নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

p e r s e u s ....

কোলাহলের মুখরতায় আজও মানুষ খুঁজে বেড়াই

পার্সিয়াস রিবর্ণ

মুখোশে মানুষ মুখোশে পৃথিবী মুখোশে রঙ্গীন সব সাদাকালো ছবি ....।।

পার্সিয়াস রিবর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার "পিঁপড়াবিদ্যা" দর্শণ .....

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫





Kim-Ki-Duk এর Pietà (film) দেখার পর মনে হয়েছিলো এমন একটা আজগুবি/অবান্তর গল্প নিয়ে 'কিম' কি ভেবে এই ছবিটা করলেন !!?? আসলে কি আছে এ ছবিতে ?! তার গল্প বলার ঢংটা চেনা ..তবে কাহিনীতে যেন প্রাণ নেই !! মানবিক সম্পর্কের কি অদ্ভূত এক ধাঁধায় তিনি দর্শককে টেনে নিলেন !!



এই ছবির শেষ দৃশ্যটাই পুরো গল্পটা ধারণ করেছে। কিম তার সব ছবিতেই দর্শকদের একটা 'ভিজ্যুয়াল ইমেজ' দেন যাতে করে দর্শকরা তাদের ইচ্ছেমত অন্য এক চিন্তার জগতে হারিয়ে যেতে পারে । তার ছবিগুলো অনেকটা 'অ্যাবস্ট্রাক্ট পেইন্টিং কিংবা কবিতার' মত .....ব্যাখ্যা আশা করাটা বোকামী তবে দর্শকরা তাদের কল্পনাশক্তি কাজে লাগাবার সুযোগ পান পুরোটাই । অর্থাৎ তার ছবির দর্শকদের কল্পনাপ্রবণ হতে হয় ।



দ্বিধা-দ্বন্দ্ব..কৌতুহল... 'পাজলিং মেটাফোর' এর আঘাতে আপনার চিন্তার ব্যাপ্তি যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে, হুট করে নিজেকে এক ভয়ংকর সুন্দরের মাঝে আবিষ্কার করবেন । কিম এর মুন্সিয়ানা এখানেই । দর্শককে একটা গভীর 'বোধের' ভেতর আটকে ফেলা ।।



"পিঁপড়াবিদ্যা" মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ৫ম চলচ্চিত্র ! ছবি মুক্তির অনেক আগেই পোস্টার নিয়ে সমালোচনা ছিল ( হলিউডের The Silence Of The Lambs এর অনুকরণে । সেটা অন্য প্রসঙ্গ । ) তার ছবিতে কিম এর প্রভাবটা স্পষ্ট বলেই শুরুতে 'কিম' কে টেনে আনা । জানিনা ফারুকী ভাই সেটা স্বীকার করবেন কি না । তার প্রতিটা ছবিতেই 'মেটাফোর' ইউজ করা হয় । এখানে যেমন 'পিপড়া' । লোভ..কৌতুহল..উচ্চাকাঙ্খা....সমীকরণের শেষে যে ''পাপ'' তা কিভাবে 'পিঁপড়া'র মত আমাদের ভেতরটাকে কামড়ে ধরে একটা 'ভয়' ঢুকিয়ে দিচ্ছে পরিচালক সেটাই গল্প আকারে বলতে চেয়েছেন ।







গল্পের 'মিঠু' চরিত্রটা আমাদের ভীষণ চেনা । কখনো সেটা আমি নিজে...কখনো আমার চারপাশ ঘিরে থাকা মানুষগুলো । একটা সাধারণ পরিবারের খুব সাধারণ এক যুবক যে স্ট্রাগল করছে বেকারত্ব কাটাতে । কোটিপতি হবার উচ্চাকাঙ্খায় সুযোগ পেলেই লুফে নিচ্ছে । ...কিন্তু আসন্ন বিপদটা টের পাচ্ছেনা । এমএলএম কোম্পানীর প্রলোভন...সস্তায় চুরির ফোন কেনা .. পুরোনো প্রেমিকার কাছে নিজেকে 'জয়ী' হিসেবে দেখানোর এ্যারোগেন্স...এবং আস্তে আস্তে পিঁপড়ার গর্তে পা ফেলা ।



