নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর ও কতগুলি প্রশ্ন

০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯



আগামী ২৫ মে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ভারত, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যথাক্রমে নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা । নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করতে এসে শান্তিনিকেতনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।আর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দিক দিয়ে ২০০৮ সালে শেষবার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে এসেছিলেন, তারপর এবার মোদী আসতে চলেছেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার শ্রী নীলাজ্ঞন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ করা হয়েছে । ২০১৩-১৭ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্নাতক, স্নাতকোত্তর, গবেষণা ডিগ্রী হিসাবে ছাতিম পাতা বা সপ্তপর্ণী তুলে দেওয়া হবে ।

পরেরদিন অর্থাৎ ২৬ মে শেখ হাসিনা যাবেন কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে । সেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানাতে বর্ধমানের দুই বিশিষ্ট মিষ্টি সীতাভোগ ও মিহিদানা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বরন করা হবে । বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রীকে সাম্মানিক ডি.লিট প্রদান করবে । প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়েরর উপচার্য সাধন চক্রবর্তীকে মৌখিক সম্মতি দেওয়ার পর এ খবর জানানো হয়েছে ।

উপচার্য আরো জানান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে প্রয়োজনীয় কথা সারা হয়ে গেছে । উল্লেখ্য ১৯ বছর আগে শেখ হাসিনা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ে কবির জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে কবির জন্মস্থলে এসেছিলেন। তারপর এবার আবার আসছেন ডি. লিট নিতে । উল্লেখ্য এবারে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরো দুজন ডি. লিট প্রাপক হলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী শ্রীমতী শর্মিলা ঠাকুর ও ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী এস.এস.ইউসুফ ।

তবে শেখ হাসিনার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে কতগুলি প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে । ১,সব ঠিকঠাক চললে এবছরেই বাংলাদেশ সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠীত হতে চলেছে । সেক্ষেত্রে নির্বাচনী ইস্তেহারে তিস্তার জলবন্টন সমস্যা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মস্তবড় চ্যালেঞ্জ । বিরোধীরা যখন প্রথম থেকেই সোচ্চার এটা বলে যে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ভারতের তাবেদারি রাষ্ট্রে পরিনত করেছেন , সেখানে তিনি অন্তত প্রমান করতে পারবেন যে ভারত প্রকৃত তার বন্ধু রাষ্ট্র । তবে এক্ষেত্রে প্রধান বাঁধা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দীর্ঘকালীন না হলেও সাময়িক বা অন্তর্বর্তীকালীন জলবন্টন চুক্তি করেও প্রধানমন্ত্রী নিজের কিছুটা সম্মান ধরে রাখতে পারেন । তবে সবক্ষেত্রই তা নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদিচ্ছার উপর ।

২,রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশকে খুশি করতে পারেনি । ঢাকা চেয়েছিল দিল্লী রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরাসরি এমনকি ক্লিনসিং বা গোষ্ঠী নিধনের অভিযোগ আনবে । কিন্তু মায়ানমার সফরকালে নরেন্দ্র মোদী রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি শব্দ তো উচ্চারণ করেননি , অভিযোগ আনা তো দূরের কথা । অবশ্য এখানে মোদীর নিরাবতার একটি কারন আছে । চিনের সঙ্গে মায়ানমারের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো । এমতাবস্থায় ভারত কোনোভাবেই মায়ানমারকে চাপে রাখতে পারবে না উল্টে তাকে ও চিনকে চটাতেও চায়না । সেকারনেও মোদী নিশ্চুপ আছেন বলে অনুনান করা হয় ।

৩,সম্প্রতি আসামের বিজেপি সরকার ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন অফ সিটিজেনস প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের পর যারা আসামে এসেছে তাদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে । এক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারী বলতে মূলত বাংলাদেশীদের বোঝাচ্ছে । প্রকল্পটি অত্যন্ত জটিল ও স্পর্শ কাতরও বটে । কারন ইতিমধ্যে শেখ হাসিনা আরো দুকদম এগিয়ে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভাষায় জানিয়েও দিয়েছেন যে আসামে একজনও বাংলাদেশি নেই ।

