নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক হয়েছে, আর না

পাকাচুল

অনেক হয়েছে, আর না

পাকাচুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার ছোটবেলার শিক্ষকেরা

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

আশির দশকের মাঝামাঝি, আমার তখনও স্কুলে যাওয়ার বয়স হয় নাই, চার বছর মাত্র, প্রথম শিক্ষক হিসাবে যাকে দেখেছি, কিংবা যার কথা মনে আছে, তার নাম কবির মাস্টার। তখন গ্রামে থাকতাম, বড় ভাইবোন সবাই একসাথে, যৌথ পরিবার। গ্রামে গঞ্জে লজিং মাস্টার এর একটা প্রচলন ছিলো। সেই কবির মাস্টারও আমাদের বাড়িতে থাকতেন, বয়স ৩০ এর কাছাকাছি। মূলবাড়ীর উঠোনের অপর প্রান্তে কাচারী ঘরে কবির মাস্টার থাকতেন, আর আমাদের ৪-৫জনকে পড়াতেন।

বলা যেতে পারে আমার প্রথম হাতেখড়ি উনার হাতে। উনি প্রথম আমাকে ''ক'' লিখানোর চেষ্টা করলেন, কিন্তু একটা ছোট বাচ্চাকে কিভাবে পড়াতে হয়, সেটা হয়ত তিনি জানতেন না। আমার এখনো একটা দিনের কথা মনে আছে, উনি তিন হাত লম্বা একটা বেত আমার সামনে নাচিয়ে চলছেন, আর আমাকে ''ক'' লিখতে বলছেন, ভয়ে আমি কান্নাকাটি করছি, চোখ দিয়ে পানি পড়ছে টপটপ করে। শেষ পর্যন্ত বড়চাচা এসে আমাকে উদ্ধার করেছিলেন। না, কবির মাস্টারের আর তেমন কোন স্মৃতি মনে নাই, শুধু মানে আছে, তিনি ডানো গুড়োদুধ এর সাথে চিনি মিশিয়ে খেতেন, পানি ছাড়া। উনার থেকে সেই অভ্যাসটা আমিও রপ্ত করে ফেলেছিলাম।

শহরে এসে আরো একবছর পর স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম, এর মাঝে অ, আ, ক, খ, ১,২,৩ শিখে ফেলেছি বড়ভাই,বোনদের কাছ থেকে।

শহরে এসে প্রথম একজন স্যারের দেখা পেলাম, যার কাছে আমি নিজে পড়তাম না, আমার বড়ভাইরা পড়তো, আমি তারপরও উনার কাছে গিয়ে অ, আ, ১,২ এইসব পড়তাম খেলার ছলে।

ঐ স্যারের এক পরিচিত এরপর পড়াতে আসলো, আমাকে আর আমার বড়বোনকে। উনার নাম ছিলো হেলাল, মহসিন কলেজে পড়তেন। এর বেশি কোন স্মৃতি মনে নাই।

শহরে আসার পর আমার আর আমার বড়বোনের জন্য মহাউদ্যোমে শিক্ষক খোঁজা শুরু হলো, যখন বড়বোন পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি পরীক্ষা দিবে। এই কাজে মহা উদ্যমী হলো, আমার বড় দুইভাই। কয়েক মাস পর পর নতুন নতুন শিক্ষকের দেখা পেতাম।

শহরে এসে ভর্তি হয়েছিলাম গতানুগতিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সরকারীভাবে যে ৩-৪টা বই দিতো, সেগুলোই আমার পাঠ্য। কিন্ডারগার্টেনের মতো ১০-১৫টা বই ছিলো না। তখন আমি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি, এক শিক্ষক আমাকে খালি ইংরেজী বানান পড়া নিতেন। এবং বানান ভুল করলে বেত দিয়ে হাতের তালুতে মারতেন। তাও আবার কঠিন কঠিন বানান। যেমন umbrella কিংবা elephant এর মতো বানান। প্রায় সময়ই আমার বানান ভুল করতাম, এবং যথারীতি বেতের কারনে হাতের তালু লাল হয়ে যেত। কাউকেই কিছু বলতে পারতাম না, শুধু আল্লাহ আল্লাহ করতাম, এই স্যার কখন চলে যাবে, নতুন স্যার কখন আসবেন। তবে এই স্যারের আর একটা কথা এখনো মনে আছে। তিনি সময়ের ব্যাপারে ছিলেন খুব সচেতন। কখনো যদি বলতেন, আগামীকাল বিকাল পাঁচটায় আসবেন, তবে তিনি ঠিক পাঁচটায় আসতেন, হয়ত আরো কিছুক্ষণ আগে এসে বাসার নিচে অপেক্ষা করতেন। খুব অবাক হতাম ব্যাপারটায়।