অন্যায় করার পর যে পাপবোধের জন্ম .. বিবেকের দংশন .. এবং তা থেকে তৈরী যে 'ভয়' তা 'মিঠু'কে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে ছবির শেষার্ধ জুড়ে । অনুরুপ 'পাপী' দর্শকদের মনে সেই 'ভয়'টা সমানভাবে ঢুকে যায় .... ।



ছবিতে যে নিষ্ঠুরতাগুলো দেখানো হয়নি তা দর্শকদের মনে ঠিকই একটা ভিজ্যুয়াল ইমেজ তৈরী করে । তখন দর্শক নিজেই ছবির একটা চরিত্র হয়ে পড়ে । একজন মানুষ আদতে হয়তো নিষ্ঠুর নন কিংবা কোন গুঢ় পাপও করেননি ... সেই তিনিই যখন চরিত্রের ভেতরে ঢুকে পড়েন, তিনি চরম নিষ্ঠুর হতে পারেন কিংবা সমানভাবে ভীত । এখানেই পরিচালকের কাজের স্বার্থকতা ।



নায়িকা 'মীরা' গোপন ভিডিও ফাঁসের ভয়ে মিঠুর সমস্ত কাজে স্বায় দিয়ে যায় । তারও ভয় যদি এ ভিডিও প্রকাশ হয়ে পড়ে তবে তার ক্যারিয়ারের ক্ষতি । গল্পের শেষে এসেও দেখা যায় সেই 'ভয়' তাকে কিভাবে ক্ষতবিক্ষত করছে । কিভাবে অসংখ্য পিঁপড়ার কামড়ে সে প্রতিনিয়ত ছটফট করছে । সেই ভয়টা সে ট্রান্সফার করেছে মিঠুর ওপর ।



নায়ক যখন 'ভয়ের' কাছে পরাজিত হয়ে মায়ের কাছে ফিরে এসে আবার সেই ছোটবেলার মত মায়ের কাছাকাছি থাকা কিংবা তখনকার মতো হতে চাইলো তখন দর্শকরাও সমাধান পেয়ে যান । দর্শকরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন .. যাক এবার বুঝি সব মিটমাট হবে ।



পুরো ছবিজুড়ে মিঠুর বোন আর বাবাকে অনেকবার স্ক্রীনে দেখিয়েও কোন ডায়লগ দেয়া হয়নি দেখে অবাক হচ্ছিলাম । .. কিন্তু গল্পের পাঞ্চলাইনটা বেরোলো বোনের মুখেই ..." ভাইয়া তুমি কি সত্যি সত্যি ...??!!! না কি অভিনয় করতেছো ??!! ""



এই প্রশ্নটা দর্শকদের মনেও উদয় হয় । কাহিনী ওপেন এন্ডেড .... দর্শকরা তাদের ইচ্ছেমত উত্তর বের করে নিতে পারেন । আসলেই কি মিঠু আবার সেইসময়টায় ফিরে গেছে যখন তাকে লোভ..উচ্চাকাঙ্খা .. ভয় নামের পিঁপড়াগুলা জাপটে ধরতে পারেনি । যখন সে নিতান্তই সাধারণ এক মানুষ !!

না কি এসব ''পিঁপড়া'' থেকে বাঁচতে পাগল সাজার অভিনয় করছে ....??!!



পিকচারাইজেশন,মিউজিক,ব্যাকগ্রাউন্ড ... এগুলোও সিনেমার এক একটা ক্যারেক্টার । ছবির মিউজিক ভালো ছিল । গানের সংখ্যা যদিও সামান্য । লোকেশনও খুব মন্দ হয়নি । অভিনয়ে সাবলিলতা ছিল । ফারুকী ভাইয়ের ছবিতে বিনোদন না থাকাটা অষ্টম আশ্চর্য্যের মতই । ... মুকিত ভাইয়ের রোলটা এতো ছোট কেন ??!!