সুতরাং উল্লিখিত সমস্যা গুলিকে সামনে রেখে শেখ হাসিনার আসন্ন সফর কতটা মসৃণ বা কন্টকাকীর্ণ তা ভবিষৎ ই বলবে ।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

জাতির বোঝা বলেছেন: এই সব সফর আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। দেশে অনেক কাজ আছে। কাজ করা দরকার। দেশ বিদেশ অযথা না ঘুরাই ভালো।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আলোচনা বা সফর অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সফরের মাধ্যমেই মৈত্রী সম্পর্ক তৈরী হয়। বৈদেশীক ব্যবসাবাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, রাষ্ট্রের কাঠামোগত উন্নতি সহ হাজার সমস্যা সমাধান হয় এই আলোচনা বা সফরের মাধ্যমে। এমনকি বাড়ির সমস্যাও কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। আলোচনার অভাব থাকলে সম্পর্কের অবনতি হতে বাধ্য।

অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

২| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে এখন বিশ্লেষণ চলছে এসব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হয়েছে?

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি নিজে স্বপ্ন দেখি। অন্যকেও স্বপ্ন দেখতে বলি। বিশ্বাস করি স্বপ্ন মানুষকে বাস্তবে পৌঁছে দেয়। দেশ বা জাতির ক্ষেত্রেও এমন নীতিটি আমার পছন্দের।

শুভ কামনা রইল।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

রাজীব নুর বলেছেন: এক কথায় সব কিছু গতানুগতিক।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আন্তর্জাতিক সম্পর্কটা তো একটু গতানুগতিক বা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। একটু সময় তো দিতেই হবে ।

অনেক অনেক ভাল লাগা।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: কাজের কাজ কিছু হয়না ,ফারাক্কা বাঁধ সমস্যা এখনো সলভ করতে পারেনাই ।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সেই আশা এখনো আমরা দেখি। দেখা যাক এবারের আলোচনা কোন দিকে এগোয়।

ইমন ভাই শুভেচ্ছা নিরন্তর ।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যদি দাদাদের মন গলে !!

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নূর ভাই দাদারাও চাপে আছে। ঘাড়ের কাছে আছে চিন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকা ইতিমধ্যে বেশ বিরক্ত। এমতাবস্থায় অন্যভাবে ঢাকাকে খুশি করাটা বেশ দরকার- দাদারা এটা জানে। দেখা যাক পরে কী হয়।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসামে যদি বাংলাদেশী বাংগালী পাওয়া যায়, বুঝতে হবে যে, তারা বসবাসের জন্য আসামকে বেছে নিয়েছে; এবং আসাম সরকার যদি তাদের বের করতে চায়, তারা ভারতের অন্য এলাকায় চলে যাবে; সেটা ভারত সরকারের মাথা ব্যথা, সেটা শেখ হাসিনার মাথা ব্যথা কেন হচ্ছে কে জানে?

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর। আর মাননীয়ার বক্তব্যে বিষয়টি পরিষ্কার। এখন দেখার বিজেপি কোন পথে হাঁটে।

অনেক শ্রদ্ধা আপনাকে। ভাল থাকা নিরন্তর ।

৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৫

শামচুল হক বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ের মন্তব্য ভেবে দেখার মত।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শামচুল ভাই শুরুতে আমি ওনাকে স্যর বলতাম।উনি আপত্তি করায় এখন শুধু শ্রদ্ধেয় বলি। ওনার বিচক্ষণতাই আলাদা সম্মান আদায় করে ।

শুভ কামনা আপনাকে।

৮| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশ ভবন উদ্ভোধন, নিঃসন্দেহে দুই দেশের সম্পর্কের মাইলফলক হয়ে থাকবে। নরেন্দ্র মোদী বিষয়টি অনুধাবন করেছেন এজন্য তিনিও আসছেন।

