নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অামি অতি সাধারণ, সাধারণ থাকতে চাই ।

পার্থ তালুকদার

আমি ভাই সাধারণ, সাধারণ থাকতে চাই।

পার্থ তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ কেবিন নং ২০২

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫০



উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরপরই কেমন জানি একটু বদলে গেছে শান্তনু। পরীক্ষার আগ মুহুর্তে সে কতকিছুইনা তাঁর পরিকল্পনার স্তরে স্তরে সাজিয়ে রেখেছিল। জাফর ইকবাল স্যারের নতুন গল্পের বইটা তাঁর পড়া হয়নি, স্পাইডারম্যান ফিল্মটার শেষের পর্বটা দেখা হয়নি, মামার বাড়ীতে কতদিন হলো যাওয়া হয়নি তার। পরীক্ষা শেষেই ফেলে রাখা কাজগুলো শেষ করতে হবে একে একে।



তবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে তাঁর পূর্বের পরিকল্পনারও পরিবর্তন ঘটতে থাকে। ইদানিং তাঁর মাথার মধ্যে অদ্ভুত সব চিন্তা গিজগিজ করছে। বিকাল বেলা সে প্রায়ই একা একা শহরের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটা পাড় হয়ে গ্রামের মধ্যে ঢুকে পরে। কথা বলে অজানা-অচেনা মানুষের সাথে। নদীর পাড়ে নাম না জানা বনফুলটির কোমল পাপড়িতে আলতো ভাবে হাতের পরশ লাগায় সে। তার একটু লজ্জা লাগে কারণ শক্ত চামড়ার হাতের পরশ পেয়ে বনফুলটি একটু ব্যাথা অনুভব করে কিনা।



সবুজ মাঠের মধ্যদিয়ে হাজার মানুষের পথচলার ফলে মাথার সিঁথির মত যে ধূসর রেখা ভেসে উঠেছে তার উপর দিয়ে শান্তনুর হাটতে একটু ভয় লাগে। সবুজ ঘাসগুলোর এমন করুন পরিনতি দেখে তাঁর মায়া হয়। সে ভাবে, মানুষকে হাটার সুযোগ দিয়ে এই নরম-কোমল ঘাসগুলোর কত যন্ত্রনাই বা পোহাতে হচ্ছে। যখন সন্ধায় পশ্চিম আকাশে সূর্যদেবতা ডুবতে থাকেন তখন এলোমেলো সব স্বপ্ন নিয়ে বাসায় ফিরে খাপছাড়া শান্তনু।



শান্তনুদের বাসার ঠিক বামপাশের চৌরাস্তার মোড়টাতেই সারিসারি রিক্সাগুলো হা করে দাড়িয়ে থাকে। রিক্সার পাশ দিয়ে কোন লোক হেটে গেলে ড্রাইভার টুংটুং বেল বাজিয়ে জানিয়ে দেয় সে যাওয়া জন্য প্রস্তুত। কিন্তু লোকটি রিক্সায় না উঠার পণ করে হেটে যায় নীরবে, আর ড্রাইভার তাকিয়ে থাকে কিছু টাকা হাত ছাড়ার বেদনা নিয়ে।



শান্তনুর এই ক’দিন ধরে রিক্সার স্ট্যান্ডটির পাশে দাড়িয়ে থাকতে খুব ভাল লাগে। সে আনমনে ভাবে, কোথায় যায় এতসব মানুষ, কোথা থেকেই বা আসে সবাই ! পৃথিবীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটছে মানুষ কোন না কোন স্বপ্ন নিয়ে, আশা নিয়ে। কারো আশার ফুল ফোটে সুগন্ধ ছড়িয়ে, কারো আশার ফুল ঝরে পড়ে পৃথিবীর আলোর স্বাদ গ্রহনের পরপরই। শান্তনু এসব ভাবে আর চেয়ে দেখে মানুষের বিরতিহীন আনাগোনা।



শান্তনু হঠাৎ খেয়াল করল একজন বৃদ্ধ হাতে রঙ্গিন কাগজে মোড়ানো একটি পেকেট নিয়ে রিক্সায় উঠছেন। তাঁর এই মুহুর্তে জানতে ইচ্ছে করছে- কোথায় যাচ্ছেন এই অপরিচিত লোকটি। রিক্সার হাতলটায় একটা হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে সে লোকটিকে নরম সুরে বলল, কোথায় যাচ্ছেন চাচা ?



