নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আঁধারে আলো (পর্ব-৬)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯


আগেও বলেছি খুবই বড় টানেল বোরগ টানেল। দৈর্ঘ্যে কত বড় ঠিক মনে নেই তবে ট্যানেলটি পার হতে প্রায় চার/পাঁচ মিনিট লেগেছিল। অন্ধকার হলেও টানেলের ভেতরটা ঠিক গাঢ় অন্ধকার নয়।একে একপ্রকার আলো আঁধারি বলা যেতে পারে। এমন অদ্ভুত একটা জগৎ থেকে বের হতেই বাইরে সূর্যের রশ্মি সরাসরি চোখেমুখে পড়ে। হঠাৎ আলোতে চোখ বুজে আসে। সাময়িক অসস্থি কাটিয়ে উঠতেই চলে আসে এক বিষন্নতা।একটু আগে স্টেশনের গায়ে লেখা বোরগ সাহেবের পরিচয় পত্র মনদিয়ে পড়েছিলাম। এক্ষণে সদ্য একশো বছর আগে ফিরে গিয়ে সাহেবকে চাক্ষুষ করার দুর্লভ সৌভাগ্যে একদিকে যেমন বিস্ময়াভিভূত হই ,যেন কোনো ছায়া মূর্তি নয় বাস্তবেই সাহেবকে চাক্ষুষ করার সুযোগ পেয়েছি। অপরদিকে আশপাশের অন্যান্যদের কারো চোখেমুখে কোনো পরিবর্তন না দেখতে পেয়ে বিরক্তও হই বটে। এমন বিয়োগান্ত বিষয়কে নেহাতই ভূত ভূত করে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার জন্য আমার সহযাত্রী সঙ্গী সাথীদের উপরে বেশি ক্ষুন্ন হই। এমনকি শ্বেতার মধ্যেও তার অন্যথা দেখলাম না।সেও অন্যান্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোশগল্পে মশগুল। স্বাভাবিক ভাবেই আমার চিন্তার সঙ্গে ওদের বিস্তর প্রভেদ লক্ষ্য করে কিছুটা নিঃসঙ্গ উপলব্ধি করে জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকি।
খানিক বাদে আচমকা শ্বেতা জিজ্ঞেস করে,
-কি ব্যাপার! তুমি এমন চুপ হয়ে গেলে?
-কেন আমাকে কি সবসময় বকর বকর করতেই হবে? পাল্টা জিজ্ঞেস করি।
- না তেমন নয়। তবে.... বলেও কিছু না বলে থেমে যাওয়ায় আমি আবার জিজ্ঞেস করি,
- কি থামলে কেন? কিছু জিজ্ঞেস করার থাকলে বলতে পারো।
শ্বেতা কিছুটা জড়তা নিয়ে আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করে,
- তুমি কি বোরগের ছায়ামূর্তি দেখে ভয় পেয়েছ?
- না ভয় পাই নি। তবে শুরুতে যে একটু পাইনি তা নয়। ট্রেনের ভিতরে যখন সবাই বলাবলি করছিল তখন একটু ঘাবড়ে গেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে যখন মানুষটিকে দেখলাম, তোমরা যারা ভূত বলে উপহাস করছো তখন অদ্ভুত একটা শ্রদ্ধাশীল অনুভূতি আমার অন্তরে ভরে গেল। আমি এমন অনন্য দায়িত্বশীল জীবিত মানুষের সাক্ষাৎকার অদ্যবধি পাইনি, যেটা আজকে বোরগের মধ্যে পেলাম। নিয়ম-নিষ্ঠার সদা কর্তব্যপরায়ণ এক সৈনিক,যিনি বিরামহীন ভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
আমি জানতাম আমার কথাগুলো শ্বেতার ভালো লাগবে না।লাগেওনি ওর। পরের কথাতেই তার প্রমাণ পাই। খোঁচা দিয়ে জিজ্ঞেস করে,
-সাহেবের মধ্যে তুমি অনন্য দায়িত্বশীলতা খুঁজে পেয়েছো মানলাম। তাই বলে কি তোমাকে কথা বলতেও নিষেধ করে গেছেন যে মুখ এমন প্যাঁচা করে বসে আছো?
আমি সেসময়ে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে গেছিলাম। বুঝতে পারেনি ওর উপহাস।বলে ফেলি,
-গোটা টানেলের মধ্যে অন্ধকার আর তার মধ্যে পথপ্রদর্শক হিসেবে উনি পথচারীদের রাস্তা দেখিয়ে চলেছেন- বিষয়টি কেমন অদ্ভুত লাগে না?
শ্বেতা মূহুর্তে রেগে গিয়ে মুখ দিয়ে বিকট একটা শব্দ করে জানায়,
-অদ্ভুত!তোমার এইসব গাঁজাখুরি গল্পটল্প বন্ধ করে চুপচাপ বসে থাকো।নইলে সকলে শুনলে বিপদ আছে। ভাববে আমি একটা মানসিক রোগীর সঙ্গে হানিমুনে যাচ্ছি।

