নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস ও তার গ্রামীন ব্যাংক (ক্ষুদ্র ঋণের বোঝায় বাংলাদেশ)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫২





ডঃ ইউনুস সাহেব কে নিয়ে একটু পড়াশুনা করলাম । ইউনুস সাহেবের সাথে আমার পরিচয় ক্লাস নাইন থেকে । আরে না না, ব্যক্তিগত ভাবে নয় । বইয়ের পাতায় থেকে । তার প্রতিষ্ঠিতি গ্রামীণ ব্যাংক এর লেখা প্যারাগ্রাফ আমারে অনেক প্যারা দিসে । আমার ইংরেজি শিক্ষক আমারে গুলাইয়া খাওয়াইছে ।

যাইহোক সে প্রসঙ্গ বাদ দেই । যদিও কেন জানি ইউনুস সাহেব কে আমার তখন থেকেই ভাল লাগত না । একটা চাপা ক্ষোভ ছিল । কিন্তু সত্যি বলতে নোবেলজয়ী হওয়ার পর পাগলু ড্যান্স ড্যান্স দিছিলাম । কিন্তু তার নোবেলজয়ী বক্তব্য এত মর্মাহত করবে ভাবিনি । পুরো আনন্দ মাটির সাথে মিশে গেছে ।

গ্রামীণ ব্যাংক এর কথায় আসি । ইউনুস সাহেব ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প শুরু করেন দারিদ্র বীমোচন এর জন্য । ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক থাকা কালে ড. ইউনূস জোবরা গ্রামে তার ক্ষুদ্র ঋণ আইডিয়াটি চালু করেন জনতা ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে। কিন্তু যে পরিবার ঋণ নিয়েছিল তাতে তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। পরে তিনি তার এই চিন্তা-ভাবনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়ার সাথে দেখা করেন।

জিয়া সাহেব ড. ইউনূসকে উত্‍সাহিত করার জন্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ড. ইউনূসের আইডিয়াকে একটি প্রকল্প হিসাবে গ্রহণ করে তাকেই প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়। আমি যত দূর জানি, এটাই ছিল গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্পের যাত্রা শুরু। তখন ড. ইউনূস কিছুদিন বাংলাদেশ ব্যাংকেও অফিস করেছেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে গেলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাকগ্রাউন্ড ইনফরমেশনগুলো পাওয়া যায় না। শুধু বলা হয়েছে ১৯৭৬ সালে ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পটি চালু করেন। ১৯৮৩ সালে প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমলে সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি আইন পাশ করে। এটা মূলত একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকেই বাংলাদেশ সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। সাইফুর রহমান সাহেবের আমলে ৩০০ কোটি টাকা ঋণও দেয়া হয়েছিল। এক সময় এই ব্যাংকের সরকারি মালিকানা ছিল ৬০ শতাংশ। পরে আস্তে আস্তে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশে নেমে আসে। এই ব্যাপারে সরকারের গাফেলতিও কম নয়।

যেকোন দরিদ্রকে ক্ষুদ্রঋণ বিতরনের বহুল-প্রচারিত কথাটা আসলে পুরাই চাপাবাজি। ঋণ পাওয়ার জন্য ধনীদের যেমন ব্যাংকের কাছে নিজেদের ‘ঋণ পাবার যোগ্যতা” প্রমাণ করতে হয়, ক্ষুদ্রঋণের বেলাতেও সেটা আছে। সেটা কি রকম?- গ্রামীনের ওয়েব সাইটেই আছে, ক্রেডিটের তিন ‘সি’। এগুলো হলোঃ

এক, ক্যারেক্টার- এর মানে হল, ঋণ প্রত্যাশীর আর্থিক লেনদেনের পূর্ব-ইতিহাস, যা থেকে নির্ধারন করা হয় ঋণ-পরিশোধে প্রার্থির সততা+নির্ভরযোগ্যতা,

দুই, সামর্থ- এর মানে হল, তার আয়ের ধারা+আইনগত বাধ্যবাধকতা (যা কি না ঋণ আদায়ে ইন্টারফেয়ার করতে পারে) অনুযায়ী কি পরিমাণ ঋণ পেতে পারে,

তিন, পুঁজি- এর মানে হল, ঋণ-প্রত্যাশীর বর্তমান সম্পদ, যেমন, বাড়িঘর, মজুত বা বিনিয়োগকৃত অর্থ যা ঋণ-পরিশোধে ব্যর্থ হলে “ব্যবহার” করা যাবে।

(টার্মগুলোর এইসব বিশেষ ডেফিনিশনগুলোও গ্রামীনেরই দেওয়া, আমি শুধু অনুবাদ করেছি)।

এখন দেখা যাক, কারা কারা গ্রামীনের নির্ধারিত এইসব যোগ্যতার মাপকাঠিতে উৎরে যায়। –

প্রথমত, ঋণ লেনদেনের পূর্ব-ইতিহাস কার থাকতে পারে বলে মনে হয়? যার কখনোই কিছু ছিলোনা? নাকি যে আগে থেকেই কিছু কিছু ঋণ নেওয়া-ফেরত দেওয়া করেছে? অতএব, যারা এই মাপকাঠিতে উৎরে যাবে, তারা নিশ্চয়ই নিঃস্ব নয়। তার সেই পূর্ব-ইতিহাস কেমন হতে হবে? নিশ্চয়ই ভালো, অর্থ্যাত সফলভাবে ঋণ পরিশোধ করেছে। সফল+ব্যর্থ দুই দলই উৎরে গেলে ত এই শর্তই থাকার কথা না।

