নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অামি অতি সাধারণ, সাধারণ থাকতে চাই ।

পার্থ তালুকদার

আমি ভাই সাধারণ, সাধারণ থাকতে চাই।

পার্থ তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ শাড়ি

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯





আকাশি গাছের খসখসে শুকনো পাতাগুলো মৃদু বাতাসের স্পর্শে এক এক করে বাড়ীর উঠানে বিছানো বালিতে গড়াগড়ি করছে। জানালার ওপাশে দাঁড়িয়ে লোহার রডে দুই হাতের মুষ্টি চেপে গাছের প্রাণহীন শুকনো পাতা আর বালিকণার এমন মাখামাখি অপলক চোখে খেয়াল করছে লোপা। শহরে মাথা উচু করে দাড়িয়ে থাকা বিল্ডিংয়ের মাঝে হাটু ভাঙ্গা বৃদ্ধের মতো কোনভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে লোপাদের বাড়ীটি। লোপার বাবার এ নিয়ে মনে কোন আক্ষেপ নেই। বুক উচিয়ে, চোখ ঘুরিয়ে তাঁর স্ত্রীকে বলেন- বুঝলা লোপার মা, আমার দুইটা মেয়ে যেন আমার দুইটা জলন্ত চোখ, ঐ চোখ দুটির যত্নে তুমি কখনও হেয়ালি করো না।



গত বছরের এমনই এক দিনে লোপা বিয়ে করে সদ্য বিদেশ থেকে পিএইচডি করে আগত পলাশকে। মা-বাবার একমাত্র আদুরে ছেলে পলাশ। পড়াশুনায় মেধাবী এমন ছেলে পেয়ে লোপার বাবা-মা যেন হাতে আকাশের উজ্জ্বলতর তারাটা পেয়েছেন। সর্বগুণে গুনান্নীত না হলেও সুশ্রী, শিক্ষিত ও বুদ্ধিমতি মেয়ে লোপা। ছোট বোন দিপাকে তাঁর মা বলেন- ‘শুন দিপা, ভাল করে পড়াশুনা কর। তোকেও পলাশের মত এমন শিক্ষিত ছেলের কাছে বিয়ে দিব।’ মায়ের মুখে পলাশের এমন গুণগান শুনে গর্বে লোপার মনটা ভরে যায়।



এসব মনে পড়তেই জানালায় লম্বালম্বি ভাবে দাড়িয়ে থাকা রড দুটিতে দুহাতে শক্ত করে চেপে ধরে সে। দুচোখে ঠান্ডা অনুভুতি হয় তাঁর। শাড়ির নরম আচল দিয়ে মুছে নেয় চোখের জমানো জলের ধারা। বাবার বাড়িতে এভাবে হুটহাট করে চলে আসবে তা কখনো কল্পনা করেনি সে।



বিয়ের ছ’মাস পরেই পলাশের আমুল পরিবর্তন চোখে পড়ে তাঁর। স্ত্রীর সামনে একটা অচেনা মোবাইল থেকে ফোন আসলেই পলাশের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। কিছু একটা লোকানোর চেষ্টা করে সে। ফেসবুকে যখন ঐ মেয়েটির সাথে চ্যাট করে তখন তাঁর মুচকি হাসি লোপার হৃদয় কাপিয়ে তুলে। শান্ত নদীতে যেন বৈশাখি ঝড় বয়ে যায়। চকচকে ফ্ল্যাটে সে তখন কোন সুখ খুঁজে পায় না। সে সুখ খুঁজে চাকচিক্যময় এই জীবনের পাতায় পাতায়। শোকেসে রাখা প্রতিটা রঙ্গিন শোপিসের মাঝে লোপা সুখ খোঁজে।