শর্মিলা ঠাকুরের ডি লিট পাওয়া কতটুকু যৌক্তিক বুঝতে পারছি না।

ভারত বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। উভয় দেশের স্বার্থে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করা উচিৎ। আর পানি বণ্টন নিয়ে মমতার ধোকাবাজী, একেক সময় একেক কথা বলা বাংলাদেশের মানুষ ভাল চোখে দেখেনি। বিষয়টি নিয়ে তিনি অনেক মিথ্যাচার করেছেন। এজন্য উনার উচিত বাংলাদেশের মানুষের আস্তার প্রতিদান দেওয়া।

আসামে যা হচ্ছে, এটাকে এথনিক ক্লিনজিংয়ের প্রাথমিক ধাপ বলা যায়। আমার বাড়ী আসামের সীমান্তে, ১৯৯১-২০০০ সালে আমাদের এলাকার প্রচুর হিন্দু বিনা কারণে হুজুগে আসাম চলে গেছেন। এসব গ্রামে এখন মুসলমানদের বাস। তারা স্ব ইচ্ছায় ভারতে চলে গেছেন। তবে কোন মুসলমান দেশ ত্যাগ করে ভারতে গেছেন, এমনটা দেখিনি বা শুনিনি।

তবে যারা আসামে আছে, তাদেরকে সেখানেই থাকতে দেওয়া উচিৎ।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কাওসার ভাই, শুভ সন্ধ্যা। আসলে বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক বিদ্যমান। দিল্লীতে সাধারনত বেশিরভাগ সময় কংগ্রেস সরকারে থাকায় বিষয়টি দাঁড়িয়েছিল কংগ্রেসের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের কথা। অটলবিহারী প্রধানমন্ত্রী হয়ে একদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে কার্গিল যুদ্ধ বা সুদূর ইস্রায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রভৃতির মাধ্যমে চিরাচরিত ভারতীয় বৈদেশীক নীতি ছেড়ে অন্য পথে হাঁটতে থাকে। ফল একেবারে উল্টো হল। প্রতিবেশী দেশগুলি ভারতকে কেন্দ্রকরে একটি বিরোধীতার বলয তৈরী করলো।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে চিনের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপিত হলেও সে একজন বিশ্বস্ত বন্ধু। নেপালে প্রচন্ড রাষ্ট্রকে ধর্মনিরপেক্ষ ঘোষণা করায় বিজেপি গোষা হয়। তাকে ঔষধ পত্র থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পাঠাতে গড়িমশি করে। সঙ্গ সঙ্গে চিন ঢুকে পড়ে নেপালে এখন চিনই দুর্গম পথে নেওালে খাদ্য, ঔষধ সর্বরাহ করে। এমতাবস্থায় মোদীজির কাছে ঢাকাকে কাছে রাখা একান্ত জরুরী ।
শর্মিলা ঠাকুরকে বলা হয় সত্যজিৎ রায়ের নায়িকা। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সৃজনশীলতার জন্য মাঝে মাঝে দুএকজনকে সাম্মানিক ডি.লিট দিয়ে থাকে। কয়েক বছর আগে অমিতাভ বচ্চন পেয়েছিলেন। ক্রীড়ায় সৌরভ গাঙ্গুলি পেয়েছিলেন।

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করেন। দিল্লীর সিংহাসনের রাজনীতি আর পশ্চিমবাংলার মত একটি প্রদেশের রাজনীতির অভিমুখ ভিন্ন হতেই পারে। তবে একটু উদার হতেই পারতেন, যেটা প্রথম তিস্তা জল বন্টন চুক্তিতে শ্রদ্ধেয় জ্যোতি বসু করেছিলেন।


আর আসামের সমস্যাটা যেহেতু ম্যানমেড এবং লোকালাইজড সেহেতু মোদী একটা সময় রাশ হাতে নেবেন। কারন ততক্ষণ বিজেপির ফায়দা লোটা হয়ে যাবে। তবে ওরা এ অশান্তিটা বজায় রাখবে। এরপরে ত্রিপুরায় খেলতে নামবে। ইতিমধ্যে নুতন মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে প্রায় প্রত্যেকদিন সংবাদ শিরোনামে আনছেন।

