নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

শূন্যে দেখা

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১১



(ব্যাখ্যা খুঁজতে হলে অযথা পড়ে সময় নষ্ট না করার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ)

সময়টা 2000 সাল। এমনিতে 99 সালের পর 2000 সাল কিভাবে লেখা হবে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সঙ্গে আমজনতার মধ্যেও দারুণ একটা আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। লোকমুখে সে সময় একটা প্রবল অনিশ্চিয়তা দেখা গিয়েছিল যে অন্য সবকিছু ম্যানেজ করা গেলেও বিমান যাত্রায় 31 ডিসেম্বরের পর পয়লা জানুয়ারির এই পরিবর্তন কিভাবে সেটিংস করা হবে তা নিয়ে। শুধু আমজনতার মধ্যেই নয়, বিমান সংস্থা গুলোর মধ্যেও নাকি প্রবল সংকটের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যেও এই নিয়ে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। আমার পরিচিত এমনই কয়েকজন এ সময় ডিসেম্বর জানুয়ারির দোলাচলের মধ্যে না পড়তে আগেভাগেই নিরাপদে নিজেদের বাড়ি ফিরে যেতে মনস্থির করেছিল। আমি মফস্বল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেছি। অন্যান্য পড়ুয়াদের এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকলেও আমাদের মত আদার ব্যাপারী মার্কা পড়ুয়াদের তা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজন ছিলনা। কিন্তু সমস্যা হল অন্য একটি জায়গায়।

প্রথমেই জানিয়ে রাখি। মফস্বল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশের সুযোগ পাওয়ায় বাড়ি থেকে দৈনিক বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া সম্ভবপর ছিল না। কাজেই হোস্টেল বা মেসে থাকা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।কিন্তু আমার অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে বিষয়টি ভেবে শুরুতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। স্বভাবতই সে কথা মাথায় রেখেই অনেক খোঁজাখুঁজির পর সোনারপুরে একটি কম পয়সার মেসের সন্ধান পাই।রেললাইনের দুপাশে কাশবন তারই মধ্যে দিয়ে আসা-যাওয়া, একান্ত নিরিবিলি মেসটি ছিল শহরের কোলাহল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। প্রথম দেখাতেই মনে হল তপবনের কোন মুনির আশ্রম। টিনের শেড, বাঁশের দরমার বেড়া ও মাটির মেঝে; আপাতদৃষ্টিতে মেসটিকে দেখে নেহাত মন্দ লাগেনি। অন্ততঃ পকেটের পয়সা অনুযায়ী মানানসই বলতেই হবে। আমাদের মা.হাসান ভায়ের কথায় কিরপিনের মেস। যাইহোক এমন কিরপিনের মেস থেকে লাইনের ধার ধরে পাথরের উপর দিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে গেলে তবেই সোনারপুর স্টেশনে পৌঁছাতে যেতো। রাস্তা ঘুরে গেলে তিন থেকে সাড়ে তিন কিমি দূরত্ব তো হবেই।কয়েকদিন থাকার পরে জানতে পারি এখানে যথেষ্ট চন্দ্রবোড়ার উৎপাত আছে। আমি ভীষণ সাপের ভয় পাই। কাজেই মেসের ছেলেদের কাছে সাপের আনাগোনায় কথা জেনে প্রতিটি রাতে খুব সিঁটিয়ে থাকতাম। একেতো সাপের আনাগোনা তার উপরে কতকটা হাঁটা- ফলে যৌথ তাগিদে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলের সুযোগ পাওয়া।আর এর ফলেই ইতি ঘটতে পারে আমার এই শ্বাপদসংকুল মেস জীবনের।


বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সেশন শুরু হয় অক্টোবর মাসের শুরুতেই। এক্কেবারে শুরু থেকেই লাগাতার চেষ্টা করে অবশেষে তৃতীয় লিস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে প্রবেশের সুযোগ পাই। কিন্তু সুযোগটি এলো ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। 24 শে ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সপ্তাহের জন্য উইন্টার ভ্যাকেশন শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী খোলার কথা 2 জানুয়ারিতে।যতদ্রূত সম্ভব হোস্টেল সুপারকে রিপোর্টিং করার নিয়ম। নতুবা সুযোগ নষ্টের সম্ভাবনা থেকে যায়। রুম অ্যালটমেন্টের পর যথারিতি আমার রুমমেটের সঙ্গে দেখা করি। প্রথম পরিচয়েই আপাতদৃষ্টিতে সরল সাদাসিধে স্বভাবের বাংলা বিভাগের পিজি প্রথম বর্ষের মোক্তার আহমেদের সঙ্গে পরিচয় হয়।ভীষণ মিষ্টি ছেলেটি সারাক্ষণই টিপটপ এবং পারফিউম মেখে থাকে। আমার সঙ্গে কথা বলতে বলতে বারংবার প্যান্টের মধ্যে শার্ট গুঁজে গুঁজে দিচ্ছিল। আর ঠিক উল্টোটাই আমি। প্যান্টের উপরে শার্ট ছেড়ে দিয়ে পড়ি। পায়ে থাকে মুগুর মার্কা অজন্তা চটি। একটি প্যান্ট ও দুটি-শার্টে আমার সপ্তাহ চলে যায়। ট্রেনে কোন টিকিট কাটতে কোন পয়সা লাগেনা। পকেটে দুই টাকা নিয়ে সপ্তাহের পর সপ্তাহ গেছি। একদিন চেকারের সামনে পড়লাম। ফাইন চাইল, না দিতে পারলে চালান করার হুমকি দিল। পকেটে পয়সা নেই বলে, হাতে পায়ে ধরলাম। কিন্তু ব্যাটা শুনল না। এবার আমার সারা শরীরে পরীক্ষা করে দেখল কোথাও কোনো টাকা-পয়সা লুকানো আছে কিনা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে প্যান্টের গোপন পকেটে হাত দিয়ে বেশ কিছুদিনের সুরক্ষিত আটভাজ করা দু টাকার নোটটা বের করে আনল। বেশ কিছুক্ষণ টাকাটা উঁচুতে ধরে অট্টহাসির পর বিশ্রী অঙ্গভঙ্গি করে,
-ভাগ এখান থেকে ভাগ।
কথা শেষ হতেই, আমি এক নিঃশ্বাসে দিলাম ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়।
এমতাবস্থায় শুরুতে মোক্তারের মতো ওজনদাড়ি রুমমেটের সঙ্গে পোশাক-পরিচ্ছদ ও জীবনযাত্রার আসন্ন বৈষম্যের কথা ভেবে কিছুটা হীনমন্যতা উপলব্ধি করে একটু দূর থেকে ওর সঙ্গে কথা বলছিলাম। আশঙ্কা ছিল, আমার গায়ের ঘেমো দুর্গন্ধ না ওর নাকে গিয়ে পৌঁছায়।তবে কথার মধ্যে একবারও ওর এসব নিয়ে বিরক্ত হতে দেখলাম না। বরং আমাকে পেয়ে বেশ খুশি খুশি বলেই মনে হলো। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে বাড়ি মোক্তারের সঙ্গে প্রথম দিনেই অনেক কথাবার্তা হয়েছিল। মনে মনে খুশি হয়েছিলাম এমন একজন রুমমেট পেয়ে যে হোস্টেল জীবনের বাকি দিনগুলো বেশ আনন্দেই কাটবে। বেশ সচ্ছল পরিবারের ছেলে মোক্তার। পড়াশোনা করে বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। ও নিজেও ইতিমধ্যে তিনবার বিদেশ সফর করে এসেছে। পাসপোর্ট-ভিসা থাকায় কলকাতার ধর্মতলার একটি সংস্থার ব্যবসায়ীক কাজে দুবার ব্যাংককে ও একবার ঢাকা ঘুরে এসেছে। বাড়ি থেকে এক পয়সা নিতে হয় না; সংস্থার টাকাতেই নাকি ঘুরে বেড়ায়। খুব উচ্ছ্বসিতভাবে প্রথম দিনেই জানিয়েছিল ঢাকা, ব্যাংককের নানান অভিজ্ঞতার কথা। কিন্তু এতটা আনন্দের মধ্যেও নিজের বিষণ্নতার কথা জানাতে ভোলেননি। নিজের হোমটাউন জঙ্গিপুর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটেই অবস্থিত। গোটা শহরটাই নাকি বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করে টিকে আছে। তবে সেই ব্যবসা বৈধ পথে নয়। পয়সার অভাব ওদের নেই কিন্তু যে ব্যবসার কথা কারোর সঙ্গে মুখ খুলে বলতে পারে না- এটাই ওর হীনমন্যতার প্রধান কারণ।

সে বছর আমি ডব্লিউ বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিই। যদিও বিষয়টি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের কাছে গোপন রেখেছিলাম। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কাজেই শেষ মুহূর্তে সবাইকে গোপন রেখে নিজেকে প্রস্তুতি রাখাটাই আমাকে প্রতিনিয়তই তাড়া করে বেরিয়েছিল। মোক্তার গল্প করতে চাইলেও আমার মন পড়েছিল নিয়ম রক্ষার বা সৌজন্যটুকু দেখিয়ে বিদায় নেওয়ার।মন চাইলেও গল্প বাগীশ মোক্তারের কাছ থেকে সেদিন যেন কিছুতেই ছাড়া পাচ্ছিলাম না। তবে ও ছুটিতে বাড়ি গিয়ে আরোও কিছুদিন থাকার কথা বলাতে বেশ খুশি হয়েছিলাম। এরকম একটা একা ফাঁকা ঘর-ই মনে মনে আমার খুব দরকার ছিল। অন্তত পরীক্ষায় কটা দিন পর্যন্ত নিজেকে নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিতে পারব ভেবে। সেদিন গল্প শেষে মোক্তার চাবিটি আমার হাতে তুলে দেয়। সন্ধ্যাবেলা মেসে ফেরার পথে, মনে মনে ভীষণ প্রফুল্ল হই যে এতদিন পর আমার স্বপ্ন স্বার্থক হতে চলেছে।বিরক্তিকর ট্রেন লাইন ধরে পাথরের উপর দিয়ে হাঁটা যে কতটা বেদনার, কতটা কষ্টের তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন।

