নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশরাফুল আলম

চির চেনা

i write for myself, its my hobby, want to be a bolgger.

চির চেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা- আমার ভাবনা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

ধর্ষণ,ভ্রূণ হত্যা,খোলা মাঠে টয়লেট সম্পাদন আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও ভিন্নাধর্মাবলম্বিদের হত্যার পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সংখ্যা এবং আনুপাতিক হারে প্রতিবেশী দেশ ভারত শীর্ষস্থান ধরে আছে।
বাতির নিচে অন্ধকারের মত দেশটির বেসিক কাঠামো হলেও প্রায় হাজারের অধিক টেলিভিশন চ্যানেল ভারতকে প্রতিনিয়ত সুপার হিরো হিসেবে উপস্থাপন করার কারণে ভারত অনেকটা খালি কলসি হলেও বিশ্বের বুকে একটা অবস্থান করে আছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের মিডিয়ার প্রথম এবং প্রধান কাজ হল দেশকে একটা নেগেটিভ প্লাটফর্মে তুলে দেয়া।
রংপুরের ঘটনা এক কথায় নিন্দনীয়,কিন্তু এই নিন্দনীয় ব্যাপারটি কি শুধু এক পক্ষীয়?
যারা হিন্দুদের বাড়ির উপর আক্রমণ করেছে এটা মানবতার দৃষ্টিতে জঘন্য অপরাধ এবং তারাই যদি মুসলিম হিসেবে আক্রমণ করে তবে তা তো আরও জঘন্য।
এ কথাটি মেনে নিয়েই বলতে হচ্ছে,প্রথমত যে কুৎসা রটনা করেছে সেই রটনাকারীর ব্যাপারটি যদি হুমায়ুন আজাদ,অমি পিয়াল বা লতিফ সিদ্দিকিদের মত প্রতিনিয়ত আচরণ কড়া হয় তবে বিপরীত ধারার লোকজন ক্রমেই উন্মাদনা বাড়াতে থাকবে এটাও তো অস্বীকার কড়া যায় না।
বিচারহীনতার সংস্কৃতি এর অন্যতম কারণ এবং ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টির জন্য বুদ্ধিজীবীরাও দায়ী যাদেরকে মিডিয়া পেলে পুষে বড় করে।
ইসলামপন্থীরা যেভাবে মিডিয়াতে অচ্ছুত বা অবাঞ্ছিত ইসলাম বিরোধীরা কিন্তু উলটোভাবে খুব সমাদৃত।এটা একটা দেশের জন্য বিভাজন রেখা সৃষ্টি করে।
ইতিহাস আলোচনাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।পলাশীর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর থেকেই হিন্দুরা মুসলমানদের কে অত্যাচার শুরু করে।মুসলমানরা হিন্দুদের আপন করে নিতে চাইলেও গান্দিজি থেকে শুরু করে চরম কট্টর নেহেরু মূল্যমানদেরকে কখনোই মানুষ হিসেবেই গণ্য করেনি।এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক।সেই সাথে ১৯০০ সাল থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত ইতিহাস কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাম্প্রদায়িক ইস্যু যদি পাশ্ববর্তি দেশকে টানাটানির বিষয় হয়ে দাড়ায় তবে এই বুদ্ধিজীবীরা কিন্তু মোদীর ব্যাপারে নীরব।কিংবা গত পরশুদিন ও একজন মুসলমানকে হত্যার ব্যাপারে কথা বলে না।এটা কিন্তু সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র।
দেশকে ভালবাসতে হলে প্রথমত ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।মানে এই নয় যে ধর্ম নিয়ে গালাগালি হবে কিন্তু হিজাব মানি না,দাড়ি মানি না আবার নবী বা কোরআনকে গালি দিলে "ধরি মাছ না ছুঁই পানি" টাইপ ভুমিক নেই এটা ধর্মীয় স্বাধীনতা না।এমনকি ব্যাক্তিগত সংঘাতের জের কে ধর্মীয় লেবাস পড়ানো একটা জঘন্য মানসিকতা।যা হরহামেশাই হচ্ছে।
এইবার আসি আলেমদের ক্ষেত্রে।তাদের আসলে ভূমিকা কি?শিরিকের বিরুদ্ধে কথা বলা আর সরাসরি হিন্দু বলে গালি দেয়া কিন্তু এক না।তাই তাদের কথাবার্তাও সংযত হওয়া উচিত।তাদের পরিকল্পনা কে সুস্পষ্ট করা উচিত।হঠাত আন্দোলনের নামে আবেগের কারণে বাড়িঘর পুড়ানো কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য তো নাই-ই,ইসলামে এটা বৈধ ও না যদিও তার পিছনে অনেক কারণ থাকে।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি হিন্দু বন্ধুবান্ধবদের সাথে সবসময় সতর্কভাবে আচরণ করার চেষ্টা করেছি বা আমার আশেপাশের অন্যান্য বন্ধুবান্ধবদেরও দেখেছি সতর্কভাবে আচরণ করতে জেন ওই বন্ধুটি কোন কথা বা কাজে কষ্ট না পায়।বেশীরভাগ বাঙ্গালীরাও কিন্তু এরকম।এমনকি হিন্দুদের ব্যাপারে অনেক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে কুৎসা থাকলেও আমি তাদেরকে বেশ বন্ধুভাবাপন্ন হিসেবেই পেয়েছি।কিছু খারাপ থাকবেই এটা সব মানুষের মধ্যেই হয়।কিন্তু তার মাঝে সংঘাত গুলো কারা করছে?
খোঁজ নিলেই জানা যাবে যারা হিন্দুদের উপর দখলদারিত্ব কায়েম করেছে তারাই দিনের আলোতে ওদের পক্ষে সাফাই গাইতে গাইতে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করে।
নবী(সাঃ) কি নিয়ে কটূক্তি করে থাকলে এমন কটূক্তি তো অনেক মুসলমানের সন্তানও করছে তবে কি তাদের বাড়ি পুড়িয়েছেন?
তাহলে রংপুরে এমন হওয়ার পিছনে আসল কারণ কে বা হোতা বা মদদদাতা কারা?
কোন পেপার নয়,কোন মিডিয়া নয়,রংপুরের সত্যবাদী মানুষগুলোই এর উত্তর দিতে পারবে।তাই তারা এ নিয়ে লিখুক।কারণ মিডিয়াকে আমি বিশ্বাস করি না।এরা কতটা মিথ্যা লিখতে পারে তার জলজ্যান্ত সাক্ষী আমি দিতে পারবো।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখায় লজিক্যাল, সুস্হ, পরিস্কার ভাবনার কোন কিছুই নেই; পলাশীর পরবর্তী ঘটনা, নেহেরু, ভারতের সমস্যার উপর আমাদের মানবিক উন্নয়ন নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

