নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আঁধারে আলো (পর্ব-৫)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১১



আগেই বলেছি ছবির মত সাজানো স্টেশন বোরগ। কালকা থেকে গুনে গুনে ছয় নম্বর স্টেশনে আমরা প্রবেশ করেছি। একটা কথা না বললেই নয়, টয় ট্রেনের গতিবেগ সাধারণ ট্রেনের তুলনায় অনেকটাই কম হয়। কাজেই কালকা থেকে বোরগ পর্যন্ত আসতে আমাদের অনেকটা সময় লেগে যায়। সেই সকালবেলা এক ট্রেন থেকে নেমে আরেক রকম ট্রেনে ওঠা, তারপর অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর ট্রেন ছাড়া, মাঝে লাগেজপত্র ধরাধরি, এসবের ফলে মধ্যপ্রদেশে চিনচিন ব্যথা অনুভব করি। বুঝতে পারি বেশ ক্ষিধে পেয়েছে। একটু আগে শ্বেতাও জানিয়েছিল ওরও খুব খিদে পেয়েছে। সঙ্গে স্নাক্স ছিল ঠিকই কিন্তু কাঁহাতক বা শুধু শুধু স্নাক্স খেয়ে কাটানো যায়। মনে হয় এই ট্রেন রুটে যাত্রীদের এমন সমস্যার সঙ্গে ট্রেন কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই পরিচিত। সম্ভবত সেকথা ভেবেই তাদের অসুবিধা দূর করতে হালকা টিফিন করার সুযোগ দিতেই ট্রেনটি কিছু বাড়তি সময় এখানে থামবে জেনে খুশি হই। আগের স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ওঠানামা করতে যেটুকু সময় লাগছিল ততক্ষণই কেবল ট্রেনটি থামছিল।তাই চোখের সামনে একেরপর এক নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখলেও নেমে পড়ে বা দাঁড়িয়ে দেখার সুযোগ হচ্ছিল না।এই কারণেই বোরগ স্টেশনে ট্রেনটি বেশিক্ষণ থামবে জেনে আনন্দিত হয়েছিলাম। যাইহোক ট্রেনটি থামতেই আমরা ঝপাঝপ নেমে পড়ি। একজন মানুষের টিফিন করতে তো আর বেশি সময় লাগার কথা নয়। কাজেই বেশি সময় পাওয়া যাবে না ভেবে পাগলের মতো একনাগড়ে ফটো তুলতে থাকি। নিজেরা নিজেদেরকে তাড়া দেই। যে করেই হোক ট্রেন আবার শুরু করার আগেই যেন আমাদের যাবতীয় ফটোশুট শেষ হয়। মাঝে স্টেশনেই একটা টি শপে ঢুঁ মারি। কিন্তু দাম শুনতেই শ্বেতার চোখ কপালে উঠে, আমারও ক্ষিধে যায় উধাও হয়ে। বুঝে যাই এখানকার খাবারদাবার আমাদের জন্যে নয়। অবশ্য দামের জন্য আমার দিক থেকে কোনো সমস্যা ছিল না। বাইরে ঘুরতে এসে একটুআধটু বেশি খরচপাতি জায়গা বিশেষে লাগতেই পারে বলে মনে মনে সব ক্ষেত্রে তৈরি ছিলাম। কিন্তু শ্বেতা রাজি না হওয়াতে অগত্যা ওসব কিছু মাথা থেকে দূর করে ওর পিছু অনুসরণ করতে থাকি। অনেক্ষণ ধরে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে অবশেষে যখন আবার ট্রেনের সিটে এসে বসি তখনও দেখি সহযাত্রীদের অনেকেই বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন।

প্রসঙ্গতক্রমে একটা কথা উল্লেখ না করলেই নয়,তখন যেহেতু ছবি তোলার মাধ্যম ছিল স্টিল ক্যামেরা কাজেই ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে চিন্তা বাড়ছিল যেন রিল একদম শেষ না হয়ে যায়। সেদিন আমাদের ফটো তোলার যা গতি ছিল তাতে আশঙ্কায় ছিলাম সিমলায় যাওয়ার আগেই না ফিল্মগুলো শেষ হয়ে যায়। এই কারণে শেষের দিকে বারে বারে চোখ যাচ্ছিল রিলের সংখ্যার দিকে।তাই একটা জায়গায় এসে আমরা ফটো তোলা শেষ করি,যখন রিলে সামান্য কিছু ফিল্ম অবশিষ্ট ছিল। পরবর্তী লক্ষ্য ছিল সিমলায় নেমে ফটোর দোকান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত হাতে কিছু জমিয়ে রাখা। কাজেই তাড়া ছিল ওখানে পৌঁছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবার রিল ভরতে হবে।

