, ভালোভাবে লক্ষ্য করলেই বুঝতেন এরা কেউ মুসলিম নয় এবং পোস্টে লেখা আছে হিন্দুদের লেখা বই থেকে বাদ দেয়া হয়েছে! হিন্দু কি তার কবিতায় হিন্দু ধর্ম প্রচার করেছে? রবীন্দ্রনাথের কবিতা বাদ দেয়া হয় যদি সে শুধুমাত্র মুসলিম না বলে, এটা কতো বড় জঘন্যতা!?

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই বছর সহ গত কয়েক বছরে ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার রিজাল্ট কিন্তু আপনার ধারনাকৃত লেখনি থেকে ভিন্ন তথ্যই দেয়। আশা করি জানেন। ভর্তির মেধা তালিকার সেরা ছেলেটি ছিল মাদ্রাসা শিক্ষিত।

ইসলামে সবার আগে সর্বপ্রথম বাক্য নিশ্চয়ই জানেন।

জ্ঞানের বহুমূখিকরণ যদি হয় জ্ঞানের জন্য অবশ্যই গ্রহনযোগ্য। আর জ্ঞানের লক্ষ যদি হয়, মূলচ্যুত করা, তাহলে তা পরিত্যাজ্য।

আপনার ঘরে নিশ্চয়ই কামসূত্রের বই খোলা ফেলে রাখবেন না। যদিও তা এক ধরনের জ্ঞান বৈকি!!!!!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমি কোনভাবেই বলিনি ওরা কম জ্ঞানী কিংবা ওদের শিক্ষার মান কম। এখানে প্রসঙ্গ সাম্প্রদায়িকতার বিশবাস্প শিক্ষার্থীদের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া, অন্য কিছু নয়। আর আমি বলি নি সব ধরণের এজুকেশন এভেইলেবল করতে হবে, কিন্তু আপনি শুধুমাত্র হিন্দু বা খ্রিষ্টান হওয়ার অপরাধে (!) কোন সাহিত্যিকের লেখা বই থেকে বাদ দিতে পারেন না। এটা রীতিমতো বর্বরতা!

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: @ স্বর্ণা,

ওয়ে স্বর্ণাজি আফনে কুনে? কোন খুজ খবর নাই কিলা? আপনার সব পোষ্ট ড্রাফ্ট কিলা? কিতা অইছে ভইন, খুইলা কন। আমরা আফ্নের সাথে আছি।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চলতি নিয়ম বলেছেন: অবৈধ সরকারের এই একটা কমই শুধু বৈধ। ভারেক এন্ড কোং। =p~

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ইয়াহ ম্যান, সরকার ভুল করলে এরা সমর্থন দেয় আর ঠিক করলে ছিদ্র খোঁজে! তারেক এন্ড কোং - পুরাটাই অবৈধ!

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: ব

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: :( :(

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০১

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কি আর বলবো! :(

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৬

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: আমি বুঝিনা যে স্কুল ও মাদ্রাসা আলাদা করে পড়ানোটা নিয়ে আপনার এত ভীষন আপত্তি কেন , মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক দিক সম্পর্কে অন্ধ হয়ে বেড়ে ওঠে। আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না আপনি বোধহয় জাানেন না যে মাদ্রাসায় সাইন্স নামক একটা বিষয় পড়ানো হয়। আর যেসব বই স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় সেই একি বই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। ফিজিক্স, কেমেসট্রি,বায়োলজি ইত্যাদি বিষয় কি বিজ্ঞানের বাইরে?!। যেমনি ধর্ম নিয়ে কোন স্কুল এক ঘন্টার বেশি ব্যয় করে না তেমনি তারা থাকে নিজ ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ যাকে বরে ধর্ম জ্ঞানহীন। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান,বাংলা,ইংরেজী,ধর্ম এবং গণিত সকল বিষয়েই পারদর্শী।
মাদ্রাসা ইলামিক শিক্ষাকেন্দ্র যেখানে ইসলাম পরিপন্থি কিছু শিক্ষা দেওয়া হয় না,
মাদ্রাসাতে ব্যাবসা বিষয়ে পড়ানো হয় না কারন হিসাব বিজ্ঞান ও আধুনিক ব্যাবসায় সংক্রান্ত বইগুলো সুদপ্রথা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলে। এই ধর্মগ্রন্থে ব্যাবসাকেই পেশা হিসেবে সবচে বেশী মর্যাদা দেয়া হয়েছে!
অথচ এই ধর্মগ্রন্থে সুদপ্রথা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলা সম্পূর্ণ ভাবে হারাম তথা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সুতরাং মাদ্রাসায় কেন ইসলামের নিয়মের বাইরে গিয়ে আধুনিক কমার্স পড়াবে??? একবার বলুন তো??
আমরা কেন লালনের মানব ধর্ম অনুসরন করব বলেন তো??? যেখানে আমার বিশ্ব মানবতার দূত হযরত মোহাম্মদ (সা:) এর শ্রেষ্ঠ ধর্ম অনুসরন করি!!
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এত অন্ধ জ্ঞান সম্পর্ন ভাববেন না আমার গায়ে লাগে!!!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনি আমার পোস্ট সঠিকভাবে পরেন নি অথবা বুঝতে সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছেন। জ্ঞানের বিভাজন এক জিনিস জ্ঞানের সাম্প্রদায়িকিকরন সম্পূর্ণ আলাদা। আপনি লালনের ধর্ম অনুসরণ না করেন কিন্তু লালনের ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারবেন না? আচ্ছা তাও না হয় না জানলেন, আপনার কুয়োর ব্যাঙ থাকতে ভালো লাগে থাকলেন। কিন্তু রবী ঠাকুর হিন্দু বলে তার লেখা পড়বেন না? মুসলিমদের পড়তে দেবেন না? এটা কোন ধরণের মধ্যযুগীয়তা?

