নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশরাফুল আলম

চির চেনা

i write for myself, its my hobby, want to be a bolgger.

চির চেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্মদিনের জন্ম ইতিহাস আর তার অনর্থকতা।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৩

জন্মদিন পালন আজকাল শুধু একটি নিছক মজা-ই না এটি জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে গেছে,হয়ে যাচ্ছে একটি ঐতিহ্য,সাথে জাতের মাপকাঠি বিচারের একটি উপায়ও বটে।হচ্ছে প্রতিযোগিতা বা বিশেষ আয়োজন।

প্রকৃত পক্ষে জন্মদিন পালন কবে থেকে বা কাকে উদ্যেশ করে প্রথম শুরু হয়েছিল এমন ইতিহাস অকাট্য বা প্রমাণিত কোণ তথ্য কোথাও পাওয়া যায় নাই,তবে যতদুর ইতিহাস পাঠ করে জানা যায় পূজা অর্চনায় লিপ্ত লোকসকল বা সম্প্রদায় এরকম একটি অনুষ্ঠানের উদ্ভাবক।শাস্ত্রীয় বিবরণ ও জ্যোতিষ গণনার ভিত্তিতে লোক বিশ্বাস অনুযায়ী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ৩২২৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের ১৮ অথবা ২১ জুলাই। এ দিনটি জন্মাষ্টমী নামে পরিচিত। ভাদ্র ও মাঘ মাসের শুক্লা চতুর্থীকে গণেশ চতুর্থী বলা হয়। হিন্দু বিশ্বাসে এই দিনটি গণেশের জন্মদিন।

হিন্দু ধর্মে দ্বাদশ অথবা ত্রয়োদশ বছরে জন্মদিন পালিত হয় ‘পৈত পরিধান উৎসব’ হিসেবে। বয়স পূর্তিতে শিশু একটি বড় সূতার কুণ্ডলী কাঁধের একপার্শ্বে ঝুলিয়ে রেখে পরিধান করে। এছাড়াও, এ উৎসবটি উপনয়ণ নামে স্বীকৃত। হিন্দুদের বর্ণপ্রথায় উচ্চতর বর্ণ হিসেবে ব্রাহ্মণ পরিবারের সংস্কৃতিতে এ উৎসবটি মূলতঃ বালকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

খ্রিস্টান সম্রপদায়ের মধ্যেও এই প্রথা মূর্তি পুজারকদের থেকে বিস্তার লাভ করেছে।এক সময় ইউরোপের দেশগুলোতে এই জন্মদিন পালন হতো মোটামুটি অনাড়ম্বর পরিবেশে,তবে আজকাল এই জন্মদিন নামক অনুষ্ঠানটি ইউরোপ,ভারত থেকে শুরু করে সারাবিশ্বেই আড়ম্বরপুর্ন ভাবেই পালন হয়ে থাকে।

ইসলাম এর দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলমান হিসেবে বলতে হয় এই দিবস পালন সম্পূর্ণ বিদআত,ক্ষেত্র বিশেষ হারাম।তবে বিদআত কে ছোট করে দেখার উপায় নেই। কারণ প্রত্যেক বিদআত দূষণীয় এবং বর্জনীয় আর এর পরিণাম সম্পর্কে বলা হয়েছে প্রত্যেক বর্জনীয় কাজ-ই জাহান্নামের আগুন।

আবার এই বিদআত এক ধরনের পূজার মত হয়ে যায় যখন মোমবাতি জ্বালিয়ে অগ্নি উপাসকদের মত অবস্থার সাদৃশ্য অবস্থার সৃষ্টি হয়।

এটা তো গেলো এক দিক,সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও দেখা যায় এটা মুসলিম বাঙ্গালী সমাজের জন্যও মানানসই না।

তবে এ নিয়ে অনেকেই অনেক ভাবে অনেক সময় অনেক রকম আলোচনা করেছে।আমার আলোচনা সেসব নিয়ে না।

জন্মদিন পালন আসলে কেন বা এটা কোন দিক দিয়ে যুক্তিযুক্ত ?বিবেক দিয়ে প্রশ্ন করবেন নিজেকে আর উত্তর নিজেই ভেবে বলবেন।

@ আপনি যেদিন জন্মগ্রহণ করেছেন সেই দিন কি কখনো ফিরে আসবে বা সে সেই দিনের মত সময় অবস্থান কি কখনো আসবে ?

@ সবচেয়ে বড় যে কথাটি সেটি হল এই জন্মের ব্যাপারে কারো ব্যাক্তির নিজের কোন যোগ্যতা বা বা ক্ষমতা নেই,এক মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে নির্মম কষ্ট সহ্য করে একটি সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করে অথচ সেই মানুষটি পড়ে উপেক্ষিত হয়ে একটি জন্মদিন পালন করা হয়।

এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভূমিকা স্রস্টার এবং বাবা মা এর মাধ্যমে পৃথিবীতে আগমন।

@ জন্মদিনকে একটি তারিখ বা দিনের সাথে মিলিয়ে স্মরণ করার অর্থ টা কতটুকু অর্থবহ!