টয় ট্রেনে আমাদের সিট ছিল পিছনের কম্পার্টমেন্টে। শুরুতে এই পেছনের কম্পার্টমেন্টে সিট পেয়ে হতাশ হয়েছিলাম‌। সেসময়ে মনে হয়েছিল সামনের কম্পার্টমেন্টে যারা সুযোগ পেয়েছে তারা কতই না ভাগ্যবান, কত সুন্দরভাবে তারা সামনে বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু কিছুটা ট্রাভেল করে বুঝতে পারি ভাগ্যিস পিছনে আসনে বসার সুযোগ পেয়েছি। কাজেই এহেন ভৌগলিক অবস্থান আমাদের পক্ষে সাপে বর হয়েছিল। ট্রাভেল করতে করতে মনে হয়েছিল, এটাই টয় ট্রেন জার্নির পক্ষে আদর্শ জায়গা।পাশ থেকে দেখতে দেখতে ভালো লাগলে যতক্ষণ চোখ যায় ততক্ষণ আমরা পেছনে দূর বহুদূর পর্যন্ত তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম। সর্পিল ভঙ্গিতে পাহাড়ি পথ নদী ঝর্না গাছপালা ব্রীজ বিভিন্ন বাড়িঘর প্রভৃতির মতো দৃশ্য গুলো ক্রমশ আমাদের দৃষ্টিপটের বাইরে চলে চলে যাচ্ছিল।

বোরগ স্টেশনের সবচাইতে আকর্ষণীয় বিষয় হলো স্টেশন লাগোয়া রহস্যময় বোরগ টানেল। রহস্য এই কারণেই স্থানীয়দের কাছে টানেলটি ভূতুড়ে টানেল হিসেবেই পরিচিত।আর তা থেকেই টানেলটি সম্পর্কে মানুষের মনে হাজারো জিজ্ঞাসা, হাজারো প্রশ্ন। ভূতের ভয় পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে আমজনতার মধ্যে নানান গল্পগুজব চালু আছে। এক্ষণে পথে এমন একটি ভূতুড়ে টানেলের কাহিনী শুনে আমরা খুবই আগ্রহান্বিত হয়ে পড়ি। সেসময়ে বসে থাকা সহযাত্রীদের মধ্যে আলোচনার বিষয় ছিল বোরগ টানেল। কেউবা সিরিয়াস কেউবা রসিকতার ছলে কিছুটা রহস্যময় দৃষ্টিতে নিজেদের মধ্যে অদ্ভুত অদ্ভুত সব ভূতের আলোচনা করছিল।আগ্রহ না থাকলেও অবশ্য বেশিক্ষণ নিজেদেরকে অ্যালুফ রাখতে পারেনি। একসময় আমরাও আলোচনায় অংশ নিই। কিন্তু কেন জানি মনে হচ্ছিল ওনারা বুঝি আমার জন্যেই এমন বেশি বেশি করে ভূতের আলোচনা করছেন। আমি ভীতু মানুষ; রাতবিরেতে একাকি বের হতে ভয় পাই। মনে হয় কোনো ভাবেই হয়তো ওনারা একথা জানতে পেরে আমাকে ভূতের ভয় দেখানোর জন্যেই বেশি বেশি করে তেনাদের নাম করছেন। ভেবে অবাক হই, বাড়ি থেকে দু-আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে এসেও ভূত আমাকে পিছু ছাড়ল না বলে।আর ট্যুর কোম্পানির ছেলেগুলোর সঙ্গে কেই বা লাগিয়েছে যে আমি ভূতের ভয় পাই। যাইহোক আমার সন্দেহের তীর ছিল টুর কোম্পানির ছেলেগুলোর দিকে। তবে ভূতেরো বলিহারি সাহস। আমার মতো ভীতূর ডিমকে এভাবে অপদস্থ করার ফন্দি ফিকির না করে যারা বরং ভূতকে মানেন না তাদের দিকে যা নারে বাবা! আমি একটা কথা প্রায়ই ভাবি একজন ভীতু লোককে ভয় দেখানোর মধ্যে একজন ভূতের কোনো কৃতিত্ব নেই, নেই কোনো সার্থকতা। সে যদি প্রকৃত সাহসী ভূত হয় তাহলে যারা তার অস্তিত্ব মানেন না তাদের সামনে যায় না কেন? এ তো একধরনের শঠতা। যাইহোক নিজের ভয়কে অন্তরে লুকিয়ে ওরা রসিকতা করছে ভেবে জানিয়ে দেই,
-ঠিক আছে ভূত আসে আসুক। আমি ওসব কিছুর ভয় পাইনে।
হঠাৎ সবার সামনে আমার এমন করে বলাতে উল্টে বিপত্তি ঘটে। উপস্থিত বেশিরভাগ যাত্রীই কিছুটা রহস্যময় ভাবে মুচকি হেসে আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন। বুঝতে পারি ভুল একটা করে ফেলেছি। আগবাড়িয়ে নিজেকে আলোচনার বিষয় করা মারাত্মক ভুল হয়ে গেছে। তবে ওনারা যাই ভাবুন না কেন মনে মনে এই কথা ভেবে সান্ত্বনা দেই,
-এতোক্ষণ ধরে চেনাজানা সহযাত্রীদের সঙ্গে গল্প গুজব করে আমরা অনেকেই ক্লান্ত। এমতাবস্থায় মাঝে যদি কিছু সময় ট্রেনে নতুন অতিথি, ভূত মহাশয়ের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় তাহলে তার সঙ্গে না হয় গল্পগুজব করে কিছুটা পথ এগোনো যাবে বৈকি।