চির চেনা বলেছেন: এখানে মানবিক উন্নয়ন এর উপর নির্ভরশীল না হলেও ষড়যন্ত্রের বিষয় নবুঝার জন্য এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।আমাদের ইতিহাসকে ৭১ এর ভারতের উদ্যেশ্যপ্রনদিত সাহায্য দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে।যার কারণে সাম্রপদায়িক দাঙ্গার বিষয়গুলো শুধু পত্রিকার পাতা দেখেই বিবেচনা করে নিচ্ছি।অথচ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তার পটভূমি ভিন্ন হচ্ছে।এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।উসকানি দাতাদের মানসিক বা মানবিক দিকগুলো বুঝা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


"যার কারণে সাম্রপদায়িক দাঙ্গার বিষয়গুলো শুধু পত্রিকার পাতা দেখেই বিবেচনা করে নিচ্ছি।অথচ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তার পটভূমি ভিন্ন হচ্ছে। "

-রংপুরের দাংগার পটভুমি ঐতিহাসিক কারণ নয়, তথাকথিত ধর্ম অবমাননা; আপনি কামান দাগায়ে ঘটনাকে কামানের ধোঁয়ায় ঢেকে দেয়ার চেষ্টা করছেন?

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

চির চেনা বলেছেন: রংপুর তো একটা ঘটনা,কিন্তু এরকম ঘটনাই তো ঘটে যাছে প্রতিনিয়ত,তাই সবগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার সুযোগ নেই।তাই রিভাল্বার ও লাগবে কামান ও লাগবে।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দুৃর্জনতো বলে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ ইস্যুকে ডাইভার্ট করতেই এই নাটক!!!!!!!!!

সাওতাল পল্লীতে হামলার আল জাজিরার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের আগে তো কত্ত কথাই ছিল!
আবার বেশির ভাগ এইসব ঘটনার পিছনে সরকার দলীয় মদদের কথাও উচ্কন্ঠ শোনা যায়!

যাবেন কোথায়?

বাংলাদেশের মানুষের আত্মপরিচয় কি? নেতাদেরই বা আত্মপরচিয় সংকট এত গভীর কেন?

সুষমা স্বরাজ হিন্দুদের ক্ষতি ভিন্ন দেশে হলেও তীব্র প্রতিবাদ এবং ন্যায্যতা দাবী করতে পারে।
আমাদের সেই নেতা কই? ভারতের মুসলমানদের নির্যাতনের কথা বাদই থাক নিজ দেশের নিজ গোত্র পরিচয়ের স্ব-জাতির মানুষের জন্য তীব্র ভালাবাসায় এমন প্রতিবাদ করতে পারে????