বৃদ্ধ লোকটি অনেকটা আশ্চর্য হয়েই সান্তনু’র দিকে তাকিয়ে তাকেন কিছুক্ষণ। তারপর একটু হুশ ফিরে আসার পর তার রঙ্গিন দাড়িতে হাত বুলিয়ে বলেন- আমি কোথায় যাব সেটা তোমাকে কেন বলব বাবা ?

- চাচা, আমার না আজ কিছুই ভাল লাগছে না। আপনি কী আমাকে আপনার সাথে একটু নিয়ে যাবেন ? আমি আপনার সাথেই আবার এখানে ফিরে আসব।

- তুমি এসব কী বলছ বাবা, তুমি আমার সাথে কোথায় যাবে ? কেনই বা যাবে ?

- চাচা, আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে এত মানুষ কোথায় যায়, কেন যায়। কখন ফিরে, কীভাবে ফিরে, কার সাথে ফিরে। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে চাচা, পৃথিবীর সব মানুষ আসলেই কেমন আছে। আপনি আমাকে আপনার সাথে নিয়ে যান চাচা।

- না বাবা, তুমি বাসায় যাও।

কথাটা শেষ করেই রিক্সা নিয়ে চলে যায় লোকটি। শান্তনু দাড়িয়ে থাকে একা একা। সে ভাবে, কী এমন ক্ষতি হতো তাকে নিয়ে গেলে। মানুষ মানুষকে এত অবিশ্বাস করে কেন !

শান্তনু একটু পর খেয়াল করল লোকটি রিক্সা ঘুরিয়ে তার দিকে ফিরে আসছেন।

- উঠো, বাবা।

আপনি কোথায় যাচ্ছেন চাচা ?

- আমার ছেলের বাসায়, বাবা ।

- কিসের জন্য চাচা ?

- আমার নাতিটার আজ জন্মদিন।

- হুম, আচ্ছা চাচা, আপনার ছেলের বাসায় আপনি থাকেন না কেন ?

এইমুহুর্তে শান্তনুর এমন কঠোর তীর্যক প্রশ্নটির আশা করেনি লোকটি। বুকটার মাঝে যেন চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলেন তিনি। এ যেন প্রিয় হারানোর ব্যাথা।



রিক্সাটা যখন বিশাল এক বাড়ীর গেইটে এসে থামলো তখন লোকটি শান্তনুকে বললেন, আমরা চলে এসেছি বাবা। শান্তুনু বলল- ‘আমি যাব না চাচা। আপনার নিজের ছেলের বাসায় আপনি যদি অতিথি হয়ে আসেন তাহলে আমি এই বাসায় কোন পরিচয়ে প্রবেশ করবো।’



শান্তুনু উদাস চোখে রিক্সা থেকে নেমে বিপরীত দিকে হাটতে থাকে। ক্ষনিক সময়ের পরিচিত লোকটি শান্তনুর ফিরে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকেন স্থির দৃষ্টিতে। কি জানি কি ভেবে হাতে রাখা রঙ্গীন কাগজে মোড়ানো পেকেটটি ঢিল দিয়ে ক’দিনের জমানো ময়লার ডাস্টবিনে ফেলে দেন তিনি। তারপর পিচঢালা রাস্তার পাশের ধুসর বালির উপর দিয়ে হাঁটতে থাকেন একাকী, নীরবে, আনমনে।



(২)

শান্তনু রিক্সা স্ট্যান্ডে পাকা করা এক বেঞ্চে মাথা নিচু করে পা দুলিয়ে বসে আছে। হঠাৎ সে খেয়াল করল একটা পিপড়ার দল দুরন্তবেগে ছুটছে একটি নির্দিষ্ট দিকে। ঐ দিক থেকে ফিরে আসা কয়েকটা পিপড়া যেন পরিচিত কোন পিপড়াকে পেয়ে কানেকানে কথা বলছে কিছুক্ষন। যেন জানিয়ে দিচ্ছে, কী দেখে আসছে তারা ঐ স্থানটিতে। শান্তুনু পিপড়ার লাইনের একেবারে শেষ প্রান্তে গিয়ে আঁতকে উঠে সে। এক মৃত হাসের বাচ্চাকে নিয়ে পিপড়ার দলটি এক করুন খেলায় মগ্ন ! শান্তনু ভাবে, কোথায় কীভাবে কার পরিনতি- তা কারোরই জানা নেই !