মনকে সান্ত্বনা দিলেও ভেতরে ভেতরে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়।সাপ আর ভূত এই দুটি শব্দের নাম শুনলেই আমার কেমন গা ছমছম করে ওঠে। সেদিনও এর অন্যথা হয় নি।বলতে বলতেই ট্রেনটি হঠাৎ দুলে ওঠে। বুঝতে পারি সময় শেষ। ট্রেনটি আবার যাত্রা শুরু করেছে।কেন্নোর মতো মন্থর গতি নিয়ে তিরতির করে ট্রেনটি ক্রমশ টানেলের মধ্যে প্রবেশ করছে। অন্ধকার টানেল, ভেতরে প্রবেশ করতেই আর একবার গাছমছম করে উঠলো। হঠাৎ সহযাত্রীদের মধ্যে অদ্ভুত এক নীরবতা লক্ষ্য করি। সবাই একদম চুপচাপ।যেন ভূতের আগমন দৃশ্যকে পরখ করতে সবাই ঘার বেঁকিয়ে যে যার চতুর্দিকে খেয়াল রাখছে। সবার যেন তাকে সুস্বাগতম জানাতেই প্রস্তুত। আমার দৃষ্টি ছিল সহযাত্রীদের দিকে। সেদিন ভূতের আগমনকে পরখ না করতেই দৃষ্টি যাত্রীদের দিকে নিবদ্ধ রেখেছিলাম। লক্ষ্য ছিল যেনতেন প্রকারই হোক আমার চোখে যেন ভূতের আগমন দৃশ্য ধরা না পড়ে।একটা দমবন্ধকর পরিবেশে প্রায় পাঁচ-ছয় মিনিট ধরে অন্ধকার টানেলের মধ্যে দিয়ে ট্রেনটি চলছে অথচ টানেল যেন আর শেষ-ই হচ্ছে না। অবশেষে একদম শেষে যখন সকলের চোখে মুখে হতাশা ফুটে উঠেছে,ভূতের দর্শন বুঝি এবারের মতো পন্ড হয়ে গেল বলে; ঠিক তখনই একবার টানেলের পিছিনের দিকে চোখ পড়তেই শিউরে ওঠি।
-কি আশ্চর্য! একটা আলোর দ্যুতির মতো অস্পষ্ট একটা ভূত কুকুর হাতে নিয়ে লাইন ধরে ক্রমশ এগিয়ে আসছে।
যাত্রীদের মধ্যে একটা হুড়োহুড়ি পড়ে গেল। ফিসফিসিয়ে কয়েকজন বলে উঠলো,
-ওই যে ট্রেনের পিছনে! ভূত আসছে।
ক্রমশ পরিষ্কার হলো, ট্রেনের আবছা ফেলে আসা আলোয় দূরে এক ব্যক্তি একটি কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে টানেলের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে ক্রমশ এগিয়ে আসছেন......

