নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভোরের আলো

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩






আমরা যখন কংক্রিটের মাঝে থেকে বা কর্পোরেট ধাঁচে জীবনকে গড়তে গিয়ে অতিমাত্রায় যান্ত্রিক হয়ে পড়ি, বন্ধ হয়ে আসে মোদের দম, ঠিক তখনই আমরা ছুঁটে যাই আমার আপনার স্বপ্নের বাংলায় । স্নিগ্ধ বাতাসে শ্বাস নিই প্রাণ ভরে, ঘ্রান নিই মাটির সোঁদা গন্ধের , সতেজ হয় মোদের প্রাণ । কিন্তু যারা আমাদের এই বাংলার রূপকার , সেই গ্রাম্য মানুষের জীবনকথা কখনও কী আমরা অন্তর দিয়ে শুনেছি , তাকিয়ে দেখেছি কেমন তাঁদের জীবনধারা, প্রেম - বিরহ । উনবিংশ শতকের ত্রিশ/ চল্লিশের দশকের এমন জীবন কাহিনী জানতে চোখ রাখুন, 'ভোরের আলো ’ তে ।



তৌফিকসাহেব স্ত্রী বিয়োগের পর প্রাথমিক শোক কাটিয়ে উঠে পুত্র মুকুলকে নিয়ে ক্রমশ স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছেন । সকালে ঘুম থেকে উঠে মসজিদে গিয়ে জামাতে ফজরের নামাজ পড়া বা পরে বাড়ি এসে মুকুলকে ঘুম থেকেডেকে দেওয়া , এটা ওনার প্রাত্যহিক কাজ । মুকুলকে নামাজের কথা বললেও উঠি উঠি করে আরও একটু শুয়ে থেকে যখন সে বিছানা ছাড়তো ততক্ষণে ফজরের ওয়াক্ত যেত চলে । অলস চোখ ঘষতে ঘষতে চুলো থেকে ঘুটের ছাই নিয়ে দাঁত মেজে পুকুর থেকে হাতমুখ ধুয়ে বাড়ির লাগোয়া ক্ষেতে একটু দেখভাল করে নিত । ওদিকে তৌফিক সাহেব মুকুলকে তুলে দিয়ে নিরান কোদাল নিয়ে বাড়ি থেকে দূরে সব্জি ক্ষেতে কাজে যেতেন । উল্লেখ্য ভোরের সময় সব্জিক্ষেতে যে উদ্যমে কাজ করা যায়, বেলা বাড়লে ক্লান্তি চলে চলে আসায় ভোর বেলা কাজ করাটা এরকম কৃষি নির্ভর পরিবারগুলির দস্তুর ছিল । মুকুলও তার আব্বার মত বাড়ির পাশের জমিতে দ্রুত কাজ শেষ করে দুমুঠো পান্তাভাত খেয়ে, অন্য একটি পাত্রে কিছু পান্তাভাত কাঁচা লংকা , পেঁয়াজ নিয়ে ভালো করে গামছা দিয়ে বেঁধে আব্বার উদ্দেশ্যে রওনা দিত ।

আলের উপর বসে পান্তা খেতে খেতে তৌফিক সাহেব মুকুলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সেরে নেন । সব্জি বেশি উঠলে মুকুলকে বাড়ি এসে গরুর গাড়ি নিয়ে আবার মাঠে যেতে হত । আব্বার খাওয়া শেষ হলে মুকুল পাশের মেঠো পুকুর বা ডোবা থেকে এঁটো বাসনগুলো কোনক্রমে ধুয়ে আব্বার তোলা গাস বা আগাছা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতো । বাড়ি ফিরে প্রথমে সে বাসনাদি মাজতে বসে । এরপরে রান্নাঘরে গিয়ে মায়ের মত গোবরদিয়ে সুন্দর করে নেমন দেয় । মাটির মেঝেতে এভাবে নেমন দেওয়ার পর না শুকানো পর্যন্ত আর ওখানে যাওয়া যেতনা । এই ফাঁকে বাড়ির চারধারে ভালো করে ঝাড়ু দিত । মাঠ থেকে সদ্য আনা ঘাসগুলি এর পরপরই গরুদের খেতে দিত। একই সঙ্গে গরুর জন্য বিচুলি কাটা শেষ করে খাওয়ার পানি আনতে যেত আলামতচাচাদের বাড়ির পুকুরে। এই পুকুরে গোসল করা নিষেধ ছিল । গ্রামের সবাই এই পুকুরের পানি পানীয়জল হিসাবে ব্যাবহার করে । তখনকার দিনে এরকম গ্রামগুলিতে টিউবওয়েলের নাম কেউ শোনেনি বা ওর প্রচলনও ছিলনা ।

কাঁচা আনাজ মুকুলদের কখনও কিনতে হতনা । বাড়ির চারদিকে সব্জি এরপর ছিল আগের দিন হাটের অবিক্রিত সব্জি । সবমিলিয়ে বাড়িতে সব্জির ছড়াছড়ি । পাড়ার রহিমাচাচিমা বা ফজিলা চাচিমারা প্রায় ওদের বাড়ি থেকে সব্জি নিয়ে যেত । তবে এরা মুকুলের অনেক কাজ করে দিত । এদের মত পাড়ার প্রায় সকলেই মুকুলদের খুব ভালোবাসে । গ্রামে প্রায় ছোটো - খাটো বিষয়কে নিয়ে যখন একে অন্যের সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকতো , সেখানে মুকল তার আব্বাকে কখনও অন্যের সঙ্গে ঝগড়া করতে দেখেনি । তৌফিক সাহেব আর আগেরমত দেরি করে মাঠ থেকে ফেরেন না । বাড়ি এসে প্রায়ই দেখতেন মুকুলের রান্নাকরা প্রায় শেষের দিকে ।
- সব একা একা করতে গেলে কেন? আমার জন্যতো কিছু কাজ রাখতে পারতে ।
-আমার কোনও অসুবিধা হয়নি । আর তাছাড়া রহিমাচাচিমা অনেকটা সাহায্য করেছে ।
- না না না। দুটো তরকারি নিয়ে যায় বলে তুমি ওদের দিয়ে কোনও কাজ করিয়ে নেবে না ।
মুকুল মাথা নাড়িয়ে তার আব্বার কথার সম্মতি জানাতো ।

চাচিমাদের নিয়ে মুকুলের দু ধরনের সমস্যা । সে তার আব্বার কথামত তাদেরকে রান্নাঘরে কাজ করতে বারণ করলে উল্টে তারা মুকুলকে ধমক দিয়ে দু- চারটে কথা শুনিয়ে দিত,
- তুই বড় হয়ে গেছিস , না । তাহলে আব্বাকে বলে বাড়িতে একটা টুকটুকে বউ এনে দে । আমরা আর কাজ করবোনা ।
মুকুল লজ্জিত হয়ে চাচিমাদের মুখের উপর আর কোনও কথা বলতো না । তাঁদের কাজেও আর বাঁধা দিত না । ফলে প্রায়ই তৌফিক সাহেব বাড়ি এসে দেখতেন রান্নাবাড়া শেষ । তিনিও মুকুলের অসহায়ত্ব বুঝে আর আপত্তি করতেন না । কিন্তু এই অযাচিত পাওয়া সাহায্য বাবাছেলেকে একদিন একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্যে ফেলেছিল । সেদিন মুকুলের দুই চাচিমা কেউ এবাড়িতে আসেননি । সকালে মুকুলের শরীরটাও ভালো ছিল না । কোনও কাজ করতে তার ইচ্চা হচ্ছিল না । পাছে আব্বা অহেতুক দুশ্চিন্তা করে তাই আব্বাকে সে কিছুই জানায় নি । কোনক্রমে আব্বাকে মাঠে পান্তা দিয়ে এসে বাড়িতে এসে সে শুয়ে পড়ে । ভেবেছিল চাচিমাদের কেউ এলে তাকে দিয়ে একটু রান্না করিয়ে নেবে । কিন্তু হায়রে ! আজ যে কেউ এদিকে এলনা । ইতিমধ্যে তার পান্তা খাওয়াও হয়ে গেছে। এতে অস্বস্তি আরও বাড়তে লাগলো । পরে বেশ কয়েকবার বমিও হল । পরের দিকে সে আর সোজা ভাবে দাঁড়াতে পারছিল না । অপরদিকে তার আব্বাও সেদিন মাঠে একটু বেশিই দেরি করেছিলেন । অনেকবেলায় বাড়ি এসে তিনি দেখেন ছেলের অবস্থা কাহিল । বাড়িতে রান্নাও হয়নি । এমতাবস্থায় তৌফিক সাহেব বুঝতে পারছিলেন না যে তিনি কোথা থেকে শুরু করবেন ।
অবশেষে আলু কলা, সিদ্ধ ভাত করে কোনক্রমে সে দিনটি চালিয়ে দিলেন ।