চোখ ফিরতেই শান্তনু তাদের পাশের বাসার চন্দনাকে দেখতে পেল। বেশ সেজেগুঁজে কোথাও যাচ্ছে সে। কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী চন্দনার বাবা হার্টএটাক করে কয়েক মাস ধরে শয্যাশায়ী। একমাত্র উপার্জনশীল বাবার সংসারের হাল ধরেছে এই চন্দনা। শান্তনু প্রায় বিকেলেই চন্দনার এমন যাওয়া আসা খেয়াল করে। আজ সে মনেমনে ঠিক করেছে যেভাবেই হোক চন্দনা আপুর সঙ্গ নিবে। চন্দনা রিক্সায় উঠতেই শান্তনু বলে উঠলÑ আপু কোথায় যাচ্ছেন আপনি ?

- এইতো, মার্কেটে যাব।

- আমাকে একটু সঙ্গে নিবেন ?

- না, না । তুমি আমার সাথে গিয়ে কী করবা শান্তনু ?

- তোমার সাথে একটু ঘুরব ।

- অন্যদিন যাবে ভাই ।

- না, আমি আজই যাব।

শান্তুনু একটু জোড় করেই রিক্সাতে উঠে যায়। তার অতিউৎসাহি মন জানতে চায় চন্দনা কোথায় যায়, কেন যায়।

চন্দনা বলে- শান্তনু ইদানিং তোমার কী হয়েছে ? তোমাকে প্রায় সময়ই রাস্তায় একাএকা হাটতে দেখি। মাঝে মাঝে রিক্সার স্ট্যান্ডে চুপ মেরে বসে থাকতে দেখি। কী হয়েছে তোমার ? তোমার তো এখন ভালভাবে পড়াশুনা করা উচিত। সামনে তোমার এডমিশন টেষ্ট। মেডিকেল অথবা ভার্সিটিতে এডমিশনের জন্য ভালভাবে পড়াশুনা করতে হবে।

- আমার কিছু ভাললাগেনা আপু। আমার শুধু জানতে ইচ্ছে করে এই পৃথিবীর মানুষ কোথায় কে কী করে। রঙ্গিন এই পৃথিবীর মানুষ আসলেই কতটুকু সুখে আছে। আর, কার কিসে সুখ, তা খুঁজে বের করতে ইচ্ছে করে আমার।





কথা বলতে বলতে রিক্সাটা শহরের এক নামিদামি হোটেলের গেইটে থেমে গেল। শান্তনু এই হোটেলের কথা বন্ধুদের কাছে অনেক শুনেছে। এইখানে নাকি বাজে লোকেরা আড্ডা দেয়। কয়েকদিন আগেও সে পেপারে পড়েছে এই হোটেল থেকে কয়েকজন মেয়েকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। রিক্সা থামার সাথে সাথেই শান্তনু ভয় পেয়ে যায়, সে আঁতকে উঠে। শান্তনু চন্দনাকে বলে- আপু তুমি এই হোটেলে কেন আসছো ?



