নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ (১) ও ৩৯ (২)(ক) এবং মানবাধিকার সনদ(UDHR) এর অনুচ্ছেদ-১৯ ও অনুচ্ছেদ-২৭ বিশেষভাবে উল্লেখপূর্বক; “অন্ধবিন্দু”- ব্লগ পাতাটির লেখককর্তৃক গৃহীত ও ব্যবহৃত একটি ছদ্মনাম মাত্র।

অন্ধবিন্দু

.

অন্ধবিন্দু › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালি কলস ভরা কলস; অন্ধবিন্দু নহেন অবশ

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২


মানবতার খাতিরে মানবতাকে নির্ণায়ক ধ’রে সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলাটা মনুষ্যজাতির জন্য স্বাভাবিক। মার্ক টোয়েন বলছেন― যে সবার সাথে তাল মিলিয়ে চেলে; সে ব্যক্তিত্বহীন। আসলে তাল মিলিয়ে চলা মানে এই নয় যে; স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতে হবে। গা ভাসিয়ে দিলে বরং মানবতারই ক্ষতি। রবীন্দ্রনাথ বলছেন- যুদ্ধ করার চেয়ে সন্ধি করার বিদ্যাটা ঢের দুরূহ। কারণ, যুদ্ধ লাগলে যুদ্ধকে যুদ্ধ দিয়েই থামানো যায়। রবিবাবু যে সন্ধি-বিদ্যার কথাটা বলছেন এটা অর্জন করতে যুদ্ধটা করাটা কিন্তু জরুরী। গড়ার জন্যই ভাঙতে হয়। এমনই বাধ ভাঙার আওয়াজ বা স্রোত যদি মানবতার পানে ছুটে চলে আমি শুধু ওতে গা ভাসিয়ে দিবো নে; সাঁতরানোর চেষ্টা করতেও রাজি আছি। এ হলো সামহোয়্যারইন...ব্লগের সাথে আমার মুখ্য বন্ধন। এছাড়াও আরো তিনটে সম্পর্ক রয়েছে―বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা ও গণমানুষ। ‘অন্ধবিন্দু’ সকলসূত্রে বাঙালি-বাংলাদেশি, বাংলা তার মাতৃভাষা, তিনি বাংলাদেশের গণমানুষদের একজন। থার্মোডায়নামিক্সের সেকেন্ড ল ’র কথাই ধরুন বা নিউটনের থার্ড ল; গণমানুষ ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ভেসে চলে পারিপার্শ্বিকতা দ্বারা। পারিপার্শ্বিকতা/পরিবেশ তাকে স্বাধীনতা দিয়েছে কিন্তু তবুও সে পরাধীন। ‘পর’ হচ্ছে আমাদের মানবতা। এবং মানবতার পর হচ্ছে বিবেকহীনতা। বিবেক জন্মগতভাবেই মানব-অঙ্গ। অঙ্গটিকে কর্মক্ষম করতে লাগে কতক শিক্ষা। শিক্ষা যেমনি আসতে পারে পরিবার-সমাজ-জাতি-রাষ্ট্রের দৈনন্দিন অভ্যেস থেকে তেমনি অভ্যেসও নির্মিত হয় ব্যক্তির সাথে প্রকৃতির বোঝাপড়াকে কেন্দ্র করে। মানুষ; রক্ত-মাংস, আবেগ-পার্শ্ববেগ, ভুল-ত্রুটি, লোভ-পাপ আর ভালভাবে বেঁচে থাকার মোহ নিয়ে প্রচলিত সমাজ কাঠামো আঁকড়ে আছি। প্রচলিত পরিধিকে নেগেটিভ সেন্স করতে পারেন আপনারা। আবার বলতেও পারেন, যুগযুগ ধরে চলে আসা পরম্পরা-কৃষ্টি-কালচার দুহাত জড়িয়ে রাখার মধ্যেই তো সামাজিকতা নিহিত। কিন্তু ইতিহাস ঘেঁটে বলুনতো, পৃথিবীর কোনও জাতি-গোষ্ঠী কি কয়েক-যুগ আগে যেমন ছিল আজ কী তেমনটাই আছে ? প্রতিজবাব: নেই। আমরা যতোই অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষার কক্ষপথে উন্নততর সভ্যতার কথা বলি না কেনও, এ সবই হল উপসর্গ; আমাদের মূল শব্দটি হচ্ছে মনুষ্যধর্ম। পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরপুরুষে এক্সটেনশন হতে হতে ক্ষুধা-কামনা-যাতনার অস্তিত্ব যেমন লোপ পায় নি। সে অস্তিত্বে প্রকৃতিমাতা ‘মনুষ্যজাতির’ ইনটেনশনটি কমিয়েও দেয় নি। এই এক্সটেনশন এবং ইনটেনশনের পারস্পরিক যথার্থতা বজায় রাখতে ইউনিভার্সাল ব্যালেন্সের হাতে রয়েছে দুটো অস্ত্র― ১।ভয় ২।আকাঙ্ক্ষা। তাঁর গ্রাহকরূপ অবশ্য পৃথিবীর সকল প্রাণিতে মূর্ত-বিমূর্ত অবস্থায় আছে, কিন্তু মানব প্রজাতিতে সরাসরি মূর্ত। এবং মানুষের মূর্ততা বিচিত্রমুখী। আর এই বিচিত্র-মুখী/হরেক রকমকে আমরা বলে থাকি ‘ইউনিক’।

সামহোয়্যারইন...ব্লগের সাথে আমার যে চারটি সম্পর্কের কথা বলছিলুম, সেগুলোও আমার পক্ষ থেকে অত্যন্ত ‘ইউনিক’। যদিও ব্লগটি ব্যবহারের সকল শর্তাবলী সম্বন্ধে অবগত হ’য়ে ‘অন্ধবিন্দু’ র ব্যক্তি মানুষটি এই নিকটিকে নিবন্ধন করেছিলেন। এবং তার ব্লগিং আচরণ সেসব শর্তাবলী মেনে চলতে যথেষ্ট আন্তরিক। আমি জানি, সামহোয়্যারইন...ব্লগ বাঁধ ভাঙার আওয়াজ, মাতৃভাষা বাংলায় একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুবিধা প্রদানকারী প্লাটফর্ম। তবে এখানে প্রকাশের রীতিনীতি ব্যবহারের শর্তাবলী(টার্মস এন্ড কন্ডিশন) মারফত নিয়ন্ত্রিত। সামহোয়্যারইন...ব্লগ, আমাকে উন্মুক্ত ও স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের উৎসাহ/অধিকার দিয়েছে এবং স্বাধীনতার ব্যাপকতা-মস্তিষ্কটিকে ড্র করছে এই ব’লে “যতক্ষণ না তা রাষ্ট্রীয় আইন বা অন্যের ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে।” ব্যক্তি আমার যখন, সে শিক্ষাটুকো আছে যা রাষ্ট্রীয় আইন ও অন্যের ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতি মানবতার খাতিরে মানবতাকে নির্ণায়ক ধ’রে তাল মেলাতে জানে। তাই সামহোয়্যারইন...ব্লগ আমাকে নিরাপদ মনে করতেই পারে। আবার আমিও ততক্ষণই এ বাধ ভাঙার আওয়াজ বা স্রোতে সাঁতরানোটাকে নিরাপদ জ্ঞান করছি যতক্ষণ ইহা আমার চারটি সম্পর্ককে সমভাবে মূল্যায়ন করে যাচ্ছে।

যাচ্ছে কি ? এর উত্তর আমি কখনো সামহোয়্যারইন...ব্লগ থেকে একক-বিবেচিত দৃষ্টিতে নেই নি। এ বিবেচনা সংশ্লিষ্ট-বোধ সম্পর্কিত ধারনাগুলোকে বিশেষ জ্ঞান কর্তৃক যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় পরিক্ষিত হবার পরই সিদ্ধাতে আনা হয়। ব্লগটি আমাকে আজ পর্যন্ত আশাহত করে নি। হ্যাঁ! এর পরিচালনা বা এতে প্রবেশকৃত বাতাবরণ নিয়ন্ত্রণের যে চিন্তা-ধারাটি রয়েছে তার সাথে আমার দ্বিমত রয়েছে। কিন্তু তা সামান্য। যদি কখনো তা বোল্ড হ’তে শুরু করে। আমি অবশ্যই ব্লগটিতে পোস্ট করে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মসিদ্ধ যোগাযোগ করে জানাবার পক্ষপাতী। অন্যত্র একে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাটা আমার বিবেচনায় অসঠিক একটি কাজ।

ব্লগে নিবন্ধিত অর্থাৎ ব্লগটির ব্যবহারকারী হিসেবে যদি আমাকে ব্লগার বলেন। হা! তাহলে আমিও একজন ব্লগার। মন্তব্যের উত্তরে, ব্লগের কারিগরি প্রক্রিয়াটি আমাকে ‘লেখক বলেছেন’ উল্লেখে লেখক ব’লে পরিচয় করিয়ে দেয়। হা, যিনি লিখেছেন তাকে লেখকই-যে বলবে! তবে আমি নিজেকে ব্লগার বা লেখক ভাবতে অনিচ্ছুক। কারণ বর্তমান ইন্টারনেট-বিশ্বে ব্লগার ক্রিয়াটির যে ‘স্ট্যান্ডার্ড’ দাঁড়িয়েছে; আমার পক্ষে, সেটিতে ধারণ করতে পারার মত সময় ও শ্রম বিনিময় করা সম্ভবপর নয়(অনাকাঙ্ক্ষিত কতক ঘটনা বাংলাদেশে সাধারণ মানুষদের মাঝে ব্লগার উপাধিটিকে অত্যন্ত বাজে ভাবে হেয় ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। অসামাজিক/বিকৃত মস্তিষ্ক/কুশিক্ষায় শিক্ষিত/মানসিকরোগী স্বল্পসংখ্যকদের দায় পুরো ব্লগার-সমাজ কেনো নেবেন। বাংলা ব্লগে এমন অনেক ব্লগার আছেন যাঁরা মানবতা, দেশ ও দশের সেবায় অনলাইনে অফলাইনে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের লেখা দিয়ে সমাজের নানা গোঁড়ামি-ভণ্ডামি-কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর-দরিদ্রতামুক্ত-সুখী বাংলাদেশের স্বপ্ন বুকে লালন করছেন। সুতরাং আমি আশাকরি ধীরে ধীরে সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে এ অপবাদটিও ঘুচে যাবে)। পৃথিবীর গুণী লেখকেরা যা লিখে গেছেন যেমন আমাদের বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি যাঁদের লেখালেখিতে সমৃদ্ধ হয়েছে― তাঁদের লেখা পড়ার পর নিজেকে লেখক বলতে বড় লজ্জা লাগে। তাই আমি লেখক নই, ব্লগারও নই।

ব্লগে খ্যাত কোনও সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিক বা সেলিব্রেটিদের লেখা/পোস্ট খোঁজ করতে আসি নে। এখানে তথ্য বা তাত্ত্বিক জ্ঞান তল্লাসেও আমার আগ্রহ নেই। আমার নিকটে প্রচুর গ্রন্থ আছে। বই সংগ্রহের নানা মাধ্যম আছে। অনলাইনে বিশ্বস্ত বহু সাইট আছে। যা থেকে আমি আমার প্রয়োজন পূরণ করে নিই। সংবাদ/নিউজ জানার জন্য প্রধান মিডিয়াগুলো ২৪ ঘণ্টা পাশেই থাকে। জিজ্ঞাসা হ’তে পারে, তাহলে ব্লগে কি করছি আমি! ‘সামহোয়্যারইন...ব্লগ’ নিঃসন্দেহে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। এর মূলে রয়েছে অনলাইন সমাজের গণমানুষ, যারা ব্লগটিতে অবাধ চলাচল করতে পেরেছে ও পারছে। একটা কালের কথা―যখন বাংলায় লিখতে হ’লে এই ‘সামহোয়্যারইন...ব্লগ’ সে সুবিধা প্রদানকারী একমাত্র প্লাটফর্ম ছিল। কালে কালে সময় গড়িয়েছে; প্রাযুক্তিক সহজলভ্যতায় অন্যান্য আরও বাংলা-ব্লগিং প্লাটফর্ম এসেছে। তবে জনপ্রিয় হয়ে উঠা ব্লগটি আজও তাঁর অবস্থান ধরে রেখেছে। নিজেকে আধুনিক-শৈল্পিক-মানবিক করে তুলেছে আরও। আমি ব্লগে আসি আমার দেশের গণমানুষ, নাগরিকদের ভাবনা জানতে। তারা দেশে থাকেন, প্রবাসে থাকেন―তাঁদের ভাবনায় থাকে দেশের রাজনীতি থেকে শুরু করে জীবন-যাপন, বিভিন্ন অন্তরায়, সমস্যা-সমাধান, ধর্মচিন্তা, এবং জীবিকা-মুখী দর্শন। কেউ ডায়েরির মত করে লিখে যান আত্মনুভূতির কথা, তো কেউ তার অভিজ্ঞতার আলোকে প্রকাশ করেন ব্যক্তি জীবন ও পরিপার্শ্ব-পরিস্থিতির বর্ণন। আমি ব্লগের সেসব লেখায় পাঠক হই, বুঝার চেষ্টা করি কেমন আছে আমার বাংলাদেশ। এ দেশের সাধারণ জনতা কেমন করে ভাবছে। কি তাঁদের প্রত্যাশা। কোথায় কতটা তাঁদের হতাশা-ক্ষোভ-অভিমান। সাধারণ মানুষের চিন্তাও যে কতখানি অসাধারণ হ’তে পারে তার অন্যতম প্রমাণ এই ‘সামহোয়্যারইন...ব্লগ’। আবার ভাববেন না যেনও আমি হয়তো অসাধারণ। না! আমি তেমন কেউই নই। বরং নগণ্য ও অতীব-নির্বিশেষ। গরিব গরিব ভাই ভাই; সাধারণ আমজনতা আমরা, আমাদের লিখিত/ব্লগিত চিন্তা-চেতনায় মিলেমিশে একাকার হয়ে যাই। গণ-মানুষের জীবন-ভাবনারাজ্য-অভিজ্ঞতাও যে বিশাল এক বই, জানেন তো ?

সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য ফেসবুকের বর্ণিল-রঙে রঙিন হ’তে আমাদের জনসাধারণ ওখানেই বসতি স্থাপন করেছেন। আগের মত সে জনসমাগম ব্লগটিতে আর দেখি নে। আমারও তেমন একটা আসা হয় না। তবে টান রয়ে গেছে ব্লগের নীল আঙিনায়। যে বন্ধন ছিন্ন করাটাও অনুচিত। তাই ফিরে ফিরে আসি, সহব্লগারদের সাথে দুটো ভাবনা-মত আদান-প্রদান করি। নিকটি থেকে ব্লগে খুব একটা লেখা পোস্ট করা হয় নি। ব্লগের খাতায় লিখতে বসেছি, কারও পোস্ট দেখলাম, পড়লাম, মন্তব্য লিখলেম; ঘড়িতে তাকিয়ে অতঃপর লগআউট! ড্রাফটে এমন বেশ ক’টি পোস্ট অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে যা শুরু করেছিলাম আর শেষ করা হয় নি। আরেকটা বিষয় কাজ করে, সবাই লিখে যাচ্ছে; আমি না-হয় পাঠক হয়েই থাকলাম। সব মাধ্যমে লিখতে হবে কেন! এত লিখে কি হয় ? হাহ হাহ হা।

তাই অন্ধবিন্দুকে তার নিজের ব্লগ-পাতায় পাবেন না। তিনি দেখা দেবার চেষ্টা করেছেন অন্যদের করা পোস্টে কৃত-মন্তব্যে। মন্তব্য-পঠন-মতামত-ব্লগিং নিয়ে অনেক কথা যা প্রায়ই শুনি―লেখা না পড়েই মন্তব্য, তোষামোদি প্রশংসা, মন্তব্যের বদলে মন্তব্য, হিট, মাল্টিনিক, সিন্ডিকেট, গ্রুপিং, হেনো-তেনো আর কি কি যেনোও আছে এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না। এসব নিয়ে ভাবার মত সময় কই। আমি চাইও নে এতদ তুচ্ছ বিষয়ে তার ব্যয়/অপচয় করতে। পৃথিবী মঙ্গলে চলে গেছে, বিজ্ঞানের এতগুলো শাখা-প্রশাখা দিনদিন তার বিস্তার ঘটিয়ে চলছে, বিশ্বসাহিত্য-ইতিহাস-সঙ্গীত-সংস্কৃতিতে নতুন নতুন সব নিরীক্ষা-ধর্মী গবেষণামূলক কাজ হচ্ছে। ওসবে খেয়াল নেই, লেখাপড়ার খবর নেই, কৌতূহল শূন্যতে এমনি যারা অনলাইনে পড়ে আছে যতসব চাইল্ডিশ কাজকারবার নিয়ে―এদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমি দোয়া করি আল্লাহ সুমতি দিন। গুণে-মানে-জ্ঞানে বড় হোক, পরিণত হোক।

কে ব্লগার, কোথায় লিখলে ব্লগার, কিভাবে লিখলে ব্লগার, কি বিষয়ে লিখলে ব্লগার; এসব প্রশ্ন আমার নিকট মৌলিক মনে হয় নে। মৌলিক প্রশ্নটি হচ্ছে, হোয়াট ইজ দ্যায়ার ইনটেনশন এন্ড ভিশন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক বিপ্লব ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আগামীকাল নয়া নামের নয়া কোনও ফোর্সের আবির্ভাব হতে পারে। ব্লগার নাম/উপাধির ভাষান্তর হতে পারে। ঠিকতাই, ব্লগার বলতে আমি সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে চাই নে। আমার হাইপোথিসিস/কনসেপ্ট এখানটাতে; তিনি একজন ব্লগার―অনলাইনের যিনি বা যাঁহারা: কেবল নিজের আবেগ বিবেচনায় রেখে মতামত প্রকাশ করেন না বরং বিবেকের সাথে প্রজ্ঞার যথাসম্ভব প্রয়াগ ঘটিয়ে উক্ত মতামতটিকে গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করেন। তিনি সমস্যা লিখেন সমাধানের মত করে। তিনি নাগরিক সাংবাদিকতা করেন আড়ালের সংবাদ নিয়ে। তিনি গণ-মানুষের জন্য কথা বলেন ঠিকই তবে সেটা হয় কুসংস্কার ও প্রচলিত ভুল মুক্ত। তিনি তার লেখা/সুকুমার বৃত্তিতে থাকেন আপোষহীন তাদের সাথে; যারা অশুভ কোন মহলের স্বার্থ হাসিলের জন্য, প্রকৃত সত্য ও তথ্য লুকিয়ে লেখালেখি করে জনতার চোখে ভেলকি লাগানোর চেষ্টা করেন। তিনি তার সৃজনে সতর্ক থাকেন এবং তর্ক-সমালোচনায় হোন সু-তার্কিক। তাহলে যিনি অনলাইনে দিনলিপি রাখছেন, অথবা লিখছেন তাঁর ব্যক্তিবিশেষের কোনও অনুদাত্ত স্বর। তিনি কি ব্লগার নন ? উত্তরে বলবো অনলাইনে যে যাই করুক, ব্লগার উপনামটি আসলে তার কাজের ধরন হওয়া উচিত দায়িত্বশীল। ইন্টারনেটের কল্যাণে যে কেউ খোলা খাতায় লেখার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রচুর অনাবৃত তথ্য রয়েছে হাতের নাগালে। এখন উইকি জাতীয় সাইট থেকে লিংক উল্লেখ করে উক্ত-বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন এমন ব্যক্তি/ভার্চুয়াল নিক তুলে ধরছেন তার মতামত। আমার ভাল লাগে এ প্রয়াসটি। কারণ যত জানা যায় প্রশ্ন করার বা উত্তর দেবার ক্ষমতাও তত বাড়তে থাকে। তবে এও গণনায় রাখতে হবে, তথ্য মাত্রই নলেজ নয়। ত্রিশ-চল্লিশ বছর পড়াশোনা করে কোনও বিষয়ের উপর জ্ঞাত হওয়া আর দু-চার ঘণ্টা পড়েই জান্তা হবার মধ্যে বিশাল পার্থক্য। পারিশ্রমিক হোক বা বিনা-অর্থে, ব্লগারগণ সবসময়ই অনলাইনের এলিট শ্রেণি। হয়তো আজ থেকে আরও দশ বছর পর পৃথিবীর মানুষ প্রায় পুরোপুরি ইন্টারনেট-নির্ভর হয়ে পড়বে। বাস্তবিক জগতে যেমন বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ ভূমিকায় রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ব্লগার জাতটি অনলাইনের সে ভূমিকায় নিজেদের প্রতিধ্বনিত রাখবেন। আমরা সাধারণ জনতা, হোক্সে বিভ্রান্ত হবো বারংবার। ব্লগারগণ হবেন না। দে নো দ্যা ওয়ে টু―নট বি।


আমি লেখকের নাম দেখে লেখা-টেখায় মন্তব্য করি নে। আগে লেখা তারপর লেখক। লেখকের নাম বিচার করে পড়ার ইচ্ছা থাকলে কমিউনিটি ব্লগে আসার দরকার কী! লেখার মান যেমনই হোক, বিষয়বস্তু/বক্তব্যে জোর-যুক্তি থাকলেই; আমার জন্য যথেষ্ট, পারলে/সময় পেলে মন্তব্য রাখার চেষ্টা করি। কাউকে মিথ্যা প্রশংসা করি নে, উচিত মূল্যায়নে পিছপা হই নে। লেখার-মত যত বিপক্ষের হোক না কেনও আমি ঋণাত্মক সমালোচনা করি নে। মতামত রাখি লেখক/লিখিয়ে/রকম লিখেছেন ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে। যিনি সখের বসে লিখছেন, কখনো লেখক হবার ইচ্ছেও নেই তাকে ব্যাকরণ-প্রকরণের অলিগলি দেখিয়ে ভয় পাইয়ে দিই নে। আমার ব্লগে কে আসল-গেলো তার সাথে আমি কার/কাদের ব্লগে যাচ্ছি এর সংযোগ একদমই নেই। এক দুই তিন করে পৃষ্ঠা পড়ে পড়ে পোস্টে যাই। কে হিট, কে ফিট, কার ফলোয়ার বেশি, কে কোন দলের হয়ে লেখেন, কার লেখায় মন্তব্য করলে লাইম-লাইট পাবো, কে রাজা, কে প্রজা, কে মিসকিন―আই জাস্ট ডোন্ট কেয়ার এট অল। যুক্তি-তথ্য-বিজ্ঞান আছে, গালাগাল বা উন্মাদীয় টোন নেই এমন যেকোনো লেখাই আমার গুরুত্ব ও মনোযোগের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। আমি মনে করি, গঠনমূলক আলোচনা ও উৎসাহজনক সমালোচনা করেই ব্লগে ব্লগারদের মধ্যকার বিশুদ্ধ বন্ধু-সুলভ সম্পর্কটি গড়ে তোলা সম্ভব। এতে যেমন পোস্টগুলো যথাযথভাবে পঠিত হয়, পাশাপাশি পোস্টে কৃত মন্তব্যগুলোও প্রাসঙ্গিক থাকে এবং পোস্টদাতা ও মন্তব্যকারী উভয়ের মধ্যে আস্থা-স্থাপন হয়। এভাবে গড়ে ওঠা সম্পর্ক ঠুনকো হয় নে। অন্যথায় ভার্চুয়াল ব্যক্তি সংযোগসমূহ মেকি মাত্র, যতক্ষণ একটিভ আছেন তো ততক্ষণ আপনাকে মনে রাখছে জগতের বাসিন্দারা। যবে থেকে অফলাইন হলেন, আপনার সকল উপস্থিতিও উধাও। দলকানা ও প্রচারকাঙাল মন-মানসিকতা অপছন্দ করি। চাটুকারিতা ঘৃণা করি। খুব বিরক্ত হই কপি পেস্ট পোস্ট দেখলে। ইংরেজি/অন্যভাষা থেকে অনুবাদিত পোস্টে মূল লেখকের নাম ও লিংক অনুল্লেখ থাকলে কষ্ট পাই; এটা হচ্ছে জাতের কষ্ট। কারো বিশ্বাস-মত-অবিশ্বাসে অসভ্য নোংরা আক্রমণ দেখে ব্যথিত হই প্রচণ্ড।ব্লগিং করি বা লেখালেখি; মানুষ হিসেবে আমরা সকলেই সমান। তাই আমাদের ব্যবহার, কথার ভাষা, মিথষ্ক্রিয়ায় অন্তত ন্যূনকল্পে সততা, শ্রদ্ধা, মানবিক বোধ, পরমত সহিষ্ণুতা, ও ভালবাসা থাকা কি ন্যায়সঙ্গত নয়!

