নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুমারী প্রথা বা সুতো প্রথা

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯



প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা ভারতের অন্যতম একটি প্রথা হল কুমারী প্রথা বা সুতো প্রথা । এই প্রথায় কুমারী মেয়েদের কৌমার্যের পরীক্ষা দিতে হত । যার মাধ্যমে প্রমানিত হত সে কুমারী কিনা । একটি সাদা দড়ি বা সুতো মেয়েটির শরীরের ব্যক্তিগত জায়াগায় বাঁধতে বাধ্য করা হত । যদি লাল সুতোটি রক্তে ভিজে যেত তাহলে প্রমানিত হত মেয়েটির কুমারী বা কৌমারীত্ব নষ্ট হয়ে গেছে । রাজস্থানেরর সানসি নামক উপজাতিদের মধ্যে আজও প্রচলিত । এই প্রথায় যদি দেখা যেত মেয়েটির চরিত্রদোষ আছে , বা তার কৌমারীত্ব নষ্ট হয়ে গেছে তাহলে তার উপর শুরু হয় সামাজিক অত্যাচার । তাকে প্রচন্ড মারধর করা হয় । জিজ্ঞাস করা হত যে বিবাহের পূর্বে কোন পুরুষের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক হয়েছে । যখন সেই মেয়েটি কোনো পুরুষের নাম বলত তখন মেয়ের বাবা ছেলেটির কাছে বিরাট পরিমানে ক্ষতিপূরণ দাবী করত বা করে ।

২ জল দিয়ে চারিত্রিক বিশুদ্ধতার পরীক্ষা -

কৌমারীত্বের পরীক্ষার আর একটি প্রথা হল জল দিয়ে চারিত্রিক বিশুদ্ধতারর পরীক্ষা । প্রধানত উত্তর প্রদেশে এই প্রথা চালু ছিল । তবে সরকার এ প্রথা বন্ধ করলেও লুকিয়ে জায়গায় জায়গায় এ প্রথা আজও চালু আছে । এই প্রথায় জলের তলায় মেয়েটিকে নিঃশ্বাস বন্ধ করে থাকতে হত । তখন জলের উপর দিয়ে একজন পুরুষ একশত পা হাঁটবেন । এই একশত পা হাঁটার মধ্যে যদি মেয়েটি নিঃশ্বাস ধরে রাখতে পারে তাহলে সে অতি পূর্ণবতী ও শারীরিক বিশুদ্ধতায় পাশ করবে । তার চরিত্র নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবেনা ।উল্লেখ্য হয়তো কোনো পুরুষের পক্ষেও এই পরীক্ষা অত্যন্ত কঠিন । কারন জলের তলায় অতক্ষণ নিঃশ্বাস আটকে রাখা প্রায় একপ্রকার অসম্ভব বা মৃত্যুর সামিল । কাজেই মেয়েটির চরিত্র নির্মল নয়, খুব সহজে প্রমানিত হত এবং তার উপর অত্যাচারের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেত ।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: কুমারী ও সুতো প্রথা দুইটাই আমার খুব অপছন্দ।

এই যুগে এসেও এইসব এখনও কেন বিলুপ্ত হয় নাই?

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার তোমার অপছন্দ হলেও চিরাচরিত প্রথা ওরা বন্ধ করবে বলে মনে হয় না।

শুভ কামনা নিরন্তর ।

২| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: :(

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাা প্রান্তর । পড়াশোনার খবর বলো

শুভ কামনা রইল।

৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

সনেট কবি বলেছেন: এসব বন্ধ করা জরুরী।

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ,কবি ভাই আমিও আপনার সঙ্গে একমত। কিন্তু এর সঙ্গে একদিকে ধর্ম অপর দিকে চিরাচরিত ধারা জড়িত। সহজে যাবার নয়।

শ্রদ্ধা রইল, ভাল থাকা নিরন্তর ।

৪| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভয়ানক অবস্থা !!!!
তবে চরিত্র উত্তম হওয়াই কাম্য ।

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ, কবি ভাই। এটা ভারত বর্ষের আর একটি দিক। ভয়ঙ্কর সত্য! আর প্রথাগুলির দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন চরিত্র উত্তম হওয়ার উপায় যে এখানে থাকেনি।

শুভেচ্ছা রইল, ভাল থাকা নিরন্তর ।

৫| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:

ভারতমাতা হাজার কোটী অপদার্থ প্রসব করেছিলেন হাজার বছর ধরে!