দ্বিতীয়ত, একজন সামর্থবান ঋণ-প্রার্থী সে’ই যার একটা নির্দিষ্ট আয়ের উৎস বিদ্যমান+এমন কোন আইনী বন্ধন/সুবিধা নেই ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে যা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। লক্ষ্যণীয় যে, আয়ের একটা উৎস থাকা লাগবে ।

তৃতীয়ত, পুঁজি থাকতে হবে । তবে সেটা নগদ অর্থ না হয়ে বসত-বাড়ি, মজুত বা বিনিয়োগকৃত অর্থ হলেও চলবে।

১৯৯৩ সালের বার্ষিক রিপোর্টে গ্রামীন ব্যাংক উল্লেখ করেছিলো যে, পূর্ববর্তী বছরে তাদের সদস্যদের মধ্যে ড্রপট-আউটের হার ছিলো ১৫%। কিন্তু ঋণ পরিশোধের হার কিন্তু ঠিকই ৯৫%। এর মানে হচ্ছে, ঋণ খেলাফিরা ড্রপট-আউট হলেও তাদের কাছ থেকে ঋণ ঠিকই আদায় হয়েচ্ছিল। সেটা কিভাবে সম্ভব হয়েছিল?

এটা কল্পনা করা লাগবে না, হাতের কাছেই টাটকা নজীর আছে। ২০০৭ এর নভেম্বরে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ঘটে যাওয়া প্রলংকরী ঘূর্ণীঝড় ‘সিডর’ শুধু মানুষের ঘরবাড়ি, ফসল, গাছপালাই উড়িয়ে নিয়ে যায় নি, সেই সাথে ক্ষুদ্রঋণের মহামানবদের “গরীবের বন্ধুনামক” মুখোশটাও উড়িয়ে নিযে উলংগ করে দেখিয়েছে তাদের আসল চেহারা। (দেখুন ইত্তেফাকের সম্পাদকীয়, ১১ ডিসেম্বর, ২০০৭)।

১৯৯০ এ পরিশোধিত মূলধন ৭.২ কোটি টাকায় পৌঁছে যাওয়ায় ১৯৯১ সালে অর্থ মন্ত্রনালয়ের একটি পত্রে পরিশোধিত মূলধনের ঊর্ধসীমা ১৫ কোটি টাকায় স্থির করা হয়। এটিও অর্জিত হয় ১৯৯৩ সালে। ১৯৯৪ সালে অর্থ মন্ত্রনালয়ের আরেকটি পত্রে পরিশোধিত মূলধনের ঊর্ধসীমা স্থির করা হয় ৪০ কোটি টাকা। এবং ২০০৮ সালে এটি আবারো বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়। গ্রামীণের পরিশোধিত মূলধন ২০০৯ সালেই ৪০ কোটি টাকা অতিক্রম করে এবং ২০১২ সালের শেষ পর্যন্ত গ্রামীণের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি টাকা যার মধ্যে সরকারের অংশ এখনো ১.৮ কোটি টাকা, বাকিটা ঋণগ্রহীতা সদস্যদের। অর্থাৎ ১৯৮৩ এর পর থেকে সরকার গ্রামীণ ব্যাংকে কোন মূলধন জমা করেনি, কিন্তু ঋণগ্রহীতাদের শেয়ার বেড়েছে, যেটা এখন প্রায় ৯৭%।

কয়েকটি পর্যবেক্ষণঃ

১। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রারম্ভিক মূলধন যোগান দিয়েছিল সরকার।

২। সদস্যদের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন ছিল ১৯৮৩ র অধ্যাদেশে এবং প্রয়োজনমত পরিশোধিত মূলধন পরিবর্তনের ও সুযোগ ছিল।

৩। পরবর্তীতে সদস্যদের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের হার আশাব্যঞ্জক হওয়ায় সরকারকে আর মূলধন যোগান দিতে হয়নি এবং অব্যাহতভাবে সদস্যদের কাছ থেকেই শেয়ারের বিনিময়ে মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছে।

৪। যখনই পরিশোধিত মূলধন নির্দিষ্ট সীমা স্পর্শ করেছে তখনই সেই সীমা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সরকার নির্বিশেষে।

৫। অর্থাৎ গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনে ঋণগ্রহীতাদের শেয়ার বেড়ে যাওয়াতে কোন সরকারেরই আপত্তি ছিল না এতদিন।

