নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার না বলা যতো কথা, আমার যতো অপূর্ণ সাধ, তার সাথে মিলে দেখা কিছু রংধনু স্বপ্ন, আর কিছু হৃদয় বিদীর্ণ দীর্ঘশ্বাস- এই নিয়ে আমার এই চার দেয়ালে ঘেরা জীবন। আমি যেন এক সুতোয় বাঁধা ঘুড়ি। প্রজাপতি আর ঘাস ফড়িঙ কে পেছনে ফেলে পাখিদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাতাসে ভর করে উড়ে যাই দূর বহু দূর। উড়তে উড়তে চলে যাই মেঘদের কাছে কিন্তু পেছনে আমার বন্ধন পড়ে থাকে। বেলা শেষে নাটাইয়ের টানে ফিরে আসি মৃত্তিকার কাছে।
আজকে বিকেলে জয়ন্তীর সাথে লম্বা সময় নিয়ে কথা বললাম। আমি ওকে উত্তরা মেডিকেল কলেজে আসতে বলেছিলাম পর ও জানালো যে এই শরীর নিয়ে ও উত্তরা আসতে পারবে না। আসলে কেমো নেবার পর এখন রেডিয়েশন থেরাপি চলছে বলে ওর শরীর খুবই দুর্বল। পুরো গায়ের চামড়া পুড়ে গেছে। ডাক্তার ওকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছে। কিন্তু পেটের দায়ে ও কোনও রকমে ক্লিনিক করছে। একজন ডাক্তার আজ নিজেই ব্রেস্ট ক্যান্সার নামক এক রোগের কাছে নতজানু হয়ে পড়েছে।
জয়ন্তীর মা নেই। বুড়ো বাবা, রিটায়ার করেছেন। চার বছর বয়েসি একটা মেয়ে আছে। ওর সাথে কথা বলার সময় ও খুব কাঁদছিল। ওর স্বামী দেশে থাকে না, ইন্ডিয়া থাকে। অবশ্য সে দেশে থাকলেও জয়ন্তীর জন্য সে কোনও টাকা পয়সা খরচ করতে রাজি না। অথচ জয়ন্তীর চিকিৎসার জন্য প্রতিনিয়ত টাকা খরচ হচ্ছে। ওর হাতে যা কিছু ছিল দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
স্কয়ার হাসপাতালে ওর কালকে রেডিয়েশনে নিয়েছে ৩,৫০০ টাকা। আজকে নিয়েছে ৫,০০০ টাকা। একেকদিন একেক রকম খরচ পড়ে। ও আমাকে জানালো যে শুধুমাত্র রেডিয়েশন বাবদই ওর খরচ পড়বে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আর এর পাশাপাশি হরেক রকম টেস্ট আর ওষুধপাতির খরচা তো আছেই। আমরা ধরে নিয়েছি চার লাখ টাকা। কারণ নির্দিষ্ট কতো টাকা লাগবে সেইটা আগে থেকে একদম ঠিক করে বলা যায় না। অনুমান করা যায় মাত্র।
জয়ন্তীকে বাঁচাবার কোনও চেষ্টা বাকি রাখবো না ইনশা আল্লাহ্। আমি আমার এলাকার একটা দায়িত্ব নিয়েছি। তোমরা তোমাদের এলাকায় কিছু একটার দায়িত্ব নাও। দেখো বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধু হয়ে যাবে।
আমাদের ইভেন্টে অনেক ছেলে মেয়ে আছে। এরা সবাই মনে প্রানে কাজ করতে চায়। জয়ন্তীকে বাঁচাবার জন্য সবাই কাজ করবে। শুধু সঠিক দিক নির্দেশনা দিলেই কাজ হয়ে যাবে আশা করছি।
দেশের এই বেসামাল অবস্থায় স্কুল কলেজ সব বন্ধ বলে আমরা ধর্মীয় বড়ো অনুষ্ঠান গুলিতে তার জন্য সাহায্য তুলতে চাচ্ছি।
#এই মাসে বা সামনের মাসে কি কোনও পূজা আছে? ভাবছি পূজা থাকলে মন্দিরে ক্যাম্পেইন করবো।
#আর হ্যাঁ। দুইদিন পরই কিন্তু বড়দিন! সামনে বড়দিন উপলক্ষে মাঠে কাজ করার প্ল্যান করো সবাই।
জয়ন্তীর জন্য সাহায্য করতে সবাই এখানে যোগাযোগ করুনঃ
জয়ন্তীর জন্য আমরা আজকে বিকেলে জয়ন্তীর সাথে লম্বা সময় নিয়ে কথা বললাম। আমি ওকে উত্তরা মেডিকেল কলেজে আসতে বলেছিলাম পর ও জানালো যে এই শরীর নিয়ে ও উত্তরা আসতে পারবে না। আসলে কেমো নেবার পর এখন রেডিয়েশন থেরাপি চলছে বলে ওর শরীর খুবই দুর্বল। পুরো গায়ের চামড়া পুড়ে গেছে। ডাক্তার ওকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছে। কিন্তু পেটের দায়ে ও কোনও রকমে ক্লিনিক করছে। একজন ডাক্তার আজ নিজেই ব্রেস্ট ক্যান্সার নামক এক রোগের কাছে নতজানু হয়ে পড়েছে।
জয়ন্তীর মা নেই। বুড়ো বাবা, রিটায়ার করেছেন। চার বছর বয়েসি একটা মেয়ে আছে। ওর সাথে কথা বলার সময় ও খুব কাঁদছিল। ওর স্বামী দেশে থাকে না, ইন্ডিয়া থাকে। অবশ্য সে দেশে থাকলেও জয়ন্তীর জন্য সে কোনও টাকা পয়সা খরচ করতে রাজি না। অথচ জয়ন্তীর চিকিৎসার জন্য প্রতিনিয়ত টাকা খরচ হচ্ছে। ওর হাতে যা কিছু ছিল দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