আর স্কুলের ছেলেরা ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে এই ধরণের ধারনাই বা আপনি কোন আস্তাকুড় থেকে পেয়েছেন? বানিজ্য পড়ানো হয় না এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় রেখেঢেকে পড়ানো হয়ে এটা এনেছি শুধুমাত্র উদাহরণ হিসেবে, আমার পয়নেট ছিল সাম্প্রদায়িকতা ইনজেক্ট করার জঘন্যতাটা, আর কিছু নয়। পোস্ট বুঝে মন্তব্য করে খুশী হবো।

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২১

মামুন রশিদ বলেছেন: মাদ্রাসারও প্রকারভেদ আছে । আলীয়া মাদ্রাসাগুলা সরকারের বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত, পড়াশোনা অনেকটা স্কুলের মতোই । তবে তারা বাংলা-আরবী-ইংরেজি কোনটাই শিখার সুযোগ পায় না ।

এর বাইরে কওমী মাদ্রাসা, এরাই সংখ্যায় বেশি । এদের উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নাই । এদের সিলেবাসে মাতৃভাষা বাংলা বা আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি নাই । আরবী ভাষায় লেখা কোরআন আর হাদীসের অর্থ আর ব্যাখ্যা তারা পড়ে উর্দু আর ফার্সী ভাষায় । মাতৃভাষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন না করে কিভাবে এই ধর্মীয় পুস্তক তারা অনুধাবন করে, তা এক বিস্ময় ।

ভালো পোস্ট ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৮

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমি বরং আলীয়া মাদ্রাসারই ঘোর বিরোধী, হাফেজিয়া-কওমী তো একটা নির্দিষ্ট পথে তবু হাটছে! আলিয়ার শিক্ষার্থীরা বাংলা পড়বে, ইংরেজী পড়বে কিন্তু অসম্পূর্ণ! কোন পর্যায়ের জঘন্য চিন্তাভাবনা টেক্সটবুক থেকে হিন্দু সাহিত্যিকদের লেখা বাদ দিতে পারে! ভুতের যায়গায় আছর লেখার পরামর্শ দিতে পারে এটা আমার মাথায় ঢোকে না।

