নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিরাজি নাকি চিকিৎসা নামে ভন্ডামি

০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

" কবিরাজ এর নিজের বাড়ি ৭ তলা "

শিরোনাম দেখে ঘাবড়ানোর কিছু নাই । আমরা বাসার ডিসের একটা চ্যানেল আছে যেটাকে আমরা বলি সিডি চ্যানেল । মানে এটা একটা লোকাল চ্যানেল । যারা লাইন দেয় তারাই এটা পরিচালনা করে । কিন্তু কথা তো সেটা না অন্য জায়গায় । এই চ্যানেল এ মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেয় । কলিকাতা হারবাল,ঠাকুর বাড়ি, জার্মান হোমিও এছাড়াও আছে অনেক । এই বিজ্ঞাপন এর মাঝে এক দিন চোখে পরে কবিরাজ এর নিজের বাড়ি ৭ তলা । সেখানেই সে চিকিৎসা করে ।

ধরে নিলাম সে সার্টিফিকেট ধারী কবিরাজ । পূর্ব পুরুষ দের থেকে প্রাপ্ত সম্পদ থেকে বাড়ি বানিয়েছে । কিন্তু কথা তো তা নয় । তার বিজ্ঞাপন এর শুরুতেই বলা হয় কবিরাজ এর নিজের বাড়ি ৭ তলা । তো ৭ তলা দিয়ে তো আর মানুষ এর লাভ নেই । মানুষ এর দরকার চিকিৎসার । ভাল চিকিৎসা যেখানে পাবে সেখানেই যাবে মানুষ । কিন্তু প্রশ্ন কত জন ঠিক হচ্ছে? সুস্থ হয়ে বেচে থাকছে? একজন কবিরাজ এর বিজ্ঞাপন এ দেখলাম সে ২৫ বছর ধরে কবিরাজি করে তার বয়স তো ৪০ ও হয়নি । তাহলে তো সে বাল্যকাল থেকেই কবিরাজ । আর যে কবিরাজ এর বাড়ি ৭ তলা সে আবার কিস্তিতে চিকিৎসা দেয় ।

আমাদের দেশের আনাচে কানাচে অনেক কবিরাজ এর খবর পাওয়া যায় । টিভিতে অনেক অনুসন্ধান মূলক শোতে দেখেছি কিভাবে তারা মানুষ ঠকায় । কিন্তু তারপর ও মানুষ যাচ্ছে তাদের কাছে । কেন? কারণ অনুসন্ধান যদি করেন তবে অজ্ঞতা আর আর্থিক ভাবে অসচ্ছল এই দুটো কারণ সামনে আসবে শুরুতেই । আমি কবিরাজ এ বিশ্বাসী না । হোমিওপ্যাথির চিকিৎসার ধরণ ই এরা পাল্টে দিয়েছে । এদের কাছে রোগী একবার গেলে সেখান থেকে ছাড়া পাবার উপায় নেই । আমার এক শিক্ষক বলেছেন গুলিস্তান এ এক লোক গোল গোল ঔষধ বিক্রি করে প্রতিদিন তার আয় ইনকাম ভাল ই হয় কিন্তু । সে এগুলো কি দিয়ে বানায় তা জানতে চেয়েছিলেন । তারপর তো সেই ঔষধ বিক্রেতা ঘাবড়ে যায় । সাংবাদিক কিনা জানতে চায় । স্যার বলেন না তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক । ঔষধ কি দিয়ে বানায় জানেন? কিছু ময়দা, চিনি,হালকা রং,আর ইটের গুড়া ব্যস ঔষধ তৈরি ।

আমাদের দেশে কিন্তু আবার বাবার ও কোন অভাব নেই । এই বাবা সেই বাবা সব ধরনের বাবা ই আছে । তাদের ব্যবসাও জমজমাট চলছে । দেশের এক প্রান্ত পৌছে গেছে চাদে কিছু মানুষ এখন ও রয়েছে অন্ধকার এ । আবার লিটল দেওয়ান নামে একজন ভবিষ্যৎ বলেন পাথর ও দেন । বসুন্ধরা তে তার দোকান ও আছে । সেলিব্রেটিরা তার বিজ্ঞাপন এ কাজ ও করছে । ভাবছি আমিও একটা দোকান দিব যেখানে বিবিএ এমবিএ করার সহজ পদ্ধতি শেখানো হবে । আচ্ছা বাদ দেই এসব । কবিরাজ এর কথায় যাই, দেশে এত এত কবিরাজ যে এক জায়গাতেই দুই তিন জন এক সাথে পাওয়া যায় । সবচেয়ে মজার বিষয় হলো মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে নির্ভয় এ যেন ইনি এমবিবিএস করা ডাক্তার । কিন্তু এদের প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে ।

ভুল তো ডাক্তার ও করে কিন্তু তারা যে ভুল করে সেটা হাজার বা লাখে হয় । আর ডাক্তার এর কাছে গেলেই ঔষধ ধরিয়ে দেয় না । আগে সমস্যা শুনে এক বারে হলে এক বারেই ঔষধ দেয় । কবিরাজ তাদের কোর্স থাকে ৬ মাস, এক বছর মেয়াদি যদি এক মাস বাদ যায় তবে আবার নতুন করে শুরু । মানে আপনাকে তার কাছে যেতেই হবে । মাছ টোপ গিলেছে । তাই এক বার পানিতে আবার উপর এ আনতে কোন সমস্যা নেই । আমার জানা আমার কয়েক জন আত্মীয় আছে তাদের কবিরাজদের প্রতি বিশ্বাসটা এত মজবুত যে তাদের যদি আমি কোন দিন বলি এরা তো ভুয়া । সেদিন আর আমার রক্ষা নেই ।

যাই হোক একটা জোকস বলি,
এক লোক গিয়েছে কবিরাজ এর কাছে আচিল সারাতে । কিন্তু গিয়ে দেখে কবিরাজ এই হাতে মুখে আচিল । তাই সে বের হয়ে যাচ্ছিল । কবিরাজ জিজ্ঞেস করল সে কেন বের হয়ে যাচ্ছে । লোকটা বলল, আপনার ঔষধ আপনার ই কাজে লাগে না । আমাকে কি সারাবে ।

ভাল থাকুন । সুস্থ থাকুন । আর আপনার চারপাশ পরিস্কার রাখুন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.