নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুক টুইটার ভাইবার এবং হোয়াটস অ্যাপস। কত্তগুলা মাধ্যম। সময় কাটানোর কত উপায়। হোয়াটস অ্যাপস ও ভাইবার তো দেখি আরও সাংঘাতিক। আরও পাওয়ারফুল। আবেগ অনুভূতি প্রকাশের কত সহজ উপায়। সম্পর্ক তৈরি করবার, বন্ধুত্ব গড়বার কী সহজলভ্য মাধ্যম।
হাত বাড়ালেই বন্ধু। খুবই সামান্য প্রচেষ্টায় মানুষের সঙ্গ। তবুও আজকাল মানুষগুলো খুব খুব একা। বিষন্নতা ফ্রাস্ট্রেশন ডিপ্রেশনেসহ কত রকমের সাইকোলজিক্যাল প্রব্লেমে জর্জড়িত। ফিজিক্যালের সাথে সাথে আজকাল মেন্টাল পেশেন্টও পাল্লা দিয়ে কেবলই বাড়ছে। কেন এমন?
বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ। তাই কি? এইসব মাধ্যম দিয়েই আমাদের কতশত আবেগের আদান প্রদান হছ্ছে প্রতিনিয়ত। আবেগের প্রকাশ আরও বাড়ছে বৈকি।
বলছিলাম, এসব স্যোশাল মাধ্যম এসে আমাদের জীবনকে বেশ প্রাণবন্ত করে তুলেছে ঠিকই কিন্তু সেই সাথে কিছু স্যোশাল প্রব্লেমটিক ইস্যুও তৈরি করছে। মানুষে মানুষে বিশ্বাস কমছে। পটাপট রিলেশন গড়ছেও আবার ভাঙ্গছেও। পরকীয়া বাড়ছে। প্রি ম্যারিটাল পোষ্ট ম্যারিটাল রিলেশন বাড়ছে। ডিভোর্স বাড়ছে। ফ্যামিলি বন্ধন ঢিলে হয়ে যাছ্ছে। লিভ টুগেদারও বাড়ছে। সবকিছু মিলে চরম এক নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে।
দায়ী অবশ্যই এ জন্যে সাইন্স নয়। এই আমরা মানুষরাই দায়ী। আমাদের মিসউইজ প্রবনতা দায়ী। রেসপনসিবিলিটি সেন্স হারিয়ে আমরা বডড ইমোশনাল হয়ে পড়ি।
এসব স্যোশাল মাধ্যমের সুস্থ চর্চা ও সঠিক ব্যবহার জন্য প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা ও অনুশীলন। আজকাল আমরা নানা কিসিমের জ্ঞান,সভ্যতা সংস্কৃতিকে শিখছি জানছি চর্চা করছি বাট অদ্ভুত সবচেয়ে দরকারি ইস্যুটিকে,বিষয়টিকে একদমই এড়িয়ে চলছি।
নৈতিক বা মোরাল সেন্স এটা এমনি এমনি তৈরি হয় না। এর জন্যে চাই বিশুদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষা ও অনুভূতি। সৃস্টিকর্তার প্রতি প্রবল কৃতজ্ঞতা ও প্রচন্ড ভালবাসা থেকে। এই বোধটুকু খুব খুব দরকার। এটি থাকলে একাকীত্ব কেটে যায়। পাপবোধ মিটে যায়। ভালকর্মের চর্চা বাড়ে। মন্দকর্মের প্রতি ঘৃনা হয়। নিজে ভাল থাকা যায়। সবাইকে নিয়ে ভাল থাকা যায়।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭
অপরাজিতা পুষ্পিতা বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
এরশাদ বাদশা বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। ২০০০ সালে আমার প্রেমিকার সঙ্গ পাবার জন্য কতো দেনদরবার করতে হতো, চিঠি দিতাম, কতো চমৎকার করে ও চিঠি লিখতো, ওই চিঠি রিপ্লাই দেবার পর পরবর্তী চিঠির জন্য ব্যকুল হয়ে অপেক্ষয় থাকতাম। ওই সময়েও সম্পর্কের মধ্যে কৃত্রিমতা ছিলেনা। আর এখন এফবি, হোয়াটস অ্যাপে আমার জুনিয়র কলিগকেই দেখি চার-পাঁচটার সাথে শিডিউল করে প্রেম করে। ওর আবার পার্মানেন্ট একজন প্রেমিকা আছে, কিন্তু বাকীগুলোর সাথে সে জাস্ট টাইম পাস করে। টাইম পাস মানে সহজ ভাষায় বলতে গেলে সেক্স এর চাহিদা মেটায়। প্রযুক্তি আমাদের আবেগকে শিকেয় তুলে দিয়েছে ঠিক, কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাও দায়ী। সহমত আপনার বক্তব্যের সাথে।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
ম্যাক্সিম বলেছেন: ধর্মীয় মূল্যবোধই একাকীত্ব ও হতাশা দূর করতে পারে। এটাই একমাত্র এবং কার্যকরী সমাধান।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
অপরাজিতা পুষ্পিতা বলেছেন: অভিজ্ঞতা শেয়ার করবার জন্যে ধন্যবাদ। মোরালিটি না থাকলে সকল অসভ্যতাই সম্ভব।
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০১
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: পোষ্ট এবং এরশাদ বাদশার সাথে এক মত
পোষ্টে লাইক
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০০
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: দারুণ বলেছেন ভাই, একদম সময়ের কলাম!