নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশরাফুল আলম

চির চেনা

i write for myself, its my hobby, want to be a bolgger.

চির চেনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি করোনায় আক্রান্ত একজন বলছি।পর্ব - ১

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৩৫

কোভিড-১৯ বা সহজ কথায় করোনা।একটা রোগ,যার অবস্থান বা চলাচল সম্পর্কে কারো কোন ধারনাই নেই।কিন্তু আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে বিনা নোটিশেই।যেমনটা আক্রান্ত হতো পক্স কিংবা ডাইরিয়া,কলেরা কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে।ছোঁয়াচে।হচ্ছে,মারা যাচ্ছে,হয়েই যাচ্ছে।বছরের পর বছর ধরে,যুগ যুগ ধরে,শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে,আদিকাল থেকে এখন অবধি।
এই মৃত্যুর মিছিলের পর একটা উন্নত ধরনের ভাইরাস এলো আর বাংলাদেশ সহ অতি উৎসাহী একদল মানুষ এই রোগকে এমন বানিয়ে ফেললো যে এটাকে এইডসের চেয়ে ঘৃণ্য রোগ বানিয়ে ফেললো।
লাশ নিয়ে নটাঙ্কি,কারো হলে নটাঙ্কি,কারো বাসায় কোয়ারেন্টাইন এ থাকা নিয়ে এলাকাবাসীর নটাঙ্কি।

সাবান,গ্লভস,পানি সব কিছু থাকলে লাশ নিয়ে এই ঘৃণ্য চর্চা কারা চালু করেছে?যেখানে সকল বিশেষজ্ঞ জন ই বলেছে মৃত্যুর ৪/৫ ঘণ্টা পর শরীরে ভাইরাস থাকার কোন সম্ভাবনাই নেই।সেখানে একটা মানুষের শেষ যাত্রার অবমাননা মানব সভ্যতার অসভ্যতাকে এমন ভাবে তুলে ধরেছে যে তাকে পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট না বলে উপায় নেই।
পৃথিবী ব্যাপী লক্ষ লক্ষ রোগীকে লক্ষ লক্ষ ডাক্তার,নার্স সারাদিন ব্যাপী চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের বেশীরভাগই নিরাপদে আছে।সেখানে মৃত ব্যাক্তির লাশকে নিয়ে এতো ঘৃণা ছড়ানোর উদ্যেশ্য কি?অথচ সে না দিচ্ছে হাঁচি,না দিচ্ছে কাশি,না বলছে কথা।আর তার উপর প্রথমেই তার শরীরে উষ্ণ গরম পানি সাবান সমেত ঢেলে দিলেই তো ভাইরাসের ভয় চলে গেলো।তাই নয় কি?
এতো জ্ঞান বুদ্ধি আধুনিক মানব সকলের অথচ একটা মানুষকে শেষ সম্মান জানানোর জন্য এই জ্ঞান টুকুও আসে না?

