নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশরাফুল আলম

চির চেনা

i write for myself, its my hobby, want to be a bolgger.

চির চেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকায় মুসলিম সন্ত্রাসীদের ব্যপকতার পরিসংখ্যান

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

>
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি গ্লোবাল রিসার্চের এক রিপোর্টে বলা হয়, আমেরিকায় ৯০ শতাংশেরও বেশি সন্ত্রাসী হামলার জন্য অমুসলিমরা দায়ী।
>
এফবিআইয়ের একটি গ্রাফে দেখানো হয়েছে,১৯৮০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে
কমিউনিস্টরা ৫ শতাংশ, মুসলিমরা ৬ শতাংশ, ইহুদি চরমপন্থীরা ৭ শতাংশ, চরম বামপন্থীরা ২৪ শতাংশ, ল্যাটিনোরা ৪২ শতাংশ এবং অন্যরা ১৬ শতাংশ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।
>
২০১৫ সালের ২৪ জুন আন্তর্জাতিক টাইম ম্যাগাজিনে জোয়ানা প্লুসিনসকা পরিবেশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়, ‘Study says White extremists have killed more Americans in the US than Jihadists since 9/11.’ (গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ৯/১১-এর পর শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে ‘জিহাদি’দের চেয়ে বেশি আমেরিকানকে হত্যা করেছে।
>
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউএস নিউজ অ্যাড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টে বলা হয়, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতা ও গোলাগুলিতে তিন শ’র বেশি আমেরিকান নিহত হয়। সন্ত্রাসবাদবিষয়ক ট্রায়াঙ্গল সেন্টার এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মতে, তাদের মধ্যে মাত্র ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে মুসলমানদের হাতে।
>
২০১২ সালে মুসলিম-আমেরিকানদের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর কোনো রেকর্ডই নেই।
>
বেশির ভাগ পরিসংখ্যানে মুসলিম-আমেরিকানদের সংখ্যা ১৭ লাখ থেকে ৭০ লাখ উল্লেখ করা হয়। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, ২০১৩ সালে প্রতি ১০ লাখের মধ্যে সন্ত্রাসবাদে জড়িত মুসলিম-আমেরিকানদের সংখ্যা মাত্র ১০ জনের বেশি নয়। ২০০৩ সালে এ সংখ্যা ছিল প্রতি ১০ লাখের মধ্যে ৪০ জন। উত্তর ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক চার্লস কারজম্যান ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়াং টার্কদের এক সম্মেলনে বলেছেন যে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত এক লাখ ৮০ হাজার হত্যাকাণ্ডের সাথে মুসলিম সন্ত্রাসীদের জড়িত থাকার হার মাত্র এক শতাংশ।
>
২০১৫ সালের পয়লা অক্টোবর ওরিগন রাজ্যের ওমকুয়া কমিউনিটি কলেজে শ্বেতাঙ্গ ছাত্র ক্রিস্টোফার হারপার মারকাসের (২৬) গুলিতে ৯ জন ছাত্র নিহত এবং আরো ৯ জন আহত হয়। পুলিশের পাল্টা গুলিতে ক্রিস্টোফার নিজেও নিহত হয়েছে।
>
১৯৭০ থেকে ২০১২ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত ২ হাজার ৪০০ সন্ত্রাসী হামলার মধ্যে মুসলমানরা জড়িত ছিল ৬০টিতে। অর্থাৎ মুসলমানদের জড়িত থাকার হার মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ। পক্ষান্তরে ইহুদিরা জড়িত ছিল ১১৮টি সন্ত্রাসী হামলায়। এ হার হলো ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
>
ন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম পরিচালিত অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, ১৯৭০ থেকে ২০১১ সাল নাগাদ জাতিগত ও বিচ্ছিন্নতাবাদী উদ্দেশ্যে ৩২ শতাংশ, প্রাণী অধিকারের দাবিতে অথবা যুদ্ধের প্রতিবাদে ২৮ শতাংশ এবং ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ৭ শতাংশ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। ১১ শতাংশ হামলাকারীকে চরম দক্ষিণপন্থী এবং ২২ শতাংশকে চরম বামপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত যেসব সন্ত্রাসী গ্রুপের জন্ম হয়েছে তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ হচ্ছে ধর্মীয়। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোয়ান কোল যুক্তি দিয়েছেন যে, বিংশ শতাব্দীতে যুদ্ধের কারণে মৃত্যুর ঘটনাগুলোকে ‘খ্রিষ্টান সন্ত্রাস’ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
>
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ৩৫৫টি সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছে। এসব সন্ত্রাসী হামলার মধ্যে মাত্র তিনটির সঙ্গে মুসলমানরা জড়িত। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্সের (কেয়ার) হিসেবে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সন্ত্রাসী হামলার হার দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি দুই কোটি লোকের মধ্যে একজন আমেরিকান মুসলিম সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হতে পারে। অথচ সে দেশে কুকুরের কামড়ে মারা যায় প্রতি ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৪৮ জনের মধ্যে একজন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.