নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

উনবিংশ শতকের ত্রিশ/চল্লিশের দশকে টাকি বসিরহাটের মধ্যবর্তী গ্রামগুলির সামাজিক অর্থনৈতিক জীবনের একটি চিত্র।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪




স্ত্রী বিয়োগের পর তৌফিক সাহেব আবার বিবাহের মনস্থির করলেন । তৌফিক সাহেবের বিষয় আশায় যথেষ্ট । গ্রামে দুদুটি পুকুর,জমি,বাড়ি,গোয়াল ভর্ত্তি গরু,বাড়ির উঠোন ও রাস্তার ধারে পাঁচ পাঁচটি ধানের গোলা । সব মিলিয়ে সম্পন্ন কৃষক বলা যায় । আর আপনজন বলতে পাশের গ্রামে বসবাসকারী ছোট ভাই সৌফিক ও নিজ পুত্র মুকুল । মুকুলের বয়স তখন যথেষ্ট আঠারো বছরের তাজা যুবক । তারও পকেটে যথেষ্ট পয়সা ও চোখে রঙিন স্বপ্ন দেখে । ৪০বছর বয়সে মায়ের অকাল মৃত্যুতে তাই তার মত তার আব্বাও প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে আবার নুতন করে সংসার শুরু করতে বিবাহের সিদ্ধান্ত নিলেন । মুকুল স্বপ্ন দেখে যে তার আব্বা তাকে বিবাহ দিতে সম্মন্ধ দেখছেন । মুকুল কখনও তার আব্বা মায়ের মুখের উপর কথা বলত না । তবে সে চলতো সম্পূর্ণ নিজের খেয়ালে । শুধু মুখের উপর কথা না বলাকে যদি সমিহ বলা যায় তাহলে আব্বার প্রতি এখন থেকে তার সম্মানটা অনেকটা বেড়ে গেল । গাঁয়ের কোনও একজন দুষ্টু বন্ধু মজা করতেই বোধহয় খবরটা তার কাছে এইরূপ ভাবে পরিবেশন করেছিল, যে তার আব্বা তার বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছেন । যাইহোক এর পর থেকে অনেকটা সময় সে বাড়িতেই দিত ।


এদিকে তোফিক সাহেবও মায়ের মৃত্যুর পর ছেলের এই আকস্মিক পরিবর্তনে অবাক হয়ে গেলেন । এটা ঠিক যে ছেলেকে এক সময় পড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও স্রেফ স্কুলের অভাবে তাকে ভর্ত্তি করতে পারেননি । এক প্রকার নিষ্কর্মা ছেলে সারাদিন এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াত । বাড়িতে বাবা মা এত পরিশ্রম করলেও সে ফিরেও তাকাতো না । মা সারাদিন গোয়াল ঘর পরিষ্কার,উঠোন ঝারু দেওয়া,গরুর দুধ দোওয়া,ধান সিদ্ধ, রান্নাবান্না সামলিয়ে বিকাল গড়িয়ে না গেলে নাওয়া-খাওয়া করতে পারতেন না । তৌফিক সাহেবও সারাদিন প্রায় মাঠে ঘাটেই কাটাতেন । প্রায়ই দুপুরে বড় বড় ঝুড়িতে বেগুন, পটল, ঢ্যাঁরস,পেঁপে পুই নিয়ে বাড়িতে ফিরতেন, বিকালে হাটে তুলবেন বলে । বাবা মায়ের প্রতি মুকুলের উদাসীনতা প্রসঙ্গে তাকে একা দোষ দেওয়া যায় না । একমাত্র সন্তানকে একটু আদরে রাখতে বাবা মা ছোট থেকে তাকে কোন কাজে বলতেন না । কিন্তু ক্রমশ সে যখন বড় হতে লাগলো,তখন তার বাবামায়ের প্রতি উদাসীনতা আরও বেড়ে গেল ।তৈরী হল বাবা মায়ের দুশ্চিন্তা । মা একটু বেশিই হতাশা প্রকাশ করতেন । তাকে নিয়ে প্রায়ই মা দুঃখ করে বলতেন আজ আমাদের কষ্ট দেখছিস না । যেদিন আমরা থাকবো না, সে দিন দেখবি পৃথিবীতে আপনজন বলতে আর কেউ নেই । মৃদুভাষী আব্বাও ছেলের এহেন আচরণ নিয়ে উপরওয়ালার কাছে কপাল ঠেকাতেন । নামাজের পাটিতে বসে আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতেন যাতে তার শুভবুদ্ধির উদয় হয় ।

শাকচুড়া হাটে একদিন এক সাইকেল আরোহীকে দেখে আব্বার কাছে সে একটি সাইকেল কেনার বায়না ধরলো । আজ যায়, কাল যায় করে একদিন সময়মত তৌফিক সাহেব গরুর গাড়ি করে হাসনাবাদে গিয়ে তার জন্য একটি সাইকেল নিয়ে এলেন । যদিও সাইকেলটি দেওয়া নিয়ে মায়ের একটু আপত্তি ছিল । যাইহোক এটি পাওয়ার পর মুকুলের ব্যস্ততা অনেক বেড়ে গেল । সারাদিন সে কোথায় যায় বা থাকে, কি খায়, কেউ কিছু জানতে পারে না । যেটুকু সময় বাড়িতে থাকে মুখ বুঁজে থাকে । কিছুক্ষণের জন্য বাড়িতে এলে বা দ্রুত বাড়ি ছাড়ে । ফেরে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে । নুতন সাইকেল পেয়ে তার মনের অবস্থাও বদলে গেছে । এটি নিয়ে প্রায়ই একএকজন বন্ধুকে নিয়ে সে গা্ঁছারাটি জামালপুরের দিকে ঘুরতে যায় । তার সাইকেলের সওয়ারি হওয়াটা বন্ধুদের কাছে খুব আকর্ষণীয় ছিল । কত লোক তার নুতন সাইকেলটির দিকে তাকিয়ে থাকতো । আর এজন্য সে মনে মনে তার আব্বাকে ধন্যবাদ দিত । সাইকেলটি তার পরিচিতি অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছিল । আশেপাশে পা্ঁচ সাততি গ্রামে তার মত সাইকেল কারও ছিলনা । গ্রামের মেয়েদের মধ্যেও তাকে নিয়ে ফিসফিশানি কম হতনা । কিন্তু সে তার আব্বা মাকে প্রচন্ড ভয় পেত । কারও সঙ্গে কথা বলার মত সাহসে সে পেরে উঠত না । তাকে অনেকে সাইকেল বলেও ডাকতো । সে ডাকে অবশ্য সে বেশ খুশিই হয়েছিল ।

শাকচুঁড়া হাটের উপর দিয়ে কিছুটা গেলেই কোদালিয়া গ্রাম । এই গ্রামেই চৌদ্দপুরুষের বাস তৌফিক সাহেবের । চারিদিকে সবুজে ঘেরা গ্রামটি অত্যন্ত সুন্দর । এখান থেকে বেশ কিছুটা গেলে ছোলাদানা গ্রাম । পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য কয়েকটি গ্রাম হল - উত্তর দিকে বাগুন্ডি,দন্ডিরহাট,মধ্যমপুর আর দক্ষিন আছে কাটারাটি, জালালপুর,গাছারাটি প্রভৃতি । আরও একটু দক্ষিনে গেলে টাকি সোদপুরের ঐতিহ্যশালী টাকি জমিদারবাড়ি । ছোলাদানাগ্রামটির ভৌগোলিক অবস্থা অত্যন্ত মনোরম । একদিকে পাশাপাশি দুটি ইঁটভাটা,পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী অপর দিকে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ । এই ইছামতি মুকুলকে সারাদিন বসিয়ে রাখে । নদীর পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দে সে বিভোর হয়ে যায় । নদীর ঘাটে কত নৌকা আসা যাওয়া করছে এসবে তার ভ্রুক্ষেপ নেয় । বরং সে উদাস হয়ে দূর আকাশের একঝাক উড়ন্ত বকের দিকে চেয়ে থাকে । সে পানকৌড়ির ডুব দেওয়া দেখতে দেখতে বিভোর হয়ে যায় । মাঝে মাঝে কয়েকজন পথচারির পায়ের শব্দে যদিবা তার কল্পনার জগতে ছেদ ঘটে । কখনও বা ইছামতির নোনাপানি তুলে সে চোখ মুখ ধুয়ে নেয় । তবে এপানি তার কাছে নোনা নয়,বরং মিষ্টিই লাগে । সে লক্ষ্য করে দূরে কিছু কাকের কর্কশ শব্দ , কিমবা নদীর ধারে লবনাম্বু উদ্ভিদের শিকড়ের মধ্যে পানির স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে দু-একটি কাঁকড়ার শিকড় বেয়ে উপরে ওঠার ব্যর্থ চেষ্টা প্রভৃতি ।