চন্দনা কোন উত্তর দেয়না। সে রিক্সা থেকে নেমেই উপর তলায় উঠতে থাকে। তাঁর পিছু নেয় শান্তনু। হোটেলের একটা রুমে প্রবেশ করে দু’জন। দরজাটা বন্ধ করেই চন্দনা শান্তনুর হাতটা চেপে ধরে বলে- ‘ভাই তুই হয়তো বুঝতে পাচ্ছিস কেন আমি এই হোটেলে এসেছি। তুই তো জানিস আমাদের ফ্যামেলির অবস্থা। আমার ছোট ভাইটা পরীক্ষার ফিস দিতে পারছেনা। আমার মা শুধু নিরবে ছোখের জল ফেলেই যাচ্ছেন। আমি কী করব ভাই ? আমার কী করার আছে। প্লীজ ভাই, তুই কাউকে এসব কিছু বলিস না।’



শান্তনু খেয়াল করল তাঁর হাতদুটি চন্দনার চোখের জলে ভিজে যাচ্ছে। সে কোনভাবে তাঁর হাতদুটি ছাড়িয়ে নিয়ে একটু সরে গিয়ে দাঁড়াল। চন্দনার প্রতি তাঁর মনের মাঝে করুনা না ঘৃণা কাজ করছে সে বুঝে উঠতে পারছে না।

সে মনেমনে বলল- আহারে, মানুষ একটু সুখের জন্য, একটু ভালভাবে বাঁচার জন্য কত কিছুই না সয়ে নেয়। মানুষের জীবনের কত গল্পই না অপ্রকাশিত থেকে যায় !





(৩)



রিক্সা স্ট্যান্ডে আজ সকালের কোলাহল একটু বেশীই মনে হচ্ছে। সারারাতের বৃষ্টির ফলে পিচঢালা রাস্তাটা তার হারিয়ে যাওয়া যৌবন ফিরে পেয়েছে যেন। চকচক করছে রাস্তার কালো পাথরগুলো। এই রকম কত সকাল ঘুমের ঘোরে কাটিয়ে দিয়েছে শান্তনু। তাই আজ তার একটু অন্যরকম অনুভুতি লাগছে। কেমন জানি সুখ সুখ চারদিকে।



শান্তনু হঠাৎ খেয়াল করল ষাটর্ধো একজন লোক হন্য হয়ে রিক্সা খুজছেন। সব ড্রাইভারই তাকে এড়িয়ে যাচ্ছে। শান্তনু এগিয়ে গিয়ে লোকটিকে বলল- কোথায় যাবেন চাচা ?

- হাসপাতালে যাব বাবা। আমার পোলাডা এক্সিডেন্ট কইরা হাসপাতালে পইরা আছে। তার নাকি অনেক রক্ত লাগবো। আমার তাড়াতাড়ি যাইতে হইবো।



শান্তনু পরিচিত এক ড্রাইভারকে ডেকে নিয়ে আসল। লোকটিকে বলল, উঠেন চাচা। আমিও আপনার সঙ্গে যাব।

তাড়াহুড়ো করে দুজনই হাসপাতালের জরুরী বিভাগে পৌছে যায়। ছেলেটাকে একটা স্ট্রেচারে চিৎ করে রাখা হয়েছে। সার গায়ে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেল জরুরী ভিত্তিতে রক্ত প্রয়োজন। রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ।

শান্তনু লোকটার হাত ধরে বলল- ‘চিন্তা করবেন না চাচা। রক্তের অভাব হবে না। তাছাড়া আমার রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ।’



রক্ত দেওয়ার জন্য তৈরি হয় শান্তনু। একজন নার্স তার শরীর থেকে এক সিরিঞ্জ রক্ত নিয়ে যায় পরীক্ষার জন্য। শান্তুনু অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে তার রক্তের দিকে। নিজের রক্ত সে এভাবে আর দেখেনি।

কিছু সময় পর নার্স এসে জানাল, এই রক্ত দেওয়া যাবেনা। শান্তনুর শরীর শিরশির করে উঠল। কোন সমস্যা ?

নার্স বলে, তোমার বাবাকে বল আমাদের সাথে দেখা করার জন্য। এ ব্যপারে তোমার সাথে কথা বলা যাবে না। শান্তনু বলে- ‘আমার রক্ত, আমার শরীর, আপনি আমার সাথে কথা বলেন।’



তারপর। শান্তনুর বাবা আসেন ডাক্তারের সাথে কথা বলার জন্য। ডাক্তার জানান, শান্তনুর রক্তে অস্বাভাবিক কিছু ধরা পরেছে। লিউকোমিয়ার লক্ষণ। আর সাজেস্ট করেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভাল কোন হাসপাতালে ভর্তির জন্য।