আমি জানিনা বিশ্বের কাছে আমি কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছি, কিন্তু আমার কাছে আমার নিজেকে মনে হয় এক ছোট বালক যে কেবল সমুদ্র উপত্যকায় খেলা করছে এবং একটি ক্ষুদ্র নুড়ি বা ক্ষুদ্রতর এবং খুব সাধারণ পাথর সন্ধান করছে, অথচ সত্যের মহাসমুদ্র তার সম্মুখে পড়ে রয়েছে যা অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেল― মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে ‘আইজাক নিউটন’ তাঁর আত্মকথায় লিখেছিলেন। মহাত্মা ম্যান্ডেলা বলেন― তুমি যদি মানুষের সাথে সে ভাষায় কথা বলো যা সে বুঝে, তবে তোমার কথা তার মাথা পর্যন্ত যেতে পারে। তুমি যদি মানুষের সাথে তার ভাষায় কথা বলো তবে তার ঠিকানা হয় হৃদয়। যে সমাজে দুর্নীতি, নৈতিক অবক্ষয়, অহংকার ফ্যাশনের রূপ পায়। অযোগ্য, মিথ্যাচারী, নীতি-আদর্শহীনদের মধ্যমণি করে হৈ-হুল্লোড় হয় আর গুণী-সৎ-বিচক্ষণদের জায়গা মেলে ডাস্টবিনে; সেথা কোন ভাষায় কথা বলাটা যুক্তিযুক্ত এবং কিসের সন্ধান করা যায়, ভেবে ভেবে দ্বিধাগ্রস্ত হই প্রায়ই। মাদার তেরেসার কথাটা আমাকে আলোড়িত করে― আমরা নিজেরা মনে করে থাকি আমরা যা করছি, তা হয়তো সমুদ্রের এক এক বিন্দু জল। কিন্তু সমুদ্রও অল্পতর; আমাদের এই এক বিন্দু জলের অনুপস্থিতিতে।


এ সকল কথা বলতে বলতে ভুলে যাই নি, শিক্ষা প্রদান-আদায় পদ্ধতির কথা, জনসংখ্যা, বেকার সমস্যা, রাজনৈতিক হিংসা-প্রতিহিংসা ইত্যাদি উপাদানগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের সাথে। তাই আসমানের দিক তাকিয়ে লম্বা শ্বাস ছেড়ে ইতি টানছি.... লেখার।

আমি আশাবাদী―
বাংলার কৃষকের মতো
আমি আশাবাদী নই, তার লাঙলটির মতো।









২২ পৌষ ১৪২২
অন্ধবিন্দু | সামহোয়‍্যার ইন...ব্লগ
চিত্র: পিথাগোরিয়ান থিওরম-ভাস্কারা

মন্তব্য ৮৪ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৮৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার ক্ষোভ , উদ্বেগ আর দৃষ্টিভঙ্গি ভেবে দেখার মত । সামান্য কিছু দ্বিমত রয়েছে , কিন্তু বেশীভাগেই সহমত রয়েছে । সময় সুযোগ হলে বিস্তারিত জানাবো কখনো ।

আমার ঘরেও বইয়ের পাহাড় হয়ে আছে , বই দেখলেই কিনি , কিছু কিছু বই আছে পড়াই হয়নি সময়ের অভাবে কিন্তু কালেকশনে আছে । সময় সংকট থাকাতেও সময়ে অসময়ে এই ব্লগে চলে আসি । যদি বলি জ্ঞান অর্জনের জন্য এখানে আসি না তবে মনে হয় ভুল হবে , কারণ আমরা প্রতিনিয়তই কোন না কোন ভাবে শিখছি মনের অজান্তেই । সামান্য পিপীলিকার কাছ থেকেও নাকি শেখার আছে অনেক কিছু - এরকমই শুনেছি ছোটবেলায় । সে যাই হোক, আপনাকে যতটুকু বুঝি আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে অনেক মিল খুঁজে পাই আমার নিজ দৃষ্টিভঙ্গির , তাই আপনার লেখাগুলো সময় না থাকলেও পড়ার চেষ্টা করি ।

মহাত্মা ম্যন্ডেলার কথাটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ । আমার কাছে মাথায় এবং হৃদয়ে দুইখানেই থাকতে ইচ্ছা করে । আমি ভীষণ সৌখিন এবং আবেগি , তাই হয়তো হৃদয়ে থাকতে চাই বেশিভাগ সময় । তবে মাথায় থাকাটাই বোধ হয় বুদ্ধিমানের লক্ষণ । :)

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে , পরে সময় করে আবার আসবো । ততক্ষণ পর্যন্ত অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
যদি বলি জ্ঞান অর্জনের জন্য এখানে আসি না তবে মনে হয় ভুল হবে , কারণ আমরা প্রতিনিয়তই কোন না কোন ভাবে শিখছি মনের অজান্তেই

গুলশান কিবরীয়া,
আপনার এ ভাবনাটি কিন্তু আমার কথাতেও এসেছে। আর হ্যাঁ! পিপীলিকার কাছ থেকেও শেখার আছে। তবে সেটা কিন্ত পিপীলিকার মতো করে নয় মানুষের মতো হতে হয়। দ্বিমত যতো সামান্য বা বৃহৎ হোক না কেনও। জানালে আমি খুশিই হবো, কৃতজ্ঞ হবো। তাতে করে আমার মতও যাচাই করে নেয়া যাবে। সেও তো লেখায় বলেছি! আসলে অনেক কিছুই বলেছি। কতোটা মাথায় আর কতোটা হৃদয়ে নিবেন সে কিন্তু আপনাদেরই ইচ্ছে ও রূচি ...

আমি আবেদন করি আমাদের সকল ভাবনা তা মাথা বা হৃদয়ের হোক না কেনোও, মানবতার দিকটি যেনও দুটোতেই থাকে।



আপনার মূল্যবান সময় ও মতামতের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: "আমরা নিজেরা মনে করে থাকি আমরা যা করছি, তা হয়তো সমুদ্রের এক এক বিন্দু জল। কিন্তু সমুদ্রও অল্পতর; আমাদের এই এক বিন্দু জলের অনুপস্থিতিতে।"

আপনার লেখার গভীরতা অনেক। শ্রদ্ধা দৃষ্টিভঙ্গীতে বরাবরের মতো।

নতুন এই গণমাধ্যমে স্বাভাবিক সৌজন্যতাবোধটুকু বজায় না রাখতে পারার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। অস্থির সময় আমাদের তাড়িয়ে ফিরছে। আমরাও তাড়িত হচ্ছি। হয়তো যুগধর্ম এটা!!

তবু আমি আশাবাদী―
বাংলার কৃষকের মতো
আমি আশাবাদী নই, তার লাঙলটির মতো।


শুভকামনা। অনিঃশেষ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আমি কেবল আমার দৃষ্টিভঙ্গী ব্যবহার করেই দেখি নে, দীপংকর চন্দ। আমার দৃষ্টিভঙ্গীতে যে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আপনি আসলে অনেকের দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। যাদের প্রজ্ঞা-জ্ঞান-আবিস্কার-দর্শন আপনাকে আমাকে আধুনিক ও উন্নত করেছে ও যাচ্ছে...

অস্থিরতা সবাইকেই তাড়িয়ে ফিরছে গো ... যেমন কর্ম তেমন ফল...

আপনার মূল্যবান সময় ও মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হতে পারে আমার বোঝার ভুল । আপনার লেখা গুলো আসলে দুই তিনবার না পড়লে বোঝা যায় না , এর যদি লিটারাল মিনিং করি তাহলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী থাকে , লেখা গুলো আমার কাছে বেশ ভারি মনে হয় । আপনার বলার ভঙ্গি এবং লেখার বিষয়বস্তু একাডেমিয়াদের মত , আপনি নিশ্চয়ই একাডেমিয়াই হবেন ।

মনে হয় আরও দুএকবার পড়তে হবে । :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
গুলশান কিবরীয়া,
নাহ! ভুলটা আপনাদের নয়। অ-লেখক আমার লেখনীর দূর্বলতা।

আমার লেখার বিষয়বস্তুই বলার ভঙ্গিকে অমন করে প্রকাশে বাধ্য করে। অনেক কথা বলার থাকে আবার পোস্ট বড় হয়ে যাবে সে কথাও মাথায় থাকে। তাই বনসাই-রচনাশৈলী ধরার প্রয়াসটি করতেই হয়...

কতক গবেষণায় দেখা গেছে, অনলাইনের বৃহৎ পোস্টগুলো সাধারণত পাঠকেরা পুরোটা পড়েন না। লক্ষ্য করলে দেখবেন, অনলাইনের জনপ্রিয় সাইটগুলোর লেখাও কিন্তু দিন দিন ছোট হয়ে আসছে।

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর,
সবার আমি ছাত্র,
নানান ভাবে নতুন জিনিস
শিখছি দিবারাত্র।

এই পৃথিবীর বিরাট খাতায়,
পাঠ্য যেসব পাতায় পাতায়
শিখছি সে সব কৌতূহলে,
নেই দ্বিধা লেশমাত্র।


এটাই হলো গিয়ে আমার পরিচয় :)

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমি আশাবাদী―
বাংলার কৃষকের মতো
আমি আশাবাদী নই, তার লাঙলটির মতো।
- ভাললাগা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কথাটি অগ্নি সারথির ভাল লেগেছে, জানতে পারলেম। ধন্যবাদ অগ্নি সারথি, মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন :)

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



কিছু বলার নাই। তবে আপনি লেখালিখি বাদ দিয়েন না। মন্তব্যের পাশাপাশি লেইখেন। আপনার সাথে আসমানে তাকিয়ে আমিও নিঃশ্বাস ফেলে আশাবাদী।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কান্ডারি,
লেখালেখি করার বহু মাধ্যম আছে। সামহোয়‍্যার ইন...ব্লগটিকে আর আমার লেখালেখির মাধ্যম করতে চাইনে। এখানে আপনাদের ব্যক্তি অভিজ্ঞতা/মতামতের সাথে নিজের দু-চারটে কথা বিনিময় করাটাকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। সে ইচ্ছেটাই বহাল থাকবে হয়তো।

লেখালেখি! হাহ হাহ হা! রাজনীতি নিয়ে লিখলে দলকানা দৃষ্টিতে দেখা হয়। ধর্মের কথা লিখলে কুতর্কের সৃষ্টি করা হয়। বিজ্ঞানের কথা মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। সাহিত্যের মৌলিকতার ভাষা দুবোর্ধ্য লাগে বা মনযোগ দেবার মত স্থিরতা নেই। হাহ হাহ হা! হাহ হাহ হা! হাহ হাহ হা! আপনি বলছেন বাদ দিয়েন না ...

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অবশ্য এইটা ঠিক নিজে না করে অপরকে বলা ঠিক না।

হা হা হা হা হা হা ...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
নিজে যদি করতে না পারি/সমর্থ না হই তবে আশা করে কিন্তু অপরকে আপন মনে করে বলা যেতেই পারে।

কান্ডারি, ধরা যাক আপনার সাথে আমার কোনও একটি বিষয়ে অমত/দ্বিমত/ক্ষোভ রয়েছে। তার মানে কিন্তু এই নয় আপনি আমার শত্রু। আর আমি যদি সে দ্বিমত/সমালোচনা আপনার সাথে প্রকাশ করি আপনারও ঠিক নয় আমাকে প্রতিপক্ষ ভাবা। কিন্তু বাস্তবে দেখছি সামান্য দ্বিমতও সহ্য করা হচ্ছে না। সমালোচনাকারীকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা হচ্ছে। আর চামচ-ব্যক্তিত্বকে দেয়া হচ্ছে লাল গালিচা! কি করছি আমরা ? এভাবে আমরা কতদূর যেতে পারবো!

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সহমত। কবি এখানে নির্বিকার, নীরব, নিরুপায়... আরও অনেক ন এর সাথে জড়িত খুব সম্ভবত।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কান্ডারি,
এসব নির্বিকার, নীরব, নিরুপায়... আরও অনেক ন এর হতাশা আত্মগ্লানি অভিমান নিগ্রহ থেকে জন্ম নেয় কবিতার। তাতেও দোষ, কাক ও কবির তুলনা...। জানি নে হয়তো সবার কথা কিন্তু নিন্দুকেরে আমি কম ভালবাসি না। চেষ্টা করি সমালোচনা ও প্রশংসায় সৎ থাকার। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগারদের জন্য এই লেখাতি অবশ্য পাঠ! আপনার পোস্টের সাথে সহমত -ই প্রকাশ করছি। আপাতত একটু ব্যস্ত আছি, তবে আবার ফিরে আসছি, বিস্তারিত আলোচনার জন্য।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কাল্পনিক_ভালোবাসা,
অবশ্য পাঠ ব’লে সামান্য লিখাটিকে সম্মান দিলেন। আপনার বিনয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আসলে এসব নিয়ে আমার ঠিক লিখতেও ভাল লাগে না। আমি সবসময়ই পজেটিভ থাকি কিনা। তবুও আত্ম-সমালোচনা, জবাবদিহিতার জন্য অন্তত নিজের জন্য হলেও কিছু লিখে রাখতে হয়। যা করছি সঠিক করছি কিনা, কতোটা যথাযথ করতে পারছি, কোথায় আমার আমাদের দূর্বলতা ইত্যাদির ইত্যাদির মূল্যায়ন না করতে পারলে বরং পিছিয়েই পড়তে হয়...

ব্যস্ততা শেষে আসুন কোনও তাড়াহুড়ো নেই। সময়-সুযোগ করেই আলোচনায় আসুন। আপনাদের চিন্তা-বিবেচনা জেনে বুঝে আমিও ঋদ্ধ হতে চাই ...