ইছামতির তীরে বসে কখনও সে তার অতিত জীবনের কথা ভাবে । আব্বার সঙ্গে পাঁচ/ছয় কিমি দূরে গরুর গাড়ি করে বসিরহাটে মার্টিন বার্ন লাইনে ট্রেন দেখতে যাওয়া,যেটা ছিল তার প্রথম শহর দেখা । অনেকপরে হাসনাবাদে সাইকেল কিনতে গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু বসিরহাট শহরকে সে আজও ভূলতে পারেনি । ফেরার সময় কিছু চপ ও মুড়ি খেয়ে কি আনন্দেই না সে বাড়ি ফিরেছিল । সে দু চোখ বন্ধ করে দিনটিকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করলো ।

পড়াশোনায় সে ভাল ছিল না ঠিকই কিন্তু পাঠশালার পাঠ শেষ করে গুরু মশায় যখন তাকে স্কুলে ভর্ত্তি হবার জন্য টাকি বা বসিরহাটে ভর্ত্তি করার পরামর্শ দিলেন তখন তার মাথায় বাস্তবিকই আকাশ ভেঙে পড়েছিল । শুুধু শুধু পড়াশোনার জন্য টাকি বা বসিরহাটে গিয়ে থাকাটা তার কাছে নিতান্ত অনর্থক বলে মনে হয়েছিল । তখনই সে ঠিক করে ভাল পড়াশোনা করলে যদি বাড়ি ছেড়ে থাকতে হয় তাহলে সে বরং লেখাপড়াটা আর করবেই না । তৌফিক সাহেবেরও ছেলেকে কাছছাড়া করার ইচ্ছা ছিল না । এদিকে কোদালিয়া বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোন বিদ্যালয় না থাকায় তৌফিক সাহেব অগত্যা ছেলের পড়াশোনা বন্ধকরতে বাধ্য হলেন ।

আজ ইছামতির তীরে বসেও মুকুলের মনটি ভাল নেই । গতকাল সন্ধ্যাবেলা সে বাড়ি ফিরে শুনেছে যে এবারে টাকির জমিদারবাবুরা তাদের জমিতে খাজনার পরিমান অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন । নায়েব মশায় কাঁছারিতে পেয়াদা পাঠিয়ে তার আব্বার মত কৃষকদের ডাকিয়ে সময় বেঁধে দিয়েছেন । সময়মত খাজনা দিতে না পারলে যে জমিজমা রাখা যাবেনা সেটা তৌফিক সাহেব ভালোই জানেন । সেদিন রাতে মাটির দাওয়ায় শুয়ে তৌফিক সাহেব সারারাত এপাশ ওপাশ করছিলেন । আর মুকুল লক্ষ্যকরেছিল কেরোসিনের কুপির শিখাটি যেন তার আব্বার যন্ত্রনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই মূহুর্মুহু স্থান পরিবর্তন করছিল । অস্পষ্ট কুপির আলোয় তার আব্বার যন্ত্রনা যেন তাকে আরও আতঙ্কিত করে তুলেছিল । আজ নদীর পাড়ে বসে সে ভাবছিল যদি মা আজ বেঁচে থাকতো তাহলে আব্বার সমস্যা সমাধানের নিশ্চয় একটা উপায় বার হত । আজ আর তার এখানে বসে থাকতে ভাল লাগছে না । মনে পড়লো ইছামতির ওপারে গোয়ালহাটি নামক একটি স্থানে তার মামার বাড়ির কথা । খুব ছোট বেলায় একবার মায়ের সঙ্গে সে মামার বাড়ি গিয়েছিল । সে তখন এতই ছোট যে সে সম্পর্কে তার তেমন কিছু মনে নেয় । মামারাও কোনোদিন তাদের বাড়িতে আসেনি । মাকে অবশ্য এই নিয়ে কোন দিন হাহুতাশ করতে শোনেনি । তৌফিক সাহেবের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কটি ঠিক কি কারনে খারাপ সেটা ঠিক মুকুল জানে না । আজ তার মনে হচ্ছে আশেপাশে সবার মামাদের মত যদি তার মামারাও তাদের পাশে থাকতো তাহলে আব্বার সমস্যা সমাধানের একটা পথ নিশ্চয় বার হত । যাইহোক মনের এই যন্ত্রনায় সে তার সাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল ।

সেদিন সন্ধ্যার একটু আগেই বাড়ি ফিরে মুকুল দেখলো তার আব্বা তখনও হাট থেকে ফেরেনি । অন্যদিনগুলিতে বেশ রাতে বাড়ি ফিরে মুকুল দেখতো তার আব্বা বাড়িতে আলোর ব্যবস্থা করেছে । ওদিকে মসজিদের মাগরিবের আজান কানে এল । পাশের বাড়ির মনোয়ারা চাচিমাকে তাদের বাড়ির লাগোয়া পুকুরে উজু করতে দেখলো । চাচিমা তার আব্বা হাট থেকে ফিরেছে কিনা খোঁজ নিল । আজ সন্ধ্যায় দাওয়ায় বসে তার মায়ের চলে যাওয়ার ছবিটি বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠলো । ছোট থেকেই সে দেখে এসেছে মা সারাদিন বাড়িতে কঠোর পরিশ্রম করতো । সময়মত নাওয়া খাওয়া করতে ভুলে যেত । কিন্তু তাদের খাওয়ানো,গরুদের দেখাশোনা করার মত কাজ মা সময়মত করত । মা কত সুন্দর করে গোটা উঠোন,বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার করে রাখত । সকালবেলা রান্নাঘর সুন্দর করে নেমন দেওয়া,তিনবেলা গরম গরম খাবারের ব্যবস্থা করা, সন্ধ্যাবেলা ঘর রান্নাঘরে আলো দেওয়া । আর এখন তাদের বাড়ির ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে গেছে । তৌফিক সাহেব মাঠঘাট সামলিয়ে যা সময় পান তা দুটো রান্না করতেই সময় চলে যায় । মুকুল বোঝে এখন তার আব্বার কাজ অসম্ভব বেড়ে গেছে । তার আব্বা মায়ের মত পরিপাট করে রান্না করতে পারে না । দুপুরের রান্নাতেই এখন তাদের তিন বেলা খেতে হয় ।এত পরিশ্রমে তার আব্বারও যদি মায়ের মত পরিণতী হয় । একটা আশঙ্কায় সে শিউরে উঠে , আর ভাবতে পারেনা, চোখ মুখ জ্বালা করে ওঠে । সে ভীতু হয়ে পড়ে । দু হাতে মুখ চেপে কান্না ঢাকার চেষ্টা করে ।

তার মনে এল মা যেদিন মারাগেল,তার আগেরদিন শেষ রাতে মায়ের অসম্ভব বুক যন্ত্রনা শুরু হয় । কখন থেকে ব্যাথা শুরু হয়েছিল,সেটা সে জানেনা ঠিকই কিন্তু শেষরাতে যখন তার ঘুম ভাঙে সে দেখে তার আব্বা মায়ের যন্ত্রনা প্রশমিত করার আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে । ঘুম চোখে হাউমাউ করে সে মায়ের পায়ের কাছে কেঁদে পড়লো । মায়ের সে সবে ভ্রুক্ষেপ নেই । অনেক ক্ষন ছট ফট চিৎকার করতে করতে মা একসময় কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়লো । এক সময় তার আব্বা তাকে মাকে দেখতে বলে পড়শিদের বাড়িতে ছুটে গেল । মাঘ মাসের শেষের দিকে সেই হালকা শীতের রাতে অনেক ডাকাডাকির পর পাশের বাড়ির হাবিবুরচাচা,মানোয়ারা চাচিমা সহ কয়েকজনঘুম চোখে ছুটে এলেন । সবাই তার মায়ের যন্ত্রনার কারন অনুসন্ধানের চেষ্টা করতে লাগলেন । কেউ বলছেন গ্রামের বৈদ্য মশায় রাজ্জাক সাহেবকে ডেকে আনতে । হাবিবুরচাচা বরং মাকে বসিরহাট হসপিটলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন । এদিকে তখন ভোর হয়ে গেছে।বিভিন্ন মসজিদের আজান ভেসে আসছে । ক্রমশ পূর্ব আকাশে লাল আলো ফুটে উঠছে । শেষ পর্যন্ত সকাল বেলায় হাবিবুর চাচা আব্বাকে সঙ্গে নিয়ে মাকে নিয়ে গরুর গাড়ি করে বসিরহাট হসপিটলের উদ্দেশ্য রওনা দিলেন । ডাক্তারবাবু জানালেন রোগীর আগেই মৃত্যু ঘটে গেছে । এমন সময় মকুল বাইরে কারোও পায়ের শব্দ শুনতে পেল । ঘরে আলো জ্বলছে দেখে তৌফিক সাহেব খুশি হয়ে, এত তাড়াতাড়ি বাড়ি এসেছে, শরীর ঠিক আছে কিনা জানতে চাইলেন । মুকুল মাথা নেড়ে জবাব দিল । তৌফিক সাহেব আজ মুকুলের দায়িত্ববোধ দেখে মনে মনে খুশি হলেন ।