তারপর একজন স্যার আসলেন, তার নাম পাশা স্যার।তিনি আমাদের বাসায় লজিং থাকতেন। প্রায় দেড় বছর মতো ছিলেন আমাদের বাসায়। কবিতা লিখতেন, এরশাদ পতনের সময় বাম রাজনীতি করতেন। উনার সবচেয়ে মজার কাহিনী ছিলো, উনি একটা খাতা আর কলম সবসময় বালিশের নীচে রাখতেন। কখনো যদি কবিতা মাথায় আসে, সেটা লিখে ফেলতেন। এমনও হয়েছে, রাতে বাতি বন্ধ, উনার মাথায় একটা কবিতা এসেছে, উনি পুরো কবিতা না লিখতে পারলেও ছন্দটা খাতায় অন্ধকারের মাঝেই লিখে ফেলতান। আমাদের সাথে প্রায় সময় এসে নানা গল্প করতেন। একসাথে বসে টিভিতে অয়োময় আর ম্যাগাইভার দেখতান। এই স্যারকে নিয়ে আগের একটা পোস্টে লিখেছিলাম।

এর মাঝে আর একজন স্যারের কথা মনে আছে, যিনি একটা ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন, বয়স্ক মানুষ। ঠান্ডা মাথার। বড়বোনের বুককিপিং ছিলো বলে উনি বড়বোনকে পড়াতে আসতেন, আমাকেও তাই পড়াতেন।
উনাকে নিয়ে তেমন কিছু মনে নাই, শুধু মনে আছে, উনি ২৫ কে বলতেন পুঁইশ।

পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় এক ম্যাডাম পড়াতে আসতেন, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিস্ট্রিতে পড়তেন তখন। ভেবেছিলাম, স্যাররা মারাত্মক কঠিন হয়, ম্যাডামরা হয়ত কোমলমতি হবে। আমি হয়ত শিক্ষক জনিতবিপদ থেকে মুক্তি পাচ্ছি। কিন্তু বিধিবাম, তিনি মারাত্মক রাগী। ছোটবেলাতে কিছু ব্যাটারী, টর্চলাইট, ইলেকট্রিক কেবল, মটর এইগুলো ছিলো আমার নিত্য সঙ্গী, উনি কয়েকদিনের মাঝেই আমার সব সম্পত্তি সিজ করলেন। বাসায় হয়ত মেহমান এসেছে, আমার পড়তে অসুবিধা হচ্ছে, তখন ঐ ম্যাডাম আমার সব বইখাতা নিয়ে আমাকে উনার বাসায় নিয়ে যেতেন, কাছেই ছিলো উনার বাসা। রাগে দুঃখে অপমানে কান্না চলে আসতো। বাসায় সবাই মজা করছে, আর আমাকে পড়তে হচ্ছে, তাও আবার ম্যাডামের বাসায় গিয়ে। উনার একটা মজার স্মৃতি মনে আছে এখনো। উনি তেলাপোকা মারাত্মক ভয় পেতেন। একটার একটা উড়ন্ত তেলাপোকা উনার পায়ের নিচ দিয়ে ঢুকে পড়েছিলো, আর উনি আমাকে পড়ানো ফেলে সারাঘর জুড়ে নাচানাচি করছিলেন, শেষে ঐ তেলাপোকা উনের ঘাড়ের পিছন দিয়ে বের হয়েছিলো। খুব মজা পেয়েছিলাম সেদিন। মনে হচ্ছিলো, ম্যাডামের একটা জব্বর শাস্তি হয়েছে, আমার ব্যাটারী সিজ করার জন্য।

