নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যার যা সম্মান প্রাপ্য তাকে তা দেয়াটাই সম্মানী লোকের কাজ।চাই সে অন্যদিকে কিছু খারাপ করুক।বিশ্লেষক বলি আর সাধারণ বলি,বাস্তব বলি আর কল্পনা বলি ভারত অত্যান্ত শক্তিশালী একটি ক্রিকেট দল।শ্রেয়তর দল হিসেবে জয়টা তাদের প্রাপ্য এবং স্বাভাবিক বিচারে সেটা পেয়েছে।বাংলাদেশ মন্দ খেলেছে এ কথা বোলার অবকাশ নেই।তবে আরও ভালো খেলার ফুসরত ছিল এ কথা বলতেও দ্বিধা নেই।টস ফ্যাক্টর ছিল তা শ্রীলঙ্কা-ভারত,ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে প্রমাণিত।তাই এই ভাগ্যকে দোষ দিয়ে লাভ নেই,কখনো এর পক্ষে যাবে,কখনো ওর পক্ষে।
তবে রাজনীতির ছোঁয়া যদি ক্রিকেট থেকে না সরে অদূর ভবিষ্যতে সফলতা পাওয়া মুশকিল হবে।নাসির এর মত সলিড ইনফর্ম অলরাউন্ডার কে যখন পারফরমেন্স এর পরেও বিবেচনা না করে সৌম্যের মত একজনকে আস্থার ভগবান বানিয়ে দেয়া হয় তখন ত আপনি বিপক্ষের ১১ জনের বিরুদ্ধে ১০ জন নিয়ে নামছেন আর সেখানে ব্যাকফুটে থাকা টা কি স্বাভাবিক না!
এরপর আসি সাব্বিরের কথায়।একেবারে অকার্যকর তা বলবো না,তবে সলিড প্রমাণিত মাহমুদুল্লাহ যদি বারবার রাজনীতির শিকার হয় তবে ট্যাকনিক্যলি একটা শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে একটা দুর্বল পরিকল্পনা নিয়ে নামছেন।
ক্যাপ্টেন মাশারাফি অবশ্যই মানুষ হিসেবে অসাধারণ কিন্তু ক্যাপ্টেন হিসেবে কি ততটাই?
মাহমুদুল্লাহ ঘরোয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের ম্যাচে একজন কার্যকরী অলরাউন্ডার হওয়া সত্ত্বেও তাকে স্রেফ বসিয়ে রাখা এবং ফ্রন্ট লাইন বোলারদের সবাইকে কাজে লাগাতেই হবে এমন ধারনা মাথায় রাখা কোন সাউন্ড ক্যাপ্টেনসি হতে পারে না।অস্ট্রেলিয়া মার্ক ওয়াহ,ল্যাহম্যান এদের দিয়েই অনেক সময় পুরো ওভার করিয়ে নিতো যখন এরা কার্যকরী থাকতো।কিন্তু বাংলাদেশ এখনো ফ্রন্ট লাইন বোলারদের পীর মনে করে যার সুস্পষ্ট খেসারত ছিল এশিয়া কাঁপের ফাইনাল।মাশরাফির আমলেও অনেক ম্যাচেই ফ্রন্ট লাইন বোলারদের প্রতি আস্থা ম্যাচ ডুবিয়েছে যখন পার্ট টাইম বোলাররা চাপ সৃষ্টি করছিল।অনেক দিন যাবত সাকিব একেবারেই আনকোরা টাইপ বোলিং করছে কিন্তু সে ঠিকই ১০ ওভারের কোটা পূর্ণ করছে অনায়াসেই।ব্যাক্তি মাশরাফি বস তবে ট্যাকনিক্যালি এই বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচকদের খামখেয়ালিপনাও তো কম না।আরাফাত সানি বয়া নাসির কি দলের অনেকের চেয়ে বেটার না?কিন্তু তাদের আলোচনা শুধু সৌম্য আর লিটন দাস কে নিয়ে।লিটন অনেক রান করতে পারে কিন্তু ট্যাকনিক্যালি সে সাউন্ড ব্যাটসম্যান না যেমনটা শাহরিয়ার নাফিস বা তুষার ইমরান কিংবা ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স প্রমুখ ব্যাটসম্যান।উনারা রান করেন তবে ট্যাকনিক্যালি অনেক দুর্বল প্রকৃতির ব্যাটসম্যান।
ইমরান তাহির যিনি পাকিস্তান দলে চান্স পেতেন না কিন্তু সাউথ আফ্রিকার হয়ে বিশ্বের সেরা বোলার তিনি।এই দিকটি লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে তবেই জোবায়ের হোসেন লিখন রা হারিয়ে যাবে না।
বাংলাদেশ রাইজিং স্টারের দল হতে যাচ্ছে তবে এখনো পা মাটিতে রেখেই চলতে হবে কারণ অনেক প্রশ্নের জবাব ঠাণ্ডা মাথায় দিতে হবে।বিশ্ববধের আকাঙ্ক্ষা হৃদয়ে কিন্তু বোর্ডের বোধের পর্যায়টা এখনো জন্মায়নি বললেই চলে।
অভিনন্দন ভারতকে,অভিনন্দন পাকিস্তানকেও।কৃতিত্ব অবশ্যই বাংলাদেশেরও কারণ পারফরমেন্স কিন্তু খারাপ ছিল না,শুধু টস ভাগ্য ফেভার করেনি এই যা!
গুড লাক বাংলাদেশ,গুড লাক।
১৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৩৯
চির চেনা বলেছেন: আপনার উত্থাপিত বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ,এখানে টস ভাগ্য সকলের ক্ষেত্রেই কাজ করেছে তবে দল নির্বাচন যখন প্রশ্নবিদ্ধ তখন সেটা নিয়ে আলোচনা করতেই হবে।খেলাটা তো একটি ম্যাচের ব্যাপার না।
২| ১৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:২৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: অনেক ব্যাপার আছে। ব্যাটিং এ আমার কোন আফসোস নাই। তবে বোলিং এ আছে। কেন আছে বিস্তারিততে গেলাম না। জয় পরাজয় যেটাই হোক না কেন, সাথে আছি। আশা করি বোলিং বিভাগে উন্নতি করবে।
১৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৫৫
চির চেনা বলেছেন: অলটাইম বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
কৃতিত্ব অবশ্যই বাংলাদেশেরও কারণ পারফরমেন্স কিন্তু খারাপ ছিল না,শুধু টস ভাগ্য ফেভার করেনি এই যা! "
-শুধু টসই যদি "ভাগ্যের ব্যাপার" হয়, উপরে খেলোয়াড়দের নিয়ে কেন এতো আলাপ করলেন? হিপো?