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, রংপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের ক্ষতিপূরণ দিতে দিল্লিকে আশ্বস্ত করেছে ঢাকা: সুষমা
এমন একটা শিরোনাম বাংলাদেশের কোন নেতার কি আছে??? সে সাহস, নৈতিকতা, আত্ম পরিচয় আর আত্ম মর্যাদার ভিত কি আছে?
থাকা উচিত। নইলে শেয়াল আর বাঘের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে যায়।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

চির চেনা বলেছেন: বি বাড়িয়াতে যে ঘটনা পরে প্রকাশিত হয়েছিল রংপুরেও তেমনি কিছু হচ্ছে --- কিন্তু খতি যা হবার আগেই করে ফেলা হয়েছে।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

আবু তালেব শেখ বলেছেন: এখানে স্পষ্ট ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।
সাম্প্রদায়িক দাংগা বাধিয়ে একটা মহল লাভবান হতে চাচ্ছে। কিন্তু তারা কে?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

চির চেনা বলেছেন: যারা এ ঘটনা থেকে লাভবান হয় --- তারাই ষড়যন্ত্রকারি।

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ভারতে বা পাকিস্তানে কি সমস্যা হলো না হলো তাতে বেশি পাত্তা না দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের ভারত সহ দ্রুত উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের মানসিকতা নিয়ে নিজ দেশের সকল পরিকল্পনা, নীতি নির্ধারণ করতে হবে | বাংলাদেশ যে কোনো বিষয়েই যদি বিশ্ব ফোরামে কোনো বিষয় তুলে ধরতে চায় তবে তার গুরুত্ব ভারত বা অন্যান্য দ্রুত উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় কতখানি গুরুত্ব পায় তা ভেবে দেখার বিষয় |

ভারতের বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব অনেক বেশি | উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই আইটি সহ অনেক সেক্টরে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত | প্রবাসী ভারতীয়রা ওই সকল দেশের মূল ধারায় খুব সহজে মিশে যেতে পারেন এবং লবিং করে নীতিনির্ধারকদের ভারতের অনুকূলে জন্যশক্তি, রপ্তানি সহ বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে প্রভাবিত করতে পারেন | এর মূল কারণ হচ্ছে তাদের ইংরেজি ভাষা এবং যেকোনো কালচারের সাথে সহজেই মিশে যাওয়ার দক্ষতা | তাই মধ্যপ্রাচ্যের বিমানবন্দরসমূহে প্রচুর বাংলাদেশী ভাইয়েরা অধিকাংশ অদক্ষ কাজ করতে দেখা গেলেও তাদের সুপারভাইজার অথবা ম্যানেজিং পদগুলোতে কাজ করতে দেখা যায় ভারতীয়দের |

বাংলাদেশ ভারত তো দূরের কথা কূটনীতিতে এবং অন্যান্য দেশের মূল ধারায় প্রভাব বিস্তারে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন বা শ্রীলংকার ধারে কাছে যেতে পারে নাই | এর মানে এই নয় কারিগরি দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে | সমস্যা আমাদের জনশক্তির উপযুক্ত গ্র্রুমিংয়ের | তাই পেশাজীবী থেকে শুরু করে দক্ষ, আধা-দক্ষ বা অদক্ষ সব শ্রেণীর প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রচন্ড স্ট্রাগল করতে হয় বিদেশে | আমরা সেল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদিতে অনেক উন্নতি সাধন করতে পারলেও আমাদের এই বিশাল জনশক্তির বেসিক গ্রূমিং কিন্তু তেমন হয় নাই |

এই চরম প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে ভারত বা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের নেতিবাচক দিক নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক সহ সবাইকে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে আত্ম উন্নয়নের | ফিলিপাইন বা ভারতের পিছিয়ে পড়া এলাকাসমূহে শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়নে প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট করেছে দীর্ঘদিন ধরে | দক্ষিণ ভারতের মতো এক কালের পিছিয়ে পড়া প্রদেশ সমূহ যদি উন্নত বিশ্বে আইটি সহ বিভিন্ন সেক্টরে তাদের উপস্থিতি প্রমান করতে পারে, বাংলাদেশীরা কেনই বা ওই সকল সেক্টরে পিছিয়ে থাকবে ?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

চির চেনা বলেছেন: ভারতের নেগেটিভ বলার পিছনে কারন হল,এত সব নেগেটিভ থাকা স্বত্তেও মিডিয়া এবং জনগন দেশটাকে আপরাইট করে সোজা করে রেখেছে।আর তাদের বর্তমান উন্নতিতেও এই কৌশল মুখ্য ভুমিকা পালন করেছে।অথচ আমরা আমাদের কোন তিল পরিমান বিষয়কে তাল বানিয়ে বিশ্ব দরবারে পৌছে দিচ্ছি আর প্রমান করছি যে আমরা কতদিক দিয়ে কতই না খারাপ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.