অনেক অনেক ভাল লাগা প্রিয় কাওসার ভাইকে।

৯| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: ভারত বাংলাদেশের নিকটতম ও বৃহৎ প্রতিবেশী, তাকে আমরা উপেক্ষা করতে পারবো না। আমাদের অনেক কিছুই প্রভাবিত হচ্ছে ভারতের দ্বারা। ভারতের কাম্য বাংলাদেশ সামরিকভাবে দূর্বল কিন্তু স্হিথিশীল দেশ হোক। অপরদিকে পাকিস্তানের লক্ষ বাংলাদেশ সামরিকভাবে খুবই শক্তিশালী কিন্তু অস্হিথিশীল একটি দেশ হোক যাতে তাকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়।

অন্যদিকে এটাও ঠিক যে ভারত আমাদের এই বিশাল জনগোষ্ঠি ও ক্রমবিকাশমান বিরাট বাজার অর্থনীতিকে আর উপেক্ষা করতে পারবে না। সংস্কৃতির নৈকট্যের কারনেও আমাদের কাছ থেকে পুরোপুরি সরেও যেতে পারবে না যেটা পেরেছে মিয়ানমার।

ইদানিং বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় বেশ চৌকশ ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। নিজেদের বিশাল জনগোষ্ঠি, ক্রবিকাশমান অর্থনৈতিক শক্তি ও সামর্থ্য সম্পর্কে বেশ সচেতনতাও দেখা যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে সামরিক দিক দিয়েও আমরা একটি আন্চলিক শক্তিতে পরিনত হবো ২০৩০ সাল নাগাদ (সামরিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত)। আমাদের প্রতি বিশ্বশক্তিগুলির ক্রমবর্ধমান আগ্রহও লক্ষনীয়।

আমরা এখন ভারত ও চীনকে ব্যবহার এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করতে পারি।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভরাত্রি ইমরান ভাই। আপনার সুন্দর বিশ্লেষণে মুগ্ধ হলাম। প্রথম প্যারাতে আপনার সুচিন্তিত মতামতের সঙ্গে আমিও একমত। তবে পাশাপাশি তিনটি দেশের সরকারের সঙ্গে বৃহৎ জনগনের চাহিদার এজটু ভিন্নতা আছে। আর সেটা খুব স্পর্শকাতর বিষয়। ভারতের ক্ষেত্রে বর্তমানে উগ্রহিন্দুত্ববাদের সঙ্গে সরকারের এই মুহূর্তে একটি বোঝাপড়া আছে, যেমন আছে পাকিস্তানের। কিন্তু নেই কেবল বাংলাদেশের। যেকারনে এই ত্রিমুখী চাহিদা মাঝে মাঝে উপমহাদেশের শান্তিকে বিঘ্নীত করছে। ভারত - পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এটা সমস্যার হলেও আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এটা ভারত - বাংলাদেশের মৈত্রীর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট।

আর সীমান্ত সংঘর্ষ থাকলে দেশের উন্নতি থমকে যেতে বাধ্য। বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত বেষ্টিত থাকায় সেই অনুপাতে তাকে সামরিক খাতে ব্যায় করতে হয়না, যে কারনে দেশ অভ্যন্তরীন উন্নয়নে মন দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।তবে সামরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে সে ২০৩০ সালে লক্ষ্যে পৌছাক, এটা আমাদের কাম্য।

অনেক অনেক শুভ কামনা ইমরান ভাই।

১০| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পড়লাম ভাল লাগলো আপনার বিশ্লেষণ, সময়ের বিস্তারিত লিখতে পারলাম না।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তারেক ভাই, আমার খুব কম চাহিদা। সামান্যতেই আমার পেট ভরে যায়। তাই আপনি যেটা দিলেন পরম অমৃত। এমন জিনিসের জন্য আমি সারাদিন অপেক্ষা করতে রাজি। আপনার অনন্ত অপেক্ষায়....