বিজ্ঞান যাই বলুক বোরগ সাহেবের এই পথচলা আজকের নয়,
১৯০১ সালে টানেলের কাজ সময় মতো সম্পন্ন করতে না পারার জন্য ট্রেন কোম্পানি থেকে তিরস্কৃত হয়ে এক টাকা জরিমানা হওয়ায় আত্ম গ্লানিতে নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে নিজেকে শুট করেছিলেন টানেল নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার মিস্টার বোরগ সাহেব। শেষ মুহূর্তে সঙ্গে ছিল নিজের প্রিয়তম পোষ্যটি।বোরগের মৃত্যুর পর কোম্পানি স্থানীয় একজনকে সহযোগী করে অপর একজন ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করে দুই দিক থেকে খননকরা টানেলের সংযোগস্থল মিলিয়ে দেখেন বোরগের হিসেব একদম যথার্থই ছিল। খামোখা অহেতুক কোম্পানির রোষানলে পড়ে আত্মসম্মান বোধ সম্পন্ন একজন মানুষের জীবন চলে গেল।পরে এই কারণে রেল কোম্পানি স্থানটির নামকরণ করেন মিস্টার বোরগ সাহেবের নামে। কিন্তু বোরগ চলে গেলেও আজও ওনাকে বিশেষ ঐ স্থানে দেখতে পাওয়া যায়। অন্ধকার টানেলের মধ্যে কখনও কখনও তাই যাত্রীদের চোখে পড়ে কুকুর নিয়ে মিস্টার বোরগ লাইন ধরে এগিয়ে আসছেন।
আজ এত বছর পরও যেন অন্ধকার টানেলের মধ্যে রেল সহ যাত্রীদের নীরব পথপ্রদর্শক হিসেবে নিজের বিরামহীন কর্তব্য পালন করে চলেছেন।



মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৭

ইসিয়াক বলেছেন: এবার বাকি পর্বগুলো তাড়াতাড়ি দিয়ে এই গল্পটা শেষ করবেন।
রাতে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করবো।

শুভকামনা রইল।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম মন্তব্য মানে আলাদা ভাললাগা; অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি বলেছেন পরে পূর্ণাঙ্গ পোস্ট পড়ে মন্তব্য করবেন। যদিও আপনার সেই পূর্ণাঙ্গ কমেন্টও ইতিমধ্যে আমি পেয়েছি। কাজেই আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।। পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন। নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:



বিনা অসুখে ঔষধ খেলাম।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওষুধ খাচ্ছেন যখন রোগ নিশ্চয়ই আছে। চোখের সমস্যা বয়সের কারণে এমন মনে হতেই পারে। তবে আপনার একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে বলছি, শীতকাল চলছে এসময়ে অনেকেই এমন ভুলভাল বকে। কাজেই মন দিয়ে ওষুধ সেবন করুন। সঙ্গে তৈল মর্দনের দরকার হলে লজ্জা করিয়েননা :) ।কোনো টাকাকড়ি লাগবেনা :) ।যতোটা লাগে নিয়ে নেবেন।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
আপনার সিরিজ দেখেই লগইন হলাম । এখন ব্যস্ত আছি পরে অবশ্যই মন্তব্য করবো ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বহুদিন পর প্রিয় ছোট বোনের কমেন্ট পেয়ে খুশি হয়েছি। নিচে তো পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট পেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ বোনকে। দাদার পক্ষ থেকে নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় বোনকে।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভূত তুত দুইনাইত আছে নি কোন
ভালো লাগলো

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু, "ভূত তুত দুইনাইত আছে নি"- কথাটি ঠিক স্পষ্ট হলো না। যাইহোক পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
ওহ্ দাদা পুরো গল্পটার মাঝেই একজন বোরগ সাহেবের হৃদয়বিদারক ভাবে নিজেকে নিঃশেষ করে ঘটনা জানতে
পারলাম।
অনেকদিন পর আপনার গল্প পড়ে আমি আনন্দিত কিন্তু দাদা এতো দেরি করেন কেন ?
একটা সময় আমরাও কোডাক অথবা ফুজি রিলে ছবি তুলতাম যা আজকে আপনার লেখা পড়ে আবার মনে হলো । প্রথমদিকে ভাবছিলাম দাদা কেন এই ভূত ভূত করছেন এখন পুরো ঘটনা শুনে আমি হতবাক ।
পরের পর্বটা তাড়াতাড়ি দিয়েন ।
শুভকামনা রইলো।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন। প্রিয় ছোট বোনের সুন্দর কমেন্টের প্রতিমন্তব্য দেওয়ার জন্যে একটু সময় নিয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি মধুর মন্তব্য দেওয়ার জন্য। জ্বী বোরগ সাহেবের জীবনের সঙ্গে যেন বোরগ স্টেশনটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এখনও ওখানে গেলে একদম বাস্তব বলে মনে হয়।
স্টিল ক্যামেরা কোডাক ফুজি রিল এসব কি কখনও ভোলা যায়? সে এক দিন গেছে।
পোস্ট দিতে দেরি হবার কারণ এই সময় পেশাদারিত্বের চাপে একদম সময় করে উঠতে পারিনি। যদিও ইসিয়াক ভাই দেখলে আমাকে ধমক দেবেন।শত চাপের মধ্যেও ওনি নিয়মিত পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আমি যে অমন পারছিনা সেটা কি করে বোঝাই।
প্রথমদিকে অহেতুক ভূত ভূত করে কিছুটা বিরক্ত করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু পরে যে সম্পর্ক পরিষ্কার হয়েছে জেনে আশ্বস্ত হলাম।
পোস্টটি লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিরন্তর শুভকামনা প্রিয় বোনকে।