পয়লা জানুয়ারি মেসে সেলিব্রেশন করে সকলকে বিদায় জানিয়ে দু তারিখে সকাল বেলায় আমি সামান্য বেডিং পত্র নিয়ে হোস্টেলে পৌঁছে যাই। হোস্টেল সুপারকে নিয়ম রক্ষার রিপোর্টিং করে সেদিন গোটাদিন বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকি। সারাদিনে হোস্টেলের বিভিন্ন বোর্ডার মাঝে মাঝে দরজা ঠেলে মোক্তারের খোঁজ করে, কেউবা আমি নুতন কিনা জিজ্ঞাসা করে যে যার মত চলে যায়। আমিও তাদের প্রশ্নের প্রয়োজনমতো উত্তর দিয়ে নিজের কাজে ডুবে থাকি। মাঝে দুপুর ও রাতের মিলটুকু খেতে একটু ডাইনিং রুমে যাওয়া ছাড়া সারাদিন আমি রুমেই কাটিয়ে দেই। মোক্তার জানিয়েছিল, সন্ধ্যারাতে ছাত্ররা কেউ পড়াশোনা করে না। সকলেই ডাইনিং রুমে টিভিতে খবর দেখতে বা কেরাম খেলে আড্ডা দিয়েই কাটিয়ে দেয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নাকি আসল পড়াশোনা শুরু হয়। আমি আবার সম্পূর্ণ উল্টো প্রকৃতির। সারাদিন পড়াশোনা করলেও বেশি রাত জাগতে পারিনা। সে কথা মাথায় রেখে হোস্টেলের প্রথম দিনে সারাদিন পড়াশোনা করলেও সন্ধ্যা রাতে সাড়ে দশটা/ এগারোটার মধ্যে খেয়ে লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পড়ে অন্যের আক্রমণের লক্ষ্য না হতে আরো রাত জেগে পড়াশোনা করতে থাকি। রাত এগারোটার পরে একটু ঝিমুনি ভাব এসেছিলো। বুঝতে পারছি আর চোখ খুলে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। একবার মনে হল মাথার উপরে কিরণ দেওয়া 100 ওয়াটের বাল্বটা অফ করে দিই। কিন্তু অন্যান্য ঘর থেকে তখনো হাসি-ঠাট্টার শব্দ কানে আসছিল। কাজেই বালিশে মাথা গুঁজে মড়ার মত রইলাম পড়ে। কতক্ষণ এভাবে ঘুমিয়ে ছিলাম ঠিক মনে নেই, হঠাৎ প্রবল শব্দে মাথার উপর থাকা বাল্বটি ফেটে গেল। মুহূর্তেই কাঁচের টুকরোগুলো ঝনঝন পড়লো চতুর্দিকে। আমার ঘুম গেল ছুটে। চোখ ঘষতে ঘষতে হঠাৎ নিচের দিকে চোখ গেল। তখনো ফিলামেন্টের রক্তিম আভা থেকে সামান্য কিরণ দিচ্ছে। তারই আবছা আলোয় আমার মত করে চার হাত-পা চারদিকে দিয়ে কে একজন শুয়ে আছে। দূরে লক্ষ্য গেল দরজার দিকে।অন্ধকারের মধ্যে দরজা যথারীতি বন্ধ আছে। মনে মনে ভাবছি,প্রশ্ন করতে যাব তুমি কে, এমন সময় চোখ গেল পাশের দেওয়ালে। ফিনকি দিয়ে বার হওয়ার টাটকা রক্ত দেওয়ালে লেগে আছে। মুহূর্তেই কাঁচা রক্তের আশঁটে গন্ধ নাকে এলো।প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পরিচিত মিষ্টি একটা গন্ধ। খুব পরিচিত লাগলো গন্ধটা। কিন্তু পরক্ষণেই আমার হাত পা অবশ হয়ে গেল। তার পরের ঘটনা আমার আর মনে নেই।

সকালে বাইরের কোলাহলে আচমকা উঠে বসি। চোখ মেলে দেখি দূরে টেবিল ঘড়িতে 9:35 হয়েছে। আশ্চর্য হই যখন দেখি মাথার উপরে বাল্বটি দিব্যি আছে। আরো আশ্চর্য হই যখন নিচে তাকিয়ে দেখি এক টুকরো কাঁচের কনা পর্যন্ত সেখানে নেই। এ কী করে সম্ভব! একইভাবে দেওয়ালের যেমন রং তেমনই আছে। কোথাও কোন রক্তের দাগ নেই। এখন দিনের আলোতেও আমি গতরাতের ঘটনায় শিউরে উঠি। অথচ এমন ঘটনা যে কাউকে বললে তো কেউ বিশ্বাস করবে না। শুধুমাত্র বাল্বের সুইচ অন করে দেখলাম, বাল্বটি কেটে গেছে।আর মিষ্টি গন্ধটা তো মোক্তারের গা থেকেও সেদিন পেয়েছিলাম ।নাহা! এখানে থাকতে আমার আর বিন্দুমাত্র ইচ্ছে হচ্ছে না। কিন্তু যাব কোথায়? কাছে যা টাকা ছিল আগের রাতে মেসে ফিস্ট করে সব তো শেষ করে এসেছি। আর তাছাড়া পুরানো জায়গায় ফিরে গিয়ে ওদেরই বা কি ব্যাখ্যা দেব। নানান ভাবনা সেদিন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। কে দেবে গো আমারে সলিউশন? এখন আমার করনীয় কি?মেসে ফিরে যাব? নাকি এখানেই থাকবো? পরক্ষনেই মনে আসে মোক্তারের কথা। মনে মনে প্রশ্ন জাগে, ওর সঙ্গে কি তাহলে এরকম ঘটনা কখনো ঘটেনি? নইলে ও এখানে থাকবে কি করে? এই ভাবনায় আমার সেদিন সারা দিন কেটে যায়। খাওয়া তো নয়, গর্ত পূরণের জন্য মাঝে একটু ডাইনিং রুমে গেলেও খাবার যেন কিছুতেই গলার ওপাশে সরছিল না।পরে একটু বাইরে গিয়ে বাল্বটি পাল্টে ফেলি। এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই মনের অস্থিরতা আবারও বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে ডাইনিং রুমে আড্ডারত অন্যান্য বোর্ডারদের সঙ্গে বসে পড়ি। ওরা এত হৈ-হট্টগোল করলেও সেসব কিছু আমার মাথার মধ্যে ঢুকছিলনা। কিছুতেই নিজেকে মেশাতে পাচ্ছিলাম না ওদের সঙ্গে। খুব অসহায় লাগছিল।নিজেকে সেসময় ভিনগ্রহের কোন বাসিন্দা বলে মনে হচ্ছিল। সাথে সাথে আজ রাতে আবার কি হয়, তার আগাম আশঙ্কায় সারা শরীরে যেন শীতল স্রোত প্রবাহিত হতে থাকে।

মলিন মুখে বসে ছিলাম ডাইনিং রুমের এক কর্ণারে।এক এক করে যে যার রুমে তখন ফিরে যেতে থাকে। টিভির দিকে চেয়ে থাকলেও লক্ষ্য ছিল শূন্য দৃষ্টিতে পরিপূর্ণ। তারই মধ্যে আমার চোখ ঘুরছিল অন্যান্য বোর্ডারদের গতিবিধির দিকে। ক্রমশ ডাইনিং রুম ফাঁকা হতেই যেন কোন অশরীর আগমন বার্তা হৃদয়ে হাতুড়ি পিটতে থাকে। এমন সময় দুপুরে খোঁজ নিতে আসা মোক্তারের বন্ধু সাত্যকির আচমকা ডাকে সম্বিৎ ফিরে পাই।
-কিরে পলাশ! রুমে যাবিনা? এখনো বসে আছিস?
আমি মাথা উঁচু করে তাকাতেই ও আমার চোখের ভাষা বুঝতে পারে। কিছুটা ঘাড় নিচু করে আগ্রহ ভরা চোখে একেবারে সামনে চলে আসে। কাঁধে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করে,
-শরীর খারাপ লাগছে?
কি উত্তর হবে বুঝতে না পেরে অনেকটা অসহায় ভাবে হ্যাঁ বলাতে সঙ্গে সঙ্গে ও আমার হাত ধরে ওররুমে নিয়ে যায়। এবার আমি নির্ভয়ে ওর সঙ্গে পুরো ঘটনাটা শেয়ার করি। ও তখন দু'বছর আগে আন্ডারগ্রাজুয়েটে পড়াকালীন মোক্তারের রুমমেট অনির্বাণের আত্মহত্যা করার ঘটনাটির কথা মনে করিয়ে দেয়। সাত্যকি অবাক হয়, দু বছর আগের ঘটনা এখন এভাবে ঘটলো কেমন করে শুনে। একইভাবে মোক্তারই বা এই রুমে দু বছর কাটালো কি ভাবে? পরবর্তী তিন দিন আমি সাত্যকির রুমেই কাটিয়ে দেই। চতুর্থ দিন সন্ধ্যাবেলায় মোক্তার হস্টেলে ফিরে আসে। উল্লেখ্য যে সময় আমরা অধীর আগ্রহে ওর আগমনের অপেক্ষাতেই ছিলাম।