আজ এত বছর পরে মুকুলও তার আব্বাকে অন্য রুপে দেখলো । আজকের সন্ধ্যাবেলা তাকে অনেক শিক্ষা দিল । সে ছোট্ট শিশুর মত আব্বাকে বললো এখন থেকে আমিই প্রত্যেকদিন বাড়িতে আলো দেব । তোমার আর চিন্তা করতে হবে না । আজ সত্যিই বাবাছেলে যেন একে অপরকে অন্য ভাবে পেল । আসলে তৌফিক সাহেব কোনোদিন ছেলের সঙ্গে জোর করে কথা বলেন নি । যেমন বলেনি তার মাও ।ফলে চিরদিনই সে কিছুটা বাড়তি স্বাধীনতা পেয়ে পেয়ে এসেছে । অসম্ভব অপত্য স্নেহের কারনে বাবামা ছেলের কোন কাজকে কখনও নিষেধ করেনি । কিন্তু একটা সন্ধ্যা তাকে অনেকটা বড় করে দিয়েছে । তাই সে যখন তার আব্বাকে জানালো আমিই আজ থেকে বাড়িতে আলো দেব,রান্না করতে তোমার সাহায্য করবো,গরুর খাবার দেবো ,মাঠের কাজেও তোমাকে সাহায্য করবো তখন তৌফিক সাহেবের চোখের জল বাস্তবিকই যেন বাঁধ মানল না । বাবা ছেলে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলো । তৌফিক সাহেব যে আজ তার প্রিয়তমা মারিয়মকে মুকুলের মধ্যে ফিরে পেলেন ।

বিঃদ্র - পোষ্টটি আমার ব্লগিং জীবনের প্রথম পোষ্ট । প্রথম পাতায় দিতেই আজ রিপোষ্ট করলাম । ঐ পোষ্টে যারা তাঁদের সুচিন্তিত মতামত দিয়েছিলেন , তারা হলেন - প্রিয় তারেক মাহমুদভাই, কবিভ্রমরেরডানাভাই , মাআইপাআপু , শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসানস্যার ও আমার স্নেহের ছোটোভাই রাকু হাসান । ওনাদের প্রত্যেককে আমার অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা ।

মন্তব্য ১০৪ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (১০৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

ভাইয়ু বলেছেন: শুরুতে হালকা কস্ট লাগলেও শেষে মধুর সমাপ্তিটা সব সময়েই পাঠকের মন পুলকিত করে ৷ যেমন করেছে আমার মনকেও ৷
লেখালিখি চলুক অবিরাম...
শুভকামনা রইলো প্রিয় পদাতিত ভাই

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম কমেন্ট মানে আলাদা ভালো লাগা। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ স্নেহের ভাইয়ু। তবে এই পোষ্টটি একটু অন্য ধর্মী স্মৃতিচারণ মূলক পোষ্ট। বলতে পারেন আমার শিকড়ের সন্ধানের পোষ্ট। সময় পেলে ধারাবাহিক ভাবে লিখবো। পাশাপাশি এটা আমার ব্লগের প্রথম পোষ্ট। তখন সেফ না হওয়ার কারনে আবার দেওয়া।

শুভকামনা অফুরান।

২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রচুর সময় নি‌য়ে পড়ব।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় সাজ্জাদভাই,

কোনও চাপ নয়। সময় পেলেই আসবেন। অপেক্ষায় থাকবো।


শুভকামনা প্রিয়ভাই ও আপনার পরিবারকে।

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

বিজন রয় বলেছেন: এটা যদি সাধু ভাষায় লিখতেন তো একেবারেই বিভূতি বা তারাশঙ্কর।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়বিজনদা,

আশাকরি ভালো আছেন। আপনার কমেন্ট মানে আমার আলাদা অনুপ্রেরণা, আলাদা ভালো লাগা । আজও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ওনারা মাইল ফলক, আমরা ক্ষুদ্র হাতুরে লেখক। তবুও এমন মন্তব্য হৃদয়ের অন্তস্থলে তুলে রাখলাম।


নিরন্তর শুভেচ্চা দাদা আপনাকে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সরি দাদা, প্রথমে লক্ষ্য করিনি যে আপনি প্রথম পোষ্টটিকে লাইক দিয়েছেন। আবারও অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই ।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: আপনার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হচ্ছি কিন্তু!!
এসব আমার কাছে অনেক গুরুত্ববহ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার আসায় আবারও মুগ্ধ হলাম। আর আপনার কাছে যেটা গুরুত্ববহ সেটা আমারও অনুকরণীয়।

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা যে আপনার প্রথম পোস্টেরই রিপোস্ট, সেটা শিরোনামে অথবা অন্ততঃ পোস্টের শেষে উল্লেখ করা সমীচীন ছিল। শিরোনাম দেখেই আমার মনে হচ্ছিল এটা পরিচিত লেখা, তারপরেও পড়া শুরু করলাম। ক্রমেই মনে হচ্ছিল এটা আগেও পড়েছি, ঘটনাগুলো মনে পড়তে থাকলো। ১ নং প্রতিমন্তব্যে এসে নিশ্চিত হ'লাম যে এটা আপনার পুরনো পোস্ট, একেবারে প্রথম পোস্ট, প্রায় দু'মাস আগে আমার পড়া। যাহোক, পুনরায় পড়েও ভাল লাগলো। যেহেতু রিপোস্ট, সেহেতু মূল পোস্টে দেয়া আমার মন্তব্যটাই এখানে রিপোস্ট করলামঃ
তৌফিক সাহেবের যন্ত্রণার সাথে কেরোসিনের কুপির শিখার কাঁপাকাঁপির (আপনি বলেছেন 'স্থান পরিবর্তন';) তুলনাটা অসাধারণ হয়েছে। দক্ষ কথাশিল্পীর পর্যবেক্ষণের মত।
মুকুলের প্রয়াত পরিশ্রমী মায়ের দৈনন্দিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির যে বর্ণনা দিয়েছেন, তাতে গ্রাম বাংলার শাশ্বত সংসারী মহিলাদের অস্বীকৃত এবং অমূল্যায়িত শ্রমের একটা চিত্র পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। ভাল লাগলো এ জায়গাটুকু।
ছবিদুটো কি আসলেই ইছামতি নদীর?
গল্পের ইতিবাচক পরিণতি হৃদয়মন স্পর্শ করে গেল! গল্পে ভাল লাগা রেখে গেলাম!! + +

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি স্যার , শনিবার হাফডে হওয়াই কাজ শেষে কোনও মতে পোষ্ট দিয়ে গাড়ি ধরি । আমার এর আগেও এমন একটি রিপোষ্ট আছে । সেখানে আমি প্রথামেনেছি । আজও ঠিক করেছিলাম , বাড়ি ফিরে বাকি এডিটটা করবো । দুটি প্রতিমন্তব্য করেছি গাড়িতে বসে বসে । এখন ভুলটা শুধরে নিয়েছি । আপনাকে সঠিক গাইড দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।

আমি আগেও বলেছি আপনার পোষ্ট ও কমেন্টের প্রতিটি শব্দ আমার কাছে অনুকরণীয় । এমন শিক্ষক সুলভ কমেন্টের জন্য বারেবারে প্রার্থনা করবো আপনার সুস্বাগতমের । রিপোষ্টের রিকমেন্ট জীবনে প্রথম বার পেলাম , কৃতজ্ঞতা জানাই।

নিরন্তর শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে ।

৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: পারিবারিক কাহিনী নিয়ে গল্পটি বেশ ভালো লেগেছে, ভাই। পড়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম, মা হারা এক কিশোর মকুল এবং তার বাবা তৌফিক সাহেব কে কেন্দ্র করে গল্পটি এগিয়ে গিয়েছে।
তবে কথা হলো, মকুলের বাবা তৌফিক সাহেব একজন কৃষক। তাকে তৌফিক সাহেব বলাটা আমার কাছে কেমন যেন মনে হয়েছে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়সাকিবভাই,

ঠিকই ধরেছেন, মাহারা সন্তানকে বুকে আগলে বাবার বাঁচার চেষ্টা । তবে গল্পটা একটু অন্য ধর্মী যদি পরবর্তী পর্বগুলি পড়ার সময় পান আশাকরি বুঝতে পারবেন।। সাথে সাথে আগামী পর্বগুলি পড়ারও নিমন্ত্রণ দিয়ে রাখলাম।

মুকুলের বাবা তৌফিকসাহেবকে 'সাহেব ' বলাটা একটু শুনতে কেমন লাগছে বলে আপনি উল্লেখ করেছেন। ভেরি গুড, কমেন্ট । আসলে আমি আপনি সবাই সমাজের অন্তর্গত।। যে সমাজে একজন সমাজবন্ধু আমাদের হামেশাই বাবু বা সাহেব বলে এবং আপনি বলে সম্মোধন করতে পারে । ওদের পুঁথিগত বিদ্যা না থেকেও ওরা যে সৌজন্য দেখাতে পারে সেখানে আমরা যারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত তারা কিন্তু সৌজন্যতায় ওদের থেকে অনেক যোজন পিছিয়ে । ব্যক্তিগত ভাবে বিষয়টি আমাকে লজ্জিত করে । আমি সেটিই এখানে তুলে ধরেছি ।