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

জেন রসি বলেছেন: দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেভাবে ব্যাখ্যা করলেন তার সাথে আসলেই দ্বিমত পোষণ করার কোন জায়গা নেই। নিজেকে বিকশিত করাটাই মুখ্য। আর এই বিকাশের জায়গায় কোন আপোষ না করাই উত্তম।

শুভকামনা রইলো। :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জেন রসি,
আপনার প্রতি আমার বিশ্বাস জন্মেছে আপনি নিরীক্ষণ সহকারে পড়ে আপনার মতামত জানান। তাই বরাবরে মতো আপনার এ দ্বিমত পোষণ না করাটিকেও গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি। হ্যাঁ! নিজেকে বিকশিত করাটা যখন মুখ্য অবশ্যই এখানে আপোষ না করা বুদ্ধিমানের কাজ। হয়েছে কী, দৃষ্টি/লক্ষ্য এতদিকে ছড়িয়ে বিক্ষিপ্ত হয়েছে যে তা ফোকাসড হ’তে পারছে না। এটা ব্যক্তি-বিকাশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

শুভকামনা পেয়ে খুশি হ’লেম। আপনিও অনেক ভাল থাকুন -এ কামনা আমার।

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//আমি ব্লগে আসি আমার দেশের গণমানুষ, নাগরিকদের ভাবনা জানতে।//


আপনার লেখাটির শিরোনামও এটি হতে পারতো, কারণ আপনার সমগ্র লেখা সেটিই তুলে ধরেছেন। তবুও আপনি ব্লগার। আমি মনে করি 'ব্লগার= লেখক+পাঠক'।

তবে আপনি একটু বেশিই পাঠক। এই কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবং আপনি যে লেখকের নাম দেখে পড়েন না, এটি আমি স্বীকার করছি, কারণ আপনি আমার মতো অর্বাচিনের লেখায়ও নিয়মিত দৃষ্টি দেন। এরকম অর্বাচিনেরাই তো ব্লগে ম্যাজরিটি। আপনি অর্বাচিন ম্যাজরিটির পক্ষে। আপনি ব্লগার :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মাঈনউদ্দিন মইনুল,
ব্লগ পাতাটিতে অনেক অপ্রিয় অপ্রচলিত কথা ‘কথ্য ভাষায়’ লিখেছিলুম। হতে পারে আমার এসব কথা খালি কলসের মতো ঠন্ ঠন্ ঠন্ ধ্বনি মাত্র। যা আমি বলছি কিন্তু কর্মে সেটা প্রকাশ করতে পারি নি; কম জানি কিন্তু বাড়িয়ে-চারিয়ে বলছি। আর কতোটা জেনে বুঝে ভেবে বলতে পেরেছি তা লিখাটির পাঠকেরা বিবেচনা করবেন। আমি আমার পাঠকদের বোকা মনে করি নে। মনে করতে চাই নে তারা অজ্ঞ। তারা জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেচনার ভরা কলস। এবং অন্ধবিন্দু তাঁদের চিন্তা-ভাবনার প্রতি অ-সংবেদী/অবশ কখনো ছিলেন না। তাই ওভাবে শিরোনামটা লেখা। জানি হয়তো শিরোনামটি মুখরোচক, সহজে দৃষ্টি আকর্ষণ করে, কন্ট্রোভার্সি হয় এমন করে দিলে হিট আসত বেশি। কিন্তু আমি হিট দিয়ে কি করবো! পাতাটিতে আপনার এই মন্তব্য পেলাম যাতে দেখতে পাচ্ছি আপনাকে আমি আমার ব্লগ পাতাটির সাথে সংযুক্ত করতে পেরেছি। এই নিখাদ মন্তব্য/মতামত প্রাপ্তি ই আমার নিকট সবচেয়ে মূল্যবান।

আপনি অর্বাচিন নন জনাব, আপনি সুচিন্তক। আপনার লেখাও পরি-চিন্তিত। আমার লেখায় কিন্তু বলছিলুম, গরিব গরিব ভাই ভাই; সাধারণ আমজনতা আমরা আমাদের চিন্তা-চেতনায় মিলেমিশে একাকার। আমরাই ম্যাজরিটি।

ব্লগার হই বা না। আমি অবশ্যই আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষী। ছোট মানুষ ছোট মুখ হ’তে পারে শুভ কামনায় কিন্তু ছোট নই। হুম :)

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার ব্লগ-পছন্দ, কারণ-ব্যাকরণ জানলাম। অনেকগুলো কথা বলেছেন যা স্পর্শ করল।

ব্লগে আসলে কেন আসি? বিকল্প আছে প্রচুর, কিন্তু ব্লগে হয়তো আসা মানুষের কথা জানতে, একটা গোত্রভুক্ত হবার আকাঙ্ক্ষা থাকে হয়তো, হয়তো দেশের গণমানুষের মনোভাব বুঝতে আসি। যে কারণ-ই হোক, নদীর সঙ্গমস্থলে নানান স্রোতের ঘূর্ণন এসে মিলিত হয়, তাতে ময়লা ফেনা কিছু হয়ত ওঠে, একে এড়িয়ে চলাটাই ভাল।

কি নিয়ে লেখা যায়? ফুল-ফল-লতা-পাতা এবং ক্ষেত্রবিশেষে অখাদ্য গল্প ( /:) ) নিয়ে লিখে পাড়ি দিচ্ছি সময়, মৌলিক কিছু দেওয়া হয়তো হল না। কিন্তু আমি আশাবাদি। ব্লগের মানুষ এখনো হয়তো বিজ্ঞানের পোস্ট এড়িয়ে চলে, ধর্মের পোস্টে ক্যাচাল লাগায়, আর তথ্যমূলক পোস্ট খাঁখাঁ করে পাঠকের অভাবে- কিন্তু পাল্টাবে সময়। অনেকটাই কি পালটায় নি?

অন্ধবিন্দুকে তার নিজের ব্লগ-পাতায় পাবেন না। তিনি দেখা দেবার চেষ্টা করেছেন অন্যদের করা পোস্টে কৃত-মন্তব্যে।

এই কি তবে ভিন্নরকম প্রতিবাদ? নাকি লেখার যথার্থ মূল্যায়ন হবে না বলে লেখক হবেন পাঠক? সেটা না হোক। পঠন আবশ্যক, লেখন অনিবার্য। এবং মনে হয় পাঠক অন্ধবিন্দুর সাথে লেখক অন্ধবিন্দু সমতালে এগুলে ব্লগ এবং সহব্লগাররা আরও উপকৃত হবেন।

শেষটায় আশাবাদ দেখে ভাল লাগল।

অন্ধবিন্দু বিপুল বিশাল মহাকাঠামোর সাপেক্ষে স্থিরবিন্দু হয়ে থাকবেন কিনা, জানার ইচ্ছা জাগে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কিন্তু ব্লগে হয়তো আসা মানুষের কথা জানতে
কিন্তু আমি আশাবাদি
হয়তো দেশের গণমানুষের মনোভাব বুঝতে আসি

প্রোফেসর শঙ্কু,
আপনার কথা আর আমার কথায় নানান স্রোতের ঘূর্ণন শেষে কিন্তু এই ছত্রে এসে মিলিত হয়ে গেছে। আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, অনেকটাই কি পালটায় নি? এর উত্তর আমার লেখায় বলেছিলুম- “আমার দৃঢ় বিশ্বাস ব্লগার জাতটি অনলাইনের সে ভূমিকায় নিজেদের প্রতিধ্বনিত রাখবেন

আপনি হয়তো জনাব কান্ডারি ’র সাথে আমার প্রতিমন্তব্যগুলো পড়েছেন। শঙ্কু, ওসব জাতীয় সমস্যা; ব্লগ,অব্লগ,পত্রিকা,বই,ই-মিডিয়া, সভা-সেমিনার, ঘড়ে-বাইরে সর্বত্র। ব্লগের মানুষ তো আর ভিনগ্রহ থেকে আসে না। আমার লেখাতেও সে ইঙ্গিত রেখেছিলুম কিন্তু!

আরে নাহ! প্রতিবাদ-টতিবাদ কিছু নয়। সমতালে এগিয়ে নিতে যে সময়ও লাগে! সেটা যে পাওয়া যায় না। যেটুকো সময় নিয়ে আসি দুটো-চারটা পোস্ট পড়ে, এবং পারলে ওতে মন্তব্য রেখেই লগআউট হতে হয়। মূলধারায় প্রতিবাদ করেই কাজ হচ্ছে নে। গাছের গোঁড়ায় আগি পানি ঢালি তারপর না-হয় লতাপাতা...

আপনি কেমন গল্প লিখে সময় পাড়ি দিচ্ছেন। সে কিন্তু ব্লগের সাহিত্য-পাঠকেরা খুব ভাল করেই জানেন। অখাদ্য বলে কাজ হবে নে। আর যদি ওসব অখাদ্য হয়ই; অন্ধবিন্দু আপনার ওই অখাদ্যেই সুখাদ্যের স্বাদ পাচ্ছেন। হুম।

জানার ইচ্ছায় বড় কঠিন প্রশ্ন করে বসলেন। এর উত্তর ভাবতে আমিও বব ডিলন থেকে ধার করে বলি-

how many years can a mountain exist
Before it is washed to the sea?
how many years can some people exist
Before they're allowed to be free?
how many times can a man turn his head
And pretend that he just doesn't see?

The answer, my friend, is blowin' in the wind
The answer is blowin' in the wind.


ভাল থাকুন ভাল থাকুন ভাল থাকুন।

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//ব্লগে আসলে কেন আসি? বিকল্প আছে প্রচুর, কিন্তু ব্লগে হয়তো আসা মানুষের কথা জানতে, একটা গোত্রভুক্ত হবার আকাঙ্ক্ষা থাকে হয়তো, হয়তো দেশের গণমানুষের মনোভাব বুঝতে আসি। যে কারণ-ই হোক, নদীর সঙ্গমস্থলে নানান স্রোতের ঘূর্ণন এসে মিলিত হয়, তাতে ময়লা ফেনা কিছু হয়ত ওঠে, একে এড়িয়ে চলাটাই ভাল। //

@প্রোফেসর শঙ্কু.... আপনার মন্তব্যটি আলোচনাকে সমৃদ্ধ করলো।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আমাদের প্রোফেসর শঙ্কু কিন্তু তাঁর গল্প-কলমেও ব্লগটিকে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছেন। এজন্য তাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শঙ্কু যেমনটি বলছিলেন যে তাতে ময়লা ফেনা কিছু হয়ত ওঠে, একে এড়িয়ে চলাটাই ভাল। -এ এড়িয়ে চলার ধরনটি যেনো ঢাকাবাসীদের মতো না হয়! সর্বনাশ তবে। বুড়িগঙ্গার অবস্থা দেখছেন তো!! অন্ধবিন্দু তাই রেড সিগন্যাল দেখাচ্ছেন।

জনাব, আমরা কি একটা কালচার খাড়া করিয়ে দিয়েছি। সাত-পাঁচ ভেবে নিরীহ কতজন হয়তো তাদের মতামত ব্যক্ত করতেও অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন...

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার লেখার সাথে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সহমত।

যতটুকু সময় ব্লগে থাকি পাতা ধরে পড়তে থাকি, যা ভাল লাগে বলে যাই।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ফেরদৌসা রুহী,
যাক অপ্রিয় কিছু কথায় যে আপনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সহমত প্রকাশ করেছেন জেনে আশ্বস্ত হচ্ছি; বাজে বকিনি। আপনি পাতা ধরে পড়তে থাকেন এটা সত্যিই মহৎ একটি ব্লগীয় আচরণ। ভাল লাগা জানাবেন পাশাপাশি আমার যেকোনও লেখা মন্দ লাগা জানাতেও দ্বিধা করবেন না। :)

উপস্থিতি ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পোস্টটাকে আয়নার মতো লাগল। যাতে সৃষ্ট প্রতিবিম্ব খুব একটা চিত্তাকর্ষক হয়নি। ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তায় শুধু সীমাবদ্ধতাই উঠে আসলো।

তবে সময়ের বৃত্তে জানার পরিধিরেখা টানার বিপক্ষে। বাকি সব ক্ষেত্রেই একমত।
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভাইয়াটি বড় বিনয় করে মন্তব্য লিখেছেন। সৃষ্ট প্রতিবিম্বে আমিও নিজেকে ঝালাই করে যাবার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার। হ্যাঁ! আমার অবস্থানও যে সময়ের বৃত্তে জানার পরিধিরেখা টানার বিপক্ষে। সেকথা লেখায় উঠে এসেছে এভাবে যত জানা যায় প্রশ্ন করার বা উত্তর দেবার ক্ষমতাও তত বাড়তে থাকে

সুতরাং আমরা কিন্তু সব ক্ষেত্রেই একমত হ’তে পেরেছি। :)

ভাল থাকুন অনেক এবং সবুজ থাকুন চিরকাল।

১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩১

আরজু পনি বলেছেন:

ব্লগে কেন আসি একথা বলতে চাইলে বলতে হবে, দম নিতে ব্লগে আসি ।
কাউকে চিনি না, বা চিনতে চাই না বাস্তবে...কিন্তু তারপরও সবাইকে বড্ড আপন মনে হয়।


আপনার কথাগুলো বড্ড কঠিন লাগে, ম্যাভেরিকের মতো ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আরজুপনি,
বাংলার ষোলো কোটি মানুষ কী আমাদের আপন নয়! সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যা, নিপীড়ন, হরতালে নিহত, রানা প্লাজার মত মর্মান্তিক ঘটনা ইত্যাদি পত্রিকা-টেলিভিশনে দেখে কি আমরাও ব্যথিত-লজ্জিত-দুঃখিত হই নে! তাঁদের সবাইকে কি আমার ব্যক্তিগত/পারিবারিকভাবে চিনি ? না সেটা সম্ভবও নয়। তারপরও আমরা সাধারণ নিজেরা নিজেরা বড্ড আপন। হয়তো অমানবিক সিস্টেম আমাদের মধ্যে দেয়াল তৈরি করে দিচ্ছে।

তেমনি আপনার মন্তব্যটিকেও আমার আপন লাগছে। আপনি কঠিনের কথা বলেছেন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন; এ তো আন্তরিকতা থেকেই, তাই না! সততা বজায় রাখতে পারলে এই আন্তরিকতাগুলোও অনেক মূল্যবান।

ম্যাভেরিকের সাথে কাট্টি। ব্লগে একদিনও দেখছি নে! হুম।

মূল্যবান সময় ও মতামত রাখার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৪

আরমিন বলেছেন: পো্স্ট টি পড়লাম আপনাকে জানার জন্য এবং ক্ষুদ্র মস্তিস্কে এতটুকু বুঝলাম যে, আপনি একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আরমিন,
লেখাটিতে আপনি মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়েছেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জ্ঞানী ব্যক্তি হ’তে পারি নি বোনটি। তবে জানার চেষ্টায় কমবেশি শ্রম দিয়ে যাচ্ছি। কত কম যে জানি, সেটা হয়তো বুঝতে পারছি...