চাচিমাদের নিয়ে তার আরেকটি সমস্যা ছিল । হাবিবুরচাচার মেয়ে ঝর্না বেশ বড় হয়েছে । চৌদ্দ বছরের মেয়ে কিন্তু দেখলে মনে হবে যেন সতেরো/ আঠারো বছর বয়স । সাধারনত এই বয়সের পর আর কোনও মেয়েকে বিয়ে না দিয়ে বাড়িতে রাখা হত না । আর চলন - বলনেও পড়ানো হত বেড়ি । সকালে ঝর্না মক্তবে কেতাব পড়তে যেত । ফিরতো একটু বেলা করে । ঝর্নার এই আসা যাওয়ার জন্য মুকুল আকুল হয়ে পথপানে চেয়ে থাকতো । একদিনতো ঝর্নার মক্তবে দেরি হওয়াতে মুকুলেরও আব্বার জন্য মাঠে যেতে দেরি হয়েছিল । আব্বা জিজ্ঞাসা করাতে সে আমতাআমতা করে যেটা বলেছিল , তাতে তৌফিক সাহেব কোনও সন্দেহ করেননি ঠিকই, তবে সে উত্তরে যে খুশিও হননি , তা ছেলেকে হাবভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ।
মুকুল অবশ্য বলেছিল ,
-আমি ঠিক বুঝতে পারিনি যে আজ এত বেলা হয়ে গেছে ।
তৌফিক সাহেব সারাক্ষণ মাঠেঘাটে থাকতেন । ছেলে মিথ্যা বলতে পারে এটা তিনি কল্পনাও করতেন না । যাইহোক মাঠের কাজ মিটিয়ে মুকুল তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসে । তাদের বাড়ি থেকে কয়েকটা দূরে গাছের ফাঁক দিয়ে ঝর্নাদের বাড়ি দেখা যায় । সে সমস্ত কাজের মধ্যে সুযোগ পেলে ঝর্নাদের বাড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতো । মাঝে মাঝে দূর থেকে অবশ্য ঝর্নার দেখাও মিলতো । মনে মনে একটা প্রশান্তি লাভ করতো । এর মধ্যে রহিমাচাচিমা বা ফজিলাচাচিমা এলে তার সত্যিই খুব অসুবিধা হত । বাড়িতে আপাত নিঃসঙ্গের এমন মধুর আনন্দ সে হাতছাড়া করে কী করে । চাচিমারা এলে সে গোমরামুখে যন্ত্রের মত ফাইফরমাস খাটতো । চাচিমারা চলে যেতেই দুপুরে আব্বার বাড়ি ফেরা , বিকালে আব্বার সঙ্গে হাটে যাওয়ার মত কাজের মধ্যেই তার দিন কাটতো । সুতরাং সকালবেলা যদি বাড়িটা ফাঁকা না পেত , তাহলে সেদিনটি তারকাছে মাটি হয়ে যেত । আগে সাইকেল নিয়ে ইছামতির তীরে যখন বসতো, তখন তার বেশ কয়েকজন বন্ধু ছিল । কিন্তু এখন বাড়িটাই যেন তার কাছে ইছামতি । সাইকেলটিকে সে আর আগেরমত ভালোবাসেনা । ধুলোয় জর্জরিত এক সময়ের প্রানাধিক প্রিয় সাইকেলটি এখন কতই না অবহেলায় পড়ে আছে ।
পপ
ঝর্নার সকালে কেতাব পড়তে যাওয়ার প্রসঙ্গটা আরও একটু বলা দরকার । আগেই বলা হয়েছে তার আগমনের জন্য মুকুল অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করতো । দূর থেকে তাকে আসতে দেখলে কোনও না কোনও কাজের অজুহাতে মুকুল রাস্তার দিকে চলে আসতো ।
- ঝর্না পড়তে যাচ্ছিস ?
- হ্যাঁ, মুকুলভাই।
- হুজুর এখন কী পড়াচ্ছে?
- আমি এখনও আমপারা পড়ছি । বলে একটু হেসে ঝর্না চলে যেত ।
ঝর্না চলে গেলে মুকুল আবার ভাবতে শুরু করে । ঝর্না তো তাকে পাল্টা কিছু জিজ্ঞেস করেনা । কেবল উত্তর দেয় । অথচ বেশ হেসে হেসে কথা বলে । কিজানি মেয়েটার মনের মধ্যে কি যে আছে । মাঝে মাঝে এও ভাবে ঝর্নাকে সময়মত বলি গিয়ে যে তোর সাথে আমার একটু কথা আছে । আবার পরক্ষণেই পিছিয়ে আসে । না না ও যদি খারাপ ভাবে নেয়, তাহলে বাড়িতে বললে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে । ওর আব্বা যা রাগি লোক ।

মুকুল সারাক্ষণ বাড়িতে থাকায় বা সাংসারিক সব কাজ নিজ হাতে করায় প্রতিবেশীরা তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিত । কয়েকজন এমনও বলতো , এ ছেলেকে পেটে ধরা সত্যিই গর্বের । আবার কেউবা বলতো , এমন গোছানো ছেলের বৌ যদি অগোছালো হয় তাহলে মুকুলের কপালে দুঃখ আছে । যাইহোক সামনাসামনি এমন স্ত্ততির কথা শুনে মুকুল লজ্জা পেত । পাড়ার কয়েকজন ভাবি তার সঙ্গে রসিকতা করত । তাদের বাড়ির পাশে বেশ কিছুটা ফাঁকা জমি পড়ে আছে । প্রত্যেকদিন বিকালে বাচ্চারা সেখানে খেলতে আসে । এই সময় ভাবিরাও তাদেরবাড়িতে মাঝে মধ্যে আসতো । অনেকেই তার কাছে জিজ্ঞেস করতো যে তার কোনও পছন্দের কেউ আছে কিনা । মুকুল এত সপ্রতিভ নয় । ঝর্নাকে সে বেশ ভালোবাসে ঠিকই । কিন্তু এখনই ভাবিদের সঙ্গে আলোচনা করাটা ঠিক হবে কিনা সন্দিগ্ধচিত্তে থাকে । যদিও সে জানাই আমার কেউ নেই । অপর একজনভাবি তার বোনের সঙ্গে মুকুলের বিয়ের কথা বলতে, মুকুল আবার লজ্জা পায় । মনের মধ্যে লুকানো সত্যের জন্য যেন খচ খচ করে ওঠে । ঝর্নাকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা তার পক্ষে যে সম্ভব নয় । সে তখন স্থির করে ভাবিদের বলে ,
-আমি এখনই বিয়েটিয়ে করবোনা । তোমরা আব্বাকে যেন কিছু বলবেনা ।

বিংশ শতকের ত্রিশ বা চল্লিশের দশকে কোদালিয়ার মত মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে ইংরেজি শিক্ষার কোনও চল ছিলনা । গ্রামের মসজিদকে কেন্দ্র করে মক্তব কোথাওবা মাদ্রাসা গড়ে উঠেছিল । মক্তব বা মাদ্রাসায় আরবি ফার্সি ভাষা শিক্ষা দেওয়া হত । মসজিদের ইমাম সাহেব হতেন মক্তবের একমাত্র শিক্ষক । মেয়েদের শিক্ষা জীবন মক্তবেই শেষ হয়ে যেত । ছেলেরা অবশ্য মাওলানা, হাফেজ, কারি শিক্ষার জন্য বহুদূরে উচ্চ শিক্ষার জন্য উচ্চতর মাদ্রাসায় চলে যেত । এই মাদ্রাসাগুলি ছিল সব আবাসিক । ইংরেজি শিক্ষার জন্য টাকি বা বসিরহাটে র কোনও স্কুলে এ তল্লাটের কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল বলে শোনা যায়নি । বিয়ের জন্য মেয়েদের আরবি জানাটা একপ্রকার বাধ্যতামূলক ছিল । মেয়ের বাবাদের কাছে হাফেজ, মাওলানা পাত্রের খুব কদর ছিল ।

