নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশরাফুল আলম

চির চেনা

i write for myself, its my hobby, want to be a bolgger.

চির চেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাবা ঘরের উপর মূর্তি ও অতঃপর

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

কাবা ঘরের উপর শিব মূর্তি স্থাপন করেছে এবং আমার দৃষ্টিতে এটা কোন অন্যায় হয়নি।তবে ঠিক হয়েছে সেটাও বলছি না।কথাটি বুঝুন তারপর মন্তব্য করুন।কারণ যে ব্যাক্তিটি করেছে সে কিন্তু কোন মুসলিম না,সে একজন অন্য ধর্মের।সে কাবা ঘরের উপর মূর্তি স্থাপন করেছে এতে তার তো অন্যায় হওয়ার কথা না।তারা সবকিছুর উপরই মূর্তি স্থাপন করতে অভ্যস্থ।
সেই জের ধরে যারা তাকে আক্রমণ করেছে তাদেরকেও দোষ দিচ্ছি না কিন্তু যারা মন্দির বা বাড়িতে বাড়িতে হামলা করেছে তাদেরকে আমি তীব্র ভাষায় তিরস্কার করতে বাধ্য হচ্ছি।
কারণ,আপনার আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এটা সত্য কিন্তু আপনার আমার যে দায়িত্ব সে দায়িত্বের ব্যাপারে আপনার ভূমিকা কোথায়?
কাবা ঘরের উপর মূর্তি স্থাপনের জন্য আপনাকে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে নাকি তার কাছে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌঁছাতে পারেন নাই-এই জন্য জবাবদিহি করতে হবে?
ইসলাম তো একজনের অপরাধে আরেকজন কে শাস্তি দিতে বলে নাই।আপনি আপনার অনুভূতিকে কাজে লাগিয়েছেন এহেন গর্হিত কাজের জন্য?
মুসলমানের কাজ মানুষকে সুপথের দিকে আহবান করার জন্য,ধুমধাম আগে মারের জন্য না।তারপরেও যে অন্যায় করেছে তাকে মারা যুক্তিসঙ্গত হলেও তার অপরাধের জন্য অন্যদের কে আঘাত মোটেই কাম্য নয়।
এই কোথা পড়ে আবার একদল খুব স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।এমনটা তো হতে পারে না।
সরকার কোথায়?দিনের পর দিন হিন্দুরা ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এর প্রতিকার করা হচ্ছে না।এর কারণ কি? নুন্যতম মানবিকতার শিক্ষা হল সম্মান প্রদর্শন।কিন্তু হিন্দুরা ভারতে এমনকি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ বাংলাদেশেও যে ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে তার পিছনে আসলে ষড়যন্ত্রই কাজ করছে।সরকার আর শাহরিয়ার কবিররাই এই ক্ষেত্র সৃষ্টি করছে যাতে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যায়।
এর বিরুদ্ধে জাগতে হবে-এটা ফরজ।ঘটনা ঘটলে হই হুল্লোড় করা কোন যুক্তির মধ্যে পড়ে না।
জালিম ষড়যন্ত্রকারী সরকারের বিরুদ্ধে না পড়ে সাধারণ মানুষদের পিছনে লেগে আপনারা যে ইসলামের ক্ষতি করবেন সেটা একটু মাথায় আনা দরকার।
তবে যে ওই কাজটি করেছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ এর দাবী জানাচ্ছি কিন্তু কে করবে?
যখন সর্ষের মধ্যে ভুত!
সেই সাথে উত্তম কথায় দাওয়াত দেয়ার ব্যাবস্থা করা ও জুলুমের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানাচ্ছি সকল সাধারণ মুসলিমদের কাছে।কারণ এই দুইটাই ফরজ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০১

কলম চোর বলেছেন: পুরা লেখাটা পড়লাম। প্রথম কলামের সাথে সম্পূর্ণ দ্বীমত পোষন করছি। কাবা ঘরের উপর শিব মূর্তি স্থাপন শুধু অন্যায় নয় বরং আপরাধ হয়েছে। কেন হয়েছে লিঙ্কে কিল্ক করুন এবং পড়ুন। জানতে পারবেন। ধন্যবাদ।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Kolomchor/30165860

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:১৩

চির চেনা বলেছেন: জি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে অন্যায় হলেও তার দৃষ্টিকোণ থেকে নয়।আবার সর্বসাকুল্যে অন্যায় হলেও অন্যায় থেকে ন্যায়ের পথে দাওয়াত দেয়া ও আনার দায়িত্বই হচ্ছে একজন মুসলমানের -- সেই কাজ ফরজ --- অন্যায় দেখেই ধুমধাড়াক্কা মারমারি করা মুসলমানের কাজ।তবে হ্যাঁ বুঝানোর এবং দাওয়াত পৌঁছানোর পর যদিও একই কাজ করতে থাকে তবে মাইর দেয়াতে আমি কোন অন্যায় দেখি না।আর একজনের অন্যায়ে অন্যজনের উপর শাস্তির বিধান যুক্তিসঙ্গত না --- ইসলামিক তো অবশ্যই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.