আপনি ভাল থাকবেন। অনেক শুভকামনা।

১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

রিকি বলেছেন: Two roads diverged in a yellow wood,
And sorry I could not travel both
And be one traveler, long I stood
And looked down one as far as I could
To where it bent in the undergrowth;
Then took the other, as just as fair,
And having perhaps the better claim,
Because it was grassy and wanted wear;
Though as for that the passing there
Had worn them really about the same,
And both that morning equally lay
In leaves no step had trodden black.
Oh, I kept the first for another day!
Yet knowing how way leads on to way,
I doubted if I should ever come back.
I shall be telling this with a sigh
Somewhere ages and ages hence:
Two roads diverged in a wood, and I-
I took the one less traveled by,
And that has made all the difference.
(The Road Not Taken by Robert Frost)

দুর্বোধ্যতম ভাষাশৈলী দিয়ে চিন্তাগুলোকে শব্দে বুনন করেছেন। ভালো লেগেছে :) :) :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
রিকি,
দুর্বোধ্যতম ভাষাশৈলীতে ঠিক লিখি নি। কথা বলে গেছি। আর যদি দুর্বোধ্যতম হয়েও থাকে, আপনি কিন্তু ভেদ করে গেছেন পাক্কা; সে বুঝতে পারছি মন্তব্যে রবার্ট ফ্রস্টের কবিতাখানা দেখে। আপনার কাব্যরুচির প্রশংসা করতেই হয়। কবিতাটি থেকে চারটি লাইন-

I shall be telling this with a sigh
Somewhere ages and ages hence:
Two roads diverged in a wood, and I-
I took the one less traveled by,
And that has made all the difference.

এবং রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা থেকে-

শক্ত সহজ এ সংসারটা যাহার লেখা বই
হালকা করে বুঝিয়ে সে দেয় কই।
বুঝেছি যত খুজছি তত, বুঝেনি আর ততই
কিছু বা হাঁ কিছু বা না, চলছে জীবন স্বতই।

ফ্রষ্ট বলছিলেন আমাদের আজকের পথ-নির্বাচন আগামীর পথ রচিত ক’রে দেবে। ইচ্ছাটিকে আমরা যতই ফলপ্রসূ করতে চাইনে কেনো, ‘হ’তেও পারে অন্য পথটিতেই মঙ্গল ছিল’ অনুতাপ পেছন পেছন হেঁটে চলবে। রবীন্দ্রনাথ পড়েছেন এ পথ খুজার অন্য ভাবনায়, তার ভাবনাটা অধিক তাড়িত হচ্ছে এভাবে-

হয়তো বা এক বাঁধা রাস্তা কোথাও আছে সোজা
যখন তখন হঠাৎ সে যায় ঠেকে
আন্দাজে যায় ঠিকানাটা বিষম এঁকেবেঁকে


ভাল লাগল কথা বলে, রিকি। শুভ কামনা রইলো :)

১৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

জুন বলেছেন: আপনার পোষ্টটি খুব মনযোগের সাথে পড়লাম অন্ধবিন্দু । ভালোলাগলো আপনার চিন্তা চেতনা। তবে ব্লগ থেকে আমি অনেক কিছু জেনেছি, কিছু একটা লেখার সাহস পেয়েছি এটসেটরা।।।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জুন,
যদি ব্লগে না আসতাম তবে কী এ যুগের এক ইবনে বতুতার দেখা পেতাম! আপনার ভ্রমণ পোস্টগুলোর মাধ্যমে আমাদের কত দেশ-তার ইতিহাস-মানুষের কথা জানার সুযোগ করে দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলা ব্লগের সাথে আপনি আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সমৃদ্ধ করেছেন। শুভ কামনা করি আপনি আরো অনেক দিন যেনো লিখে যেতে পারেন। সাহসে কমতি না হোক।

বোন, হতাশার কথা কমই বলতে চাই বলি। কিন্তু কিছু কথা না বললেই নয়। ওতে ক’রে হয়তো অপ্রিয় খাতায় নিজের নামটা বোল্ড হয়, হোক। তবুও সকলের মঙ্গল হোক।

ছোট মানুষ, ছোট মুখ, ছোট মুখে বড় কথা ব’লে যাই। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কখনো ভুল/অন্যায্য যদি বলি, অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। :)

আপনার মূল্যবান সময় ও আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

১৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব সময় ই আমার মনে হয় আমার চিন্তা শক্তির গভীরতা অনেক কম ।
আপনার এই লেখা অনেকবার পড়লাম আপনার চিন্তার গভীরতা ছুঁতে পারলাম না
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ,মানুষের চিন্তা চেতনা পরিচয়ের সাথে নিজের আত্মার কিছু খোঁড়াক মিলে ব্লগে
নিজের আনন্দে লিখে যেতে পারি ভুল বলার , কিচ্ছু হয়নি বলার কেউ নেই ।

শুভ কামনা :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ,মানুষের চিন্তা চেতনা পরিচয়ের সাথে নিজের আত্মার কিছু খোঁড়াক মিলে ব্লগে
নিজের আনন্দে লিখে যেতে পারি


মনিরা সুলতানা,
নিজের আনন্দে লিখে যেতে পারার আনন্দটি যেনো নির্মল থাকে, মানবিক থাকে তেমন কিছুই বলেছিলুম। নাহ্! আমার চিন্তায় অতো গভীরতা নেই। আপনি ছুঁতে পারেন নি সে আমারই লেখনীর ব্যর্থতা :)

ভুল, কিচ্ছু হয়নি ইত্যাদি বড় কথা না। উপলব্ধিতে আনতে পারাটা হচ্ছে আসল দিক।

ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় ও মতামতের জন্য।
ভাল থাকবেন, বোন।

২০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অন্ধবিন্দু। আপনার পোষ্টটি মনযোগের সাথে পড়লাম। ভালোলাগলো আপনার চিন্তা চেতনা। ব্লগ পড়ে অনেক কিছু জেনেছি যা বই কিনে বা বই সংগ্রহ করে এতকিছু জানা সম্ভব হতো না। এর এটার কারণেই নিজের লেখার পরিধিটাও বিস্তার পাচ্ছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ প্রামানিক। মানুষের জীবন-ভাবনা-অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় বই। আমি ব্লগে আসি তেমন সব বই পড়তে। আশাকরি আমার কথাটির তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারবেন। :)

এভাবেই ব্লগ আপনার পাশে থাকুক। আপনিও থাকুন।

অনেক শুভ কামনা রইলো।

২১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা অন্ধবিন্দু ভাই,

বিবেক জন্মগতভাবেই মানব-অঙ্গ
তিনি একজন ব্লগার―অনলাইনের যিনি বা যাঁহারা: কেবল নিজের আবেগ বিবেচনায় রেখে মতামত প্রকাশ করেন না বরং বিবেকের সাথে প্রজ্ঞার যথাসম্ভব প্রয়াগ ঘটিয়ে উক্ত মতামতটিকে গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করেন। তিনি সমস্যা লিখেন সমাধানের মত করে। তিনি নাগরিক সাংবাদিকতা করেন আড়ালের সংবাদ নিয়ে। তিনি গণ-মানুষের জন্য কথা বলেন ঠিকই তবে সেটা হয় কুসংস্কার ও প্রচলিত ভুল মুক্ত। তিনি তার লেখা/সুকুমার বৃত্তিতে থাকেন আপোষহীন তাদের সাথে; যারা অশুভ কোন মহলের স্বার্থ হাসিলের জন্য, প্রকৃত সত্য ও তথ্য লুকিয়ে লেখালেখি করে জনতার চোখে ভেলকি লাগানোর চেষ্টা করেন। তিনি তার সৃজনে সতর্ক থাকেন এবং তর্ক-সমালোচনায় হোন সু-তার্কিক।

আপনার এ লেখাটি গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেওয়া অনেকেই ইগনোর করবে। আমি একটা বিষয়ে খুব শংকিত, আমাদের জাতিগত ঐক্য, শৃংখলা, সুনাম নিয়ে।
কবিগুরু এ জাতিকে ঘরকুনো বলে গালি দিয়েছিলেন। এ জাতি বিদ্রোহ করার রেকর্ড অনেক। একসময়ের সমৃদ্ধ এ জাতির ধ্বংসের আর বেশি কী বাকি আছে?
বড়জোর রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যর্থ হওয়াটাই বাকি। এটাও যে একদিন হবে না তার গ্যারান্টি কি?
ব্লগের বাইরে যেসব মানবিক অবক্ষয়ের মানুষ পেয়ে আমি অসন্তুষ্ট, ব্লগে এসেও তার একেবারে কম কী পাচ্ছি?

নিঃসন্দেহে না। অনেক ব্লগারের মন্তব্যে অযাচিত বাক্য ও অপালাপ পাওয়া যায় যেটা আমাদের ডিসএপয়েন্ট করে। সবাই যে আইডিয়া ব্লগিং করবে তা অবশ্যই বাতুলতা। কিন্তু আইডিয়াল ব্লগিং করে বড়জোর ১-৫%।

সামুতে আমার চোখে যেটা ধরা পড়েছে, এটাই সমস্যার জায়গা। অন্তত সামু থেকেই পরিবর্তনটি শুরু হোক?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

গেম চেঞ্জার,
কলিজায় লাগার মত একটি মন্তব্য রাখার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, ভাইটি। সবই দেখছেন, জানছেন, বুঝতেও পারছেন। সমাধান কি করে করা যায় সে পথও মাথায় প্রায়ই উঁকি দিয়ে যাচ্ছে, আপনিও অনুধাবন করতে পারেন জানি। উচিত কথা শুনতে বড্ড লাগে। উচিত কাজ টা করতে সৎ সাহস লাগে। এ জাতি কতবার বিদ্রোহ করেছে তেমনই সৎ সাহস আর জীবন বাজি রেখে, তারপর...

সাধারণ মানুষ দিনশেষে ঘরে ফিরে আসতে হয়। ডাল-ভাত-লবণের হিসাব করতে হয় ...

বাংলা, বাঙালি জাতি কোথায় ? সাহিত্য আর দিবসের ঢঙে। ভিতরটা ভিনদেশী বাবু। যে গ্যারান্টির কথা বললেন, আমি অন্তত দিতে পারছি না। সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে অবক্ষয় ধরে যাচ্ছে গো ভাইটি। ভূমিকম্পে মাটি কাঁপে, বিজলীতে চমকে আকাশ। কিনতু, অবক্ষয়-অধ:পতন তো-আর এমন সরাসরি দেখা যায় না। নিয়ে যায় তার চাইতেও বহু বহু গুণ বেশি...

গুণী-আদর্শবানদের কদর আমরা আমাদের আশপাশ-এলাকা, শহর-গ্রাম, দেশ-রাষ্ট্র থেকে করতে পারছি কি! না পারছি না, ব্লগে আইডিয়াল ব্লগিংও তাই.......

আশা হারালে জীবনের মানেও বৃথা হয়ে পড়ে। আশায় থাকলুম। কেউ কেউ ঠিক তাঁদের সততা আর অকৃত্রিম ভালবাসা দিয়ে সমাজের-মানুষের-মানবতার পতাকাটি উপরে ধরে রেখেছে; এঁরা স্বার্থ বা প্রাপ্তির জন্যে করে না। তেমনই একটি অংশ ব্লগটিতেও আসে/আছে আমার বিশ্বাস। পরিবর্তন হবে ইনশাল্লাহ।

অনেকেই ইগনোর করুক। আমরা সচেতন থাকি। আত্ম-সচেতনতা হচ্ছে প্রকৃত বন্ধু।

২২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার লেখা আর মন্তব্যের প্রতিত্তর পড়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম। আমি কেন ব্লগে আসি? সত্যি বলতে, 'আমার বাস্তবের জীবন হতে মুক্ত হয়ে ভিন্ন একটা সত্ত্বা খুঁজে পেতে'। ব্লগ আমাকে, ভালো কিছু সময় উপহার দেয়, এটাই প্রধানতম কারণ। ছোট মানুষ, ছোট চাওয়া-পাওয়া; একটি পোস্ট করলে একটা সৃষ্টিসুখের অনুভূতি পাই। অন্যের লেখা পড়ে মাঝে মাঝে মনটা ভালো হয়ে যায়। জানি লেখা এবং পড়ার অনেক মাধ্যম আছে, কিন্তু ব্লগের মত সংমিশ্রণ কোথাও পাওয়া যাবে কি না আমার জানা নেই।

আপনার পোস্টটি পড়তে পড়তে নিজেকে আয়ানায় দেখে লজ্জা লাগছিল, কেন? এই প্রশ্ন করবেন না আশা করি, আর আমিও তার উত্তর দিতে পারবো না।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

বোকা মানুষ বলতে চায়,
ব্যস্ততার মধ্যেও আপনি কথাগুলোতে সময় দিলেন, ভাবলেন এবং নিজের কিছু কথাও আমার সাথে শেয়ার করলেন, ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি যে ভিন্ন একটা সত্ত্বা খুঁজে পেতে ব্লগে আসছেন। আমিও এ ভিন্ন সত্ত্বাদের ভাবনা-চিন্তা, পয়েন্ট অব ভিউ ইত্যাদির সাথে পরিচিত হ’তে ব্লগে আসতেম। কাছাকাছি অভিজ্ঞতা আমারো-

অন্যের লেখা পড়ে মাঝে মাঝে মনটা ভালো হয়ে যায়। জানি লেখা এবং পড়ার অনেক মাধ্যম আছে, কিন্তু ব্লগের মত সংমিশ্রণ...