পরিশেষে একটা সহজ বাস্তব বলি... এ ধরণের ছবি 'খাবার' মত দর্শক এখনও এদেশে তৈরি হয়নি... আমাদের দর্শকরা মেইনস্ট্রিম । রোমান্স, অ্যাকশান, কমেডি...... এই ধারার বাইরে বের হয়ে ছবির গল্পের সাথে মিশে গিয়ে নিজেই একজন দক্ষ গল্পকার বনে যাবার মত দর্শক আমাদের নিতান্তই কম । আমাদের দর্শকরা বিনোদিত হতে চায়... যে গল্প মগজের তার ধরে ঝুলাঝুলি করবে, শেষপর্যন্ত এসেও একটা ধাঁধায় জড়িয়ে রাখবে , সেসব গল্পে দর্শকদের মন ভরেনা...পেটে গুরুপাক হয় । টাকা খরচ করে হলে গিয়ে ''মানসিক প্যাড়া'' নেবার মত উন্নত রুচির দর্শক আমরা ওখনও হতে পারিনি ।







সময় বদলাচ্ছে । ধীরে ধীরে এসবও পরিবর্তন হবে ।

আশার কথা এসব ছবি দেখতেও হলে দর্শকেরা ভীড় করছেন । ছবির গুণাগুণ বিচার করছেন । ভিন্ন ধারার কিছু দর্শক তৈরী হচ্ছে । এটা আমাদের সিনেমার জন্য ভালো ।



সমালোচকদের সাথে আমি একটা জায়গায় একমত ...ছবির লেংথটা আরেকটু বাড়ানো যেতো । দেড়ঘন্টার মুভি হলে গিয়ে দেখার ধৈর্য্য খুব কম মানুষের থাকে । তবে আশার কথা ক্ষোভ কিংবা অভিমান থেকেই কি না ফারুকী ঘোষণা দিয়েছেন তার নেক্সট মুভিটা ৩ ঘন্টার হবে । :P



ওভারঅল আমার রেটিং ১০ এ ৭ ...... B-) :D



পুরষ্কার/নমিনেশন :





আইএমডিবি ইউজারদের প্রদত্ত রেটিং ৮.১ :





মুভি ট্রেলার দেখে নিতে পারেন ঝটঝট



চিরকুটের এই গানটা দারুণ হয়েছে

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

সকাল হাসান বলেছেন: মুভিটা দেখতে পারি নি এখনো! :(

আপনার রিভিউ পড়ার পর দেখার ইচ্ছা অনেক বেড়ে গেছে! জানিনা কবে দেখতে পারব! আপাতত ট্রেইলার দেখেই শখ মিটাতে হবে!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: দেখে ফেলতে পারেন সময় করে । তবে খুব বেশি প্রত্যাশা না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ ।

:)

হ্যাপ্পি ওয়াচিং .... :)

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মোটামুটি মানের মুভি । যদিও আমি মুভি না বলে ফারুকির মতোই টেলিছবিই বলবো । মুভির একটা সংজ্ঞা আছে ।

আপনার রিভিউ ভালো লেগেছে । তবে রেটিঙে স্বজনপ্রীতি হয়ে গেলো না ! হাহাহা :)

ভালো থাকবেন সবসময় :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: ধন্যবাদ রায়হান ভাই । :)

আমরা যারা নোলান..হিচকক...ক্যামেরুন .. কিম দুক.. এর মত বিখ্যাত নির্মাতাদের ছবি দেখে অভ্যস্ত তারা কিন্তু ছবির গুণাগুণ বেশ ভালো বোঝে । আমরা যখন কমপেরিজনে যাই তখন বিদেশী ভাষার কোন ছবির সাথে..কোন পরিচালকের সাথে কমপেরিজন করি । এটা অনেকটাই অন্যায় । যারা নিয়মিত হলে গিয়ে ছবি দেখেন তারা একটা নির্দিষ্ট ধাঁচের মুভি দেখে অভ্যস্ত । মূলত তারা বিনোদিত হতেই যান ।

আপনি যখন দেশীয় কোন পরিচালকের মুভির সাথে ফারুকীর কাজের তুলনা করবেন তখন একটা স্পষ্ট ব্যাবধান তৈরী হবে । আপনি সহজেই তার কাজকে আলাদা করতে পারবেন । তিনি আসলে সিনেমার মাধ্যমে একটা গল্প বলতে চেয়েছেন । যেটা আমাদের পরিচিত । ..এবং এ জায়গায় তিনি সফল ।

রেটিংটা কেবল দেশি মুভির সাথে তুলনা করেই দেয়া ।

:)

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ সাবলীল রিভিউ কিংবা সমালোচনা।ভাল লেগেছে নিঃসন্দেহে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ ...