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: হ্যা এতক্ষনে লাইনে আসছেন আপনি পোষ্টে মাদ্রাসার প্রকারভেদের কথা উল্লেখ করেন নাই বিধায় এই লেখা লিখতে হয়েছে! বাংলাদেশে আনুমানিক ৮৫% মুসলিম সুন্নি আক্বীদা অনুসরন করে সুতরাং কওমী ভাইদের সম্পর্কে বলে লাভ নাই। ওরা গুনার বাইরে /:) #:-S এরা সব সময় নিজেরাই নিয়ম বানিয়ে চলে যতটুকু জানি!! । ভাই আমি মাদ্রাসায় পড়াকালীন বাংলা-আরবী-ইংরেজি পড়ার সুযোগ পেয়েছি পড়েছি শিখেছি তাই আপনার সাথে একমত নই হ্যা অনেক মাদ্রাসায় ইংরেজি টা একটু কম জোর দেওয়া হয় কারন মাদ্রাসা গুলোর অধিকাংশ বেসরকারি হওয়ায় তাদের আর্থিক ফান্ড অত্যান্ত দুর্বল যার কারনে সুযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় না। যার ফলে অনেক মাদ্রাসার ছেলে-মেয়েরা ইংরেজিতে গ্রামাটিক্যাল বিষয়ে দুর্বল হয়ে পরে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: কি পড়ানো হয় কি হয় না তা আমার কনসার্ন না, মানুষ অন্ধ থাকতে চাইতেই পারে এতে আমার কিছু আসে যায় না কিন্তু সাহিত্য বই এ হিন্দু দের লেখা বেছে বেছে বাদ দেয়া হচ্ছে চিন্তার সাম্প্রদায়িকতা, সংকীর্ণতা, এই জঘন্যতা মেনে নেয়া যায় না।

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৬

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: আপনি মাদরাসা শিক্ষার প্রকারভেদ করতে পারেননি। তবে আপনার লেখা কওমী মাদরাসার ক্ষেত্রে অনেকটা মিলে যায়, আমি নিজেও দেখেছি কওমী মাদরাসার ছাত্র এবং শিক্ষকদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মনোভাব আছে এবং তারা বর্তমান বিশ্বের বাইরে আলাদা জগতে বাস করছে।

তবে আলিয়া মাদরাসায় স্কুল কলেজের মত সব বিষয়সমূহ পড়ানো হয়। পড়াশুনার পাশাপাশি তারা অনেক সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। বুয়েট, ঢাবি সহ সব ভার্সিটিতে মাদরাসার স্টুডেন্ট উল্লেখযোগ্য। আমার ভার্সিটির ১০জন ক্লাসমেট মাদরাসা ব্যাকগ্রাউন্ড।

অতএব আপনি এটাকে হাস্যকর বলতে পারেননা। বরং আমার মতে সব স্কুল কলেজে ধর্মশিক্ষার ব্যপারে আরো জোর দেয়া উচিত। মৃত্যুর পর এই পৃথিবীতে আপনি পেশায় কি ছিলেন, কি কি আবিস্কার করেছেন বা কি কি সাহিত্য রচনা করেছেন তা জিজ্ঞেস করা হবেনা। বরং আপনি আল্লাহর নির্দেশ কতটুকু পালন করেছেন তার হিসাব চাওয়া হবে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আমি কওমীকে নয় বরং আলীয়াকে টার্গেট করেই লিখেছি। কওমীদের প্রতি অভিযোগটা আমার বরং হালকা, অন্তত একটা জিনিস শিখছে ওরা। কিন্তু আলীয়ার শিক্ষার্থীদের বাংলা শেখানো হবে অথচ তাদের বইতে থাকবেনা প্রখ্যাত সাহিত্যিকদের লেখা কারন শুধুমাত্র তারা হিন্দু বা অন্য ধর্মের বলে, এটা মেনে নেয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে সাহিত্য পড়ানো বন্ধ করে দেয়াই শ্রেয়! অথবা সম্পূর্ণ আলাদা পাঠ্যক্রম দেয়া হোক। ভেবে দেখুন, শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথ হিন্দু বলে তার সম্পর্কে জ্ঞানদান হচ্ছে না মাদ্রাসায়, কতোটা নিম্ন চিন্তা থেকে এটার সৃষ্টি হতে পারে!

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২১

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষাকে হাস্যকর বলা মানেই তো ইসলামিক জ্ঞান চর্চাকে হাস্যকর বলা।!!!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৪

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: প্রথম কমেন্টের মতো করেই বলবো, পোস্ট বোঝেন নি।

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৪

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'তৈলচিত্রের ভূত' এর পরিবর্তে 'তৈলচিত্রের আছর'! বাহ! সাহিত্যকর্মের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবও করা হচ্ছে!! আমি 'তৈলচিত্রের ভূত'ই পড়ে এসেছি, আমার কি ক্ষতি হয়েছে আমার জানা নাই!!