আপনার লজ্জা লাগছিল। অন্তত মুখ তো লুকিয়ে রাখেন নি। সেটা আমরা ক’জনই বা করতে পারছি।

শুভ কামনা পথ চলার পাথেয় আমার। আপনিও অনেক অনেক ভাল থাকুন। এবং আপনার সৃষ্টিসুখের অনুভূতিতে বিঘ্ন না ঘটুক। এ আমার রইলো।

২৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
বেশ খটমটো লেখা । কতোটুকু বোধগম্য হয়েছে আর কতোটুকু হয়নি সেটা একটা প্রশ্ন, নিজের কাছেই ।
আপনি প্রশ্ন রেখেছেন - “”.....কিন্তু ইতিহাস ঘেঁটে বলুনতো, পৃথিবীর কোনও জাতি-গোষ্ঠী কি কয়েক-যুগ আগে যেমন ছিল আজ কী তেমনটাই আছে ? “
আবার নিজেই বলেছেন – “প্রতিজবাব: নেই।
পরক্ষনেই আবার বলেছেন – “আমরা যতোই অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষার কক্ষপথে উন্নততর সভ্যতার কথা বলি না কেনও, এ সবই হল উপসর্গ; আমাদের মূল শব্দটি হচ্ছে মনুষ্যধর্ম। পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরপুরুষে এক্সটেনশন হতে হতে ক্ষুধা-কামনা-যাতনার অস্তিত্ব যেমন লোপ পায় নি।“”
এর পরিপ্রেক্ষিতে সরল সমীকরন টানা যায় এভাবে , পৃথিবীর কোনও জাতি-গোষ্ঠী কয়েক-যুগ আগে যেমন ছিল আজ তেমনটা হয়তো নেই কিন্তু মনুষ্যধর্মে একই আছে । এটা আপনারই কথা । সুতরাং কালের বিবর্তনে শুধু উপসর্গ যোগ হয়েছে মাত্র, আপনার তথ্য মতে । ভেতরে মূল ধাতু ঠিকই আছে বরাবরের মতো । এটা আপনার প্রথম প্যারায় বিধৃত করেছেন আপনিই । তাই প্রথম প্যারার শেষাংশের সাথে দ্বিমত করি আর যেহেতু একটি নির্দিষ্ট গন্ডীতে মানবধর্ম এক, সেটা বোঝাতে একই সাথে বলি, মানুষে মানুষে সামাজিকতার ,সংস্কৃতির, সহযোগিতার, সহমর্মিতার অচ্ছেদ্দ বন্ধন ছিড়ে গেলে মানুষের দেশ আর দেশ থাকেনা , ভূখন্ড হয়ে যায় । যেমন লাঙলের সাথে কৃষকের বিচ্ছেদ হলে ফসলের মাঠ খাঁ খাঁ পড়ে থাকে ।
রবিবাবু যে সন্ধি-বিদ্যার কথাটা বলছেন, এটা হয়তো মাথায় এরকম চিন্তা থেকেই ।

ব্লগে তথ্য বা তাত্ত্বিক জ্ঞান তল্লাসে আপনার আগ্রহ নেই। বোঝাই যায় আপনার নিকটে প্রচুর গ্রন্থ আছে। বই সংগ্রহের নানা মাধ্যম আছে। অনলাইনে বিশ্বস্ত বহু সাইট আছে খোলা । তাই প্রয়োজনও নেই । কিন্তু বলি -
বিশ্বজুড়ে পাঠশালা মোর
সবার আমি ছাত্র ......
ছেলেবালায় একথা পড়েই হয়তো বয়সের সিঁড়ি ভাঙতে হয়েছে আপনাকেও । নিউটনও এভাবে নুড়ি কুড়িয়ে গেছেন সাগরপারে । তাই ব্লগ থেকেও হয়তো কিছু শেখার আছে যদি দেখার তেমন চোখ থাকে । ব্লগে হয়তো খ্যাত কোনও সাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিক বা সেলিব্রেটিদের লেখা নেই কিন্তু একজন অন্ধবিন্দু আছে । আছে আরো অনেক চক্ষুষ্মান লিখিয়ে যাদের কাছ থেকে শিখতে চাইলে শেখার আছে কিছু । জীবন যে উপাদান সমৃদ্ধ হবার প্রত্যাশায় থাকে তেমন জীবন ঘনিষ্ঠ অনেক কিছুই মেলে তাদের লেখায় । লিখতে পারাটা হয়তো কঠিন কিছু নয়, কঠিন হলো আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন, তা ।
বলেছেন - “ব্লগারগণ সবসময়ই অনলাইনের এলিট শ্রেণি ।” সেখানে ব্লগে তথ্য বা তাত্ত্বিক জ্ঞান তল্লাসে আপনার আগ্রহ নেই , একথাটি স্ববিরোধী হয়ে গেল কিনা , ভেবে দেখার মতো !

বার্ণার্ড শ’য়ের কথাতে বলতে হয় , কারো কর্মকান্ড বিবেচনা করতে হলে একটা বিষয়ই বিবেচনা করতে হবে এবং তা হলো সে তার কাজটি ঠিক মতো করেছে কিনা, ভালো মানুষের মতো অথবা খারাপ মানুষের মতো ।
এরকম কথাই উঠে এসেছে আপনার লেখায় । ভালো মন্দ মিশিয়ে নিজেকে প্রকাশ করার একটা আকুতি আছে এখানে । অনেকটা দুর্বোধ্য হলেও বোধ্য অনেক কিছুই আবার আছে ।
অবশ্য আপনি বলতেই পারেন –
“যে আমারে দেখিবারে পায়
অসীম ক্ষমায়
ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি....”

আপনার মতো আমারও বলতে ইচ্ছে করে , ব্লগের সান্নিধ্যে এসে মনে হয়েছে যেখানে যেতে চেয়েছি সেখানে হয়তো যেতে পারিনি, কিন্তু যেখানে পৌঁছে গেছি মনে হয় সেখানে যাওয়াই আমার প্রয়োজন ছিলো । তাই আসমানের দিকে তাকিয়ে লম্বা শ্বাস ছেড়ে নয় বরং নত চোখে খুব কোমল স্বরে বব মার্লের মতো বলি –
আই নো আই অ্যাম নট পারফেক্ট
এ্যান্ড আই ডোন্ট লীভ টু বি ,
বাট বিফোর য়্যু ষ্টার্ট পয়েনটিং ফিঙ্গারস...
মেক শিওর ইয়োর হ্যান্ডস আর ক্লিন !!


খটোমটো হলেও এরকম বিদগ্ধ লেখায় ভালোলাগা ।
শুভেচ্ছান্তে ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সামহোয়্যার ইন ব্লগে একজন ব্লগারের কথা বলছি। নাম আহমেদ জী এস। তাঁর একটি লেখা থেকে ক্যোট করছি-

বিদ্বানমাত্রই যেমন শিক্ষা বিশেষজ্ঞ নন তেমনি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বা উপাচর্য কিম্বা অধ্যাপক মাত্রই শিক্ষার অলি-গলি-রাজপথ জানা সর্বজ্ঞ নন । আপনার অনেক কিছুই জানা আছে , শেখা আছে কিন্তু সমাজের কল্যান বা হিতার্থে সেই জানা ও শেখাকে প্রয়োগের পথটি আপনার জানা নেই কিম্বা ইচ্ছেও নেই । কারন প্রতিনিয়ত পাল্টে যাওয়া সমাজের গাঠনিক ও চারিত্রিক বিবর্তন সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা নেই । অনেকটা সেই “ষোলআনাই মিছে” কবিতার সাঁতার না জানা বাবুর মতো ।

শেখা, জানা ও বোঝা সমার্থক নয় । যা শেখা হয় তা-ই শিক্ষা । যা জানা হয়েছে তা-ই বিদ্যা বা জ্ঞান । আর এই শেখা ও জানা থেকে যা বোঝা গিয়েছে তা-ই বোধ । এই বোধ থেকেই আপনি আপনার চারধারে ঘটে যাওয়া বিষয়াবলী উপলব্ধি করে অভিজ্ঞতালব্ধ হন আর এটাই হলো পূর্ণ জ্ঞান যা প্রজ্ঞায় পরিনত হয় । জ্ঞান তাৎপর্যমন্ডিত হয়ে প্রজ্ঞায় রূপান্তর না পেলে বন্ধ্যাই থেকে যায় । উপলব্ধির স্তরে উন্নীত না হলে জ্ঞান মাত্রই বন্ধ্যা ।

সমাজে এ ধরনের অনেক মানুষ আছেন যাদের গায়ে একাডেমিক শিক্ষার চাদর জড়ানো নেই । আমাদের সীমিত জ্ঞানে এই সব সার্টিফিকেট বিহীন মানুষদের কারো কারো “কথা” বুঝতে না পেরে আমরা অহরহ তাদের পাগল আখ্যা দিই কিম্বা সমাজের জন্যে তাদের কে ক্ষতিকর ঠাওরাই । এ জন্যেই কোনও একটি কথার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থেই কথাটি কে বলছেন, কে তার ব্যাখ্যা কোন পরিস্থিতিতে করছেন ইত্যাদি পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিশ্লষন করা উচিৎ হয়ে পড়ে ।

নিজ মাটি আর মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ, নির্মোহ-নির্মল জীবন জিজ্ঞাসা , নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী , বিশ্লেষনের ক্ষমতা, বিচারিক প্রজ্ঞা আর সর্বোপরি বিবেকবোধ আপনাকে সত্যিকারের জ্ঞানী করে তোলে ।


জনাব,
আপনার দক্ষ পাঠক-দৃষ্টি. বিনীত চয়ন ও শুদ্ধতা সন্ধানী মন্তব্য ব্লগে প্রকাশিত যেকোনও লেখাকে তাঁর বিষয় অর্জনে সুগম করে থাকে। অন্ধবিন্দু জ্ঞানী কেউ নন, কিন্তু তিনি গুণীদের সম্মানে কৃপণতা করেন না। শিক্ষার অলি-গলি-রাজপথ ঘুরে এইটুকো হলেও অন্তত তিনি শিখতে পেরেছেন।

প্রথম প্যারার শেষাংশের সাথে দ্বিমত করেও আপনি সহমত রেখে গেছেন। হয়তো আমরা দু’জন দু’ভাবে বলছি কিন্তু খেয়াল করে দেখুন, আমাদের নোশন একই। হ্যাঁ! আমি বলেছিলুম- ব্লগে তথ্য বা তাত্ত্বিক জ্ঞান তল্লাসে আগ্রহ নেই। তবে প্যারাটির শেষ করেছি এ প্রশ্নটি রেখে- গণ-মানুষের জীবন-ভাবনারাজ্য-অভিজ্ঞতাও যে বিশাল এক বই, জানেন তো ? উত্তরে একজন বলছেন- আপনার অনেক কিছুই জানা আছে , শেখা আছে কিন্তু সমাজের কল্যাণ বা হিতার্থে সেই জানা ও শেখাকে প্রয়োগের পথটি আপনার জানা নেই কিম্বা ইচ্ছেও নেই । কারণ প্রতিনিয়ত পাল্টে যাওয়া সমাজের গাঠনিক ও চারিত্রিক বিবর্তন সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা নেই । অনেকটা সেই “ষোলআনাই মিছে” কবিতার সাঁতার না জানা বাবুর মতো ।

এবার ভেবে দেখুন তো, আমি কি সত্যিই স্ববিরোধী কথা বলেছি? বোন গুলশান কিবরীয়া ’র মন্তব্যের উত্তরে ‘বিশ্বজুড়ে পাঠশালা মোর’ কবিতাটি আমিও উল্লেখ করেছিলুম।

আপনার নত চোখে খুব কোমল স্বর, আমাকে আপ্লুত করলো, ভাবিত করলো, করলো প্রাপ্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত । লম্বা শ্বাসের প্রসঙ্গটাতে রবি বাবুর একটা কথা আনছি- আগুনে কেবল ইন্ধন চাপানই তো লক্ষ্য নহে, রন্ধনেই তাহার সার্থকতা। খটোমটো বা দুর্বোধ্যতা আসলে আমার লেখনীরই দুর্বলতা-ব্যর্থতা। বিজ্ঞান-দর্শন-ইতিহাস পাশাপাশি রেখে কথা বলার/লেখার স্ব-অভ্যেসটিকে হয়তো কলমের সাথে একাঙ্গীকৃত করতে পারি নে সবসময়। আর ব্লগে লগ করে লিখতেই প্রিফার করছি।


“লিখতে পারাটা হয়তো কঠিন কিছু নয়, কঠিন হলো আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন, তা।”

আমি অধম কি সাধ্য আছে মোর পারি বোঝাতে
সহজ কথাটা পারে কী সবে সহজ করিয়া কহিতে ?