মোক্তারের কথায়,
-আন্ডারগ্রাজুয়েটে পড়াকালীন আসানসোলের অনির্বাণ ছিল আমার রুমমেট। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী অনির্বাণের একটি অ্যাফেয়ার্স ছিল। মেয়েটি ছিল অপূর্ব সুন্দরী। দুজন দুজনকে অসম্ভব ভালোবাসতো। হোস্টেলে থাকলেও অনির্বাণ বলতো, সারাক্ষণ যেন ওর মন পড়ে আছে আসানসোলে। কিন্তু ওদের এই সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। মেয়েটির বাড়িতে সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় অন্যত্র বিয়ের ব্যবস্থা করে। মেয়েটিও ছিল খুব জেদি। সে বাবা-মায়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারিনি। নিরুপায় হয়ে আত্মহত্যা করে বসে। খবর পেয়ে অনির্বাণ ছুটে যায় আসানসোলে। খুব বিমর্ষ হয়ে পরদিন হোস্টেলে ফিরে আসে।ফিরে এসে সেদিন কারো সঙ্গে একটা কথাও বলেনি। আমি উপযাজক হয়ে বেশ কয়েকবার ওকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কোন লাভ হয়নি। এক সময় আমি নিজের পড়াশুনার মধ্যে ঢুকে পড়ি। আনুমানিক সাড়ে বারোটা নাগাদ হঠাৎ ওর আত্মচিৎকারে দেখি ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। পাশের দেওয়াল মেঝেতে রক্তে ভরে গেছে। ও মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে ছটফট করছে। নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে অনির্বাণ আত্মহত্যা করে। পুলিশি ঝামেলাগত কারণে কিছুদিন রুম সিল করে দেওয়া হয়। আমিও সাময়িকভাবে অন্যরুমে কাটিয়ে দেই। ইতিমধ্যে প্রত্যেকদিন রাতে প্রায়ই স্বপ্ন দেখি, অনির্বাণ যেন আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছে। আমি যেন আগের রুমে ফিরে যায় এবং আমাকে ভয় না পেতে অনুরোধও করে। ও আমার কাছে আরও জানায়, আমি থাকলেই নাকি এই রুমে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। আর তাহলেই অনির্বাণ এখানে নিশ্চিন্তে থেকে যেতে পারবে। এই স্বপ্নের কথা আমি কাউকে জানাইনি। হোস্টেল থেকে আমাকে অপশন দেয়া হয়েছিল অন্যরুম পছন্দের। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। পুরানো রুমটি খুলে দেওয়ার পর শুরুতে একটু গা ছমছম করলেও কদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাই। আরও বেশ কিছুদিন পর নুতন একজন রুমমেট দিলে সেদিনও এমন ঘটনা ঘটেছিল। সেই রুমমেট ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। আমিও রুম ছাড়ার চিন্তা করছিলাম। কিন্তু অনির্বাণ সেদিনই স্বপ্নে আমার কাছে ক্ষমা চাইলো।ও আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে এলাও না করার কথা জানিয়ে দেয়।
বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে মুক্তার আবার বলতে লাগলো,
- ভীষণ পারফিউম পছন্দ করতো ছেলেটা।সত্যিকথা আমি পারফিউমের ব্যবহার ওর কাছ থেকেই শিখেছি। সাধারণত দিনের বেলায় আমি ব্যবহার করলেও প্রায়ই রাতে সাড়ে বারোটা নাগাদ পারফিউমের মিষ্টি গন্ধে রুম ভরে যায়। আমি নাক দিয়ে তার সুবাস নিই। তখন বুঝতে পারি, ও এসেছে। আমি তৎক্ষণাৎ উঠে বাল্বটি অফ করে দেই। শূন্যে কিছু কথা ওকে উদ্দেশ্য করে বলি। উল্লেখ্য জীবিত থাকাকালীন ও খুব খুশি হত ওর পারফিউমটাকে ভালো বললে। একবার জানিয়েছিল,ওর গার্লফ্রেন্ড নাকি ওকে উপহার দিয়েছে। যে কারণে তারপর থেকে বিশেষ ব্রান্ডের পারফিউমটি ও ব্যবহার করত।
কিছুক্ষণ দম নিয়ে মোক্তার আবারো বলতে লাগলো,
অনির্বাণের আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকে হোস্টেলের কেউ এই রুমে থাকার সাহস দেখাত না। নতুনরা পরিচিত কারো না কারোর মাধ্যমে জেনে যেত এই রুমের ঘটনাটা। ফলে রুমমেট ছাড়াই দীর্ঘদিন আমি এই রুমে একাই থেকে এসেছি। সম্প্রতি আগের হোস্টেল সুপার অবসর নিয়েছেন। নবনিযুক্ত হোস্টেল সুপার আমার একার জন্য একটা রুম না ছাড়তে বোর্ডার দেওয়ার মনস্থির করেন। আর তাছাড়া এটা হোস্টেল কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। আমিই বা বলি কেমন করে অনির্বাণের কথা। কতৃপক্ষের সেই সিদ্ধান্তের ফলেই নতুন বোর্ডারের আগমন। আসলে আমি কাউকে বলে বোঝাতে পারিনি যে আমার সঙ্গে অনির্বাণও এই রুমে থাকে।

এতক্ষণ যেন ঘোরের মধ্যে ছিলাম।মোক্তারের কথা শেষ হতেই চাপা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। বুকে যেন এতক্ষণ একটা জগদ্দল পাথর চাপা ছিল। এবার অনেকটা হাল্কা হাল্কা অনুভব করি। বিষয়টি পরিষ্কার হয় যে আমারও তল্পিতল্পা গুটিয়ে রুম ছেড়ে চলে অন্যত্র চলে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।


বিশেষ দ্রষ্টব্য:-পোস্টটি আমার অত্যন্ত প্রিয় পদ্ম পুকুর ভাইকে উৎসর্গ করলাম।




মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনির্বানের আত্মা তো বন্ধুবৎসলই মনে হচ্ছে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু-স্বাগতম আপনাকে।সেইসঙ্গে পোষ্টের প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আপনাকে স্পেশাল অভিনন্দন ও ধন্যবাদ রইল। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন অনির্বাণের আত্মা বন্ধুবৎসল, তবে সে মোক্তারের।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা বুকিং দিয়ে গেলাম।
আসছি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে.. ভাইয়ের বুকিং কনফার্ম করলাম। তবে আমার আসার আগেই ভাইয়ের পরবর্তী কমেন্টও হয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাইকে।
শুভকামনা রইল।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। দুই বার লিখেছি দীর্ঘ কমেন্ট, দুইবারই রঙ বাটনে প্রেস হওয়ায় পুরোটা গায়েব।


আমি প্রায়ই স্বপ্নে দেখি, গাছ থেকে পড়ে যাচ্ছি, পড়তে পড়তে ডাল ধরে ফেললাম। ঘুম ভেঙে যায়, দেখি, অল্পের জন্য খাট থেকে পড়ে যাই নি। - আমি টায়ার্ড আজ। স্বপ্নে অনির্বাণকে দেখবো আজ।

-- আপনার পুরোটা ব্যাপারটা কল্পনায়, স্বপ্নে ঘটেছে। এইটাই বলতে চাইছিলাম দীর্ঘ কমেন্টে।

ভালো থাকবেন চৌধুরি ভাই। শুভেচ্ছা।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে আপ্লুত হলাম প্রিয় সোনাবীজ ভাই। তবে দু-দুবার আপনার কমেন্ট ইরেজ হয়ে যাওয়াতে খুবই দুঃখিত।নেট পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে আমারও মাঝে মাঝে এরকম হয়ে থাকে। খুব বিরক্ত লাগে তখন সেই পোস্টে কমেন্ট করতে।
"আমি প্রায়ই স্বপ্ন দেখি, গাছ থেকে পড়ে যাচ্ছি, পড়তে পড়তে ডাল ধরে ফেললাম। ঘুম ভেঙে যায়, দেখি, অল্পের জন্য খাট থেকে পড়ে যায় নি।"হেহেহে.... চমৎকার একটা অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন। থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া। আপনি টায়ার্ড। বিশ্রাম নিন। সময় পেলে অনির্বাণকে দেখবেন এই আশায় বুক বাঁধি।
কমেন্ট ডিলিট হলেও আপনার কমেন্টের নির্যাসটুকুতে ভালোলাগা। তবে স্বপ্নের বাইরেও গভীর রাতে একটা অশরীর উপস্থিতিও উপলব্ধি করা যায়। সে বিষয়টি ঠিক ততটা ফুঁটিয়ে তুলতে পারিনি।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ আত্মহত্যা করে, এটা সত্য; তবে, এই নিয়ে কেহ কথা বললে আমার ভালো লাগে না।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ছোট্ট কথায় আপনার মনের নির্যাসটুকু তুলে ধরাতে। অনিচ্ছাসত্ত্বেও আপনার অনুভূতিকে কিছুটা বিষন্ন বা বিরক্ত করার জন্য ক্ষমা প্রার্থী।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

মা.হাসান বলেছেন: পলাশ কার নাম?
ট্রেনের স্টাফদের পয়সা খাবার অভ্যাস শুধে বাংলাদেশেই না, বিহারেও দেখেছি। জানলাম পশ্চিমবাংলাতেও আছে। খুব ভালো লাগলো। আরো একাত্ম হতে পেরেছি মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশে পকেট ওয়ালা আন্ডারওয়্যার পাওয়া যায়, ওখানে টাকা লুকানো যায়। পশ্চিম বাংলায় কি এ জিনিস নেই? নাকি ব্যাটা ওখান থেকেই টাকা বের করে নিলো? B:-)

মোক্তার সারাক্ষন প্যান্টের ভিতর সার্ট গোজার চেষ্টা করে, পলাশ তার উল্টা। উল্টা মানে কি? সারাক্ষন প্যান্ট শার্ট খোলার চেষ্টা? :||

ঐ রুমটা ভালো বলে মনে হচ্ছে না। পলাশ রুম পরিবর্তন করলেই ভালো করবে।

রাত পোনের বারোটার সময়ে যারা অন্যদের ভয় দেখাতে চায় তাদের বাড়ির সব বাল্ব ফেটে যাক। সব অতৃপ্ত আত্মা তাদের নিয়ে ফিস্টি করুক। B-))

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক অতিব কঠিন প্রশ্ন, পলাশ কার নাম? তবে যেহেতু একটু ভুতু ভুতু গন্ধ আছে কাজেই ভুতুড়ে নামই হতে পারে। বেশি খোঁজাখুঁজি করলে রাতের বেলা বাসায় ধাওয়া করতে পারে। হেহেহে
এই যে মিয়া! আপনি সবকিছুর মধ্যে বাংলাদেশি বাংলাদেশি বলে চিৎকার কেন করেন? নেতারা মাঝখানে দড়ি টেনেছেন তাই বলে লোকজনতো কখনো আলাদা হতে পারে না। তাই সে বিহারী হোক বা বাঙ্গালী হোক। আর দায়িত্বশীল বাঙালি অন্যের পকেট থেকে পয়সা নিয়ে পরিবারের প্রতি ভালোবাসা দেখানোটা অন্যায় কেন দেখেন? বরং সব বাঙালি কেন এত সাহসী হয়ে প্রকাশ্যে এমন কাজটি করতে পারে না সেটিই ভাবার অনুরোধ রইল। কাজেই আমরা সব সময় একাত্ম ছিলাম আছি থাকবো মাঝে কোন দেওয়াল টানবেন না।
পকেটওয়ালা আন্ডারওয়্যার সম্পর্কে আমি একটা গল্প শুনেছিলাম। কলকাতার নামি ব্র্যান্ডের আন্ডারওয়ার পড়ে এক ভদ্রলোক ইছামতি পার হয়ে সাতক্ষীরা গেছিলেন। সে সময় ইচ্ছামতী নদীতে কোন নৌকা না থাকায় উনি সাঁতার কেটে নদী পার হন। ইচ্ছা ছিল নামি ব্রান্ডের আন্ডারওয়ারটা সবাইকে দেখানোর। ওপারে হোটেল থেকে খাওয়া শেষে হাত মুখ ধুয়ে লুঙ্গি উচু করে মনের শান্তিতে মুখ হাত মুছে দিলেন। উপস্থিত সকলকে অবাক ভাবে তার আন্ডারওয়ারের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখাতে তিনি খুব পুলকিত হলেন। মনে মনে খুশি হলেন এটা ভেবে যে আন্ডারওয়ারটি কেনা তাহলে সার্থক হল। এমন সময় টাকা বার করতে গিয়ে আন্ডারওয়ারে হাত দিয়ে দেখলেন, নিজের খালি লুঙ্গি পড়ে আছেন। আসলে পশ্চিমবঙ্গের তৈরি কিনা। খুব সুক্ষ।সবাই দেখতে পাবে না।