ভূত, নৃত্য এসব শব্দ উচ্চারণ করলেও কি গুনাহ হয়?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৮

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে 'সাপ্তাহিক জীন এফএম' অনুষ্ঠান আশা করছি। যতসব! B:-) B:-/

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৭

লুজার ম্যান বলেছেন: আমি মাদ্রাসা শিক্ষার পক্ষে তবে মাদ্রাসায় গনিত আর সাহিত্তের প্রতি বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন। লালনের কবিতা বা মানবধর্ম বিষয়ক কবিতা গুলা সুধু মাদ্রাসায় না স্কুল লেভেল থেকেও বাদ দেওয়া উচিত

১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থার সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে দেয়ার ব্যাপারে অনেক আলোচনা শোনা যাচ্ছে অনেক আগে থেকেই। যেহেতু এটা তুলে নেয়া হয় নি, সেহেতু বোঝা যায় যে এ শিক্ষা ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে কর্তৃপক্ষের শক্তিশালী যুক্তি রয়েছে। তাহলে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য আলাদা কারিকুলাম থাকাটাই সমীচীন মনে হয়। তবে তা সমসাময়িক অগগ্রতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।

আমি আমার শিক্ষা জীবনের কোনো পাঠ্যপুস্তকে লালন, জীবনানন্দ, জ্ঞানদাস, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ- প্রমুখের কোনো গান বা কবিতা পাই নি। শামসুর রাহমান বা আলমুদের লেখা তখনও পাঠ্যতালিকাভুক্ত না হলেও লালন বা জীবনানন্দ তো পুরোনো কবিই, তাঁদের কবিতা থাকতে পারতো। কিন্তু ছিল না বলে কি আমি তাঁদের সম্পর্কে কিছু কম জানতে পেরেছি? বা যদি এঁদের কবিতা পাঠ্যতালিকায় থাকতোও, তাহলে কি বর্তমানের চেয়ে আরও বেশি জানতে পারতাম? সাহিত্য জিনিসটা হলো উন্মুক্ত। যেখানে লালনের কবিতা রয়েছে, সেখানে হাসন রাজা, শাহ আবদুল করিম, বিজয় সরকার, প্রমুখের গানও থাকতে পারতো। এখন একটা দল যদি এই দাবি তোলে যে, কেবল লালন নয়, সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় হাসন রাজা, বিজয় সরকারের গান বা কবিতাও থাকতে হবে- তাহলে কি সেই দাবিগুলোও মানতে হবে? শিক্ষা ব্যবস্থার সীমিত কারিকুলামে সবকিছু সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য যেখানে ইসলামপন্থি একটা আলাদা সিলেবাস থাকা উচিত, সেখানে সাধারণ শিক্ষা থেকে মাত্র কয়েকটা তারতম্য থাকায় বরং এটাকে অনেক বেশি প্রগতিশীলই মনে হচ্ছে। এজন্য তাদের সিলেবাস থেকে লালন, জ্ঞানদাস প্রমুখের লেখা বাদ দিয়ে বাকিগুলো মেনে নেয়ায় আমাদের বরং খুশিই হওয়া উচিত, যে মাদরাসা শিক্ষা আমাদের সাধারণ শিক্ষার প্রায়-সমান্তারালভাবেই এগোচ্ছে। এটাকে হাস্যকর বলা ঠিক মনে করছি না।

পৃথিবীতে যত ধর্ম রয়েছে, ইসলামের চেয়ে অত্যাধুনিক, যুগোপযোগী, বিজ্ঞানসম্মত ও সহজ ধর্ম আর কোনোটিই নয় - এ কথা জ্ঞানীরা বলেন। ইসলাম একটা শক্তিশালী বিশ্বাসের উপর স্থাপিত। এ বিশ্বাসের সাথে কনফ্লিক্ট করে- মাদরাসা শিক্ষায় এমন কিছু যুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হবে। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম উন্মুক্ত। এটা এমন না যা একটা ছেলে মাদরাসা শিক্ষায় পাশ করার পর রবীন্দ্রনাথের নাম জানবে না, লালন বা হাসন রাজাকে চিনবে। তাদের সাধারণ জ্ঞানস্পৃহা থেকেই তারা এগুলো জানতে পারবে। যারা জানতে পারবে না তারা গোনার বাইরে। আমার ছেলে ইংলিশ ভার্সনে পড়ে। তাকে বাংলাদেশের ৫জন কবির নাম বলতে বললে হাঁপিয়ে ওঠে। পারে তো ৫ নম্বরে আমার নাম বলে দিয়ে ৫জনের নাম পুরা করে ;) যাদের সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ কম, তারা পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত লেখকদের নামও ঠিকঠাক মতো বলতে পারে না। অতএব, লালনের গান বা জ্ঞানদাসের কবিতা থাকা বা না-থাকা খুব একটা পার্থক্য যে সৃষ্টি করবে, তাও না।

পুরো ব্যাপারটা হলো দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। এ ব্যাপারটা কারো কাছে হাস্যকর মনে হলেও এদেশের বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু গৃহীত পদক্ষেপটাকেই সাধুবাদ জানাবে।

আসুন, বিতর্কে না জড়াই।

শুভ কামনা।

১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: মনে হচ্ছে যেন সেই মধ্যযুগীয় ব্যাবিস্থায় পৌছে গেছি!