পাশাপাশি অন্য একটি বিষয়ে বলি গল্পের তৌফিকসাহেব আমার পরিচিত, আমার আপনজন । শিকড়ের সন্ধানে আমি সেটিই খুঁজতে চলেছি ।


অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয়সাকিবভাইকে।

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

রাকু হাসান বলেছেন:



লেখাটা আগেও পড়ছিলাম । ভাইয়া তোমার লেখায় সামাজিক গল্প টা পায় ,এটা আমার লাগে । +++

শুভকামনা ভাই ।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ছোটোভাই,

তুমি হলে সেই বিরল ব্যক্তি যে দুদিনেই লাইক করেছো। ধন্যবাদ তোমাকে এভাবে ভায়ের পাশে থেকে অনুপ্রাণীত করার জন্য। তোমার সামাজিক গল্প ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম । আমি আমার ভায়ের জন্য আরও এধরনের গল্প পোষ্ট করবো । চিরদীন তোমাকে এভাবে পাশে পাবো আশাকরি ।

পোষ্টে এত্তগুলি প্লাস পেয়ে আমি অভিভূত।

নিরন্তর ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয়রাকুকে ।


৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে। গল্পটা যদি এখনকার সময়ের হতো তাহলে সাইকেল নিয়ে মানুষের উৎসাহ শিশুসুলভ হয়ে যেত। তবে বুঝলাম সেই যুগে মানুষ সাইকেলকে কত বড় জিনিস মনে করত। এখন তো মোটরসাইকেলকেও মানুষ অত পাত্তা দিতে চায় না। :)

পারিবারিক জীবনের গল্প ভালো লাগে। বিশেষ করে গ্রামের কথাগুলো একদম ক্লাসিক মনে হল! +++

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ছোটোবোন,

সময়টা যে সময়ের তখন একটি সাইকেল মানে গ্রামে গল্প করার বিষয় ছিল। এখন আমাদের ক্রয়ক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে । চারচাকা থাকলেও আমরা এখন মাপি তার ব্রান্ড নিয়ে। তখন অবশ্য সাইকেল নিয়ে এরকম আদিখ্যেতা ছিলনা। সেসময় গ্রামে টিউবওয়েলও চালু হয়নি, পুকুরের জল সবাই পান করতো। তবে সেই পুকুরে স্নান করা নিষিদ্ধ ছিল। যেগুলি আজকে ভাবা বা করাটা মধ্যযুগীয় বলে মনে হবে। তবুও তার মধ্যেও একটি সুন্দর সামাজিক চিত্র ছিল। চেষ্টা করবো যতটা সম্ভব তুলে ধরতে। পাশাপাশি তেমন কিছু থাকলে অবশ্য আমার বোনের তুলোধোনা থাকবে বৈকি।


পারিবারিক জীবনের গল্প ভালো লাগে জেনে আনন্দ পেলাম। আমার আবার আশঙ্কা ছিল, এতটা গাইয়া গল্পের পাঠক পাবো কিনা । গ্রামের কথাগুলি ক্লাসিক লাগায় দারুণ অনুপ্রেরণা পেলাম। সঙ্গে অত্তগুলি প্লাস মনে আর আনন্দ ধরেনা।


অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা আমার প্রিয়বোনকে।


৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিরোনামটি বিপ্লবী, গল্পের শিরনাম এই রকম হতে পারে কল্পনা করা কঠিন, মনে হয়

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মান্যবরেষু,

আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন। ' শিকড়ের সন্ধান ' শিরোনামে আমার পারিবারিক ইতিহাসের একটি পর্ববিশেষ । আগামীতেও এমন কিছু পর্ব তুলে ধরবো। তবে ব্লগিং এর শিরোনামটি আপাতত বদলানোর চিন্তা নেই।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমার প্রিয় ভাইয়ের চমৎকার আরেকটি গল্প পড়লাম; গ্রামীণ পটভূমিতে লেখা একটি পারিবারিক কাহিনী। মা হারা এক যুবক মকুল এবং তার বাবা তৌফিক সাহেব কে কেন্দ্র করে গল্পটি এগিয়ে গিয়েছে। বাপ মায়ের অতি আদরের একমাত্র সন্তান হওয়ায়, বয়সের সাথে মুকুলের বুদ্ধি ঠিকমত পাকেনি; এজন্য মা মরা ছেলের জন্য বাবার অনেক দুশ্চিন্তা ছিল। অবশেষে বাবার দুশ্চিন্তার অবসান হলো ছেলের বোধোদয় হওয়াতে।

গল্পটি আমার গ্রামের শৈশব স্মৃতিগুলোকে আবার জাগিয়ে দিল; স্মৃতিকাতর করলো। গল্পে একরাশ ভাল লাগা, প্রিয় গুরু +++

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হি হি হি, গুরুবন্দনা দিয়ে শুরু করি,

প্রিয় গুরুদেব হয়তো এখন ব্যক্তিগত কাজে বেশি ব্যস্ত । না পাচ্ছি পোষ্ট কিমবা অনলাইনে অ্যাক্টিভ। আমি ভীষণ মিস করি আপনাকে। আশাকরবো শীঘ্রই আবার চাপ মুক্ত হবেন।

গল্পে মা হারা অপরিনত মুকুলকে নিয়ে তৌফিক সাহেবের আবার পথচলা শুরু। বাবামা আদর দিয়ে একমাত্র সন্তানকে বড় করলেও সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাড়েনি বুদ্ধিসুদ্ধি। যেটা নিয়ে বাবার দুশ্চিন্তা । গল্পের অগ্রগতি। পরে সন্তানের বোধোদয়, ও পরিসমাপ্তি ।

' গল্পটি আমার গ্রামের শৈশব স্মৃতিগুলোকে আবার জাগিয়ে দিল ; স্মৃতিকাতর করলো । গল্পে একরাশ ভাল লাগা । " গুরুদেবকে আমার আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর ।


১১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: যাক্ শেষ পর্যন্ত মুকুলের শুভবুদ্ধির উদয় হল দেখে ভালো লাগল। এখন ছেলেটাকে দেখেশুনে একটা বিয়ে দিয়ে দিন।।

আচ্ছা, গরু ভর্ত্তি গোয়াল? না গোয়াল ভর্তি গরু?? :P আমি শুনেছি পাবনাতেও একটা ইছামতি নদী আছে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মন্ডলভাই,

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি, গোয়াল ভর্ত্তি গরু ধরার জন্য। এখন অবশ্য গরুকেই গোয়ালে পাবেন। হি হি হি। আর তৌফিক সাহেব বা মুকুল সবাই এখন এ পৃথিবীতে নেয়। তবে মন্ডল পোলার জন্য এমন ব্যবস্থার চেষ্টায় আছি।

পাবনাতে ইছামতি আছে শুনে খুশি হলাম। তবে এটা অবশ্য বিভূতিভুষনের ইছামতি। বনগাঁ, বসিরহাটের ইছামতি ।

অনেক হৃপ্রীশু রইল।

১২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: মনোমুগ্ধকর।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার ভায়ের ছোট্ট কমেন্টে অন্তরের স্পর্শ অনুভব করলাম।

শুভকামনা রইল।

১৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: 'ইছামতী'র তীরে কথাটা দেখেই বিভূতির কথা মনে পড়ে গেল।

আপনার গদ্য লেখার হাত চমৎকার পদাতিক দা।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ফ্যারাওভাই,

' ইছামতীর'র তীরে কথাটা দেখেই বিভদতির কথা মনে পড়ে গেল। ' বাস্তবিক তাই, ইছামতী মানে বিভূতিভুষণ বন্দোপাধ্যায়। আর পরের কথাটিতে শরম লাগলো। হা হা হা।


অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় ফ্যারাওভাইকে।

১৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে পদাতিক ভাই। তখনকার সময় মানুষের জায়গাজমি থাকলেও টাকা পয়সার অভাব ছিলো।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়জুনায়েদভাই,

আপনার ভালো লাগাতে দারুণ সুখ পেলাম। আপনি এমনিতেই আমার বাড়িতে আসার তেমন সময় পাননা, সেখানে যদি একটু ভালো না হয় তাহলে আসার আগ্রহটাই মাটি হয়ে যেতো। আজ ভাল লাগায় জানবো আগামীতেও আপনার সুযোগ্য সান্নিধ্য পাবো।

পাশাপাশি একটি ব্যাপারে আমার ভুল হয়ে গেছে, যারা পোষ্টটিকে লাইক করেছেন সময়মত তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাতে পারিনি। বিজনদাকে আগে জানিয়েছি। বাকি আছেন - আমার ছোটোভাই ভাইয়ু, প্রিয়বোন অচেনা হৃদি, গুরুদেব কাওসারভাই, ছোটোভাই রাকু, প্রিয়ফ্যারাওভাই এবং আপনাকে জানাই কৃতজ্ঞতা ।


অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় জুনায়েদভাইকে।

১৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: পড়তে হবে সময় নিয়ে

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না পড়ে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ ইমনভাই। আশাকরি পরে সময়মত পড়ে সুচিন্তিত মতামত দেবেন।


শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩১

নীলপরি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন । ++

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুর আগমনে খুশি হলাম। সঙ্গে লাইক ও ডবল প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপুকে ।

অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন ।

১৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫০

সনেট কবি বলেছেন: ভাল গল্প।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না না, প্রিয়কবিভায়ের এটুকু মন্তব্যে আমি খুশি নই। হি হি হি।
তবে লাইক দেওয়াতে কৃতজ্ঞতা জানাই ।

হৃপ্রীশু রইল।

১৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪১

সনেট কবি বলেছেন: কবি আজ এগারটি সনেট লিখেছে সে খবর কি আছে? মাথার ঘিলু শেষ! চৌদ্দটি লিখতে চেয়েছিলাম। অবশেষে অপারগ হয়ে রণে ভঙ্গ দিলাম। ভাবলাম অন্য দিন সে চেষ্টা করব। দশটা প্রতি মন্তব্য দিয়েছি সনেটে। তবে সেখানে প্রিয় চৌধুরী নেই!