কয়েকবছর মক্তবে পড়াশোনা করে ঝর্না খুব ভালো কোরান তেলোয়াৎ করতে পারতো । সকালবেলা ফজরের নামাজের পর সে খুব সুর করে কোরান পড়তো । পাড়ায় তার সুনাম ছড়িয়ে পড়লো । হাবিবুরচাচা বা মনোয়ারাচাচিমা তাঁদের এমন সুরেলা কন্ঠের মেয়ের জন্য অত্যন্ত গর্ববোধ করতেন । এমন বিবাহযোগ্য পাত্রীর উপযুক্ত পাত্র খুঁজতে বাবামা উকিল ডাকলেন । সেদিন রান্না করতে করতে রহিমাচাচিমার মুখে এসব শুনে মুকুল একেবারে পাথর হয়ে গেল । তার মাথা ঝিম ঝিম করতে লাগলো । একটা চাপা কষ্ট মনের মধ্যে বয়ে চললো । তবে কী সে চাচিমাকে মনের কথা খুলে বলবে । নিজে নিজেকে প্রশ্ন করলো । সে আরও প্রশ্ন করলো, আচ্ছা আমাদের সংসারে এত সমস্যা, অথচ আব্বা আমার বিয়ের কথা কেন ভাবছে না? মা মারা যাওয়ার পর তার দুষ্টু বন্ধু রফিক তাকে বলেছিল যে তার আব্বা তার জন্য সম্বন্ধ খুঁজছে । চাচিমা তাকে আরও বলেছিল যে কয়েকজন নাকি তার আব্বাকে বুঝিয়েছিল এই বয়সে নিজে বিয়েথা না করে বরং কয়েকটা বছর পরে ছেলে বিয়ে দিলে সংসার বেশি সুখের হবে । নিজে বিয়ে করলে সংসার বিষিয়ে উঠতে পারে । এই আশংকায় উনি বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন । ঝর্নাকে নিয়ে মুকুল এতটা বেপরোয়া ছিল যে আব্বার একথা জানার পরেও সে অবুঝের মত ভাবে ,
সংসারের সব কাজ করে দিচ্ছি , কোনও সমস্যা হচ্ছেনা - এসব দেখেই হয়তো আব্বা আমার বিয়ের কথা ভাবছেনা । যদি আমি এখন থেকে কোনও কাজ না করে আবার আগের মত ছন্নছাড়া হয়ে সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াই বা ইছামতির চরে গিয়ে সময় কাটাই তাহলে হয়তো আব্বা আমার বিয়ের কথা ভাব্বে ।

সেদিন রাতে শুয়ে মুকুলের আর ঘুম আসছিল না । ছোটো থেকেই মুকুল না ঘুমালে তার আব্বামা ঘুমাতেন না । মায়ের মৃত্যুর পরেও তার আব্বা অভ্যাসটি চালু রেখেছে । সে জানে তার ঘুম আসছেনা দেখে তার আব্বা ব্যস্ত হয়ে পড়বে । কেরোসিনের কুপির আব্ছা আলোয় বেশ অনেকক্ষণ পরে তার আব্বার দিকে পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে আব্বা তার দিকেই তাকিয়ে আছে । চোখাচোখি হতেই,
- কী, তুমি ঘুমাওনি?
-না, ঘুম আসছেনা ।
- কেন? শরীর খারাপ লাগছে?
- না, তেমন নয়। তবে পানি খাওয়াটা বোধহয় কম হয়ে গেছে ।
তৌফিক সাহেব ধড়ফড় করে উঠে মাটির কলসি থেকে পানি ঢেলে ছেলের দিকে ধরলেন । উল্লেখ্য মুকুলের মায়েরও মৃত্যুর আগের রাতে শরীর খারাপ হয়েছিল । সুতরাং তৌফিক সাহেবের এক্ষেত্রে উদ্বিগ্ন হওয়াটা স্বাভাবিক । ক্রমশ পরিস্থিতির অবনতির আশংকা করে মুকুল আব্বাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো ।
- তুমি খামোকা এত ভয় পেয়োনা । ও সব ঠিক হয়ে যাবে । দেখ আমি কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়ে যাচ্ছি ।
বাস্তবিক মুকুলও খুব নার্ভাস হয়ে পড়েছিল । আর একটু হলেই যে সে তার আব্বার কাছে ধরা পড়ে যাচ্ছিল ।

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সে ঠিক করলো আজ সময় করে রহিমাচাচিমাদের বাড়িতে যাবে । উল্লেখ্য এখন মুকুলের বাড়ির কাজ খুব দ্রুত শেষ হয়। ঝর্না এখন আর মক্তবে কোরান পড়তে যায়না । যে কারনে মুকুলের সকালে আর সময় নষ্ট হয়না । ওদিকে ঝর্নার আব্বা মেয়ে ক্রমশ বড় হওয়ায় বাড়ির চারপাশে উঁচু করে পাঁচিল তুলে দিয়েছেন । কাজেই এখন আর ঝর্নাকে মুকুল গাছের ফাঁক দিয়ে দেখতে পায়না । তখনকার দিনে এধরনের কৃষি নির্ভর গ্রামগুলিতে চোর দস্যুর উপদ্রব একেবারে ছিলনা বললেই চলে । ফলে বাড়ির সব কাজ শেষ করে মুকুল বাকে করে খাওয়ার পানির কলসি নিয়ে একই রাস্তায় রহিমা চাচিমার বাড়িতে গেল । এত সকালে মুকুলকে দেখে চাচিমা বেশ অবাক হল । তাকে খুব খাতির করে বাড়ির ভিতরে নিয়ে তার আসার কারন জানতে চাইলো । মুকুল এবার ঢোক গিলে হ্যাঁ না মানে বলতে বলতে আসল ঘটনাটা বললো । চাচিমা সব শুনে জানালো ,
- ও মেয়েরতো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে । ছেলের বাড়ি দেবহাটে । তোর যদি ওকে ভালো লাগেতো আগে জানালিনা কেন । তবুও দেখি ওর আব্বার সঙ্গে কথা বলে । কিছু একটা করতে পারি কিনা দেখি । উল্লেখ্য দেবহাট বর্তমানে বাংলাদেশের সাতক্ষিরা জেলার অন্তর্গত ।

( পাঠকবন্ধুদের অনুরোধ, এই পরিবারের পরবর্তী কাহিনী জানতে প্রকাশনার অপেক্ষায় থাকা ' উজান হাওয়া ' র দিকে লক্ষ্য রাখুন।)

বিঃ দ্র- পোস্টটি উপহার দিলাম আমার ছোটোবোন কথার ফুলঝুরিকে । অজ্ঞাত কোনও অভিমানে অনেকদিন বোন ভায়ের বাড়িতে আসেনা। আজ ওর জন্য আমার ঈদ স্পেশাল । সঙ্গে আগত সকলকে সুস্বাগতম ।



মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

বিজন রয় বলেছেন: সময় নেই।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওকে দাদা। প্রথম কমেন্ট হিসাবে আলাদা ভালোলাগা । পরে সময় পেলে যদি পড়েন তাহলে আনন্দ পাবো । লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়াই কৃতজ্ঞতা জানাই।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ত্রিশ-চল্লিশের দশক দেখা হয়নি৷কিনতু প্রিয় গুরুর লেখা গল্পটি পড়ে ফিরে গেলাম অনেক পেছনের একটা সময়ে৷তখনকার গ্রামীণ জীবন, মানুষের প্রেম, বিরহ সব কিছু ফুটে উঠেছে এতে৷আসলে চমৎকার লেখনির জাদু আছে আপনার লেখায়৷এজন্য এতো মনযোগ দিয়ে পড়ি৷ঝরণাকে মনে হলো সে যুগের সুচিত্রা সেন!! মুকুলের (উত্তম কুমার) কপালে ঝর্ণাধারা বহমান হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা জানি না!!!

