নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আঁধার দুনিয়ার ছবি! ..... ছন্নছাড়ার পেন্সিল......সবার অন্ধকার থাকে না, অথবা অন্ধকার প্রিয় নয়। তাই সবাই কবিতা পড়তে পারে না, কবিতা পড়ার জন্য চোখের ভিতর সমুদ্র এবং বুকের ভিতর আদিগন্ত ধূ ধূ প্রান্তর লাগে। ..... কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য *************************http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/2
মেঘহীন আকাশ কেনো জানি অনিন্দিতার ভালো লাগে না। অনিন্দিতার বড্ড বেশী মেঘসংসারি হবার ইচ্ছে।
মধ্যরাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে অনিন্দিতা খুঁজে পায় তার মেঘসংসার। যে সংসারে সাদা মেঘ হলো তার দেয়াল আর আকাশ হল তার ছাদ। মধ্যরাতে মেঘসংসারে বিশ্রাম নিতে নিতে অনিন্দিতা বাতাসের সুরে সুর মিলিয়ে গুনগুন গেয়ে উঠে –
মন ভালো নেই
জানি না কিছুতেই
তবু বুঝে নেবে
কে আছে?
‘কে আছে’ খুঁজতে যেয়ে দেখে, মেঘসংসারের কোথাও আর কেউ নেই।
সব প্রিয় মেঘ বাতাসের সাথে ঠিকানা পরিবর্তন করেছে, শুধু অনিন্দিতা নামের মেঘটুকু মেঘসংসারি হয়ে এক কোণে পড়ে আছে। সময়কে ধরে রাখতে যেয়ে সে বুঝেছে, সময়কে ধরে রাখা যায় না, শুধু মনে রাখতে হয়। বাতাসের সাথে ভেসে যেতে যেতে সে জেনেছে, বুঝেছে নিজস্ব সত্তার সাথে যুদ্ধ করে একবারো জিততে পারেনি।
তবু জিতবার আশায় অনিন্দিতা শুধু ভেসে যায়। ভেসে ভেসে ক্লান্ত হয়।
ক্লান্ত বিষন্ন মেঘসংসারি হঠাৎ করে বুঝে নিতে পারে তার মেঘের সংসারে ঝড়ো বাতাস বইছে।
মেঘসংসারি অনুভবে বুঝে নিতে পারে তার ফ্যাকাসে শূন্য কপালে ঝড়ো বাতাস আবির ছড়িয়েছে। ঝড়োবাতাস তার দমকা শীতল হাওয়ায় মেঘসংসারিকে তেপান্তরের উষ্ণ বুকে ঠাঁই দিয়ে চলে গেছে। মেঘসংসারি তেপান্তরের উষ্ণতা নিয়ে অনিন্দিতাকে অনিন্দ্য করেছে।
তেপান্তরের চোখের ভেতর কৃষ্ণচূড়ার কালচে লাল
সেখানে নষ্টালজিক কবিতা। স্মৃতির ঘোর।
তেপান্তরের বিভ্রান্তিতে অনিন্দিতা বেড়ে উঠে পরিপূর্ণ নারী ও প্রেমিকা হয়ে। রোদের শহরে হেঁটে হেঁটে বিভ্রান্ত তেপান্তর প্রেমিকা অনিন্দিতার জন্যে অন্ধকারের কবিতা লেখে। যে কবিতায় ‘বুনোহাঁস উড়ে গেলে জল টুপটুপ অন্ধকার’, সে অন্ধকারে জেগে উঠে কেউ দেখে হাতের ক্যানভাসে ভুল করে রয়ে গেছে কারো চুলের সুবাস আর পায়ের পাতায় বেখেয়ালি স্পর্শের চিহ্ন।
অথবা
বুনোফুল তুই আমার সন্ধ্যায় সুগন্ধি
মাতাল হয়ে যাই তোর দেহের ভাঁজে ভাঁজে
স্পর্শে তুই সজীব কামিনী
ছড়িয়ে আছিস অন্তরাত্মার মাঝে।
তেপান্তর বোঝে না তাকে ভুলে যাবার ভুল হয় না অনিন্দিতার। ভুল পেরোলেই রোজ সড়কবাতি জ্বলে উঠে। অনিন্দিতা খুঁজে ফেরে তেপান্তরের নিঃশ্বাস। তেপান্তর তাকে নিরাবরণ করে, উপভোগ করে, ক্লান্ত করে। তারপর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। অনিন্দিতা জেগে থাকে দোলাচলে। রাতের বয়স বেড়ে বেড়ে বুড়ো। সে জেগে উঠে ঘুমের স্টেশানে। যে স্টেশান এসে মিশেছে তেপান্তরে। যেখানে উঁকি মেরে অনিন্দিতা খুঁজে পায় দীঘল শূন্যতা।
