নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশরাফুল আলম

চির চেনা

i write for myself, its my hobby, want to be a bolgger.

চির চেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবেক জাগ্রত হবে কবে?

০৮ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:৪২

ধর্ম বা ধর্মীয় শিক্ষা জঙ্গিবাদ এর জন্য দায়ী বা জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয় বা উৎসাহিত করে এমন কথা যারা বলে তারা মুসলমান নয়।যারা এধরনের কথা প্রচার করে তাদের উচিত নিজেদেরকে অমুসলিম ঘোষনা দিয়ে তারপর এই ব্যাপারে কথা বলা।
জঙ্গিবাদ শব্দের অপপ্রয়োগ ই তিল কে তাল করে আজকের এই ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
লাদেন থেকে শুরু করে শায়খ আব্দুর রহমান পর্যন্ত প্রত্যেক কথিত জঙ্গী ইসলামবিরোধী শক্তির সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক থেকে সৃষ্টি এবং তাদের সাথে কোন না কোন ভাবে সম্পর্কিত।
নিজের ঘর থেকে বিষ ছুড়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে অন্য ঘরকে ধ্বংস করা এসব জঙ্গি সৃষ্টির কারণ।এবং তার সাথে একটা ব্র্যান্ড তৈরি করে সেই ব্র্যান্ড এর নামে জনপদের পর জনপদ,দেশের পর দেশ তথা মুসলিম দেশ ও তার ভিতরকার প্র্যাকটিসিং মুসলমানদের ধ্বংস করার অজুহাত তৈরি করা হয় নানা সময়ে।
আফগানিস্তানে সোভিয়েত দের ঠেকাতে এবং আফগান,পাকিস্তান ও আমেরিকার সমন্বয় তৈরি করতে ওসামা বিন লাদেন ছিল মুল সমন্বয়কারী এবং অস্ত্র ও ট্রেনিং দিয়ে তাকে সবচেয়ে সহায়তা করে লাদেন।আজকের তার এই পরিচিতি তুলে আনে আমেরিকা নিজের হাত ধরে এবং এক সময় স্বার্থবিরোধী হয়ে গেলে তাকে সহ পুরো আফগানিস্তানকে ধ্বংস করা হয়।পালিয়ে যাওয়া ল্যাংড়া খোঁড়া লাদেনের নামে ইরাক,আফগানিস্তান এবং কায়দা করে পাকিস্তান কে ধ্বংস করে ফেলা হয়।
তেমনিভাবে শায়খ আব্দুর রহমান আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা মির্জা আজমের ভগ্নিপতি ছিল।সে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তার নাম দিয়ে আজ পর্যন্ত ইসলামিক দলগুলোর উপর নির্যাতন হচ্ছে এবং মসজিদ মাদ্রাসা কে সেন্সরড করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে আইএসআইএস এর সৃষ্টিকর্তা ইসরাইল আমেরিকা এবং এদের নাম ধরে সারা দুনিয়ায় মুসলিম দেশগুলোকে একের পর এক আক্রমণে নিঃশেষ করে দেয়া হচ্ছে।
অত্যান্ত আশ্চর্যের বিষয় হল এইসকল জঙ্গি গোষ্ঠী গুলো অত্যান্ত ভয়ঙ্কর হওয়া সত্ত্বেও এরা কোন দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় নাই বা যেতে পারে না বা সেই ক্ষমতাও তাদের নাই।তারা সবসময় পলাতক অদৃশ্যমান কিন্তু অত্যান্ত কথিত ভয়ঙ্কর এবং তাদের নামে সংঘটিত নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে দেশে দেশে লাখ লাখ লোক হত্যা করা হয়,একতরফা যুদ্ধ করা হয় কিন্তু দুই একজন মাথা কে দমন করার কোন চেষ্টাই কারো পক্ষ থেকে করা হয় না।এসব আসলে কি প্রমাণ করে?
পৃথিবীব্যাপী মুসলিমরা নির্যাতিত অথচ চূড়ান্ত অপবাদে আক্রান্ত।যে কোন কথিত হামলায় সারা বিশ্বব্যাপী দুই চারজন মরলেও এক ইরাকে আক্রমণ করে আমেরিকা ২ লাখের অধিক সাধারণ লোককে হত্যা করেছে।২/৪ জনের মৃত্যু যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম হয় তবে লাখ লাখ লোক হত্যাকাণ্ডে কেন বিবেক জাগ্রত হয় না?
অমুসলিমের চেয়েও বড় আধুনিক অথচ নামে মুসলিম লোকজনই এই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য তা ইতিমধ্যে বিভিন্ন আক্রমণের পর স্পষ্ট হয়ে গেলেও এদের নামে ইসলামী জঙ্গি শব্দের প্রয়োগই প্রমাণ করে ইসলাম কে কোণঠাসা করে রাখা এবং ইসলামকে ধ্বংস করাই এসব শব্দ প্রয়োগ ও অপবাদের মুল লক্ষ্য।
সর্বশেষ বাংলাদেশের ঘটনায় কথিত জঙ্গিদের সবাই অতি আধুনিক এবং ক্ষেত্রবিশেষ অনইসলামিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত লোকজনের নামে "নাড়ায়ে তাকবীর" শ্লোগান শব্দটি ব্যাবহার করে বিনাকারনেই কোটি কোটি সত্যিকারের মুসলিমকে অপমান করেছে অত্যান্ত সুনিবিড়ভাবে।
এর পর ও কি মানুষের বিবেক জাগ্রত হবে না?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বলেছেন!!