স্কয়ার হাসপাতালে ওর কালকে রেডিয়েশনে নিয়েছে ৩,৫০০ টাকা। আজকে নিয়েছে ৫,০০০ টাকা। একেকদিন একেক রকম খরচ পড়ে। ও আমাকে জানালো যে শুধুমাত্র রেডিয়েশন বাবদই ওর খরচ পড়বে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আর এর পাশাপাশি হরেক রকম টেস্ট আর ওষুধপাতির খরচা তো আছেই। আমরা ধরে নিয়েছি চার লাখ টাকা। কারণ নির্দিষ্ট কতো টাকা লাগবে সেইটা আগে থেকে একদম ঠিক করে বলা যায় না। অনুমান করা যায় মাত্র।
জয়ন্তীকে বাঁচাবার কোনও চেষ্টা বাকি রাখবো না ইনশা আল্লাহ্। আমি আমার এলাকার একটা দায়িত্ব নিয়েছি। তোমরা তোমাদের এলাকায় কিছু একটার দায়িত্ব নাও। দেখো বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধু হয়ে যাবে
আমাদের ইভেন্টে অনেক ছেলে মেয়ে আছে। এরা সবাই মনে প্রানে কাজ করতে চায়। জয়ন্তীকে বাঁচাবার জন্য সবাই কাজ করবে। শুধু সঠিক দিক নির্দেশনা দিলেই কাজ হয়ে যাবে আশা করছি।
দেশের এই বেসামাল অবস্থায় স্কুল কলেজ সব বন্ধ বলে আমরা ধর্মীয় বড়ো অনুষ্ঠান গুলিতে তার জন্য সাহায্য তুলতে চাচ্ছি।
#এই মাসে বা সামনের মাসে কি কোনও পূজা আছে? ভাবছি পূজা থাকলে মন্দিরে ক্যাম্পেইন করবো।
#আর হ্যাঁ। দুইদিন পরই কিন্তু বড়দিন! সামনে বড়দিন উপলক্ষে মাঠে কাজ করার প্ল্যান করো সবাই।
জয়ন্তীর জন্য সাহায্য করতে সবাই এখানে যোগাযোগ করুনঃ
জয়ন্তীর জন্য আমরা
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০
অনিকেত নন্দিনী বলেছেন:
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
উপরে জয়ন্তী'র একটা ছবি দিয়ে দেন তাহলে পোষ্টটি অনেকের নজরে আসবে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮
অনিকেত নন্দিনী বলেছেন: ধন্যবাদ
আসলে ছবি দেয়ার ব্যাপারে আমি ভেবেও আবার বাদ দিয়েছি। কারণ আমি যেহেতু এখানে নতুন তার ছবি দেয়াটা কতোখানি গ্রহণযোগ্যতা পাবে তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭
আমিনুর রহমান বলেছেন:
দিয়ে দেন ... দেখা যাক কি করতে পারি আমরা জয়ন্তী'র জন্য। আমি ফেবুতে শেয়ার দিলাম ...
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
অনিকেত নন্দিনী বলেছেন: হ্যাঁ। দেখা যাক। সবাই মিলে চেষ্টা করলে ওর জন্য প্রয়োজনীয় টার্গেট পূরণ করতে আশা করি খুব বেশি দেরি হবে না
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩
অদিতি মৃণ্ময়ী বলেছেন: আমার এইচ এস সি এক্সাম চলে আসছে, নাহলে অবশ্যই দরকার হলে খুলনায় ক্যাম্পেইনের ব্যাবস্থা করতাম। কিন্তু এই ব্যাপারে এখন হেল্পলেস যাই হোক, যেভাবে পারি সাহায্য করার চেষ্টা করব। জয়ন্তীর জন্য শুভকামনা রইল।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
অনিকেত নন্দিনী বলেছেন: সামনে যেহেতু পরীক্ষা চলে এসেছে তো সেদিকেই বেশি মনোযোগ দেয়াটা জরুরি। তবে বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়স্বজনকে বলে দেখতে পারো। একটু একটু করেই তো অনেক খানি হয়ে যায়, তাই না?
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৫
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন: এ সংবাদটি পড়তে ভিজিট করুন http://www.comillardak.com
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০৩
অনিকেত নন্দিনী বলেছেন: দুঃখিত
আপনার দেয়া লিঙ্কে সরাসরি জয়ন্তীর খবর দেখায় না। আমি তো প্রথমে খুঁজেই পাইনি। ছোট করে লেখা বলেই হয়তো তখন দেখিনি, অনেক পরে খুঁজে পেয়েছি
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৭
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন:
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৭
অনিকেত নন্দিনী বলেছেন: ওর মেয়েটার কথা ভেবে হলেও ওর জন্য সবাই যতোই অল্প হোক না কেন সাহায্য করার চেষ্টা করবেন আশা করি
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
আকাশ১৩ বলেছেন: