নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/amioparajitapushpita

অপরাজিতা পুষ্পিতা

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো সে আমি বলবই।

অপরাজিতা পুষ্পিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায় মুসলিম শাসকবর্গ! হায় মুসলিম উম্মাহ!!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪২

''শার্লি এবদো" স্যাটায়ার ম্যাগাজিনের নাম বিশ্ববাসী তো দূরের কথা খোদ ফ্রান্সের প্যারিসের অনেক মানুষই জানতো না। মাত্র শ’খানেক কপি বিক্রী করাটাও বেশ মুশকিল ছিল। পত্রিকাটির পেছন ইতিহাস থেকে এমন তথ্যই মিলে। সেই অখ্যাত ননপপুলার ''শার্লি এবদো" এখন বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত স্যাটায়ার ম্যাগাজিন!! আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। প্রতি সপ্তাহে পত্রিকাটি ৬০,০০০ কপি ছাপিয়ে থাকে!

কেন?কিভাবে?এই রাপিড পপুলারিটির সিক্রেট কি??



শুধুমাত্র মুসলিম উম্মাহর কলিজার টুকরা,প্রাণাধিক প্রিয়মানুষ রাসূলে কারীম (সা) এর ব্যঙ্গত্মক কার্টুন প্রকাশই ওদের এনে দেয় এমন পপুলারিটি ও আলোচনার শীর্ষে!! নাস্তিকদের সেই পুরনো কৌশল। মুসলিমদের ক্ষেপাও। ওদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানো। ওদের আল্লাহ নবী রাসূলদের গালি দাও। তামাশা করো। ব্যস। পপুলার। হিট।

ফ্রান্সের এই ছোট্ট ম্যাগাজিনটি প্রচ্ছদে আবারও মহানবী(সা) এর কার্টুন পাবলিশ করতে যাছ্ছে। কেবল তাই নয় এবার তারা আগামী সংখ্যার মোট ৩০ লক্ষ কপি ছাপাচ্ছে!!



সোজাসাপ্টা যা দাঁড়ায় তা হলো:পুরো মুসলিমবিশ্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন!পারলে ঠেকা।তোদের নবী নিয়া আরও বেশি তামাশা ঠাট্টা মশকারি বেইজ্জতি যা ইছ্ছে তাই করমু। কী করতে পারিস কর।



গরুখেকো,বংশগত,নামধারী, উৎসব ও দিবসকেন্দ্রিক মুসলিমরা,আশেকানে রাসূলরা সত্যিই ওদের কিছ্ছুই করতে পারবে না। সেই হেডেম বর্তমান মুসলিমদের নেই। আর যে বা যারা কিছু করবে রাসূলে কারীমের শানে বেয়াদবির পাল্টা জবাবে সেই তাদেরকেই এইসব মুসলিমরা ঠেংগাইবে। টেররিস্ট বলে গালি দিবে। ঘৃণা করবে। এড়িয়ে যাবে।



শার্লি এবদো নিয়ে পুরো ইউরোপে তোলপাড় ঘটনার এই এক সপ্তাহ পরেও থামেনি। আলোচনা সমালোচনা মিছিল মিটিং সমাবেশ চলছেই। ৩৭ লক্ষ মানুষ মিলে বৃহৎ এক শোডাউনও তারা দেখিয়ে দিল। ইউরোপ আমেরিকায় লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ অনেক বৃহৎ ব্যাপার।



অথচ পুরো মুসলিমবিশ্ব একদমই চুপচাপ। বারবার রাসূলকে নিয়ে এমন ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে নেই কোন মিছিল মিটিং সমাবেশ কিংবা প্রতিবাদ!! ঐ যে সেই হেডেমটাই যে নাই।



# jesuischarlie মানে কি? আপনি জানেন?



এই হ্যাশট্যাগের মানে হল আমিও শারলি, অর্থাৎ আমিও সে পত্রিকা যাতে নবী (স) এবং উম্মুল মু'মিনিনদের নিয়ে অশ্লীল কার্টুন ছাপানো হত, এবং আজকেও সেই পত্রিকায় প্রিয়নবীকে নিয়ে কার্টুন ছাপা হয়েছে। তার মানে আপনিও সেই পত্রিকা "চার্লি হেবডো" যেখানে আমাদের প্রানের প্রিয়নবীকে ব্যঙ্গ করা হয়, আপনিও ব্যঙ্গকারীর সমর্থক!