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ছোট বেলায় দিনে-দুপুরে ভুত দেখেছিলাম, এখন বিশ্বাস হতে চায়না।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইজান বিশাল লম্বা এই টানেলের ভিতর কোনো আলোর ব্যবস্থা না থাকায় দিনের বেলাতেও ভিতরটা সবসময় অন্ধকার থাকে। ট্রেনের নিজস্ব আলোয় ট্রেন চলে।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৯

ইসিয়াক বলেছেন:




বুঝতে পারছি গল্পের নায়কের কপালে দুঃখ আছে।সংসার শুরু না হতে শ্বেতা কিপ্টামি শুরু করেছে! আমি বাবা না খেয়ে থাকতে রাজি নই।সে যত দামই হোক।
আর গল্পের নায়কেরও অত ছবি তোলার দিকে মনোযোগ না দিয়ে বউ এর দিকে কনসেনট্রেশান বাড়ানো উচিত।মধুচন্দ্রিমার মুল উদ্দেশ্য হলো সম্পর্কটা আরো গভীরে নেওয়া তা না একজন ছবি তোলায় ব্যস্ত তো আরেকজন টাকা পয়সার হিসাব কষছে। এইটা কিছু হলো। :|
আবার ভুত বাবাজির উদয় হলো। সাপ আর ভুতে আমারও ভীষণ ভীষণ ভয়। তবে আমারে আবার ভিতু ভাইবেন না। ;)
গল্প ভালো এগুচ্ছে... আগামী পোস্টটা দয়া করে একটু তাড়াতাড়ি দিয়েন। বুইড়া মানুষ স্বরণশক্তি কমে আসতেছে। হু।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,

আশাকরি ভালো আছেন। চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

"বুঝতে পারছি গল্পের নায়কের কপালে দুঃখ আছে।সংসার শুরু না হতে শ্বেতা কিপ্টামি শুরু করেছে! আমি বাবা না খেয়ে থাকতে রাজি নই।সে যত দামই হোক।"-আরে এখনই এমন মতামত জানিয়েন না।দেখা যাক আগামীতে ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়?

"আর গল্পের নায়কেরও অত ছবি তোলার দিকে মনোযোগ না দিয়ে বউ এর দিকে কনসেনট্রেশান বাড়ানো উচিত"-একদম হক কথা বলেছেন। কিন্তু এমন কিছু সুন্দর মূহুর্ত আসে যখন হিসেব সব ওলোটপালোট হয়ে যায়। মন্তব্যের সুন্দর একটি বিষয় উল্লেখ করার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

"মধুচন্দ্রিমার মুল উদ্দেশ্য হলো সম্পর্কটা আরো গভীরে নেওয়া তা না একজন ছবি তোলায় ব্যস্ত তো আরেকজন টাকা পয়সার হিসাব কষছে। এইটা কিছু হলো। :| :) "-এটা আপনি ঠিক বল্লেন না। আয়মিয়া জীবনে কতবার হানিমুন করেছেন আগে কন? :)

আপনি সে যাই বলুন না কেন আমি আপনাকেও ভীতুর ডিম ভাববো। আমার ইচ্ছা। :)

আর আগামী পোস্ট খুব শিগগিরই দিবো প্রমিজ।

সবশেষে পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।।

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:




কাজেই বেশি সময় পাওয়া যাবে না ভেবে পাগলের মতো একনাগড়ে ফটো তুলতে থাকি।

কিন্তু কেনো, ফটোশুটের বিশেষ কোনো কারণ ছিলো ?

এতো মানুষের মাঝে থেকেও ভুতের ভয় :)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কাজেই বেশি সময় পাওয়া যাবে না ভেবে পাগলের মতো একনাগড়ে ফটো তুলতে থাকি।

কিন্তু কেনো, ফটোশুটের বিশেষ কোনো কারণ ছিলো ?জ্বী পোস্টে উল্লেখ করেছি।পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভূতেরা উপমহাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। শুনেছি কারো কারো নাকি পাঁচ ছয়শো বছর ধরে ভূত গিরি করছে। আর এখানেই বা তারা বসবাস করবে না কেন? আম্রিকার ভূতদের নাকি জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ঠিকঠাক কাজকর্ম করতে না পারায়। ওদের ডিউটি নাকি কিছু উপমহাদেশের জ্যান্ত ভূত করে দিচ্ছে :)