একটা সময় পলাশের কাছ থেকে সব জেনে নেয় লোপা। মেয়েটির নাম নিম্মি। পলাশের খুব কাছের বান্ধবী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন নিম্মির সাথে খুবই ঘনিষ্টতা ছিল তাঁর। এ নিয়ে বন্ধু-বান্ধবীরা আড় চোখে অনেক কিছুই বলতো। তাতে কান না দিয়ে অবাধে ঘোরাফেরা করত তারা। পলাশের ভাষায়- ‘কিছু প্রেম নাকি সুপ্তই রয়ে যায়। সময় আর সুযোগের অভাবে বিকশিত হয় না।’ নিম্মির প্রতি তাঁর প্রেমের ধরণ এমনই ছিল।



- তাহলে আমার সাথে না জড়ালেই পারতে।

- তা পারতাম, তবে নিম্মিকে বিয়ে করে সংসার গড়ব তাও মানতে পারছিলাম না। ভেবেছিলাম তোমাকে বিয়ে করলেই পুরানো সব স্মৃতি মন থেকে ঝড়ে যাবে। কিন্তু তা ও হয়নি।

- দেখো পলাশ, তুমি যেভাবে ঐ মেয়েটির সাথে কথা বল, চ্যাট কর, তা চলতে থাকলে আমার দ্বারা তোমার এই সংসারে থাকা সম্ভব নয়। তোমার ভিতরের এই দ্বৈতসত্তা আমাকে চিবিয়ে চিবিয়ে শেষ করে দিচ্ছে।

- আহা, এখানে দ্বৈতসত্তার কী দেখলে। নিম্মির প্রতি আমার একটা মোহ ছিল,টান ছিল, সেটা আমি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। তাছাড়া তোমাকে আমি অনেক পছন্দ করি। এই যে শাড়িটা তুমি পরে আছ, সেটা কত কষ্টের বিনিময়ে ম্যানেজ করেছি আমি, তুমি কি জানো !



এসব বলতে বলতে পেছন থেকে লোপাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে পলাশ। লোপা ঘুরে গিয়ে পলাশের কামুক হাত দুটি ফিরিয়ে দেয়। নিজেকে একটু দুরত্বে সরিয়ে নিয়ে বলে- ‘তোমাকে আমি দু’একদিন সময় দিচ্ছি পলাশ, তুমি নিজেকে শুধরিয়ে নাও। এর পরিনতি ভাল হবে না বলে দিচ্ছি। বেলা শেষে তোমার ব্যাকুল সুর আমাকে ফিরাতে পারবে না।’



না, পলাশ নিজেকে শুধরাতে পারেনি। লোপাও পারেনি নিজেকে সামলাতে। একদিন ঝগড়া যখন তুঙ্গে, লোপা তখন মায়ার এমন ইন্দ্রজাল পেছনে ফেলে তাঁর বাবার বাড়িতে চলে আসে। আজ সে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে গত এক বছরের প্রতিটি মুহুর্তকে আকড়ে ধরার চেষ্টা করছে। সেখানে দুঃখের স্মৃতি বেশি হলেও সুখের পরিমানটাও নেহাত কম নয়।



পিঠে নরম হাতের পরশ পেয়ে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে তাঁর মা মুখে কালো মেঘের ছায়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। লোপা বাড়িতে আসার পর থেকে তাঁর মায়ের হাসিমুখ যেভাবে কালো বরন ধারন করেছে তা আর সরূপে ফিরে আসেনি।

- বুঝলি মা, সংসারে এমন একটু-আধটু সমস্যা হবেই। তাই হুট করে এভাবে চলে আসতে হয় না। তাছাড়া আমাদের আশেপাশের মানুষজন কী বলবে শুনি। পলাশ তোকে অনেক ভালবাসে। আচ্ছা দেখ, সে যখনই কোথাও বেড়াতে যায় তোর জন্য কত কিছু নিয়ে আসে। তুই এই এক বছরে যে কয়টা শাড়ি পরেছিস, আমি সারা জীবনেও এতটা শাড়ি পাইনি।

- মা, একটা মেয়ের জীবনে শাড়িই কি সব ? আচ্ছা মা, বাবা তো তোমাকে এতটা শাড়ি কিনে দেয়নি, তার মানে কী তুমি সুখি হও নি ?