খ্রিষ্টানরা যিশুর কার্টুন অঙ্কন করে- হিন্দুরাও তাদের দেব-দেবীদের কার্টুন অঙ্কন করে। এমনকি অনেক ওয়েবসাইটে যিশুর নগ্ন কার্টুন/ফটোও দেখা যায়- কোন খ্রিস্টানই কিন্তু তাতে আপত্তি করে না। হিন্দুরা তো নিজেরাই তাদের দেব-দেবীদের নগ্ন প্রতিমূর্তি তৈরি করে। এতে যদি তাদের কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে তাহলে চুন থেকে পান খসলেই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে এত আঘাত লাগে কেন? এর কারন হল মুসলমানরা সবার চেয়ে আলাদা। আর ইসলামও অন্য সকল ধর্মের চেয়ে আলাদা। এটা নামসর্বস্ব কোন ধর্ম নয়, আচারসর্বস্ব ধর্মও নয়। এটা একমাত্র সত্য ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা মনোনীত ধর্ম। তাই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিও অত্যন্ত সেনসিটিভ।



ফ্রান্সে মহানবী (সা) এর কার্টুন অঙ্কনকারী ১২ জনকে কতল করা হয়েছে- এতে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। যদিও এর ফলে বহির্বিশ্বে মুসলমানদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্য হয়েছে। এটাও সত্য যে, এধরনের হামলা চালিয়ে ইসলাম অবমাননা বন্ধ করা যাবে না বরং এটা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তবুও আমি মনে করি এই হামলাটা সঠিক ছিল। কারন এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কেউ বিনা বিচারে পার পেয়ে যাবে তা তো হয় না। এটা তো ন্যায়বিচার হল না।



ইমাম মালিককে খলিফা হারুন অর রশিদ প্রশ্ন করেছিলেন কি হবে যদি কেউ রাসূল সাঃ কে অপমান করে ইমাম মালিক বলেছিলেন “এরপরে কি আর কারো বেচে থাকার অধিকার থাকে?”



'মুসলিম টেররিস্ট' ফ্রিডম অফ স্পিচ' এইসব ফান্দে পড়ে মুসলিমরা পুরো ব্যাপারটাই এগনোর করছে। কনফিউজড। তলিয়ে দেখবার আগ্রহটুকুও নেই। অথচ পশ্চিমাদের বক্তব্যের পাল্টা জবাবে কতকিছুই না বলা যায়। দেখানো যায়। পুরো ইস্যুটাকে কত রকমভাবেই না ডিফেন্ড করা যায়। ওদের হিপোক্রেসির উদাহরণ কি ভূরি ভূরি নয়?



হায় মুসলিম শাসকবর্গ! হায় মুসলিম উম্মাহ!!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

যুদ্ধবাজ বলেছেন: দুঃখ একটাই, বাংলার মানুষ এখনও গোঁড়া ধর্মান্ধ রয়ে গেল। নবীজি-কে তার জীবিত অবস্থাতেও তো অনেকেই অনেক ভাবে অপমান করেছে, তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে কি নবীজি তাদের হত্যা করেছেন? নিশ্চয়ই না। কোন ভাবেই কোন হত্যাকান্ডকে সমর্থন করা যায় না, সেটা যে কারনেই হোক। আমি মুসলমান এবং আমি শার্লি এবেদোর হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:০৯