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সরি সরি সরি, প্রিয় বড়ভাই,

আমার আজকের পোষ্টে প্রতিমন্তব্য করতে গিয়ে আমি আর দেখতে পারিনি। আর কক্ষনো হবে না। আমি এক্ষণেই যাচ্ছি।

আপাতত বড়ভায়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে.....

১৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:
শকচূড়া - নামটা বেশ সুন্দর। মনে হয় যেন এই হাঁটে নানা প্রকারের শাক পাওয়া যায়- ভবাতেই ভালো লাগছে।

গল্পটি পড়ে উনবিংশ শতকের শুরুর দিকের একটি গ্রামীণ আবহের সাথে নিজেকে কিছুটা সময়ের জন্য মানিয়ে নেয়া যায়। গল্পের মধ্যে সেই ভাবটা অটুট ছিল।
স্ত্রীর অকাল বিয়োগের পর স্বামী ভেবেছিলেন আরেকটা বিয়ে করবেন, এবং তৎকালীন গ্রামীণ পরিবেশে সেটাই হতো। একা একটা সংসার বাবা-ছেলে মিলে সামলে নেয়াটা চাট্টেখানি কথা নয়। তবুও গল্পের শেষে আমরা দেখতে পাই, মৃত স্ত্রীর প্রতি ডুকরে ওঠা ভালোবাসা থেকেই হোক আর বাবা-ছেলের এক সান্ধ্যকালীন বৈঠকের আবেগঘন মুহুর্তের মধ্য দিয়েই হোক, তিনি (কর্তা) ২য় বিবাহ করবেন না বলেই সিদ্ধন্ত নেন।

গল্পের এই প্রেক্ষপটে একটা সুন্দর সমাপ্তি দেখতে পাই, শিরোনামে যেটা বলেছেন- বসিরহাটের মধ্যবর্তী গ্রামগুলির সামাজিক অর্থনৈতিক জীবনের একটি চিত্র--- ঠিক অর্থনৈতিক চিত্র না আমার কাছে বোধহয় বাবা ছেলের পারস্পারিক সম্প্রীতির বন্ধন বলেই মনে হলো। অথবা আমি এর সাথে অর্থনৈতিক তেমন কোন সূত্র খুঁজে পেতে ব্যর্থ হলাম।

শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ভাই

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় কবিভাই,

শাকচুঁড়া বা শাকচুঁড়ো নামের পিছনে এরকম শাঁকেরকরাত জাতীয় কিছু আছে বলে শুনিনি । আমার শৈশবের গ্রামের নাম মাখালগাছা। বাইরে যে শোনে মাকাল ফলের প্রসঙ্গ টানে। যদিও গ্রামে আমার মত কিছু মাকাল ছিল বা এখনও আছে। কাজেই নাম নিয়ে এ টানাটানির সমাধান অজানা।

প্রথমেই ধন্যবাদ দেবো যে আজ একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে ঐ সময়ের সাথে নিজেকে মেলাতে পারার জন্য। আর গল্পে বিষয়টি কতটা ফুঁটিয়ে তুলতে পেরেছি সেটা আপনারা বিচার করবেন । স্ত্রীর মৃত্যুর পর তৌফিক সাহেব আবার বিয়ের মনস্থ করেছিলেন, তবে অনেকটা চিন্তিতও ছিলেন। যদিও শেষে মুকুলের মতি পরিবর্তনে তিনি সে রাস্তা থেকে সরে আসেন। ঐ সময়ে দাঁড়িয়ে ওনার শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ছিলনা, প্রবল রক্ষনশীল সমাজে ভালোবেসে বিয়ে করার অপরাধে। এমনকি প্রতিবেশীরাও সম্পর্ক ত্যাগ না করলেও তাঁদেরকে একটু এড়িয়ে চলতেন। মুকুলের মায়ের প্রতি ভালোবাসার পাশাপাশি সামাজিক ক্রাইসিসটিও ওনার মাথায় ছিল । তাই মুকুলের পরিবর্তনে তিনি যেন অনেক সমস্যা সমাধান পেয়েগেলেন।

ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে যে পরিপ্রেক্ষিত গল্পটা এগিয়েছে আপাতত তাদের অর্থনৈতিক জীবনের প্রধান উৎস কৃষি, যে বিষয়টা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু এটা একটা বড় গল্প আগামীতে আরও কিছু চরিত্র আসবে যেখানে কৃষির পাশাপাশি, সামান্য গ্রাম্য ব্যবসা, মাছ চাষ প্রভৃতি বিষয়গুলি দেখানো হয়েছে। দেখিয়েছি সে সময় সবচেশে কাম্য পাত্র হিসাবে ইমামসাহেব বা মাওলানা দের খুব কদর ছিল। আসলে প্রথম পর্বে যে বিষয়টি আপনার কাছে অনুপস্থিত বলে মনে হয়েছে, আগামীতে আশাকরি সেসব পেয়ে যাবেন ।

পোষ্টটিকে লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়াই জানাই কৃতজ্ঞতা ।


অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয়কবিভাইকে।


২০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৭

বিজনদাদা বলেছেন: গল্পের শুরুতে তৌফিক সাহেবের বিয়ের প্রসঙ্গটা পরবর্তীতে অনেক খুঁজেছি। যদিও পুরোটাই অসম্ভব ভালো লেগেছে। শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্য

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুস্বাগতম দাদা,

এটাকী আপনার দ্বিতীয় নিক? কারন ইতিমধ্যে আর এক বিজনদার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। অথবা না হতেও পারে। এনিওয়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা আপনাকে। বিয়ের ব্যাপারটা শেষে আর প্রয়োজন হলনা। আপনাকেও অনেক অনেক শুভকামনা ।

২১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ সামাজিক জীব। হয়ত সে কারণে মানুষের ঘটনা প্রবাহ সমাজ কে কেন্দ্র করে ঘটে থাকে। শাকচুড়া, ইছামতীর তীর কিংবা তৌফিক সাহেব এরা সমগ্র বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের রিপ্রেজেন্টেটিভ করে।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শাহাদাৎভাই,

আশাকরি ভালো আছেন। হ্যাঁ একদম ঠিক কথা বলেছেন, এরা শুধু শাকচুড়া, ইছামতীর তীর কিমবা তৌফিক সাহেব এরা সমগ্র বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের রিপ্রেজেন্টটিভ করে। অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্য করেছেন।


শুভকামনা প্রিয় শাহাদাৎভাইকে।

২২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৩২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই এই প্রথম আপনার একটি গল্প যথেষ্ট গোছানো এবং স্বচ্ছ লাগলো :) । অন্তত আমি যে কয়টা পড়েছি 8-| । ব্যতিক্রমী গল্প নিঃসন্দেহে। এই সময়ে বসে ওই সময়ের গল্প পড়ছি বলেই এতটা ব্যতিক্রম লাগছে। মুকুলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উপস্থাপনা খুব ভালো লেগেছে। মুকুলের মা কাকবন্ধ্যা না হলে ওই সময়ে মাত্র এক সন্তান থাকার কথা না। অথবা কেন একটাই সন্তান এই বিষয়টার সামান্য ইঙ্গিত থাকলে ভালো হত। মুকুলের বাবাকে 'তৌফিক সাহেব' বলা নিয়ে শুধু একজনই উল্লেখ করেছেন দেখলাম। তিনি কেমন যেন লেগেছে জানিয়েছেন। আমিও বলবো। তবে আমি আপনাকে ধন্যবাদ দেবো। গল্প পড়ার সময়ই এই বিষয়টা চোখে পড়ার পর সাথে সাথেই ঠিক করে নিয়েছিলাম যে আপনাকে এজন্য ধন্যবাদ দেবো। 'সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা'। কে বলেছে তাঁদের সাহেব ডাকা যাবে না। বরং তাঁদেরই আছে সর্বাগ্রে সম্মান পাবার অধিকার। লেখকরাই তো সমাজের ভুলগুলো বর্জন করে তাকে নতুন করে সাজাবেন নিজ লেখায়। আপনাকে সেজন্য আবারো ধন্যবাদ দিচ্ছি, পদাতিক ভাই। আমি ভেবেছিলাম গল্পটি এখানে শেষ। পরে জানলাম আরও পর্ব আছে। অবশ্যই পড়তে চাই এভাবে গুছিয়ে ও সুন্দর উপস্থাপনে। শুভকামনা রইলো :)