ষষ্ঠ শ্রেণীতে হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার পর স্কুলের এক স্যারের কাছে পড়তাম সকাল বেলা স্কুলে শুরুর আগে। আট থেকে দশটা পর্যন্ত পড়াতেন ক্লাসরুমেই। একসাথে বিভিন্ন ক্লাসের ছেলেরা পড়তো।

সপ্তম শ্রেনীতে মেজোভাই তার এক বন্ধুকে নিয়ে আসলেন আমার শিক্ষক হিসাবে। উনি পড়াতে আসতেন সকালে। ১০টা থেকে স্কুল, আর উনি সকাল সাতটা বাজে বাসায় আসতেন। উনার বাসা থেকে আমার বাসা যথেষ্ট দূরে ছিলো (টাইগারপাস-আলকরণ), তারপরও শীতের সকালে উনি কিভাবে সাতটার সময় আসতেন, সেটা দেখে অবাক হতাম। এই স্যারও খুব ভালো ছিলো, তবে একটু রাগী ছিলো। এই স্যারের কাছে পডলাম প্রায় ৪-৫মাস। এরপর বড় ভাই আবার স্কুলের এক শিক্ষক নিয়ে আসলেন বাসায়।


বাকী অংশ পরের পর্বে।






স্মৃতিশক্তি দিন দিন লোপ পাচ্ছে। আমার এই জীবনে অনেক গুরুর থেকে শিক্ষা পেয়েছি, সবার নাম যদি মনে রাখতে না পারি, সেটা অনেক বড় অপরাধ মনে হচ্ছে। অনেকের নামই এখন মনে নাই। লজ্জ্বা লাগছে আমার।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গুড়োদুধ এর সাথে চিনি মিশিয়ে খাইতে কিন্তু মজাই লাগে :)


আপনার লেখা পড়ে নিজে'র স্যারদের কথা মনে পড়ে গেল, তাদের চেহারা মনে করার টেরাই করলাম!

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩০

পাকাচুল বলেছেন: খাবারটা খারাপ না, ছোটবাচ্চাদের প্রিয় খাবার।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৮

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: বাহ ভাই, ভালো লাগলো আপনার শিক্ষকদের কাহিনী পড়ে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪৪

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০০

খেয়া ঘাট বলেছেন: মহসিন কলেজে পড়তেন। --চট্টগ্রামের মহসিন কলেজ?

ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০১

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ খেয়া ঘাট।

হ্যাঁ, আমি চট্টগ্রামের কথাই বলছি। চট্টগ্রামের মহসিন কলেজ।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে নিজে'র স্যারদের কথা মনে পড়ে গেল,
তাদের নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে ।
ভাল লাগল পাকাচুল ভাই ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ০০৭

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:২৪

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
স্মৃতিচারণে ভাললাগা। :)

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ স্নিগ্ধ শোভন

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২০

বটের ফল বলেছেন: ভালো লাগলো।

আমার প্রথম শিক্ষকের নাম ছিল তপন। তপন স্যারকে আমি খুব ভয় পেতাম। স্যার ছিলেন ভিষন রাগী। পড়ালেখা জিনিষটা আমার কাছে ছিল ভয়ঙ্করতম একটা জিনিস। আমি স্যারের ভয়ে প্রায়ই খাটের নিচে লুকিয়ে থাকতাম। আর এসে কিভাবে জানি টের পেয়ে আমার কান ধরে বের করে নিয়ে আসতেন। :P :(( ;)

একগুচ্ছ প্লাস।
+++++++++++++++++

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ বটের ফল।

পড়ালেখা আমারও জমের মতো মনে হতো।

আমার জীবনে পাওয়া সবচেয়ে ভয়ংকর স্যারের কথা, সেই স্যারের ভয়ংকর সব শাস্তির কথা এখনো লিখি নাই, পরের পর্বে লিখবো আশা করছি।

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

আহ্‌মেদ সামাদ বলেছেন: সুলেখা ।
মর্মাহত হয়েছি, আপনার বাসায় বাসার স্যার এর প্রবেশ ঘটে নাই ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ সামাদ, বাসার স্যার থেকে অনেক বড় জাদরেল স্যার বাসায় পড়াতে এসেছিলো, সেটা পরের পর্বে লিখবো।

বাসার স্যারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন কি?