দ্বিতীয়ত,বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে কোন ব্যাক্তি আক্রান্ত হলে তাকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি কিংবা বাসা থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
কেন?
এই রোগ সম্পর্কে আপনার ধারনা কি? ভাইরাস হেটে হেটে আপনার বাড়িতে গিয়ে আপনাকে ডাকবে?যেখানে কারো বাসায় কেউ আক্রান্ত হলে সে আইসলেশনে থাকলে এবং বাসার মেম্বাররা সতর্ক থাকলে সে বাসার মেম্বারদের কেই আক্রান্ত করবে না সেখানে পাড়া প্রতিবেশীর দিকে নজর দেয়ার যোগ্যতা বা সময় কোনটাই ভাইরাসের নেই।তো একজন আইসলেশনে থাকলে আপনাদের এতো আলগা চুলকায় কেন?
সে আইসলেশনে তার ঘরে শুয়ে থাক।আপনার জন্য ভয়ের কিছু নেই,আপনার সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোরও কিছু আছে বলে আমি মনে করি না যদি আপনি সাবান পানির ব্যাবহার নিশ্চিত করেন।
এর সপক্ষে প্রমাণ দিচ্ছি,আমি নিজে ভয়ানক করোনায় আক্রান্ত এবং রিকভার করা ব্যাক্তি।আমার দরজার সাথের দরজায়ই আরেকটি ফ্যামেলি থাকে।আমরা দুই ঘর একই ওয়াশিং মেশিন ইউজ করি।যা বাইরের আমাদের করিডোরে রাখা।আমার অসুস্থতার পিক সময়ে আমি সেখানে কাপড় ধূতে দিয়েছি এবং মেশিন স্পর্শ করার পর আমি সেনিটাইজার লাগিয়ে এসেছি।পাশের বাসার ৫ সদস্যের একজন ও আক্রান্ত হয় নি এমনকি আমার উপরের তলার ও কেউ না।আজ যখন লিখছি তখন আমি রিকভার করার পরের ১৪ তম দিনে পা দিয়েছি।
দ্বিতীয়ত আরেকজন ভাই,উনার স্ত্রী ও ছোট মেয়ে আক্রান্ত হয়েছে।একই বাসায় উনারা থেকেছেন একটু সতর্ক ভাবে কিন্তু মূল ব্যাপার দুইজন রিকভার করে ফেলেছে এবং বাকী দুইজন আক্রান্তই হয় নি।
এরকম বেশ কয়েকটা উদাহরণ আমার সামনে জ্বলজ্বল করছে।
অথচ বাংলাদেশে সবকিছুকে এতোটাই গড়বড়ে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে যে মানুষ করোনার যে কোন কিছুর চেয়ে মনে হয় এইডস হলে খুশীতে ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ্‌ পড়বে।
(আমি বলছি,ভয় পাওয়ার আগে বাস্তবতা বুঝে নিজেকে সতর্ক রাখুন,মানবতাকে প্রাধান্য দিন,বিজয় আসবেই)।


"আমার অভিজ্ঞতা এবং বাস্তব কিছু কথা নিয়ে বাকী লিখা চলবে।"

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অমানবিকতার এক অদ্ভুত দুয়ার যেন খুলে গেছে

মুখোশের আড়ালে মূখ গুলো যে এত কদর্য করোনা না এলে বুঝি বোঝা যেত না।
জন্মদাত্রী তাকে অস্বীকার করছে? বাবার লাশ গ্রহন করছে না!!!!
এদের সবার আগে ক্রশফায়ারে দেয়া উচিত।

যে সব বাড়ী ওয়ালা নটঙ্গি করছে তাদের তালিকা করা উচিত।

মানবতার এত অপমান? আবার তারাই নাকি মানুষ! ছি:

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

চির চেনা বলেছেন: মানবতার এতো গান,এতো ফেরিওয়ালা !!তবুও আমরা কি আসলেই মানুষ !!

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৪৮

রাফা বলেছেন: করোনা হলেই তাকে অচ্ছ্যুত বলে মনে করছি আমরা। এটা প্রমাণ করে উন্নত থেকে অনুন্ণত সকল দেশের মানুষই অশিক্ষিত।প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি আমরা। আর সকল শিক্ষাই যেনো করোনার কাছে মিথ্যা হয়ে গেলো।

তারপরেও কিছু মানুষ আছে নিজের জিবন বিপন্ন করেও মানুষের পাশে দাড়ায় । তবে হতাশায় মূষরে পরি যখন দেখি সন্তান জন্মদাত্রী মা'কে ফেলে যায় করোনাতংকে। লাশ ফেলে পালিয়ে যায় আত্মজরা।হায়রে মানুষ।

