নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাকরির বাজার, যোগ্যতা আর আমাদের দুর্বলতা!!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

লিংকডইন এ আমার আইডি আছে । অনেক ধরনের মানুষ এর সাথে কানেকশন ও আছে । তো গতকাল এক কম্পানির ডিরেক্টর বা সিইও যাই বলি তার একটা লেখা পড়লাম । সেটা হলো একজন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার ৯০০ সিভি দেখে আইটি অফিসার নির্ণয় করতে পারছেন না । বিষয়টি ভাবনার এবং শঙ্কার দুটোই । একজন এইচআর ৯০০ সিভি থেকে একজন কে বাইছাই করতে পারছে না । তার মানে দাড়ালো হয় যে এইচআর সে কিছু জানে না বা ৯০০ জনের মধ্যে যোগ্যতা সম্পন্ন কেউ নেই ।

আমি নিজেও একটু অবাক । এটা তো প্রায় খড়ের গাদায় সুচ খোজার মত । কিন্তু আদৌ কি তাই । সার্বিক বিবেচনায় তা মনে হয় না । দুপক্ষের ই সমস্যা আছে । কারণ এক হাতে তালি বাজে না । তবে ধরে নেই যে এইচআর সে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। মেনে নিলাম তর্কের খাতিরে । কিন্তু তিনি ৯০০ সিভি থেকে কেন যোগ্যতা সম্পন্ন লোক পেলেন না সেটাই রহস্য । তবে কি এই ৯০০ জনে কোন যোগ্যতা সম্পন্ন লোক নেই । এই বিষয়টা যতটা না হতাশজনক তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর ।

আসুন কিছু ধারনা করি, যেমন ধরুন ৯০০ সিভির বাছাই চলছে । কিন্তু একা তো এইচআর এতো গুলো সিভি দেখতে পারবেন না । তার সাথে যারা আছেন তারাও দেখছেন । কিন্তু তারাও পেলেন না । যুক্তি কি? ধরে নেই চাকরির যোগ্যতা সিজিপিএ ৩.৫০ এর নিচে হলে সে অযোগ্য । তার মানে কি দাড়ালো সিজিপিএ ৩.৫০ এর কোন লোক নেই এত গুলো সিভিতে । ভাবতে পারেন ।

আচ্ছা পড়াশুনা বাদ দিয়ে অন্য দিকে যাই । ধরুন বলা হলো ২ বছর এর বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে আবার ফ্রেশারদেরও চান্স আছে । ২ বছর অভিজ্ঞতা একজন ফ্রেশার কোথায় পাবে । যেন আপনি হোটলে খেতে গেছেন আপনার বিল এত টাকা হলে ছাড় আছে, কিন্তু শর্ত প্রযোজ্য থালা বাসন ধুয়ে দিয়ে যেতে হবে ।

ধরে নিলাম একজন সব কিছু মিলিয়ে ফিট কিন্তু যখন ইন্টারভিউ বোর্ড এ প্রশ্ন করা হয় । আ, উমম, ইইই এ ধরনের শব্দ শোনা যায় । আপনি ভাই এত সিজিপিএ নিয়ে তাহলে কি লাভ হলো । যা জিজ্ঞেস করে আপনি কিছুই পারেন না । বাস্তব উদাহরণ আছে, এক আইটি অফিস এ প্রশ্ন করা হয়েছস HTML কি? তিনি বললতে পারেন না । CSS কি? চুপ করে ছিলেন । ভাই, কম্পিউটার চিনেন তো? এটা আমার প্রশ্ন । আপনি তাহলে এই সিজিপিএ আনলেন কিভাবে? বিষয়টা খুব ই রহস্য জনক ।

এখন আসি যাদের সিজিপিএ কম । আসলে এদের সিজিপিএ কম এর জন্য তারা নিজেরাই দায়ী । আপনি পড়াশুনা করেননি, ঠিক ভাবে ক্লাস,প্রেজেন্টেশন করেননি । আপনার সিজিপিএ কম তো আসবেই । এর দায় ভার পুরো আপনাকে নিতে হবে । ক্ষতিটা আপনি নিজেই করেছেন । সেখানে অন্যকে দোষ দিয়ে কি লাভ । অফিস তো আপনার মুখ দেখে চাকরি দেবে না ।