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমার এখন পড়া বাদে আমাকে পড়ানোর মানুষ গুলোর কথা খুব মনে পড়ে।
অ আ ক খ খুব ছোট বেলাতেই শিখেছিলাম আমার এক ব্যবসায়িক ভাই এর কাছে।
A B C D শিখেছি আমার বন্ধু নেপালের কাছে।
২×৩=৬ নামতা আমার মায়ের কাছে।
হাতের লিখা শিখেছি আমার মায়ের কতিপয় বান্ধবীর কাছে। উনারা সীলেটের উপর চক দিয়ে লিখে দিতেন। আর বলতেন এর উপর দিয়ে এখন লিখো। তারপর ক্লাশ সেভেন পর্যন্ত উনাদের কাছেই পড়েছি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০০

পাকাচুল বলেছেন: ব্যবসায়িক ভাই? ছোট বেলাতে কিসের ব্যবসা করতেন?

ছোটবেলাতে প্রথম শ্রেণী পর্যন্ত আমিও চক শ্লেটে লিখেছি। এখন তো শ্লেটে কেউ আর লিখে না, সবাই পেনসিল নইলে বলপেন ব্যবহার করে।


ধন্যবাদ রাতুল শাহ।

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

অথৈ সাগর বলেছেন: আপনি অনেক ভাগ্যবান । অনেক টিচার পেয়েছেন। সেই অর্থে আমি হতভাগা। যাই হক আপনার লেখার কারনে পুরান কিছু স্মৃতি
মনে পড়ল।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

পাকাচুল বলেছেন: আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষক পেয়েছিলাম, সবার কথা একসাথে লিখলে অনেক বড় হয়ে যাবে, পরের পর্বে লিখার চেষ্টা করবো।

ধন্যবাদ অথৈ সাগর।

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বেশ ভালৈ লাগসে পড়ে।
স্যারের বাসা আলকরণে ছিল নাকি আপনার বাসা??

আমি আলকরণ থাকি ||

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

পাকাচুল বলেছেন: আমরা আলকরণে ছিলাম ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত, প্রায় ১০ বছর।

পুরো ছোটবেলাটা আলকরণ, ফিরিঙ্গীবাজার, সদরঘাট এলাকাতে ঘুরাঘুরি করেই কেটেছে।

বছর দুয়েক আগে একবার আলকরণ এলাকা দেখেতে গিয়েছিলাম, জাস্ট পুরনো স্মৃতি মনে করার জন্য, অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছে সবকিছু।

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

নস্টালজিক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ছেলেবেলার শিক্ষকদের কথা মনে পড়লো!

ভালো লিখসেন!


শুভেচ্ছা নিরন্তর, পাকাচুল!

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৯

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ। মাঝে মাঝে পুরোনো স্মৃতিচারণ করতে আমার ভালোই লাগে। বুড়ো হয়ে যাচ্ছি, এটাই তার প্রমাণ।

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্মৃতিকাতরতায় পড়লাম। ভাল লেগেছে ।পাকাচুল ভাললাগা দিয়ে গেলামআপনার স্মৃতি মন্থনে।ম্যাক গাইভার দেখলেএখনআর কতটুকু বৃদ্ধ হয়েছেন।? নাম রেখেছে পাকাচুল। নিদারুণ ভুল। ;)

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৭

পাকাচুল বলেছেন: পাকাচুল নাম হলেই কি মানুষ বুড়ো হয়ে যায়? এখনো যৌবন টগবগ করছে আমার।

ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো হয়েছে। সুন্দর সুপাঠ্য লেখা, ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩০

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা।

আপনার জন্যও শুভকামনা।

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৯

নীরব দর্শক বলেছেন: ভাল সৃতি শক্তি। আমার টিচারদের কথা খুব কম মনে আছে।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩২

পাকাচুল বলেছেন: স্কুলে থাকাকালীন ডায়েরী লিখতাম, পরে সেটা আর হয়ে উঠে নাই। অনেক কিছুই আর মনে থাকে না। এখন তাই ডায়েরী লিখার মতো কিছু পুরোনো ঘটনা লিখে রাখার চেষ্টা করছি।

