নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন এক মধ্যাহ্নেঃ মধ্যাহ্ন (বুক রিভিউ)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯




গল্পের শুরুতে আছেন হরিচরণ বাবু । তিনি শান বাধানো ঘাটে বসে স্মৃতি চারনে ব্যস্ত । তার তিন বছর এর মৃত কন্যাকে মনে করেন । কিন্তু তার এক অদ্ভুত ঘ্রাণ এসে বিভোর করে তোলে । কোন এক নীল রঙা দেব শিশু কে কোলে নিয়ে বসে আছেন তার গা থেকে নীল রক্ত ঝরছে । এক দিন দেখেন এক রাজপুত্রের মত এক ছেলে বসে আছে । তার শশী মাস্টার আবার কে? এই ছেলে কোথা থেকেই বা এলো?

১৯০৫ সালের পটভূমিকাতে লেখা এই বইটায় অনেকগুলা চরিত্র। বেশ অনেকগুলো চরিত্র, চক্রাকারে একে অন্য কে কেন্দ্র করে ঘুরছে, যেভাবে আমরা ঘুরি রোজ। মজার ব্যাপার হল এটা তে ইতিহাসের অনেক ঘটনা থাকলেও এটি ইতিহাস নয়। অনেকের কাছে হরিচরণ,লাবুস চরিত্রগুলো কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোর দু’জন, কিন্তু সক্ষম থাকা সত্ত্বেও এরা নিরুত্তাপ, বিশেষত লাবুস। ভালো লাগছে।আবার ধনু শেখ, শশাংক পাল, মাওলানা ইদরিস, জুলেখা, অম্বিকা, শরীফা আর নানা চরিত্রের ভীড় এই বইয়ের দিক কে অসাধারণ করে তুলেছে ।

এখানে ধনু শেখ হচ্ছে এক ধুর্ত মানুষ । যে নাম মাত্র মুসলমান । যিনি চালাকি করে এক হিন্দু কে গো-মাংস খাওয়ান । হিন্দু ধর্মে ইহা ঘোর মহাপাপ । তার আবার এক লঞ্চ আছে যার নাম হিন্দু দের মত । কিন্তু কেউ জানে না কেন এই নাম । সময়ের এক ফোড় অসময়ের দশ ফোড় এর সমান ।

এবার বলি সেটা হলো, আমার দেখা হুমায়ূন আহমেদ এর অন্যতম সেরা বই । যিনি এক সাথে রবি থেকে বিভূতিভূষণ, ম্যাক্সিম গোর্কি আর ইতিহাস এর অন্য চরিত্রের সম্পর্ক ঘঠিয়েছেন । এক কথায় দুঃসাধ্য এক কাজ করেছেন । যদিও বইটি শেষ হয়েও হয়নি শেষ এর মত ।

অসাধারণ অমর এক সৃষ্টি ।

বইঃ মধ্যাহ্ন
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ইচ্ছে ছিল হুমায়ুন আহমেদের সব বই পড়ব।কিন্তু আজ পর্যন্ত তা হয়নি।
দেখি সামনের দিনে পড়তে পারি কিনা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: ধীরে ধীরে শুরু করুন। আশা করি পড়তে পারবেন।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: পড়েছি।
হুমায়ূন আহমেদের সব বইই সেরা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: ্দ্বিমত আছে আমার । সব বই সেরা হতে পারে না ভাই। হয়ত আপনার কাছে সেরা।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩২

কালীদাস বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, রিভিউ ভাল হয়নি; বলতে গেলে আসলে এটা কোন রিভিউই হয়নি। একটা রিভিউয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভেতরের প্লটকে একজন নিউট্রাল রিডার বা ভিউয়ারের দৃষ্টিতে দেখা: স্ট্রেংথ বা উইকনেসগুলো ফোকাস করা। বই দুইটারই ব্যাপ্তি অনেক বিশাল তৎকালীন ইতিহাসের বর্ণনায়, আপনি এখানে যা লিখেছেন তা খালি বইটার নাম এবং কয়েকটা ক্যারেক্টারের নাম বলেছেন কেবল। এবং সেখানেও খানিকটা কিন্তু আছে। মধ্যান্হ বই দুইটাই পড়েছি আমি, প্রথম পর্বে লাবুস খুবই ছোটখাট একটা ক্যারেক্টার, সেকেন্ডটায় বলতে গেলে সেন্টার সে। মধ্যান্হ হুমায়ুনের এক এক্সপেরিমেন্টের নাম, কারণ এখানে তিনি তখনকার ভারতবর্ষের রুরাল এরিয়ার মানুষের চিন্তা এনেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে; আসল উদ্দেশ্য পুরা ভারত এবং কখনও কখনও বিশ্বেরও আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনকে ফোকাস করা। সেটা আপনার লেখায় একেবারেই আসেনি।

এনিওয়ে,লেটস হোপ বেটার ফর নেক্সট টাইম :)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বই পড়ার অভ্যাস কে চাঙা করতে হুমায়ুন আহমেদের বই আমি পড়ি, পড়া বই হলেও।
তিন নাম্বার কমেন্টে লাইক

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আমিও পড়া বই অনেক বার পড়ি। যেগুলো বেশি ভালো লাগে সেগুলো বার বার পড়ি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.