মোক্তারের প্যান্টের ভেতর শার্ট গোজা প্রসঙ্গে যে গ্যাপটি আপনার চোখে পড়েছে সেটা ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ মনদিয়ে পড়ে গ্যাপটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।

রুম পরিবর্তন করতে হয়েছিল। মোক্তার আসার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছিল।

রাত ১১:১১ অর্থাৎ পৌনে বারোটা হতে তখনও ঢের বাকি। আর বারোটা না বাজলে ভূত-পেত্নী কিছুই আসে না। ওদেরও ডিউটি করার একটা নির্দিষ্ট টাইম আছে। কেউ যদি ওদের আসার আগেই ভয় কুতকুত করে তাহলে সে দায় কেন ওদের হবে। তবে ওরা খুব হেল্প ফুল। সমস্যায় পড়লে ঘুম পাড়িয়ে রাখে।আপনি বোধহয় সেদিন এক খচ্চরের পাল্লায় পড়েছিলেন যে আপনার সঙ্গে লড়াই করে গলায় নোখ দাঁত বসিয়ে দিয়েছিল।
এর পরও যদি আপনি ভয় পান তাহলে কথা দিচ্ছি ওরা যাতে আপনার বাসার দিকে না যায় তাই ব্যবস্থা করব। হেহেহে...
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা নিয়েন।



৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪২

আনমোনা বলেছেন: ব্যাখ্যা খুঁজতে মানা করছেন, তাও মন ব্যাখ্যা খুঁজে বেড়ায়।
মোক্তারের কোনো হাত নেইতো, একা রুম পাওয়ার জন্য।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মোক্তার সাহসী ছেলে। তবে ও অনির্বাণের আত্মার উপস্থিতি টের পায়।নিয়ম করে রাতে পারফিউমের গন্ধটা পেলে লাইক অফ করে । সুন্দর সুবাস ঘ্রাণ নেয়। ওপার ওপারে থেকেই দুই বন্ধু ছিল এতদিন। কিন্তু নুতন সুপার এসে অন্য একজনকে রুমে অ্যালট করাতেই বিপত্তি। আশাকরি এবার বিষয়টি আপনার হৃদয়ঙ্গম হবে।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার বাবা কিন্তু টিটিই ছিল চৌধুরী সাহেব । গল্প পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল । মানুষ কত রমকভাবে মরে জীবন শেষ করে ইস!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না আমি অন্য টিটিদের কথা লিখেছি। হেহেহে.... আঙ্কেলকে নিয়ে আমি লিখতেই পারিনা। আপনি কিছু মনে করবেন না প্লিজ।
চেয়েছিলাম ভয় পেয়েছেন কিনা।সেসব নেই উল্টে মন গেল খারাপ হয়ে। হায়রে আমার কপাল!! না আর তাহলে রাতে আম কুড়াতে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা লিখব না। আমি ভয় পেয়েছি। একাএকা ভয় পেয়ে থাকবো। হেহেহে...

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় নেওয়াজ ভাইকে।



৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৯

ওমেরা বলেছেন: আত্বহত্যা করেছে মানুষদের এমন গল্প অনেক শুনেছি । আসলেই কি সত্যি ?

ভাইয়া এই গল্পটাই তো আপনার আগে লিখা উচিত ছিল।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি জানেন তবুও কথা বলছি যে একজন লেখক সমাজের একজন সভ্য। তিনি দুচোখে যা দেখেন ও উপলব্ধি করেন তাকেই তিনি তুলে ধরেন পাঠকের সামনে। সেখানে যেমন যুক্তি থাকে তেমনি থাকে অযৌক্তিক কল্পকথা।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

আপনি হয়তো জানেন না, আমি অতিসম্প্রতি নিজের যৎসামান্য সঞ্চয়ে তৈরি ক্ষুদ্র বাসায় উঠেছি। যা নিয়ে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে রীতিমত ঝড় বয়ে গেছে। বাড়িওয়ালা আবার আমার ব্লগিংকে রীতিমত হিংসা করে।সেসব সামলিয়ে তেমন সময় বার করতে পারেনি। কিন্তু গতকাল একটু সময় পেতেই ব্লগে শেয়ার করলাম।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালে মুভ হওয়ার ইস্যুতে কম্পিউটার সর্ম্পকিত যে বিষয়টি নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছিলো, সেটাকে Y2K বাগ বলা হতো। বিষয়টি আমার এখনো মনে পড়ে। ধন্যবাদ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু-স্বাগতম আপনাকে। খুব ভালো লাগলো y2k বিষয়টি আমি সরাসরি বলতে চাইনি কিন্তু আশায় ছিলাম পাঠকের মধ্য থেকে অন্তত আসুক বিষয়টি। সে দিক থেকে আমি আনন্দিত, আপনিই প্রথম বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। আমার এই ঈপ্সিত বাসনা পূরণ হওয়ায় স্পেশাল থ্যাংকস আপনাকে।
সাথে সাথে জানাই পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ইফতেখার ভাইকে।

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কি কাজ করলে পদবি চৌধুরী হয়।আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে।হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়েই চৌধুরী আছে।গল্প পড়ে ভাল লাগলো,যদিও বড় গল্প আমি পড়ি না।ওপারের লেখকের গল্পে বিশেষ ধার থাকে তাই পড়া।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সম্ভবত আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সুস্বাগতম আপনাকে। আপনি জানতে চেয়েছেন, চৌধুরী পদবী কিভাবে পাওয়া যায়? হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন চৌধুরী পদবি হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের হয়ে থাকে। জমিদারি ব্যবস্থাপনায় জমিদার মশাইকে সাহায্যের জন্য অনেক নায়েব গোমস্তা থাকতো। জমিদার মশায় তাদের কাজের পারফরম্যান্স অনুযায়ী কখনো চক্রবর্তী, রাজ চক্রবর্তী, রায়, রায়বাহাদুর, চৌধুরী প্রভৃতি উপাধি প্রদান করতেন। এরা প্রত্যেকেই জমিদারের কাছ থেকে আর্থিকভাবে উপকৃত হতেন এবং প্রভূত ক্ষমতার অধিকারী ছিল।
অবশ্য আমার সীমাবদ্ধ জ্ঞানে যেটুকু সম্ভব আপনাকে তুলে ধরলাম। আমার ধারণা ভুল হতেও পারে...
ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: কিছুটা ভয় পেয়েছি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি আর ভূতের গল্প লিখবই না। ভোরবেলা আম কুড়াতে গিয়ে কি হয়েছিল সে কথা আর বলবোই না। এত চেষ্টা করেও যদি ভাইকে সম্পূর্ণ ভয় পাওয়াতে না পারি তাহলে লেখা বেকার.. ।

১২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: হুম। ব্যতিক্রমী ও চরম রহস্যজনক!

দিনে পড়লামতো তাই ভয় লাগেনি :)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে খুশি হলাম প্রিয় তপন ভাই। ছোট্ট মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভয় পাননি শুনে নিরাশ হলাম। না আর কখনো ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করব না। হেহেহে

শুভেচ্ছা জানবেন।

১৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এমন একখান রহস্য গল্প এত দেরীতে দিলেন!!!

গা ছম ছমে কাহিনী
একি স্বপ্ন দর্শন ছিল? খুব রিয়েল টাইম স্বপ্ন। যেটাকে সত্যের কাছাকাছি বলে বিভ্রম হয়- এমন!
আত্মহত্যার ঘটনাটা স্বপ্নে রি টেলীকাস্ট! করেছিল - যাতে আপনি ভেগে যান রুম থেকে!
হা হা হা

এটা ব্যাখ্যা না কেবল ধারনা মাত্র :)

যাক বাবা রুম ছেড়ে তাও বেঁচেছেন ভূতাত্মা থেকে। সেই ভাল

ভাল লাগলো অশরীরী গল্প

++++

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

আশা করি ভাল আছেন। কাহিনী গা ছমছম মনে হওয়াতে অল্প হলেও একটু খুশি হলাম। আসলে আপনাকে সম্পূর্ণ ভয় পাওয়ানোর ইচ্ছা ছিল। হেহেহে
আর ব্যস্ততার জন্য নতুন গল্প টাইপ করার মত সময় কিছুতেই ম্যানেজ করে উঠতে পারছিলাম না। গতকাল একটু সময় পেতেই গল্পটি পোস্ট দেওয়ার মনস্থির করি।
"একি স্বপ্নদর্শন ছিল?" হ্যাঁ কিছু কিছু স্বপ্ন যেন বাস্তবেরই প্রতিচ্ছবি। আর আত্মাকে নিয়ে কাজ কারবার এটা তো নতুন কিছু নয়। প্রানপ্রিয় পুত্র রথীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্লানচেট করে তার আত্মাকে ডেকে আনতেন।
যাই হোক কিছু অলৌকিকতা স্থান বিশেষে থেকেই যায়, যার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।
হ্যাঁ জানাশোনার পর ওই রুমে থাকার আর কোন অবকাশ থাকতে পারেনা। তবে সেখানেও একটা কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছিল। কাগজে-কলমে রুমটি অবশ্য ছাড়া হয়নি।
পোস্টে চারটি স্টার ও লাইক প্রদান করাতে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধেয় কবিভাইকে।


১৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: বিবিধ কারণে ব্লগ লেখা বা পড়া বা মন্তব্য করার মানসকিতায় নেই কিছুদিন থেকে। তবুও প্রতিদিন ক্রমানুসারে সকল পোস্টের তালিকায় থাকা লেখাগুলোয় চোখ বুলিয়ে যাই। যদিও পরিচিত ব্লগারদের লেখাই বেশি চোখে পড়ে, তবুও প্রথম পাতায় প্রদর্শিত অংশটুকু পড়ে যদি ভালো না লাগে, তবে আর পুরোটা পড়া হয় না।

কিন্তু এ লেখার শুরুতে ওই যে ৯৯ আর ২০০০ এর গেরো নিয়ে লিখেছেন, তাতেই চোখ আটকে গেলো, ওই সময় আমিও ইউনিভার্সিটি হলে উঠেছি মাত্র এবং একই ধরণের সমস্যার আলোচনার সাথে পরিচিত ছিলাম। সে সূত্রে লেখাটায় আকর্ষিত হয়ে পড়তে শুরু করলাম। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এটা ব্লগে অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতা লেখার ধারাবাহিকতায় হয়তো নতুন সংযোজন। কিন্তু তখনও আমি জানতাম না যে শেষে এসে আমার জন্য কি ভয়াবহ অতিপ্রাকৃত ঘটনার অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে!!! সত্যি বলছি, এটা আমার জন্য অতিপ্রাকৃত ঘটনার মতই।

