নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কলম

প্রকৃতিকে করো তব দাস-চে দ্য আইডল (ব্লগার নং - ৩১৩৩৯)

পাপতাড়ুয়া

আঁধার দুনিয়ার ছবি! ..... ছন্নছাড়ার পেন্সিল......সবার অন্ধকার থাকে না, অথবা অন্ধকার প্রিয় নয়। তাই সবাই কবিতা পড়তে পারে না, কবিতা পড়ার জন্য চোখের ভিতর সমুদ্র এবং বুকের ভিতর আদিগন্ত ধূ ধূ প্রান্তর লাগে। ..... কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য *************************http://www.rabindra-rachanabali.nltr.org/node/2

পাপতাড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তগল্প: কপিরাইট অথবা লুকিয়ে ফেলা উল্কি হাতে

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২১

এখানে রোদ পুড়ে যায় আর সন্ধ্যা হবার আগ পর্যন্ত পুড়তে থাকে। করোটিতে ক্রন্দনের ছবি রেখে চোখের পর্দায় আটকে থাকি অদ্ভুত সকাল। তুমি তোমার হাত খুলে নাও। আমি হয়ে যাব অচেনা কাক। শহরের একমাত্র পাখিটির নাম কাক।

তোমার আমার সস্তা চপ্পলের খোপে রাত দিন জমে উঠে উঠে গল্প হবার কথা, অথচ নিরেট দেয়াল ভেঙেচুরে বেড়ে উঠে প্রাচীন শিলালিপির হারিয়ে যাওয়া অক্ষর। মুখের মুখোশে অজস্র দাগ, আর তুমি আমি কিংবা সবাই খুঁজে ফিরি ইতিহাসের সোনামুখী চিহ্নরাজি। আমাদের পরস্পরের সড়কবাতির রঙ আলাদা আলাদা, অথচ আমরা ভেবেছিলাম লাল। তুমি তোমার বাতিঘুম খুলে নাও। আমি হয়ে যাব ল্যাম্পপোস্ট। ল্যাম্পপোস্টরা শেষ রাতে কান্না ঝরায় আর আমরা ভাবি মধ্যরাতের শিশির।

আমাদের সময়ে উল্কিরেখার প্রাবল্য ছিল না। হাতের স্পর্শে আমরা লিখে দিতাম অধিকারের বর্ণনালিপি। এভাবে নাকি অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না। অক্ষরসমেত লিখে দিতে হয়। লিখে দিতে এনেছিলাম রক্তাক্ত কলম। লেখা হয়নি। অধিকারনামার কোনো জায়গা ছিলো না। কে যেন লিখে রেখে গেছে কপিরাইট। আর আমি জেনেছি, এভাবেই লিখে দিতে হয়, এভাবেই লেখা না হলে হেরে যেতে হয়।

হাতের মুঠোয় উল্কি কারুকাজ
ঠিক করে বলো দেখি
কার অধিকারে কে নিয়েছে
কপিরাইট আজ!

*
পাতাদের বিদ্রোহের সময় শীতকাল। পাতারা বিদ্রোহ করে হেরে গেছে। ঝরে গেছে। নতুন পাতারা জানতেই পারবে না ঝরাপতনের দীর্ঘবিষাদ। তোমরা যখন পরস্পরকে খুলে আনো, আমি তখন দীর্ঘবিষাদে ঘুম তুলে রাখি মদের পেয়ালায়। তোমার নতুন পাতা আমার বুকের ভেতর থেকে ছুটে যায়। আমি হিসেব করে দেখি, এইখানে নিষিদ্ধ কপিরাইটের সমস্ত আইন।
তবে কেন ভেবেছিলে,অন্ধ গোলাপ আবার হবে লাল। বিকিকিনির এই শহরে গোলাপও কিনতে পাওয়া যায়। আমি এর আগে গোলাপ কিনিনি। লিপিস্টিক কিনে দেই নি কাওকে। অথচ গোলাপের রঙেই লিপিস্টিক পাওয়া যায়।
*
গোলাপের গহীনে লুকিয়ে দেখো, কোনো কপিরাইট নেই। নেই কোথাও হস্তরেখার বিভ্রান্তি। এভাবে অক্ষর চেনা যায়, গোলাপের সূত্রপাঠে ভুল হয়ে যেতে পারে।
খুলে দেখো লিপিস্টিকের মোড়ক। তীর্যক তীব্র গন্ধের ভেতর কেউ লিখে রাখেনি অধিকারনামা। অথচ হাতের রেখায় কেউ নাম লিখে গেছে চকচকে। আমি ভেবেছিলাম রক্ত। আমি বুঝেছিলাম, রক্ত নয়। আমি জেনেছিলাম, রক্তের কথাগুলো মিথ্যে। কিনে নিতে গেলে কপিরাইট লাগে। নাহলে অন্য কেউ কেড়ে নেয় আংশিক বা সম্পূর্ণ।
*
তুমি বরঙ ফেরাও তোমার চোখ
শত বছরের গ্লানি এক নিমেষে
কী করে মুছে যাবে?
তুমি বরঙ উল্কি মুছে নাও
কার অধিকার কে যে আবার কেড়ে নেবে!

*
আমরা বরঙ লুকিয়ে রাখবো সমস্ত সন্ধ্যাসমীকরণ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দুর্বোধ্য| কিন্তু পড়তে ভাল লেগেছে| মাঝে মাঝে যে বুঝিনি এমনটা নয়

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ রাখাল,পাঠের জন্যে।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনুভূতিতে ভাল লাগল ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ কলমের কালি শেষ।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪১

মহান অতন্দ্র বলেছেন: এখানে রোদ পুড়ে যায় আর সন্ধ্যা হবার আগ পর্যন্ত পুড়তে থাকে। ভাল লেগেছে। এই লাইনটা বিশেষ করে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.