৬। গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ নতুন কিছু নয়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটা হয়ে আসছে। অব্যাহতভাবে মূলধন বৃদ্ধি এবং এটা সরকারের অনুমোদনের একটা মানে হতে পারে, এই প্রক্রিয়াটা প্রত্যাশিত ছিল সব পক্ষের কাছে। সাধারণ বিবেচনায়ও এখানে আপত্তি করার মত খুব কিছু দেখা যায়না, গ্রামীণ ব্যাংক যদি বিদেশী দাতা, সরকার কিংবা বেসরকারী খাত থেকে পুঁজি সংগ্রহ না করেই শুধুমাত্র সদস্যদের পুঁজির উপর ভিত্তি করে বিকাশ লাভ করতে পারে এবং একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হতে পারে, সেখানে অখুশী হওয়ার মত কিছু আমার চোখে পড়ে না। বরং ক্ষুদ্র পুঁজি সঞ্চয় করে এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা গ্রামীণের সদস্যদের একটি বড় কৃতিত্ব। এবং গ্রামীণ লাভজনক হওয়ার ফলে এই কৃতিত্বের পুরষ্কার ও তারা পাচ্ছেন।

৭। সর্বোপরি গ্রামীণের পরিশোধিত মূলধনের বৃদ্ধি সবসময়ই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ছিল। কিন্তু গ্রামীন ব্যাংক অর্ডিন্যান্স এর ১৯৮৬ এর সংশোধনী যদি বিবেচনা করা হয়, যেখানে সরকারের ২৫% শেয়ারের কথা বলা হয়েছে, তাহলে গ্রামীণ পরিশোধিত মূলধনের এই ভাগ ১৯৯০ সালেই অতিক্রম করে যায়। তাহলে সরকারের ২৫% শেয়ার ধরে রাখার জন্য হয় আরো টাকা বিনিয়োগ করা দরকার ছিল অথবা গ্রামীণের সদস্যদের কাছে শেয়ার বিক্রি বন্ধ করে দেয়া উচিত ছিল। দ্বিতীয় বিকল্পের খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা থাকার কথা না কোন বিচারেই। তাহলে বাকি থাকল প্রথম বিকল্প। গ্রামীণ যদি তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত মূলধন যোগাড় করতে পারে, তাহলে সরকারের কি স্বার্থ থাকতে পারে শেয়ার বৃদ্ধি করার বা ধরে রাখার? লাভের অংশ পাওয়া? লাভের অংশ যদি সরকারের বদলে দরিদ্র্য ঋণগ্রহীতাদের কাছে যায় তাহলে সরকারের আপাত উদ্দেশ্যের (দারিদ্র্য দূরীকরণ, গরীব মানুষকে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান) সাথে সেটা খুব অসামঞ্জস্যপূর্ন নয়। আর গ্রামীণ ব্যাংকের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখাই যদি শেয়ার রাখার উদ্দেশ্য হয় তাহলে সেটা খুব সহজেই আইন সংশোধন করে বা গ্রামীণের যেকোন নীতিনির্ধারণী প্রস্তাব অনুমোদন করা না করার মাধ্যমে সেটা করা যায়। আমার কাছে মনে হয়, হয়তো এরকম একটা চিন্তা থেকেই সরকার গ্রামীণে শেয়ার বাড়ানো বা ২৫% ধরে রাখার চেষ্টা করেনি এবং ঋণগ্রহীতাদের অব্যাহত শেয়ার বৃদ্ধিকে অনুমোদন দিয়ে গেছে।

৮। ১৯৮৬ র সংশোধণী অনুযায়ী সরকারের ২৫% শেয়ার রাখা যদি আবশ্যকীয় হয়, তাহলে পরবর্তীতে (১৯৯১, ১৯৯৪, ২০০৮) সরকারী শেয়ার সমন্বয় না করে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করার অনুমতি দেয়া মূল অধ্যাদেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

কোন এক সাংবাদিক বলেছিলেন, যেদিন দেখেছি যে ইউনুস সাহেবের সামনে গ্রামীন ব্যাংক এর লোকজন গরিবের বাড়ির টিন খুলে নিয়ে আসছে । তখন ই বলেছি, গ্রামীন ব্যাংকের সফলতা কেউ ঠেকাতে পারবেনা । সেই সাংবাদিক কে ছিলেন মনে নেই । এখন । তবে তার ধারনা যে ঠিক ছিল সেটা অবাস্তব নয় ।

নোবেল শান্তি পুরস্কার একটি রাজনৈতিক পুরস্কারে পরিণত হয়ে পড়েছে। সরকার বা রাষ্ট্রের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে এর আগেও ইরানের শিরিন এবাদি এবং মায়ানমারের অং সাং সুচিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। যুদ্ধরত ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের নেতা আরাফাত ও শ্যারনকে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

নোবেল শান্তি পুরস্কার সম্পর্কে লোকে নানা ধরনের তামাশা করে। বলে, আপনি আপনার মায়ের বিরুদ্ধে বদনাম করুন আপনাকে পশ্চিমারা নোবেল দিয়ে দিতে পারে। সবচেয়ে মূল্যবান ইস্যু হলো এখন ইসলাম। আপনি ইসলামের বিরুদ্ধে বলুন আপনাকে নোবেল দিয়ে দিবে।

তবে এখন যে খুব ভাল অবস্থানে আছে তা নয় । কারণ হিসেবে সেটা নাই বা বলি । তবে সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর দুর্নীতি হলেও সেটা বোঝার উপায় নেই । আপনি আমি তা বলতে পারব না ।

(বিঃদ্রঃ এই লেখাটা আমার বিবিএ পড়ার সময় একটা প্রজেক্টের অংশবিশেষ । পুরোটা তুলে ধরলাম না । তবে এটা ইউনুস সাহেব কে ছোট করা বা তার বিরুদ্ধে নয় । গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে আমার একটা ছোট রিসার্চ মাত্র)

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই ।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: লেখাখানা ব্লগে দিয়ে অযথাই সময় নষ্ট করলেন। অতি দ্রুত এই মহামূল্যবান রিসার্চ প্রধানমন্ত্রীর সদর দফতরে জমা দেন। আপনাদের মত নক্ষত্রদের খোজেই এখন ব্যস্ত তারা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





লাভ নাই । তিনি এখন অন্য কাজে ব্যস্ত ।

লেখাতে বলেই দিয়েছি । অবস্থার উন্নতি হয়নি ।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৪

হাবিব বলেছেন: অনেক তথ্যমূলক পোস্ট। ভালো লাগলো প্রিয় অপু ভাই।
পোস্টে লাইক

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই

চেষ্টা করেছিলাম তখন । তবে এর বেশির ভাগ কৃতত্ত্ব আমার স্যারের । উনি আমাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন ।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৪

অভি চৌধুরী বলেছেন: শুধু একজন ইউনুসের জন্য বাংলাদেশ ২৫ বছর পিছিয়ে গেছে।আমার দেখা অত্যান্ত নোংরা মানুষ।জ্ঞানপাপী।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




তিনি দেশের জন্য কি করেছেন আমি সেটা দেখতে চেয়েছি । কিন্তু খুজে পাইনি । ওনার ধারনা ভাল হলেও সেটা ভালর দিকে তিনি নেননি ।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,



ভালো বিশ্লেষণ করেছেন। গ্রামীনের ঋন পরিশোধে ব্যর্থতার কারনে আত্মহত্যার মতো ঘটনা যেখানে আছে সেখানে আপনার বক্তব্য একেবারেই অযৌক্তিক মনে হয়নি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ভাই,

আমি নিজেও তখন অবাক হয়েছি । স্যার ব্রাক এবং গ্রামীন দুটো নিয়ে রিসার্চ করতে বলেছিলেন । আমি গ্রামীন ব্যাংক নেই । স্যার নিজেও এ দুটোর উপর রিসার্চ করেছেন । আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন । অনেক অজানা সত্য জেনেছি । গৃহ হারা মানুষ গুলোকে না দেখলে বুঝতাম না তিনি কি করছেন ।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার শুরুতে উনি গরীবদের সাহায্যের কথা ভেবেছিলেন, পরে সেটা থেকে সরে গিয়ে মানুষের ক্ষতি করেছেন বড় আকারে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ক্ষতি তো করেছেন । তার উপর দেশের প্রতি যে ভালবাসা থাকা দরকার ছিল সেটাও ছিল না । শীত গ্রীষ্ম বর্ষা কোন কালেই দেখিনি তাকে দেশের কোন জায়গায় তার অনুদান বা কোন সুনজর পরেছে। অথচ হিলারি ফাউন্ডেশনে ডোনেশন দিতে কার্পন্ন করেনি ।

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩২

নাহিদ০৯ বলেছেন: এক এগারো সরকার এর ইতিহাস পড়তে গিয়ে জানলাম, আর্মি জেনারেল ও রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদ এর রুদ্ধদ্বার বৈঠক থেকে ২ জন ব্যক্তিকে শর্ট লিস্ট করে কল দেয়া হয়েছিলো।

প্রথম কল দিয়েছিলেন ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস কে। তিনি দেশের জন্য লম্বাাাা সময় ধরে কিছু করার ক্যু প্ল্যান এর কথা বলেছিলেন বলে উনাকে প্রথমেই বাদ দিয়েছিলেন জেনারেল মইন ইউ আহমেদ। এর পরে কল করেছিলেন ফখরুদ্দিন কে।

এই ঘটনার পর থেকে ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস কে কোন বিবেচনাতেই ভালো লাগে না আমার।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





হ্যা কথাটি সত্য ।

মইন ইউ আহমেদ এর বইয়ে এর কিছুটা উল্লেখ আছে । তিনি চেয়েছিলেন অনেক লম্বা সময় ক্ষমতায় থাকবেন ।

৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: রিসার্চ করা ভালো B-))
সবকিছুই রিসার্চ করা উচিত ;)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




তোমার উপর রিসার্চ চলছে ।

শীঘ্র ই জাতি জানতে পারবে ।

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কি রিসার্চ ভাই :||
আমি তো ভয়ে মরে যাইতেছি B-))

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



যখন প্রকাশিত হবে তখন দেখবেন

আপাতত কিছুই বলা যাচ্ছে না ।

১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৫

আফসানা মারিয়া বলেছেন: তিনি একটা ইউনিক আইডিয়া নিয়ে এগিয়েছিলেন যে আইডিয়া আর কেউ তখন ডেভেলপ করতে পারে নাই। তার উদ্দেশ্য খারাপ ছিলো না। তাই তিনি সফলতা পেয়েছিলেন। তাকে বা তার আইডিয়াকে ছোটো না করে একটা রিপোর্ট আকারে পেশ করেছেন বলে ধন্যবাদ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