কিভাবে আমি আপনার অত্যন্ত প্রিয় হলাম, তার ব্যাখ্যা খুঁজে সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না :-B , এর প্রয়োজনও নেই। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইজান, মনোজাগতিক অস্থিরতার এই সময়ে আপনার এই ভালোবাসা আমার কাছে প্রেরণা হয়েই থাকবে সবসময়। মনিহার হয়ে লেখাটা প্রিয়তে থাকলো অবশ্যই।

শুভ সকাল, ভালো থাকবেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পদ্ম পুকুর ভাই,
আপনার কোনো একটা মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে বেশ কিছুদিন আগেই আমি বলেছিলাম আপনার উদ্দেশ্যে একটি পোস্ট দেব। সেদিন স্থির করা পোস্টটি তারই বাস্তব রূপ। আপনি সকাল সকাল এসেছেন জেনে খুশি হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্লগিং করাটা আমার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ মানসিক সুস্থিতির উপর ডিপেন্ড করে। মনে অশান্তি থাকলে পোস্ট পড়তে বা মন্তব্য করতে ইচ্ছে হয় না।তবে সত্যি কথা বলতে লজ্জা নেই যে আমার পোস্টে এমন কিছুই থাকে না মা আলাদাভাবে কারো চোখে পড়ে।
তবুও যে আপনি এসেছেন এটা আমার পরম প্রাপ্তি এবং আনন্দের বৈকি। অকুণ্ঠ ধন্যবাদ আপনাকে।

ওয়াই টু কে নিয়ে একবিংশ শতকের শুরুতে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল ওই সময়কার সচেতন মানুষ মাত্রই বিষয়টির প্রতি ওয়াকিফহাল। আপনি চমৎকারভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। তবে শেষে যে অতিপ্রাকৃতিক ঘটনাটি লিখলেন তাতে যে লজ্জায় মরে যাই। না না ওই হবে কেন দেখছেন? গুরুজনকে সম্মান দেওয়া কখনোই অতিপ্রাকৃত হতে পারে না। যাইহোক আপনার নির্মল মনের প্রতিচ্ছবি কমেন্টে ফুটে উঠেছে। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

মন্তব্যের শেষে আপনার আবেগ মাখা কমেন্টে মুগ্ধতা। বিভিন্ন পোস্টে আপনার এমনই আবেগময়ী কমেন্টের জন্য আপনি আমার হৃদয়ের অত্যন্ত কাছের। অত্যন্ত আপনজন।
লেখাটিকে প্রিয়তে নেওয়াতে ও পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: অর্ধেক পড়েছি। বাকিটা পড়ে এসে আবার মন্তব্য করবো।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কোন সমস্যা নেই প্রিয় নীল আকাশ ভাই। আপনি সময়মতো পড়ে মন্তব্য করবেন, সেই অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা জানবেন।

১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
অনির্বাণের আত্মা আশেপাশেই হয়তো আছে যা রহস্যময়।
একটি কথা না বললেই নয় , গল্পের চেয়ে আমার বেশি
ভালো লেগেছে জীবনমুখী সংগ্রামের কোন এক তরুণের
পথ চলা । শুভকামনা জানবেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,

বোনের অনুমান একেবারেই যথার্থ। তবে সে আত্মা ওই রুমেই ঘোরাফেরা করে। পাশাপাশি স্পেশাল থ্যাঙ্কস জানাই বোনকে, পোষ্টে সম্পূর্ণ অনুল্লেখিত একটি বিষয়কে উল্লেখ করাতে। একটি বিষয়কে নোটিশ করার জন্য।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা রইল।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।

১৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: ব্যাখ্যার ঝামেলায় না গিয়ে শুধু পড়ে গেলাম।
কিছু কিছু ঘটনা পড়ে কষ্ট পেলেও পুরো গল্প ভাল লেগেছে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ঢুকিচেপা ভাই।
কমেন্টের মাধ্যমে স্পষ্ট যে আপনি সরল সাদাসিধে মানুষ। কোন রকম প্যাচ পোচ আপনি পছন্দ করেন না। যে কারণে আপনার ব্যাখ্যার ঝামেলায় না যাওয়া বলে আমার অনুমান। ধন্যবাদ আপনাকে।
কিছু ঘটনা পড়ে যেমন কষ্ট পেলেন পাশাপাশি কিছু ঘটনা ভালো লাগাতে খুশি হলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।

১৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




১৯৯৯ - ২০০০ সনে প্রবেশে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে যে সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিলো তাকে চিহ্নিত করার জন্য তাকে y2k বাগ বলা হতো। ১৯৯৯ - ৩১শে ডিসেম্বর রাত ২৪০০ ঘটিকায় সমগ্র পৃথিবীর প্রকৌশলীরা জেগে ছিলেন! - আর তাদের সাথে ছিলেন সমগ্র আইনি নিরাপত্তাকর্মী।

ট্রেনে নানা ধরনের সমস্যা হয়। একটি যান হাজার বারোশ যাত্রী নিয়ে দৌড় দেয় তাতে কতোরকম সমস্যা থাকে তা বলা বাহুল্য।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর তথ্যভিত্তিক মন্তব্যের জন্য শুরুতেই স্পেশাল থ্যাংকস প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাইকে। কি এক গভীর অনিশ্চয়তায় সে সময় তৈরি হয়েছিল। 31 শে ডিসেম্বর রাত 11 টা 59 থেকে রাত বারোটা বা পরের দিনের শুরুতে কিভাবে সামঞ্জস্য হবে তা নিয়ে যে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল তা সময় কালে নিমেষেই y2k লেখনীর মাধ্যমে সমস্যার জট খুলে দিয়েছিল। প্রকৌশলী নিরাপত্তারক্ষী কারো চোখে সে সময় ঘুম ছিলনা। আমার মনে হয় এই সময়কার অভিজ্ঞতাটি আপনার মনেও স্থায়ী ভাবে দাগ কেটে আছে। তেমন হলে অমোচনীয় হৃদয়ের সেই দাগ পোস্ট আকারে দেওয়ার অনুরোধ রইল।
আর 12/13 শো যাত্রী সম্বলিত ট্রেনে তো নানান সমস্যা থাকবেই।
সবশেষে আরো একবার ধন্যবাদ জানাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাইকে।



১৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: ভুই পেলুম দাদা......... B-))


আপনার এ ধরণের লেখাগুলো বেশ.....। তবে লেখায় আরো প্যারা থাকলে চোখের খেই হারিয়ে যায় না....... :D

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি সত্যি কথা বলছেন তো? এক্কেবারে ধ্রুবসত্যি যে ভয় পেয়েছেন?যাক কি ভাল লাগছে এখন। আমার গল্প লেখা সার্থক। হেহেহে।সেই সকাল থেকে বসে আছি অন্তত একজনও যদি গল্পটা পড়ে ভয় পায় তা জানতে। কিন্তু কাউকে সে কথা স্বীকার না করাতে হতাশ হয়ে পোস্টটি তুলে নেওয়ার কথা ভাবছিলাম। অবশেষে আপনার ভুই পাওয়া থেকে আশ্বস্ত হলাম।
আগামীতেও এমন ভুই পাবেন এই আশায় রাখি।
শুভেচ্ছা প্রিয় ফ্যারাও ভাইকে।

২০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৩

মা.হাসান বলেছেন: এই লেখায় আরেকটা ভৌতিক ব্যাপার আছে। সেটা হলো ছবি।

আপনি কি দেখেছেন যে ছবিটা কাত হয়ে আসে নি, সোজা হয়ে এসেছে?!!!
ভৌতিক ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারি না।

ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে ট্রেনের টু টিয়ারে দুজন লোক শুয়ে আছে। কিন্তু দুজন লোক? নাকি দুটি ভুত? শোয়ার ভঙ্গি দেখে নিচের জন কে জীবিত মনে হয় না।

ঐ লোক টা কি সাদা কালোর জগৎ?
ঘটনা গভির রাতের হলেও স্ত্রিনে সময় সন্ধ্যে সাতটা ৪০, আবার ছবিতে টাইম স্ট্যাম্প সন্ধ্যে সাতটা বারো মিনিট তেইশ সেকেন্ড। জগৎ বড় রহস্য ময়!

মোবাইল থেকে প্রতি মন্তব্য করা বেশ মুশকিল বলেই মনে করি। এর পরেও পাঁচ নম্বর মন্তব্যে দীর্ঘ প্রতি মন্তব্য করেছেন, কিরপিনের সাথে কিরপিনগীরি করেন নি। এজন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। আপনাকে বড় প্রতি মন্তব্যের কষ্ট দেয়ায় ক্ষমাপ্রার্থি, আমিও কার্পন্য করিলাম না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার প্রথম কথা,
লেখায় একটা ভৌতিক ব্যাপার আছে। সেটা হলো ছবি। ব্লগে কবিতা লিখেন কবিরা। কাজেই ভূতের গল্পে ভয় দেখায় ছবির। আশা করি আপনি সত্যিই ভয় পেয়েছেন? আর না পেলে সে ব্যর্থতা আপনারই, আমার নয়।
দ্বিতীয়তঃ আপনি যদি ভুতের পাড়ায় এসে বলেন, কোনো মানুষ দেখছি না; সব ভুত দেখছি। বিষয়টা খুবই হাস্যকর। তবে এক্ষেত্রে আপনার চোখদুটি একদম ঠিকঠাক আছে। ভুতের পাড়ায় ভূত না দেখলে হয়তো আপনাকে বিকল্প কিছুর সন্ধান দিতে হতো।

তৃতীয়তঃ এবার আমার প্রশ্ন,কত যুগ আগে শেষ ট্রেনে চড়ে ছিলেন যে জলজ্যান্ত একটা রুমটাকে ট্রেন বলে মনে হচ্ছে? তবে ভারতে এলে আদর্শ ট্রেন তুফান এক্সপ্রেস ওঠার অনুরোধ করবো।ভূত দেখার জন্য আপনাকে রাত্রে ট্রেনে উঠতে হবে না। দিনের বেলাতেই বিহারের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় জ্যান্ত ভূতের সাক্ষাৎ পাবেন। ওরা গা ম্যাসাজ থেকে পকেটের ওজন কমানো সব কাজই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে। কাজেই জ্যান্ত ভূতের দর্শন করবেন কিনা ভেবে দেখবেন।
এবার আবার পোষ্টের আসি।হোস্টেলের সব রুমেই দুটি করে চৌকি থাকে। এপাশে কোমরের বেল্ট পরা মানবিক শরীর হলেও ওইপাশে অশরীর আত্মা শুয়ে আছে। গল্পে অশরীর আত্মা কোথায় শুয়ে আছে আপনাকে বলতে হবে। যদি পার্থক্য দেখেন তাহলে সেটাও আপনার চোখের সমস্যাজনিত কারণে। কাজেই এখানেও প্রবলেম আপনার, আমার নয়। হেহেহে

স্কিনের সময়ের সঙ্গে ঘটনার সময়ের যে অমিল পেয়েছেন, এটাই তো ভৌতিক ব্যাপার। মানবিক হলে দুটোর সময় একই হত। সে ক্ষেত্রে ভৌতিক বলে দাবি করলে, আপনারা কি আমাকে আস্ত রাখতেন?

