নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশরাফুল আলম

চির চেনা

i write for myself, its my hobby, want to be a bolgger.

চির চেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিতা ওয়াজ

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১০

বিজয়ের গল্প শুনে দুর্বোধ্য ভীতিকর অভিযান আর ইতিহাস বাদ দিয়ে আল্লাহু আকবার বলে চুপ করে ঘরে বসে মিরাকলের অপেক্ষায় থেকে আরেক বিজয়ের প্রত্যাশা ইসলামী আন্দোলনের কাম্য নয়।
আবার সাময়িক পরাজয়ের আভাস পেয়ে হুরহুর করে আল্লাহ্‌র দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে ভুল পদক্ষেপ,ভুল পদক্ষেপ বলে চিৎকার করে সন্দেহবাতিক হয়ে পৃষ্ঠ প্রদর্শন এর নাম ও ইসলামী আন্দোলন না।
নবিজীর হাতে ইসলাম গ্রহণ করে হজরত সুমাইয়ার শাহাদাত গ্রহণ ছিল অমানবিক,কিন্তু সেই সূচনা দিয়ে মক্কা বিজয় ছিল আমাদের গৌরবের উপাখ্যান।ফেরেশতাদের সাথে নিয়ে বদরের যুদ্ধের বিজয়ের আগে অমানবিক নির্যাতন আর কষ্টের সব ভুলে মিরাকলের প্রত্যাশা মুমিন করে না।
রক্ত আর ফাঁসী -- মুমিনের সাক্ষ্যদানের প্রতিফল।
কি সেই সাক্ষ্য?
নিশ্চয়ই আমার নামাজ,আমার ত্যাগ-তিতিক্ষা আমার কোরবানি,আমার সকল সত্তা সব সেই মহান রবের জন্য।(আল-কোরআন)
এর পর সব তুচ্ছ,সব উৎসবের-ভীতির না,সব আনন্দের-কষ্টের না,সব উৎসাহের-পলায়নের না,সব উচ্ছ্বাসের-অজুহাতের না।
কিন্তু আজ বদরের বিজয়কে স্মরণ করে কাঁদি আর পুলকিত হই,কিন্তু তার আগের অবস্থায় নিজেদের দেখতে চাই না।
ইসলামী আন্দোলনের জন্য আন্তরিকরাই সফলকাম হয়ে যাচ্ছে আর আমরা এখনো গোমরাহিতে পরে সন্দেহের আবর্তে ভাসছি আর হতাশ হচ্ছি।
যারা ফাঁসীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসি দিয়ে গেছে তারাই সফল।
নাম সর্বস্ব আলেম ওলামা আর বক্তৃতাবাজরা হক্বের কথা বলার সাহস নেই।কিন্তু নিজদের কে ইসলামের ধ্বজাধারী ভেবে ফতোয়াবাজ হয়ে মিরাকলের অপেক্ষা করছে।
আল্লাহ্‌র রাসুল যদি দাঁড়ি টুপি আর জোব্বা পরে হেরা থেকে ফতওয়া দিয়ে জীবন পাঁড় করতে চাইতো তবে যে বিজয়ের গল্প শুনী তা আমরা শুনতে পেতাম না।
বদর যুদ্ধে ফেরেশতাদের সাহায্যের পরও ১৪ জন সাহাবী শহীদ হয়েছেন এটা কি আপনার চোখে পড়ে না?
কারণ আল্লাহ্‌র জমিনে আল্লাহ্‌র দ্বীন কায়েমের জন্য রক্ত মানুষকেই দিতে হবে,এটা ফেরেশতাদের কাজ না।যদি তাই হত তবে আপনার আল্লাহ্‌ কি শক্তির দিক দিয়ে সর্বশক্তিমান না যে তিনি হও বললেই ইসলাম এ জমিনে বিজয়ী হিসেবে আবির্ভূত হবে না?
অবশ্যই তিনি সর্বশক্তিমান কিন্তু তিনি এ দায়িত্ব মুসলমানদের দিয়েছেন।
আর আপনি চিল্লায় যেয়ে,ইজেতামায় যেয়ে আর ওয়াজ করে ইসলামের মিরাকল চাচ্ছেন?
কাজ কি করতে হবে সেই ইতিহাস বলুন,বিজয়ী হয়ে কি গৌরব এনেছে তা চোখের স্বপ্নে দেখুন।
কীসের সারা রাত ভরে ফালতু পুঁথি পাঠের ওয়াজ করেন।এমন ওয়াজী করেন যে শয়তান ও সেই ওয়াজ শুনতে মঞ্চ থেকে শুরু করে প্যান্ডেলের নিচে বসে।শিক্ষার ওয়াজ করেন নাকি মমতাজের সাথে কম্পিটিশান করেন?
আপনি কানা আলেম অথবা মূর্খ আলেম,তাই আপনার জন্য দিচ্ছি,
স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যুদ্ধে নামলে আল্লাহ স্বীয় ফেরেশতা মন্ডলী পাঠিয়ে সরাসরি সাহায্য করে থাকেন। যেমন বদর যুদ্ধের শুরুতে রাসূলের বালু নিক্ষেপের মাধ্যমে (আনফাল -১৭)
অতঃপর ফেরেশতাদের সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাহায্য করা হয়েছিল (আনফাল - ৯)।
তোমাদের যুদ্ধ করার হুকুম দেয়া হয়েছে এবং তা তোমাদের কাছে অপ্রীতিকর। হতে পারে কোন জিনিস তোমাদের কাছে অপ্রীতিকর অথচ তা তোমাদের জন্য ভালো। আবার হতে পারে কোন জিনিস তোমরা পছন্দ করো অথচ তা তোমাদের জন্য খারাপ। আল্লাহ‌ জানেন, তোমরা জানো না।(বাকারা-২১৬)
তোমাদের কী হলো, তোমরা আল্লাহর পথে অসহায় নরনারী ও শিশুদের জন্য লড়বে না, যারা দুর্বলতার কারণে নির্যাতিত হচ্ছে? তারা ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের রব! এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাও, যার অধিবাসীরা জালেম এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের কোন বন্ধু, অভিভাবক ও সাহায্যকারী তৈরী করে দাও।যারা ঈমানের পথ অবলম্বন করেছে তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে। আর যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করেছে তারা লড়াই করে তাগুতের পথে। কাজেই শয়তানের সহযোগীদের সাথে লড়ো এবং নিশ্চিত জেনে রাখো, শয়তানের কৌশল আসলে নিতান্তই দুর্বল। (নিসা-৭৫-৭৬)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.