দেখা যাক কি হয়?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গুরুদেবের পদার্পণে ধন্য হলাম। দারুণ একটা মন্তব্য করেছেন, গুরুদেব। ঝরণাকে মনে হয়েছে সে যুগের সুচিত্রা সেন আর মুকুলকে উত্তম কুমার। কিন্তু মুভিতে যেটা সহজে সম্ভব, রক্ষণশীল সমাজে সেটা যে বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবুও আমারা আশায় থাকবো। প্রকাশনার অপেক্ষায় থাকা উজান হাওয়াতে নিশ্চয় উত্তর পাওয়া যাবে । প্রথম লাইকদিয়ে শিষ্যকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা প্রিয় কাওসারভাইকে। আর বিনম্র শ্রদ্ধা গুরুদেবকে।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

রাকু হাসান বলেছেন:


বাহ,গ্রামের দৃশ্যগুলো চোখের সামনে স্পষ্ট ভেসে আসছিলো অামার । ব্লগে এমন গল্প খুব কম আসে । প্রায় সবাই শহরে গল্প নিয়ে ব্যস্ত,তারমাঝে ভাইয়ের লেখাটি পড়ে বাড়তি ভাল লাগা কাজ করছে । মুকুল চরিত্রটি খুব পছন্দ হলো । প্রত্যকটি চরিত্র অামাদের গ্রামীন সামাজিক জীবনের দৃশ্য ধারন করেছে । প্রথম যে কয়েকটা কথা বলেছো গল্প শুরুর আগে সেটিও চমৎকার লাগছে । :-B ,ব্লগের গল্পের আলোকে একটু বড় হলেও ,আমার কাছে বড় লাগেনি ।কখন যে শেষ হয়েছে ! শেষটা মুকুল যদি মেয়েটা কে পেত ,ভাল লাগতো,অপেক্ষায় দেখা যাক মুকুলের কি হয় । 8-|

ভাল তো ,ঈদ কেমন কাটলো? অামার ভাল কাটছে ভাইয়া ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ছোট্টভাইটি,

তোমার ঈদ ভালো কেটেছে জেনে আনন্দ পেলাম। বাবামাকে আমার ঈদের ছালাম পৌছে দিও। আমারও উপরওয়ালার কৃপায় ঈদ খুব ভালো কেছেচে। তবে একটু ব্যাথা পেয়েছি, তোমার ভাইপো ঈদের দিন খাসির সঙ্গে অনেক মজা করেছিল। তুলেছিল অনেক ছবিও। খাসি জবাই এর পরে খুব কান্নাকাটি করেছে। বারবার ছবিগুলি দেখছিল আর আগের কথা মনে করছিল। যদিও সন্ধ্যেবেলা ঠিক হয়ে যায়।
এবার আসি পোস্ট প্রসঙ্গে , আসলে বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের চিত্রটি একই, তা সে পূর্ববঙ্গ বা পশ্চিমবঙ্গ যেখানেই হোক। যে সময়ের আলোকে পোস্টটি লিখেছি তখন দেশভাগ হয়নি। ওরা শোনেনি গান্ধি কিমবা সুভাষ বোসের কথাও। যেটা আজকে দাঁড়িয়ে আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও এটাই ছিল বাস্তব। ছিলনা কোনও স্বাস্থ্য পরিসেবা বা বিনোদনের মাধ্যম। এহেন সমাজে বয়ঃসন্ধিকালে যা একটু প্রেম - বিরহ ছিল, সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করছি। কতাটা পারছি সেটা তোমরা বলবে।
লাইক দেওয়াই অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই।


শুভকামনা রইল।


৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: লেখক কি পরোক্ষভাবে বই কেনার প্রস্তুতি নিতে বলছেন?! হা..হা..
দারুণ গল্প। পড়া শুরু করলে আর থামবার উপায় নেই।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় জুনায়েদভাই,

আমি একজন হাতুরে লেখক। আপনার এই কথাটিই আমার সেরা পুরষ্কার। কাজেই ওসব টাকাপয়সা নিয়ে ভাবিনা। আপনাকেও চাপ না নিতে অনুরোধ করবো। হা হা হা।

আগামী পর্বেও আপনাকে পাশে পাবো কামনা করি।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনাকে।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় কবিভাইকে।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: গল্পের মোড় কোনদিকে যাচ্ছে জানি না। তবে ঝর্না আর মুকুলের যদি বিয়ে হয়ে যায় তাহলে ভালো হত, তবে বিয়ে ঘটিয়ে দিতে লেখককে অনুরোধ করব না। লেখকই জানেন গল্প কোন দিকে মোড় নিলে তা সুন্দর হবে।

দেবহাটা সাতক্ষীরার অংশ শুনে কেন যেন আমার খুব হাসি পেল। তবে এটা এমনি ব্যপার। হাসির কথা শুনে কোন টেনশন নিবেন না প্লিজ।

ভাইয়া আমি তো জানতাম আপনার বাড়ি সাতক্ষীরা থেকে দূরে। কিন্তু আপনি সাতক্ষীরার গল্প কিভাবে লিখলেন? বেশ ইন্টারেস্টিং তো।

পরের গল্পের অপেক্ষায় রইলাম। শুভেচ্ছা ভাইয়া। :)

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না আজ ঠিক হলনা। আজ আমি ভেবেছিলাম, আমার আরেক বোন অস্ত্রে শান দিয়ে আসবে। কিন্তু আমার ধারনা ঠিক হলনা। আসলে গল্পে বা উপন্যাসে আমরা প্রধান দুটি চরিত্রের মিল দেখে খুশি হই। তবে ট্রাজেডি হলে মনে একটা অপূর্ণতা তৈরী হয়। দেখাযাক আগামী পর্বে কী ঘটে।

গল্পটি যে সময় থেকে শুরু হয়েছে, তখন দেশভাগ হয়নি। তৈরী হয়নি ভারত বা বাংলাদেশ। কাজেই আর পাঁচটা সাধারন নদীর মতই দৈনন্দিন কাজে এলাকাবাসীর যেমন নদীর উভয় দিকে যাতায়াত ছিল, তেমনি ছিল বৈবাহিক সম্পর্কও। গল্পে যে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

উজান হাওয়াতে এরকম আরও কিছু অধুনা বাংলাদেশের জায়গার নাম থাকবে।

আমার বোনের শুভেচ্চা গ্রহণ করলাম। আমিও জানালাম অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা।


৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হা... হা... আগামী পর্ব পোষ্ট হলে আমাকে একটু খবর দিয়েন। কমেন্টে লিংক দিলেও হবে।

(অনেক পোষ্ট মিস হয় প্রতিদিন। এটা মিস করতে চাইনা।)


অনেক অনেক শুভকামনা শ্রদ্ধেয় পদাতিক ভাই।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার আসায় ভীষণ খুশি হলাম প্রিয় জুনায়েদভাই। আপনার আগ্রহ দেখে আমি মুগ্ধ। এমন একজন মানুষকে জানাতে পেরে আমি হব ধন্য। অবশ্যই আপনাকে জানবো। বাকিটা উপরওয়ালা সহায়।

নিরন্তর শুভকামনা প্রিয় জুনায়েদভাইকে।

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট এবং সকলের মন্তব্য গুলো খুব মন দিয়ে পড়লাম। মুগ্ধ হলাম।

মানুষকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র প্রজ্ঞা-জ্ঞান। সুতরাং মানুষের চূড়ান্ত মুক্তির জন্য জ্ঞান চর্চার বিকল্প নেই। হয়ত এ কারণেই ধর্মগ্রন্থগুলো প্রথমেই জ্ঞানার্জনের উপর গুরুত্ব দিয়ে গেছেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই বলবো আমি একদিন আমার ছোটোভাইকে তুমি বলে ব্লগিং সম্পর্ককে একটি বিশেষ মাত্রায় নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমার আর এক ভাই রাকু যে তুমিত্বের কারনে আমার এত কাছের, এত হৃদয়ের। সে জন্য ওসব আপনি টাপনিকে মেঘনায় বিসর্জন দিয়ে চোখ বুজে তুমিতে ফিরলে মুগ্ধ হব।

এবার পোস্ট প্রসঙ্গে আমার পোস্টে এযাবৎকাল তোমার সেরা কমেন্ট। প্রীত হলাম এমন বিদগ্ধ সম্মত কমেন্ট পেয়ে। সহমত যে ধর্মগ্রন্থগুলি একারনে জ্ঞানার্জনের উপর গুরুত্ব দিয়ে গেছেন।

অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা প্রিয় ছোটোভাইকে।

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: অফলাইনে দেখলাম ভাইয়া তার নতুন লেখা পড়ার আমন্ত্রন জানিয়েছে আমাকে । আগে কখনো এমন হয়নি :P তাই কিছুটা অবাকও হলাম যেমন অবাক হয়েছিলাম কাওসার ভাইয়ার ক্ষেত্রে যখন তিনিও তার লেখা আমাকে উৎসর্গ করা গল্পটি পড়ার জন্য আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন । দুর্ভাগ্যবশত তখন এত বিজি ছিলাম যে দুইদিন পরে আমি ভাইয়ার ব্লগে যাই :( আর তখন দেখি উৎসর্গে আমার নাম। এত খুশী হয়েছিলাম তখন আর সাথে সাথে মন খারাপ লেগেছিল কারন আমাকে উৎসর্গ করা গল্প আর আমিই এলাম দুইদিন পরে । কিন্তু যাক, আমার আরেক ভাই পদাতিক ভাইয়ার ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি :-B

