নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর পারছি না কুমুদিনী। তোমাদের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা যেনো ফুরাতেই চাচ্ছে না। সত্যি করে বলতো দেখি, আর কতো দূর ? আর কতো দূর তোমার বাপের বাড়ি ? আমি যে আর পারছি না কুমু ! পেটের ভেতরে আমার গুড়গুড় করিয়া মেঘের গর্জন শুরু হইয়াছে।
কুমুদিনী পেছন ফিরিয়া তাকাইয়া দেখে তার সদ্যবিবাহিত লাজুক স্বামী প্রকৃতির ডাকে নিজেকে বিসর্জন দিয়া ছাতার আড়ালে মাথা নিচু করিয়া ক্ষেতের আলে প্রাকৃতিক কর্ম সারিয়া ফেলিতেছে।
হরেষলাল বিয়ের পর এই প্রথম কুমুদিনীকে নিয়ে শশুরালয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ বর দ্বিরাগমন যাকে বলে। লঞ্চ থেকে নামিয়া প্রায় সোয়া ক্রোশ দুরত্বে কুমুদিনীর বাবার বাড়ি। ঐ পথটুকু পার হইতে দু'পা-ই ভরসা। তাই বিকল্প কিছু ভাবার অবকাশ নেই।
বাড়িতে ওঠার ঠিক আগ মুহূর্তে হরেষলালের এমন কুকীর্তি কুমুদিনীর শীতল শরীরে যেনো পেট্রোলের আগুন ধরাইয়া দিল। রাগে-লজ্জায় তার বদনটি যেনো রক্তিম বর্ণ ধারণ করিল। হায় ভগবান ! বাড়ির সম্মুখে আনিয়া এমন লজ্জ্বায় কেনো ফেলিলে মোরে। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন যে বাড়ির কেউ এমন কুকীর্তি স্বচক্ষে অবলোকন করে নাই।
কুমুদিনী হৃদয়ে অঙ্গার পোড়া জ্বালা আর মুখে সুকৃত্রিম হাসি লইয়া বাড়িতে প্রবেশ করিলে বাড়ির বউ-ঝি'রা নতুন জামাইকে উলুলধ্বনি সহকারে বরণ করিল। কুমুদিনী মা-মাসীর সাথে গল্পে মত্ত হইয়া ক্ষেতের আলের দুঃস্মৃতি ভুলিয়া গেল। ইতিমধ্যে নতুন জামাই আগমন উপলক্ষে বাড়িতে মিষ্টি খাওয়ারও ধুম পড়িয়া গেল।
হঠাৎ বাড়ি জুড়ে সবার মুখে মুখে গন্ধ গন্ধ রব শুনিয়া বায়ুবেগে কুমুদিনী হরেষলালের কাছে উপনীত হইয়া তার কানেকানে অথচ ক্ষীপ্রতা নিয়া বলিল - কী হয়েছে সত্যি করে বলো তুমি। হরেষলাল কাঁপা কাঁপা স্বরে কিছু একটা বলিতে চাহিলে কুমুদিনী তার আদ্যপান্ত না শুনিয়া নাকের রন্দ্রদ্বয় চাপা মারিয়া চরম ক্ষীপ্রতা নিয়া আদেশের স্বরে বলিল- তুমি এখুনি গিয়ে পুকুরের জলে ঝাঁপ মারিবে।
হরেষলাল মাঘের তীব্র শীতে সন্ধ্যার আঁধারে চুপিচুপি পুকুরের হিমশীতল জলে শ্বেত বর্ণের ধুঁতি আর নিজের নিম্নাঙ্গ ধুইতে লাগিল। কুমুদিনী অন্ধকার পুকুরঘাটে দাঁড়াইয়া স্বামীকে অবলোকনকালে কুমুদিনীর মা খুপি জ্বালাইয়া মাছ ধুয়ার তরে পুকুরে আসিলে জামাইর এমন কীর্তি দেখিয়া বলিলেন- বাবা, কী হইয়াছে তোমার ?
কুমুদিনী বড়শির ছিপের মতো হ্যাচকাটানে মায়ের কথা কাড়িয়া নিয়া বলিল- মাগো, তোমার জামাইর সুচিবায়ুতার দোষ বিদ্যমান । শরীরে এক দানা ধুলা পড়িলেই তা গরমকালেই হোক বা শীতকালেই হোক তার স্নান করিবার বাতিক রইয়াছে।
বাড়ির কাজের ছেলে সুনীল কোথা থেকে অকস্মাৎ পুকুর পাড়ে এসে উপস্থিত হইলো। সে চিৎকার করিয়া বলিতে লাগিল- কাকিমা, কাকিমা, তোমার জামাই আজ একখানা আকাম করিয়াছেন। উনি কাপড়চোপড়ে প্রাকৃতিক কর্ম সারিয়ে ফেলেছেন। তিনি হাগু দিয়াছেন, তাই বাড়িময় এমন ধু ধু গন্ধ। এমনকি তিনি ক্ষেতের আলেও এই কর্ম করিয়া আসিয়াছেন !
এরই মধ্যে হট্টগোল শুনিয়া পুকুর পাড় লোকে লোকারণ্য হইয়া উঠিল। হাটে হাড়ি ভাঙায় কুমুদিনী এক লম্প দিয়া সুনীলকে ধরিয়া বেদম উত্তম-মধ্যম শুরু করিল। শাশুড়ি কাটামাছ জলে ফেলিয়া দুপায়ের আঘাতে মাটি কাঁপাইয়া বাড়িমুখো ছুটিতে লাগিলেন। হরেষলাল ছলছল চোখে আকাশ পানে তাকাইয়া বিড়বিড় করিয়া বলিলো- আহ.. এ বিপদে মোরে কেনো ফেলেছো দীননাথ ? রক্ষা করো তুমি, এবারের মতো রক্ষা করো মোরে !
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আসলেই রম্য।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসাধারন! হয়তো নয়,প্রকৃতই সুন্দর রম্য রচনা।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরি ভাই ।
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রম্য ভাল লাগিয়াছে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ জানিবেন
৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০০
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বেচারা।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
পার্থ তালুকদার বলেছেন: কি আর করা !!
৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: রম্য গল্পে ভাললাগা।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ করুণাধারা ।
৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪
শামচুল হক বলেছেন: মন্দ নয়, ভালই লাগল।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৮
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সুমন কর বলেছেন: হাহাহাহা........রম্য ভালো হয়েছে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৯
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: লেখার ভাষাটা রম্য টাইপই ছিল।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গল্পটা বিখ্যাত লেখকদের মত ইয়াছে।
০৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০২
পার্থ তালুকদার বলেছেন: হা হা ..... ধন্যবাদ সরকার ভাই ।
১১| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২০
হারানোপ্রেম বলেছেন:
১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
পার্থ তালুকদার বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হা হা হা, দারুণ