আমাদের দেশেও দেখেছি রাস্ট্রীয় শীষ ব্যাক্তিরা বিভিন্ন ফোরােম এই কথিত জঙ্গি ইস্যুেত মাদ্রাসা এবং সেনাবাহিনীকেও জড়িয়ে এমন প্রবন্ধ নিবন্ধ লিখেছে বক্তৃতা করেছে, যা আলটিমেটলি বাংলাদেশের বিপেক্ষ যায়!

ইউএস ষ্টাইলে বিরোধী মত দমনে জঙ্গি ট্যাগিং যেন ফ্যাশন হয়ে গেছিল! অস্ট্রিলিয়া যখন আসলনা খেলতে তখন হুশ হল-- আরে এতো খালি ঘরের খেলা না!!
তারপর তারস্বরে সকলেই চিৎকার জুড়ে দিল জঙ্গি নেই জঙ্গি নেই!

এই সাম্প্রতিক রাস্ট্রীয় যে অনাচার হল ঈদের আগে. ১২-১৪০০০ গণ েগ্রফতার করে তৃপ্তির ঢেকুর েতালা হল সব জঙ্গি ধরা শেষ টাইপ! ফাঁকে বিরোধী সবগুলানরে জেলে ভরা গেছের আনন্দও গোপনে... গুলশান ট্রাজিডি সব যেন দুধ কা দুধ পানিকা পানি করে দিল!

সেই রাম বাম সুমীল যারা একটা রাষ্ট্রের অনির্বচাতি সঐরচারা নিয়ে একটা বাক্যও খরচ করেনি অথচ অনিয়মটাকর লাখো সাফাই গেয়ে গেছে তারা আজ কোথায়? নাকি পেমেন্ট হালাল করতে ভাবছেন কিভাবে এটাকে ইউটার্ন করিয়ে বিরোধী এবং আম মুসলিমদের ঘাড়ে চাপানো যায়!!!

এই আত্মঘাত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

অনির্বাচিত ১৫৪ এমপি জনপ্রতিনিধি নন। তাই জনতার প্রতি তাদের দায়বোধও নেই!

বিবেক জাগ্রত হবে কবে???????????

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

চির চেনা বলেছেন: ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা
বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তুলে সমুদ্র
সাগর অতল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.