ধন্যবাদ।

১৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

বোকামন বলেছেন:
৮ম ভালোলাগা। খুব ভালো লাগলো লেখাটি পড়তে :-)
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় ..........।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২০

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ বোকামন, শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ। আমার শিক্ষকদের কথাও মনে পড়ে গেলো।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪২

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়

১৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫২

আরজু পনি বলেছেন:

কবির স্যারের দুধ, চিনি পানি ছাড়া খা্ওয়ার অভ্যাসটা আমাদের কয়েকজনেরও ছিল ।

আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আসলেই এরকম একটা লেখা লিখে রাখা দরকার। বয়সের বাড়ার সাথে সাথে অনেকছিুই স্মৃতি থেকে সরে যাবে...এভাবে লিখে রাখলে তা থেকে যাবে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

পাকাচুল বলেছেন: মানুষের জীবন খুবই স্বল্পস্থায়ী, কিন্তু খুবই ঘটনা বহুল, তাই আমরা খুব দ্রুতই অনেক কিছু ভুলে যাই। তাই হালকা পাতলা পুরোনো স্মৃতি লিখে রাখার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে।

ধন্যবাদ আরজুপনি।

১৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো স্মৃতিকথা....

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ ফারজুল আরেফিন

১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: আমার জীবনে শিক্ষকদের অবদান অনেক বেশি। কাকে রেখে কার কথা বলবো!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

পাকাচুল বলেছেন: সবারই কম বেশি অবদান নিশ্চয় আছে। কারো কথা বাদ দিবেন কেমনে?

২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: এইরে! কি লজ্জা। আসলেইতো অনেকের নাম মনে পরছেনা। পুরো লেখাপড়া জীবনে তিনবার বেতের মার খেয়েছিলাম। ২য় বার খেয়েছিলাম ক্লাস সিক্সে। স্যারের নাম ভুলে গেছি :|

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

পাকাচুল বলেছেন: নিশ্চয় অনেক গুডবয় ছিলেন, পুরো ছাত্রজীবনে মাত্র তিনবার ?

মাইরের মধ্যে যে ভাইটামিন আছে, সেটা থেকে আপনি বঞ্চিতই রয়ে গেলেন মনে হয়।

২১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৩

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: পড়ালেখায় মোটামুটি ভালো ছিলাম। এসএসসি পর্যন্ত মাএর আঁচলের তলে ছিলাম বলে গুডবয় হওয়া ছাড়া উপায় ছিলনা। কড়া শাসনে রাখতেন মা। আমার খুব দ্রুত হাটার অভ্যাস। এই অভ্যাসটাও হয়েছে ক্লাস নাইনে থাকতে। তখন স্কুল মাঠ থেকে খেলা শেষে বাড়ি আসতে হত দ্রুত। স্কুল প্রায় ১ কিলো দূরে। এই দূরত্ব আসতে হবে মা'র নামাজ শেষ হবার আগে। তাই জোর কদমে হাটা!!

যতটুকু মনে পরে ৩বার মার খেয়েছি। ক্লাস ফাইভে পরীক্ষার খাতায় does বানান ভুলে dose লিখেছিলাম। হেডস্যার, সবুর উদ্দিন যিনি আমার নামের শেষে উদ্দিন লাগিয়ে দিয়েছিলেন ফাইভে, এমন মার মারলেন যে বাসায় গিয়ে আর বসতে পারিনা :|

ক্লাস সিক্সে মার খেলাম ট্রান্সলেশানে ভুলের জন্য। ধরুন পরীক্ষায় এসেছিলঃ

ক. আমি ভাত খাই।

আমি উত্তরপত্রে লিখলামঃ

A. I eat rice.

এই "ক"-কে কেন "A" বানালাম সেই জন্য তুমুল মার মারলেন স্যার।

এরপর মার খেয়েছি ক্লাস এইটে। একটা ম্যাথ ক্লাসের কেউ পারলোনা। স্যার তিন গ্রুপ করলেন- এ, বি, সি, রেজাল্টের মানে ক্লাস রোলের উপর ভিত্তি করে। এ গ্রুপে ছিলাম আমি আর একটা মেয়ে, নাম লাইলী। মেয়ে বলে সে মার খেলোনা আমিই খেলাম। বি গ্রুপের ছেলেরা আমার চেয়ে একটু কম খেল আর সি গ্রুপের ছেলেরা আরেকটু কম। মেয়েরা সব মাফ!!