যাইহোক ভালো থাকবেন আপু।



৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ১৯০১ সালে টানেলের কাজ সময় মত করতে না পারায় এক টাকা জরিমানা হয়ে ছিল। মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহতা করে। আর এখন কোটি কোটি টাকা মেরে বিদেশ চলে যায়।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বী নেওয়াজ ভাই ঠিক তাই। সময় মতো কাজ শেষ করতে অংক কষে পাহাড়ের দুই দিক দিয়ে খুড়েও একবিন্দুতে মেলাতে না পেরে তিরষ্কৃত হন এবং অভিমানে আত্মঘাতী হন।ওনারা কাজের প্রতি একনিষ্ঠ কর্তব্যপরায়ণ এবং সত্যবাদী ছিলেন। কিন্তু আজকের দিনে এসব আমরা কল্পনাই করতে পারি না।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা পোস্টের বাইরে গিয়ে একটা মন্তব্য করি-
আপনি নাকি আমাকে পছন্দ করেন না। আমার লেখা দেখলে আপনার শরীর জ্বলে? আমি নাকি খারাপ মানুষ?
আপনি তো আমাকে নিজের চোখে দেখেছেন? লম্বা সময় আপনার সাথে আড্ডা দিয়েছি। আপনার কি মনে হয় আমি মানুষ হিসেবে খারাপ?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আপনি নাকি আমাকে পছন্দ করেন না। আমার লেখা দেখলে আপনার শরীর জ্বলে? আমি নাকি খারাপ মানুষ?"-ভাইয়ের এমন অভিযোগ আমার কাছে খুবই অপ্রয়োজনীয় অনাবশ্যক অশালীন লেগেছে।ব্যক্তিগত ভাবে আমি কাউকে শুধু ব্লগে নয় বাস্তব জীবনেও বলা থেকে দূরে থাকি। এমনকি যারা বলেন তাদের থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করি।

লেখালেখি যে যার মনোমত করে লিখবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে আমি নিজের সীমারেখাটা জানি বা বুঝি। তবে আত্মরক্ষার জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে কাউন্টার এ্যাকশন নিতে হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে শুরুতে হতাশ হলেও এখন মন্দ লাগে না।

কলকাতায় ভাইয়ের সাথে খুব সুন্দর সময় কেটেছিল যেটা কখনো ভোলার নয়। কিন্তু সমস্যা হল ভাই যখন একজনের কাছে ব্লগিং দীক্ষা নিয়ে আমাকে তার স্লেজিং এ তার হয়ে ওকালতনামা করতে আসাটা আমার কাছে খুবই অসৌজন্যমূলক লেগেছিল। যাইহোক এখন পিছনে তাকিয়ে অহেতুক পরিবেশ ভারী করা বুদ্ধিমানের কাজ নয় । তবে একে অপরের সৌজন্য সদ্ব্যবহার করতে তো আর সমস্যা নেই।

আর মানুষে হিসেবে ভাইয়ের নরম উদার মনের কথা আগেও বলেছি এখনও বলছি। অনেক শুভেচ্ছা ছোট ভাইকে।


১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



ওপারে না'চললে ঠেলে এপাশে ফেলে দিলেই হলো

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওপারেও চলতো না। ভাগ্যিস আপনি এসে পড়েছেন। :) ঠিকই তো আপনার মতো পাবলিক দেশ থেকে পলায়ন করলেও ব্লগের দৌলতে আমরা যে দু একটা খরদের ধরতে পারছি তাতে ব্লগকে অশেষ ধন্যবাদ।

১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২০

সোনালি কাবিন বলেছেন: জীবনের গল্প আপনার লেখায় তরতরিয়ে এগিয়ে গেছে ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোটবেলায় রেলপথে যাতায়াতের সময় শেষের কামরায় আসন পেলে আমিও খুব খুশি হতাম। কারণ, পাশেও দেখা যায়, পেছনেও।
বোরগ সাহেবের করুণ পরিণতি সত্যিই বড় মর্মান্তিক!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটি পাঠ করে নিজের ছেলেবেলার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
বোরগ সাহেবের জীবনের পরিণতি খুবই দুঃখজনক। কিন্তু কি আশ্চর্য যে যাকে রেল তিরস্কার করল পরে তারই দেখানো দুদিক দিয়ে খোঁড়া টানেলের অবশিষ্ট অংশ খুঁড়ে অবশেষে রেল দুমুখো টানেলকে এক জায়গায় জোড়া লাগাতে সমর্থ হয়। সুতরাং সহজেই অনুমেয় তাঁর দেখানো পথেই রেল সাফল্য অর্জন করে।অথচ কর্মকর্তাদের কাছে অহেতুক অপমান সহ্য করতে না পেরে একজন মানুষের জীবন চলে গেল।
পোস্টটি লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইসিয়াক এর আন্তরিক মন্তব্যটা ভালো লেগেছে। +