অপরাজিতা পুষ্পিতা বলেছেন: "ইমাম মালিককে খলিফা হারুন অর রশিদ প্রশ্ন করেছিলেন কি হবে যদি কেউ রাসূল সাঃ কে অপমান করে ইমাম মালিক বলেছিলেন “এরপরে কি আর কারো বেচে থাকার অধিকার থাকে?” গোঁড়া ধর্মান্ধ কথাগুলো খুব সস্তা হয়ে গেছে। তাই এই আপনারা না ভেবে বুঝেই ইউজ করে বসেন। রাসূলের জীবদ্দশায় ইসলামী হুকুমাত কায়েম হবার পর মোর স্পেসিফিকলি মদীনা রাস্ট্র গঠনের পরের ইতিহাসটা জানুন।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১০

আবদুল্লাহ আল জাফর মালেক বলেছেন: আমি আপ্নার ফ্যান। সরাসরি প্রিয়তে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:১০

অপরাজিতা পুষ্পিতা বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫১

উড়োজাহাজ বলেছেন: মুসলমানদের দুর্বলতার কথা স্বীকার করছি। তারা স্রোতে ভেসে যাওয়া আবর্জনার মত। কিন্তু আপনি এই সময়ে এ ধরনের হামলাকে স্বীকার করছেন কোন যুক্তিতে? যদি এ হামলা যুক্তিযুক্ত হয়ই এবং ইউরোপীয়দের গর্হিত কাণ্ডে আপনার আঘাত লেগেই থাকে, তবে পারলে ‌'আমিই শার্লি বলা সেই ৩৭ লাখ (পক্ষান্তরে সমস্ত ইউরোপবাসীসহ পৃথিবীর অধিকাংশ) মানুষকে অনুরূপ শাস্তি দিন না! তারাও তো সমান অপরাধে অপরাধী!
এটা কোন ধরনের মাথা মোটা কাজ চিন্তা করে দেখেছেন? মক্কা জীবনে রসুলাল্লাহকে হত্যা করতে উদ্যত কোন শত্রুকেও তো তিনি কিছু বলেন নি। যদিও ওমর (রা.) এর মত নির্ভীক যোদ্ধা কিংবা অনুরূপ অন্যরাও তখনও ছিলেন। সে সময় কী রসুলকে অপমান করা হয় নি? অপদস্থ করা হয় নি? জাতির উন্মেষকালে আপনার মত লোকেদের অনুভূতি যদি এত প্রখর হয়ে উঠত তাহলে এই জাতিটি পরবর্তীতে এতটা বিস্তৃতি লাভ করতে পারত?
আবেগে যুক্তি-জ্ঞান হারিয়ে ফেলবেন না। আপনার আমার চেয়ে রসুলকে ভালোবাসার মত বহু মানুষ তখনও ছিল। কিন্তু রসুল জানতেন কোন সময় কোনটা চলে। তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের অন্যতম কূটনীতিক। তিন আসহাবদেরকে এ ধরনের মাথা মোটা কাজ করতে অনুমতি দেননি। আর আজ আমাদের গরু খাদক মুসলানদের শুধু অনুভূতিটুকুই অবশিষ্ট আছে। হারিয়ে গেছে বাস্তব বুদ্ধি। এ জন্য তারা এসব কাজ করে জাতির বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনছে। জাতিটির মাথা এত মোটা হওয়ার কারণেই তারা শত্রুদের পাতা ফাঁদে খুব সহজেই পা দিচ্ছে।
যে তালেবান আর আল-কায়েদা নিজেদেরকে এত ক্ষমতাবান মনে করছে, ঘটনার দায় নিজেদের ঘাড়ে নিচ্ছে তারা সাধারণ মানুষ থেকে আড়ালে কেন? তারা আগে সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিল না কেন? এরা পাহাড়েরর গুহায়, মাটির গভীরে বসে যে ইসলাম কায়েম করতে চাচ্ছে সেটা কাদের জন্য? নিশ্চয় মানুষের জন্য! মানুষ বলতে অবশ্য আমি সব মানুষকেই বুঝাচ্ছি। সেটা সাদা হোক, কালো হোক, পূর্বের হোক কিংবা পশ্চিমের হোক। সারা দুনিয়ার মানুষের শান্তির জন্যই তাদের আত্মত্যাগ করা উচিত ছিল। রসুলের দায়িত্ব তো পুরো মানবজাতির উপর। তাঁর অনুসারী হিসেবে তাদেরও দায়িত্ব সমান। তারা প্রাণ দিতে ভয় পাচ্ছে না সেটা মানলাম। কিন্তু সাথে মগজটাকে খাটিয়ে সেটাকে পূর্ণতা দিতে পারত। কিন্তু হায়, মাথা মোটার দল, হায় উজবুকের দল, তোমরা যাদের জন্য জীবন দিচ্ছ, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছ, তারাই তোমাদেরকে ভিলেন মনে করছে। ঘৃণা করছে। এর থেকে ব্যর্থতা আর কোথায় হতে পারে বলতে পারেন?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:২৪