আমি একটু ফ্রী হয়ে, গল্পটি পড়া শুরু করলাম আর ধীরে ধীরে শেষে এসে দেখি সে কি কাণ্ড :|| সারপ্রাইজ আমি অনেক বেশী আর আনন্দিত :-B যাই হোক ভাইয়া, ধন্যবাদ আমি সাধারণত দেইনা, কারন কিছু আনন্দ আর খুশী পাবার পরে ওই এক ধন্যবাদ দিতে মন চায়না কারন ধন্যবাদ শব্দটি কেমন একঘেয়ে কিন্তু খুশী আর আনন্দটা যে অনেক বেশী । তাই ধন্যবাদ দিতে সবসময় আমার ভালোলাগেনা । শুধু বলব আমি অনেক বেশী আনন্দিত ভাইয়া।

আর হা, আসলেই সেই যে আপনার তটিনী গল্পটি পড়েছিলাম আর তারপর আসা হয়নি আপনার ব্লগ বাড়িতে :( কিন্তু বোন কি ভাইয়ার উপর অভিমান করতে পারে? আসলে ভাইয়া, কিছুটা সময় নিয়ে যে প্রিয় মানুষগুলোর ব্লগটা একটু ঘুরে ঘুরে দেখব কোন লেখা মিস গেল কিনা সেই সুযোগটা না আর হয়ে উঠেনা । তাই যখন সময় হয় চোখের সামনের লেখাগুলোই পড়া হয় । আর আপনার গত কয়েকদিনের লেখাগুলো চোখ এড়িয়ে গিয়েছে । তবে আজ কিন্তু আপনার লেখাটি মিস যেতোনা আপনি না বললেও ।

এবার গল্পে আসি, খুব সুন্দর আবেগপূর্ণ একটা গল্প সাথে ভালোবাসা ও আছে !:#P ভাইয়া একদম বোন কে বুঝে নিয়ে যেন সঠিক গল্পটাই বেঁছে নিয়েছে। বসবাসের জন্য আমার শহর পছন্দ তবে মাঝে মাঝে খুব মন চায় একদম গ্রাম যাকে বলে ওইরকম একটা জায়গায় গিয়ে থাকি কিছুদিন। আপনার লেখাটায় ঠিক সেরকম একটি চিত্র পেলাম । অনেক বেশী টাচি গল্পটা । আমি জানিনা ঝর্না আর মুকুলের ভাগ্যে কি আছে তবে আমি ওদের মিলন চাই। বিচ্ছেদ আমার একদম ভালো লাগেনা :( অনেকদিন ফসলের ক্ষেত দেখা হয়না আর হয়না পুকুরে গোসল। তবে পান্তা খাই, আমার খুব পছন্দ পান্তা ভাত :D আর ভাইয়া, আরেকটা কথা, ভোরের আলো যে আমার ভীষণ পছন্দ। সূর্যোদয় দেখতে অসম্ভব ভালো লাগে আমার। ভাইয়ার গল্পটি যেন একদম পারফেক্ট আমার জন্য। আমি অনেক খুশী !:#P

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের বোন,

সুপ্রিয় কাওসারভায়ের ক্ষেত্রে এমন হয়েছে জেনে খারাপ লাগছে। ব্লগে আমার অত্যন্ত প্রিয় আপনজন কাওসারভাই। ওনার জন্য রইল আমার অন্তরের শুভেচ্ছা । আর ব্যস্ততা মাঝে মাঝে এমনভাবে আসে যে ব্লগে ঢু মারার সময় হয়ে ওঠেনা। সেই সময় আমার খুব মন খারাপ লাগে, প্রিয়জনদের পোস্টে মন্তব্য করতে না পেরে। কিন্তু কী আর করা যাবে। আমাদের যে এভাবেই চলতে হবে ।

তটিনীর পরে আর ভায়ের বাড়িতে আসা হয়নি। ঠিকই, এতবড় একটা ঈদ গেল, বোনটাকে ঈদে আসতে বলবোনা। তটিনীর পরে আমি এই পর্বের একটি গল্প দিয়েছিলাম। তবে সেটি রিপোস্ট ছিল। সেদিক দিয়ে আজকের পোস্টটি একেবারে ফ্রেস । অভিমান সম্পর্কে ছোট বেলায় কথায় কথায় ঠোট ফোলাতেন। সেটিকেই বলতে চেয়েছি। হা হা হা। এখন অবশ্য ওসব অভ্যাস আর নেই। হি হি।

এবার পোস্ট প্রসঙ্গে, টেলিপ্যাথিতে বুঝেছি আমার শহর জীবনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বিভূতিভুষন বন্দোপাধ্যায় এরকম বায়ু সেবন করতে যেতেন ঘাঁটশিলার জঙ্গলে। যে স্থানে বসে উনি লিখতেন সেই ঢিপিতে কয়েকবছরআগে আমরাও গেছিলাম। ঝাড়খন্ড সরকার ঐ স্থানটির রক্ষনাবেক্ষনের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি । আমিও আজ আমার বোনের বায়ুসেবন করতে আমার তিনপুরুষ আগেকার গ্রামে নিয়ে এলাম। বাকিটা গল্পে আছে। পরবর্তীটা উজান হাওয়াতে থাকবে ।

গল্পটা আমার বোনের একেবারে পারফেক্ট হওয়াতে পুলকিত হলাম। আগামীতে এভাবে পাশে পাবো আশাকরি।

অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা প্রিয় বোনকে।

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যে-সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন, অমন সময় তো আমি নিজেই পার করেছি। একই চিত্র। একই পরিবেশ। হাল চাষ। ক্ষেতে খাওয়া দাওয়া। এগুলোতে আমি এত মগ্ন হওয়ার কারণ হলো নিজে যেমন ক্ষেত খামারের কাজ করেছি, বাড়িতে মেয়েলি কাজও করেছি মায়ের সাথে। আমি বড়ো ছেলে ঠিক বড়ো মেয়েটির মতো মায়ের কাজ করেছি, আবার পাক্কা গৃহস্থের মতো ক্ষেতের কাজও করেছি।

মুকুলের প্রেম শুরুতে খুব হালকা হলেও শেষের দিকে এসে বোঝা যায় তা কত গভীরে পৌঁছে গেছে।

গ্রামের সহজ সরল জীবন যাপন, চাচি ফুপুদের সাহায্য করে দেওয়ার ঐতিহ্য, সব যেন ছায়াছবির মতো চোখের সামনে দেখতে পেলাম।

ঝর্নার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। গল্পের মোড় মনে হচ্ছে এখান থেকেই শুরু হলো। সাসপেন্সের মধ্য দিয়ে এই পর্ব শেষ হলো।

আপনার গল্প বলার ঢং অসাধারণ। খুব পরিণত। গল্পে আমি আকৃষ্ট। সময় পেলে এ গল্প মিস হবে না।

শুভেচ্ছা রইল।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুগ্ধ হলাম স্যার আপনার আগমনে। তার উপরে এমন কমেন্টে আশাতীত আনন্দিত । আপনি ঐ সময়কে দেখেছেন জেনে অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই । বাড়ির বড় ছেলেদের মায়ের হাতে প্রচুর কাজ করতে হত, যেটা আপনি নিজে করেছেন। তবে এখন এসব অতীত। ফলে এই প্রজন্ম এসবের নির্মল আনন্দ থেকে যে বঞ্চিত তা বলা বাহুল্য ।

পোস্ট প্রসঙ্গে ; মুকুলের প্রেম শুরুতে খুব হাল্কা হলেও শেষের দিকে বোঝা যায় তা কত গভীরে পৌঁছে গেছে।’ একদম ঠিক বলেছেন। আসলে প্রথমে একটা জিনিস তৈরী হতে সময় লাগে, যেমন লাগে সাহসও। সে কারনে প্রথমদিকের হাল্কা প্রেম ক্রমশ গভীর হয়েছে।

গ্রামে চাচিমা বা ফুপুদের সাহায্য করার মধ্যে একটি আত্মিক টান আছে। আছে পরস্পরের মধ্যে নিবিড় অনুভূতি। একে অপরের সুখ দুঃখকে আপন করে নেওয়ার একটা সার্বিক চিত্র। পাশাপাশি একটি আর্থিক সহযোগতাও। গল্পে রহিমা চাচিমারা ভীষণ গরিব। মুকুলদের বাড়ি থেকে দুবেলা সব্জি আনাজপাতি নিয়ে যায়। যেটা আবার মুকুলদের কাছে কোনও সমস্যা নয়। অর্থাৎ একে অপরে কিছুটা সহযোগিতা করা হচ্ছে। যেটাও এখানে একটু দেখানোর চেষ্টা করেছি।

গল্পটা বেশ বড়। কাজেই সাসপেন্স একটু থাকবে। আগামী পর্বে বিষয়টি ক্লিয়ার হবে আশাকরি ।