-সামগ্রিক ভাবে যদি দেখা হয় তবে এরকম একটি দিন একটি ব্যবসা এবং মূলত অনর্থক কাজ।যদি কেউ মনে করে যে এই দিনটিকে আমি স্মরণ করতেই চাই তবে সে ছেলে অথবা মেয়েটির উচিত নিজের মা বাবার কাছে ছুটে যাওয়া এবং মা বাবা কে গিফট দেয়া বা তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো সেই সাথে স্রস্টায় আস্থাশীল হলে স্রস্টার শোকর আদায় করা।কারণ নিজের যোগ্যতায় নয় মা বাবার কল্যাণে স্রস্টার সৃষ্টিতে যেহেতু পৃথিবীতে আগমন তাই দিনটি নিজের জন্য নয়,বরং তাদের জন্যই হওয়া উচিত।

আবার অন্যদিকে একমাত্র বাবা মা-ই এই দিনটির কথা স্মরণ করতে পারে এই ভেবে যে আমাদের বুকের মানিক এইদিন আমাদের বুক জুড়ে এসেছিল।

যদিও প্রকৃত অর্থে জন্মদিন একটি অনাচারধর্মীয় অনুষ্ঠান তথাপি কেউ চাইলে উপরে উল্লেখিত দুইটি কাজ করতে পারে যা কৃতজ্ঞতার দিবস হিসেবে জীবন কে সুতোর টানে আবদ্ধ রাখতে পারে।

একজন মুসলমান হিসেবে এ কথাটুকু দিয়ে শেষ করতে চাই,জন্মদিন কোন উৎসবের দিন নয় বরং অসীম গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে ভয়ঙ্কর সঙ্কেত দিবস।তাই হাসির মাধ্যমে উদযাপন নয়,অনুশোচনা আর ক্রন্দনের মাধ্যমে পুন্যময় জীবনের জন্য নতুন করে শপথ নিয়ে দিনটিকে অতিবাহিত করাই অধিকতর অর্থবহ হবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২২

বিপ্লবী বেদুঈন বলেছেন: হুম, যৌক্তিক আলোচনা। জন্মদিন নয় মানুষ টিকে থাকে তার আচরণ এবং সৎকর্মের মধ্যে!!

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

নিলু বলেছেন: লিখে যান

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১০

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: বিষয়টির অবতারনা সময়োপযোগী। উপস্থাপনা ভালো। ভালো লেগেছে

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

সকাল>সন্ধা বলেছেন: আপনি যে বলেছেন ইসলামে জন্মদিন পালন বেদাত এর সপক্ষে দলিল তো দেন নাই খালি কথার ফুল ঝুরি দিয়ে তো কাজ হবেনা। একটা হাদিস শরীফ বা কুরআনের আয়াত শরীফ দেন?

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

চির চেনা বলেছেন: বিশ্ব নবীর (সা.) জন্মদিন ও ওফাত দিবস একদিনেই। দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ ছাড়াও অনেক মুসলিম দেশ। কিন্তু সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল-আশেখ বলেছেন, এমন উদযাপন করা রীতিমত পাপ। এ ব্যাপারে তিনি মুসলমানদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, এটি একটি কুসংস্কারচ্ছন্ন অনুশীলন এবং ধর্মে অবৈধভাবে তা ঢুকে পড়েছে।
শুক্রবার জুম্মার খুৎবায় গ্রান্ড মুফতি আরো বলেন, নবীর (সা.) জন্মদিন উদযাপন বিদআত বা পাপপূর্ণ আচার। ইসলামের ইতিহাসের শুরু থেকে তা ছিল না। অন্তত তিন শতাব্দী পর থেকে এটি ইসলামে ঢুকে গেছে। তিনি বলেন, নবীর (সা.) শিক্ষা হচ্ছে তার সুন্নাহ অনুসরণ করা। তার শিক্ষা অনুশীলন করা। মেনে চলা। রিয়াদে তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ মসজিদে জুম্মার খুৎবায় গ্রান্ড মুফতি এ কথা বলেন।
গ্রান্ড মুফতি বলেন, যারা অন্যকে নবীজির (সা.) জন্মদিন পালন করার আহবান জানায় তারা শয়তান ও দুর্নীতগ্রস্ত। নবীজিকে (সা.) সত্যিকারভাবে ভালবাসতে হলে তার রেখে যাওয়া শিক্ষাকে অনুসরণ করতে হবে। সুন্নাহকে অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপনই নবীজিকে ভালবাসা।
জুম্মার খুৎবায় গ্রান্ড মুফতি বলেন, আল্লাহ বলেছেন, “ বল : যদি তুমি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন এবং তোমার পাপ ক্ষমা করে দেবেন। ” মুসলমানদের দায়িত্ব হচ্ছে নবীজিকে (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুল হিসেবে বিশ্বাস করা। আল্লাহ নবীজিকে (সা.) সারাবিশ্বে পথ প্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন। মুসলমানদের কর্তব্য তাকে ভালবেসে অনুসরণ করা।
মুফতি বলেন, যারা নবীজির (সা.) শিক্ষাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা দেয় তাদের হাত থেকে মুসলমানদের রক্ষা করা অন্য মুসলমানদের দায়িত্ব। নবীজির (সা.) শিক্ষাকে অপব্যবহার থেকে বিরত থাকাও প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য বলে মুফতি বলেন, নবীজিকে (সা.) ভালবাসতে হলে এসব দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।
পবিত্র কোরআনের আয়াত উল্লেখ করে গ্রান্ড মুফতি বলেন, মুসলমানদের সন্তান সন্ততি, ভাই, পিতা, মাতার চেয়ে আল্লাহ ও তার রাসুল (সা:) কে অধিক প্রিয় মনে করা উচিত। আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) কে সব কাজে অনুসরণ করা অবশ্য কর্তব্য। তবে আল্লাহর বিরুদ্ধে যারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাদেরকে আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেন না।
- See more at: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.