আমি মাদ্রাসা শিক্ষা আর ইংলিশ মিডিয়ামের কোনটাকেই ভালো মনে করি না। এরা মানুষ গড়ার চেয়ে একটা সম্ভাবনাকে নষ্টই করে বেশি।

১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: মামা হাসি পা্য়লো আপনার কথা শুনে যে মাদ্রাসায় রবিন্দ্র নাথ পড়ানো হয় না তাও আবার আলিয়া মাদ্রাসা গুলোতে!। আমার পরিক্ষা না থাকলে আমি আপনাকে ঠিক এ সব প্রশ্নের উত্তর গুলো দিয়ে যেতাম আমি ছোট মানুষ সবে এই,এস,এসসি দিতেছি তাই পরিক্ষার জন্য অন্য বিষয়ে আপাতত মাথা দিচ্ছি না আর নেটে একে বারেই আসা হয় না, যার ফলে আপনাকে কনটিনিউ উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে না তাই আর উত্তর দিয়ে একটিব থাকলাম না।

১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৫৩

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: কমেন্ট নং ৫ এবং এই কমেন্ট ডিলেট করে দিন, প্লিজ। ধন্যবাদ।

২০| ০৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

মুনতাসীর রোমান বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষার চেয়ে ভয়াবহ সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা যেখানে প্রাইমারি লেভেলের বাচ্চদের একই সাথে কোরআন মুখস্থ করানো হয় , পঞ্চম শ্রেণীর সব বই পড়ানো হয় , আবার মাদ্রাসার আরবী ও কোরআন বিষয়টি পৃথকভাবে পড়ানো হয় ।ক্লাস আর পড়া মিলিয়ে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ ঘন্টা বইয়ের সামনে কাটানোর পর শৈশব আর বাকি থাকে কই ।

২১| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সামহোয়্যারইন ব্লগের কবিব্লগারদের স্ব-নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা নিয়ে একটা পোস্ট তৈরি করছি। আপনার অংশগ্রহণ এ পোস্টকে মূল্যবান করবে। ফেইসবুকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া আছে।


শুভেচ্ছা।

২২| ১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৬

আজব গোয়েন্দা বলেছেন: লেখক ভাই আমার কিছু কমেন্ট আর আমাকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া তার নিজের কমেন্টও ডিলেট করেছেন কেন বুঝলাম না যার ফলে আমার বাকি কমেন্ট গুলোকে নিজের কাছে পঙ্গু মনে হচ্ছে আবার আমার কমেন্টের মোর ঘুরে যাচ্ছে অন্য দিকে।! ইচ্ছে হলে সব গুলোই ডিলিট করে দিন আমার পঙ্গু কমেন্ট খানা এখানে থাকা সন্তুষ জনক নয়

২৩| ১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

খাটাস বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে আমার দ্বৈত অনুভুতি জাগছে।
আপনি যে টপিক টা নিয়ে কথা বলেছেন, তা খুব ই গুরুত্ত পূর্ণ নিঃসন্দেহে। এদেশে ধর্ম শিক্ষার নামে অনেক আলেম শিক্ষার্থী নির্বিশেষে ধর্ম প্রাণ মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িকতা ঢুকিয়ে দেয় ধ্বংসাত্মক মনোভাবের মত করে। তা কোন আলেমের অজ্ঞতা কার ও ধৃষ্টতা। প্রকারভেদ না করে আলেম নিয়ে কটু কথা বললে তা তো সেই আলেম দেরই অস্ত্র হয়ে যায়। কেও আপনার পোষ্টের দেয়া হেডিং দেখাবে অজ্ঞতা থেকে কেও ধৃষ্টতা থেকে।
যেহেতু দেশের চলমান পরিস্থিতিতে লীগকে, সাম্প্রদায়িক রা যত টা না তার চেয়ে বেশি ধর্ম বিদ্বেষী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, ধ্বংসাত্মক সাম্প্রদায়িক মনভাবের গোষ্ঠীর মাঝে। সেক্ষেত্রে উস্কানি মুলক বক্তব্য অবশ্যই সু চিন্তিত বলে মনে করি না। যদি বলেন আমার যা খুশি আমি বলব, যে বোঝার বুঝিক, আর না বুঝলে নাই। তবে বলব, যেহেতু আপনাকে লীগ সরকারের প্রশংসা করতে দেখা যায়, সেহেতু আপনার বক্তব্য কে কেও নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরে সাপ্রদায়িক গোষ্ঠী কে উস্কে দিতে চায় আপনার দলীয় মতবাদ হিসেবে চালিয়ে - এ দায়ভার যেমন তাদের , তেমন আপনার ও। তাদের নিয়ন্ত্রন করার আগে নিজে কে নিয়ন্ত্রন করা টা নিজের হাতে। বুদ্ধিজীবীরা যখন সেনসেটিভ ব্যাপারে যথেষ্ট সুশীলতার পরিচয় দেন না তখন তাকে আমরা উগ্র ধার্মিক বা উগ্র নাস্তিক বলেই জাতির কাছে দাড় করাই।