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ, শ্রদ্ধেয় তা যা বলেছেন। শহুরে উচ্চ ও মধ্যবিত্তেরই উন্নতি হচ্ছে। রিমোট এলাকা এখনো সেই আদিমই রয়ে গেছে।

অনন্ত শ্রদ্ধা রইল।

৬| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: মারাত্মক প্রথা, জীবন নাশ

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ, হৃদয় ভাই দেখতে থাকুন। আরো আছে।

বৈশাখী শুভেচ্ছা রইল।

৭| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুবই বাজে দুইটি প্রথা, অনেক বড় দেশ হওয়ায় সব এলাকার মানুষ শিক্ষাদীক্ষায় সমানভাবে অগ্রসর নয়, তাই কিছু কিছু এলাকা এ সকল আদিম প্রথা রয়ে গেছে।

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তারেক ভাই এরকম প্রথা আরো আছে। অবাক হয়ে যাবেন পরেরগুলি শুনলে। আর উন্নয়ন মূলত শহর কেন্দ্রিক। সঙ্গে থাকার অনুরোধ রইল।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে ।

৮| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভারত মাতা আসলেই অসংখ্য গর্ধব আর শুকর ছানা প্রসব করেছেন। তাদেরকে দেখলে খালি শরীর জ্বালা করে। ছাগল....

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই পোষ্ট পাঠ ও মন্তব্যে প্রীত হলাম। তবে দুদিন আগে একটি মন্তব্যে সামু আমার ও মন্তব্যকারীর মন্তব্যটি ডিলিট করে ব্লগের শর্তাবলী পাঠিয়ে দিয়েছে, যে কারনে আজ আমি একটু ভয়ে আছি । আমি দঃখিত যে একথাটি বলতে হচ্ছে। আসলে কমেন্ট গঠনমূলক দিয়েন। আমাকে প্লীজ ক্ষমা করবেন। আপনার সঙ্গে আমিও সমানে ব্যাথিত।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

৯| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫০

শামচুল হক বলেছেন: এখন তো মানুষ অশিক্ষিত নয়, এসব বাজে প্রথা বন্ধ হওয়া দরকার।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না শামচুল ভাই, এই সমস্ত জাতি মূলত অশিক্ষিত। এদের সমাজে এখনো শিক্ষা তেমন ঢোকেনি।

প্রিয় শামচুল ভাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।

১০| ০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা। উপমহাদেশের কুমারী প্রথা জানতাম। কিন্তু এর গভীরতা তেমন জানতাম না। সূতা প্রথার কোন ধারণাই ছিল না। এগুলো চরম বর্বরতা। এই একুশ শতকে এসেও আমরা মানুষ হতে পারিনি। মেয়েদর মানুষ নয় 'মাল' ভাবতেই পুরুষরা বেশী আরাম পায়। মেয়েরা ভারত উপমহাদেশে এখনো সেক্স বম্ব/টয়।

আর উত্তর প্রদেশের যে কথাটি বল্লেন তা রীতিমতো পৈশাচিকতা। চরম বর্বরতা। উত্তর প্রদেশ হলো উপমহাদেশের কু-প্রথার আঁতুড় ঘর।