অনেক অনেক শুভ কামনা আমার প্রিয় তারেক ভাইকে।

১১| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১২

প্রামানিক বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ ভালো লাগল। ধন্যবাদ

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রামাণিক ভাই আমি আপনার মত সুন্দর কবিতা বা ছড়া লিখতে পারিনা। আবার রাজনীতিও করিনা। আমাদের এখানে এখন বিরোধী রাজনীতি মানেই ভয়ঙ্কর প্রতিহিংসার সামিল। তবে ছোট থেকে রাজনীতি পড়তে ভালো লাগতো। আর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাস আমার অন্যতম প্রিয় বিষয়। আগডুম বাগডুম লিখি ঠিকই তবে বিষয়টাকে ভালোবাসি বলেই সুযোগ এলে মনে হয় দু একটি অ আ ক খ লিখে দিই।

অনেক ভাল লাগা আমার প্রিয় কবি ভাইকে।

১২| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩৪

শহীদ আম্মার বলেছেন: এই সফরের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হল সামনের নির্বাচন।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সহমত শহীদ ভাই, আপনার সঙ্গে। আর গনতন্ত্রে প্রতি পাচ বছর অন্তর জনগনের কাছে এমন ফিডব্যাকের অত্যন্ত দরকার। সেটাই আমাদের মত সাধারন নাগরিকের একমত্র আশা। কিন্তু নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ে যখন শাসকদল ছিনিবিনি খেল তখন আমাদের সমস্ত স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যায়।

অনেক অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

১৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪২

শহীদ আম্মার বলেছেন: ছাগলের কসাই বাছাইয়ের ব্যবস্থা নিয়ে আপনি এত স্বপ্ন দেখেন! হায়রে পদাাতিক ভাই, আপনারে নিয়ে আর আশাবাদী হতে পারলাম না! আরে ভাই জবাই যখন সুনিশ্চিত তখন আপনার উচিত ছুরির নিচে শুয়ে যাওয়া; কসাই কে এই হিসাব করে লাভ কি?

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা, শহীদ ভাই আপনার ব্যবস্থা আমার মনে ধরেছে। আমি নিশ্চিত আপনার ছুরিটা আমার গলায় এসে গোলাপে পরিনত হবে।

আজ কবিগুরুর জন্মাদিনে আপনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা।

১৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

এটম২০০০ বলেছেন: It is said that the Muslims marred the 'religion of the Indian Hindus' in the 10th century by forcing them to eat beef. That may be true. Truer is, the chief minister of West Bengal marred the religion of the Hindus in 2018 by making them to take rotten beef from the drains. The lady, through her "BISHU-SREE PROKOLPO" or 'VAGAR-SREE PROKOLPO" in fact did the following:
(01) She marred the religion of the Hindus by making them to eat rotten cow, dog, chicken, cat etc.
(02) Polluting the blood of the Muslims and Hindus of West Bengal, Bangladesh, Nepal and Bhutan by Gondai disease.

THE LADY GOT SO MUCH CHARM IN ENJOYING KICK BACKS FROM "UNNYAN" THAT SHE TOTALLY IGNORED ADMINISTRATION, and made it so worthless to ignore such grave issues.

Would the Government of Bangladesh, Nepal and Bhutan sue in the International Court against this lady for polluting their citizen's blood with deadly diseases?

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঊফ! বাপরে বাপ! অ্যাটম ভাই আপনি তো দেখছি বোমা ফাটিয়ে দিলেন। উত্তর আপনার বিস্ফোরণ। আমারা বরং নিরব দর্শক হই।সহ্য করতে না পারলে বরং পালানোর রাস্তা খুঁজি।

ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি নিজে স্বপ্ন দেখি। অন্যকেও স্বপ্ন দেখতে বলি। বিশ্বাস করি স্বপ্ন মানুষকে বাস্তবে পৌঁছে দেয়। দেশ বা জাতির ক্ষেত্রেও এমন নীতিটি আমার পছন্দের।