শান্তুনু হাসপাতালের দু’শ দুই নম্বার কেবিনে সাদা চাদর গায়ে শুয়ে আছে। এই ক’দিন সেভ না করায় কালো দাড়িগুলো তার ফর্সা মুখমন্ডলে চিকচিক করছে যেন। সে আনমনে হিসাব করে, ফেলে আসা দিনগুলোর প্রতিটি ক্ষণের, প্রতিটি মুহুর্তের। না ; হিসাব মিলাতে পারেনা শান্তনু। কোথায় যেন গড়মিল, কোথায় যেন ফারাক।



কেবিনের দরজায় টকটক শব্দ শুনে শান্তনু’র মা দরজাটা খুলে দেন। হাতে ফুলের একটা তোড়া নিয়ে প্রবেশ করে চন্দনা। চন্দনাকে দেখেই শান্তনুর মুখে একচিলতে হাসি ফোটে উঠে। সে উঠে বসতে চায়, কিন্তু ভাঙ্গা শরীরে শক্তিতে কোলায় না তাঁর।

শান্তনু চন্দনাকে ফিসফিসিয়ে বলে- ‘তোমার কথা কাউকে বলিনি আপু, আর কাউকে বলার সুযোগও নেই। এবার আমার জন্য দোয়া করো তুমি।’



চন্দনা আর নিজেকে সামলাতে পারেনি। কেঁদে কেঁদে বলে- আমি আগের সব ছেড়ে দিয়েছি শান্তনু। এবার আমি একটা চাকুরীতে জয়েন করেছি। খুবই ভাল চাকরি। বিশ হাজার টাকা বেতন। এখন আমি আমার বাবা-মাকে নিয়ে ভালভাবেই থাকতে পারব।



চেয়ারে বসা শান্তনু’র মা তাদের দু’জনের এমন ফিসফিসিয়ে কথা বলার কারণ বুঝতে পারেননি। তিনি পাথর চোখে চেয়ে আছেন দিনে দিনে ফ্যাকাসে হওয়া সোনার টুকরা ছেলে শান্তনু’র মুখের দিকে। কতই না পরিবর্তন এই ক’দিনে তার !

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ভাল লাগল ভাই গল্পটা ++++

২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩১

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার ভাললাগা যে আমার প্রেরণার উৎস ।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০১

ডি মুন বলেছেন: নদীর পাড়ে নাম না জানা বনফুলটির কোমল পাপড়িতে আলতো ভাবে হাতের পরশ লাগায় সে। তার একটু লজ্জা লাগে কারণ শক্ত চামড়ার হাতের পরশ পেয়ে বনফুলটি একটু ব্যাথা অনুভব করে কিনা।

আমার শুধু জানতে ইচ্ছে করে এই পৃথিবীর মানুষ কোথায় কে কী করে। রঙ্গিন এই পৃথিবীর মানুষ আসলেই কতটুকু সুখে আছে। আর, কার কিসে সুখ, তা খুঁজে বের করতে ইচ্ছে করে আমার।

মানুষের জীবনের কত গল্পই না অপ্রকাশিত থেকে যায় !



শান্ত সুন্দর বর্ননা, টুকরো টুকরো জীবনবোধ আর শেষে এসে বিষাদসিক্ত সমাপ্তি।

ভালো লেগেছে গল্প।

লিখে চলুন নিরন্তর। শুভকামনা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:০৭

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৩

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ছবিটা দেখে গল্প পড়তে ইচ্ছা হল। বেশ ভাল লিখেছেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:১১

পার্থ তালুকদার বলেছেন: সময় নিয়ে পড়েছেন তাই অনেক ধন্যবাদ ।
ভাল থাকুন সবসময় ।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বুকে বেদনার নীল বিষাদ ছেয়ে গেলো গল্পের শেষে এসে। একরাশ কান্না মাখা ভাললাগা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:১৪

পার্থ তালুকদার বলেছেন: পাঠে ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন নিরন্তর ।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:





ভিন্নতা আছে গল্পের লিখনীতে। ভালো লাগা রইল +++

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:১৬

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর ভাই। ভাল থাকুন আপনি ।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:০৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পে ষষ্ঠ ভালো লাগা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:১৮