ও লাইলীকে ভালোই লাগতো :!> কিন্তু কখনো পাত্তা দেয়নি। এখন কোথায় কেমন আছে জানিনা। শুনেছি বিয়ে হয়েছে। হয়ত বাচ্চাও এখন স্কুলে যায় :(( :((

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৬

পাকাচুল বলেছেন: এতো সামান্য ভুলের জন্য আপনি যে মাইর খেলেন, সেখানে আমার মতো ভুলের পরিমাণ হলে তো আপনার যাবতজীবন কারাদন্ড হয়ে যেত।


A. I eat rice.

এই "ক"-কে কেন "A" বানালাম সেই জন্য তুমুল মার মারলেন স্যার।


এইটা খুবই ফানি মনে হচ্ছে, আসলে কিছু কিছু শিক্ষক কোন কারণ ছাড়াই মারে, আপনার কপালে মনে হয় এমন শিক্ষক পড়েছিলো।


আমার এই পোস্টের সুবাধে আপনার বাল্যপ্রেমের কথা জানা গেল। লাইলী কি আপনার জীবনে প্রথম ভালোলাগা ছিলো?

২২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৩

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: না আসলে স্যার এমনিতে খুব ভালো মানুষ ছিলেন। হয়ত কোন কারণে মেজাজ সপ্তমে ছিল আর আমারও কপাল খারাপ :(



বাল্যপ্রেম :!>

ভালোলাগা অর্থে ভালোলাগা বোঝালে বিষয়টা বোঝানো বেশ শক্ত হয়ে যাবে। আমি তখন ক্লাস সেভেন এ পড়ি। আমি ছোটবেলায় মোটামুটি ভালো ছাত্র ছিলাম, এর কারণ যতটুকু না আমার মেধা তারচেয়ে বেশি আমার সাথে যারা পড়তো তারা আমার চেয়ে খারাপ ছাত্র ছিল। বলতে পারেন "বাঘ নেই বনে শেয়ালের রাজত্ব!"

যা বলছিলাম আমি তখন ক্লাস সেভেন এ পড়ি। ২য় সাময়িক পরীক্ষার আগে আগে আমাদের ক্লাসে এসে ভর্তি হলো একটা মেয়ে। আমার রুটিন ছিল একদম রুটিনের মত স্ট্রিক্ট। ঠিক সময়ে স্কুলে যাওয়া, আগেও নয় পরেও নয়। এসেম্ব্লিতে এটেন্ড করে ক্লাসে ফার্স্ট বেন্চে একদম কোনায় বসা। মাঝে আধঘন্টার একটা টিফিন পিরিয়ড থাকতো, আমি এই সময়টা গল্পের বই পড়ে কাটিয়ে দিতাম। আঁতলামী করার জন্য কাটাতাম এমন নয়। আমি কোন খেলা পারতামনা, তাই মাঠে গিয়ে খেলবো সেই সাধ্য ছিলনা। টিফিনের জন্য মা তেমন একটা টাকা পয়সাও দিতে পারতেন না সংসারে টানাটানি ছিল। তাই ক্লাসের অন্যদের সাথে বসে টিফিন করবো তাও হবার নয়। গল্পের বই-ই ছিল আমার কাছের বন্ধু :)

তো ক্লাসে আমি বাংলা সিনেমার নায়কের মত ফার্স্ট বয় ছিলাম। কিন্তু ক্লাস সেভেন থেকে এইটে উঠতে গিয়ে আমি একটা বড়সর ধাক্কাই খেলাম। প্রতিবার রেজাল্ট ঘোষণার সময় আমিই ফার্স্ট হই। এবার শুনলাম ২য় হয়েছি আমি!! আরে বাহ! তাহলে একই সাথে ১ম আর ২য় হবো নাকি!!! না, প্রথম হয়েছে "লাইলী"। নাম্বারের ব্যবধান ১ :(( আমাদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার রেজাল্ট ফাইনালে যোগ হতোনা, ২য় সাময়িকের ৪০% আর ফাইনালের ৬০%। কিভাবে কি হয়ে গেল! ঐ প্রথম লাইলীকে চেনা। কিন্তু চেনাজানাটা কখনোই হয়নি। হবার সুযোগ ছিলনা।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