অনেক ভাললাগা প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই।

০৭ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাড়িতে সন্ধ্যেবেলা লোকজন এসেছিল, যে কারনে দেরিতে উত্তর দেওয়ায় দুঃখিত। আপনার যথাপযোগী ব্যাখ্যা হৃদয় ছুঁয়ে গেল। তবে কাওসার ভাই আমার এই পর্বটি এখনো শেস হয়নি। পরবর্তী অংশ গুলি দেখুন। তখন দেখবেন আমরা কোন ভারতে বাস করি। আর উত্তর প্রদেশ হল কুসংস্কারের আঁতুরঘর। একেবার খাঁটি কথা।

অনেক শুভ কামনা প্রিয় কাওসার ভাই।

১১| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:১৭

এম এ কাশেম বলেছেন: ভারত একটি বর্বর দেশ।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কাশেম ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

১২| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৭

প্রামানিক বলেছেন: উপজাতীদের মধ্যে সাধারণত এ্ইরকম বর্বর নিয়ম প্রচলিত আছে। এসব বর্বর নিয়ম সরকারীভাবে আইন করে বন্ধ করা দরকার।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রামাণিক ভাই। আপনি একেবারে ঠিক কথা বলেছেন, উপজাতিদের মধ্যে এই সমস্ত প্রথাগুলি চালু আছে। সরকারি ভাবে সবগুলিই এখন বেআইনি বলে ঘোষিত হলেও লকুয়ে চুকিয়ে কোথাওবা এগুলি হচ্ছে। আপনি অবাক হবেন সতীদাহ সেই কবে বন্ধ হয়েছে। এখনো উত্তর প্রদেশে সতী ঘটনার নজির আছে। সেখানে পাঁচ পাঁচটি সতী মন্দিরও তৈরী হয়েছে এই একবিংশ শতকে। আমি পরের দিকে এনিয়ে পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে। আপনার সঙ্গ পাওয়া আমার প্রার্থনীয়।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে ।

১৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:৩০

অগ্নিবেশ বলেছেন: আইন করেই সতীদাহ বন্ধ হয়েছে, আইন করেই এগুলি বন্ধ করতে হবে।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অগ্নিবেশ ভাই এই প্রথাগুলি সবই বেআইনি। তবে ভূক্তভোগিরা তো আর আইন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনা। কাজেই বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কাঁদে।

শুভেচ্ছা নিয়েন। ভাল থাকা নিরন্তর ।

১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আজকের এ আধুনিক যুগেও এসব ভয়ানক কুপ্রথা ভারতে চালু রয়েছে জেনে বিস্মিত হ'লাম!
আপনি বলেছেন, "ভূক্তভোগিরা তো আর আইন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনা" (১৩ নং প্রতিমন্তব্য) - এখানে শিক্ষিত, সুশীল সমাজের কিছু করণীয় আছে বলে মনে করি। আইনকে জনবান্ধব (এখানে পড়ুন নারীবান্ধব) ও সুলভ করতে হবে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, স্যার আপনাকে।ভারতবর্ষ একটি বিশাল দেশ । বহু জাতি উপজাতি সমৃদ্ধ দেশের হাজারো মানুষের সংস্কার । সব যে ভালো তা নয়।সরকার যতই প্রচারাভিযান চালাক না কেন জনজাতির একটা নিজস্ব কৃষ্টি কালচার আছে ,সেখানে সরকার বড্ড অসহায় ।তারই বহিঃপ্রকাশ এই ঘটনা গুলি।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার তোমার অপছন্দ হলেও চিরাচরিত প্রথা ওরা বন্ধ করবে বলে মনে হয় না।
শুভ কামনা নিরন্তর ।

আধুনিক যুগ।
পৃথিবী অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সরকারের এখন কুসংস্কার দূর করার জন্য গ্রামে গ্রামে যাওয়া উচিত। তাদের বুঝাবে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,

পুরনো পোস্টে আবার মন্তব্যে আসাতে আনন্দ পেলাম। মন্তব্যে পরবর্তী অংশ সম্পর্কে সহমত হলেও সমস্যাটি হয়ে যাওয়াতে বলার কিছু নেই। ধন্যবাদ ছোট ভাইকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.