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আমাদের আজ ছুটির দিন । অথচ আমার থাকে এই দিনে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা । সাপ্তাহিক বাজারও আমার আজ করা হয়নি । সকালে বাড়ি থেকে বার হলাম । সারাদিনের কাজ সামলে এখন বাড়ি ফিরে প্রতিমন্তব্য করতে বসেছি । যদি দিনের বেলায় গ্রামে সময় পেয়ে একবার করে ব্লগে ঢোকার চেষ্টা করেছি । প্রত্যেকবার নেট না থাকায় হতাশ হয়েছি । পাশাপাশি অস্বীকার করবোনা যে আপনার কমেন্ট মানে তাঁর অনেকগুলি দিক থাকো, একটু সময় আমার প্রয়োজন । আশাকরি আপু আমাকে এই সময়টি বা সুযোগটি ভবিষ্যতেও দেবেন ।

শুভকামনা প্রিয় আপুকে ।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু এবার আসি পোষ্ট প্রসঙ্গে , আপনি আমার যেকটা গল্প পড়েছেন তার মধ্যে এই গল্পটি আপনার বেশ গোছানো ও স্বচ্ছ লেগেছে - শুনে পুলকিত হলাম । হ্যাঁ বোধহয় সময়ের তুলনায় অনেকটা পিছনে তাকানোয় একটু ব্যতিক্রমী হতে পারে । মুকুলের চরিত্র চিত্রায়ন আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রেরণা পেলাম । তবে মুকুল এক সন্তান হওয়াটা নিয়ে আপনিই প্রথম প্রশ্ন তুলেছেন , আমি আনন্দিত যে এমন গঠনমূলক আলোচনা আমাদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে । আসলে গল্পে মুকুলের জন্মবৃত্তান্তটা বললে আরও বড় হয়ে যেত । গ্রামে সন্তান প্রসবের সময় বাড়িতেই সব ব্যবস্থা করা হত । বেশ তিনটি পর্ব পরে আপনি এরকম একটি নারী চরিত্র পাবেন যেখানে টাকির ডাক্তারবাবু গর্ভবতী মায়ের পেট পরীক্ষা করার সময় সজোরে মারবেনা এক চড় । যদিও শহুরে ডাক্তারবাবু প্রবল রক্ষণশীল মহিলার আঘাতকে তেমন পাত্তি দেননি । যেটা বলার জন্য এটা বলা, মুকুল জন্মানোর সময় খুব কষ্ট পেয়েছিল। সমস্যাটি হয়েছিল তার মস্তিষ্কে । পরবর্তীতে তার এরকম আত্মভোলা বা ক্যাবলা প্রকৃতির এটাও একটা কারন হতে পারে। একই সঙ্গে মুকুলের মায়ের প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছি ।

পরে আর কখনও মায়ের গর্ভে সন্তান আসেনি। এখানেও বলার যে গ্রামের ধাত্রীদের নর্মাল ডেলিভারিতে তেমন সমস্যা হয়না । কিন্তু ক্রিটিক্যাল কেসগুলি ওরাও উল্টোপাল্টা করে ফেলে । যার রেজাল্ট সঙ্গে সঙ্গে না পাওয়া গেলেও অনেক সুদূরপ্রসারী হতে পারে । এখনতো আমরা হামেশাই শুনি মায়েদের ইউট্রাস্টে সিস্ট বা কোনও ক্রনিক কেস যেগুলির উৎপত্তি সন্তার ডেলিভারীর সময়ও হতে পারে । আমার বেটারহাফ এর সুগার । পরিবারে আগে কারও ছিলনা । একবার সিজার আর দুবার মিসকারেজ । তাহলে ফলত তিনবার অ্যানেস্থেশিয়ার ব্যবহার । মেডিসিন ডাক্তার জানালেন, ঘনঘন অ্যানেস্থেশিয়ার ব্যাবহার সুগারের অন্যতম একটি কারন।

গল্পে মুকুলের মায়ের মৃত্যুটা কিন্তু পেট যন্ত্রণার সঙ্গে বুকে ব্যাথা ছিল। হসপিটালে মৃত ঘোষণা করায় আর কারন নিয়ে অনুসন্ধান করা তখন চালু হয়নি। কাজেই ডেলিভারিগত সমস্যা যে ওনার মৃত্যুর কারন নয় তা কিন্তু বলা যায়না।

আপু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বর্তমান রিপোর্টে প্রসূতি ও শিশুমৃত্যুর হার একটু কমলেও গল্পটি যে সময়ের তখন কিন্তু সংখ্যাটি ভয়াবহ আকারে ছিল।

অনেক অনেক শুভকামনা আপু আপনাকে ।

২৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার ভায়ের ছোট্ট কমেন্টে অন্তরের স্পর্শ অনুভব করলাম।
শুভকামনা রইল।

দাদা ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ছোটোভাই,

আজ সারদিন প্রচন্ড চাপে ছিলাম। বাড়ি ফিরে ফ্রেস হয়ে প্রতিমন্তব্য করতে বসা । এবার একেএকে সবকটি প্রতিমন্তব্য করবো। অস্বীকার করবোনা যে ভায়ের কমেন্টগুলিতে আমি যেন অন্তরে সুখানুভাতি পাই।

উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি। দোয়া করি আমার ভায়েরও মঙ্গল কামনার।

২৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ছবি ও লেখা দুটোই সুন্দর।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাইদুলভাই,


পাঠ ও মন্তব্যের জন্য জানাই ধন্যবাদ । ছবিটি মূল ইছামতি নদীর। পরপর দুটি ছবি দেওয়া আছে।


শুভকামনা জানবেন ।

২৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

ভীতু সিংহ বলেছেন: গল্পটি বেশ ভালো লেগেছে, আপনার গদ্য লেখার স্টাইল তো আসলেই অসাধারন। এরকম লেখা আরো চাই।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভীতুভাই,

আমার কোনও পোষ্টে আপনি প্রথম কমেন্ট করলেন। সুস্বাগতম আপনাকে। পোষ্টটিকে লাইক দেওয়াই পেলাম অনুপ্রেরণা । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। আবার আমার লেখার স্টাইলকে অসাধারণ বলে মনে করায় আবারও অনুপ্রেরণা। তবে একটু লজ্জা পাচ্ছি , ভাইজান। ব্লগ চাঁদের হাট। সেখানে এমন প্রশংসা নিজের একটু অস্বস্তি বৈকি।পাশাপাশি আপনার যোগ্য সান্নিধ্য পেলে আমি আগামীতে আরও লেখা দিতে পারবো, আশাকরি ।


অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয়ভীতু সিংহভাইকে।



২৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০০

কাইকর বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে এসে দাদার লেখা পড়লাম।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ছোটোভাইকাইকর,

অনেকদিন পরে তুমি এলে। তোমার নাটকের খবর জানতে ইচ্ছা করছে।আমি জানি, তোমার হাতে যাদু আছে। তবে শুধু একটু একমুখী না হয়ে অন্যদিকেও লক্ষ্য দিতে বলবো। একটি পোষ্টে মন্ডলভাই বলেও ছিল সেকথা, পাঠক সংখ্যা প্রচুর কিন্তু কমেন্ট বেশ কম। আবার আপুদের কোনও কমেন্ট নেই। কাজেই সবাই যেন পড়তে পারে এমন ভাষা দিলে আগামী দিনে তুমি অনেকদূর যাবে, তা হলফ করে বলতে পারি। উল্লেখ্য তোমার স্থান আমার হৃদয়ে কিন্তু কমেন্ট করতে না পারার একটা যন্ত্রণা যেন আমাকে পেয়ে বসেছে।আজ আমি আমার স্নেহের ছোটোভাইকে বলার অধিকার থেকে বলেছি। আশাকরি তুমি আমাকে ভুল বুঝবেনা।


অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয়ভাইকে।

২৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

লায়নহার্ট বলেছেন: {ভারতে বাঙ্গালী মানে লেখক; নয় পাঠকতো শিওর! ভালো লেগেছে}

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লায়নহার্টভাই,

এখনও পর্যন্ত কোনও পোষ্ট দেননি। পাশাপাশি দুমাস ব্লগে এলেও আমার কোনও পোষ্টে প্রথম মন্তব্য। কাজেই এমন মানুষের কমেন্ট পাওয়া আনন্দের বৈকি। সুস্বাগতম আপনাকে। পোষ্টটিকে লাইক দেওয়াই অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা আপনাকে। " ভারতে বাঙালী মানে লেখক ; নয় পাঠকতো শিওর! ' না না লায়নভাই, এমনকিছু ভাববেন না । সাহিত্য কখনও দেশ কালের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা। মননশীলতা বড় কথা, সেটা যেকোনও স্থানেই হতে পারে।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,





প্রথমদিকের লেখা তাই কাঁচা হলেও ক্ষতি নেই । তবে গ্রামবাংলার গৃহস্থের দিনগুলো সুন্দর ও যথাযথ চিত্রায়িত করেছেন ।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মান্যবরেষু জী এসভাই,

একেবারে ঠিক ধরেছেন । প্রথমদিকের লেখা। তবে আজও আমার লেখার মধ্যে বেশ ত্রুটিবিচ্যুতি আছে। চেষ্টায় আছি সমস্যা যতটা সম্ভব সমাধানের। পাশাপাশি আপনাদের যথাযথ নোট পেলে আশাকরি দ্রুত উন্নতি করতে পারবো। আপনার সান্নিধ্য আমার প্রার্থনা ।


অনেক অনেক শুভকামনা আপনাকে।


২৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



কথায় আছে - চেনা বামুনের পৈতা লাগে না! লেখাটাই বলেছে ব্লগার পদাতিক লিখেছেন!