আমার গল্প বলাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম। ব্যক্তিগত ভাবে আমি জানি আপনি স্তম্ভ । প্রতিষ্ঠীত কবি ও উপন্যাসিক । আপনার এমন মন্তব্য আমি অভিভূত। স্যার আপনি জ্ঞানে বা বিদ্যা বুদ্ধিতে প্রাজ্ঞ। আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার প্রার্থনা ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৪৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: প্রথম পর্বেই জানতাম এই গল্প ভালো লাগার। মন্তব্যে জানিয়েছিলামও সে কথা। গ্রাম, গ্রামীণ পরিবেশ, চাষবাস, বাড়ির পাশের সবজি এসব পড়তে কি যে ভালো লাগে ! কি যে এক শান্তি বয়ে যায় ভেতরে ! প্রথম পর্বের মতই সুনিপুণ বর্ণনায় লিখে গেছেন। ক্লাসিক গল্প পড়ছি এমন বোধ হচ্ছে। এই একটি লাইন দিয়েই গল্প সম্পর্কে সব বলে দিলাম। শুধু একটা খটকা জাগছে, চোর ও দস্যুরা একেবারে ছিল না বলা নিয়ে। ওই সময়ের প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ, শরৎ, বিভূতি , মানিক প্রমুখের গল্পে তো আমরা দস্যুদের উপস্থিতি পড়েছি। 'দেবী চৌধুরানী' নামে এখন একটা সিরিয়ালও হচ্ছে। যাইহোক, গল্প শেষ না করলে যেন তৃপ্তি পাবো না। অনেক আগ্রহ নিয়ে পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম,পদাতিক ভাই।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল আপু,

বরাবরের মত আজও আপনার গঠনমূলক মন্তব্যে প্রীত হলাম । গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে সেটা প্রথম পর্বেই বুঝিয়েছেন, আজ আরও একবার বললেন। আনন্দ পেলাম আপু আপনার ভালো লাগাতে । গল্প পাঠ করে হৃদয়ে এক শান্তি বয়ে যাওয়ার যে অনুভূতির কথা জানালেন , মুগ্ধ হলাম আপু। পেলাম অনেক অঅনুপ্রেরণাও।

গল্পে আপনার যে জায়গাটায় খটকা লাগছে, তখনকার চোরেরা এখনকার মত এত আন্তর্জাতিক ছিলনা । প্রতিবছর পূজোর আগে কলকাতায় প্রচুর দক্ষিণ ভারতীয় মহিলা ছিনতাইবাজ আসে জীবিকার অন্বেষণে। পূজোর কেনাকাটার ভিড়ে লালাবাজারের হাজার প্রচারাভিযান সত্ত্বেও পেপারে প্রায়ই দেখি ভুক্তভোগি মানুষ জনের কথা। সে তুলনায় গ্রামগুলি অনেকটা নিরাপদ । গ্রামের মানুষের চাহিদা সীমিত। সন্ধ্যেবেলা খেয়ে শুয়ে পড়ে আবার ভোরবেলা ওঠে। কড়া অনুশাসন গ্রামগুলিকে বেঁধে রেখেছে । যেটা গ্রামগুলিকে একদিকে নিরাপত্তা দিয়েছে। অন্যদিকে পূর্বেই বলেছি যেহেতু গ্রামবাসীদের চাহিদা সীমিত, কাজেই তাঁদের মধ্যে যারা ফজিলা বা রহিমাচাচিদের মত অপেক্ষাকৃত গরিব তাঁরা যদি চেয়েচিন্তে কিমবা সামান্য কাজ করে তিনবেলা বাড়ির সকলের খাবার পায় তাহলে অসৎ পথে হাঁটবে কেন। তবে হ্যাঁ, ধর্মীয় অনুশাসনের আড়ালে একটি ভয়ের আবহ ছিল । বাঁশকল, হাতপা বেঁধে পিঁপড়ের ঝাকে ফেলে রাখা বা একঘরে করে রাখার মত অমানবিক প্রথা চালু থাকলেও প্রনয় ঘটিত ব্যাপারে এগুলি ব্যাবহার হলেও চোর - দস্যু বৃত্তির জন্য এর প্রয়োগ শোনা যায়নি।

অভিজ্ঞতায় দেখেছি, সাধারনত স্টেশন বা বাজার এলাকার মত ব্যস্ততম এলাকায় এসব উপদ্রব তুলনায় অনেকটা বেশি। চোরেরা য়দি নিজের গা ভালো রাখতে চাইতো, সে দিক দিয়েও গ্রামে ওসব মুক্ত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।

সবশেষে আপু রবীন্দ্রনাথ, শরৎ বিভূতিভুষণ, মানিকদের প্রেক্ষিত অনেক বড়। এক বিস্তৃতঅঞ্চলের ছবি ওনাদের লেখায় উঠে এসেছে। এসেছে কিছুটা সমাজ সচেতনা বা দেবীচৌধুরানীতে রাজনৈতিক সচেতনতা। সেদিক দিয়ে আমার লেখা একটি ছোট্ট গন্ডির মধ্যে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে লেখা। এখানে হয়তো এই কারনে সমাজ ওসব থেকে মুক্ত। বাকি পর্ব দেখার অনুরোধ আপুকে। কিছু পাওয়া নাপাওয়া খুঁজবেন - আশাকরবো ।

অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভেচ্ছা আপুকে।


১২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:১৫

চাঙ্কু বলেছেন: সেই রকম গ্রাম আর নাই। এখন গ্রামও আধা-শহর হয়ে গেছে!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুস্বাগতম প্রিয় চাঙ্কুভাই,

আমার কোনও পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট । হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গ্রামগুলি দ্রুত বদলে যাচ্ছে। গ্রামের আর্থ সামাজিক অবস্থা আমূল বদলে গেছে। কিন্তু আশংকা যে অন্য জায়গায়। নগরায়নের থাবা অবশেষে গ্রামের নির্মল বাতাসকেও প্রভাবিত করেছে , যা বড় যাতনার।


নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।


১৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: আপনার গল্পের শব্দচয়ন, প্রকৃতি, উপাস্থাপনা ইত্যাদি নান্দনিক বিষয়গুলো নিখুঁত।

বয়সের ব্যবধান একটু বেশী মনে হল ঝর্ণা মুকুলের। ঝর্ণা মক্তবে পড়তে যাচ্ছে মানে সে প্রাইমারী লেভেল এর, একটু বড় হয়ে গেলে গ্রাম বাংলা হলেও মেয়েরা আর মক্তবে যায়না, স্কুলে যেতে পারে।

একটা শিশু মক্তবে যাচ্ছে আসছে, একজন যুবক তার প্রেমে পড়ছে দৃশ্যটা মনষ্পটে আনা যাচ্ছেনা।

একটু ভিন্ন মাত্রায় কমেন্ট করলাম।

ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা জানবেন।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় বাকপ্রবাসভাই,

গল্পের শব্দচয়ন, প্রকৃতি, উপস্থাপনা ইত্যাদি নান্দনিক বিষয়গুলো নিখুৃত লাগায়, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই । পেলাম অনুপ্রেরণাও।

বয়সের ব্যবধান নিয়ে আপনি প্রশ্ন তুলেছেন। ভেরি গুড। আমার কাছে যে বয়সটা ম্যাচিং মনে হয়েছে, আপনার কাছে সেটা অডলুকিং লাগতেই পারে। এখানেই মেলে পাঠকের বৌদ্ধিক স্বাধীনতা। আপনার এই চিন্তাকে আমার অন্তরের কুর্নিশ জানাই । তবে আমি যেটা ভেবে বয়সটার পিছনে আমার চিন্তাটা হল - ঝর্না সামনে না এলেও একটি মুখ্য চরিত্র । তার রূপ, সৌন্দর্য, উচ্চতা প্রভৃতিতে সমবয়সী অন্যদের চেয়ে অনেকটা বেশি বড় লাগে । আমাদের চারপাশে এমন অনেক মেয়েকে দেখি যাদের উচ্চতায় একেবারে ক্যুইন মত লাগে । স্বাভাবিক ভাবে এই মেয়েগুলি অন্যদের চোখে পড়ে। গল্পে ঝর্না এমন একটি মেয়ে যে সমবয়সীদের চেয়ে উচ্চতায় অনেকটা বড়।

আর বয়স প্রসঙ্গে বলি, আমার সব গল্পে আপনি পাঁচ / ছয় বছরের গ্যাপ পাবেন। ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয় এই ব্যবধানটি আদর্শ । বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে এটাকে স্রেফ লেখকের কল্পনা হিসাবে নিতে অনুরোধ করবো।