মেয়ের মুখ দিয়ে এমন কঠিন সত্যটা বেরুবে তা ভাবেননি লোপার মা। মাথা নিচু করে তিনি রুমের দিকে পা বাড়ান। লোপা বলে, ঠিক আছে মা, আমি কাল পলাশের কাছে চলে যাব। আমাকে নিয়ে তোমাদের ভাবতে হবে না। আর পাড়াপড়শিকে বলে দিও, ওরা যা বলতে চায় তা যেন আমাকেই বলে।



পুরোটা রাত জেগেই কাটিয়ে দেয় লোপা। পলাশের সাথে কেটে যাওয়া দিনগুলোর মধ্যে ভাললাগার প্রতিটা ক্ষণ খুটিয়ে খুটিয়ে আলাদা করে। একবার গভীর রাতে যখন ঝুম বেগে বৃষ্টি হচ্ছে, তখন পলাশ লোপাকে নিবিড় ঘুম থেকে টেনে তুলে বেলকনিতে বসিয়ে রাখে। তারপর সে নিজ হাতে কফি তৈরি করে নিয়ে এসেছিল। লোপা ঘুমকাতুর চোখে বলেছিল- এসব কী হচ্ছে পলাশ !



আরেকবার কী হলো, লোপা বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় ফিরেছে। পলাশ তাকে গদগদ কন্ঠে বলল, তুমি কিন্তু এখন হলুদ শাড়িটা পরবে এবং শাড়িটা আমিই পরিয়ে দিব। লোপা চোখদুটি কপালে তুলে বলল- তুমি আমাকে শাড়ি পরিয়ে দিবে! ছিঃ পলাশ, অবশেষে তুমি দুষ্টুর তালিকায় নাম উঠালে ! পলাশ বলল, আচ্ছা তাই ! ওকে, যেহেতু তুমি এই খেতাব দিয়েছ, তাহলে এবার আমার দুষ্টুমিটা একটু সহ্যই করো ডার্লিং।

সেদিন কিছু দুষ্টুমিই হয়েছে, শাড়িটা পরা হয়নি।



আজ রাতে লোপার চোখে বর্ষা বইছে। মন কাঁদছে তাঁর। প্রিয়কে কাছে পাওয়া তীব্র বাসনা এই বর্ষাকে দ্বিগুন করে দিয়েছে। তাই, পৃথিবী যখন একান্ত ভাবনায় ব্যস্ত তখন সে সিদ্ধান্ত নেয় রাত পোহালেই পলাশের কাছে হাজির হবে। নতুন সূর্যকে সাক্ষী রেখে ভালবাসার কাছে সে হার মানবে।



কলিং বেলটা চেপে দাঁড়িয়ে আছে লোপা। মনটা অজানা এক ভয় আর উত্তেজনায় চটপট করছে। ভিতর থেকে কানে আসা কলিং বেলের শব্দটা তাঁর খুবই পছন্দের। কিছুদিন আগে সে নিউমার্কেট থেকে অনেক খোজাখুজি করে কিনেছিল। বেলটা চাপলেই একটা শিশুকণ্ঠ বলে উঠে- ‘আমাদের বাসায় সু-স্বাগতম।’

ওপাশের দরজা খোলার শব্দটা কানে বাজতেই সোজা হয়ে দাঁড়ায় লোপা। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে তাঁর অচেনা মনে হলেও শাড়িটি চিনতে ভূল করেনি। এটা তাঁর সেই প্রিয় শাড়ী, যেটা কিছুদিন আগে পলাশই কিনে দিয়েছিল। ভিতর থেকে পলাশের তীর্যক কণ্ঠ- কে এসেছে নিম্মি ?