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয়কবিভাই,

প্রথম পোষ্টে প্রথম লাইক ছিল আপনার, আজও একই পোষ্টে এখনও পর্যন্ত বা শেষ লাইক আপনার । কাজেই আপনি হলেন রিপোষ্টেও কমেন্ট ও লাইকদাতা। আর আমি পেলাম আবারও অনুপ্রেরণা। কৃতজ্ঞতা আপনাকে। আর কমেন্ট নিয়ে লজ্জা পেলাম। এনিওয়ে ,


অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা প্রিয়কবিভাইকে।


৩০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

মোঃ রুবেল তালুকদার তারু বলেছেন: মানুষ কিছু না হারালে তার মরমো বুঝতে পারেনা
যা মুকুলের হয়েছে

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় রুবেলভাই,

অল্প কথায় সুন্দর কমেন্ট করেছেন। তবে বাল্য ও কৈশরে অনেকের এমন ছন্নছাড়া ভাব থাকে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ে পরিমিত জ্ঞান বা দায়িত্ববোধ। এছড়া পরিস্থিতিও আমাদের অনেক সময় এমন দায়িত্ববান করে তোলে।



শুভকামনা জানবেন।

৩১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাল লিখেছেন। মানুষের জীবন, আহ!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনও পোষ্টে আপনার প্রথম কমেন্ট। সুস্বাগতম আপনাকে। পাঠ ও মন্তব্য এবং লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৩২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

নাবিলা নিতু বলেছেন: মুকুলের বেপরোয়া স্বভাবে একটু রাগান্বিত হলেও পরবর্তীতে খুব ভালো লেগেছে

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ জানাই । বেপরোয়া আর ক্যাবলার মধ্যে একটু পার্থক্য আছে। বেপরোয়ার সঙ্গে বরং বেহিসাবি জীবনের সম্পর্ক আছে। মুকুল সেদিকদিয়ে কারও সাথে নেই প্যাঁচে নেই ।

শুভকামনা রইল।

৩৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার!!
আপনার লেখায় প্রকৃতি থাকে , রিলেশন থাকে,আর থাকে শিক্ষা।
লেখায় ভালোলাগা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,

আশাকরি ভালো আছেন। অনেকদিন ব্লগে আপনাকে দেখছিনা। পোষ্ট যদিও সময় নিয়ে দেন, তবে গতকাল তার আগেরদিন অন্য একটি পোষ্টে আপনার কমেন্ট পেয়ে খুশি হয়েছিলাম যে আপু কিছুটা ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।

পোষ্ট প্রসঙ্গে আপনার চমৎকার মন্তব্যে ও প্লাসে আনন্দ পেলাম। পেলাম অনুপ্রেরণাও। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।


অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা প্রিয়আপুকে।

৩৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: গ্রামীণ জীবনের অসাধারণ চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।ভাই। সুন্দর গল্প। পড়ে ভালো লাগলো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মামুনভাই,

আমার কোনও পোষ্ট আপনার প্রথম কমেন্ট। সুস্বাগতম আপনাকে। পোষ্টটি ভালো লাগায় খুশি হলাম, পেলাম অনুপ্রেরণাও। আগামীতেও আপনাকে পাশে পাবো আশাকরি ।


শুভকামনা জানবেন।

৩৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৫

বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:“আমি আপনিও দায় ঝেড়ে নিজের সন্তানকে নিরাপদে রাখবো সে কথা বলা বাহুল্য”।আপনি একা আপনার সন্তানকে কখনোই নিরাপদ রাখতে পারবেন না। রাষ্ট্রেই আপনাকে সন্তান নিয়ে থাকতে হবে এবং সন্তানটিকে এই অবস্থাতেই বেড়ে উঠতে হবে। সে এবং তার মত সন্তানরা এখন থেকেই দেখছে তাদের ভীরু ও ব্যর্থ বাবারা তাদের জন্য কেমন বাসভূমি তৈরি করেছে। তারা আপন তাগিদেই বড়দের আর মানবে না।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা লতিফভাই, চঞ্চল হরিণী আপুর একটি পোষ্টে আমার কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার এই মন্তব্যটি। তবে আমার বর্তমান পোষ্টের সঙ্গে আপনার এই মন্তব্যটি এখানে ম্যাচ না করায় এখানে বিতর্কটির অবসান করলাম। আগামী পোষ্টে আপনাকে স্পেশাল নিমন্ত্রণ থাকলো।

শুভ কামনা রইল।

৩৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৬

সজল_ বলেছেন: তিন দিনের বেশি হয়ে গেছে এখনো পর্যবেক্ষনে আছি :((

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ভাইসজল,

ধরেই নিচ্ছি আপনি ব্লগিংএ শুধু নয় বয়সেও আমার জুনিয়র। আমি আপনার প্রথম পোষ্টে কমেন্ট দিয়েছিলাম। আপনি সেদিন উত্তরও দিয়েছিলেন। তরপর থেকে আজ পর্যন্ত দেখলাম অন্যের পোষ্টে মাত্র পাঁচটি কমেন্ট করেছেন। এই সংখ্যাটা আপনাকে বাড়াতে হবে। সঙ্গে নিজের ব্লগে আসার জন্য কমেন্টের সঙ্গে সহব্লগারদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে। আমি নিজে আড়াইমাসে সেফ হয়েছিলাম। কাইকরের মত হাতে গোনা কয়েকজন তিনদিনে সেফ হলেও বেশিরভাগই সেফ হতে অনেকটা সময় লেগে য়ায়। তবে কখনই আশাহতহ হবেন না। নিয়মিত ব্লগিং করুণ শীঘ্রই সেফ হবেন আশাকরি।


শুভকামনা আপনাকে।


৩৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

সজল_ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :)

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল প্রিয়ছোটোভাই ,

প্রতিমন্তব্যে আবার এসে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করায় মুগ্ধ হলাম। পাশাপাশি আপনার জন্যও রইল আমার বিমুগ্ধ ভালোবাসা ।


শুভকামনা অফুরান ।

৩৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

বাকপ্রবাস বলেছেন: বর্ণনা, ভাষাশৈলি চমৎকার, গ্রামকে এভাবে এতো সুন্দর করে বর্ণনা, গ্রামীন সম্পর্কগুলো এভাবে সুন্দর করে ফুঁটিয়ে তোলা আজকালকার শহুরেরা পারবেনা, কারন তারাতো সেটা দেখেইনি। খুব ভাল লেগেছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয়বাকপ্রবাসভাই,

প্রথমে জানাই ঈদ মুবারক । এবার পোষ্ট প্রসঙ্গে, আমার বাল্য কৈশোর ও যৌবনের বেশ অনেকটা কাল গ্রামে কেটেছে। বর্তমানে পেশাগত কারনে জেলাশহরে থাকলেও গ্রাম আমার প্রাণ। ছুটি পেলে তাই আজও ছুটে যায় গ্রামে। গল্পে আমি সেটিই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

পোষ্টটি আমার ব্লগিং জীবনের প্রথম পোষ্ট। লেখায় বেশ কিছু স্থানে সামঞ্জস্যের অভাব আছে। হয়তো এখন লিখলে ওগুলি শোধরাতে পারতাম। তবে নুতন লেখার প্রতি আগ্রহ থাকায় পুরানো লেখা আর ঠিকঠাক করার সময় পাচ্ছিনা। তবুও আপনার ভালো লাগলো জেনে আনন্দ পেলাম। পোলাম অনুপ্রেরণাও।

পাশাপাশি আজকালকার শহুরেরা পারবেননা বলে যে কথাটা বললেন , প্লীজ আর বলবেন না। সাহিত্য কখনও দেশকালের গন্ডির মধ্যে থেমে থাকেনা। দরকার পর্যবেক্ষণ শক্তির, দরকার উপলব্ধির। সেগুলি যার থাকবে সে যেখানেই থাকুক নিখুঁত বুনুন পাঠককে উপহার দেবে । আগামীতেও আপনাকে এভাবে পাশে পাওয়া আমার নিরন্তর প্রার্থনা ।