আপনার নিজস্ব মতবাদের ব্যাপারে যারা কিছুটা জানে, তারা আপনার বিপক্ষ মত বাদের হলে যেমন আপনার ভাল দিক বাদ দিয়ে খারাপ দিক গুলোতেই তর্কে জড়াবে, আপনি ও তাই করবেন বিপক্ষ মতের ক্ষেত্রে বা করছেন অন্তত আমার দেখা মতে।

আর সোনাবীজ ভাই এর সাথে একটা ব্যাপারে একমত। সায়েন্স যেমন কমার্সের বেসিক ব্যাপার ও অন্তর্ভুক্ত করবে না স্ট্রাটেজিকাল কারনে। ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা ও কখনই এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত করবে না- যা সেই ধর্মের সাথে সাঙ্ঘারসিক। সেটা নিয়ে সমস্যা দেখি না। এখানেই আপনার সাথে সহমত- সাপ্রদায়িকতা ইঞ্জেক্ট করার পদ্ধতি টা ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এক্ষেত্রে আলেম দের সচেতন হয়ে ব্যাপার টা ব্যক্ষা করা উচিত মনে হয়। জেহাদ আর ধর্ম প্রচার , অন্যের অপরাধ নিয়ে প্রতিবাদ করা শেখানোর আগে, ক্ষমা, সহনশীলতা আর আত্মশুদ্ধি শেখান উচিত- যা চলমান অবস্থা দেখে মনে হয় না, সে চর্চা আছে।

জোড় করে অন্য কে ধর্ম শেখাতে গেলেই যেমন সংঘাত সৃষ্টি হয়, জোড় করে বিজ্ঞান শেখাতে গেলেও সেটাই হবে।

গুরুত্ত পূর্ণ বিষয়ে আর ও নমনীয় হউয়া উচিত যদি উদ্দেশ্য সৎ হয়।

আমি যত টুকু জানি, আপনার প্রথম দিকের একটা পোস্ট থেকে, কোন এক শিবির আপনাকে দা বটি জাতীয় কিছু একটা দিয়ে জেহাদ করতে বলেছিল, তখন থেকে আপনি তাদের দেখতে পারেন না।
আমি জানিনা, আপনি কত গুলো শিবির, ছাত্র দল, আর ছাত্রলীগ দেখেছেন। একটু বেশি দেখলে হয়ত ছাত্র দল আর ছাত্র লীগের নেতা আপনাকে অস্ত্র দিয়ে মাইর পিটের অফার বা আদেশ করেছে এমন পোস্ট ও থাকত আপনার লক্ষাধিক হিট এই ব্লগে।
অস্ত্র সব নেতারাই দেয়, কেও জান্নাতের লোভ দেখিয়ে, কেও টাকা আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে। এক চোখে দেখতে গেলেই নেতাদের অফার বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত রাগ আর আত্ত অপমান থেকে মাইর পিট গালাগালির দিকে যেতে হয়।
আপনার কাছে আর ও সুন্দর প্রেজেন্টেসন আশা করা উচিত বলেই বিশ্বাস করি।
ভাল থাকবেন আশা করি।

২৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১২

এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১

সুমন কর বলেছেন: অাপনার ব্লগে এসে দেখলাম, অাজ অাপনার জন্মদিন। তাই

জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো..........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.