বিদগ্ধ লেখা ব’লে লজ্জা দিয়েন নাগো। এসব শত শত বছর ধরেই বলে আসা হচ্ছে। সবই জানি সবই মানি তালগাছটা আমার ;) ঝগড়া-লড়াই করুক যার ইচ্ছে। আমরা গাছটা বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছি। গাছ মরে গেলে অক্সিজেন পাবো কোথা! ভাল থাকুন ভাল থাকুন ভাল থাকুন। বব মার্লে শুনছি...

২৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

কিরমানী লিটন বলেছেন: গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, বুঝার চেষ্টাও ...। আপনার প্রজ্ঞার মোড়কে ঢাকা আত্ম-বিশ্লেষণের আঙ্গিকে সার্বজনীন বক্তব্যটি। অভিমান- আর উপলব্ধির গভীরতায় বাস্তবতাকে জানার চেষ্টা করলাম। তাতে যে ভাঙনের সুর আতকংকিত করলো কিছুটা... আপনাদের মতো এক একটা অন্ধবিন্দু, আহমেদ জী এস, গেম চেঞ্জার, জুন, কাল্পনিক_ভালোবাসা, জেন রসি, রিকি, মাঈনউদ্দিন মইনুল,কান্ডারি, প্রামানিক এদেরকে দেখেই আমাদের মতো অচেনা অপাংক্তেয়রা, নিজেদের প্রকাশের সুযোগ পেয়েছে সামুর আঙিনায়। তাই আপনাদেরকে আবেগের অন্ধবিন্দু নয়, সৃষ্টির উল্লাস শেষে - বিকশিত স্থিরবিন্দুতে দেখতে চাই, শ্রদ্ধায় ভালোবাসায়। সব অভিমান পিছনে ফেলে, আমরা মিলি একবিন্দুতে ...।
সতত শুভকামনা ...

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কিরমানী লিটন,
আপনার মূল্যবান সময় ও ভালবাসা-শ্রদ্ধায় উজ্জ্বলিত মন্তব্যটি, আমার সামান্য লিখাটিকে বিন্দু হলেও বিকশিত করেছে। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। অচেনা অপাংক্তেয় বরং অন্ধবিন্দু; আপনিতো নিজ নামেই ব্লগিং করছেন! হাহ হা।

ভাললাগা রইলো মন্তব্যে। ভালবাসা রইলো আপনার বিনয়ে।

অনেক অনেক ভাল থাকুন। সতত সবুজ ও সুন্দরের সৃজনে থাকুন।

২৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: শিখছি মনের অজান্তেই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর,
বেঁচে থাকতে হ’লে শিখতে যে হয়ই। জান্তে কিংবা অজান্তে, পরিবেশ-পরিস্থিতি-প্রকৃতি অনেক কিছুই শিখিয়ে যায় ...

লেখাটিকে সঙ্গ দেবার জন্য ধন্যবাদ রইলো।
ভাল থাকুন সবসময়।

২৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: তাই অন্ধবিন্দুকে তার নিজের ব্লগ-পাতায় পাবেন না। তিনি দেখা দেবার চেষ্টা করেছেন অন্যদের করা পোস্টে কৃত-মন্তব্যে।

-পাওয়া তো গেল। যেভাবেই হোক, উপস্থিতিটাও অনেক কিছু- বিজ্ঞাপনের ভাষায় স্টে ইন টাচ!


চিন্তা-ভাবনা ভালো লাগলো। অবশ্যই আপনার ব্লগেও লিখবেন।

ভালো থাকুন সব সময়।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব জুলিয়ান,
সাধারণের দু-চারটে সাধারণ চিন্তা-ভাবনা আরকি! তেমন কিছু না হয়তো।

আপনিও অনেক অনেক ভাল থাকুন এই কামনা করি।

২৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

তুষার আহাসান বলেছেন: ভাল লাগে তাই আসি।

পোস্টও দিই।

তেমন কেউ পড়ে না।
ক্ষোভ নাই।
অনেকের লেখা পড়ি।

আপনার সুচিন্তিত লেখাটি পড়ে ভাল লাগল।ধন্যবাদ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব আহসান,
খুবই ভাল লাগলো আপনার এই- ক্ষোভ নাই; অনেকের লেখা পড়ার মনোভাবটি। এজন্যই আপনি তেমন কেউ নন, বরং বিশেষ কেউ। আমার সামান্য লিখাটিতে সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ভাল থাকুন সবসময়... শুভ কামনা। :)

২৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

তার আর পর নেই… বলেছেন: নেক্সাস এর সালতামামি এবং ওখানে আপনার কমেন্ট দেখে এলাম।
একটু অন্যরকম লাগলো পুরোটা।
এই লেখক শব্দটা আমার ভালই লাগে।
ব্লগে যদিও নতুন কিন্তু অনেকদিন ধরেই দেখছি। ভাল লাগে। একধরনের নেশা, আগে ছিল ফেবুর নেশা, এখন ব্লগ। সমালোচনা ভাল লাগে। বেশ কয়েকজন খুব ভাল কমেন্ট করেন। তেল মাখানো কমেন্ট নয়। গঠনমূলক কমেন্ট।
আগে ঠিক কেমন লেখক ছিলেন জানিনা। তবে অনেকেই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দেখি প্রায়ই।
শুভকামনা রইলো অন্ধবিন্দু।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
তার আর পর নেই! বাহ! পয়েটিক নিক-নেম।

নতুন পুরাতন তেমন কোনও বিষয় না। এই যে আপনি সমালোচনা, গঠনমূলক কমেন্ট ইত্যাদির প্রতি ভাল লাগা রাখলেন, উৎসাহিত করলেন; এতেই আপনার লেখক/পাঠক পরিচয়টি পাওয়া গেলো :)

ভাল-মন্দ-আশা-হতাশা-ক্ষোভ-সন্তোষ এইসব নিয়েই তো আমাদের জীবন; সে ভার্চুয়াল হোক বা প্রকৃত। আমাদের নেশা সুস্থ থাকুক সুন্দর থাকুক, থাকুক মানবিক... এইতো চাই।

আশাকরি সামনের দিনগুলোতেও আপনার সাথে আরও কথা বলার সুযোগ হবে। ব্লগীয় পথচলায় আপনার জন্যও রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা। আপনার সব রকম মঙ্গল হোক...

২৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
মিস্টার অন্ধবিন্দু যে অবশ নহেন এই সূচালো কিন্তু অতীবয় কোমল লেখাটিই তার প্রমাণ !!

পুরো লেখায় আপনি লিঙ্ক করে করে একটি রেখা অংকন করেছেন মনে হচ্ছে, যা ব্লগীয় কিংবা আত্মসন্ধানীর পথে যে কাউকেই অনুপ্রেরণা দেয়, বলা যায় আল্টিমেট সুস্থ আত্মবোধ নিরীক্ষণ রেখা ।




১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব কথাকথিকেথিকথন,
আপনার কোমল পাঠ-স্পর্শ পেয়েই হয়তো আমার সামান্য লিখাটি অতীবয় কোমল হতে পারলো।

লিখাটিকে উদার মূল্যায়নে সম্মানিত করলেন। অংকিত রেখাটি দেখতে সম্ভবত বহুরঙা হয়েছে, ভিতরে কিন্তু তার একটাই রঙ- ‘মানুষ ও মানবতা’। এ দিকটায় আমরা অবশ হ’তে চাইনে/দিতে পারি নে। সে যে মাধ্যমেই হোক না কেনও!

মূল্যবান সময় ও সুচিন্তিত মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভাল থাকুন সতত। :)

৩০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি কিছু না বলে কমেন্ট ফলো করতে থাকি বরং।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
অপর্ণা মম্ময়,
এই গরিবের গরিব-টাইপ বিরচন আরকি! হাহ হা। আপনিও কিছু বলতে পারতেন। আর আমার এখানে কথা বলতে সঙ্কোচ/কুণ্ঠা বোধ করবেন না। একেবারে সোজাসাপ্টা ব’লে দেবেন। আপনার লেখা এবং কথা পড়ে-শুনে অন্তত এ আস্থা পেয়েছি; যা বলেন খুব ভেবে-চিন্তেই বলেন, আপনি। এবং এতে করে আমারও শেখা/জানা/বোঝার অধুনাতন সুযোগ হবে।

ভাল থাকুন। সুন্দর থাকুন, এই কামনা করি।






৩১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

আবু শাকিল বলেছেন: ব্লগিং আমার জন্য বিলাসিতা ।বিলাসিতা দিয়ে কোন কিছু পরির্তন করা যায় না।ব্লগাররের ট্যাগ নিয়ে সবার সাথে থাকার চেষ্টা করি । ব্লগে সেই আদিকাল থেকে রয়ে গেছে আদান-প্রদান প্রথা ।এটা এখনো বিলপ্তি করা সম্ভব হয় নাই ।আমিও সেই নিয়মে চলি ।তাই যারা সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে লিখেন তাদের পোষ্টে যেতে পারি না।
আপনার অতি গঠনমূলক কথা গুলো আমার কাছে খুব খুব কঠিন লাগে । আপনার পোষ্টে অথবা মন্তব্যে রিপ্লে দিতেও কী-বোর্ড কাঁপে ।
আপনার সুচিন্তিত লেখার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানিয়ে গেলাম -
কথা গুলো খুব ভাল লেগেছে -
"যুক্তি-তথ্য-বিজ্ঞান আছে, গালাগাল বা উন্মাদীয় টোন নেই এমন যেকোনো লেখাই আমার গুরুত্ব ও মনোযোগের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। আমি মনে করি, গঠনমূলক আলোচনা ও উৎসাহজনক সমালোচনা করেই ব্লগে ব্লগারদের মধ্যকার বিশুদ্ধ বন্ধু-সুলভ সম্পর্কটি গড়ে তোলা সম্ভব। এতে যেমন পোস্টগুলো যথাযথভাবে পঠিত হয়, পাশাপাশি পোস্টে কৃত মন্তব্যগুলোও প্রাসঙ্গিক থাকে এবং পোস্টদাতা ও মন্তব্যকারী উভয়ের মধ্যে আস্থা-স্থাপন হয়। এভাবে গড়ে ওঠা সম্পর্ক ঠুনকো হয় নে। অন্যথায় ভার্চুয়াল ব্যক্তি সংযোগসমূহ মেকি মাত্র, যতক্ষণ একটিভ আছেন তো ততক্ষণ আপনাকে মনে রাখছে জগতের বাসিন্দারা। যবে থেকে অফলাইন হলেন, আপনার সকল উপস্থিতিও উধাও। দলকানা ও প্রচারকাঙাল মন-মানসিকতা অপছন্দ করি। চাটুকারিতা ঘৃণা করি। খুব বিরক্ত হই কপি পেস্ট পোস্ট দেখলে। ইংরেজি/অন্যভাষা থেকে অনুবাদিত পোস্টে মূল লেখকের নাম ও লিংক অনুল্লেখ থাকলে কষ্ট পাই; এটা হচ্ছে জাতের কষ্ট। কারো বিশ্বাস-মত-অবিশ্বাসে অসভ্য নোংরা আক্রমণ দেখে ব্যথিত হই প্রচণ্ড।ব্লগিং করি বা লেখালেখি; মানুষ হিসেবে আমরা সকলেই সমান। তাই আমাদের ব্যবহার, কথার ভাষা, মিথষ্ক্রিয়ায় অন্তত ন্যূনকল্পে সততা, শ্রদ্ধা, মানবিক বোধ, পরমত সহিষ্ণুতা, ও ভালবাসা থাকা কি ন্যায়সঙ্গত নয়!"
সালাম জানবেন ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ওয়ালাইকুমস সালাম, জনাব।

অকপটে কথাগুলো ব’লে গেলেন। এই আন্তরিকতা, সম্মান এবং মূল্যায়নকেও কে আমি আদান-প্রদান প্রথা ভাবতে চাই নে, বিলাসিতাও নয়! সেই আদিকাল থেকে মানুষে মানুষে এই ভাললাগা-ভালবাসার যে আদান-প্রদান করে আসছে। এ তারই ক্রমিক গতি। বেঁচে থাকুক সতত আমাদের মধ্যকার এ-ই অনুশীলন, শুদ্ধ থাকুক, নির্ভেজাল থাকুক।

খুব খুব কঠিন লাগে, সে আমারি কমতি। আপনার কী-বোর্ড কাঁপতে দিবেন নে একদম। অ-লেখকদের জন্য কী-বোর্ড কাঁপাতে নেই!! হাহ হা। :)

আপনার মূল্যবান সময় ও ভাললাগার প্রতি আমারও সম্মান রইলো।
অনেক অনেক ভাল থাকুন। শুভ কামনা।

৩২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০

আবু শাকিল বলেছেন: জীবনের অর্থটা বদলে যাচ্ছে ।হতাশায় নিমজ্জিত ।তবুও আশাবাদী হয়ে বেঁচে থাকি । ব্লগে বিভিন্ন যাগায় ঢুঁ মেরে আনন্দ খোঁজে ।ভার্চুয়ালে বাস্তবতাটা বোঝা যায় না।
আপনার বিনয়কে সম্মান জানাই ।এতটা আন্তরিকতা আর ভালবাসা দিলে কারো সাধ্য নেই দূরে থাকার।যদিও আমি কাওকে প্রাপ্ত সম্মান দিতে পারি না।সে আমার ব্যার্থতা ।
আমি মেধাহীন । আমি কোন কালেই ব্লগার ছিলাম না।
আপনাদের সাথে কথা বলা এবং থাকতে পারা আমার পরম সৌভাগ ।
আপনিও ভাল থাকবেন ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

ভাইটি,
আমিও মেধাহীন। বিনয় করছি না। ঘটনা সত্য। আপনি যে বদলে যাওয়া জীবনের অর্থ, হতাশায় নিমজ্জিতর কথা বলছিলেন। তা থেকে আমরা সাধারণ মানুষ কেউই মুক্ত নই গো ...