:)

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: মুভি রিভিউ এরকমই হওয়া উচিত । স্পয়লার এলার্ট না দিয়ে অনেকেই দেখি শুধু কাহিনীটা বলে যান । আপনার বিশ্লেষণ মুভিটা উপভোগ করতে সাহায্য করবে ।

রিভিউ'র জন্য আমার রেটিং ১০/১০

:)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: কমেন্টের জন্য ভালোলাগা রইলো মামুন ভাই ।

ছবিটা দেখা না হলে একবার দেখে ফেলুন । সম্ভব হলে একটা রিভিউ লিখবেন ।

ভালোথাকার প্রত্যাশায় ...

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

আবু শাকিল বলেছেন: রিভিউ ভাল লিখেছেন।
আন্তর্জাতিক মানের টেলিফিল্ম দেখলাম :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১২

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: এটাকে হয়তো টেলিফিল্মই বলতাম যদি রোমান্স..ড্রামা ব্যাপারটা থাকতো । কারণ, আমাদের টেলিফিল্মগুলোও নাটকের বাইরে বেরোতে পারেনা সহজে ।

অফ স্ক্রীনে সিনেমার দূর্বল জায়গা এটাই..সাথে এর দৈর্ঘ্য । আশা করি পরেরবার ফারুকী এসব দিক খেয়াল রেখে ছবি বানাবেন ।

ভালোলাগা জানবেন শাকিল ভাই ।

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০০

ফা হিম বলেছেন: লেংথ বাড়ানোর দরকার নাই, দেড় ঘন্টাই ভালো।

রিভিউ ভালো হইছে। দেখার আশা রাখি।

দূর্যদা অভিযোগ করত ফারুকী নাকি একটা "বড় নাটক" বানিয়ে সেটাকে মুভি হিসেবে চালিয়ে দেন। যাইহোক, উনার ছবির মেটাফোরগুলো সত্যিই বেশ অসাধারণ (যদি লোকে বুঝতে পারে আর কি)

যথার্থই বলেছেন, - এ ধরণের ছবি 'খাবার' মত দর্শক এখনও এদেশে তৈরি হয়নি

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: দর্শকদের অভিযোগগুলোর মধ্যে সিনেমার লেংথটা একটা । পয়সা খরচ করে হলে গিয়ে এতো কম দৈর্ঘ্যের সিনেমা দেখে তো আমরা অভ্যস্ত নই । ভিন্ন ধারার ছবির সাথে ভিন্ন ধারার দৈর্ঘ্য..দর্শকরা একবারে এতোটা চাপ নিতে পারবেনা ।

ফারুকীর থার্ড পারসন ছবিতেও মেটাফোর ইউজ করা হয়েছে । এই ছবিটা পুরোটাই এটার উপর নির্ভর করে এমনকি নামকরণও ।

দর্শক তৈরী হচ্ছে । হয়তো দু'এক বছরের মধ্যে দর্শকদের চাপেই পরিচালকরা ভালো ছবি তৈরী করবেন ।

কমেন্টের জন্য ভালোলাগা রইলো ভাই ।

৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

তুষার কাব্য বলেছেন: এখনো দেখা হইনি...ভাবছি যাব কি না... :(

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৮

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: হা হা ... সবার দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে আপনারটা মেলালে তো চলবেনা । আমার বা অন্যের ছবিটা মোটামুটি/খারাপ লেগেছে বলে আপনারও যে এমনটা নাও হতে পারে ।

ভালো থাকবেন ভাই । ;)

৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১১

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: আচ্ছা পোষ্টারের ঠোঁটটা কার? ;)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: সিনেমার নায়িকা শিনা চৌহানের ... মোটেও ''তিশা'র নয় ....

হা হা হা ......

৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার রিভিউ পড়লাম। আমিও রশিদ ভাইয়ের মতো রিভিউতে ১০ এ ১০ দিলাম। রিভিউ অনুযায়ী ছবিটি উচ্চমার্গীয়। সেই হিসাবে দেশীয় ছবির সাথে তুলনা করলে এটার রেটিংও ১০-এ ১০ হয়। আর আন্তর্জাতিক ছবির সাথে তুলনা করলে আপনার রিভিও অনুযায়ী ১০-এ সাড়ে ৮ পাওয়ার মতো ছবি এটা।


নাটক, টেলিফিল্ম এবং মুভি’র মধ্যে পার্থক্য কী? আপনি এগুলোর যত ডেফিনিশনই দিন না কেন, দেখবেন এরা প্রতি ক্যাটাগরির জন্যই উপযুক্ত।

একটা মুভির যেসব বৈশিষ্ট্য আমরা দেখি, ঐসকল বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ নাটক বা টেলিফিল্মও রয়েছে ভূরি ভূরি।

আবার একটা নাটকে যেসব বৈশিষ্ট্য আমরা দেখি, এসব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মুভিও রয়েছে অসংখ্য।

উৎপত্তিগতভাবে, যেসব ছায়াছবি টেলিভিশনের জন্য বানাননো হয় তা হলো টেলিফিল্ম বা ড্রামা, যা ১৯৪৪ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়। খুব সম্ভবত তার আগে টিভিতে এ ধরনের কিছু প্রচার করা হয় নি।

আর যেসব ছায়াছবি হল বা থিয়েটারের জন্য বানানো হয়, সেগুলো মুভি হিসাবে পরিচিত।

টেলিফিল্মের জন্য আগে ক্যাসেট বা টেপ ইউজ করা হতো, আর মুভির জন্য সেলুলয়েড। আমার জানা মতে, বর্তমানে টেলিফিল্ম বা মুভি সবকিছুর জন্য একই টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে।

অতএব, পিঁপড়াবিদ্যা ছবি, নাকি টেলিছবি এ বিষয়টা আলোচনার বাইরে রেখে গল্প ও নির্মাণের উপর গুণাগুণ বিচার করা উচিত।

পাত্রপাত্রীর নাম পরিচয় দিন। সিনেপ্লেক্সে গিয়ে এটা দেখার সুযোগ হবে না ;)



শুভেচ্ছা।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০০

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: অসাধারণ এবং বিশ্লেষণী কমেন্টের জন্য কৃতজ্ঞতা । ছবি,টেলিফিল্ম এবং নাটকের পার্থক্য নিয়ে করা আপনার মন্তব্যে সহমত জানাচ্ছি সেই সাথে নতুন কিছু তথ্য জানতে পারার ভালোলাগা ও উচ্ছ্বাস জানালাম ।

পাত্রের নাম নূর ইমরান মিঠু । ফারুকীর আবিষ্কার .. এবং এই প্রথম অন স্ক্রীনে তাকে দেখানো হয়েছে । শুনেছি ছবির মতই বাস্তব জীবনেও সে অনেক স্ট্রাগল করেছে । ছবি দেখতে গিয়েই বলাকাতে ফারুকীর সাথে পরিচয় । পুরাই রাজকপাল । :)

শিনা চৌহান অত্যন্ত আবেদনময়ী ভারতীয় মডেল ও অভিনেত্রী । তার চোখের দিকে বেশিক্ষণ না তাকানোই ভালো । ;) ... হা হা হা

নিরন্তর ভালোলাগা রইলো সোনাবীজ ভাই ।

১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সোনাবীজ ভাইয়ের সাথে কঠিন ভাবে সহমত ! ছবি আর টেলফিল্ম আলাদা করার মানসিকতা টা আমাদের সিনেমাকে একটা জায়গায় আটকে রাখছে , আমি এর বিরুদ্ধে ! চলচ্চিত্র মানেই কি মার মার কাট কাট ?
একটা ফ্রেমে , একটা দর্শন সফল ভাবে ফুটিয়ে তোলাই চলচ্চিত্র !
ফারূকী অনেক দিন বেঁচে থাকুক , আরো অনেক কাজ করুক , এমন ছবি গুলোই প্রযুক্তির নামে ভাঁড়ামি দিয়ে হলে দর্শক টানা ছবিগুলোকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে চলচ্চিত্র একটা শিল্প , ব্যাবসা সফল হবেই আমাদের উচিৎ যতটা উৎসাহ নিয়ে জলিল সাহেবকে পচানোর জন্য তার ছবি দেখতে হলে যাই , তার চেয়ে দ্বিগুন উৎসাহ নিয়ে এই সিনেমাগুলো দেখা !
শুভেচ্ছান্তে .।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৫