ধন্যবাদ,চি.চেনা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

চির চেনা বলেছেন: বাংলাদেশে এই অবস্থাকে আরও বিকট ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: একটি জাতির প্রকৃত চরিত্র উম্মুক্ত হয় তার দুর্যোগের সময় | যেখানে নিউয়র্কের মতো জায়গায় ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, সহ ফ্রন্ট লাইনের কর্মীরা প্রতিরোধমূলক সরঞ্জামাদির অপ্রতুলতার মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানব সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন, সেখানে আমাদের দেশে লাশ দাফনে অস্বাভাবিক আচরণ, ভাড়াটিয়াদের সাথে অমানবিক ব্যবহার, রিলিফ চুরি, নকল মাস্ক তৈরির মতো চরম ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত রয়েছে এক শ্রেণীর নরপিশাচরা |

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

চির চেনা বলেছেন: নিম গাছে খেজুরের রস হয় না।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানবতা আজ মৃত। সন্তান যেভাবে মা বাপকে ছুড়ে ফেলছে কষ্ট হয়।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

চির চেনা বলেছেন: অমানবিকতা শিখানোর জন্যই এই অতি উৎসাহী অপপ্রচার। সাবধানতা সতর্কতা গুরুত্বপূর্ণ।তবে সব মানবিকতাকে জলাঞ্জলি দিয়ে নয়,

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: বড় কষ্ট। বড় যন্ত্রনা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৯

চির চেনা বলেছেন: হ্যাঁ

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৯

নতুন বলেছেন: এই মৃত্যুর মিছিলের পর একটা উন্নত ধরনের ভাইরাস এলো আর বাংলাদেশ সহ অতি উৎসাহী একদল মানুষ এই রোগকে এমন বানিয়ে ফেললো যে এটাকে এইডসের চেয়ে ঘৃণ্য রোগ বানিয়ে ফেললো।
লাশ নিয়ে নটাঙ্কি,কারো হলে নটাঙ্কি,কারো বাসায় কোয়ারেন্টাইন এ থাকা নিয়ে এলাকাবাসীর নটাঙ্কি।


করোনা নিয়ে মানুষের বাড়াবাড়ীতেই বোঝা যায় দেশের কত বড় একটা সংখ্যা মূখ`।

এদের সবার হাতে মোবাইল এবং ইন্টারনেট আছে।

www. cdc. WHO. John Hopkins university এমন ওয়েব সাইটে গিয়ে খুব সহজে করোনা সম্পকে আপডেট পেতে পারে।

কিন্তু মানুষের হাসপাতাল বানাতে বাধা দেওয়া, আক্রান্তদের সামাজিক ভাবে হেয় করা, বাড়ী থেকে বের করে দেওয়া, বৃদ্ধা মা, স্ত্রী কে বাড়ীর বাইরে ফেলে আসার ঘটনা প্রমান করে দেশে অনেক বড় একটা জনগস্ঠি এখনো অসভ্য এবং মূখ` আছে।

যদিও ফেসবুক, মোবাইল ব্যবহারের সংখ্যায় আমাদের দেশের অবস্থান বিশ্বের অনেক শহরের উপরে কিন্তু মানুষের জ্ঞানের অনেক ঘাড়তি আছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৬

চির চেনা বলেছেন: বাংলাদেশীদের ফেইসবুকের অন্তত ৯০ ভাগ মানুষ পড়াশোনা ছাড়াই শিক্ষিত,যাদের অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ কোন বিষয়েই জ্ঞান নেই।কিন্তু এমন সব মন্তব্য আর স্রোতে গা ভাসাবে যেন আইনস্টাইন আর সক্রেটিস একেকজন।
এদের কাজ,কারণ ছাড়াই গালি আর মূল্য ছাড়াই তেল দেয়া। মাঝখানে শুধুই অন্তঃসারশূন্য।
গুড বয়-ব্যাড বয় একটা মুভি আছে।সেখানের মোবাইল এর ইউজের ব্যাপারে বলেছিল,এর অত্যধিক ইউজ দেখেই বুঝা যায় সে কোন ধরনের শিক্ষিত !!!
যাই হউক,চক চক করলেই সোনা হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.