নিম্মি শব্দটা তাঁর কানে আসতেই সে অবাক চোখে মেয়েটির দিকে তাকায়। তাঁর দু’পা কাঁপছে। নরম হৃদয়টাতে কে যেন ধারালো ছুরি দিয়ে ছপাত ছপাত করে কুপিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি তাঁর সামনে এভাবে হোঁচট খেয়ে পরবে তা ভাবেনি কখনো।

বুদ্ধিমতী লোপা মাথা ঠান্ডা করে বলে- এটা কি ফারুক সাহেবের বাসা ?

- না। আপনি ?

- আমি .. .. স্যরি, আপনি আমাকে চিনবেন না।

আবার পলাশের কণ্ঠ- কে এসেছে নিম্মি ?

- অপরিচিত এক মহিলা। ফারুক সাহেবের বাসা খুঁজছে।

- তুমি বলে দাও, এই নামে কোন মানুষ এই ফ্ল্যাটে নেই, এমনকি বিল্ডিংয়েও। তারপর নিজেকে নিজেই বলে- এত স্লো মেমরি নিয়ে মানুষ কীভাবে চলে!



পলাশের এমন অবহেলার সুর কানে নিয়ে লোপা ক্ষীপ্র গতিতে সিঁড়ি বেয়ে নামতে থাকে। তিন তলার এই কয়েকটি সিড়ি বেয়ে নামতে ঘাম ঝরছে তার। চোখের কোনে যেন বরষা বইছে। সে জানেনা এই সিঁড়ি বেয়ে কখনও তাকে উঠতে হবে কিনা। তাঁর গন্তব্য এখন অজানা, অজ্ঞাত। সে কী আজ শ্বেত-শুভ্র বক পাখির মত মুক্ত ডানা উড়িয়ে আকাশে উড়বে নাকি আশ্রয় নিবে নতুন কোন ঠিকানায়, নতুন কোন নীড়ে। সবই অজানা তাঁর, অথচ নিয়তি দ্বারা সবই নির্ধারিত।



মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গল্পে ভাললাগা ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

প্রথম পাঠক হিসাবে আপনাকে একটা উপহার দেয়া উচিত। হা হা ---

ভাল থাকবেন।

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

 বলেছেন: + :D

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ, এ যেন এসএসসি তে এ প্লাস্ পেলুম !!

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

আলম দীপ্র বলেছেন: ‘কিছু প্রেম নাকি সুপ্তই রয়ে যায়। সময় আর সুযোগের অভাবে বিকশিত হয় না। বাহ !

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ দীপ্র ।

ভাল থাকবেন সবসময় ।

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: চমৎকার । ১ম ভালোলাগা +

ভালো থাকবেন :)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৪

পার্থ তালুকদার বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ রায়হান ভাই....

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:

অনেক ভালোলাগা

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৭

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ---

৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ডি মুন বলেছেন: ‘কিছু প্রেম নাকি সুপ্তই রয়ে যায়। সময় আর সুযোগের অভাবে বিকশিত হয় না।’
.................................... আমার প্রেমের যে কবে বিকাশ হবে, সুযোগই তো আসে না :(


তুই এই এক বছরে যে কয়টা শাড়ি পড়েছিস, আমি সারা জীবনেও এতটা শাড়ি পাইনি।

................... " বিয়েতে একান্নটা শাড়ি পেয়েছিল মেয়েটা / অষ্টমঙ্গলায় ফিরে এসে আরো ছ'টা " । কবিতাটা মনে পড়ে গেল গল্প পড়তে পড়তে :)


শেষদিকে বিষাদাক্রান্ত হলাম।
গল্প ভালো হয়েছে +++++

শুভকামনা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৮

পার্থ তালুকদার বলেছেন: আমার প্রেমের যে কবে বিকাশ হবে, সুযোগই তো আসে না :( -------- হবে ভাই হবে ।

আগে আমার বিকাশ নাম্বারে কিছু টাকা পাঠাইয়েন !!