এক কম্পার্টমেন্ট লোকের সামনে শ্বেতার এমন অপ্রত্যাশিত চন্ডাল আচরণে আমি প্রচন্ড ব্যথা পাই। খুব অপমান বোধ করি। যদিও আমার দিক থেকে প্রতিউত্তরে নিরুত্তর থাকি। যাইহোক ওর এমন অপ্রত্যাশিত রূঢ় আচরণে একটা সুবিধা হয়েছিল। টয় ট্রেনের বাকি রাস্তাটুকুতে আমি চোখের সামনে সারাক্ষণ সাহেব ও সাহেবের কুকুরের ছবি দেখে গেছি। মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করে মনে মনে কল্পনা করে গেছি। অস্বীকার করবো না সেদিন তাদের এমন পুনঃ পুনঃ দেখার সৌভাগ্যে আমি নিজ নিজ পুলকিত হই। অদৃশ্যে ধন্যবাদ দেই সাহেবকে।অথচ আমার নিতান্তই কাঁচুমাচু মুখ দেখে পাশে বসা শ্বেতা বেশ কয়েকবার মান ভাঙানোর চেষ্টা করে গেছে। আমি প্রত্যেকবার সযতনে শ্বেতার সে আবেদন ফিরিয়ে দিয়ে চুপচাপ বসে থেকেছি।

শিমলায় পৌঁছাতে পৌঁছাতেই সেদিন বিকাল হয়ে গেছিল। শিমলা স্টেশনে আমাদের জন্য হোটেল থেকে প্রেরিত চারটি স্করপিও অপেক্ষা করছিল। চারজন ড্রাইভার ও টুর কোম্পানির তিনজন মিলেমিশে আমাদের লাগেজপত্র গাড়ির মাথায় তুলে আমাদের আসন গ্রহণ করতে অনুরোধ করে। আমরা যার যে গাড়িতে লাগেজপত্র উঠেছে সেই গাড়িতে আসন গ্রহণ করি। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গানের তালে তালে স্করপিও ছুটতে থাকে। মিনিট কুড়ি চলার পর অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়।স্করপিও এসে পৌঁছায় নির্দিষ্ট হোটেলের সামনে। অনেকগুলি পরিবার সঙ্গে থাকায় ট্যুর কোম্পানির ম্যানেজার রুমের চাবিগুলি নিয়ে লটারির ব্যবস্থা করলেন। লটারির প্রসঙ্গে নিয়ম-নীতি জানাতে সংক্ষিপ্ত একটি ভাষণও দিলেন। বুঝতে পারি যে যে রুমের চাবি পাবেন তাকে সেই রুম নিতেই হবে। রুম নিয়ে কোনরকম অভিযোগ বা আপত্তি গ্রাহ্য হবে না। শুরু হলো লটারির পর্ব। একদিকে রুমের চাবি গুচ্ছ গচ্ছিত রেখে কাগজে লেখা চিরকুট ভাঁজ করে সকলকে একটি করে চিরকুট তুলে নিতে বলা হলো। বেশিরভাগ পরিবারের বাচ্চারা চিরকুট তুলবে বলে দাবি করে। আমাদের ক্ষেত্রে শ্বেতা আমাকেই যে কোনো একটি চিরকুট তুলে নিতে বলে।সেই মতো ভাগ্যকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেতেই এগিয়ে গিয়ে একটি তুলে নিই। ভাঁজ খুলে দেখি দোতলার চার নম্বর রুম। রুমের অবস্থান জেনে খুশি হই। কারণ গ্রাউন্ড ফ্লোর যেমন আমাদের অপছন্দ ছিল তেমনি তিন তলায় বারংবার উঠানামা করতেও আগ্রহী ছিলাম না। এমতাবস্থায় দোতলায় এই রুমটি পেয়ে শ্বেতাকে নিয়ে রুমের উদ্দেশ্য রওনা দিই।চাবি নিয়ে রুমের সামনে দাঁড়াতেই শ্বেতা আচমকা তার মিষ্টি ঠোঁট দুটো আলতো করে এগিয়ে দেয়। বুঝতে পারি লটারি জেতার সাফল্যের পুরষ্কার এটা। আমিও এক মূহুর্ত বিলম্ব না করে তার ওষ্ঠকে সম্মান দেই। কিন্তু আমাদের এই সুখানুভূতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। চাবি দিয়ে রুমটি খুলতেই অবাক হয়ে যাই। রুমের ঠিক মাঝখানে একটি কলাম রুমটিকে দুটি অংশে ভাগ করে রেখেছে।কলামের দুদিকে দুটি সিঙ্গেল খাট বসানো। খাটের অবস্থা দেখে দুজনেই মেঝেতে বসে পড়লাম। মাথায় আসছে না এখন করণীয় কী। পথচলতি প্রায়ই মানুষকে বলতে শুনেছি হাসবো না কাঁদবো? বাস্তবে সেদিন আমাদের তেমনি অবস্থা। আমি নিশ্চিত এটা কোনো নবদম্পতির হানিমুনের রুম নয় বরং রুমটি হতে পারতো বৃদ্ধাশ্রমের কোন কক্ষ বটে। যাইহোক শ্বেতাকে একসময় বলে ফেলি,
- নিচে গিয়ে ওদের একবার বললে কেমন হয়?
ও মুখে হতাশা রেখেও নিষেধ করে জানায়,
-কি বলবা? আমাদের রুমে একটা খাট নেই এটা?ভেবে দেখেছো কথাটা শুনে সবাই কেমন হাসাহাসি করবে।
ঠিকই তো কথাটা মন্দ নয়। তাহলে এখন উপায়?
এমন সময় দরজার বাইরে নক করার শব্দ পেলাম,
- দাদা একটু বাইরে আসুন.....







মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: এর আগের পর্ব গত বছর দিয়েছিলেন- পরের পর্ব নিশ্চিত সামনের বছর পাব!!!!!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
আশা করি ভাল আছেন। আপনার পোস্টে আমি শুধু উপস্থিতি জানিয়ে এসেছি। অনেকগুলো পোস্ট জমে গেছে। সময় করে কমেন্ট করে আসবো।
গতকাল পোস্টে লিখতে লিখতে ১.৫ জিবি নেট পুরো শেষ। কাজেই পোস্ট দিয়ে আমি আর উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাইনি। প্রথম মন্তব্য মনে আলাদা ভালোলাগা অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। জ্বী ভাইয়া আর লজ্জা দিয়েন না। বুঝতে পারছি পোস্ট দিতে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমিও খুব লজ্জায় পড়ে যাচ্ছি। ঠিকই তো সমস্যা যাই থাক আগামীতে চেষ্টা করবো যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি পোস্ট দেওয়ার।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

সোহানী বলেছেন: এতো দিন পরে পোস্ট দিলেন যে ভুলেই গেছিলাম শ্বেতা টানেল পার হচ্ছিল। যাক টানেল তাহলে শেষ হলো।

বেচারারা............. এরকম লটারি শুনি নাই। যাই হোক শুভ কামনা।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন আপু। ভুল শুধু আপনাদেরই কেন আমিই ভুলে গেছি। তবে আশার যে ভুলের মধ্যে থেকেও ভুল না করে যথারীতি সঠিক পথেই পোস্টে এসেছেন :) এটাই বড় প্রাপ্তি অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। জ্বী আপু টানের শেষ হলো আপাতত আমরা শিমলাতে পৌঁছালাম। কিন্তু হোটেলে উঠেই প্রবল বিপত্তি। রীতিমতো শিমলায় গন্ডগোল বলা যেতেই পারে। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: গল্পের পূর্বের ঘটনা ভুলে গিয়েছিলাম.....তাই আগের পর্বটায় চোখ বুলিয়ে আসতে হলো - এই পর্বের ধারাবাহিকতা বুঝতে....
ভালো হয়েছে। +

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জি ভাইজান ভুলে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আমার পোস্ট দিতে দেরি হলে সবার আগে আপনার কথা মনে পড়ে। এজন্য খুব ভয়ে ভয়ে থাকি। :) কষ্ট করে আগের পর্বে আবার চোখ বুলিয়ে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। ক্ষমাপ্রার্থী এভাবে কষ্ট দেওয়ার জন্যেও।
পোস্টটি ভালো লাগাতে ও লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১২

