নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিকভ্রান্ত পথিক

দিকভ্রান্ত*পথিক

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে!

দিকভ্রান্ত*পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্ন ফাঁশঃ সর্বনাশের এ কোন পথে বাংলাদেশ?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:০৫

কোন এক সময় এক ব্যক্তির আশ্রয় হলো পশু চামড়া ব্যবসায়ীর ট্যানারীর পাশে। দুর্গন্ধে টেকা দায়। বেচারা প্রতিদিন অভিযোগ করতে থাকে। কিন্তু ট্যানারী মালিকের জবাব ছিল ওই একটাই, 'আর দুইটা দিন সময় দিন। ঠিক করে ফেলব।' এভাবে মাসের পর মাস চলে যেতে লাগলো। এক সময় অভিযোগ আসা বন্ধ হয়ে গেলো। জনৈক ব্যক্তির চামড়ার দুর্গন্ধে অভ্যেস হয়ে গেছে ততদিনে।



জাফর ইকবাল স্যার তার একটি লেখায় প্রশ্ন ফাঁসে বিচলিত হয়ে আবেগী এক শিরোনাম দিয়েছেন, 'দোহাই, আমাদের শিশুদের ক্রিমিনাল বানাবেন না।'



স্যারদের মতো দুই একজন আকুতি জানিয়ে যাবে তবে আমাদের একসময় এসব সয়ে যাবে। ওই ট্যানারীর পাশে বসবাসরত মানুষটির মতো। এক সময় আমরা অভিযোগ করতেও ভুলে যাব, নির্বিকার হয়ে যাব। এই চিন্তাটা স্রেফ আতংকিত করে!



এসএসসি, এইচএসসির পরে এবার জুনিয়র বোর্ড পরীক্ষাগুলোতেও প্রশ্ন ফাঁসের নেক্কারজনক ঘটনা ঘটলো। এর প্রভাব শুধু দুই একজন শিশুর উপরে পড়বে ভাবলে তা হবে মস্ত ভুল। একটি মেধা শুন্য জাতির দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা! অভিভাবকদের বিবেক বর্জিত প্রত্যাশার চাপ সবাইকে এই পথে ঠেলে দিচ্ছে। সায় দিচ্ছে অনেক অভিভাবক, অনেকে আবার নিজ উদ্যোগে ছেলে মেয়েদের হাতে তুলে দিচ্ছে আত্মহননের হাতিয়ার! বিষাক্ত কাগজগুলো। ছোট ছোট শিশুরা শিখছে অন্যায় করার উপায়। এরা বড় হয়ে প্রশ্ন ফাঁসের আশায় থাকবে না তো কি করবে? এরা দুর্নীতি করবে না তো কারা করবে? এরা অপরাধী হবে না তো কারা হবে?



এই আঘাতটা অনেক বড় আঘাত, এই আঘাতটা আমাদের শিক্ষায়! জাতির মেরুদন্ডে। আর একটি জাতিকে ধ্বংস করতে তার শিক্ষা দীক্ষায় নষ্টামির বীজ বপণ করে দেয়াই যথেষ্ট। এই ঘৃণ্য চক্রান্তে সবাই সোল্লাসে মেতেছি, পরিণাম যে কতোটা ভয়াবহ হতে পারে তা চিন্তা করছেনা কেউ।



সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা কোলাপ্স হতে যাচ্ছে এসবের পরিণামে। ধ্বংস হতে চলেছে এগিয়ে যাবার, পরিশ্রম করে মেধাকে শানিত করার স্পৃহা।



গত শাসন আমল ও এবারের সময়টুকু মিলিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সবচে বড় ব্যর্থতা আমার দৃষ্টিতে এটিই। শিক্ষামন্ত্রীর আচরণও ছিল যথেষ্ট শিশুসুলভ। প্রথমে তো তিনি প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টিই অস্বীকার করলেন। এখনও মেনে নিতে চাইছেন না নিজেদের ব্যর্থতা, সিস্টেমের ব্যর্থতা! যদি সমস্যাকেই স্বীকার করা না হয় তবে সমাধান আসবে কি করে? শিক্ষামন্ত্রীর উচিত এ বিষয়টির দ্রুত সুরাহা করা। আর যদি তার সামর্থ্যে না কুলায় তবে যোগ্য লোকের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করে পদত্যাগ করা।



আর ব্যবস্থা গ্রহণ মানে ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি বিরুপ আচরণ নয় মোটেই, যেটা এখন পর্যন্ত তিনি বক্তব্যে বা কার্যকলাপে প্রকাশের চেষ্টা করেছেন। সমস্যা সিস্টেমে, সমস্যা প্রশ্ন তৈরির ব্যবস্থায়, সমস্যা প্রশ্নের নিরাপত্তায়। এগুলোর সমাধান করতেই হবে শিক্ষামন্ত্রীর!



