নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনিকেত নন্দিনীর আবোল তাবোল

যে জীবন ঘাসফড়িঙের, যে জীবন রঙিন প্রজাপতির, ঐ জীবন পেলে মন্দ হতো না।

অনিকেত নন্দিনী

আমার না বলা যতো কথা, আমার যতো অপূর্ণ সাধ, তার সাথে মিলে দেখা কিছু রংধনু স্বপ্ন, আর কিছু হৃদয় বিদীর্ণ দীর্ঘশ্বাস- এই নিয়ে আমার এই চার দেয়ালে ঘেরা জীবন। আমি যেন এক সুতোয় বাঁধা ঘুড়ি। প্রজাপতি আর ঘাস ফড়িঙ কে পেছনে ফেলে পাখিদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাতাসে ভর করে উড়ে যাই দূর বহু দূর। উড়তে উড়তে চলে যাই মেঘদের কাছে কিন্তু পেছনে আমার বন্ধন পড়ে থাকে। বেলা শেষে নাটাইয়ের টানে ফিরে আসি মৃত্তিকার কাছে।

অনিকেত নন্দিনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিমত

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪০

বুদ্ধি হবার পর থেকে এযাবৎ চারদিকে যা কিছু দেখেছি তাতে করে মোটামুটি যে ধারণা হয়েছে তাতে করে বলা যায় পুরুষ মূলত দুই প্রকারঃ
১। মানব
২। শিশ্নধারী
(১) মানবঃ যে পুরুষের মাঝে মানবিক বোধগুলি কাজ করে তারা এই পর্যায়ে পড়ে। এরা জীবনের সব ক্ষেত্রে নৈতিকতাকেই বেশি মূল্যায়ন করে। এদের কাছে সবার আগে পরিবার। পরিবারের জন্য এরা নিবেদিতপ্রাণ।
(২) শিশ্নধারীঃ এদের জীবনে শিশ্নের ঊর্ধ্বে অন্য কিছুই গুরুত্ব পায়না। এদের ভাবনা হলো, "পরিবার গোল্লায় যাক, শিশ্নসুখ সবার আগে"। যে কোনও কিছুতেই এদের শিশ্নানুভূতিতে আঘাত লাগে সবার আগে। শিশ্নধারীদের মাঝেও রকমফের দেখা যায়ঃ
ক) মনিব শ্রেণিঃ এরা বেশ অর্থসম্পদের মালিক এবং সেই অর্থসম্পদের মূলো ঝুলিয়ে মোটামুটি নির্বিঘ্নে শিশ্নচর্চা করতে পারে।
খ) চাকর শ্রেণিঃ এরা মূলত মনিবের অধঃস্তন কর্মচারী। এদের পেশার অধঃ অবস্থানগত কারণে বসের বউ বা বোনের সাথে শিশ্নচর্চা করতে পারেনা বলে বসের কানে তার বউয়ের নামে হাবিজাবি কথা লাগিয়ে মনে মনে শিশ্নসুখ পায়। "মনে মনে মনকলা খাওয়া" বা "পাগলের সুখ মনে মনে" এই রকমেরই আর কি!
গ) পেটে খিদা মুখে লাজ শ্রেণিঃ এরা মূলত পারিবার বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইপ্সিতা নারীকে দূর থেকে দেখে যায় আর মনে মনে আস্ফালন করে। সময় এবং সুযোগ পেলে এরাও চাকর শ্রেণীর মতোই চোগলামি করে মনে মনে মনকলা খায়।
নারী দুই প্রকারঃ
১। মানবী
২। চেকওয়ালী
১) মানবীঃ যে নারীর মাঝে মানবিক বোধগুলি কাজ করে তারা এই পর্যায়ে পড়ে। মানবের মতো এরাও জীবনের সব ক্ষেত্রে নৈতিকতাকেই বেশি মূল্যায়ন করে। এদের কাছেও সবার আগে পরিবার। পরিবারের জন্য এরা নিজের সব চাওয়া পাওয়া ভুলে মুখ বুঁজে অনেক অনাচার সহ্য করে যায়।
২) চেকওয়ালীঃ এই নারীদের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাদের নাভিমূল তথা নাভির নিচে অবস্থিত স্ত্রীলিঙ্গ। চেকওয়ালী দুই প্রকারঃ
ক) পেটের দায়ে চেকওয়ালীঃ স্বামী, প্রেমিক বা দালালের খপ্পরে পড়ে হেনস্তা হতে হতে একটা সময়ে জীবন চালাবার জন্য নাভিমূলের চেক ভাঙানো ছাড়া এদের আর কোনও উপায় থাকেনা।
খ) বিলাসিতার লোভে চেকওয়ালীঃ এরা নিজেদের জীবনযাত্রার মান বাড়াবার জন্য নাভিমূলের চেক ভাঙায়। স্বামী বা বাপের কামাইতে এদের মন ভরেনা। কাজেই চেক ভাঙিয়ে বাড়তি বিলাসিতার উপকরণ যোগাড় করতে এদের কোথাও বাঁধেনা। চেক ভাঙিয়ে এরা দামি মোবাইল সেট হস্তগত করে, নামীদামী শপিং মল থেকে কেনাকাটা করে, ফাইভ স্টার হোটেলে ডিনারে যায়, দামি গাড়িতে করে ঘুরে বেড়ায়।


বিঃ দ্রঃ এই পোস্ট নিজের চারপাশে যা কিছু দেখেছি সেই অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা। কাজেই এই পোস্ট দেখে কোনও শিশ্নধারী বা চেকওয়ালীর শিশ্নানুভুতি বা নাভিমূলানুভূতিতে আঘাত লাগলে সেই দায় আমার নয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫১

তেপান্তরের আমি বলেছেন: সব অনুভুতির মাঝে বক্সিং গ্লাভস পড়ে পাঞ্চ করে করে শেষ করে দিলি। তারপরেও বলছিস কারো অনুভুতিতে লাগলে তুই দায়ী না এইটা কিরাম কথা মামা B:-/ B:-/ B:-/

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

অনিকেত নন্দিনী বলেছেন: আহহারে! কি আফসোসের কথাই না মুনে করাইয়া দিলি মামা!! তিন বস্তা আফসোস!!! চারদিকে এত্ত এত্ত শিশ্নধারী আর নাভিমূলধারিণী, একলা এদের সব্বাইরে কেমতে ঘুষা দিমু? :(( :(( :((

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫৮

সাসুম বলেছেন: আপ্নে কেডা ? বাড়ি কই আপনার ? আপনাকে চেনা চেনা লাগছে আফা !

লিখাটা জোস হইছে আফা :D

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

অনিকেত নন্দিনী বলেছেন: আমারে চিনস নাই?
আমি অনিকেত- গৃহহীনা।
চেনা চেনা লাগে, না?
ফাইজলামি করস?


আফা নিজেই কঠিন জোস, লেখা তো জোস হইতেই হবে। নইলে চলব কেমতে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.