তাই আইডিয়া তো খারাপ এক কথা বলি নাই । তবে উনি যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন সেটা ঠিক ছিল না । উনি আরও ভাল কিছু করতে পারতেন । এই আইডিয়াটাকে আরও বড় করতে পারতেন ।

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
২০১১ সালে নরওয়ে তার বিরুদ্ধে ডোনেশনের বড় একটি এমাউন্ট আত্নসাতের অভিযোগ করেছিল।
ডোনেশনের টাকা গ্রামীনফোনের একাউন্টে না রেখে ভিন্ন ব্যাক্তি একাউন্টে রাখা যা আত্নসাতের সামিল।
ইউনুস অবস্য অযুহাত দিয়েছিল বেশী সুদ পেতেই একাজ করা।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





টাকা একটা বড় ব্যাপার । আপনার কাছে থাকলে আপনার কথা বলবে । তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ই আছে । এমনকি পুরো বেতন না দেয়ার রিপোর্ট ও আমি পেয়েছি । সেটা অবশ্যই পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট ।

তিনি চাইলে আরও সুন্দর কিছু উপহার দিতে পারতেন ।

১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো বিশ্লেষণ করেছেন। তবে অর্থনীতিটা একেবারে বুঝিনা। আর বাইরে থেকে ওনাকে আমরা ভীষণ শ্রদ্ধা করি। জানি কিছু বিতর্ক আছে। তবুও বলবো ওনার দেখানো পথ নিঃসন্দেহে বৈপ্লবিক।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় অপুভাইকে।


২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



প্রিয় প্রিয়,

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আমি ফাইন্যান্স এর ছাত্র ছিলাম তো তাই এতো ভাল না বুঝলেও কিছুটা বুঝি । পথ উনি ভাল বের করেছেন । কিন্তু চালার সিস্টেম টা ভাল হয়নি । ওনার মত মানুষের কাছ থেকে ভাল কিছুই সবাই আশা করে । দেশের কোন সংকটে ওনাকে পাওয়া যায়নি ।

১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৬

রাফা বলেছেন: হুমম…… বাস্তবতা এটাই ছিলো। ড.ইউনুসের ঋণ ছিলো শতভাগ পরিশোধযোগ্য।আপনি মৃত্যুবরণ করলেও পরিশোধ করা ব্যাতিত তাহা পারিবেননা।ইহাই মুলমন্ত্র ।

ধন্যবাদ,অ.দ্যা.গ্রেট।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




আপনি না করলে আপনার ছেলে মেয়ে পরিবার কে পরিশোধ করতেই হবে । কোন ছাড় নেই ।

১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

এম. বোরহান উদ্দিন রতন বলেছেন: লেখককে বলছি: যার যোগ্যতা যতটুকু ঠিক ততটুকু সে লিখা উচিত, উন্মক্ত ব্লগের পাতা পেয়ে যাচ্ছে তাই লিখা ঠিক নয় ড. মুহাম্মদ ইউনুচ সম্পর্কে লিখতে হলে তার সম্পর্কে আরো ভালো করে পড়াশুনা করতে হবে, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে চুলকানী হয়, তবে ১১ টি ব্যাংক মূলধন খেয়ে বসেছে কার জন্য সেটা নিয়ে চুলকানী হয়না, চার হাজার কোটি টাকা কিংবা রির্জাভের ১২ হাজার কোটি ডলার নিয়েও চুলকানী হয়না, একজন সফল উদ্যোক্তা কিংবা বাংলাদেশের সবচেয়ে শ্রদ্ধাবাজন এবং গুণি ব্যক্তি যে কিনা বিশ্বদরবারে একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে তাকে নিয়ে চুলকায়। কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে তা মওকুফ করার বিধান আছে? গ্রামীণ ব্যাংক তাকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ঋণ দিয়েছে আয়েশ করে সেই টাকা বসে বসে খেয়ে ফেলার জন্য নয়, অন্য ব্যাংক তো সরাসরি বাড়ি দখল করে এটা চুক্তিপত্রেই উল্লেখ ছিলো, িআমি একজন তরুণ উদ্যোক্ত আপনি পারলে কিছু করে দেখান , তারপর সমালোচনা করতে আসেন ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




আসলেই চুলকায় ।
আপনি যেই বিষয় তুলে ধরেছেন সেটা সাম্প্রতিক ঘটনা । আমি যেটা তুলে ধরেছি সেটা অনেক আগের ঘটনা । প্রথমত আপনার উচিত ভাল ভাবে পড়া । আবারও পড়ে মন্তব্য করুন ।

এবার ঋন বা লোন এর কথায় আসি । আমি ব্যাংকে ইন্টার্ন ছিলাম । তাই লোন সম্পর্কে আমার ভালভাবেই জানা আছে । বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন ও বাংলাদেশের আইন নিয়েও আমি পড়াশুনা করেছি । কারন এই লেখাটা আমি যখন লিখেছি তখন না জেনে লেখাটা আমি লিখিনি । কারন আমাকে জানতে হবে ।

যখন চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ বাড়েছে তখন সেই স্বাবলম্বী কে তারা কি সহায়তা করেছেন । সুদ বাড়তে বাড়তে ৪৪% সে পৌছায় । আপনার কি ধারনা একজন গরু ছাগল চায়ের দোকান দিয়ে এই সুদ পরিশোধ করতে পারত । তার উপর শোধ করতে না পরলে কি হয় সেটা তো বলেছি ।

গ্রামীন ব্যাংকের লোকজন লোন পরিশোধের জন্য সেই স্বাবলম্বীকে আরও লোন দেয় । মানে হলো এক লোন শোধ করার জন্য আবার লোন নেয়া । এটা কে কিভাবে বলবেন ?