গতকালের সাথে আজকের হিসেব মেলে না। আজকের সাথে আগামীকালের হিসেব মেলাতে পারে না সে। বুকের ভেতর জাফরান নিয়ে পড়ে থাকে অনিন্দিতা তার মেঘসংসারে।
আবারো মেঘসংসারে কেউ স্পর্শ ফেলে পদ্মগোলাপ ফুটিয়েছে। পদ্মগোলাপে পদ্মভ্রমর খেলা করে। সে ভ্রমরের স্পর্শ নিয়ে অনিন্দিতা বাঁচতে চায়, মিশে যেতে চায় তেপান্তরে। আর তেপান্তর খুঁজে ফেরে হারানো সন্ধ্যা। ভুল জেনেও ভুল করে সে।
আজো অনিন্দিতার মেঘসংসার বিষন্ন। তবু অনিন্দিতা পরিপূর্ণ। তার মেঘসংসার আজ তেপান্তরে মিশেছে। ছোট্ট এক ইমুপাখি বাসা বেঁধেছে তেপান্তরের বুকে।
কাঁদালে তুমি মোরে ভালোবাসারি ঘায়ে
নিবিড় বেদনাতে পুলক লাগে গায়ে...
চলিতে পথে পথে
বাজুক ব্যথা পায়ে
পরাণে বাজে বাঁশি নয়নে বহে ধারা
দুখের মাধুরীতে করিলো দিশাহারা
সকলি নিবে কেড়ে
দেবে না তবু ছেড়ে
মন সরে না যেতে
ফেলিলে একি দায়ে!
কাঁদালে তুমি মোরে...
=======================================
[লেখিকার ডিসক্লেইমারঃ তার জন্যে। যার আবিরের ছোঁয়ায় আজ আমি অনিন্দিতা। ]
[আমার কথাঃ এই শহরের এক পাগলির সাথে পরিচয় আছে আমার। অল্পেই অনেক খুশি হয়, কাঁদে, হাসে, অভিমান করে। আমি তার অনুভবের কোনো হদিস পাই না। সন্ধানও করি না। অভিজ্ঞতা বলে, সন্ধান করে কিছু পাওয়া যায় না এই ব্যপারে, আপনা থেকে যা পাওয়া যাবে তাতেই তুষ্ট থাকতে হয়।
এই পাগলিকে একদিন বলেছিলাম, জানিস, আমার জন্যে কেউ কখনো লেখেনি। কয়েকদিন পরে সে এটা লিখেছে। জীবনে প্রথম লিখেছে।
জীবন কখনো কখনো বিপুল আনন্দময়।]
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১২
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর ।
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
শক্তপাল্লা বলেছেন: valo laglo
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
বাংলার পাই বলেছেন: জীবনের প্রথম লেখাই তিনি তার সৃজনশীলতার যে পরিচয় দিয়েছেন তা এক কথাই অসাধারণ।
আমার পক্ষ থেকে ওনাকে অভিনন্দন জানাবেন।
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++++++
পাগলীর জন্য শুভকামনা
ভালো থাকবেন ভ্রাতা
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: মেঘকন্যার জন্যে শুভকামনা।
৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৫
ডি মুন বলেছেন: বাহ, সুন্দর লেখা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫১
দুখাই রাজ বলেছেন: জীবনের প্রথম লেখাই এতো সুন্দর ! অসাধারণ ! আপনার মাধ্যমে ওনাকে ধন্যবাদ জানাই আর আপনাদের দুজনের জন্যই শুভকামনা ।
''তেপান্তর বোঝে না তাকে ভুলে যাবার ভুল হয় না অনিন্দিতার। ভুল পেরোলেই রোজ সড়কবাতি জ্বলে উঠে। অনিন্দিতা খুঁজে ফেরে তেপান্তরের নিঃশ্বাস। তেপান্তর তাকে নিরাবরণ করে, উপভোগ করে, ক্লান্ত করে। তারপর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। অনিন্দিতা জেগে থাকে দোলাচলে। রাতের বয়স বেড়ে বেড়ে বুড়ো। সে জেগে উঠে ঘুমের স্টেশানে। যে স্টেশান এসে মিশেছে তেপান্তরে। যেখানে উঁকি মেরে অনিন্দিতা খুঁজে পায় দীঘল শূন্যতা। ''++++