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বী স্যার ইসিয়াক ভাইয়ের কমেন্টটি খুব ভালো হয়েছে। দ্বিতীয়বার কমেন্টে এসে বিষয়টি উল্লেখ করাতে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনা করি।

১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০১

সোহানী বলেছেন: এমন রোমান্টিক পরিবেশে ভুত তুথরে নিয়ে কেন রে ভাই টানাটানি :(

ইসিয়াক তো ঠিকই বলেছে, হানিমুন করতে এসে দেখি কিপ্টামী............... :P

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু ভুত ভুতানি সময় বিশেষ এসেই যায় আমরা না চাইলেও। আসলে আমরা যদি জানতে পারতাম ওরা আসবে তাহলে বোধহয় আমরা ওদের পাত্তা দিতাম না।তাই বোধহয় আচমকা দেখা দিয়ে আমাদের নাকানিচোবানি খাওয়ায়।
পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করাতে ও লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রায় এক হপ্তা ব্লগ তথা স্যোশাল মিডিয়ায় ছিলাম না;বললেই চলে। তাই এমন মজার পর্বটা যথা সময়ে মিস করেছি। বরাবরের মতোই ভালো লাগা অফুরান। তবে ভুতপ্রেত ঢুকিয়ে আমার মনে অস্বস্তি ঢুকিয়ে দিয়েছেন। +

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইজান আপনার কমেন্ট না পেয়ে অপেক্ষার প্রহর কাটে না।বোরগ স্টেশনের সঙ্গেই এই ভুতুড়ে পরিবেশটি জড়িত। যাত্রাপথের এই ব্যতিক্রমী ঘটনা যে কারণে পাঠককুলের সামনে হাজির না করিয়া পারলাম না। বরাবরের মতোই সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন

শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পড়তে পড়তে শেষে এসে যখন বোরগ সাহেবের ব্যাপারটা পড়লামতখন আমার মনে একটা প্রশ্ন আসল ।

আপনার কাছে তো ক্যামেরার রিল ছিলই , চট করে ছবিটা তুললেন না কেন ? অন্তত লেডিব্রাউনের মত আরেকটা ভুতুড়ে ছবির সাক্ষী আমরা হতে পারতাম !!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে বেশ মজাদার কমেন্ট করেছেন।
প্রথমে আমার কোনো পোস্টে আপনার মন্তব্য সুস্বাগতম আপনাকে।
পোস্ট প্রসঙ্গে - আমি যদি জানতাম উনি সব যাত্রীদের ওনার সাধের টানেলের মধ্যে দিয়ে পথ দেখিয়ে নিয়ে যেতে আসবেন তাহলে অবশ্যই ক্যামেরা রেডি করে রাখতাম। কিন্তু কি আর করার।চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে,এ ক্ষেত্রে এটাই মনে করতে হবে। তবে ভয় আরেকটি জায়গায় ছিল,বোরগ সাহেবকে ক্যামেরায় বন্দি করলে শ্বেতা যদি ঝামেলা করতো। কথায় বলে না,এক বনে দুই সিংহ থাকে না :)

১৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভালো কথা আপনার সথের উনি ( B-) ) কি বোরগ সাহেবকে দেখতে পাননি ? ওনার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল ? সেটা জানলে ভালো হত । আরও ভালো হত বোরগ বদ্দা যদি নিজেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতেন তো !

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার কমেন্টে আসায় আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
ওনার প্রতিক্রিয়া এই মুহূর্তে আপনাকে জানাতে পারছি না। আগামীতে পোস্টে উল্লেখ পাবেন।আর বোরগ বদ্দা তো বিরামহীন কর্তব্য পালন করছেন।তস্যু নাতির বয়সী পোলাপাইন যদি পিছনে লাগে তাই মনে হয় কারোর সঙ্গে কথা বলে না :)

১৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আগের পর্বগুলি পাঠ করে এসে এটার বিষয়ে কথা বলব ।
সম্ভব হলে আগের পর্বগুলির একটি লিংক এই পোষ্টে
লেখর আগে কিংবা পরে যুক্ত করে দিন , তাহলে সুবিধা হয় ।

শুভেচ্ছা রইল

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর একটি আন্তরিক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আলী ভাই। আপনি আগের পর্বগুলোর লিংক দিতে বললেন, কিন্তু আমি যেহেতু ফোন থেকে ব্লগিং করি কাজেই লিংক দেওয়ার অপশন ফোনে আসেনা। যাইহোক আপনাকে লিঙ্ক দিতে পারলে খুব ভালো হতো। পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন। নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮

আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি,
আশা করি সবাই ভালো আছো। সময় করতে পারছি না এই পর্বটি পড়ার জন্য। পরে সুযোগ মত পড়ে আবার মন্তব্য করবো ইনশাআল্লাহ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপরওয়ালার ইচ্ছায় ভালো আছি। আশাকরি তোমরাও কুশলে আছ।

এতক্ষণে তোমার আগমনে আমার অপেক্ষার প্রহার শেষ হল। বুঝতেই পারছি পড়াশোনা নিয়ে চাপে আছ। এমতাবস্থায় ব্লগে না আসাই ভালো। নির্বিঘ্নে এক্সাম সম্পন্ন কর।

নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা তোমাদের।

২১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতের রেল যোগাযোগ অনেক উন্নত। বাংলাদেশে 'টয়' ট্রেন নামে কিছু আছে বলে মনে হয় না। 'টয়' ট্রেন জিনিসটা আসলে কি? চারিদিকে খোলা ট্রেন মনে হয়। অনেকটা শিশু পার্কের মত।

শ্বেতাকে অনেক মিতব্যয়ী মনে হচ্ছে। তবে ভ্রমণে আসলে হিসাব করে চলা মুশকিল। ভ্রমণে কিছু বাড়তি খরচ করলে ভ্রমণটা আরও আনন্দের হয়।

ফিল্ম ক্যামেরার যুগের কথা মনে পড়ে গেল। সাধারণত ৩৬ টা ছবি তোলা যেত। কিন্তু ৩৬ টার পরে আরও ৩/৪ টা বাড়তি থাকতো। তখন বুক ধুক ধুক করতো এই শেষের ছবিগুলি আসবে তো।

বোরোগ সাহেবকে কুকুর সহ সত্যি দেখেছিলেন কি টানেলের শুরুতে? :)

শ্বেতা ভাবির রোমান্টিক আলাপ এই পর্বে নাই কেন?

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "ভারতের রেল যোগাযোগ অনেক উন্নত। বাংলাদেশে 'টয়' ট্রেন নামে কিছু আছে বলে মনে হয় না। 'টয়' ট্রেন জিনিসটা আসলে কি? চারিদিকে খোলা ট্রেন মনে হয়। অনেকটা শিশু পার্কের মত।"- জ্বী প্রিয় সাচু ভাই আপনি যেহেতু দেখেননি কাজেই কি করে আপনাকে বোঝাই। তবে অনেকটা পার্কের ট্রেনের মতো হলেও তার চেয়ে বেশি আসন থাকে ও একটু বেশি জোরে চলে ট্রয় ট্রেনগুলো।যদি কলকাতার ট্রাম দেখে থাকেন তাহলে অনেকটা মিল পাবেন।ট্রেন যোগাযোগে ভারত অনেকটাই উন্নত। আমার ওপারে বহু আত্মীয় স্বজন বন্ধু আছে তাদের কাছে শুনেছি ওপারের ট্রেনের দীর্ঘসূত্রতার কথা।


শ্বেতাকে অনেক মিতব্যয়ী মনে হচ্ছে। তবে ভ্রমণে আসলে হিসাব করে চলা মুশকিল। ভ্রমণে কিছু বাড়তি খরচ করলে ভ্রমণটা আরও আনন্দের হয়।"- জ্বী ভাই অনেকটা সেরকমই। তবে বাকি পর্বগুলো পাঠ করলে আশাকরি এসম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে যাবেন।


"ফিল্ম ক্যামেরার যুগের কথা মনে পড়ে গেল। সাধারণত ৩৬ টা ছবি তোলা যেত। কিন্তু ৩৬ টার পরে আরও ৩/৪ টা বাড়তি থাকতো। তখন বুক ধুক ধুক করতো এই শেষের ছবিগুলি আসবে তো।"-এখন এসব নস্টালজিক মনে হয়।কি দিন গেছে সেসময়ে।


বোরোগ সাহেবকে কুকুর সহ সত্যি দেখেছিলেন কি টানেলের শুরুতে? :)"-এমা! আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে একবার অনুরোধ করবো প্লিজ টানেলে একবার আসুন। সশরীরে উপস্থিত হয়ে দেখুন ছায়ামূর্তি দেখা যায় কিনা।


" শ্বেতা ভাবির রোমান্টিক আলাপ এই পর্বে নাই কেন?"- সব পর্বে দিলে যে পানশে মনে হবে।এই যেমন আপনি খোঁজ করছেন।যদি এরকম অনুপস্থিত না থাকতো তাহলে আপনার হৃদয়ে এই অনুপস্থিতিবোধ তৈরি হতো না। :)
যাইহোক সুন্দর কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.