অন্যথায় তিনি শুধু সরকার কিংবা তার গদিকে বিপদে ফেলবেন না, ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবেন সমগ্র জাতির জন্যই।







মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২১

ঢাকাবাসী বলেছেন: এত অপদার্থ শি.ম. এদেশের মাটিতে আর আসেননি।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


পরিস্থিতি ট্যানারি মালিকের মতোই!
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন এর প্রধান কারণ.... একে সামাল দিতে পারছে না সরকার... :)

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

অনেক দিন পরে দেখলাম আপনাকে।

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী ভাবখানা এমন যেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় নি তো, শুধু সাজেশনটাই ১০০% কমন এসেছে। :#) /:) /:)

আমরা প্রকারন্তে আমাদের দেশের শিশুদেরকে হত্যা করছি।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: অন্য যে মডেলগুলো বাংলাদেশে চালু আছে শিক্ষা মন্ত্রী তা কেন অনুসরন করছেন না। আমার ছেলে ও মেয়ে কেউই নকল করার সুযোগ বা প্রয়োজন বোধ করেনি কারন প্রশ্ন আনসিন । প্রতিমাসে ক্লাস টেস্ট, মিডটার্ম ও ফাইনালে গিয়ে এক্সট্রা কোন চাপ ছাড়াই ভালো করছে। হ্যাঁ খাটতে হয় প্রচুর। যে পরিমান বিশৃঙ্খলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেকে বসেছে তাতে একটা দারুন ঝাকুনি দরকার।

আমি ৭৫সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় প্রথম ছোট প্রশ্নপত্র পাই যাতে ৩৫ টি প্রস্নের মধ্যে ২০ টির উত্তর দিতে হবে। ভালো লেগেছিল দেখে ও লিখে। গতকাল একজন উত্তপ্ত নাহিদ উচ্চস্বরে ফেসবুক বন্ধের কথা বললেন কিন্তু বি জি প্রেস বা প্রশ্নকারীদের গোটা টিমের কথা বললেন না। কোচিং সেন্টার ওখান থেকেই তোবারক পায় । মন্ত্রী বলবেন যে আমার প্রশ্নকারদের পি সি তে পেনড্রাইভ অপশন নেই। শুনুন মন্ত্রী নাহিদ, পকেটে আধুনিক মোবাইলে ব্লু টুথ চালিয়ে পকেটেই কপি করা যায় এটা কি জানেন আপনি? হ্যাঁ এভাবেই প্রশ্ন বেরিয়ে আসছে বাইরে। একটা জেনারেশন শেষ করে দিলেন আপনারা যা ২০০৫ সালে শুরু হয়েছিল ।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ২য় ভালোলাগা ভ্রাতা +

অনেকদিন পরে এসে যথারীতি স্বভাবসুলভ সমসাময়িক সমস্যা ও সচেতনতামূলক পোস্ট ।

আপনাকে অনেকদিন পরে আবার দেখে ভালো লাগলো খুব , আবার নিয়মিত হওয়ার অনুরোধ করছি ।

অনেক শুভকামনা ভ্রাতা :)

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

মামুন রশিদ বলেছেন: একটি মেধা শুন্য জাতির দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা!


সহমত ।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: এইসব ঘটনা খুবই দুঃখজনক ।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

আলম দীপ্র বলেছেন: দেশের যে কি হচ্ছে ! কে জানে !

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

তুষার কাব্য বলেছেন: এভাবেই চলছে,চলবে ।আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব আর দীর্ঘশ্বাস ফেলব।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৯

আবু শাকিল বলেছেন: ভাইয়াকে ব্লগে অনেকদিন পর দেখলাম।

সময়োপযোগী লেখা।
শুভেচ্ছা জানবেন :)

১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২০

আবদুল্লাহ আল কাফী বলেছেন: কোন জাতি ধ্বংস ক হাতিয়ার হচ্ছে তার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা। আর সে চেষ্টাই চলছে আমাদের প্রিয় দেশে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.