আপনি এই গল্পের প্রথম পর্বটি বোধহয় পড়েননি। গল্পটা যে সময়ের তখন মক্তব মাদ্রাসা ছাড়া এসব গ্রামগুলিতে অন্য কোনও শিক্ষার চল ছিল না। মেয়েদের শিক্ষা গ্রামের মক্তবেই সীমাবদ্ধ ছিল। আর ছেলেরা হাফেজ, মাওলানা , কারি শিক্ষা লাভে দূর মাদ্রাসা য় চলে যেতো। যে কারনে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার প্রসঙ্গ আসেনি ।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় বাকপ্রবাসভাইকে।


১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: যতটুকু পড়লাম বেশ ভালো লাগলো, বাকিটা পড়ে নিবো

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যেটিকু পড়েছেন তাতেই মন্তব্য করাতে খুশি হলাম। সময় পেয়ে বাকিটা পড়লে আরও আনন্দ পাবো।


শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয়কাব্যভাই।

১৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: কাব্যের পৃথিবীতে আপনাকে স্বাগতম। ঘুরে গেলে ভালো জানাশোনা হতো। শুভ কামনা জানবেন

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কাব্যভাই,

আমি ইতিমধ্যে কাব্যের ভূবন থেকে ঘুরে এলাম। খুব ভালো লাগল। এখন মোরা যাত্রী একই তরনীর ।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপনার গল্পগুলো সব সময় কোন না কোন মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করে।

শুভ কামনা রইলো ভাই লিখতে থাকুন।।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় কবীরভাই,

অনেকদিন পরে আপনার পেয়ে ভালো লাগছে। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা । গল্পে মেসেজ একটি থাকে বৈকি। তবে সেটা কতটা দিতে পারি সে বিচার করবেন আপনারা। এ ব্যাপারে আমরা গল্প লিখে সম্মানীয় বিচারক মন্ডলীর কাছে প্রার্থনায় থাকি। ওনাদের সুচিন্তিত বিচার বিশ্লেষণ আমাদের আগামীর পাথেয়। এই আশাতেই আমরা খুঁজে চলি কবীরভাইদের পদধুলি। হা হা হা।

আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আপনার প্রতিও রইল আমার বিমুগ্ধ ভালোবাসা।

১৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২১

শামচুল হক বলেছেন: অনেক ভালো লাগল, চমৎকার লিখা। ধন্যবাদ পদাতিক দা।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শামচুলভাই,

আপনাকে অনেকদিন খুব মিস করেছি। আশাকরি আপনার ব্যস্ততা একটু কমেছে। যে কারনে এখন থেকে নিয়মিত হবেন আশাকরি ।

পোস্ট প্রসঙ্গে, আপনার চমৎকার লাগাতে আনন্দ পেলাম। পেলাম অনেক অনুপ্রেরণাও। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

শুভকামনা জানবেন ।

১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার গল্পের প্রেক্ষাপট ত্রিশ/চল্লিশ দশক। সেই সময়ের মেয়েদের যে অবস্থান ছিল, এখনও গ্রামীন মেয়েদের অবস্থানের ্তেমন পরিবর্তন হয়নি। এখনও অধিকাংশ গ্রামীন মেয়ের মদ্রাসায় পড়তে পড়তে বিয়ে হয়ে যায়। এরপর গিয়ে পড়তে হয় কঠিন জীবন সংগ্রামের জীবনে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রভাত প্রিয়ঢাবিয়ানভাই,

সকালবেলা আপনাকে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে । একটা জিনিস আপনি ঠিক বলেছেন যে মাঝে এতগুলি দশক পার হলেও মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামের মেয়েদের অবস্থার তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে এখন অবশ্য আমাদের এখানে প্রত্যেক গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় সাতকিমি অন্তর মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র - রাজ্য যৌথ উদ্যোগে সর্বশিক্ষা মিশন কর্মসূচিতে ড্রপআউটদের চিহ্নিত করে প্রতি গ্রামে ও শহরে ওয়ার্ডে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র ও তিনকিমি অন্তর মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ২০০৯ সালে রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট চালু করে সরকার উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে । ফলে স্কুল শিক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়াই মক্তবে শিক্ষাটা কেবল সকালে ঐচ্ছিক শিক্ষাতে পরিনত হয়েছে। খারিজিয়া মাদ্রাসাগুলিও সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে চলেছে ।


শুভকামনা রইল।


১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সত্যি অনেক সুন্দর। আপনার লেখা খুব মন দিয়ে পড়তে হয়।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় সাজ্জাদভাই। আপনাকে অনেকদিন না পেয়ে বড় অভিমানে ছিলাম। একইভাবে বেশ কিছুদিন আপনার পোস্টও পাচ্ছিনা । আপনার ছোট্ট কথায় অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম।


অনেক অনেক শুভকামনা আপনাকে ।

২০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বর্ণা বলেছেন: আপনার লেখার মধ্যে একটা টান আছে। শুরু করলে শেষ অব্দি যেতে হয়।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ছোট্ট মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।


শুভকামনা প্রিয় বর্নাপুকে।

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০২

তারেক সিফাত বলেছেন: সুন্দর শব্দচয়ন আর উপস্থাপনা পাঠককে লিখার শেষ পর্যন্ত নিয়ে যায়। ভালো লেগেছে। +++

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় সিফাতভাই,

আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। পাশাপাশি এতগুলি প্লাস ও লাইকে ভীষণ আনন্দ পেলাম। পেলাম অনেক অনুপ্রেরণা। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে । আগামীতেও আপনার লোভনীয় মন্তব্যের দুর্নিবার আকর্ষণে থাকবো।


অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ।

২২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৭

বলেছেন: অসাধারণ আপনার লিখনি, শব্দ চয়নে দক্ষতার বরণী। আলোকি ভাবনায় সজ্জিবনী, মুগ্ধ করণে মনমোহিনী।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল প্রিয় লতিফভাই,

প্রশংসা সবারই ভালো লাগে। আমিও ব্যতিক্রমী নই । কিন্তু আপনার এমন মধুর শব্দশৈলীতে মুগ্ধ হলাম বড়। আপনারা কবি মানুষ সুন্দর সুন্দর কবিতা লেখেন। তারই এক ঝংকারে অনবদ্য কমেন্টটি মনের মনিকোটায় তুলে রাখলাম।


অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবসা সহ শুভকামনা জানবেন।

২৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২০

চাঙ্কু বলেছেন: উজান হাওয়া আসে না কেন? খুব গরম পড়তেছে :-*

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাক সুপ্রিয় চাঙ্কুভাই,

হ্যাঁ ভাই, বড্ড গরম সঙ্গে বিরক্তিকর বৃষ্টি, যে কারনে উজান হাওয়া আসতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তবে কয়েকদিনের মধ্যে চলে আসবে বলে আশাবাদী ।


শুভেচ্ছা নিরন্তর।


২৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার লেখা এখনো পড়া শেষ হয়নি, তার আগেই, ১ম লাইনকে নিয়ে একটা কিছু বলতে হয়: আপনার ১ম বাক্যটা 'অসম্পুর্ণ' বাক্য; আসলে, ১ম ২ বাক্যে মিলে ১টা বাক্য হবে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ স্যার, এই জন্য আপনার কমেন্ট না পেলে মনের তৃপ্তি আসেনা। এখনি ঠিক করে দিচ্ছি।

২৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একেবারে যেন সেই গ্রামটিতেই ঢুকে গিয়েছিলাম। সেই তরুন নায়কটির প্রত্যাহিকতায়, স্বপ্নে, কাতরতায়

দারুন দারুন ভায়া :)

মুগ্ধ পাঠ।

অপেক্ষার কষ্ট মরণ সম! জানেনতো ;)
জলদি অপেক্ষার প্রহর ফুরোেবন আশা করি :)

+++

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,

আপনার পদধুলি আমার অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় । অন্যভাবে বলতে গেলে যাদের না পেলে কমেন্টের বৌদ্ধিক মাত্রা একটি লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায় না, আপনি আমার হৃদয়ে তাঁদের মধ্যে একজন । তার উপর এমন কমেন্ট যেন বিরাট একটা সাপোর্ট পাওয়া। আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমি ফেলেছি হারিয়ে ।

পোস্ট প্রসঙ্গে, অপেক্ষার কষ্ট মরণ সম! এইরে! এবার বুঝি আমাকে ব্লগ ছেড়ে পালাতে হবে । এমন গ্রামগঞ্জের ব্যাপার কতটা ফোঁটাতে পেরেছি নিজেই সন্দেহে আছি, তার উপরে আপনাদের প্রত্যাশায় যে হতাশ করবো, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত । তবুও পাশে আছেন জেনে সাহস পাচ্ছি । আমি পরবর্তী পর্ব টাইপ করছিলাম। মাঝো ব্রেক নিয়ে আপনার প্রতিমন্তব্য করতে আসা।

অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা আপনাকে ।

২৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: টান টান উত্তেজনায় সমাপ্ত করলেন!!!!