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন পার্থ । জীবনে সত্যের মুখোমুখি হয়ে অনেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না । লোপা পেরেছে । লোপার নিরুদ্দেশ যাত্রায় অনিঃশেষ ভালোলাগা ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২০

পার্থ তালুকদার বলেছেন: জীবনে সত্যের মুখোমুখি হয়ে অনেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না । ----- আসলেই তাই ।

ধন্যবাদ , ভাল থাকবেন মামুন ভাই ।

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: খুব ভাল +++

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৪

পার্থ তালুকদার বলেছেন: এমন প্লাস এর জন্য অনেক ধন্যবাদ ব্লগার ----

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: :( :(

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২১

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ----

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০১

জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার গল্পে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম ভাই :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৪

পার্থ তালুকদার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মবীন ভাই ।

আমার ব্লগে আপনার স্পর্শ আমাকে অনুপ্রানিত করে । ভাল থাকবেন।

১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গল্পের প্রথম বাক্যটা পছন্দ হয়েছে।শেষ বাক্যটাও। গল্প একটা ভিন্ন অর্থও পেয়েছে এ কারণে।
পুরো গল্পটা আমার কাছে আপনার অন্যান্য গল্পের চাইতে কম ভালো লেগেছে।
।আর এটাই স্বাভাবিক - একেকজনের কাছ একেক গল্প ভাল লাগবে।

আপনি কিন্তু বেশ অনেকদিন পর গল্প দিলেন . বিনোদিনী টি স্টলের গল্পের লেখকের কাছে আরো দ্রুততার দাবী রাখছি।
পরের গল্পের জন্য এত অপেক্ষা করতে পারব না।



ফেসবুকে যখন ঐ মেয়েটির সাথে চ্যাট করে তখন তাঁর মুচকি হাসি লোপার হৃদয় কাপিয়ে তুলে। শান্ত নদীতে যেন বৈশাখি ঝড় বইয়ে যায়।
- এই লাইনে বয়ে যায় দিলে আমার মনে হয় আগের লাইনের সাথে ভাল ম্যাচ দেখাবে ।



তাতে কান না দিয়ে অবাদে ঘোরাফেরা করত তারা। - অবাধে
বালিকনার এমন মাখামাখি অপলক চোখে খেয়াল করছে লোপা।- বালিকণা

মায়ের মুখে পলাশের এমন গুনগান শুনে গর্বে লোপার মনটা ভরে যায়। - গুণগান
কিছু একটা লোকানোর চেষ্টা করে সে। - এই জায়গায় লুকানোর না লুকোনোর দিলে মনে হয় ভাল হয় ।

হলুদ শাড়িটা পড়বে এবং শাড়িটা আমিই পড়িয়ে দিব। লোপা চোখদুটি কপালে তুলে বলল- তুমি আমাকে শাড়ি পড়িয়ে দিবে! -
পরবে

নিম্মির প্রতি তাঁর প্রেমের ধরন এমনই ছিল। - ধরণ ।
আরো কিছু টাইপো আছে দেখে নেবেন ।


আসলে এই অনলাইনে অসচেতনতা,সময়ের অভাব, অভ্রতে লেখা, বাংলা একাডেমির বানান রীতির পরিবর্তন
ইত্যাদির কারণে লিখতে গেলে প্রচুর বানান ভুল হয়।অনলাইনকে পেয়ার করার পর হতে আমারও বানান ভুলের পরিমাণ
বেড়ে গেছে।তবে নিজের ভাষা যেহেতু, আমাদের সবার শুদ্ধ বানান চর্চা করার স্বার্থে - আমরা যারা লিখছি,
আমাদেরকেই আমাদের দেখভাল করতে হবে। একজনকে আরেকজনের সহযোগিতা করতে হবে।


ভালো থাকবেন প্রিয় পার্থ ভাই । :)
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩১

পার্থ তালুকদার বলেছেন: মাই গড , এত্ত ভূল !!!