শুভ কামনা রইল।

মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল ছোট ভাই। পোষ্টে কমেন্ট পাওয়াটা আমার কাছে পরম সৌভাগ্যের। কাজেই মন্তব করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমি যে সারাদিন অপেক্ষায় থাকি মন্তব্যকারির জন্য।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

১৬| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

জাতির বোঝা বলেছেন:
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফর হলে ঠিক আছে। এই সব পিকনিক ধরনের সফর দেশের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। রাষ্ট্রে কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রমোদ ভ্রমণ সমর্থন যোগ্য নয়।
দেশে কোটি কোটি মানুষ কষ্টে আছে। তাদের জন্য কাজ করা দরকার।

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জাতির বোঝা ভাই, আপনাকে শুভ সকাল। আর আপনার যা নাম তাতে এই প্রশ্ন কেবল আপনাকেই সাজে। তবে একজন সাংবিধানিক প্রধানের কাছে জাতির জন্য পাহাড় প্রমাণ চাপ থাকে। আমরা নিজেদেরকে আমাদের মত ভাবি। কিন্তু ওনাকে গোটা দেশের কথা ভেবে এগোতে হয়। মাঝে মাঝে আমার আপনার মত বিরোধী কাজ উনি করেন ঠিকই কিন্তু লক্ষ্য থাকে সর্বাধিক জনগনকে পরিসেবা দিতে। তবে শাসক যখন জনবিরোধী হয় জনগন অবশ্য তাকে সময়মত ক্ষমতাচ্যুত করে।


যাক ভাই অনেক অনেক ভালো লাগা আপনাকে।

১৭| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @বলেছেন: আমরা যে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। আপনার মন ও শরীরের অবস্থা কী এখনো ভালো হয়নি?

--- দাদা! খবর নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

এখন অনেকটাই সুস্থ। পায়ে একটু ব্যথা আছে।:(
ব্লগে তো প্রয়ই আসি!!! তবে কাজ থাকায় ব্লগে কম সময় থাকছি! রাতে কথা হবে......

০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম। তবে শরীর যেহেতু ভালো হয়নি, আমার মনে হয় বেশি রাত না জেগে একটু ঘুমানো ভালো। আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ হন, আমরা ততদিন অপেক্ষা করবো। আর হ্যাঁ আমার আজকের পোষ্টটি আপনাকে উপহার দিয়েছি। এটাও এক হিসাবে গুরু বন্দনা বৈকি।

১৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পদাতিক ভাই আপনার আজকের পোষ্টে একটি বাজে মন্তব্য দেখে আর মন্তব্য করলাম না আপনি ওই আইডির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করুণ।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমাকে একটু গাইড করুননা। ডান দিকে লালবাটনে প্রেস করতে হবে?

১৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সংক্ষিপ্ত হলেও বলবো, একটি চমৎকার পোস্ট লিখেছেন। দু'দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়ে সামান্য উল্লেখ থাকলেও, যেটুকু লিখেছেন, বেশ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে লিখেছেন। পোস্টে প্রথম প্লাসটি + রেখে গেলাম।
দেশ বিদেশ অযথা না ঘুরাই ভালো - একেবারে প্রথম মন্তব্যটিতেই জাতির বোঝা এর এ কথাটি প্রণিধানযোগ্য। তবে আপনার উত্তরটিও চমৎকার হয়েছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

আপনার সুন্দর বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের জন্য মুগ্ধ হলাম। আপনার কাছ থেকে এমন প্রশংসা পাওয়া আমার পরম সৌভাগ্যের বিষয়। লেখার সময় উদ্দেশ্য ছিল যতটা সম্ভব নিরপেক্ষতা বজায় রাখা, আপনার নজরে সেটা পড়াতে খুব আনন্দ পেলাম ।
পোস্টে একমাত্র লাইক দাতা হিসেবে অনুপ্রাণিত করায় আপনাকে জানাই কৃতজ্ঞতা।

বিনম্র শ্রদ্ধা শুভকামনা স্যার আপনাকে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.