পোস্টটি যেহেতু ভুতুড়ে কাজেই সেখানে কোন কিছুতেই ব্যাকরণ মিলবে না। সবই মায়া! ভুতুড়ে কাজকারবার। দেখুন না এই প্রতিমন্তব্যটাও ভুতের সৌজন্যে দেহাতি রূপ নিল।
কিরপিনরা আজ আর কিরপিন থাকতে পারছি না। ভুতের সৌজন্যে সবার দিল অনেক উদার হয়ে গেছে।

ভাল থাকুন সব সময়।



২১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: সাধারণত আমি সৌজন্যতা রক্ষা করে চলতে পছন্দ করি। অসৌজন্যমূলক আচরণ আমাকে পীড়িত করে। এ বিষয়ে আমার একটা লেখাও আছে, পড়ে দেখতে পারেন।

ব্লগিং করাটা সম্পূর্ণ মানসিক সুস্থিতির উপর ডিপেন্ড করে। মনে অশান্তি থাকলে পোস্ট পড়তে বা মন্তব্য করতে ইচ্ছে হয় না। একদম সত্যি কথা। আজ সকালে আপনার এই পোস্ট আমাকে যে ভালো অনুভুতি দিয়েছে, তার বদৌলতে বহুদ্দিন বাদে একটা লেখা পোস্ট করতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আমার ইচ্ছে করছিলো এই কথাটুকু আমার পোস্টের নিচে লিখবো, কিন্তু সেটা ওই মির্চা এলিয়াদ আর মৈত্রয়ী দেবীর মত হয়ে যায় দেখে থেমে গেছি।

তবে সত্যি কথা বলতে লজ্জা নেই যে আমার পোস্টে এমন কিছুই থাকে না মা আলাদাভাবে কারো চোখে পড়ে। এটা ভূল কথা। সাতক্ষীরা-বেলগাছিয়ার যে ধারাবাহিক আপনি লিখেছেন, তারপর কেউ এ বাক্যে আটকে থাকলে সেটা নিতান্তই মূর্খতা হবে।

ভালো থাকবেন। শুভ ব্লগিং।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার মন্তব্যে আসাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ প্রিয় পদ্ম পুকুর ভাই। গতকাল আপনি কেন আমার পছন্দের অন্যতম ব্লগার তার জন্য প্রশ্ন করেছিলেন। সেই উত্তরটি আজ আপনি নিজেই দিয়ে দিলেন। আপনার সৌজন্যমূলক আচরণ, অন্যকে সম্মান দেওয়ার মানসিকতা ব্লগে আমার মত অনেকের কাছে অনুকরণীয়। প্রশংসা করে আপনাকে আর বিড়ম্বনায় ফেলতে চাইনা। আপনার লিঙ্ক ধরে উল্লেখিত পোস্টটি দেখে মন্তব্য করে এসেছি। ধন্যবাদ আপনাকে লিঙ্কটি দেওয়ার জন্য।
তবে এই প্রসঙ্গে লা নুই বেঙ্গলি কিংবা মৈত্রী দেবীর বিষয়টির মধ্যে যোগসূত্র পেয়েছেন জেনে পুলকিত হলাম। হেহেহে... ভাগ্যিস দেননি তাহলে ভয়ানক ব্যাপার হয়ে যেত।

'ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া' সিরিজটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। যদি সময় সম্ভব হয় তাহলে বাকি পর্বগুলোতে চোখ বুলিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করবো।
আপনার শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল আমার অন্তরের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।


২২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৭

সোহানী বলেছেন: খেয়ে দেয়ে কাজ নেই ভুতের সাথে বসবাস। কবে পালিয়েছেন ওই রুম থেকে? নাকি ভুতের সাথে বন্ধুত্ব করে দিন পার করেছেন!!!

ভুতের গল্পে ভালোলাগা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কি করা যাবে আপু।জীবনে এমনও পরিস্থিতি আসে যে সামনে এগোনোর বা পিছনে যাওয়ার রাস্তা থাকে না। গল্পের তেমনই একটি পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। আর সবকিছুর মূলেই যে পয়সা! পকেটের পয়সা থাকলে নতুন নতুন বুদ্ধি মাথায় চলে আসে। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আর ভুতের সাথে বন্ধুত্ব করা প্রসঙ্গে, পোস্টের এক্কেবারে শেষে বিষয়টি উল্লেখ করা আছে।
মোটের উপর গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম;কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা জানবেন।

২৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

রামিসা রোজা বলেছেন:

মনে হচ্ছে ঘটনাটি সত্যি এবং পড়ে অনির্বাণ এর জন্যই
খারাপ লাগছে । আপনি লিখেছেন ভালো ।
কিছু মনে করবেন না একটা প্রশ্ন করি ছবিটি কার ?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ কিছুটা সত্য তো হবেই।
বাবা-মায়ের বিরোধিতার যেমন থাকবে তেমনি অনির্বাণদের মত অপরিণামদর্শিদের জীবনের মায়া কাটিয়ে চূড়ান্ত পরিণতি বেছে নেওয়াও থাকবে।
আপনার ছবি নিয়ে প্রশ্ন করবেন-এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এটা নিয়ে কিছু মনে করব কেন?
প্লিজ ভয় পাবেন না। ছবিটি ছবিই এই হিসেবে দেখুন।
পোস্টটিতে লাইক ঊ প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০২

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
আমি সব সময় First in first out Theory থিওরীতে বিশ্বাস করি। যেহেতু ব্লগে আগে পড়েছি এখানেই মূল মন্তব্য করবো আগে। পরে গ্রুপে। লেখা কালকে যদিও পড়েছি কিন্তু ব্যস্ততার জন্য মন্তব্য করতে পারি নি।
১) আসানসোলের অনির্বাণ - মোক্তারের রুমমেট।
২) নায়ক
৩) মোক্তার।
এখানে সাইকোলজিস্ট নাবিলা হক হিসেবে মন্তব্য করছিঃ
-"তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লে পাছে তারা পিছনে লাগে এই ভয়ে অস্বস্তি সত্বেও পড়াশোনার মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখি। কিন্তু একটা সময় চোখ খুলে রাখা যথেষ্ট কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল"। নায়কের সমস্যার সূত্রপাত আগে থেকেই।
সম্ভবত নায়ক মোক্তারের কাছ থেকে আগে অনির্বানের গল্প অথবা অন্যকারো কাছ থেকে এই গল্পের কিয়দাংশ আগেই শুনেছে। মানুষের মস্তিক এমনসব ঘটনা ফেব্রিকেট করতে পারে যে বললে বিশ্বাস ও করা যায় না। নায়ক যা যা শুনেছে সবই কল্পনা প্রসূত হবার সম্ভবনা বেশি।

"আর এখানে থাকতে বিন্দুমাত্র ইচ্ছা হচ্ছে না। কিন্তু যাবোই বা কোথায়? কাছে যা টাকা ছিল আগের দিন রাতে মেসে ফিস্ট করে সব তো শেষ করে এসেছি।" এখানে নায়ক নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এখানে রাতে একা থাকতে এসেছে। এটাই বিরাট একটা ক্লু।

মোক্তারের এর শেষের লাইনগুলি বলে দিচ্ছে সে নিজের কনভিন্স সেখানে কিছু আছেঃ
"সাড়ে বারোটা নাগাদ পারফিউমের মিষ্টি গন্ধে রুম ভরে যায়। আমি নাক দিয়ে তার সুবাসে নিই। বুঝতে পারি ও এসেছে। তৎক্ষণাৎ উঠে বাল্বটি অফ করে দেই। শূন্যে কিছু কথা বলি ওর উদ্দেশ্যে।" সম্ভবত রুমমেটের নির্মম মরে যাবার ঘটনা এই ছেলের তীব্র মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করেছে।

সায়েন্টিফিক রিজনিং এর জন্য আরো বেশি ডাটা প্রয়োজন, বিশেষ করে ঐ নিদির্ষ্ট রুমে যারা যারা আগেই ছিল তাদের সাথে কথা বলা প্রয়োজন।

অনির্বাণ এর মতো অনেকেই আত্মহত্য করে বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু সব জায়গায় কি এই ধরণের ভীতিকর কান্ড ঘটে?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসন্ধ্যা প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

মানুষ মাত্রেই ভিন্ন মত ও পথ থাকবে। কাজের স্বকীয়তা প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব স্বাধীনতা। ভালো লাগলো আপনার এক্ষেত্রে থিওরিটি জেনে। সাইকোলজিস্ট নাবিলা হকের দৃষ্টিতে যেভাবে গল্পটিকে আপনি সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা করলেন তা কথায় অভূতপূর্ব। আমি ভীষণ ভীষণ খুশি হয়েছি। মনে হল এটা একটি মন্তব্য নয়, যেন কোনো জটিল কেস স্টাডি। তবে কেস স্টাডিতে নাবিলা হকের সঙ্গে আমি একটু ডিফার করছি।
"সম্ভবত নায়ক মোক্তারের কাছ থেকে আগে অনির্বাণের গল্প অথবা অন্য কারো কাছ থেকে এই গল্পে কিয়দংশ আগেই শুনেছে।"
এ প্রসঙ্গে প্রথমেই ভিন্নমত পোষণ করছি। গল্পে কোথাও সেরকম কিছু উল্লেখ করা হয়নি। আর তাছাড়া মোক্তার গল্পবাগিশ হলেও
এরকম একটি ভূতুরে রুমে একা একা থাকে তাতে কিন্তু তার আচরণের পরিবর্তন কারো চোখে ধরা পড়েনি। যে কারণে ঘটনার আগে ও পরে মোক্তারের আচরনগত পার্থক্য কারো চোখে পড়েনি।
কাজে এক্ষেত্রে আরো ডেটিং করলে কী ফল হতে জানিনা কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে কোন সদুত্তর নেই বলে আমার বিশ্বাস।