১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭

শেখ মফিজ বলেছেন: দেশের বিভিন্ন ব্যাংক পারসোনাল ঋণ, বা এস এম ই ঋণ চালু করেছে ।
সে সমস্ত ঋণের বিপরীতে শত শত মামলা (চেকের মামলা) আদালতে
রয়েছে । কারো কারো চেক প্রতারণা মামলায় জেল হয়েছে ।
ঋণ নিলে ঋণ আদায় করতে হবেই ।
আদায় করার জন্য বিভিন্ন কৈশল মাত্র ।
কারো পছন্দ কারো নয় ।
ডাঃ ই্উনুসের প্রজেক্ট বিশ্বব্যপি প্রশংশিত, গৃহীত ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



ইউনুস সাহেবের আইডিয়া খারাপ ছিল বলিনি ।
কিন্তু লোন দেয়া সুদ এবং তা আদায়ের কৌশল একদম ই ঠিক ছিল না ।

আমি ব্যাংকে কাজ করে এসেছি । তাই লোনের বিষয়টা জানি ।

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি দেশের মানুষের মন জয় করতে পারলেন না এটাই দুঃখ জনক।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


উনি দেশের মানুষের মন জয় করার জন্য কি এমন কিছু করেছেন ?

১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: কোন ঋনই ভালো না।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



সেটা অবশ্যই ঠিক ।

১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: এম. বোরহান উদ্দিন রতন বলেছেন: লেখককে বলছি: যার যোগ্যতা যতটুকু ঠিক ততটুকু সে লিখা উচিত, উন্মক্ত ব্লগের পাতা পেয়ে যাচ্ছে তাই লিখা ঠিক নয় ড. মুহাম্মদ ইউনুচ সম্পর্কে লিখতে হলে তার সম্পর্কে আরো ভালো করে পড়াশুনা করতে হবে।

সুন্দর বলেছেন। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা একেকজন সবজান্তা শমশের। আরো পরিস্কার করে বললে '' বিদ্যার জাহাজ''আমরা। অতি বিদ্যান এই জাতির ভোট তাই মাঝরাতেই সম্পন্ন হয়ে যায়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ধরে নেই আপনি আমার সিনিয়র,
আমি নিজেকে কখনই বিদ্যার জাহাজ ভাবি না । আমি অজানা কে জানতে চাই । আমি জানতে চাই কোথায় কি হচ্ছে । কিভাবে হচ্ছে । কেন হচ্ছে ।

আপনি বলেছেন ভোটের কথা । এবার আমি ভোট ই দেইনি । বরং এর প্রতিবাদ করেছি । কারন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে আমাকে বাবা ছোট বেলাতেই শিখিয়েছেন ।

১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এখানে যারা সমালোচনা করছেন, তাদের প্রতি বলছি - সবকিছুকে রাজনৈতিকভাবে না দেখে স্বাভাবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে অনেক কিছুই বুঝতে সুবিধা হয়। ডাঃ ইউনুসের সমালোচনা করার জন্য ডাঃ ইউনুস হবার প্রয়োজন নেই। কারন পড়াশোনার বিভিন্ন ধাপ একটি লজিক্যাল সিকোয়েন্স বহন করে। ফলে কেউ যদি উপযুক্ত বিদ্যা রপ্ত করে প্রচলিত কোন বিষয়ের বিরোধীতা করেন, এতে দোষের তো কিছু নাই।

যাইহোক, যে কোন ব্যাংকই গ্রাহককে দেয়া ঋণ লাভ সমেত ফেরত নিতে চাইবে এতে দোষের কিছু নাই। সমস্যা হচ্ছে - সাধারন বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে প্রদেয় ঋণ আদায় করার কিছু নীতিমালা আছে, যা দুই পক্ষের স্বার্থ মেনেই করা হয়। কিন্তু গ্রামীন ব্যাংকের দিকে অভিযোগ তারা এই ক্ষেত্রে কোন সুর্নিদিষ্ট নীতি অনুসরণ করে না। পাশাপাশি, এতে সুদের হারও অত্যাধিক। এইগুলো হচ্ছে গ্রামীন ব্যাংকের ত্রুটি।

এই বিষয়গুলোতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে যদি আগানো যায়, তাহলে গ্রামীণ ব্যাংক হয়ত সাধারন মানুষের কাজে আসবে। গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে না।



২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




কা.ভা. ভাই

ধন্যবাদ ।

আমি আসলে ইউনুস সাহেব কে ভুল প্রমানের জন্য লিখিনি । ওনার পদ্ধতিতে যে ত্রুটি ছিল সেটার তুলে ধরার চেষ্টা করেছি । হয়ত সেটা বুঝাতে পারিনি ।

২০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @ঢাবিয়ানঃ আপনি লেখকের যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হচ্ছেন কি করে?