কামাল১৮ বলেছেন: পশ্চিম বঙ্গের লেখকদের গল্পে হিন্দু হিন্দু ভাব থাকে।আমি আবার কড়া মমিন তো।কয়েক পর্বে লিখলে একটু তাড়াতাড়ি দিলে ভালো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চেষ্টা করি লেখনিকে নিরপেক্ষ রাখতে। তা সত্ত্বেও আপনি লেখার মধ্যে কিছু বিশেষ গন্ধ পেয়েছেন। আমি শিখতে চাই। আপনি যদি সেই সব বিশেষ ক্ষেত্র বা শব্দ বন্ধনীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেন তাহলে বুঝতে সুবিধা হতো।ব্লগে আপনার পরিচয় আমার কাছে পাঠক হিসেবে। সেখানে মমিন বা অমমিন সেটা আমার কোনো সমস্যা নয়। পোস্ট তাড়াতাড়ি দেওয়ার কথা বলেছেন। জ্বী চেষ্টা করবো আগামীতে তারাতাড়ি পোস্ট দেওয়ার।
ভালো থাকবেন সবসময়।

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি অপেক্ষায় ছিলাম আপনার সাথের উনি বোরগ সাহেবকে দেখার পর কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল তা জানতে । তবে আপনি বাইরে এসে কী দেখলেন সেটা মনে হয় আগামী বছর জানব ( তপন ভাইয়ের সাথে গলা মেলালাম ) !

বোরগ বদ্দার মহানুভবতা আপনার উনি বুঝলেন না , কী আর বলব , " নারী বলে কথা ! " ( মাইন্ড খাইয়েন না হেহেহেহেহেহ )

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আমি অপেক্ষায় ছিলাম আপনার সাথের উনি বোরগ সাহেবকে দেখার পর কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল তা জানতে ।"- :) জ্বী পুরোই আশাহত করলাম।আসলে গল্পকার নিজেই যে সেসময়ে আশাহত হয়ে গেছিলেন...
"তবে আপনি বাইরে এসে কী দেখলেন সেটা মনে হয় আগামী বছর জানব ( তপন ভাইয়ের সাথে গলা মেলালাম ) !"- হেহে হে..... আর লজ্জা দিয়েন না। আগামীতে চেষ্টা করবো দ্রুত পোস্ট দেওয়ার।

"বোরগ বদ্দার মহানুভবতা আপনার উনি বুঝলেন না , কী আর বলব , " নারী বলে কথা ! " ( মাইন্ড খাইয়েন না হেহেহেহেহেহ )"-আপনি এই কথাটা হাইট হয়েছে।হেহে হে...
আশাকরব পরবর্তী পর্বেও এভাবে পাশে পাব।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধারাবাহিক লেখা লিখতে হয় প্রতিদিন। এত দিন পরপর দিলে পাঠকের সমস্যা হয়। কারন আগে কি পড়েছি সেটা সঠিক ভাবে মনে আসে না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সঠিক উপলব্ধি। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: রুমের অবস্থা বেগতিক

দেখা যাক তাদের কপালে কী আছে সামনে

পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিবেন নইলে ভুলে যাই

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু ভাষা আন্দোলন উপলক্ষে দেওয়াল পত্রিকা উন্মোচন করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।আজ সকালে পত্রিকা উন্মোচন হয়ে গেছে। বাসায় গিয়েও পত্রিকার কাজ করেছি।যে কারণে ব্লগে ঢু মারতে পারিনি।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অমর একুশের শুভেচ্ছা আপনাকে।

৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০২

মুক্তা নীল বলেছেন:
বোরগ নামক ব্যক্তির সম্পর্কে
আপনি অনেক উচ্চ ধারণা এবং উঁচু স্থানের আসনে শুধু ভারত বর্ষী নয় যারা ওনার সম্পর্কে জানবেন তারাই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন ।
হা হা দাদার পোস্ট বলে কথা শেষের টুক সম্পর্কে কি আর বলবো ...
দাদা পোস্টে আসি আসি করে আর আসা হচ্ছিলো না । বাংলাদেশের আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে আমি একটু অসুস্থ ছিলাম । এখন অবশ্য অনেকটাই ভালো ।
বাবাই কেমন আছে ?
বাবাই এর পড়াশোনা কেমন চলছে , নতুন বই পেয়ে কি খুশি হয়েছে ?
ভালো থাকেন দাদা সব সময় সবাইকে নিয়ে ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অবশেষে প্রিয় ছোট বোনের কমেন্ট পেয়ে আনন্দিত হলাম।
"বোরগ নামক ব্যক্তির সম্পর্কে
আপনি অনেক উচ্চ ধারণা এবং উঁচু স্থানের আসনে শুধু ভারত বর্ষী নয় যারা ওনার সম্পর্কে জানবেন তারাই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন ।"-ঠিক তাই। ওনাকে আমার খুব ভালো লেগেছে।কী অসম্ভব কর্মনিষ্ঠা একজন মানুষ যে একটাকা ফাইনকে মেনে নিতে না পেরে গভীর দুশ্চিন্তায় ভোগেন।যেখান থেকে আর নিজেকে উদ্ধার করতে পারেননি।
"হা হা দাদার পোস্ট বলে কথা শেষের টুক সম্পর্কে কি আর বলবো ..."- :)
"অসুস্থ ছিলাম । এখন অবশ্য অনেকটাই ভালো"-বোনের অসুস্থতার খবরে চিন্তিত হয়ে পড়লাম। তবে আশার যে এখন অনেকটাই সুস্থ।হয়তো এখনো স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। আশাকরবো দ্রুত যেন বোন আরোগ্য লাভ করেন।
সপ্তাহ খানেক আগে বাবাই ও ওর মা দুজনেই মারাত্মক জ্বরে আক্রান্ত হয়।বাবুর জ্বর ১০৪ উঠে যায়। সঙ্গে প্রচন্ড মাথা ব্যথা। আমি ওকে রাতেই ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে আসি। এখন অবশ্য বাবু সম্পূর্ণ সুস্থ।আজ থেকে ওর পরীক্ষা শুরু হয়েছে।চলবে মার্চের ১৪ পর্যন্ত। ও নুতন বই পাবে এপ্রিলে। কাজেই এখনো দেড়মাস বাকি বলা যায়।

সকলকে নিয়ে ভালো থাকার দোয়া প্রার্থনা করার মধ্যে দিয়ে বোনের এমন আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপনে ভীষণ খুশি হয়েছি। পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অমর একুশের শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি একটা মানসিক রোগীর সাথে হানিমুনে যাচ্ছি" - শ্বেতার এমন একটি শ্লেষাত্মক মন্তব্যের পরেও লেখক "কুল কম্পোজার" বজায় রাখতে পেরেছিলেন, এটা অনুভব করে তার প্রতি বেশ সমীহ জাগছে।
শেষের সাসপেন্সটুকু সিরিজের পরের পর্বের জন্য পাঠকের আগ্রহ শুধু জাগ্রতই করবে না, টিকিয়েও রাখবে।

কড়া মমিন এর মন্তব্যের জবাবটা সেরকম হয়েছে।
বরাবরের মত মুক্তা নীল এর মন্তব্যটা ভালো লেগেছে।

৩০ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আমি একটা মানসিক রোগীর সাথে হানিমুনে যাচ্ছি" - শ্বেতার এমন একটি শ্লেষাত্মক মন্তব্যের পরেও লেখক "কুল কম্পোজার" বজায় রাখতে পেরেছিলেন, এটা অনুভব করে তার প্রতি বেশ সমীহ জাগছে।"- অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। হাজার শব্দের অধিক পোস্টে কোটেশন করে বিশেষ শব্দচয়ন করেছেন দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছি।জ্বী চড়াই-উৎরাই জীবনে কখনো কখনো যে আমাদের এরকম সংযমী হতেই হয়।
আর সাসপেন্স না রাখলে আমার মনে হয় কেমন জানি পানসে হয়ে যায়। তবে লেখক হিসেবে যে বিষয়টি ধরে রাখতে চেয়েছি সেটা আপনাদের মতো ঋদ্ধ পাঠকের কাছে উপভোগ্য লেগেছে এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
আর যে কারোর মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক হলে পোস্ট সম্পর্কিত কমেন্ট করতে অনুরোধ করি। গোটা ব্লগে একদুষ্টু লোক ছাড়া বাকি সবাইকে ছাড়া সম্মান দিয়ে কথা বলতে আপ্রাণ চেষ্টা করি।

সবশেষে ছোট বোন মুক্তা নীলের কমেন্টটি ভালো লেগেছে জেনে ওর হয়ে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.