অপরাজিতা পুষ্পিতা বলেছেন: মাথা মোটার দলে তো আপনাকেই দেখছি তাই এতকিছুর পরও ধরতে পারছেন না। মুসলিম জিহাদীরা এতটা অজনপ্রিয় কেন? সে তো এই আমাদেরই ব্যর্থতা। মানলাম তাদের কিছু পলিসিতে ভুল আছে বাট এই আমরা সো কলড মডারেট মুসলিম দাবিদাররা কাজের কাজটা কি করেছি? ঐ তো মিডিয়ার কথায় নেচে গেয়ে ওের গালি দিয়ে চুপচাপ আর ঘৃণা করে বসে আছি। আর বারবার মক্কার ইতিহাস না টেনে মদীনা রাষ্ট্র গঠনের পরের বিধান কালচারটা বিবেচনায় আনবেন। ইসলামের প্রারম্ভিকলগ্ন ও পরিপক্ককালের বিধানের মাঝে বিস্তর ফারাক রয়েছে। দেখুন আমি নিজেই উগ্রতাকে ঘৃণা করি বাট অন্যের ধর্ম নিয়ে, তাদের রাসূলকে নিয়ে বারবার তামাশা করার অধিকার কারো নেই। থাকা উচিত নয়। শ্যদ্ধাবোধ থাকতে হবে। মশকারি করবার ইস্যু দুনিয়ায় মোটেই কম নেই। ঠিক এখানটায় ওরা খুব বেশি বাড়াবাড়ি করছে।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪১

কলাবাগান১ বলেছেন: মুখে কালো কাপড় মেখে প্রতিবাদ করা যেত শার্লি এবদোর অফিসের সামনে, দিন কে দিন জন সমাগম করা যেত কার্টুন প্রকাশের প্রতিবাদে, তাি বলে একেবারে কমান্ডো স্টাইলে খুন আর আপনার মত লোকের তার আবার প্রকাশ্য সমর্থন!!!!!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:২৫

অপরাজিতা পুষ্পিতা বলেছেন: মি অলরেডি এ নিয়ে উপরে অনেক কথায় লিখলাম

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: "ফ্রান্সে মহানবী (সা) এর কার্টুন অঙ্কনকারী ১২ জনকে কতল করা হয়েছে- এতে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। যদিও এর ফলে বহির্বিশ্বে মুসলমানদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্য হয়েছে। এটাও সত্য যে, এধরনের হামলা চালিয়ে ইসলাম অবমাননা বন্ধ করা যাবে না বরং এটা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তবুও আমি মনে করি এই হামলাটা সঠিক ছিল। কারন এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।"


মূর্খটা বলে কি রে !!!! এতো মুসলমান নামের কলঙ্ক । পোস্ট রিপোর্টেড ।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৫২

শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: মুসলমানদের উচিত ঐ পত্রিকার এ ধরণের কাজের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ গড়ে তোলা। কিন্তু বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার ব্যাপারটা কোনো ভাবেই সাপোর্ট করা যায় না।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৫৪

অপরাজিতা পুষ্পিতা বলেছেন: শার্লি এবডো ২০০৬ সালে মহানবী (সা.)কে ব্যঙ্গ করে কয়েকটি কার্টুন প্রকাশ করে। ২০১১ ও তার পরের বছরও তারা একই কাজ করে। ২০১১ সালে শার্লির কার্যালয়ে পেট্রোল বোমাও ছোড়া হয়েছিল। মুক্ত চিন্তার নামে এভাবে ধর্মাবমাননা করা যায় কি-না এ নিয়ে শার্লিকে আদালতে পর্যন্ত নেওয়া হয়েছিল। সাময়িকীটি শুরু থেকেই নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করলেও তাদের তীব্র ধর্মবিদ্বেষী চরিত্রটি ছিল পরিষ্কার। এ ধর্ম বিদ্বেষের মূল লক্ষ্যটি আবার ইসলাম ধর্মকে কেন্দ্র করেই।

শার্লি এবডো মহানবী (সা.)কে ব্যঙ্গ করার পরই বাকস্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তার মাত্রা নিয়ে বিতর্ক ওঠে। তবে এবারের হামলার পর তা বেশ জোরেশোরে শুরু হয়। মার্কিন মিডিয়া সিএনএনে একজন অ্যাক্টিভিস্ট, কলাম লেখক ও টিভি ভাষ্যকার স্যালি কোহন বলেন, 'বাকস্বাধীনতার সঙ্গে অবশ্যই দায়িত্বশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। এ কারণেই আমি মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কোনো কার্টুন ছাপব না। কেননা এতে বিশ্বব্যাপী ১৬০ কোটি মুসলমান আঘাতপ্রাপ্ত হবেন। একইভাবে আমি খ্রিস্টান বা ইহুদি ধর্মকেও আঘাত করে কোনো কার্টুন ছাপতে পারি না।'
স্যালি কোহনের মতেরই প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় প্যারিসের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণের কথায়। তিনি বলেন, 'একজন মুসলমানের কাছে মহানবী (সা.) তার পিতা-মাতার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। তাদের (শার্লি) বারবার সতর্ক করা হয়েছিল কিন্তু তারা মহানবী (সা.)কে ব্যঙ্গ করা অব্যাহত রেখেছে।

মিডিয়া বা ব্যক্তির বাকস্বাধীনতাকে স্বীকার করা মানে তার সব কাজই মেনে নেওয়া নয়। বাকস্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করলে তা মেনে নেওয়া যায় না। শার্লি এবডো বাকস্বাধীনতার নামে যা করেছে বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। যে কারণে তারা 'আমি শার্লি' কথাটির সঙ্গে একমত নন। সব মুসলমানই জঙ্গি নন, ফলে কোনো মুসলিম জঙ্গিকে চিত্রিত করতে গিয়ে ইসলামের নবীকে প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা যায় না।

'আর্মিই শার্লি' বলার অর্থ মুসলমানদের কাছে দাঁড়াচ্ছে নিজেদেরই জঙ্গি বা নিজেদের নেতাকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা। এ প্রেক্ষাপটেই সামনে আসছে 'আমি শার্লি নই' কথাটি। অবশ্য শুধু মুসলমানরাই নন, ভিন্ন ধর্মের মুক্ত চিন্তার অনেক মানুষই 'আমি শার্লি' বলতে নারাজ। বাকস্বাধীনতার মাত্রা নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক তারা। হামলার পরও শার্লি এবডো ফের মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করাকে উস্কানি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাক স্বাধীনতার নামে যে ওরা চরম বাড়াবাড়ি ও অসুস্থ চর্চা চলিয়ে যাছ্ছে সেটা সচেতন অমুসলিম নাগরিকরাও স্বীকার করছেন। আর এই আপনারা বুঝতে পারছেন না??