পাকাচুল বলেছেন: হা হা হা, লাইলীর কাছে এইভাবে ধরা খেলেন? ফাস্ট বয়ের আঁতে লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। হঠাৎ করে বাইরের স্কুলের কেউ (মেয়ে হলে রাগটা তো বেশি হবেই) এসে ফাস্ট হলে মেজাজ খারাপ তো হবেই।

নাইন আর টেন এ লাইলীর কি হলো? যুগ্ম প্রথম?

আমার ব্যাপারটা উল্টো, কখনো ভালো ছাত্র ছিলাম না। বয়েজ স্কুলে পড়তাম। মেয়েদের সাথে একসাথে ক্লাস করাটা স্বপ্নের মতো ছিলো।

সিক্স থেকে সেভেনে উঠার সময় আমি সপ্তম স্হান দখল করি। কিন্তু পরে জানা গেল, আমার নাম্বার শীটে যোগ ভুল ছিলো, কিংবা অন্য একজনের নাম্বার কম যোগ করা হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত আমার স্হান হলো ১১তম।

নাইন থেকে টেন এ ফোর্থ হলাম, রোল হলো চার। পুরো স্কুল লাইফে কখনো রোল ১ হয় নাই, তবে দশম শ্রেনীতে উঠে দুইটা সাময়িক আর নির্বাচনী পরীক্ষাতে প্রথম হয়েছিলাম, কিন্তু তখন তো আর রোল ১ হওয়ার উপায় নাই। সেই আক্ষেপটা রয়েই গেল। ফাস্টবয় হতে পারলাম না কখনো।

২৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: হা হা! ছোটবেলার ক্লাসের ফার্স্ট বয় ঝরে পরে অনেক সময়ই। আমাদের সাথে একটা ছেলে ছিল নাম বলছিনা। ও ১০এর ভেতর থাকতোনা কখনো। অংকে খারাপ ছিল। এইচএসসি তে ভর্তি হলো এলাকার একটা কলেজেই। ওখান থেকে পাস করে সিলেট এ কম্পিউটার সায়েন্স এ চান্স পেল, পড়তে গেল কিন্তু কন্টিনিউ করলোনা। পরের বছর বুয়েটে ভর্তি হলো এবং এখন বুয়েটের টিচার। বর্তমানে পিএইচডি করছে দেশের বাইরে।

জীবনটাকে সাঁজাতে এইচএসসির ২টো বছর খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে ছোট ডোবা থেকে কলেজে এসে হাবুডুবু খেয়েছি কারণ ওটা ছিল বিশাল একটা সমুদ্র। কুলিয়ে উঠতে বেগ পেতে হয়েছে। যাক সে ভিন্ন প্রসংগ!

লাইলী সব সময়ই আমার পিঠের কাছেই ছিল এরপর থেকে। না, যুগ্মভাবে কিছুই করা হয়নি :|

আমার স্কুল জীবনে ছেলে মেয়ে একসাথেই ছিলাম। যৌথশিক্ষা শুধু বাঁধাগ্রস্ত হলো কলেজে এসে।

স্কুল জীবনে ১ না হলেও পরে নিশ্চই পুষিয়ে নিয়েছেন :)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

পাকাচুল বলেছেন: পুষিয়ে নেওয়াটা সম্পূর্ণ আপেক্ষিক।

আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, সফলতা থেকেও শান্তির দরকার বেশি জীবনে। বুয়েটের টিচার কিংবা পিএইচডি কখনো কি পুষিয়ে নেওয়ার মাপকাঠিতে মাপা যাবে?