না এখানে থাকতে আর বিন্দুমাত্র ইচ্ছা করছে না। কিন্তু যাবোই বা কোথায়?- আপাতদৃষ্টিতে বক্তা মহা বিপদের সম্মুখীন হলেও সে কিন্তু এখানে থাকতেই এসেছিল। পরিস্থিতি তাকে পূর্ববর্তী চিন্তার দিকে ঠেলে দিলেও আর্থিকভাবে নিরুপায় হয়ে সে যেনো নিজেকে গড্ডালিকা প্রবাহে ভাসিয়ে দিয়েছে। কাজেই এখানে নায়কের 'নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে থাকতে এসেছে' কথাটি সংগত নয়। সে নিজের ইচ্ছেতেই এসেছে। কিন্তু রাতের বেলায় ভয়ানক দৃশ্যের সম্মুখীন হওয়াতে সে পিছনে যাওয়ার ইচ্ছে করলেও নিরুপায় হয়ে হা-হুতাশ করছে।

মন্তব্যের একেবারে শেষে মুক্তার সম্পর্কে আপনার মতামত প্রসঙ্গে আমি একমত। অন্তত অযৌক্তিক হলেও তার করণীয় কাজ গুলোকে খুব স্বাভাবিক ভাবে ব্যাখ্যা করাতে তার পার্সোনাল ডিসঅর্ডার যা হয়েছে তা অনুমেয়। স্বভাবতই যুক্তি খুঁজলে মোক্তারকে নিয়ে আরো কনসালটেন্সির দরকার।

মন্তব্যের একদম শেষ লাইনে প্রসঙ্গে আবার পূর্ববর্তী কথায় ফিরে যাই।জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে বা দেখি যার কোন ব্যাখ্যা খুজেঁ পাওয়া যায় না। অবশ্য আমার মত দুর্বল মনের অধিকারীরা।
চমৎকার অসম্ভব সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে। একরাশ মুগ্ধতা।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় নীল আকাশ ভাইকে।


২৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০

ইসিয়াক বলেছেন: ভুতের গল্পে ,ভালো লাগা।

কিন্তু আমি একটু ও ভয় পাইনি প্রিয় দাদা। আমাকে ভয় পাওয়ানোর মতো একটা গল্প লেখার অনুরোধ রইলো।
হাড় হীম করা ভুতের গল্প হা হা হা .......।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এত কষ্ট করে রাত জেগে একটা গল্প লিখলাম। এমনকি পোস্ট করেছিও রাতের বেলা। আর আপনি বলছেন কিনা ভয় পাননি? আমি আর কক্ষনো গল্প লিখব না।ভয় না পেলে গল্প লেখার মজাই নেই। হেহেহে

২৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

ইসিয়াক বলেছেন:

না হয় আসতে একটু দেরিই করেছি ,তাই বলে কি আমি মন্তব্যের উত্তর পাবো না প্রিয় দাদা?
অপেক্ষা- অপেক্ষা- অপেক্ষা ........

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ এবার তো আপনার উত্তর দিয়েছি। তবে আগামীতেও সময়ে না এলে আমিও কিন্তু ঢের দেরি করে উত্তর দেবো হেহেহে।
শুভেচ্ছা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।

২৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাজীব নুরের কথা আলাদা; কিন্তু স্বাভাবিক ব্লগারদের পোষ্টে শিরোনাম-ছবির সাথে কন্টেন্টের একটা সম্পর্ক থাকে। আমি তো আপনার এই ছবির সাথে কন্টেন্টের কোন সম্পর্কই খুজে পেলাম না। ঘটনা কি? তাছাড়া শুরুতে আপনি Y2K সংক্রান্ত যা লিখেছেন, সেটার সাথেও মূল গল্পের কোন সম্পৃক্ততা খুজে পেলাম না। আমি কি কিছু মিস করছি?

ভৌতিক যে কাহিনী বলেছেন, সেরকম কোন পরিস্থিতিতে কেউ পড়লে ভয় পেতে বাধ্য। টু বি অনেস্ট, ভয় পাওয়ার অনেক চেষ্টাও করেছি। তবে, আমার ভয়-ডর এমনিতেই যেহেতু কম, তার উপরে নিজের বাসায় বসে পড়ার ফলে পরিবেশটাও ভয় পাওয়ার অনুকুলে না, ফলে ভয় পাই নাই। স্যরি!!! তবে, আপনার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। :)

আধো-অন্ধকার রুমে লাল রং দেখতে পারার কথা না। সেটাকে কালো দেখাবে। রক্ত বুঝলেন কিভাবে? শুধুই গন্ধে? অমন পরিবেশে সেটা সম্ভব? তাছাড়া কাচা রক্তের গন্ধ কোন ইউজ্যুয়াল গন্ধ না। এমন আরো কিছু পয়েন্ট আছে........ব্যাখ্যা/বিশ্লেষণে না যাই। তাই মনে প্রশ্ন জাগছে, এটা কি সত্যি ঘটনা? :P

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাক অবশেষে আপনার দেখা পেয়ে স্বস্তি পেলাম। বাস্তবে কর্মযোগী কিনা। এবার আসি পোস্ট প্রসঙ্গে।
"কিন্তু স্বাভাবিক ব্লগারদের ছবির সঙ্গে কমেন্টের একটা সম্পর্ক থাকে।" পোস্টটি আমার হলেও এখানে তো আমার কোনো আলাদা কমেন্ট নেই। আপনি বলার পর আমি ভালো করে দেখলাম পূর্বের ২৬ জন ব্লগারের কমেন্টের উত্তর দিয়েছি আমি। কাজেই আপনি আমার কোন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ছবি ও কমেন্টের সম্পর্ক হীনতা উল্লেখ করেছেন বুঝলাম না। কিজানি ক্রস কানেকশন কিনা।
Y2k সম্পর্কে পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে সে সময় দুটো বছরের সংযোজন স্থলে যে সমস্যা পূর্বে দেখা দিয়েছিল তাতে বড়লোকের সন্তানদের ঐ সময়ে বাইরে থেকে সমস্যার মধ্যে না পড়তে আগেভাগেই নিরাপদে বাসায় পৌঁছে গিয়েছিল। মোক্তার তাদের ই একজন যে উইন্টার ভ্যাকেশনে বাড়ি গিয়ে জানুয়ারির বেশকিছু দিন কাটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হোস্টেলে ফিরে আসে। আপনি ব্যস্ত মানুষ যে করেই হোক নজরে পড়েনি। কষ্টকরে পড়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

দেখুন ভয় পাওয়াটা একেবারে নির্মল মনের অধিকারীরা পেয়ে থাকে। উপরওয়ালা মানুষকে বিভিন্ন অনুভূতি দিয়ে তৈরি করেছেন।একজন মানুষ এক জীবনে যত বেশি অনুভূতি অধিকারী ততবেশি জীবনকে উপভোগ করতে বাধ্য। ভয়ের মত মিষ্টি অনুভূতি থেকে কেউ বঞ্চিত হলে তার মানবজীবন অসম্পূর্ণ। আমি শুধু গভীর রাতে নয় সন্ধ্যা রাতেও ভয় পাই। আমাকে কখনো ভয়ের জন্য হাপিত্যেশ করে শ্মশানে কিংবা কবরস্থানে যেতে হয় না। এই যেমন, রাতে অনেকের ভালো ঘুম হয়। খেয়ে শুয়ে পড়লেই ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু কতজনের একটু ঘুমের জন্য কতরকমের ঔষধ খেতে হয়। আপনি এমন একটি অনুভূতির খোঁজে ঘুরছেন শুনে দুঃখিত। আশা করবো একদিন যেন অল্পতেই ভয় পান। হেহেহে

আর আধো অন্ধকারে রক্তের রং সম্পর্কে আপনার ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে স্বাভাবিক হলেও ভৌতিক কান্ড কারখানায় কোন যুক্তি কোন ছবি কখনোই ব্যাকরণ মেনে হয় না।আর ঘটনাটা লিখলাম কষ্ট করে। ভয় পেলেন না আবার আমাকেই বলতে হবে সত্য কিনা? আমাকে কি আপনি ভূয়া পদাতিক ভেবেছেন? চললাম..... হিমালয়ের উদ্দেশ্যে। এত অবিশ্বাস নিয়ে থাকা যায়না।

শুভেচ্ছা জানবেন।




২৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: পোস্ট আর সবকটা মন্তব্য পড়লাম। ঘটনা নিয়ে সংশয়ে যাচ্ছি না, কারণ আপনি এত চমৎকার ভাবে গল্প বলেন যে সত্যি বলে মনে হয়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অবশেষে আপুর কমেন্ট পেয়ে নিশ্চিন্ত বোধ করছি। আপনাকে ব্লগে না দেখলে আপু চিন্তিত হয়ে পড়ি। যাইহোক আপনি আর ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন না তোলাতে খুশি হলাম। একেতো ভুতুড়ে কান্ডকারখখনা তারপরে সকলকে যুক্তি দিতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। আপনি সেসবদিকে না গিয়ে গল্পের প্রকৃতি নির্মাণ করে চমৎকার হিসেবে উল্লেখ করাতে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

২৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরোগ্যকে নিয়ে দেয়া পোষ্ট দেখি নাই। কোন যোগাযোগ করতে পেরেছেন? টেনশানে আছি, খবর-টবর পেলে জানায়েন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পরশু রাতে পোষ্টটি দেওয়ার পর থেকে সমানে ওকে অনুরোধ করে গেছি অন্তত একবার ব্লগে আসতে। অভিমানী মেয়ে যেমন দিল না কোনো মেইলের উত্তর তেমনি এলো না একবার ব্লগে। স্বভাবতই ওর অনুপস্থিতিতে পোস্টটি দেওয়া নিয়ে একটা প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। বাধ্য হয়ে বিকালের দিকে পোস্টটি তুলে নিই। তবে যদি ভবিষ্যতে যোগাযোগ হয় অবশ্যই আপনাকে জানাবো। ধন্যবাদ এভাবে ওর খোঁজ করে যাওয়াতে। ভাল থাকুন সব সময়।

৩০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আত্মহত্যার পর ও মায়া কাটে না !!
পলাশ রুম চেঞ্জ না করলেও পারত; বন্ধু হয়ে থাকত।

চমৎকার লেখা।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আগমনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
না পলাশের রুম চেঞ্জ না করে উপায় ছিল না। কারণ অলিখিতভাবে রুমের একটা পার্ট অশরীরী আত্মার জন্য যে বরাদ্দ ছিল।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

