নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশরাফুল আলম

চির চেনা

i write for myself, its my hobby, want to be a bolgger.

চির চেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাস্তবতা - শিক্ষা ব্যাবস্থা আর অবস্থা-শেষ।

২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২৫

ইউরোপে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে জিনিষটা দেখা যায় বাংলাদেশে সম্পূর্ণ তার উল্টো দেখা যায়।ইউরোপের দেশগুলোতে একটা বাচ্চা স্কুলে যাওয়ার জন্য পাগল থাকে কিন্তু বাংলাদেশের একটা বাচ্চার জন্য স্কুলে যাওয়া মানে মনে হয় হিমালয় জয় করতে যাওয়ার মত কঠিন আর দুর্বোধ্য অনীহার কাজ।কিন্তু কেন?
পার্থক্য হচ্ছে শিক্ষাদান আর শিক্ষা সূচির পার্থক্য।
ইউরোপে যেখানে ছেলে মেয়েদের কে স্কুল এর প্রত্যেকদিন বনভোজন এর মতন আনন্দ দানের মাধ্যমে পাঠদান করা হয় ঠিক তার বিপরীত হচ্ছে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে।
এক গাঁদা বই আর মুখস্ত বিদ্যার বিশাল এক চাপ বাচ্চার মাথাকে পরনির্ভরশীল করে তোলে।ইউরোপে ক্লাশে বাচ্চাদের প্রত্যেকটা জিনিষ শিক্ষায় বাস্তবিক এবং প্রয়োগিক শিক্ষার ব্যাবস্থা থাকায় বাচ্চারা পড়াশোনাকে উপভোগ করে।আগামীকাল এতো পড়া,না পারলে মাইর বা কানে ধরা বা অপমান করা এসব যন্ত্রণা নাই।কিভাবে খেতে তা যেমন প্র্যকাটিক্যালি শিখিয়ে দেয়া হয় তেমনি কিভাবে রাস্তা পার হতে হয় তাও শিখিয়ে দেয়।প্রতিদিন টিচার তাদের বাইরে নিয়ে যায়,ঘুরতে দেখাতে,বোঝাতে।
ঠিক উল্টো দিকে বাংলাদেশে বই পরে সব শিখতে হয় বলে পড়াশোনাগুলো শুধু অবিশ্বাস্য ভৌতিক গল্পের মত দুর্বোধ্য হয়ে উঠে।এমনও দেখেছি বড় হয়ে গেছে কিন্তু এখনো রাস্তা পার হতে পারে না অথচ সে ছিল ক্লাশের ফার্স্ট বয়।কিন্তু প্রবলেম হল সে মুখস্ত করেছে সিগন্যাল কিন্তু সিগন্যাল মানে রাস্তায় সেটা কি সে তা তো জানে না।এক বাচ্চা তো মেম কে প্রশ্নই করে ফেললো মেডাম কাল একটা গরু নিয়ে আসবেন আমি তো কখনো গরু দেখি নাই এটা কেমন।
প্রথম থেকে সে ব্যাস্ত শুধু মাথায় জমা রাখা নিয়ে তাই যারা একটু মাথায় রাখায় সময় দেয় তারাই হয়তো এগিয়ে যায় বাকীরা অনেক প্রতিবাভান হয়েও চারদিকের "তুমি পারবা না,তোমার দ্বারা হবে না" শুনতে শুনতে সব হারিয়ে খেয়ে ফেলে।জীবন হয়ে যায় বিষণ্ণ।
এক্ষেত্রে শিক্ষকদের যেভাবে শিক্ষাদান করার কথা তারা তো সেটা দিতে ব্যার্থ।মূলত তাদেরই দোষ কোথায় যখন তারাই জানে না শিক্ষা দেয়ার পদ্ধতি কি!কারণ শিক্ষকের মান যেখানে সবচেয়ে উপেক্ষিত সেখানে জাতি গঠিত হবে কিভাবে !
নারীর ক্ষমতায়নের নামে মাত্র দশম শ্রেণী (কোনরকম টেনেটুনে পাশ) পাশ একটা মেয়েকে যখন প্রাইমারিতে স্কুলের টিচার বানিয়ে দেয়া হয় তখন জাতির নৌকা বা বাচ্চাদের সূচনা যে শুরুতেই দিশা হারাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
"যে মুলোটা বাড়ে তা পত্তনেই বোঝা যায়"-পত্তন টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।উন্নত বিশ্বে যেখানে টপ কুয়ালিফাইড টিচার থাকেন প্রাইমারি স্কুলে সেখানে আমাদের প্রাইমারি স্কুল গুলো যেন দায়সারা সাক্ষরতার কাজে নিয়োজিত অথচ এই সময়ের গাঁথুনিটাই সবচেয়ে কার্যকরী এবং পারফেক্ট গাঁথুনি।
আমাদের দেশের একটা বাচ্চা ছোট থেকে মুখস্ত করতে করতে বেসিক শিক্ষাই আর শিখতে পারে না।তাদেরকে বেসিক শিক্ষা দেয়ার পন্থা বা শিক্ষক তো মূলত প্রাইমারী লেভেলে থাকে না বললেই চলে। উন্নত বিশ্বে যখন বেসিক শিক্ষাটা শিখে প্রাইমারী লেভেলে আমাদের দেশের ছাত্র ছাত্রীরা বেসিক শিক্ষাটা শিখে মাস্টার্স লেভেলে অথচ মাস্টার্স লেভেল এর শিক্ষাটা প্রয়োগিক শিক্ষা হওয়ার কথা।
শিক্ষার ধরন পরিবর্তন আবশ্যক।শুধু পাঠ্যপুস্তক নিয়ে রাজনীতি বাদ দিয়ে শিক্ষক আর শিক্ষা দান পদ্ধতি পরিবর্তন সময়ের সবচেয়ে প্রথম দাবী।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:০০

ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর বিষয় উপস্থাপনের জন্য ।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


"শিক্ষার ধরন পরিবর্তন আবশ্যক।শুধু পাঠ্যপুস্তক নিয়ে রাজনীতি বাদ দিয়ে শিক্ষক আর শিক্ষা দান পদ্ধতি পরিবর্তন সময়ের সবচেয়ে প্রথম দাবী। "

-শেষ লাইনটা সুন্দর লিখেছেন; গরুর রচনা থেকে কমন পড়েছে?

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

চির চেনা বলেছেন: হয়তো

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

চির চেনা বলেছেন: দৌড় তো গরুর রচনা পর্যন্ত,তাই তার থেকে বের হতে পারিনি।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:৫৩

রওশন_মনি বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথা লিখেছেন। আমাদের দেশে শিক্ষার ধরণ অবশ্যই পরিবর্তন করা দরকার।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২০

টারজান০০০০৭ বলেছেন:
শেষ লাইনটা সুন্দর লিখেছেন; গরুর রচনা থেকে কমন পড়েছে?

@ চাঁদগাজী ! কাহু , এইডা কি কইলেন ! বেচারারে লিখতে দেননা ! গাইতে গাইতে গায়েন , বাইতে বাইতে বায়েন ! সবাই কি আর একদিনে চাঁদ জয় করিতে পারে ?

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

চির চেনা বলেছেন: চাঁদ জয় করতে চাই না,সেটা স্পেশাল আর মেধাবীদের জন্যই রেখে দিয়েছি।তাই ওই কল্পনা কখনো মাথায় আসেনি।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শিক্ষার ধরন পরিবর্তন আবশ্য শিক্ষক আর শিক্ষা দান পদ্ধতি পরিবর্তন সময়ের সবচেয়ে প্রথম দাবী।

++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.