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫

রামন বলেছেন: যারা জাগ্রত অবস্থায় ঘুমোয় তাদেরকে জাগানো কখনই সম্ভব নয়৷ যে সকল মুসলিম নামধারী হত্যাকারী কয়েকজন মানুষ মেরে নিজেরাও পৃথিবী থেকে বিদায় নিল, তারা কি হত্যার পূর্বে একটি বারের জন্য সে বসবাসকারী ৫ মিলিয়ন মুসলিম ভাইদের কথা চিন্তা করেছিল। আজ এই সমস্ত অপরিনামদর্শী উজবুকদের কারণে সমগ্র ইউরোপে ২০ মিলিয়ন মুসলিম চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, প্রতিটি সেক্টরে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এমন একজন মুসলমান পাওয়া যাবে না যিনি মনে করেন না তাকে অনুসরণ করা হচ্ছে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এসব দেশে স্বাধীন ভাবে বসবাস ও জীবিকা অর্জন করতে পারলেও আজ মুসলিম সম্প্রদায় সেখানে পরাধীনতায় ভুগছে। গুটিকয়েক মূর্খ, কান্ড জ্ঞানহীনদের নির্বুদ্ধিতার কারণে সুসংগঠিত ইসলামবিদ্ধেষীরা প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বিশ্বের বৃহৎ মুসলিম সমাজকে অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে ফেলে দিতে সক্ষম হয়েছে। স্বীকার করতে দ্বীধা নেই বিদ্যা ও বুদ্ধিতে আজ মুসলিমরা এদের কাছে পরাজিত।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২১

অপরাজিতা পুষ্পিতা বলেছেন: যখন মুহাম্মাদ বিন মাসলামা (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কটুক্তিকারী কা'ব বিন আশরাফকে কোনো ধরণের বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়া, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর গোপন আদেশে হত্যা (তৎ;কালীন ইহুদীদের ভাষায় ক্বুতিলা গিলা বা গুপ্তহত্যা) করেছিলেন, তখন আল্লাহর রাসূল (সা.) তাদের সফল মিশন শেষে অভিবাদন জানিয়েছিলে এই বলে,

"তোমাদের মুখ উজ্জ্বল হোক!"

খাজরাজ গোত্রের লোকেরা আবিষ্কার করলো আওস গোত্র এত বিশাল একটা কাজ করে ফেলেছে আর আমরা কিনা বসে আছি! এবার খাজরাজ গোত্র স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আরেক কটুক্তিকারী আবু রাফেকে হত্যা করার পরিকল্পনা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে পেশ করলো এবং তিনি তার অনুমোদন দিলেন, এবারও কোনো রকমের বিচারিক প্রক্তিয়া ছাড়াই (বলা যেতে পারে, extra judicial কিংবা state sponsored killing)। প্রভাবশালী নেতা আবু রাফের দূর্গে গোপনে প্রবেশ করে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে আসার পর আবদুল্লাহ বিন আতিককে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছিলেন,

"সাফল্যে উদ্ভাসিত হোক তোমার জীবন!"

সেই অন্ধ ব্যক্তি যখন তার দাসী স্ত্রী উম্ম ওয়ালাদকে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর অনুমতি ছাড়া হত্যা করলেন, তখন তা শুনে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন,

"জেনে রেখ এই কাজের কোনো ক্ষতিপূরণ নেই"

আবদুল্লাহ বিন আবি সারাহ, আরেক কটুক্তিকারী, মক্কা অভিযানের পর যে কিনা ছিল হিটলিস্টে থাকা সাত ব্যক্তির একজন, যাদের ব্যাপারে রাসূল (সা.) আদেশ দিয়েছিলেন যেন তাদের যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই হত্যা করা হয়, মক্কা বিজয়ের পর সে তার দুধভাই উসমান বিন আফফান (রা.) এর কাছে আশ্রয় চায়। উসমান বিন আফফান তাকে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে ধরে নিয়ে আসেন এবং সে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর হাতে বা'ইয়াত করতে চায়। রাসূল (সা.) নিশ্চুপ বসে রইলেন। তিনবার অনুরোধ করার পরে রাসূল (সা.) তার বাইয়াত গ্রহণ করেন। এরপর তিনি সাহাবীদেরকে বলেন,

"তোমাদের মাঝে কি কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি ছিল না যে এই লোকের গর্দান উড়িয়ে দিতে পারতে?"