৩১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

জুন বলেছেন: পদাতিক আপনি যে এমন মারাত্মক একটা ভুতের গল্প লিখেছেন আমি চিন্তাও করতে পারি নি :-& তারুপর আবার রাত করে পড়লাম :-& আমিতো ভেবেছি মেঘের ভুতের গল্পেই আপনি যতি টেনেছেন। এর আগে কি জবজবে একটা প্রেমের গল্প লিখে ভুতের গল্প বলে চালাতে চেষ্টাই না করেছিলেন B-)
আমার কিশোরীকালের ঘটনা পদাতিক। আমাদের একটি ঘর ছিল একেবারে কিনারে তার ওই পাশে কোন বাসা বাড়ি ছিল না, ছিল না কোন গাছ যার ফুলে গন্ধ হবে । আমি লাইট নিভিয়ে শুয়েছি আর দুই মিনিট পরেই একটি প্রচন্ড এক মিষ্টি গন্ধে ঘর ভুরভুর করে উঠলো। আমি তাড়াতাড়ি লাইট অন করে চুপচাপ শুয়ে রইলাম, কোন গন্ধ নেই। এমন চার পাচ বার করার পর একই অবস্থা। তারপর আর ঐ ঘরে একাকী থাকিনি।
আপনার অসাধারণ ভুতের গল্পে প্লাস পদাতিক।
+

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসন্ধ্যা আপু।
আপনার নাতিদীর্ঘ মন্তব্যে প্রীত হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে। গল্পটা যে মারাত্মক হয়েছে কথাটিতে আমি খুব অনুপ্রাণিত বোধ করছি আবারো ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আপনি রাতে পড়লেও ভয় পাননি শুনে কিছুটা স্বস্তি পেলাম এটাই রক্ষার। সঙ্গে মেঘের প্রসঙ্গটি আনলেন ঠিকই কিন্তু বিশ্বাস করুন আপু ওকে আমি কিছুই বলিনি।অতি সম্প্রতি কাভা ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় যে ভূতের গল্প লিখতে বসেছিলাম সেটা শুনে ওর ইচ্ছে হলো ও একটা ভুতুড়ে কবিতা লিখবে।ওর কবিতাটি তা থেকেই জন্ম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আপনার অনুবাদকৃত রূপকথার সিরিজটি ওর খুব পছন্দ হয়েছে। এখন প্রত্যেকদিন বারোটা থেকে অনলাইনে ওর হাফ ইয়ারলি এক্সাম চলছে। ওর ইচ্ছা গল্পগুলোকে পারলে আমি এখনই পড়ে পড়ে শোনাই। গতকাল তিনটি শোনানো হয়ে গেছে। ওর অনুভূতি আপনার পোস্টে রেখে এসেছি। আজ আবার বায়না করছিল গল্প শোনানোর। আমি এক্সামের প্রসঙ্গ তুলে ওকে আশ্বস্ত করেছি। সময় পেলেই আবার গল্প পড়ে শোনাবো।আর অনুভূতি আপনার পরবর্তী পোস্টে রেখে আসবো।

আপনার কিশোরী কালের ঘটনাটা এখন ভেবে খুব ইন্টারেস্টিং লাগলো ঘটনা কালীন সময়ে নিঃসন্দেহে শিরশিরানি ছিল। নিজের জীবন অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপু আপনাকে। এ প্রসঙ্গে জানাই, আমার এক বুবুর বিয়ের পর যতবার গেছি ওর শ্বশুর বাড়িতে যে রুমটিতে আমাকে থাকতে দিতো তার উপরের ঘর থেকে ধুমধাম লাফালাফির শব্দ পেতাম। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে চুপচাপ বসে থাকতাম। ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কিছুতেই বিষয়টিকে পাত্তা দিত না। একইসঙ্গে কিছুতেই উপরে আলোও দিত না। শুধু এ কারণেই পরের দিকে আমি বুবুর বাড়িতে গেলে দিনে দিনেই চলে আসতাম, রাতে আর থাকতাম না। তবে প্রসঙ্গটি নিয়ে ওর শশুর বাড়ির অদ্ভুত নীরবতা আজও আমার কাছে রহস্যময়।
সবশেষে পোস্টটি অসাধারণ মনে হওয়াতে ও লাইক প্রদান করাতে অনুপ্রাণিত হলাম; কৃতজ্ঞতা আপনাকে।

শ্রদ্ধাবনত শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।



৩২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯

জুন বলেছেন: আত্মহত্যাকারীর আত্নার সাথে এক ঘরে কাটানো সোজা কথা নয়। আমার তো আপনার গল্প পড়েই গা হিম হয়ে আসছে। সুন্দর সাবলীল লেখা যাই বলেন। এটা প্রথমে লিখলে কাভার একটা পুরস্কার আপনি অবশ্যই পেতে পারতেন। এখন কি সময় পার হয়ে গেছে?

আমার অনুবাদ মেঘের ভালোলেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আর মেঘের আব্বা আম্মার?? B-)
পড়াশোনার ক্ষতি করে পড়ার দরকার নেই। সময় মত পড়লেই হবে। আপনার আপুর অনুবাদ কেমন হয়েছে সেটাতো বল্লেন না /:)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুকে আবার মন্তব্যে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

আমার নিজের চরিত্রের একটি প্রধান ত্রুটি হল সময়ে কোন কিছু করতে না পারা। পিছন থেকে চাপ থাকলে আমি কোন কাজ ঠিকঠাক করতে পারিনা। গল্পটি লিখেছিলাম অনেক আগেই। সাম্প্রতিককালে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে উঠায় ব্লগিং করার মত সময় একেবারে হয়ে উঠছিল না। নতুন বাড়িতে অত্যধিক কাজের চাপ বেড়ে গেছে। করোনার জন্য কাজের মাসি নেই। এমতাবস্থায় কাভা ভাইয়ের অনুপ্রেরণা সূচক পোস্টটি দেখে লোভ সামলাতে না পেরে অনেক আগে দেওয়া 'ভীতুর ভূত দর্শনে'র তিনটি পর্বে সামান্য এডিট করে পোস্ট দিই। তবে একেবারে শেষের দিকে মা.হাসান ভাইয়ের অনুরোধে গল্প পোস্ট করার লাস্ট দিনটি কয়েকদিন বাড়ালে তখন আমার সংসারের কাজও একটু কমে আসে। সেই সুযোগেই এই গল্পটি পোস্ট করি। সম্ভবত শেষদিনের রাত বারোটার একটু আগেই গল্পটি পোস্ট করা হয়েছিল। তবে কপালে পুরস্কার থাকুক বা নাই থাকুক। আপনি যে এমন করে বললেন, এটাই আমার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।
আমি শ্লাঘা বোধ করছি আপনার এমন আন্তরিক মন্তব্যে। কৃতজ্ঞতা আপনাকে।

আপনাকে ছোট মুখে বলা শোভনীয় হচ্ছে না জেনে একথা বলছি,
সন্তানের ভালোলাগা মন্দলাগার মধ্যেই যে বাবা-মায়ের সব অনুভূতি গুলি লুকিয়ে থাকে। যৌক্তিক বা অযৌক্তিক যাই হোক সন্তানের নির্মল হাসি যে কোন বাবা-মায়ের কাছে উত্তম পাওনা।চাওয়া তো বটেই।সে কথা মাথায় রেখে আমি আমার অনুভূতি জানালাম।মেঘের মা সময় পেলে ছেলের পাশে বসে কার্টুন দেখে। কিছু দৃশ্যে মা-ছেলে খুশিতে ফেঁটে পড়ে। আপনার অনুবাদকৃত রূপকথা আমার কাছে তেমনি সম্পদ হয়ে আপাতত প্রিয়তে রইলো।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।


৩৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: কিছু কিছু ঘটনা বেদনাদায়ক, তবে পুরো গল্পটা ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকবেন।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসেন ভাই,

একটু আগেই আপনার আরেক বাসায় ঢু দিলাম। সাহিত্য সম্মামনার জন্য অভিনন্দন আপনাকে। কিন্তু ওখানে অনাহুত আগন্তুক হওয়াতে সে কথা জানাতে পারেনি।
"কিছু কিছু ঘটনা বেদনাদায়ক, তবে পুরো গল্পটা ভালো লেগেছে।"বেদনাদায়ক হওয়া সত্বেও গল্পটা ভালো লাগাতে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি এভাবে আগামীতেও আপনাকে পাশে পাব।
আপনিও ভালো থাকবেন সব সময়।


৩৪| ১১ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ ভুতুরে কান্ড! আত্মহত্যাকারীর আত্মাগুলোই নাকি এসব কম্ম করে বেড়ায়।
মাঝে মাঝে এ রকম পারফিউমের গন্ধ আমিও পাই, তবে এ নিয়ে বেশি মাথা ঘামাই না। অনেক সময় ধুপের গন্ধ, আগরবাতির গন্ধও পাই।
পদ্ম পুকুর এর মন্তব্যগুলো এবং আপনাও উত্তর দুটোও ভাল লেগেছে। +
পোস্টে একবিংশতিতম ভাল লাগা + +।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

প্রথমেই ক্ষমাপ্রার্থী কীভাবে কমেন্টটি দৃষ্টিপটের বাইরে চলে গেল বলে।আজ নেহাতই পুরানো পোস্ট ঘাটতে গিয়ে দেখি এই পোস্টে বিজোড় সংখ্যার কমেন্ট।পেজ ওপেন করে বুঝতে পারি যে আপনার মন্তব্য।কবে করেছেন অথচ আমি উত্তর দিইনি। খুবই দুঃখিত ও লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
"বেশ ভুতুরে কান্ড! আত্মহত্যাকারীর আত্মাগুলোই নাকি এসব কম্ম করে বেড়ায়।"- হ্যাঁ স্যার ঠিকই বলেছেন। সুইসাইডাল কেস গুলো এমন একটা অনুভুতি তৈরি করে।

"মাঝে মাঝে এ রকম পারফিউমের গন্ধ আমিও পাই, তবে এ নিয়ে বেশি মাথা ঘামাই না। অনেক সময় ধুপের গন্ধ, আগরবাতির গন্ধও পাই।'- জ্বি স্যার এসব বিষয়কে মনে প্রশ্রয় দেবেন না বা মাথা ঘামাবেন না। কিছুক্ষণ পর এমনিতেই সব ঠিক হয়ে যায়।

ব্লগার পদ্ম পুকুর ভাই অত্যন্ত সজ্জন মানুষ। আমার অন্যতম পছন্দের একজন ব্লগার। ওনার সৌজন্যবোধ আমার ভীষণ ভালো লাগে।
পোস্টে একবিংশতিতম ভালো লাগা ও ডাবল প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.