নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটাই দেশ, বাংলাদেশ। ব্লগে লেখি নিজেকে ভালবেসে, কারো পক্ষে নয়, কোন স্বার্থে নয়।

ফিদাতো আলী সরকার

একটাই দেশ, বাংলাদেশ।

ফিদাতো আলী সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিদাতোর কীর্তি-৮

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪১

আমার কবিতার বইটা বেশি বিক্রি না হওয়াতে একদিক দিয়ে ভালই হয়েছে। আগে প্রায় প্রতিদিনই সকালে অফিসে গিয়ে একটা কবিতা লেখতাম। এখন আর লেখি না। অফিসে প্রায় টানা ৮ঘণ্টা কাজ করে, বাসায় এসে বউয়ের কথাগুলো শুনে জীবনটা ভালই কেটে যাচ্ছে। তাও এতো ভাল কেটে যাওয়া মাঝে মাঝে আবার কবিতা লেখার ইচ্ছে হয়। ক্লাস সিক্স থেকে কবিতা লিখি। প্রথম কবিতাটা লেখেছিলাম, একজন প্রিয় কবির অনুকরণ করে। মতিঝিল উচ্চ বালক বিদ্যালয় ছেড়ে যখন ইউনিভার্সিটি ল্যাবটরি হাই স্কুলে ভর্তি হলাম, তখন একটু প্রেমিক ভাব হয়েছিল। একজনকে মনে মনে প্রেম করেছিলাম। বলা হয় নাই। তখনো প্রেমের কবিতা লেখতে পারতাম না। ক্লাস সেভেন এর লাস্ট ক্লাসে সবাই সবাইকে অটোগ্রাফ দিচ্ছে বা নিচ্ছে। আমার দিকে কেউ এগিয়ে এলো না। ক্লাস এইটে আবার শান্তিপুর হাই স্কুলে ভর্তি হলাম। এই স্কুলে প্রথম কয়েকজন পাঠক পেয়েছিলাম। আমার শালি বাংলায় মাস্টার্স। তুই-তোকারির কাব্য-২ তে ওর একটা কবিতা আছে। আমার একটা কবিতা পড়ে বলেছিল কিছুই হয় নাই। অথচ, আমি যখন আবৃত্তি করে শুনালাম। তখন সে বলেছিল, খুব সুন্দর হয়েছে। কবিতা লেখে না অনেকে, অথচ বাজে কথা বলার লোকের অভাব নেই। এসব বাজে কথা বলার পাঠকে আমার কক্ষনো দরকার নেই। কবির বানান ভুল যাবে, কবির ছন্দ মিলবে না, কবি ব্যকারন মানবে না, কবি যা খুশী করবে।
এই যা করা শক্তি সবার মাঝে থাকে না। কবির মধ্যেই আছে। তা, শান্তিপুর স্কুলে আমার বন্ধুরা আমার কয়েকটা কবিতা পছন্দ করেছিল। স্কুলটা থেকে গেলেই ভাল ছিল। যাক, ভাল স্কুলে পরবো বলে, ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুলে ভর্তি হলাম। এখানে পরিচয় মোহাম্মদ মোবারক হোসেন সুমন যাকে অনেকে গুড্ডি হিসাবে চিনে। সে একজন মেধাবী জনপ্রিয় মানুষ। অথচ, এই জনপ্রিয় মানুষটা কেন জানি আমাকে খুব পছন্দ করেছিল। সে ছড়া কবিতা লেখতে পারতো, এবং বিভিন্ন পত্রিকায় তার কবিতা ছাপাতো।
আমি যে কবিতা লেখেই তার কাছে গিয়ে পড়তে দিতাম, সেটাই সমালোচনা করতো। শেষে একদিন একটা কবিতা পড়ে বলল, এই কবিতাটা হয়েছে। এরপর এক বছর কোন কবিতাই লেখতে পারিনি।
আমার প্রতিটি কবিতারই পাঠক ছিল, আমার আম্মু আর আমার ছোটবোন। আমার ছোটবোন তিথি নিজেও ভাল কবিতা লেখে, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সে অনেক কষ্ট করে আমার প্রায় ১০০ টা কবিতা নিজ হাতে লেখে একটা খাতায় সঞ্চয় করেছিল। কিভাবে যেন খাতাটি হারিয়ে গেছে।
আজ এই পর্যন্ত। কারণ, ক্লান্ত লাগছে। আর লেখতে ইচ্ছে হচ্ছে না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: বই বিক্রি হয় না বলে এখন কবিতা লিখেন না, এটা ঠিক না।
আমাদের দেশে একজন খ্যাতিমান লেখকেরও তিন শ' বই ছাপালে বিক্রি হয় না। আমাদের দেশের মানুষ বই কম পড়ে, বই কিনে পড়ার মানসিকতা খুব কম লোকের আছে। বিশেষ করে, কবিতার বই আমাদের দেশে খুব কম চলে। কিন্তু তার জন্য আপনি কবিতা লেখা বন্ধ করে দিতে পারেন না।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



কবি এগিয়ে যান, কবিতা লিখতে থাকুন নিজের জন্য নিজের মনের জন্য। বই ছাপানো দরকার কি এখানে পোস্ট করুন আমরা পড়ি মন্তব্য করি।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

মা.হাসান বলেছেন:
আপনার কবিতার বই বিক্রি হয় নাই শুনিয়া মনটা দুঃখে ভরিয়া গেল। ব্লগের মাননীয় মডারেটর মহোদয় অত্যন্ত কবিতাপ্রেমী লোক। আপনি প্রতিদিন অনেকগুলি করিয়া কবিতা লিখিতে থাকুন এবং ব্লগে নিয়মিত পোস্ট করিতে থাকুন। আপনার সকল কবিতা প্রথম পাতায় তো আসিবে, নির্বাচিত পৃষ্ঠায় ও স্থান পাওয়া অসম্ভব নহে। আপনি কবিতায় নিয়মিত হইলে এইরূপ গদ্যের হাত হইতে নিষ্কৃতি পাইব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.