কো-এডুকেশনের স্বাদ পেয়েছি প্রথম কলেজে এসে। ছেলে মেয়েদের রেশিও ভালো ছিলো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে হতাশ হয়েছি। আমাদের ক্লাসে রেশিওটা ছিলো ১৭:১

২৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভাল লাগল । নিজের শিক্ষকদের কথাও মনে পড়ল । শিক্ষক হিসাবে হয়ত তাদের সবাই মানসম্মত ছিলেন না, কিন্তু মানুষ হিসাবে তারা ছিলেন অসাধারণ । মন-মননের বিকাশে এই শিক্ষকদের ছিল বিশাল ভূমিকা । শ্রদ্ধা ভরে উনাদের স্মরণ করি ।

লেখায় ভালোলাগা ++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

পাকাচুল বলেছেন: শিক্ষকের ঋণ তো কোনভাবে শোধ করা যায় না, তাই সামান্য স্মৃতিচারণ করছি তাদের স্মরণে। প্রত্যেক মানুষের ভালো মন্দ আছে, হাতে পাঁচ আঙ্গুল তো এক না। ভেদাভেদ থাকবেই।

ধন্যবাদ মামুন ভাই।

২৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: পুষিয়ে নেয়া অবশ্যই আপেক্ষিক! আর "শান্তি" বিষয়টাও গোলমেলে। ফার্মাসিউটিকাল মার্কেটিং এ দেড় বছর যে পরিমান প্রেশার নিয়ে কাজ করেছি তার সাথে এখনকার জবের তুলনা করলে অনেক শান্তিতে আছি। কিন্তু আসলে কি তাই? হিসাব মেলাতে বসাটাই ভুল।

সফলতা কখনো কখনো খুব বেশি নিঃসংগ করে দেয় মানুষকে।

১৭:১ মন্দ কি? তা ১৭ জন মেয়ের সাথে ক্লাস করতে অস্বস্তি হতোনা :-&

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

পাকাচুল বলেছেন: আমারও প্রথম চাকুরী মার্কেটিং এ ছিলো। আসলে চাকুরীর বাজারে এই চাকুরিটাই সবচেয়ে সহজে পাওয়া যায়, তাই যেটাই পেয়েছি, সেটাই তুলে নিয়েছি। আপনার মতো আমিও দেড় বছর মার্কেটিং এ ছিলাম।

টক-ঝাল-মিষ্টি নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। আসলে ঐ চাকুরীটা না করলে হয়ত চাকুরীর মজা/ তুলনা/ বসিং/ খবরদারী/টাইম টেবিল ব্যাপারগুলো বুঝা হতো না।

এখন খুব আরামে আছি কিনা জানি না, তবে সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য মোবাইলে এলার্ম দেওয়া লাগে না, ঢাকা শহরে এটাও বা কম কিসে?

এখন যেভাবে আছি, এর জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। তবে এভাবে কতদিন ভালো থাকা যাবে, সেটা বুঝতে পারছি না।


রেশিও'র হিসাবটা উল্ঠা হবে, ছেলেঃমেয়ে = ১৭:১

২৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

কাউন্সেলর বলেছেন:

কোন কোন শিক্ষক জীবনে আশীর্বাদ স্বরূপ ।

+++++++++++++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

পাকাচুল বলেছেন: কারো জীবন পরিবর্তনের জন্য ছোটবেলায় একজন আদর্শ শিক্ষকই যথেষ্ট।

২৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৫

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: ভালো শিক্ষক জীবনে আশীর্বাদ স্বরূপ, আমার জীবনে অনেক অনেক শিক্ষকের ভুমিকা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

পাকাচুল বলেছেন: শিক্ষকদের ঋণ শোধ করার কোন উপায় আছে কি?

২৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

শ।মসীর বলেছেন: পরের পর্ব কই....

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

পাকাচুল বলেছেন: সময় সুযোগ হচ্ছে না।

ধন্যবাদ

২৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

আরজু পনি বলেছেন:

অনেকদিনতো হয়ে গেল ...নতুন পোস্ট আসছে না যে !?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১০

পাকাচুল বলেছেন: অফিস ও পারিবারিক ব্যস্ততা :( :(

৩০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঈদ মোবারক । :)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

পাকাচুল বলেছেন: আপনাকেও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.