এখন দেখার বিষয় ঝর্ণা কি দেবহাটে গিয়ে নদীর সাথে মেশে?
নাকি মুকুলের বিয়ের ফুল(মুকুল) ফোটে!!!;)



পোস্টটি উপহার দিলাম আমার ছোটোবোন কথার ফুলঝুরিকে । অজ্ঞাত কোনও অভিমানে অনেকদিন বোন ভায়ের বাড়িতে আসেনা।
.. ব্লগের আপু সমাজ ভাব নিয়ে চলে। (দু-চার জনের কথা আলাদা)
এদের সর্দারকে আমি চিনি...:P এই কুনোব্যাঙরা কাউকেও অনুসরন করে না, অন্যের পোস্টে মন্তব্য করতে চায় না। এদের সব কটাকে আমি যদি সাইজ না করেছি তো....X(
(চাপাবাজি মনে হয় একটু বেশীই হয়ে গেল! :(;))

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সঙ্গে আমি খেলবোনা। আপনাকে এত দেরিতে আমার কেন পেতে হবে, আগে বলুন? ঈদের ছুটিতে বাড়ি গেছেন ঠিক আছে।কিন্তু গত দুদিনধরে দেখছি , ব্লগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।। আর আমার বেলায় কিপ্টামি। আমি খেল্মুনা খেল্মুনা খেল্মুনা।

এবার আসি পোস্ট প্রসঙ্গে এসব কুনোব্যাঙ বলা বন্ধ না করলে আপুরা দলবেঁধে আপনাকে আবার কাভাভায়ের গরাদে ঢুকিয়ে দেবে। ইতিমধ্যে দুজন জেনারেল হয়ে গেছে। আমি আবার ভীতুর ডিম। সেজন্য অনুরোধ করবো চাপাচাপি মেপে করুন। ইমোগুলি বেশ ভালো হয়েছে। হি হি হি।

নুতন পোস্ট কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাড়ছি, যে কারনে একটু ব্যস্ততা ছিলাম ।

২৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আগের দিনে তো তাড়াতাড়ি বিয়ে হতো।
মানে মুকুলের যদি বিয়ের বয়স(১৬-২০) না হয় তাহলে মুকুলের বাবা(তৌফিক সাব) চোখ বন্ধ করে আরেকটা সাদি মোবারক করতে পারবে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মন্ডলভাই,

একটু বড় গল্প। সব উত্তর পাবেন। একটু আগামী পর্বগুলির দিকে লক্ষ্য রাখুন, প্লীজ । এই মুহূর্তে পরবর্তী পর্ব প্রকাশ করেছি। আপনার সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায় থাকলাম।

শুভকামনা জানবেন।

২৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: উপরের মন্তব্য করতে গিয়ে দুবার লগ আউট হয়ে গিয়েছিল, অন্য কারো পেজ হলে মন্তব্যই করতাম না। লগ আউট করবো এমন সময় আজকের পোস্টটা চোখে পড়লো! ভাগ্যিস পড়েছিলাম, তা না হলে.. উৎসর্গের বারোটা বাজতো। :P(ইদানিং প্রথম পেজের বাইরে কম পোস্ট পড়া হচ্ছে...:()


ব্যান, ম্যানে আমার আগ্রহ নেই।
জেনারেল হল কে??:(


১২টায় অফলাইনে যাবো...

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমাদের সনেট কবিভাই ও অচেনা হৃদি জেনারেল হয়েগেছে। ওনাদের শেষ পোস্টে আমার কমেন্ট ছিল। প্রতিমন্তব্য না পেয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখলাম দুজনেরই পোস্টদুটি মডুরা তুলে নিয়েছে। সনেটকবিভায়ের সঙ্গে কথা বলে কনফার্ম হয়েছি। তবে অচেনা হৃদির বিষয়টি অতটা কনফার্ম নই।

২৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪১

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: পড়তে পড়তে হারিয়ে গেছিলাম

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাসিবভাই,

আপনার ছোট্ট মন্তব্যে বেশ আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। পাশাপাশি অনুরোধ করবো এই পর্বের পরবর্তী পোস্টগুলি পড়তে ও সুচিন্তিত মতামত রাখতে।


অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা আপনাকে।


৩০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২

নজসু বলেছেন: মুকুল কি তাহলে ঝর্ণাকে পাবে না? ছোট্টকাল থেকে যাকে এক নজর দেখার জন্য দেখার অস্থির হতো কালক্রমে মনে মনে তার জন্য কতনা ভালোবাসার তাজমহল তৈরি হয়েছিল হৃদয়ে।

অন্যখানে ঠিক হওয়া বিয়ে ভেঙ্গে কি ঝর্ণা মুকুলের ঘরে যাবে? জানতে ইচ্ছে করছে খুব।

এর পরের অংশ কি পোষ্ট করেছেন?

গল্পে গ্রামীণ পরিবেশের বর্ণনায় মন পুলকিত হয়েছে।

মিশে গেছি যেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয়,

আপাতত উজান হাওয়ার শেষ পর্বে ঝর্না - মুকুলের পরিনতী উল্লেখ করা হয়েছে। আপনার সুন্দর অবজারভেশনে পুলকিত হলাম। পেলাম অনুপ্রেরণাও। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

এই সিরিজটি আপাতত তুলে নিয়েছি। দু - একদিনের মধ্যে অন্য বিষয় পোস্ট করবো। প্লীজ সঙ্গে থাকবেন।


বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবেন।


৩১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

আরোগ্য বলেছেন: পদাতিক ভাই, এই পোস্ট আমার ব্লগে আসার আগের। আমি আসার পর উজান হাওয়া পাই তাই ওগুলো আগেই পড়া হয়।

আজকে এই পোস্টটি পড়লাম অবশ্যই সবসময়ের মত খুব ভাল লেগেছে। ভাই এখন একটা প্রশ্ন তৌফিক সাহেবের ঘটনা জানতে হলে সিরিয়ালে কোন কোন পোস্ট পড়তে হবে,?

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্যভাই,

আপনার এমন পুরানো পোস্টগুলি পড়া ও মন্তব্য করাতে ভীষণ আনন্দ লাগছে। আশাকরি পরে অন্যান্য পোস্টগুলিও পড়ে ফেলবেন এবং সুন্দর মন্তব্য করে আনন্দিত করবেন। পোস্টটিকে লাইক দেওয়াতে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

আপনি তৌফিক সাহেবের পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ জানতে চেয়েছেন। ' উজান হাওয়ার ' দুটি পর্বে আপনি তৌফিক সাহেবের পরবর্তী কাহিনী জানতে পারবেন । এই মুহূর্তে আমি মরীচিকা নিয়ে ব্যস্ত আছি। এটাও বড় গল্প। যখন দেখবো পাঠকের বিরক্তি লাগছে, তখন মরীচিকা তুলে আবার তৌফিক সাহেব বা উজান হাওয়া নিয়ে আসবো। তখন অবশ্য নামটি আর উজান হাওয়া থাকবেনা। নামকরণটি তখন স্থির করবো।

আপাতত ছুটি কাটাতে এখন উড়িষ্যার গোপালপুরের বিচে বসে আছি। বাড়ি ফিরে মরীচিকার পরবর্তী পর্ব পাবেন। প্লীজ সঙ্গে থাকুন।


শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনাকে।



৩২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

টিয়া রহমান বলেছেন: পড়তে পড়তে সেই গ্রামের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম, ভাইয়া আপনার জন্য অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য । পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম । আপনি এই পর্বের পরবর্তী ঘটনা জানতে উজাড় হওয়ার দেখতে পারেন । ওখানেও দুটি পর্ব আছে । সাম্প্রতিক কালে আমি মরীচিকা নিয়ে একটু ব্যস্ত আছে । ইতিমধ্যে পাঁচটি পর্ব দিয়েছি । সময় পেলে মরীচিকা দেখার আমন্ত্রণ থাকলো ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ।

৩৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভোরের আলো" শিরোনামটা খুব সুন্দর হয়েছে। সাদা মেঘের ছবিটাও।
গ্রামীণ আঙ্গিকে গল্পের প্লট রচনা ভাল হয়েছে। শেষটাতে এসে পাঠকের ইচ্ছে হবে তাড়াতাড়ি পরের পর্বে যেতে।
গল্পে প্লাস + +

১৯ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

আপনার সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। শিরোনাম ও ছবি এবং গ্রামীণ আঙ্গিকে রচিত প্লটটি ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক ও ডাবল প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.