এমন মনযোগী পাঠের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই।

পরের গল্পের জন্য এত অপেক্ষা করতে পারব না। ------- হা হা, চেষ্টা করবো ভাই।

তবে নিজের ভাষা যেহেতু, আমাদের সবার শুদ্ধ বানান চর্চা করার স্বার্থে - আমরা যারা লিখছি,
আমাদেরকেই আমাদের দেখভাল করতে হবে। একজনকে আরেকজনের সহযোগিতা করতে হবে। ----------- সহমত।

আপনিও ভাল থাকবেন প্রিয় মাহমুদ ভাই।

১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: শেষটা প্রত্যাশিত কিংবা অপ্রত্যাশিত !
ভালো লেগেছে :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৪

পার্থ তালুকদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় অভি ভাই ।

সেদিন আপনাকে নিয়ে মামুন ভাইয়ের সাথে কথা হলো।

ভাল থাকবেন।

১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার গল্প পেলাম। তবে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এমন গল্প পেলে ভালোই লাগে। গল্পে ৬ নং ভালো লাগা রইল পার্থ দা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৮

পার্থ তালুকদার বলেছেন: এই অধমের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন- ভাবতেই মনে শিহরন লেগেছে ।

ধন্যবাদ, প্রবাসী ভাই ।
আপনার প্রবাস জীবন খুবই ভাল কাটুক।

১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: অনেক সুন্দর করে লিখছেন

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১০

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ মজুমদার ভাই।

সর্বদা ভাল থাকা হোক ।

১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৩৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আমি বেশ মুগ্ধ---তবে বানান বেশ জায়গায় ছুটে গেছে, চন্দ্রবিন্দু মিসিং অনেক জায়গায়।
যাই হোক ভাল লিখেন আপনি স্বীকার করতেই হবে----

কষ্টটুকু ছুঁয়ে গেছে যদিও কাম্য নয় এমন জীবন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৬

পার্থ তালুকদার বলেছেন: বানান ভূলের জন্য আসলেই লজ্জ্বিত । বেচারা চন্দ্রবিন্দুকে নিয়ে আমি বড় বিপদে আছি আপু !!!

এমন মনযোগী পাঠে ধন্যবাদ প্রাপ্য ।

ভাল থাকবেন, ব্লগার।

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

একনীল বনসাই বলেছেন: সম্পর্কে টানাপোড়া ......।
ভালো লাগলো....

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৭

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠক ।

অনেক অনেক ভাল থাকবেন।

১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পে খুব ভালো লাগলো ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯

পার্থ তালুকদার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ পাঠক। ভাল থাকা হয় যেন।

১৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

সুমন কর বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে। সারলীল বর্ণনা।

মাহমুদ ভাইয়ের মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি অার্কষণ করছি।

উনার দেখানো ভুলগুলে এখনো ঠিক করেননি।

অারো টাইপো অাছে। ভুল হতেই পারে, অামারও হয়। কিন্তু অামাদেরকে সংশোধন করে নিতে হবে।

গল্প কিন্তু অনেক ভাল হয়েছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২২

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।

এখনই বানান গুলো ঠিক করার চেষ্টা করছি ।

ভাল থাকবেন আপনি ।

১৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন আপনি...বেশ লাগলো...

অনেক শুভকামনা রইল ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২১

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য।
ভাল থাকবেন ।

২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
লেখক মনে হয় বেশ কম সময় দিয়েছেন লেখাটির প্রতি ৷

শুভকামনা ৷

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই ।
ধন্যবাদ।

২১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

শহীদুল ইসলাম অর্ক বলেছেন: গল্পটা ভাল লাগল।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩৩

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার।

২২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: লোপার জন্য খুব খারাপ লাগছে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৪

পার্থ তালুকদার বলেছেন: পাঠে আর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: গল্পে ভালোলাগা রেখে গেলাম।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

পার্থ তালুকদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.