ধরুন আপনার সিজিপিএ কম । অন্যদের বেশি কি করবেন? সে সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে । কিভাবে নিজেকে আলাদা ভাবে অন্যদের থেকে উপস্থাপন করবেন সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে । হয়ত সিজিপিএ কম তাই বলে আপনি একেবারে শূন্য না । নিজের জন্য আলাদা ভাবে ভাবুন । কোথায় আপনার ক্রিয়েটিভিটি । কোন দিকে আপনি অন্যদের থেকে আলাদা সেটা নিয়ে কাজ করুন । হতাশ না হয়ে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন ।

প্রসঙ্গত বলতে হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে, কারণ আমরা ছাত্ররা হলাম গিনিপিগ প্রজাতি । যাদের উপর স্টীম রোলার চালালেও তা মেনে নেই । কথা সেটা নয় । আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কোন স্থির অবস্থা নেই । প্রতি বছর ই পরিবর্তন চলে । পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এর মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে । প্রশ্ন থাকাটাই স্বাভাবিক, প্রশ্ন না থাকাটাই বরং অস্বাভাবিক । প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর উচিত মানের দিকে খেয়াল দেয়া । কারণ কোয়ান্টিটি নয় কোয়ালিটি ইনশিওর করুণ ।

আপনারা হয়ত জানেন না বাংলাদেশে অনেক কম্পানিতে বড় পোস্ট এ বিদেশীরা কর্মরত আছেন । তাও মোটা টাকা বেতন নিয়ে । এখন হয়ত বলতে পারেন আমাদের কি যোগ্যতা সম্পন্ন লোক নেই? আছে কিন্তু তাদের ও ইগো সমস্যা আছে । এক টানে তারা কম্পানির উচ্চ পদে যেতে চায় । এসি রুম চায় । পিয়ন চায় । গাড়ি চায় । নিচু পদে তারা চাকরি করবে না । কিন্তু পড়াশুনা করার সময় ঠিক ই পড়ছে বড় যদি হতে চাও ছোট হও তবে ।

আসলে গোড়াতেই আমাদের সমস্যা অন্যদের দোষ দিয়ে কি হবে । আগে নিজেদের বদলাতে হবে । নিজেকে বদলান । আর এগিয়ে যান । জয় আপনার হবে ।

ভাল থাকুন । সুস্থ থাকুন । আপনার চারপাশ পরিস্কার রাখুন ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৫

লুশ্যে বলেছেন: ঐ পোষ্টটি আমি লিংকডইনে পড়েছি। যিনি সেই পোষ্টের লেখক তিনি হয়তো জানেন না যে সিভি সর্টিং করে এইচ আর এবং সেই কনসার্ন ডিপার্টমেন্ট (আইটি )। এইচ আর বিভাগে আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের লোক না থাকতে পারে কিন্তু আইটি বিভাগের কর্মীরা এত অযোগ্য হয় কি ভাবে ?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আমার কাছেও এটা বোধগম্য হ্য় না।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: বাংলাদেশে ভালো চাকরি বলতে আছে সরকারি চাকরি আর ব্যাংক। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় নিজের মেধা প্রমাণ করে এখানে চাকরি নিতে হয়। সিজিপিএর তেমন গুরুত্ব নেই। সম্মান আর সম্মানী দুটোই বেশি। ৯০% কর্মকর্তা আসেন পাব্লিক ভার্সিটি থেকে।
অন্যদিকে সিজিপিএ, অভিজ্ঞতা এগুলি নিয়ে বেশি কচকচানি শোনা যায় কোম্পানিগুলিতে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কোন বালাই নেই। সার্কুলার পর্যন্ত হয় না। বেশিরভাগেই ইন্টারনাল নিয়োগ হয়। ২০-২৫ হাজারে আইবিএ মানের স্টুডেন্ট খুঁজে শেষে আগডুম বাগডুম ভার্সিটি থেকে পাস করা কোন কর্মকর্তার ভাতিজাকে নিয়োগ দেয়। এসব কারণে কোম্পানিতে মোটামুটি মানের ছাত্ররাও সিভি দিতে চায় না। ৯০০ সিভি থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন কাউকে খুঁজে না পাওয়াটা অস্বাভাবিক না।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: ৯০০ জনে এক জন পাওয়া যাবে না । এটা আমি মানতে পারলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.