নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটাই দেশ, বাংলাদেশ। ব্লগে লেখি নিজেকে ভালবেসে, কারো পক্ষে নয়, কোন স্বার্থে নয়।

ফিদাতো আলী সরকার

একটাই দেশ, বাংলাদেশ।

ফিদাতো আলী সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসি কান্না আর ভালবাসা-৮

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৯

কামাল সাহেবের ফোনে কল এলো, রাত ২টা সময়। প্রশাসন থেকে বলে নির্দেশ এসেছে, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে রাত ৩টা থেকে ভোটে ছীল মারতে হবে। লক্ষ্য ছিল ১০০০। ৪জনে মিলে ৮০০টার মতো দিতে পেড়েছে। কামাল সাহেব একটা ছোট অফিসে কাজ করেন। মাঝে মধ্যে সেখানে সালাতে ইমামতি করেন। তার এক কলিগ সালাম সাহেব এটা শুনে বলেছেন, আপনার পিছনে আর নামাজ পড়া যাবে না। আপনি ১৪৭ জনের আমানত খেয়ানত করেছেন। এই ১৪৭ জনের কাছে ক্ষমা না পাইলে, আল্লাহুর কাছে ক্ষমাও পাবেন না। প্রত্যকটা হারাম। কামাল সাহেব ভোটের মধ্যে হারাম বা হালাল লেখা আছে। টাকার মধ্যে হালাল বা হারাম লেখা আছে। কোন মানুষের মুখে বৈধ বা অবৈধ লেখা থাকে না। কিন্তু বেজন্মা তো বেজন্মাই।
অন্য ইমাম না থাকায় কামাল সাহেবই ইমামতি করলেন, সালাম সাহেব আগেই বুঝেছিলেন যে এটাই হবে। অন্যদের সালাত হয়েছিল কিনা সেটা আল্লাহই বিচার করবেন, সালাম সাহেব নিচে গিয়ে পাশের মসজিদে নামাজ পড়লেন।
সম্রাট সাহেব আগে থেকেই জানতেন যে, ভোটে কারচুপি হবে।কারণ, এইদেশে কখনই দলীয় সরকারের অধীনে সহি নির্বাচন হয়নি। বরঞ্চ ২০০৮ সালের নির্বাচন তার সন্দেহ আছে। সকাল ৮টা গিয়ে নির্বাচন কেন্দ্রে চলে গেল। তার আগে একজন বয়স্ক মানুষ ছিল। ইভিএম এ ভোটিং। বাসার পাশের কেন্দ্রে গিয়ে আগেই দেখে এসেছিলেন, কিভাবে এটা ব্যবহার করবে। তাই স্মার্টকার্ড নিয়ে গেছিল। বয়স্ক মানুষটির আঙুলের ছাপ মিলছিলো না। পরে অফিসার নিজের আঙুলের ছাপ দিল। তাও মিলছিলো না। পরে সম্রাট সাহেবেটা মিলছিলো না। সম্রাট একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। অফিসারটা হয় অদক্ষ না হয় বাটপাড়। কারণ, খুব জোরে আঙুলের চাপ দিচ্ছিল। শেষে সম্রাট হালকা ছাপ দেওয়াতে মিলেছিল। নিজের ভোট নিজে দিয়েছিল। ওই কেন্দ্রে দুইজন পোলিং এজেন্ট ছিল। যেদলকে সে ভোট দিল, তার কোন পোলিং এজেন্ট ছিল না। যথারীতি সেই ভোটের কোন মুল্য রইলো না।
শ্যামল সাহেব নিজের দোকানে বসে রাগে গিজগিজ করছিলেন। ভোট তাকে দিতে হয়েছে উন্মক্ত স্থানে। পাশে জানালাইয় দাঁড়ানো ছোটলোকের বাচ্চা কিনা তাকে শাসিয়ে বলেছিল, "চিননা রাখলাম।"
অসুস্থ মাকে নিয়ে প্রভা দুপুর ২টার দিকে ভোট দিতে গেছিল। স্কুলের দরজা বন্ধ। বলা হল ভোট দেওয়া শেষ। বাসায় ফিরে প্রভা অনেক কান্না করলো। বেচারির প্রথম ভোট দিতে পারলো না।
৩০শে ডিসেম্বর ২০১৮ সাল। একটা নির্বাচন হল। একটা দল জয়ী হল। একটা দেশ পরাজিত হল। দেশটার নাম বাংলাদেশ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনি তাহলে কি বুঝলেন ???

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৪৯

তাহমিদ রহমান বলেছেন: যা লিখেছেন, সবই বাস্তব চিত্র। সম্রাট সাহেবের যে সন্দেহ, তা আরও অনেকের মাঝেই দেখেছি। কিন্তু মানুষ কার কাছে যাবে?

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২২

নাহিদ০৯ বলেছেন: রাত তিন টার সময় এই শীতে ভোট যোগানো সম্ভব না। যারা শীতের রাতে ভোট দিতে গেছে তাদের কে শীতবস্ত্র দান করা হউক।

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: বানোয়াট গল্প। মানুষ বিভ্রান্ত হবে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

ফিদাতো আলী সরকার বলেছেন: প্রতিটি ঘটনা সত্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.