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় প্রবাসী পাঠক ।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। আপনার মধ্যে একজন উৎকৃষ্ট গল্পকারকে দেখতে পাচ্ছি।
ধন্যবাদ, ভাই পার্থ তালুকদার।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

পার্থ তালুকদার বলেছেন: হা হা... কি বলেন ভাই...
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
ভাল থাকুন।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

মদন বলেছেন: অসাধারন

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

আনোয়ার ভাই বলেছেন: উৎকৃষ্ট গল্পকারকে দেখতে পাচ্ছি

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

পার্থ তালুকদার বলেছেন: আশান্বিত হলাম।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সর্বদা ।

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: অপরুপ বর্ণনায় বিষাদের পালক ছোঁয়া গল্প । ভালো লেগেছে ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই আপনার এমন অপরূপ মন্তব্যের জন্য।
বরাবরের মতই আমার ব্লগে আপনার স্পর্শ আশা করছিলাম।
ভাল থাকবেন।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২০

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লাগল।
কিছু লাইন মন ছুঁয়ে গেল।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার ।

জেনে ভাল লাগল। ভাল থাকবেন আপনি।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪০

আধখানা চাঁদ বলেছেন: অনেক ভাল লাগা রইল গল্পটায়।

++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

আধখানা চাঁদ বলেছেন: অনেক ভাল লাগা রইল গল্পটায়।

++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

পার্থ তালুকদার বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন ভাই।

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
অনুভূতির ছোট ছোট সুন্দর বর্ণনায় প্রকাশ ৷ তবে টেনেছেন কিঞ্চিৎ দ্রুত আর রক্তদানে লিউকেমিয়া টেষ্ট হয় নিজের অভিজ্ঞতায় জানা ছিল না ৷ চন্দনার সাথে হোটেলে এভাবে প্রবেশের ঘটনা ভাবার মতন ৷ 'শান্তনু' নামটি প্রায় ২৫ বার এসেছে এক্ষেত্রে ভিন্ন সর্বনাম ব্যবহার করতে পারেন ৷ বহুল ব্যবহৃত ও পরিচিত কাহিনী প্রকাশে আপনার শৈল্পিক বর্ণনা উল্লেখযোগ্য নিঃসন্দেহে ৷


আম পাঠকের মন্তব্য বলে ধরবেন আশা করি ৷ ভাল থাকবেন ৷








৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

পার্থ তালুকদার বলেছেন: সত্যি বলতে কি রক্তদানের ব্যপারটা কিছুটা টেনে নিয়েছি ! আর শান্তনু নামটা আমার অজান্তেই বারবার চলে এসেছে ।

আপনার এমন সুক্ষ পাঠের জন্য সত্যিই ধন্যবাদ ।
ভাল থাকবেন আপনিও।

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

তুষার মানব বলেছেন: চমৎকার গল্প

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

পার্থ তালুকদার বলেছেন: পাঠে ও মন্তব্যে শুভকামনা।

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
ভাল থাকুন নিরন্তর ।

১৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প +++++

শুভেচ্ছা :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ।
আমার ব্লগে স্বাগতম।

১৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রথমে পড়ে মনে হচ্ছিল শান্তনুর লেখক হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু শেষটা অন্যরকম হয়েছে।

ভাল লাগল।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

পার্থ তালুকদার বলেছেন: মানুষের জীবনের যে নির্দিষ্ট কোন গতিপথ নেই তাই বুঝাতে চেয়েছিলাম, জানিনা পেরেছি কিনা।
ভাল থাকবেন ভাই ।

১৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:৪০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন। ১১ তম ভালোলাগা। শান্তনুর মত চমৎকার ছেলেরা কেন যে এত তাড়াতাড়ি ঝরে যায়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠক । সাথে দুঃখিত, একটু দেরিতে প্রতিউত্তরের জন্য।

২০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: হিসাব মিলাতে পারেনা শান্তনু। কোথায় যেন গড়মিল, কোথায় যেন ফারাক।
বেশ লাগল +++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০৩

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার। ভাল থাকবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.