নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটাই দেশ, বাংলাদেশ।
আমরা দুজনের পাশাপাশি রোল ছিল, ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুলে ক্লাস নাইন আর ক্লাস টেন এবং এস এস সি এক সাথে পরীক্ষা দিয়েছি। সে সময় আমরা ফুটবল ক্রিকেট এক সাথে খেলেছি। আমরা এক সাথে আমাদের স্কুলের ব্যাচের গ্রুপ গঠন করেছি। আমি গ্রুপের নাম রেখেছিলাম wehs96 আর ও হয়েছিল admin. বেচারা অনেক চেষ্টা করেছিল, গ্রুপটা দাড় করানো। এরপর অনেক ঘটনা হয়েছে। আমাকেই গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং গ্রুপটা ভেঙ্গে গেছে।আগাছা বেশি বাড়লে যা হয়।
আমার সাথে ওর শেষ দেখা হয়েছে, wehs96 গ্রুপের পিকনিকের কিছুদিন আগে। ওর হার্টের সমস্যা ছিল, একবার অপারেশন হয়েছে। রাসেদের ওখানে ওরা পিকনিকের জন্য অন্য সদস্যদের থেকে চাঁদা নিচ্ছিল। আমার যাওয়ার কথা ছিল না। আমি জানতামও না ওইদিন চাঁদা নিচ্ছে। কেন যেন আমার মন টান দিয়েছিল। আমি গেছিলাম আমার শ্বশুর বাড়ি এবং পথে আসার সময় ওখানে হঠাৎ গেলাম। ওরা আমাকে নিয়ে কিছুক্ষণ মজা করলো। আমি পাত্তা দিলাম না। আমি জানালাম আমি ওদের পিকনিকে না গিয়ে অন্য গ্রুপের পিকনিকে যাবো। কারণ ওদের পিকনিকে পরিবার এলাও না। আমি আমার বউ ছাড়া এসব জায়গায় যাবো না। হঠাৎ দেখলাম ও সিগারেট টানছে। আমি বললাম, তোর না একবার অপারেশন হয়েছে। আবার সিগারেট খাচ্ছিস? আমাকে পাত্তাই দিল না।
বন্ধু সেই যে তোমাকে ভাল কাজের উৎসাহ দিবে, খারাপ কাজের নিষেধ করবে। টুটুল মারা গেছে। দুপুরে খাওয়ার পর অফিসে নিচে নেমে সেখানে শরীর খারাপের জন্য মারা গেছে। সেই সময় কি তার মুখে সিগারেট ছিল? জানি না। জানতে চাই না। আমার খুব খারাপ লেগেছে। প্রেম করে বিয়ে করেছিল বলে ওকে ওর পরিবার আলাদা করে দিয়েছিল। মাত্র এক বছর হয়েছে, ওর পরিবার আবার কাছে টেনে নিয়েছে। ভাবী আর বাচ্চা গ্রামে থাকে, বাচ্চার শারীরিক অসুস্থতার জন্য।
আমি ধিক্কার জানাই, আমার সেসব ক্লাসমেটকে যারা টুটুলকে সিগারেট খেতে উৎসাহ করেছ আর নিজেরাও খুব খাচ্ছ। তোমরা যেমন টুটুলের শত্রু ছিলে, তেমন নিজেদেরও শত্রু। টুটুলকে তোমরা মেরেছ, কমপক্ষে নিজেদের বাঁচাও। তোমরাও যদি সিগারেট নামক শয়তানের কাছে হেরে যাও, তোমাদের পরিবারের মানুষদের কাঁদাতে চাও, তোমাদের মতো বলদ একটাও নাই। আল্লাহু, যেন তোমাদের হেদায়ত করে।(আমিন)
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
বিজন রয় বলেছেন: সিগারেট খেয়ে কেউ মরে না।