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: "একটা ফ্রেমে , একটা দর্শন সফল ভাবে ফুটিয়ে তোলাই চলচ্চিত্র ! "

অসাধারণ একটা উক্তি !! অবশ্যই সহমত জানালাম ।

ইচ্ছে করলে এ ছবিটির দূর্বল দিকগুলোকে টেনে এর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় । তবে আমি ফারুকীর 'ধারণা'টাকে সম্মান জানাতে চেয়েছি । সে বিশ্বমানের একটা ছবির কনসেপ্ট আমাদের সামনে তুলে ধরতে চাইছে । আমার ছবিকে..দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাইছে । অবশ্যই এজন্য তাকে সম্মান জানাতে হবে ।

গত কয়েকবছরে বেশ কিছু টেলিফিল্ম দেখেছি যা পরিচালক ইচ্ছে করলে ছবিতে পরিণত করতে পারতেন ।বাজেট, ব্যাবসা, দর্শক একটা সমস্যা । আমাদের মানসম্পন্ন হলও নেই । ইন ফ্যাক্ট, ভালোমানের (প্রিন্ট) ছবি চালানোর মত হল হাতেগোনা । সেখানে সাহস করে কেউ যদি এরপরও এমন ছবি বানায় তাকে সাধুবাদ জানানো উচিত ।

ফারুকীর কাছে অনেক প্রত্যাশা । আশা করি সে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের কিম দুক, কিয়েরেস্তামি, মাজিদ মাইজি হতে পারবে ।

কমেন্টের জন্য ভালোলাগা অভি ভাই । :)

১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো রিভিউ। আমিও দশে সাতই দিবো।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই । :)

নিরন্তর ভালোলাগা রইলো ।

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: রিভিউটা চমৎকার বর্ণনাগুণে৷ কিন্তু রিভিউয়ের যথার্থতা বিচারে যাব না৷ ওটা এক একজনের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করবে৷ কিন্তু মুভির এধরণের রিভিউ বেশি বেশি হওয়া উচিত৷ ভাল থাকবেন৷

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৯

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে । আমি চেষ্টা করেছি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে সমকালীন বাংলা চলচ্চিত্রকে মিশিয়ে ছবির প্লটটাকে তুলে ধরতে । এ ছবি দেখে খুব ইজিলি অনেক ফাঁকফোঁকর বেরিয়ে আসবে । সেসব নিয়ে সমালোচনাও কম হবেনা । তবে আমার কাছে এই ছবির আবেদনটা গুরুত্ব পেয়েছে এর শিল্পমূল্য বিচারে । একটা নতুন ধারার শুরুতে এমন প্রচেষ্টা অবশ্যই অভিনন্দন যোগ্য ।

ভালো থাকবেন নিরন্তর । :)

১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম বলেছেন: ভাল লিখেছেন। বরাবরই ভাল লিখেন অবশ্য। অ.ট. আমি আপনার একজন ফেবু ফলোয়ার।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: কমেন্টের জন্য অজস্র ভালোলাগা ।

আপনার নামটা পরিচিত লাগছে । তবে ফলোয়ার কিনা জানা নেই । পারলে একটা মেসেজ দিয়েন অ্যাড করে নিবো ।

১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৬

তওসীফ সাদাত বলেছেন:


একদম আমার মন মত রিভিউ :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৫

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: হা হা .. ধন্যবাদ । তবে আপনার মনুমেন্ট ম্যান রিভিউটাও দারুণ ছিল ।

কমেন্টের জন্য ভালোলাগা । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.