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





ভাই ওনি আমার বড় । সন্দেহ করতেই পারে । এটা তো দোষের কিছু না ।

২১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: পদাতিকদা ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য। ডঃ ইউনুসের দুর্ভাগ্য যে তিনি মাথা ভর্তি গোবর ভরা মানুষের দেশে জন্মেছেন । তিনি যদি ভারতে জন্মাতেন তাহলে , তার স্থান থাকত অনেক অনেক উচুতে। ডঃ ইউনুসকে নিয়ে কোন বিতর্কই আসলে নাই। যা আছে তা হচ্ছে প্রপাগান্ডা যা ব্যক্তিবিশেষের স্বার্থ উদ্ধারের ধান্দা।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




আপনি ভারত কে টানছেন ।
তারা আন্না হাজারে কে কি সঠিক সম্মান দিতে পেরেছে ? কেজরিওয়াল সাহেব কে তারা কতটা সম্মান দিয়েছে ? এমন আরও উদাহরন আছে ।

২২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা, গ্রামিন ব্যাংক সম্পর্কে আমার মত ক্ষুদ্র ব্লগারের বলার কিছু নাই। এই দেশের বহু গবেষনাবিদ, অর্থনীতিবিদ এবং খোদ গ্রামীন ব্যাংকের গ্রাহকেরাই বিভিন্ন সময়ে গ্রামিন ব্যাংকের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লিখেছে। ইন্টারনেটে খুজলে সেসব পাওয়া যাবে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





আপনি গ্রামীন ব্যাংকের কোন গ্রাহকের সাথে সরাসরি কথা বলেছেন । অথবা তাদের পিয়ন বা চতুর্থ শ্রেনীর কোন কর্মচারী । যারা বেতন না পেয়েও কাজ করে গিয়েছেন ।

২৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি অপপ্রচার বা সমালোচনা সম্পর্কে কিছু বলছি না। সমালোচনা এবং অপপ্রচারের পার্থক্য আছে।
আপনি এই পোষ্টের লেখকের যোগ্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি এই পোষ্টের লেখকের যোগ্যতা সম্পর্কে কি জানেন?

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ভাই,

আমার সম্পর্কে বা আমার যোগ্যতা সম্পর্কে তার সন্দেহ তো কোন খারাপ কিছু না । উনি হয়ত অন্য কিছু জানেন বা ইউনুস সাহেব কে ভাল ভাবে চেনেন ।

২৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

অভি চৌধুরী বলেছেন: প্রথমত আমি গাড়িতে এবং মোবাইলে । ঢাবিয়ান এর মন্তব্যের অদক্ষতা মাত্রাতিরিক্ত। কাভার ধারণাই সঠিক।এরা রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত।এরা জেনে শুনে বুঝেই এসব বলছে।এখানে কোন সন্দেহ নেই।ইউনুস কে জানতে হলে তার অফিস কিংবা লাইব্রেরীত বসে তার লেখা বই থেকে বোঝা যাবেনা। ইউনুস জামাতের মত হাদিস কোরান কপি করে বই লেখা মানুষ।মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতার সাথে যার বিন্দুমাত্র মিল নেই।ইউনুসের পাপের স্বাক্ষি হয়ে এখনো দাড়িয়ে আছে অনেক গুলো গ্রাম আর শুয়ে আছে হাজার হাজার আহাজারী কবর। সারা বাংলা ঘুরে ঘুরে দেখা আমরা একদল মানুষ ।যার কথা বলে বোঝানো যাবেনা।

এখানে যারা তার পক্ষে কথা বলছে তারা প্রভাবিত। সাবেক বিচারক সিনহা জামাতের নেতাদের ফাঁশি রায় দিয়েছে। সে ভাবলো কিছুদিন পর অবসরে যাবো। এরপর আমাকে শিবির জামাত ছিলে ছিলে খাবে।এখন উপায় একটাই এদের থামানো বা বোকা বানানো সেটা হলো হাসিনার বিপক্ষে বলা। ঠিক তেমনটাই হয়েছে ইউনুসের বেলায়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





ভাই ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

আসলে আমি গ্রামীন ব্যাংকের কিছু জায়গা তুলে ধরেছি । যা আমি নিজে যখন একটা কর্মাশিয়াল ব্যাংকে কাজ করতাম তখন তুলনা করে দেখছি । আমি তাকে বাংলাদেশের কোন বড় কন্ট্রিবিউশনে দেখিনি ।

আবার তাকে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়েছে । কিন্তু এটা কিভাবে হলো বুঝলাম না । তাকে অর্থনীতিতে দিলে বুঝতাম ।

২৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: লেখক তার লেখাই শুরু করেছেন যে ডঃ ইউনুসকে তার ভাল লাগত না। এরপর তিনি ডঃ ইউনুসের সাথে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে জড়িয়ে যেসব তথ্য দিয়েছেন, তার কোন রেফারেন্সই দেননি। এসব উদ্ভট তথ্য তিনি কোথায় পেয়েছেন তিনিই ভাল বলতে পারবেন। গঠনমুলক সমালোচনায় কখনো এ ধরনের রেফারেন্স বীহিন তথ্য বা '' তার প্রতি আমার চাপা ক্ষোভ ছিল '' এই জাতীয় কথা শোভা পায় না। সেক্ষেত্রে লেখকের পোস্টের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।

লেখকের ব্যক্তিগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন কারনই নাই। তার পোস্টের যোগ্যতা সম্পর্কেই বলতে চেয়েছি। বোঝানোতে ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি ।
চাপা ক্ষোভ টা এজন্য ই আমি কখনও তাকে বাংলাদেশের কোন সংকটময় মুহুর্তে পাইনি । তিনি যেন সব কিছুর থেকে আড়ালে থাকতে চাইতেন । কিন্তু কেন? তার মত লোক তো দেশের জন্য জীবন দিয়ে দেয়ার কথা । তাহলে লুকোচুরি কেন । তিনি বাংলাদেশের জন্য নোবেল এনেছেন তাও শান্তিতে । আপনার কি মনে হয় শান্তির জন্য নোবেল ব্যাংক করে । সিরিয়াসলি । অর্থনীতি হলেও ঠিক ছিল ।

আর প্রেসিডেন্ট জিয়া ও তার যে তথ্য দিয়েছি তা আমি নিজে দেইনি । একজন পিএইচডি ধারী প্রফেসর এর হেল্প নিয়েছি । তিনি গ্রামীন ব্যাংক ও ব্র্যাক নিয়ে কাজ করেছেন । আমার কাছে রেফারেন্স ছিল যা এখন নেই । তবুও চেষ্টা করেছি খুজে দেখার যদি পাই দিয়ে দেব । আমি ও রেফারেন্স ছাড়া কথা বলাটা পছন্দ করি না । এটার জন্য ধন্যবাদ ।

আমার যোগ্যতা নেই এটা আমি সব সময় মেনে এসেছি । যেদিন আমি মানুষের জন্য ভাল কিছু করতে পারব সেদিন বলব আমি যোগ্য ।

২৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৭

সুমন কর বলেছেন: আগ্রহ না থাকায় বেশি দূর পড়িনি...... :(

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




সরি দাদা ।

২৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন। ধন্যবাদ

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



ধন্যবাদ ভাই ।

২৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

সুমন কর বলেছেন: আরে ধুর !! সরি কিসের, আমিই তো পড়লাম না....

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ওই যে নিজের জায়গা থেকে বেড়িয়ে অন্য কিছু চেষ্টা করেছি । কমেডি থাকলে বোধহয় ভাল হতো ।

২৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৭

মা.হাসান বলেছেন: অপু ভাই, আপনি যদি নিজের পকেটের টাকা কাউকে ধার দেন, তাহলে আপনার প্রথম প্রত্যাশা কি থাকবে? ঐ লোক আপনার ঋণ পরিশোধ করুক তা নাকি ঐ লোকের মঙ্গল কামনা?
ব্যাংক একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চ্যারিটি না। প্রচলিত আইনের বাইরে যেয়ে কেউ জোর খাটিয়ে কিস্তি আদায় করলে কিস্তি আদায়কারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে।
ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সর্বসান্ত হবার উদাহরণ যে রকম আছে, নিজের পায়ে দাড়ানোর উদাহরনও সে রকম আছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





নিজের পায়ে দাঁড়ানো লোকজন শতকরায় ৫ জন । তাহলে ক্ষুদ্র ঋন দিয়ে লাভ কি হয়েছে । আর যারা দাড়িয়েছে তাদের অনেকেরই আগে থেকে ভাল অবস্থান ছিল ।

৩০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাই,

আমার সম্পর্কে বা আমার যোগ্যতা সম্পর্কে তার সন্দেহ তো কোন খারাপ কিছু না । উনি হয়ত অন্য কিছু জানেন বা ইউনুস সাহেব কে ভাল ভাবে চেনেন ।


বেশ তাহলে আমার মন্তব্যগুলো মুছে দিন। আমি অতি সুশীলতা পছন্দ করি না। শুভ দুপুর।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




ভাই আপনি রাগ করেন কেন?

আমি তো আমার ব্যক্তব দিয়েছি । ওনি যেভাবে আক্রমন করেছেন তাতে আমি কি বলতে পারি । আর যেই তথ্য গুলো দিয়েছি সেগুলো ওনি গুগল করলেই পেয়ে যাবে ।

আমি সুশীল না । আমি মানুষ হিসেবে ভাবতে পছন্দ করি । সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে উনি আমার থেকে সম্ভবত বড় । তাই তার সাথে আমার তর্কে না যাওয়াই উচিত ।

কারন সেটা বেয়াদবি হিসেবে নিতে পারেন ।

আমার কাছে সম্মানটাকে আগে । আমি ওনাকে সম্মান দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র । যাই হোক ভাই রাগ করিয়েন না । এক কাপ চায়ের দাওয়াত রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.