অনেক শুভেচ্ছা প্রিয়বাকপ্রবাসভাইকে।

৩৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এই গল্পটি আপনাদের দেশের হলেও গ্রামীন জীবনের আমাদের দেশের কাহিনীও এমন এবং যা আমার পরিচিত। আমার শৈশব যে গ্রামে কেটেছে সে গ্রামের মানুষের কাছে একটা নতুন সাইকেল অনেক বড় জিনিস ছিল। তখনকার দিনে যাদের বাড়িতে টিনের ঘর ছিল, রেডিও ছিল, টর্চ লাইট ছিল তারাই ছিল সম্ভান্ত মানুষ। তখনকার মানুষ খড়ের পালার সাইজ দেখে অর্থনৈতিক অবস্থা নিরুপন করতো।

সুন্দর বর্ননা, আপনার বর্ননার প্রতিটি দৃশ্য চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম।

অনেক ভাললাগা ও লাইক।

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়তারেকভাই,

ভীষণ সুন্দর কমেন্ট করেছেন। ঠিকই বলেছেন যে গল্পটি শুধু এদেশের নয় গোটা বাংলাদেশের গ্রামের চিত্র
।আসলে গল্পটা যে সময়ের তখন দেশভাগ হয়নি। যে কারনে টাকি হাসনাবাদের বর্ডার বলে কিছু ছিলনা। বৈবাহিক থেকে যেকোনও কারনে ইছামতির এপারওপার বলে কোনও ভেদাভেদ ছিলনা। আগামী পর্বগুলিতে এবিষয়গুলি একটু একটু আলোচনা করবো ।

আপনিও যেভাবে গ্রামীণ বাংলার চিত্রের কথা তুলে ধরলেন তা মনোমুগ্ধকর । পাশাপাশি আপনার কমেন্ট ও লাইক থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম।

অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা আপনাকে।

৪০| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২১

বলেছেন: মনে হলে অপার বাংলার কোন লেখক---
সময় নিয়ে পরলিম-গ্রামীন জীবনের ফেলে আসা চিত্র তুলে ধরলেন।
অসাধারন

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল প্রিয়লতিফভাই,

আপনি আবারো পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার অসাধারণ লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম , পেলাম অনেক অনুপ্রেরণাও। ' ফেলে আসা পরলিম - গ্রামীণ জীবন ' কথাটি আমারও ভীষণ ভালো লেগেছে।

ঈদ মুবারক ।

৪১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগল দাদা। গ্রামীন পটভুমিকা, নদীর পারের কাহিনীগুলো বড় ভাল লাগে পড়তে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ঢাবিয়ানভাই,

বহুদিন বাদে ঠিক ঈদের আগে আপনাকে পেয়ে দারুণ ভালো লাগছে । সঙ্গে কমেন্টে যেন মাটির গন্ধ পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে । আপনাদের পড়তে ভালো লাগাটাই আমাদের বড় পুরষ্কার।

অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

৪২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

ভাইয়ু বলেছেন: কাল আমরা হব কসাই, নতুন লেখা কই হে মশাই?

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একটু চাপে আছি। লেখা আছে। তবে পোস্ট করার মত সময় পাচ্ছি না। আমাদের এখানে ঈদের ছুটি মাত্র একদিন, আগামীকাল। তবুও দেখি সময় পাই কিনা। অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা প্রিয় ভাইয়ুকে।

৪৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

সিগন্যাস বলেছেন: ভাই গল্পটা বিশাল । সময় নিয়ে আরাম করে পড়তে হবে । তবে শুরুর কিছুটা পড়েছি । গ্রামের পরিবেশের বর্ণনা পড়ে আগ্রহ বেড়ে গেল ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সিগন্যাসভাই,

অনেকদিন পরে আপনাকে পেয়ে খুশি হলাম। হ্যাঁ, গল্পটা বেশ বড়। এটি একেবারে প্রথম পর্ব । পরে সময় নিয়ে পড়লে আনন্দ ওাবো। উল্লেখ্য আমি এই গল্পটিকে ' ভোরের আলো , পর্ব - প্রথম নামে ইতিমধ্যে আমাদের এখানে বাংলা প্রতিলিপিতে দিয়েছিলাম। পড়ুয়া ও রিভিউদাতার সংখ্যাটি নেহাত মন্দ নয়।
আপনার জন্য আমারই কমেন্টে দেখাচ্ছি।

৪৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাংলা প্রতিলিপিতে দেওয়া আমার এই পোষ্টটির আজ পর্যন্ত পড়ুয়া ও রিভিউ সংখ্যা।

৪৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪২

প্রামানিক বলেছেন: এখনো পুরোটা পড়া হয় নাই।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়প্রামানিকভাই,

আপনার আগমনের কথা জানিয়েছেন শুনে আনন্দ পেলাম। পাশাপাশি পাঠশেষে কমেন্টের প্রতিক্ষায় থাকলাম ।

শুভকামনা জানবেন ।

৪৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সমাজের একটি চিত্র তুলে ধরেছেন যা সমাজের সবখানেই আছে, আমরা লক্ষ্যও করিনা বা লক্ষ্য করার সময়টুকু নেই - কতো ঘটনা কতো কাহিনি ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত মানুষের জীবনে - আমরা কি মুক্ত ? না আমরা এই সমাজেরই মানুষ আমরাও তৌফিক সাহেবের মতোই একজন !!!

ধন্যবাদ পদাতিক ভাই, ধন্যবাদ ।।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মাহমুদভাই,

আপনি একেবারে ঠিক কথা বলেছেন, আমরা এই সমাজের মানুষ আমরা তৌফিক সাহেবের মত একজন!! এটা সমাজের একটি কমন চিত্র যা সমাজের সবখানেই আছে। আমরা একটু সংবেদনশীল হলে এই সমাজটাই যে বদলে যেত। সে জন্য আমাদের সংবেদনশীলতা, সসমর্মিতা বা সহযোগিতা বোধকে জাগ্রত করতে হবে। খুব সুন্দর কমেন্ট করেছেন আপনি।

শুভকামনা জানবেন।



৪৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

খালেদা শাম্মী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া রিপোষ্ট করার জন্য। পড়তে পড়তে অন্য জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। যেন কল্পনায় দেখছিলাম সব। দারুণ লেগেছে। :) তবে আর নতুন লেখা দেখছিনা যে! :(

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত হলেও আপনি যে এলেন আপু এতেই আনন্দ পেলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম ।

নুতন লেখা পোস্ট করার সময় করে উঠতে পারছিনা। আমি নিজেও পোস্ট দিতে বেশ উতলা হয়ে উঠেছি। দেখি কবে দিতে পারি।


শুভকামনা জানবেন।

৪৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

ওমেরা বলেছেন: আমার আগে ৪৭ কমেন্ট পরেছে সবাই বিভিন্ন ভাবে প্রশংসা করেছেন এদের সবার কথাই আমার মনে কথা ভাইয়া।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা, আগের সবার কথা আপনার মনের কথা শুনে আনন্দ পেলাম। তবুও বলবো এরমধ্যে একটিকে আপন করে নিতে অথবা নিজের মত করে একটিকে সাজাতে। এনিওয়ে আপনি এলেন ও কমেন্ট করলেন - এটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। তবে আপু এই গল্পের পরের পর্বটি ভোরের আলো নামে আমার সর্বশেষ পোস্ট হয়ে আছে। একবার আপনার আগমন পেলে ধন্য হব।


অনেক শুভেচ্ছা আপু আপনাকে ।

৪৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া আমি দেখেছি সময় নিয়ে পড়ব, তাই এখন ধরি নাই ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার আসায় আপু আবার ধন্যবাদ জানাই। লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়াই জানাই কৃতজ্ঞতা। আপনি সময় নিয়ে আসবেন জেনে খুশি হলাম। আপনার অগমনের অপেক্ষায় থাকবো।

অফুরান শুভকামনা আপু আপনাকে।

৫০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৯

নজসু বলেছেন: মুকুল ঝর্ণাতে আটকে আছি। আপনার ব্লগে খোঁজ নিচ্ছিলাম। এই পোষ্টে এসে দেখতে পেলাম মুকুল তো জনম দুঃখী।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল আপু,

পুরানো পোস্টে আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম। হ্যাঁ, মুকুলকে জনমদুঃখী বলতে পারেন। কিছু মানুষ পৃথিবীতে আসেন শুধু দুঃখ পেতে আবার কেউবা কেবল কর্তব্য করতে। বিনিময়ে তারা থাকেন বঞ্চিতদের দলে। ধন্যবাদ আপুকে।


অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালোবাসা নিয়েন।


৫১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২১

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই, আবারও আপনার অগোচরে আপনার ব্লগ বাড়িতে এলাম। আপনার ব্লগের প্রথম পোস্ট পড়ে গেলাম।একরাশ ভালোলাগা রইলো। আবারও কিন্তু আসবো, ইনশাআল্লাহ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরে! আমার অগোচরে কেন বলছেন ? আপনাদের জন্যই তো পোস্টগুলি দেওয়া । আপনার আবার আসাতে আনন্দ পেলাম । সঙ্গে পোস্টটিকে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই । আগামী তেও এভাবে আপনার সুমন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো । বাইরে আছি নেট প্রবলেমের জন্য দেরিতে উত্তর দেওয়াই দুঃখিত ।

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.