ভার্চুয়ালে বাস্তবতাটা অস্পষ্ট বটে। তবে বেশিদিন লুকিয়ে রাখতে অল্প কজনই কিন্তু পারেন। প্রকাশ কোনো না কোনও ভা্বে পায়ই। আনন্দ খুঁজতেই পারেন। ওই চা য়ের সাথে টা মিলে গেলে ভাল হয় আরকি।

আমরা একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল যদি থাকতে পারি। এটা সম্মানের চাইতেও মূল্যবান। আর আপনি লিখেন না কেন! ব্লগে অতো গুছিয়ে-টুছিয়ে লিখার দরকার নেই। ফান-পোস্ট, রম্য বা সুস্থ বিনোদন দেয় এমন লেখা পোস্ট করুন। আনন্দ ছড়িয়ে দিন। লেখা/লেখকের গুল্লি মারেন। আমরা সাধারণ করে-কটে মনের কথা প্রকাশ করে যাই। না-হোক সাহিত্য-ফাহিত্য। আশাকরি খুব শীঘ্রই একটা পোস্ট করবেন। আশায় থাকলুম। :) :) :)

৩৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: লেখাটা পড়লাম আর কমেন্টও অনেকগুলো। বেশ চিন্তাশীল লেখা, মন্তব্যেগুলোও তাই। যা যা বলতে চেয়েছি কেউ না কেউ দেখি আগেই বলে ফেলেছে।অতএব শুভেচ্ছা জানাচ্ছি শুধু।ব্লগিং যে যেই কারণেই করুক না কেন , করাটাই আসল যদি সাধু মন হয়। কলুষিত ব্লগিং না হলেই হলো।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
রেজওয়ানা আলী তনিমা,
ব্লগ পাতাটি ও মন্তব্যের প্রতিউত্তরগুলোতে হয়তো খেয়াল করলেই দেখতে পাচ্ছেন- আমি কিন্তু কেবল ব্লগিং নিয়েই কথা বলি নি। এর ব্যাপ্তি আরো অনেকটা জুড়ে ছিল। ব্যাকড্রপ-সংযোগটিও আনার চেষ্টা করছিলুম। আপনি বলছিলেন- যদি সাধু মন হয়। আসলে সাধুতা আসে মানুষের শিক্ষা-মানস-মনন-চরিত্র ইত্যাদি ব্যক্তিগুণ থেকে, ব্যক্তি আমি সে প্রকৃতির না হলে কর্মে তার ছাপ কতোটা থাকা সম্ভব! সততা-সাধুতার লালন যেমন মন/বোধ হ’তে কর্ষিত হয়, তেমনি সুশিক্ষা দ্বারা একে উদ্বুদ্ধ ক’রে যেতে হয়। পাশাপাশি আবার পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেষ্টন তো রয়েছেই।

একটি আলোচনাকে বহু-দৃষ্টিকোণ রেখে এগিয়ে নেয়া যায়―সামহোয়্যারইন...ব্লগটিতে আসতেম কারণ এ ধরনটির দেখা অল্পসংখ্যক হলেও অন্তত পাওয়া যেতো, এখানে। এখন অবশ্য অধিকাংশ ব্লগারগণই অনেক ব্যস্ত যার যার লেখা নিয়ে। জীবিকা তাগিদে ঢের-ব্যস্ত আমি নিজেও।

মূল্যবান সময় ব্যয় করে পাতাটিতে পাঠক-দৃষ্টি দেবার জন্য ধন্যবাদ রইলো।
ভাল থাকা হোক, খুব ভাল।

৩৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রতি নিয়তই শিখছি, শিখলুম আপনাদের অনেকের প্রচুর জ্ঞানগর্ভ কথা। ভাল লাগল, অনেক ধন্যবাদ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব ঢাকাবাসী,
তেমন জ্ঞানগর্ভ কিছু না। সাধারণ জ্ঞান আর সাধারণের কথাই বলছিলুম। আপনাকে সাথে পেয়ে আমারও ভাল লাগল।

ধন্যবাদ আপনাকেও।

৩৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
prothom diker kichu Line pore kothin mone hoLo, aan matha kaj kortesena। kaL eshe purata pore jabo.

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ইমরাজ কবির,
আমি আপনার ব্লগ বাড়িতে মুভি-২০১৬ পড়ছিলুম। আর আপনি এখানে!!

হ্যাঁ! সময়-সুযোগ থাকলে পড়তে পারেন। তেমন মূল্যবান বা পড়তেই হবে এমন কিছু নয় কিন্তু। কঠিনে থাকি তো, লেখা-বলা-কথাও কঠিন হয়ে গেছে। হাহ হা।

শুভ কামনা রইলো।

৩৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন:
আমি আশাবাদী―
বাংলার কৃষকের মতো
আমি আশাবাদী নই, তার লাঙলটির মতো।
আমিও ঠিক এরকমভাবে আশাবাদী।উপরে সবাই খুব সুন্দরভাবে মন্তব্য করে অনেককিছুই জানিয়েছেন।মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য মিলিয়ে পোস্টের পাশাপাশি তাতেও অনেককিছুই চলে এসেছে।পোস্ট পড়ে বিষয়গুলো বেশ উপলব্ধি করেছি।কিন্তু নগণ্য পাঠক হিসেবে পুরোপুরি তা মতামতে জানাতে অপারগ, হয়ত সে সক্ষমতা অর্জিত হয়নি। পুরো লেখাটি নিজের মনন-চিন্তাকে আয়নায় দেখার মতো।চিন্তার জগত নাড়িয়ে দেয়।বেশ দার্শনিক-আত্মবিশ্লেষণী লেখা।পরিশেষে শুধু বলব শিখছি এখনো...

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জাহেদ,
ভাল লাগল আশায় সঙ্গ পেয়ে। কে বলেছে-ে সক্ষমতা অর্জিত হয়নি! এইযে আপনি কত চমৎকার বললেন-পুরো লেখাটি নিজের মনন-চিন্তাকে আয়নায় দেখার মতো।চিন্তার জগত নাড়িয়ে দেয়।

আসলে সাধারণ আমি সাধারণ কিছু কথাই বলছিলুম। আপনারা বরং নিজেদের মনন ও চিন্তার স্পর্শ রেখে পোস্টটিকে আয়নার মত হতে সাহায্য করলেন, হয়তো। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

শেখার কি আর শেষ আছে। আপনিও শিখছেন, আমিও যে শিখে চলেছি ...

ভাল থাকবেন সতত। শুভ কামনা অনেক অনেক।

৩৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন কিছু জানা গেল । আপনার অনেক ভাবনার সঙ্গে আমার ভাবনাও মিলে গেল । কোয়ালিটি পোস্ট । তবে আমি কয়েকজন সুপ্রিয় ব্লগারের লিখা পারত পক্ষে মিস করিনা । একেবারে সার কিছু কথা বললেন । এটি পড়ে ব্লগাররা উপকৃত হবেন ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মূল্যবান মূল্যায়নে ধন্যবাদ, জনাব সেলিম। ভাবনায় আমরা সাধারণ, মিলে তো যাবেই! হাহ হা। হ্যাঁ! যাদের লেখা ভাল লেগে যায়, পাঠকেরা কি আর সে ভাললাগা মিস করতে চায় :)

আশাকরি ভালো আছেন। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।

৩৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

বনমহুয়া বলেছেন: এই লেখাটা মূল্যবান ও শিক্ষনীয় মনে হওয়ায় আমার প্রিয়তে রাখছি।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বনমহুয়া,
ভাল লাগল যেনে আপনি সামান্য পাতাটিকে মূল্যবান ও শিক্ষণীয় মনে করছেন। আসলে আমাদের আশেপাশে কত না মূল্যবান ও শিক্ষণীয় উপাদান প’ড়ে থাকে, আমরা নজরও দিই না ...

আপনার মূল্যবান সময় ও পাঠক দৃষ্টির জন্য ধন্যবাদ রইলো।
ভাল থাকবেন। :)

৩৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: মানুষ আর মানবতার রং যে পায় তার তো মনে হয় না আর কোন রঙের দরকার আছে, সে সুশৃঙ্খল ঘড়ির যত্ন নিতে পারবে বন্ধ হওয়া অবধি ।

আপনিও ভাল থাকুন খুব ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কথাকথিকেথন,
খুব সুন্দর বলেছেন। খুব যথার্থ।

লালন বলে না-
মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি
মানুষ ছাড়া ক্ষ্যাপা রে তুই মূল হারাবি।


যারা সোনার মানুষ। মানবতার রং যে রাঙিয়ে থাকে, আমাদেরও উচিত তাঁদের যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়ন করা। এমনি করে সুশৃঙ্খল ঘড়ির যত্ন হ’লে, সুশৃঙ্খল থাকতে পারবো আমরা সকলে ...

অনেক ভাললাগা রইলো এই অসাধারণ মন্তব্যটিতে।

৪০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গভীর চিন্তাশীল লিখায় দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে । অনেক দীর্ঘ লিখা ! আসমানের দিক তাকিয়ে লম্বা শ্বাস ছেড়ে পড়ার টানছি =p~
পড়তে সময় লাগলেও , সময়টা খারাপ কাটেনি । B-)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জনাব লিটন,
সামান্য লিখাটিতে আপনার অতি মূল্যবান সময় ব্যয় করলেন, ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিছু কথা আছে, কিছু কাজ আছে ভাললাগা-খারাপ লাগার ঊর্ধ্বে ওঠে আমাদের বলতে হয়, করতে হয়।

আসলে এর চাইতেও দীর্ঘ একটি আলোচনাকে অনেকখানি হ্রস্ব করে পোস্ট করেছিলুম। দেখুন তারপরও দীর্ঘ লাগছে। এসব নিয়ে পাঁচ-ছ’শ পৃষ্ঠার বই লিখে দিলেও কম পড়ে যায়। আপনি তো সেটা জানেন। :)

সময়টা খারাপ কাটেনি জেনে আশ্বস্ত হ’লেম।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
ভাল থাকবেন।

৪১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০২

রোদেলা বলেছেন: উফ কতো জটিল কথায় ভরা,তার উপর দীর্ঘ মন্তব্য।আপ্নি যে আমার অনেক খানি সময় নিয়ে নিলেন এমন লেখা দিয়ে,এখন আমি কি করি।দার্শনিক পোস্টে আমি সাধারনত মন্তব্য করতে ভয় পাই,মাছ ভাত টাইপের গল্প কবিতা লিখে আমাকে উদ্ধার করতেন।
শুধু এইটুকুই বলতে পারি-ব্লগে না ঢু মাড়লে রাতে ঘুমাইতে পারিনা,মন্তব্য করি আর না করি।পড়ি সবারটাই,কোন নিক দেখিনা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
রোদেলা,
আপনার অনেক খানি সময় নিয়ে নিলেম, দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মাছ ভাত টাইপের গল্প কবিতা লিখতেও যে ট্যালেন্ট লাগে, সেকি আর আমার আছে! হাহ হা। ভাল লাগলো জেনে, নিক না দেখে সবটাই পড়েন। এই যেমন আমার পোস্টখানাও পড়ে গেলেন :)

অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
ভাল থাকবেন।

৪২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

এহসান সাবির বলেছেন: পোস্ট ও মন্তব্য উভয়ই জটিল......

আহমেদ জী এস ভাই আর আপনার কথাবার্তা গুলোও জমজমাট।


ভালো থাকুন।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সাবির,
আপনাকে ধন্যবাদ ভাইটি। সময় ব্যয় করে লিখাও মন্তব্যগুলো পড়লেন।
জটিল কিছু না। সাধারণ কিছু কথাই বলছিলুম।

আপনিও ভাল থাকুন সবসময়।
অনেক শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.