আর ফ্রান্সের কার্টুনিস্টকে যখন হত্যা করা হল, তখন এই উম্মতেরই কিছু "জ্ঞানী" ব্যক্তি বললেন,

"I condemn such horrific killing"

যুগের শ্রেষ্ঠ মুসলিম আনসারগণ নিজেদের জীবন, নিজেদের পরিবারের জীবনকে প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) এর জীবন ও সম্মান রক্ষার্থে। নিজেদের গোত্রের ভবিষ্যতকে অন্ধকারের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) আশ্রয় দিয়ে। এমনকি আহযাবের যুদ্ধে যখন রাসূল সা. যুদ্ধ না করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন, আনসাররা সেই সুযোগ গ্রহণ না করে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছিলেন শুধু ইজ্জতের কারণে। আর আমাদেরই মাঝে মাঝে কেউ বলে,

"ফ্রান্সের মুসলিমদের এখন না জানি কী হবে!"

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

দাম বলেছেন: Who will Deny the truth- ???? ...১৮৯০ সালের দিকে ফ্রান্স- জার্মানী - ব্রিটেন ঠিক করলো বড় বড় মনিষীদের নিয়ে নাটক রচায়িত করার চিন্তা করে। তালিকার প্রথম নাম ছিল রাসুল মুহাম্মাদ (সাঃ)।

এই খবর তৎকালীন খিলাফতের খালিফ আব্দুল হামিদের নিকট পৌঁছালেো। তিনি তখন ওজু রত অবস্থায় ছিলেন- তিনি সাথে সাথে ওজু করা বাদ দিয়ে দাঁড়িয়ে জান- এবং দূত মারফত ফ্রান্স-জারমান-ব্রিটেনর রাজাদের নিকট চিঠি পাঠান এই বলে যে-

"আমার নির্দেশ পওয়া মাত্র, তোমরা তোমাদের এই নাটক বন্ধ করো- তা না হোলে আমি এমন এক সেনা বাহিনী প্রেরন করবো- যার প্রথম সৈন্য থাকবে তোমার দরজায় আর শেষ সৈন্য থাকবে আমার দরজায়"-------- সেই সাথে তিনি নিজে সরাসরি জীহাদের পোশাক পরা অবস্থায় বের হয়ে আসেন। এই খবর পওয়া মাত্র ফ্রান্স- জার্মানি- ব্রিটেন ভপ্যে কম্পিত হয়ে তাদের কুকীর্তি বন্ধ করে দেয়-

এই ছিল - মুসলিম নেতাদের গুনাবলী, এই ছিল তখন মুসলিমদের আত্ম সম্মানবোধ/ একটি রাষ্ট্র রাসুল (সাঃ) অপমানের জন্য যে জবাব দিয়েছিল- আজকে সেই রাষ্ট্র অনুপস্থিত থাকায়- এই ফান্স- জার্মানি- ব্রিটেনের মত রাষ্ট্রগুলু ক্রমাগত আমাদের প্রিয় রাসুল(সাঃ) কে অপমানের পর অপমান করেই যাচ্ছে।

আজকে কোথায় সেই মুসলিমদের রাষ্ট্র নায়ক? কথায় সেই মুসলিমদের রাষ্ট্র , যে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র নায়ক রাসুল (সাঃ) র ইজ্জৎ রক্ষা করবে

(ফেবু থেকে)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.