নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন দেশ প্রেমিক, এই দেশ এবং সাধারণ মানুষের কথা সবসময় ভাবিয়ে তুলছে আমাকে.. নিজের সম্পর্ক বলার মত আর কিছু নেই.।

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ

আমি একজন দেশ প্রেমিক,

কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুস্লিম আমার পরিচয় ...

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৭



রাখাল গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছে নাকি কসাই খানায় নিয়ে যাচ্ছে , তা গরু জানে না ! তেমনি আপনার পীর বা নেতা আপনাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে , তা যদি আপনি না জানেন তবে আপনি গরুর চাইতেও বড় অধম ! তাই কোরান পড়তে হবে বুঝে বুঝে , তবেই বুঝতে পারবেন কে সঠিক নেতা বা ইমাম আর কে ভন্ড কবর এবং মাজার পূজারী ধর্ম ব্যাবসায়ী পীর !

দুনিয়াতে যদি পীর বলে কিছু থাকে তবে তিনি হলেন আমাদের সকলের মা ! আল্লাহ এবং রাসূলের পর মাকেই সব চাইতে বেশী সন্মান দেওয়া হয়েছে ! মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত , তাই পীরের মুরিদ না হয়ে মায়ের বাধ্যগত সন্তান হউন ! যারা মা-বাবাকে পেয়েও উনাদের খেদমত করে উনাদের কাছ থেকে বেহেস্ত লিখে নিতে পারেন নাই তারা চরম দূর্ভাগা !

আমি মুসলিম এটাই আমার পরিচয় ! আমাদের আল্লাহ এক ,রাসূল এক , কোরান এক তারপরও আমরা নিজেদের মাঝে দলে দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছি ! কিন্তু তা তো হবার কথা নয় ! আসলে এর শুরু হয়েছে রাসূল (সঃ) এর মৃত্যুর পর থেকে শিয়া এবং সুন্নির মাধ্যমে যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারনে !

শিয়া অর্থ পরিবার বা অনুসারী ! শিয়াতুল আলী থেকে শিয়ার উৎপত্তি যার অর্থ আলী (রঃ) এর পরিবার বা আলী(রঃ) এর অনুসারী ! শিয়া সৃষ্টি ছিল ইহুদিদের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ! যা পরবর্তীতে মুসলিমদের স্পষ্ট দুভাগে বিভক্ত করে !

পরবর্তীতে মাজহাব দিয়ে আবার মুসলিমদেরকে ৪ ভাগে বিভক্ত করা হয় ! কেউ ইমাম হানিফি (রঃ) , কেউ ইমাম শাফিয়ী (রঃ) কেউ ইমাম মালেকী আবার কেউ ইমাম হামবলী (রঃ) কে পৃথক পৃথক ভাবে অনুসরণ করতে থাকে ! কিন্তু কেন ?

কোরান হাদিসের অনেক বিষয় আছে যা সাধারন জ্ঞান দিয়ে বুঝা যাবে না , তার জন্য কোরান এবং হাদিসের অগাধ জ্ঞান লাগে ! তাই আমাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষকের নিকট যেতে হয় , যারা কোরান এবং হাদিসের উপর যথেষ্ট এলেম রাখেন ! আমার কাছে ৪ জন ইমাম হলেন ইসলামের ৪জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ! উনারা কোরান এবং হাদিসকে সহজ ভাবে আমাদেরকে ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন ! কোন কোন বিষয়ে চার ইমামের ব্যাখ্যায় কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় ! কিন্তু চার ইমামের সব গুলো ব্যাখ্যা গ্রহন যোগ্য !

তাই আমি কোন নির্দিষ্ট একজনকে নয় বরং চার জনকেই অনুসরণ করি ! কোন বিষয়ে চারজনের মধ্যে যিনি সব চাইতে বেশী গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন , উনার ব্যাখ্যা আমি অনুসরণ করি ! কোন এক জনকে মানতে হবে বাকী ৩ জনকে মানা যাবে না , তা আমি মানতে নারাজ ! কারণ উনারা সবাই কোরান এবং হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন !
অথচ আমরা উনাদেরকে নিয়ে আবার নিজেদের মাঝে ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছি !
যা সম্পূর্ণ কোরান এবং হাদিস বিরুদ্ধ ! আমি ব্যক্তিগত ভাবে চারজন ইমামকেই সন্মান করি এবং আমার প্রয়োজনে আমি চারজনেরই দারস্থ হই !
কিন্তু আমি যেটা অপছন্দ করি তা হলো বিভিন্ন দলে দলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করা ! এই ব্যাপারে পবিত্র কোরানে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন ...

"ওয়া 'তাছিমু বিহাবলিললা হি জামী'আঁও ওয়ালা তাফাররাকু নি'মাতাললা হি আলাইকুম ইয কুনতুম আ'দা " --- (সূরা আল ইমরান , আয়াত ১০৩)

অর্থাৎ , তোমরা সকলে আল্লাহর রশিকে শক্ত করে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না !
আর যারা নিজেদের মাঝে বিভাজন করবে , তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা হুঁশিয়ার করে বলেন....


" ওয়ালা তাকূনূ কাললাযীনা তাফাররাক ওয়াখতালাফূ মিম বা'দি মা জী আহুমুল ব্যয়্যিনাতু , ওয়া উলা ইকা লাহুম আযাবুন আজীম " ---( সূরা আল ইমরান আয়াত ১০৫ )
অর্থাৎ , তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা সুস্পষ্ট নিদর্শন আসার পর বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে ও নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করেছে , তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি !
তাই আসুন , নিজের মধ্যে সকল ভেদাভেদ পরিহার করে একই পরিচয়ে পরিচিত হই ! কোরান এবং হাদিসের আলোকে জীবন সাজাই ! যে খানে বুঝবো না সেখানে ইমাম এবং যারা ভালো বুঝেন তাদের সহযোগিতা গ্রহন করি !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.